![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি ক্ষুদ্র শ্রেনীর একজন মানুষ। এতই ক্ষুদ্র যে দুর থেকে দেখা যায়না। দেখার জন্য কাছে আসা প্রয়োজন।
আমার সাহিত্য ও জীবন চর্চায় ব্যঘাত সৃষ্টিকারী ব্যাধিটির নাম ফেসবুক। ফেসবুকের পেছনে আমি যতটা সময় ও শ্রম ব্যায় করি ততটা সময় ও শ্রম যদি সাহিত্যের পেছনে ব্যায় করতাম ১০১ টা নতুন সাহিত্য সৃষ্টি করতে পারতাম। পড়াশুনার পেছনে ততটা সময় ব্যায় করলে অবশ্যই ভাল রেজাল্ট করতে পারতাম।
ফেসবুকের কারণে অনিক ক্ষতি হয়েছে এবং হচ্ছে। তবু আমি গাইবো আজ ফেসবুকের জয়োগান।
দুইটা জিনিস আমি খুব পছন্দ করি - বই এবং ফেসবুক।
বই পড়তে আমার ভাল লাগে। বই আমাকে হাসায়। বই আমাকে কাদাঁয়। বইয়ের প্রতিটি পাতায় রয়েছে নতুন জ্ঞান। উপন্যাস পড়ে আমি অনুধাবন করি নতুন জীবন।
ফেসবুক আমায় হাসায়। ফেসবুক আমায় কাঁদায়। ফেসবুক আমায় জানায় নতুন কথা। ফেসবুকের মাঝে আমি খুজে পাই নতুন বন্ধুত্ব।
লাইক, শেয়ার, কমেন্টের ভীড়ে হারিয়ে যায় লেখা। শত প্রতিভার পালক এভাবেই হারিয়ে যাচ্ছে ফেসবুক থেকে। এই কারণেই - এই যুগে রবীন্দ্রনাথের জন্ম হলে সে বিশ্ব কবি হতে পারত না।
প্রতিটা জিনিসেরই ভাল এবং খারাপ দুইটা দিক থাকে। ফেসবুকেরও ভাল-খারাপ দুইটা দিক আছে।
ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের প্রানীদের আগমন ঘটেছে। প্রফাইল ফটো দেখে কাউকে চেনা সম্ভব না। বাঘের ছবি দিয়ে যদি মুরগিরা প্রফাইল খুলে বসে আছে। অনেকেই আবার মুরগীকে বাঘ ভেবে বিভ্রান্ত হচ্ছে। কেউ কেউ বার্তা পাঠাচ্ছে, "টাইগার ভাই, আমি আপনার একজন ফ্যান। প্লীজ, এড মি।"
ফেসবুকের আসল সমস্যাই হচ্ছে এটা। এখানে আসল প্রনী খুজে বের করাটা কষ্টসাধ্য।
প্রতারনার এক নতুন মাধ্যম এই ফেসবুক।
তবু আমি ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ-কে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কেননা, এক জীবনে এতো বন্ধুত্ব কেবল ফেসবুকের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে।
©somewhere in net ltd.