![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারন মানুষের জীবনও সাধারন হয় । আমার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম না । আমি এই সাধারন জীবনটাতে অসাধারন কিছু কাজ করতে চাই ।
বাংলাদশের বর্তমান পরিস্থিতি খুব একটা সুবিধার নয় । এই পরিস্থিতির জন্য আওয়ামিলীগ , বিএনপি , জামাত শিবির কে আমরা অনেকেই দোষারোপ করে থাকে । যারা আওয়ামিলীগ সমর্থন করেন তারা বিএনপিকে দায়ী করেন , যারা বিএনপি করেন তারা আওয়ামিলীগ কে দায়ি করেন , আওয়ামিলীগ আবার জামাত শিবির কে দায়ী করেন । এক কথায় তারা একে অপরকে দোষারোপ করে থাকে । যদিও বর্তমান বাংলাদেশের সংকটকালের জন্য উল্লেখিত তিনটি দল ই দায়ী । তবু ও আমি বলতে চাই বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা বাংলাদেশে সংকট সৃষ্টির জন্য দায়ী । আপনাদের মনে হয়ত প্রশ্ন আসছে শাসনব্যবস্থা কি করে অপশাসনের সৃষ্টি করে ? সব দোষ শাসকের । শাসক ঠিক থাকলে সব ঠিক । জি আমি আপনার সাথে সহমত শাসক ঠিক থাকলে সব ঠিক এবং সব দোষ শাসকের । কিন্তু শাসনব্যবস্থা শাসককে শোষণের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় । এখন বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনাদের কিছু বলি । আপনি কি জানেন বাংলাদেশ কোন আইন দিয়ে চলে ? আমি আপনাকে বলছি বর্তমান বাংলাদেশ চলছে ১৮৬১ সালের আইন দিয়ে । আশ্চর্য হচ্ছেন ? আশ্চর্য হওয়াটাই স্বাভাবিক । ১৮৬১ সালে ব্রিটিশরা তাদের প্রদেশ (Province) শাসনের জন্য আইন সৃষ্টি করেছিল । স্বাভাবিক কারনেই সেই আইন শাসক , আমলাদের সুবিধা দিতে সৃষ্টি হয়েছিল । ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর সেই এক ই আইন দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের শোষণ করে । ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ব্রিটিশ পাকিস্তানি আমলের রাষ্ট্রব্যবস্থা বহাল রেখে শুধুমাত্র পাকিস্তানের সংবিধান থেকে পাকিস্তান শব্দটি তুলে বাংলাদেশ শব্দটি বসিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পথচলার সুচনা করেন । স্বাধিনতার পর বাংলাদেশের জন্য কি নতুন সংবিধান প্রনয়নের প্রয়োজন ছিলনা ? নাকি শুধু শাসকের সুবিধার জন্য ব্রিটিশ পাকিস্তানি আইনের সংবিধান দিয়ে দেশ পরিচালনা করা জরুরি ? তাহলে দেশ স্বাধীন করে আমাদের লাভ কি হয়েছে ? লাভ হয়েছে এটুকুই ব্রিটিশ আমলে আমাদের শাসন করা হত ইংল্যান্ড থেকে , পাকিস্তানি আমলে শাসন করা হত পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আর এখন শাসন করা হয় ঢাকা থেকে । এক ই আইন দিয়ে শাসন করা হোক দুরত্বটা তো কমেছে । স্বাধীন দেশের রাষ্ট্র কাঠামো হওয়া উচিত স্বাধীন দেশের উপযোগী যেখানে শাসকের পাশাপাশি জনগন ও সমান সুবিধা পাবে । বর্তমানে স্বাধীন বাংলাদেশ যে ১২০০ এর অধিক আইন দিয়ে চলে তার প্রত্যেকটা আইন ব্রিটিশ আমলে প্রণীত । এই আইন বাংলাদেশের মানুষ প্রনয়ন করে নাই । যে আইন আমরা প্রনয়ন করিনি সেই আইন দিয়ে আমরা উপকার কি করে পেতে পারি ? ডাকসু সহ সব ছাত্রসংসদের নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । আমার পূর্ববর্তী ব্লগে আমি বলেছি পরিবারতন্ত্রের কুফল নিয়ে । এখনকার রাজনীতিতে শীর্ষে যারা আছে তারা রাজনীতিবিদ কিন্তু তৃণমূল থেকে যারা উঠে যাচ্ছে তারা গুন্ডা , মাস্তান । রাজনীতিবিদদের সাথে রাজনীতি করা যায় কিন্তু গুন্ডা , মাস্তানদের সাথে রাজনীতি করা যায়না । মেঘের আড়ালে যে সূর্য হাসে আমরা সকলেই জানি , কিন্তু অনেকক্ষণ মেঘ থাকলে একসময় সূর্য ডুবে যায় । তখন মেঘ কেটে গেলেউ আর আলো পাওয়া যায় না । তখন এক ফোটা আলোর জন্য সারাটা রাত অপেক্ষা করতে হয় । আপনি আওয়ামিলীগ করেন বা বিএনপি করেন আমার তাতে কোনো যায় আসেনা । আপনি স্বীকার করতে বাধ্য যে এখন দেশ ভালো নেই , দেশের মানুষ ভালো নেই । কে দায়ী আমি সেটা নিয়ে বলতে যাবনা আমার মতে শাসনব্যবস্থা এই অপশাসন এর সুত্রপাত করতেছে । স্বাধীন দেশের উপযোগী শাসন ব্যবস্থা প্রনয়ন করুন । আপনি যে দল ই হোন আমি আপনাকে সমর্থন করব । বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য নতুন আইন প্রনয়ন করা অত্যাবশ্যক । রাজনৈতিক তাত্ত্বিক সিরাজুল আলম খানের একটা কথা খুব মনে ধরেছেঃযে আইন ও বিধির দ্বারা বিদেশি শাসকেরা শাসন করে সেই আইন ও বিধিকে বদলিয়ে নিজেদের উপযোগী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই হলো স্বাধীনতার মুলকথা । বিদেশি শাসক বদলিয়ে দেশি শাসকদের ক্ষমতায় বসিয়ে ঐপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্র কাঠামো ও শাসন ব্যবস্থা দিয়ে দেশ পরিচালনা করা জনগনের জন্য এক ধরনের পরাধিনতা যাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় বলে অভ্যন্তরীন উপনিবেশবাদ (Internal colonialism) ।
তাই একাত্তরের সংগ্রাম ছিল শাসক বদলের এবারের সংগ্রাম হোক শাসন ব্যবস্থা বদলের ।
২৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬
আরিফুল আমির বলেছেন: আওয়ামিলীগ বিএনপি করবে ভেবে বসে থাকলে চলবেনা । জনগনের স্বার্থে আওয়ামিলীগ বিএনপি এর বিপরীতে দেশপ্রেমিক তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটাতে হবে । আওয়ামিলীগ বিএনপি দিয়ে যে সুশাসন আসবেনা এতোদিনে নিশ্চয় আপনার বুঝতে বাকি থাকে নি ।
২| ২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:০৯
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: ভাই, লোভী রাজনীতিবিদ, তাদের পোষা মস্তান বাহিনী রাজনীতিকে তাদের স্বার্থ্য উদ্ধারের হাতিয়ার বানিয়েছে এবং শান্তি রক্ষাকারী সংস্থাকে তাদের পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত করেছে। আপনি তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে কিছুটা বিপজ্জনক কথা বার্তা বলা শুরু করলে হুমকি ধামকি দিয়ে কিম্বা আরেকটু সহজে আপনারে গুম কইরা লাশ বানাইয়া ফেলতে দ্বিধা করবেনা। এসমস্ত বেশ্যা দুঃশ্চরিত্র সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় আরেকটা রেনেসাঁ প্রয়োজন যেখানে তরুণ সচেতন যুবসমাজ এবং মুক্তিকামী প্রবীন অভিজ্ঞ নেতাদের সমন্বয়ে এই দুস্কৃতিকারী নির্লজ্জ মিথ্যুক বেহায়া অভিশপ্তদের ১/১১ এর মত বিচারে এনে কঠোর ভাবে যাবজ্জীবন, ।ফাঁসি এসমস্ত শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যে শাস্তি কোন সুপারিশেই নমনীয় করা হবেনা। এর পর আসবে ব্যাপক সংস্কারের কাজ।
৩| ২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:০৯
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: ভাই, লোভী রাজনীতিবিদ, তাদের পোষা মস্তান বাহিনী রাজনীতিকে তাদের স্বার্থ্য উদ্ধারের হাতিয়ার বানিয়েছে এবং শান্তি রক্ষাকারী সংস্থাকে তাদের পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত করেছে। আপনি তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে কিছুটা বিপজ্জনক কথা বার্তা বলা শুরু করলে হুমকি ধামকি দিয়ে কিম্বা আরেকটু সহজে আপনারে গুম কইরা লাশ বানাইয়া ফেলতে দ্বিধা করবেনা। এসমস্ত বেশ্যা দুঃশ্চরিত্র সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় আরেকটা রেনেসাঁ প্রয়োজন যেখানে তরুণ সচেতন যুবসমাজ এবং মুক্তিকামী প্রবীন অভিজ্ঞ নেতাদের সমন্বয়ে এই দুস্কৃতিকারী নির্লজ্জ মিথ্যুক বেহায়া অভিশপ্তদের ১/১১ এর মত বিচারে এনে কঠোর ভাবে যাবজ্জীবন, ।ফাঁসি এসমস্ত শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যে শাস্তি কোন সুপারিশেই নমনীয় করা হবেনা। এর পর আসবে ব্যাপক সংস্কারের কাজ।
৪| ২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:১১
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: ভাই, লোভী রাজনীতিবিদ, তাদের পোষা মস্তান বাহিনী রাজনীতিকে তাদের স্বার্থ্য উদ্ধারের হাতিয়ার বানিয়েছে এবং শান্তি রক্ষাকারী সংস্থাকে তাদের পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত করেছে। আপনি তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে কিছুটা বিপজ্জনক কথা বার্তা বলা শুরু করলে হুমকি ধামকি দিয়ে কিম্বা আরেকটু সহজে আপনারে গুম কইরা লাশ বানাইয়া ফেলতে দ্বিধা করবেনা। এসমস্ত বেশ্যা দুঃশ্চরিত্র সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় আরেকটা রেনেসাঁ প্রয়োজন যেখানে তরুণ সচেতন যুবসমাজ এবং মুক্তিকামী প্রবীন অভিজ্ঞ নেতাদের সমন্বয়ে এই দুস্কৃতিকারী নির্লজ্জ মিথ্যুক বেহায়া অভিশপ্তদের ১/১১ এর মত বিচারে এনে কঠোর ভাবে যাবজ্জীবন, ।ফাঁসি এসমস্ত শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যে শাস্তি কোন সুপারিশেই নমনীয় করা হবেনা। এর পর আসবে ব্যাপক সংস্কারের কাজ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:০৮
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: ভাই, লোভী রাজনীতিবিদ, তাদের পোষা মস্তান বাহিনী রাজনীতিকে তাদের স্বার্থ্য উদ্ধারের হাতিয়ার বানিয়েছে এবং শান্তি রক্ষাকারী সংস্থাকে তাদের পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত করেছে। আপনি তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে কিছুটা বিপজ্জনক কথা বার্তা বলা শুরু করলে হুমকি ধামকি দিয়ে কিম্বা আরেকটু সহজে আপনারে গুম কইরা লাশ বানাইয়া ফেলতে দ্বিধা করবেনা। এসমস্ত বেশ্যা দুঃশ্চরিত্র সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় আরেকটা রেনেসাঁ প্রয়োজন যেখানে তরুণ সচেতন যুবসমাজ এবং মুক্তিকামী প্রবীন অভিজ্ঞ নেতাদের সমন্বয়ে এই দুস্কৃতিকারী নির্লজ্জ মিথ্যুক বেহায়া অভিশপ্তদের ১/১১ এর মত বিচারে এনে কঠোর ভাবে যাবজ্জীবন, ।ফাঁসি এসমস্ত শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যে শাস্তি কোন সুপারিশেই নমনীয় করা হবেনা। এর পর আসবে ব্যাপক সংস্কারের কাজ।