![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করবেই, যতই চেষ্টা করুন না কেন তাদেরকে এ থেকে বিরত রাখা প্রায় অসম্ভব। তারই প্রমাণ সরূপ হিসেবে বলি, অবশেষে আমাদের শ্রদ্ধেয় চাচা মুখ খুললেন।
তবে যখন মুখ খুললেন তখন উনি তরুণ সমাজ ও তাদের আন্দোলন নিয়ে নানা অভিমত পোষণ করলেন। ওনার বক্তব্বে উনি জানতে চেয়েছেন, ঐ শাহাবাগে ওরা কারা যাদের কথায় কর্মসূচী পালন করতে হবে, উনি আরও বলেছেন ওরা কি সরকার নাকি কোন জাতীয় নেতা অথবা নির্বাচিত জন প্রতিনিধি। এছাড়াও উনি বলেছেন যে ইসলাম ও নবীকে নিয়ে যদি কটাক্ষ করা হয় তবে উনি যুদ্ধ ঘোষণা করবেন, খুবই যৌক্তিক। যেহেতু উনি রাজনীতিবিদ তাই একটু রাজনৈতিক পর্যালোচনা করি।
শাহাবাগ চত্বর, প্রজন্ম চত্বর বা গন জাগরণ যেই নামেই ডাকুন না কেন, ঐটি এখন বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। যেহেতু আপনারা রাজনীতি করেন তাহলে এই সব ব্যাপারে আমাদের মতন জন সাধারনের চেয়ে বেশী ধারনা থাকা উচিৎ ছিল। যেহেতু প্রশ্ন করেছেন তাই বলছি, ঐ শাহাবাগে এক দল তরুণ তাদের ভেতরে জমে থাকা ক্ষোভ প্রকাশ করতে আসেন; আর তাদের অহিংস ক্ষোভ প্রকাশ ও তাদের দাবী যুক্তিযুক্ত মনে হওয়ার কারনেই হাজারও তরুণ তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন। এবং সেই থেকে এই শাহাবাগ যা আপনি ও আপনার দল দেখেছেন। যদি মাত্র ঘুম থেকে উঠেন তাহলে বলি, ঐ আন্দোলন আমাদের স্বাধীনতা বিরোধী এক অপশক্তির বিপক্ষে যারা ১৯৭১ সালে অমানবিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল।
দুঃখের সাথে বলতে হয় যে আপনার ঐ দীর্ঘ শাসনকালে আপনি খুব যত্ন সহকারে ঐ নর পশুদের লালন পালন করেছেন। অবাধে তাদের ব্যাবশা ও রাজনীতি করতে দিয়েছেন। যদি এখন পিঠ বাঁচানোর জন্য ঐ একি খোঁড়া যুক্তি দেন যে, তদের তো সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিলো। তাহলে এই তরুণ সমাজ বলে যে সাধারন ক্ষমা করা হয়েছিলো সত্যি কিন্তু সাধারন মানুষের জন্য। এবং ঐ সাধারন ক্ষমার আওতায় ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ডাকাতি ও খুন পরেনা আর ঐ চিহ্নিত অপরাধীদের কোনও ক্ষমাই করা হয়নি বরং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্তা নেয়া হচ্ছিল।
তাই দয়া করে যেকোনো মতবাদ দেবার আগে একটু চিন্তা করবেন, কারন এই তরুণ সমাজ নিজ দায়িত্তে ইতিহাস জেনেছেন; এবং সেই ইতিহাশে আপনার খুব যে একটা ভালো অবদান আছে তা কিন্তু নয়। এই শাহাবাগের তরুণ, যদিও কোনও জাতীয় নেতা নয় বা কোনও নির্বাচিত বেক্তিত্ত নয় কিন্তু তাদের কর্মসূচী যদি এই স্বাধীন দেশের নাগরিক স্বেচ্ছায় পালন করে তাহলে সমস্যা কোথায়। আপনারা, যারা মুখে মুখে দেশকে অনেক ভালোবাসেন ও অনেক বড় বড় উক্তি দেন, তাহলে কেন প্রতীবাদ করতে দ্বিধা করেন আর ঐ তরুণ সমাজ যখন নির্দ্বিধায় রাস্তায় নামে তাহলে কেন প্রশ্ন তোলেন। তাহলে কি আপনারও ঐ নর পশুদের বাঁচাতে উদগ্রীব, তাই যদি হয় দয়া করে কারনটা পরিষ্কার করবেন। কারন এই তরুণ সমাজ আপনাদের ঐ প্যাঁচ দেওয়া কথাবার্তায় বিরক্ত তাই তা পরিহার করে স্পষ্ট ভাষায় পুরুষ মানুষের মতন উত্তর দেবেন।
এই বয়সে এসে যদি তরুন্দের ঐ আন্দোলন, যুক্তিযুক্ত কথা পছন্দ না হয়; তা খুবই স্বাভাবিক। আপনারা যা করতে পারেন নাই এই তরুণ সমাজ সেটা করে দেখিয়েছে।
জেনে খুব ভালো লাগলো যে আপনি ইসলাম ও মহা নবীর মুহাম্মাদ (সাঃ) এর ব্যাপারে খুবই সচেতন। আর এটা ধরেই নেই যে আপনি কোন ওলামাদের সন্তুষ্টির লাভের জন্য এই কথাটি বলেন নাই। তাহলে একটু বিশ্লেষণ করি। আমাদের প্রান প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন একজন মুসলমানের উচিৎ কোনও তথ্য পেলে তার সত্যতা আগে যাচাই করা অতঃপর তা ছড়িয়ে দেয়া। যদি ঐ আন্দোলন সংক্রান্ত ইসলাম বিরোধী কিছু শুনেন তাহলে তা যাচাই করা মুসলমান হিসেবে আপনার দায়িত্ব। যাচাই করার সময় খেয়াল রাখবেন যে এই প্রজুক্তির যুগে অনেক কিছুই বানানো সম্ভব, যেমন ‘দেইল্লাকে চাঁদে দেখা’। তাই ঐ সব অবাস্তবে যদি বিশ্বাস করেন তাহলে এটাও বিশ্বাস করবেন যে ‘দেইল্লাকে চাঁদে দেখার সাথে সাথে চাঁদের বুড়ি ধর্ষণের ভয়ে পালিয়েছে’। ইসলামের কথা একটু বলি, যেহেতু আপনারা রাজনীতিবিদ তাই হয়তো আপনারা জানেন যে পৃথিবীতে প্রতিদিন অনেক ইসলাম বিরোধী কথাবার্তা ও কর্মকাণ্ড হচ্ছে। তাহলে কেন বা কিসের ভয়ে অথবা লোভে কিছুই বলেন না, যুদ্ধ ঘোষণা করেন না। মনে রাখবেন এই মানব জাতি কি করল তাতে আল্লাহ্তায়ালার কিছুই আসে যায় না এবং উনি ওনার কিতাবকে রক্ষা করতে বদ্ধ পরিকর।
যদি রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করি তাহলে মনে হচ্ছে আপনারা খুব শিগগিরি প্রধান বিরোধী দলের উপাধি পেতে যাচ্ছেন। কারন বিনপি ঐ নর পশুদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে এই জাতির কাছে পরিষ্কার করেছেন যে, এই স্বাধীন চেতা মানুষরা যেমন ১৯৭১ সালে দুটি অপশক্তি পাকিস্তান ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন ঠিক তেমনি এই ২০১৩ তে করতে হবে।
অবশেষে বলি মনে রাখবেন, পক্ষ নিলে রক্ষা নাই।
©somewhere in net ltd.