নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্ল্যাইন্ড আইজ

ব্ল্যাইন্ড আইজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

২০১৩র শান্তি কমিটি...

১০ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

শুক্রুবারের (২২.০২.২০১৩) মসজিদের ভেতরের সহিংসতা সুস্পষ্ট করে দিয়েছে যে ১৯৭১ সালের রাজাকারদের দোসর জামাত-শিবির এই দেশের স্বাধীন চেতা মানুষের বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারই প্রতিফলন হিসেবে ঐ নর পশুরা চোরাগুপ্ত হামলা সহ বিভিন্ন রাস্তা অবুরুদ্ধ করেছে, রেল লাইন উপড়ে ফেলেছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আক্রমণ চালিয়েছে, অন্য ধর্মের মানুষদের ঘর-বাড়ি, দোকান ও অনন্যাও সম্পদ বিনিষ্ট করেছে এবং ঐ পিশাচদের বিরোধীতা করা সাধারন জনগণদের পরিকল্পিত হত্যা করেছে। এই সব কর্মকাণ্ড ঠিক ১৯৭১ সালের পাক-হানাদার বাহিনীর প্রতিফলন।



যখন ঐ জালিমরা এই সব জঘন্ন্য কাজে লিপ্ত ও সাধারণ মানুষ তাদের থেকে বিরক্ত, তখনই দেশের প্রধান বিরোধী দলের নেত্রী বিদেশ (সিঙ্গাপুর) থেকে ফিরেই ঐ নর পশুদের পক্ষ নিলেন জন সম্মুখে। উনার বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে যায় যে ওনার দল ঐ জামাত-শিবিরদের ছেড়ে এই স্বাধীন চেতা মানুষের পাশে দাঁড়াবে না; যদিও উনার নিজের দলেই মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক রেয়েছে। ওনার বক্তব্যে একটা বিষয় উল্লেখযোগ্য যে, সাধারণ জনগণ প্রধান বিরোধী দলের অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা পেয়েছে। তাই ওনাকে ধন্যবাদ; দেশের জনগনের প্রকিত শত্রু চেনার প্রয়োজন ছিল। তাই বলি, ১৯৭১ সালে এই দেশের স্বাধীন চেতা মানুষ একি সাথে পাকিস্তান বাহিনী ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে যেভাবে যুদ্ধ করেছে ঠিক তেমনই ৪২ বছর পর ঐ পাকিস্তান হানাদারদের দোসর জামাত-শিবির ও বিনপির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধে জয়ই হবে, ইনশাআল্লাহ্‌।



কিন্তু যখন প্রধান বিরোধী দল গতকাল (০৯.০৩.২০১৩) জেলায়, ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন জায়গায় ‘জন নিরাপত্তা কমিটি’ গঠনের কথা বলল; তখনই মনে পরে গেল সেই ১৯৭১ সালে ঐ রাজাকদের গঠিত ‘শান্তি কমিটির’ কথা। ভাবতে অবাক লাগে ও কষ্ট হয় প্রধান বিরোধী দলের মধ্যে থাকা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকরা কি ভাবে, কোনও ভয় অথবা লোভের কারনে, এসব মেনে নিচ্ছে।

একটা বিষয় খেয়াল করা দরকার যে প্রধান বিরোধী দলের নেত্রীর ভাষণের পরই ঐ পিশাচদের সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বলি, ঐ ‘শান্তি কমিটি’ ১৯৭১ সালে যে কি শান্তির কাজ করেছে তা আমারা সকলেই জানি। তাই প্রশ্ন ওঠে এই নব্য গঠিত ‘জন নিরাপত্তা কমিটি’ (যেটা ঐ ‘শান্তি কমিটির’ উত্তরসরি) আবার কোন নতুন মাত্রায় সহিংসতা না ঘটায়। প্রধান বিরোধী দলের কথাবার্তা অথবা কর্মকাণ্ড দেখলে কেন জানি ঐ ১৯৭১ সালের রাজাকদের কথাবার্তা ও কর্মকাণ্ডের সাথে অনেক মিল পাওয়া যায়।



রাজনৈতিক বিষয় বিরোধীতা করা হয়ত আমাদের দেশের বিরোধী দলের প্রধান কাজ। তাই বলে জাতীয় ইস্যুতে কেন? এখনও যখন গন জাগরণের মঞ্চ ওনাদের ডাকে কেন ওনারা সারা দেয় না। কি কারন? কি এমন ভালোবাসা ঐ পিশাচদের প্রতি? এই ভালোবাসাতো ‘রমিও-জুলিয়েটের’ ভালোবাসার চেয়েও প্রখর। তাই এই নজিরবিহীন ভালোবাসার উৎসটা যদি বলতেন?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.