![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুদ্ধ অপরাধী, যুদ্ধ অপরাধী এই নিয়ে চলছে নানা তর্ক ও বিতর্ক। যার প্রতিফলনে দেশ জুরে সৃষ্টি হয়েছে নানা দ্বিধাদন্দ। আর এই দ্বিধাদন্দকে কেন্দ্র করে চলছে নানা রকম রাজনীতি। এবং যথারীতি ভাবে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলি এই জাতীয় ইস্যুতে কেন জানি মতৈক্যতে পৌঁছাতে পারছেন না। এরি প্রতিফলন হয়ত এতো সহিংসতা এতো নাশোকতা।
আর এই সময় শুনি দেশ নাকি বিভক্ত ঐ যুদ্ধ অপরাধীর ইস্যুতে। তাই প্রশ্ন ওঠে সত্যি কি তাই?
এই তরুণ প্রজন্মের আন্দোলকে ঘিরে শুরু থেকেই ওঠে নানা মতবাদ; কেউ কখনও এটাকে স্বাগত জানায়, কেউ বলে এটা নাটক, কেউ বলে ফ্যাসিবাদ্দের আন্দোলন আবার কেউ বলেন যারা ঐ গন জাগরণে গিয়েছে তারা নষ্ট ও নাস্তিক। এতো ভিন্ন ধর্মীয় মতবাদের মধ্যে দিয়েও আল্লাহ্তায়ালার অশেষ কৃপায় এই অহিংস আন্দোলন চলছে। হয়ত এটা এখন সুস্পষ্ট যে এই তরুণ সমাজের মূল দাবী হল ১৯৭১ সালের সকল যুদ্ধ অপরাধীদের সরবচ্চ সাঁজা নিশ্চিত করা ও জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে আমাদের প্রধান বিরোধী দল এই জাতীয় দাবিকে উপেক্ষা করে কেন জানি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এই দেশের মানুষকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে সাহায্য করছেন। এবং ঐ বিচার প্রক্রিয়াকে বানচাল করার আপ্রান চেষ্টা করছেন।
তাই বলি এই তরুণ সমাজ যদি এই আন্দোলন করতে পারে, গোটা জাতিকে (একটি বিশেষ দলকে বাদ দিয়ে) একত্রীত করতে পারে তাহলে হয়ত আপনাদের ঐ শস্তা রাজনীতিকেও বানচাল করতে সক্ষম হবে, ইনশাআল্লাহ্। যখন বলেন গোটা জাতি বিভক্ত তখন প্রশ্ন করি গোটা জাতি মানে কি শুধুই জামাত-শিবির ও তাদের অঙ্গসংঘটন বিএনপি, নাকি আরও কেউ আছে। যদি বলেন আছে তাহলে বলি এই তরুণ সমাজ যারা আগামী নির্বাচনের একটি বড় অংশ তারা কিন্তু এই যুদ্ধ অপরাধীর ইস্যুতে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন এবং তারা কারও পয়সা বা প্রলভনে এই দাবী তুলে নাই। যদি বলেন এটি সাজানো নাটক তাহলে বলি কেন আপনারা আপনার স্নেহের পুত্রের বিদেশে পাঠানো টাকা দেশে এনে, আপনার দলের ‘দুষ্ট ছেলেদের’ (ক্যাডার) দিয়ে ঐ রকম একটা জাগরণ করেন না। তাহলে আপনারদের কাছে পরিষ্কার হবে যে দেশটি কি আসলেই বিভক্ত কি না।
আমাদের এই দেশ এখনও বিভক্ত হয়নি। শুধু মাত্র এই দেশের গুটি কয়েক মানুষ ঐ যুদ্ধ অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য নাশকতা করছেন। আর এদেরই মধ্যে রয়েছে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ ও কিছু ভাড়াটে গুন্ডা। কিন্তু দুঃখের কথা, এই গুটি কয়েক মানুষ ব্যেতিত আমারা সবাই একি সুরে একি স্লোগানে একটাই কথা বলি যে যুদ্ধ অপরাধীদের সরবচ্চ সাঁজা হবেই ইনশাল্লাহ্।
তাই মনে রাখবেন দেশ, জাতি বিভক্ত নয়; বরং এই তরুণ সমাযের কাছ থেকে আপনারা অনেক দূরে সরে গেছেন যখন আপনারা ঐ ১৯৭১ এর রাজাকার ও তাদের দোসর জামাত-শিবিরদের বাঁচানোর আপ্রান চেষ্টা করছেন।
©somewhere in net ltd.