নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্ল্যাইন্ড আইজ

ব্ল্যাইন্ড আইজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঐতিহাসিক লাল ভবন

০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

‘সার্বভৌমত্ব’ শব্দটি যেমন কষ্ট বানান করতে তেমনই কষ্ট বুঝতেও। আমরা অনেকেই অনেক সময়ই বলি আমার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে অথবা সার্বভৌমত্ব ব্যাহত হবে এমন কোনও কর্মকাণ্ড করা যাবে না। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে আমাদের কর্মকাণ্ড কি সেটা সাক্ষ্য দেয়?



যখনই কোন সমস্যায় পড়ি, রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয় তখনই আমারা যে যার মত ভিন্ন ভিন্ন দরজায় ধন্যা দেই ও সাহায্য প্রার্থনা করি। সাহায্য প্রার্থনা করার সময়, আমরা ভুলে যাই যে আমরা মুসলমান আর এক মাত্র সাহায্য কারি হচ্ছেন আল্লাহ্‌তায়ালা; অন্য কোনও বেক্তি, গোসটি বা দেশ নয়।



যখন দেশের তরুণ সমাজ উত্তাল যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের দাবীতে তখন আমাদের প্রধান বিরোধী দলের নেত্রী আমাদের দেশে অবস্থিত ঐ ঐতিহাসিক লাল ভবনে সাহায্য চেয়ে চিঠি পাঠালেন। চিঠিতে উনি উল্লেখ করলেন যে আমাদের দেশ ব্যাপক সমস্যায় আছে তাই ওনাদের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন এবং ঠিক ১৯৭১ সালের মতন যেন ওনারা আমাদেরকে সাহায্য করেন। আসলে আমাদের রাজনীতিবিদরা যে সল্প শিক্ষিত ও তাদের জ্ঞানের ভান্দার যে খুবই সীমিত তারই বহির প্রকাশ হয়ত। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, ১৯৭১ সালে ঐ লাল ভবনের মানুষেরা আমাদের স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল ও তারা সেই সময় পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়ে ছিল। সেটা যাই হোক, এখন সাহায্যের প্রসঙ্গে আসি।



প্রথমেই বলেছি যে সাহায্য দরকার শুধু মাত্র আল্লাহ্‌র আর কারও নয়। আর জাতীয় সঙ্কট নিরসনের জন্য তো আমাদের দেশে সংসদ আছেই, যেখানে গিয়ে শালীনতার সাথে যুক্তি-তর্ক দিয়ে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা যেতে পারে। তাই দাওয়াত দিয়ে ঐ লাল ভবনের মানুষদের আমাদের জাতীয় বিষয়ে নাক গলানোর সুযোগ করে দেওয়াটা কতটা যুক্তিযুক্ত ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে তা আমার জানা নেই। এখানে একটা বিষয় বলে রাখা ভালো সেটা হল ঐ লাল ভবনের মানুষরা এই পৃথিবীতে যাদেরকেই সাহায্য করতে গিয়েছে তাদের সমস্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। তাই বলি ওনারা যাদের বন্ধু তাদের আর শত্রুর প্রয়োজন হয় না।



এই ছোট খাটো বিষয় কেন আমাদের রাজনীতিবিদরা বুঝেনা জানি না; না কি ওনারা সবই বুঝেন। যদি সত্যিই বুঝেন তাহলে কেন আমাদের মাতৃভূমিকে একটি অকার্য রাষ্ট্রে পরিণত করতে সাহায্য চান।



প্রায় দেখি ও শুনি লাল ভবনের মানুষরা আমাদের এই দেশের আনাচে-কানাচে ছটাছুটি করেন এবং আমাদের জাতীয় ইস্যুতে অনেক মতবাদ দেন। যদিও বেশির ভাগ মতবাদই উস্কানি মূলক যা আমাদের সার্বভৌমত্বকে হ্রাস করার সুক্ষ পরিকল্পনা। প্রশ্ন ওঠে কেন? আমরা তো আপনাদের দেশের অভ্যন্তরই কোনও বিষয়ে নাক গলাই না। আমারা তো আপনাদের, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, কর্মকাণ্ডের প্রতি কোন বিবৃতি দেই না। তবে কেন আপনারা আমাদের জাতীয় ইস্যুতে এতো উৎসাহী। আপনাদের নিজের দেশের মানুষের যেই নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় হচ্ছে; সেই দিকে খেয়াল না করে কেন পৃথিবীতে কোথায় কি হচ্ছে সেটা নিয়ে অতি ব্যাস্ত।



এখন মনে হয় অতীতের সেই রাজনীতি ‘divide & rule’ ব্যাবহার করে ঐ লাল ভবনের মানুষেরা বিশ্ব ব্যাপি তাদের আধিপত্য বিস্তার নিশ্চিত করছেন। গোটা পৃথিবীতে তারা ভাইয়ে-ভাইয়ে দন্দ, গত্রে-গত্রে সমস্যা সৃষ্টি করছেন এবং গোটা জাতিতে, প্রত্যক্ষ ভাবে না হলেও পরোক্ষ ভাবে, শাসন করছেন ও তাদের মূল্যবান সম্পদকে শোষণ করছেন। এই রকম উধারন পৃথিবীতে অনেক।



তাই ভাবি কেন আমাদের প্রবীণ ও দক্ষ রাজনীতিবিদরা এতো কিছু বোঝা সত্তেও এই সাধারন সমীকরণ বোঝেন না। নাকি তারা কোন লোভে কোন কিছু পাবার আশায় সব ভুলে গিয়ে ঐ লালা ভবনের এজেন্দা বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। যদি তাই হয় তাহলে দয়া করে আর সার্বভৌমত্ব-সার্বভৌমত্ব করে গলা বাজি করেন না। কারন আল্লাহ্‌তায়ালা যেই মুসলমানের মনে এক আর মুকে আরেক তাকে উনি পছন্দ করেন না।



পরিশেষে বলি, যাই করুন না কেন যদি আল্লাহ্‌তায়ালা আমাদের সাথে থাকেন ও সাহায্য করেন তাহলে আমরা একদিন আপনাদের প্রকিত মুখোস খুলে দিবো ও জয়ই হবো ইনশাল্লাহ্‌।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.