নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্ল্যাইন্ড আইজ

ব্ল্যাইন্ড আইজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপির ডাকে প্রতিরোধ গড়ে...!

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪

০১.০৪.২০১৩ নয়া পল্টন বিএনপির প্রতিবাদ সভা থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হল। আরও বলা হল যে এই সরকার না নামা পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যেতে।



খুবই ভালো কথা, আসুন আমরা সবাই এই প্রস্তাবে একাত্মতা ঘোষণা করার আগে একটু বিস্লেসন করি।



দেশ এখন একটা ভয়াবহ সময় পার করছে। এক দিকে তরুণ সমাজ, যারা হয়ত ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিবে, যুদ্ধ অপরাধীদের সরবচ্ছ সাঁজা নিশ্চিত করতে অনড়। আর অন্য দিকে ঐ নর পশুদের দোসর জামাত-শিবির এই বিচার পক্রিয়াকে বানচাল করার নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর তারই প্রতিফলন হিসেবে ঘটছে নানা সহিংসতা ও নৈরাজ্য। যেমন রাস্তা, রেল লাইন অবরুদ্ধ করা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র আক্রমণ করা, গাড়ী সহ জনগনের সম্পদ বিনষ্ট করা, সংখ্যা লঘুদের ওপর আক্রমণ করা, পুলিশ বাহিনীর ওপর নির্যাতন চালানো সহ আরও অনেক নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ড। এই সব নৈরাজ্যের জন্য ঐ পিশাচরা পেসাদার গুন্ডা ব্যাবহার করছে এবং নিজেদের সন্ত্রাসী বাহিনিদেরও (ইসলামী ছাত্র শিবির) লেলিয়ে দিয়েছে; কিন্তু তাদের বাহিনীর সন্ত্রাসীরা নিজের এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় গিয়ে এই সব নাশকতা করছে যাতে সাধারন জনগণ তাদের চিনতে না পারে। এছাড়াও জামাত ইসলাম বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণে টাকা বিভিন্ন সেক্টরে দিচ্ছে ঐ বিচারকে বানচাল করার জন্য।



যখন দেশে এই পরিস্থিতি তখন আমাদের প্রধান বিরোধী দলের অবস্থান বার বার জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। প্রথমত জামাত ইসলাম বাংলাদেশ একটি খুদ্র দল এবং এটি বিএনপির শরিক হিসেবেই রাজনীতি ও নির্বাচন করে এসেছে। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে মনে হয় যে জামাত ইসলাম বাংলাদেশ হচ্ছে মূল দল এবং তারাই বিএনপির মতন একটি বড় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই মতবাদ দেওয়ার কারন হল যে বিভিন্ন সময় এই বিএনপি ভিন্ন ভিন্ন সাঙ্ঘরসিক মতবাদ দিয়েছেন এই আন্দোলন ও ঐ বিচারকে কেন্দ্র করে। প্রথমে বিএনপি নেতারা বলেছেন স্বাগতম, নাটক, সাজনাও খেলা ও পরিশেষে তাদের নেত্রী বলেছেন নষ্ট ও নাস্তিকদের আড্ডাখানা। যাই হোক না কেন বিএনপির বিবৃতিগুলো পর্যালোচনা করলে একটা বিষয় সুস্পষ্ট যে ওনারা আর যাই চান না কেন ঐ যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার ওনারা চায় না। একটু খেয়াল করে দেখবেন এই বিএনপির হরতালগুলোর দোহাই দিয়ে ঐ যুদ্ধ অপরাধীদের উকিলরা আদালতে যাচ্ছেন না যার কারনে এই বিচার প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাচ্ছে। তাই যদি বলি বিএনপি ঐ পিশাচদের বাঁচাতেই এই হরতাল তাহলে কি খুব ভুল হবে...।



সবসময় ভাবতাম জামাত ইসলাম বাংলাদেশ বিএনপির সাথে যোগ দান করার কারনে হয়ত এখন জামাত বিএনপি করন হবে কিন্তু এখন দেখছি ঠিক উল্টো; বিএনপি জামাতি করন হয়ে গেছে। প্রশ্ন করি কেন? বিএনপি একটি পুরনাঙ্গ দল যার মধ্যে রয়েছে অনেক মুক্তিযুদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী প্রচুর নেতা ও কর্মী। খুব দুঃখ হয় ভেবে কেন বা কিশের লোভে ওনারা এখনও ঐ জামাত-শিবিরদের বাঁচানোর জন্য এতো উদগ্রীব। এবং এরই সাথে বিএনপি কি এইটা সুস্পষ্ট করে দিচ্ছে না যে ওনারা মুখে মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও তারা আসলেই মনে ও প্রানে আমাদের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান করেন।



তাই পরিশেষে বলব ঐ জামাত-শিবিরদের অঙ্গ সংঘটন বিএনপির কথায় কোনও পদক্ষেপ বা অবস্থান নেয়ার পূর্বে আমাদের সকলের উচিৎ আরও একটু ভালো ভাবে পর্যালোচনা করা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.