![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যখন দেশ অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখন সাধারন নাগরিক হিসেবে আমাদের উচিৎ আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী দেশকে সহযোগিতা করা। কারন যত যাই হোক না কেন এই দেশ আমাদের, আমাদেরকেই এই দেশে বসবাস করতে হবে। তাই যখন সহিংসতা বা নাশকতা হয় তখন মনে রাখতে হবে ওগুলো আমাদের দেশে অবকাঠামো ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।
দেশের এই সমস্যার মধ্যে নতুন এক দল ‘হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ’ নামে আবির্ভাব হল। তাদের মতে তারা ইসলামকে হেফজতের দায়িত্বে নিয়োজিত তাই তারা দেশের ব্লগার ও নাস্তিকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন। খুবই ভালো কথা।
তাই প্রয়োজন এখন একটু বিশ্লেষণ করার। এই দলের আবির্ভাব মূলত শাহাবাগের গন জাগরণের পর; এর আগে এদের নাম কেউ শুনেছেণ কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে। যখন প্রজন্ম চত্বর থেকে তরুণ সমাজ বার বার ঐ যুদ্ধ অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী তুলছে ও জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার কথা বলছে; ঠিক তখনই এই নতুন দল গন মাধ্যমে নিজেরদেরকে প্রকাশ করল।
শুরুতে ওনারা অবস্থান নিলেন নাস্তিকদের বিপক্ষে যারা, ওনাদের মতে, আমাদের প্রান প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)কে ও ইসলামকে নিয়ে বাজে ও ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলেছেন বা ব্লগে লিখেছেন। এখন প্রশ্ন ওঠে যে দুটি বিদেশী সংস্থা (এলেক্সা ও ক্যান্টকাস্ট) স্পষ্ট করে বলেছেন যেই ব্লগ নিয়ে এতো আলোচনা সেই রাজীবের ব্লগ অন্য কেউও লিখতে পারে। আর এই কাজ যে ফেইসবুকে ও ব্লগে অহরহ চলে তা আমার সাথে হয়ত অনেকেই এক মত হবেন। যদি আপনাদের কাছে যুক্তিযুক্ত প্রমাণ থাকে তবে গণ মাধ্যমে দিলে তরুণ সমাজ সহ গোটা জাতির উপকার হবে। আর যদি প্রমাণ বানান তবে একটু ভালো করে বানাবেন ঐ ‘দেইল্লাকে চাঁদে দেখার গল্পের’ মতন নয়; কারন আমরা কাঁঠাল পাতা খাই না।
এছাড়াও দেশী সহ বিদেশী ব্লগে অনেক দিন ধরেই এই সব লেখালেখি হচ্ছে; তাই তখন কেন ইসলামের হেফাজতের কথা কেন মনে পড়ে নাই। আর যখনই গদিতে আগুন লাগার কথা উঠেছে তখনই ইসলামকে ব্যাবহার করে নিজেদের বাঁচানোর প্রয়াস। বিদেশী ব্লগের কথা বললে অনেকেই বলেন আমরা কি করবো; তাই বলি আমরা যুদ্ধ ঘোষণা না করতে পারলেও আমরা তো একটি প্রতিবাদ সভা করতে পারি; সেটাও কেন ইসলামের হেফাযতকারীরা করেন নাই?
এছাড়াও শুনেছি গন জাগরণের মঞ্চের অনেকেই নাকি এই নব্য ইসলামের হেফাযতকারীদের সাথে সংলাপে বসতে চেয়েছেন; কিন্তু ওনারা বলেছেন “না”। তাই প্রশ্ন ওঠে যারা ইসলামকে হেফাজত করবে তারা কি আমাদের প্রান প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর তরিকার বাহিরে গিয়ে কি হেফাযত করবে কি না? কারন আমাদের প্রান প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) অনেক সময়ই ইসলাম বিরোধী, বিধর্মীদের সাথে সংলাপ করেছেন যার ফলে অনেকেই এই মহান ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
যখন জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা বেশ কিছু আলেমকে ‘সাইজ’ করতে গিয়ে ধরা পড়ে; তখন এই নব্য ইসলামের হেফাযতকারীরা কেন এদের বিপক্ষে কথা বলে না। তাই প্রশ্ন ওঠে কিসের লোভে অথবা কিসের ভয়ে শুদু নাস্তিকদের নিয়ে এতো টানা টানি, যখন ইসলামের নামে ও লেবাছে সহিংসতা, নৈরাজ্য ও অরাজগতা করছে তখন কেন আপনারা নিশ্চুপ। যখনই জামাত-শিবিরদের বিরুদ্ধে তরুণ সমাজ সোচ্চার তখনই আপনারা গুটি কয়েক লোকের জন্য গোটা তরুণ সমাজকে আখ্যায়িত করছেন নাস্তিক হিসেবে আর আন্দোলন করছেন এখন আবার লং মার্চও করবেন। যাই করেন না কেন আর সহিংসতা করবেন না আশা করি; কারন সহিংসতা, নৈরাজ্য ও অরাজগতা দেশ ও গোটা জাতির জন্য ভয়ংকর।
পরিশেষে বলি আপনাদের নাম ‘হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ’ হলেও আপনাদের কার্যকলাপে মনে হয় আপনারা ‘হেফাজত জামাত ইসলাম বাংলাদেশ’।
©somewhere in net ltd.