নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ইলুসন! কোন লেখা শেয়ার করলে দয়া করে আমার আইডি উল্লেখপূর্বক শেয়ার করবেন।

ইলুসন

Sometimes people dont want to hear the truth because they dont want their illusions destroyed. Friedrich Nietzsche

ইলুসন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কখনও বক্তৃতা দিয়েছেন? আসুন জীবনের প্রথম বক্তৃতা দেয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। B:-/

০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:১২

বন্ধুদের সাথে আড্ডাতে আমরা এক একজন তো বলা যায় বিশেষজ্ঞ হয়ে যাই। আর ব্লগে লিখতে গেলে তো মাশাল্লাহ আমরা বুদ্ধিজীবী! :) আমাদের মধ্যে এমন কয়জন আছি যারা মঞ্চে উঠে বক্তৃতা দিয়েছি? অনেক বেশি বক্তৃতা দেয়ার অভিজ্ঞতা থাকলে পরে আর তেমন কোন ব্যাপার মনে হয় না কিন্তু জীবনের প্রথম বক্তৃতা দেয়ার অভিজ্ঞতা আসলেই অন্য রকম।



আমার প্রথম অভিজ্ঞতা হয় আমি যখন সিক্স কি সেভেনে পড়ি। আগেই বলে রাখা প্রয়োজন আমি জীবনে ডিবেট করিনি, কোন কুইজে অংশ নেই নি, গান তো পারি ই না। :P এক্সট্রা কারিকুলার কিছুই করি নি। স্কুলে পড়ালেখা, গল্প করা, আর ক্রিকেট ফুটবল খেলা- বন্ধুদের সাথে এসব করেই আমার দিন কেটে যেত। ক্রিকেট ফুটবল খেলাকে এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি বলতে চাই না, কারণ স্কুল থেকে কোন খেলা আয়োজন করা হলে তাতে আমি কোনদিন খেলতাম না। এ সম্পর্কে একটা মজার ঘটনা বলি। স্কুলে থাকতে আমার একটা বন্ধু খুব ভাল ছবি আঁকত। ওকে দেখতাম টেন্ডুলকার, ওয়াসিম আকরামের ছবি হুবহু একে ফেলত। আমরা মুগ্ধ হয়ে দেখতাম আর উৎসাহ দিতাম। যাইহোক, কেন যে ও বরাবর ড্রয়িং পরীক্ষাতে খারাপ করত আমরা ভেবে পেতাম না। আমাদের এক বন্ধু মজা করতে বলত, আরে পরীক্ষার সিলেবাসের ড্রয়িং যে লেখাপড়া(!) তাই সে পারে না। যদি এটা লেখাপড়া না হত তাহলে এটাও সে ভাল করত! :P



অনেক আজাইরা পেচাল পাড়লাম এবার আসল ঘটনাতে ফিরে আসি। আমাদের এক স্যার আমাদের নিয়ে অনুষ্ঠান করতেন মাঝে মাঝেই। উনি আমাদের ইংরেজি পড়াতেন। একবার এক অনুষ্ঠানের আগে উনি আমাদের বলে দিলেন এবার মঞ্চে উঠে বক্তৃতা দিতে হবে। আমরা সবাই না না করে রব তুললাম। স্যার তো নাছোড়বান্দা! না দিতেই হবে, আবার তাও দিতে হবে ইংরেজিতে! আমরা ভয় পেয়ে গেলাম। স্যার সাহস দিয়ে বললেন আরে ভয়ের কিছু নেই কারা কারা বক্তৃতা দিবে আগেই ঠিক করা থাকবে। ওরা আগে থেকে কিছুটা প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেই হবে। স্বাভাবিক ভাবেই আমি ঐ লিস্টে ছিলাম না। অনুষ্ঠানে আমরা বন্ধুরা একসাথে মজা করে গেলাম। প্রথমে কুইজ হল, আরো অনেক কিছু হল বিস্তারিত বলছি না। যাইহোক খাবার আগে আমাদের অতিথিরা কিছু বললেন। তার পরে স্টুডেন্টদের বলার পালা। এক এক করে থ্রি ফোরের বাচ্চারা বক্তৃতা দিল। ওদের ইংরেজি শুনে যারা বাইরে থেকে এসেছে ওরা তো অবাক। আগে থেকে ঠিক করা লিস্ট থেকে এক বড় ভাই নাম ডাকছে আর একজন একজন করে উঠে যাচ্ছে বক্তৃতা দিতে। কেঊ ভুল কিছু বললে আমরা মজা করে চিৎকার দিচ্ছি। কুইজের রেজাল্ট দিতে একটু দেরি হচ্ছে তাই ভাইয়া দেখলাম লিস্টের বাইরে থেকেও দুই একজনকে ডাক দিল। এবার আমাদের তো ভয়ে জান হাতে, কি আজব এটা কি! এই সময়ে আমার নাম ডাকা হল। আমি তো বরফের মত ঠান্ডা হয়ে গেলাম। :| আগেই বলেছি আমার এসবে কোন অভিজ্ঞতা নেই, তার উপর কোন প্রস্তুতি ছাড়া ইংরেজিতে এত দর্শকদের সামনে কথা বলতে হবে। ভাইয়া আবার আমার নাম ধরে ডাক দিল। আমি তো ভাবলাম দৌড় দিয়ে পালাই! এক বন্ধু আমাকে ঠেলে দাড় করিয়ে দিল। X(( ইচ্ছে করছিল ওর পাছায় একটা লাত্থি মারি, আর বড় ভাইরে ইচ্ছে করছিল গুলি করি। X( যদি পিস্তল থাকত করেও দিতে পারতাম! কি আর করা পালাবার উপায় নেই। কাপা কাপা পায়ে মঞ্চে উঠে গেলাম। মাইকে কথা বলতে গিয়ে অন্য রকম অভিজ্ঞতা। নিজের কথা এত জোরে নিজে শুনে তো আমার জিব্বায় পেচ লেগে যাওয়ার অবস্থা। ভাবলাম এখনো সময় আছে, পালাই! :| বুদ্ধি করে আগে যারা বক্তৃতা দিয়েছে তাদের কিছু লাইন মনে করে বলে দিলাম। কিন্তু টাইম তো পার হয় না, চার পাচ লাইন বলার পরে আমার তো বলার আইটেম শেষ হয়ে গেল। এদিকে এতক্ষণ আমরা পিছন থেকে পচাইছি, এখন একজন হটাত করে বলে উঠল, কিরে বাসা থেকে মুখস্ত করে আসনি! মেজাজ গেল পুরা বিলা হইয়া। আরে হারামি, আমি কি জানি নাকি আমাদের মঞ্চে উঠতে হবে! /:) কোনমতে আরো দুই এক লাইন বলে থাঙ্কু বলে কথা শেষ করে আমার সিটে ফিরে আসলাম। :( সিটে ফেরত আসার পরে বন্ধুরা উৎসাহ দিতে লাগল, আরে দোস্ত ভালই বলেছিস, আমরা হলে তো এক লাইনও বলতে পারতাম না! শুনে নিজেকে আমি কি হনুরে টাইপ মনে হতে লাগল। B-)



পরের দিন ক্লাসে গেলে স্যার বলল, "তোমরা তো ভালই বলেছ। আমার জীবনের প্রথম বক্তৃতা দিতে গিয়ে আমি মঞ্ছের পিছনের পর্দার নিচে দিয়ে পালিয়েছিলাম!" :P শুনে আমি মনে মনে বলি, "স্যার, আমিও পালাতাম কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমাদের পর্দার ওপাশে দেয়াল ছিল, তাই পারিনি!" :( আহা! সেইদিনের কথা মনে হলে এখনো গায়ে কাটা দেয়। আর এখন আমি কারণে অকারণে এত বেশি লেকচার দেই যে আমার বন্ধুরা আমাকে লেকচারার ডাকে। :P



আমার কথা তো অনেক বললাম। আপনাদের এমন কোন অভিজ্ঞতা থাকলে শেয়ার করতে পারেন। :)

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:১৭

শায়েরী বলেছেন: হা হা মজা পেলাম
না ভাই আমি কখোণো দেইনি

০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:১৯

ইলুসন বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

যদি কোনদিন দেয়ার অভিজ্ঞতা হয় তাহলে জানাবেন। :)

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:২৫

ইলুসন বলেছেন: ব্যাপার কি! ব্লগে এত ভাল ভাল লেখক আছেন, কোন ভাল বক্তা কি নেই? :-*

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৪৩

নিয়ম ভাঙার কারিগর বলেছেন: বক্তৃতা দেই নাই।

কিন্তু নটর ডেম কলেজে থাকতে একবার স্যার বই দেইখা রীডিং পড়তে ডাকসিল। এমনিতে ক্লাসে খুব ভাবসাব নিতাম, কয়দিনের মধ্যেই ক্লাসে পাংখা পোলা হিসাবে খ্যাতিও পায়া গেসিলাম! B-) কিন্তু মঞ্চে উইঠা সামনে ১৮০টা পোলা দেখার পরই আমার হাঁটু কাঁপা স্টার্ট হয়া যায়! :!> মাইক হাতে নিয়া রীডিং স্টার্ট করার পর দেখি আমার গলাও কাঁপে! :#>

আগে মনে করতাম, মঞ্চে উঠা, সবার সামনে লেকচার দেয়া, এগুলা কিসু হইল নাকি! কিন্তু প্রথমবার মঞ্চে উঠার পরই আমার ভুলটা ভাঙে।

যাই হোক, পরবর্তীতে আর কোন সমস্যা হয় নাই। কিন্তু প্রথম ঐ অভিজ্ঞতা মনে আছে আজও। 8-|

০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:০২

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ।


আসলেই মঞ্চে উঠলে সব ভাব বাইর হইয়া যায়। :P

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৫১

ব্রেথ অব ফেট বলেছেন: ha ha... amar 1st oviggota...?? jotodur mone pore.. onek dorshok dakhe eto voy paisi j kisui bolte pari nai... chup kore darai chilam...!! :P

০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:০৩

ইলুসন বলেছেন: ব্যাপার না। আমিও অনেকক্ষণ চুপ করে দাঁড়ায় ছিলাম। :P

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৫৩

জোৎস্নাআলো বলেছেন: ভাই পড়ে মজা পাইলাম.....:)
আমার তেমন কোনো অভিজ্ঞতা নাই/:):P

০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:০৪

ইলুসন বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।


অভিজ্ঞতা হবে আশাকরি। :P

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৫৪

শরীফ উদ্দীন বলেছেন: এটাতো লেখকদের আড্ডা, বক্তা পাবেন কই। ছোট কালে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা মনে নেই। তবে একটা ঘটনা মনে পড়ছে। আমি তখন গ্রামের এক মাদ্রাসায় পড়ি। সাপ্তাহিক জলসায় প্রত্যেক কেই পার্টিসিপেট করতে হত। তো আমার কাছে বক্তৃতাটাই বেশ ভাল লাগতো। তাই সিনিয়র যে ভাইরা ভাল বক্তৃতা দিতে পারত তাদের কাছ থেকে প্রত্যেক সপ্তায় বক্তৃতা লিখে নিতাম। কিন্তু তা আর বলা হত না। একবার হলো কি আমি মসজিদে জলসার অনুষ্ঠানে বসা। হঠাত করে প্রেজেন্টার বড় ভাই আমার নাম ডাকল। আমি পুরাই লুঙ্গি খারাপ করা অবস্থা। তারপরও বন্ধুদের চাপাচাপিতে ওদের কাছ থেকে সবার কাছ থেকে সাহস ধার নিয়ে ডায়াসে দাড়ালাম। শুরু করলাম বক্তৃতা। এতো দিনের মুখস্থ বক্তৃতার বিভিন্ন যায়গা থেকে বিভিন্ন পার্ট জোড়া তালি দিয়ে কোন রকম ভাবে স্পিচ ডেলিভারি দিয়ে চলে আসলাম। পরে শুনলাম খুব একটা খারাপ বলিনি। সমস্যাটা ছিল শুধু মুখস্ত পড়া বলার মত। এরপর তো বিভিন্ন যায়গায় একটু আধটুকু বক্তৃততা দিয়েছি। এইতো কিছু দিন আগেই তো শেষ করলাম ইউল্যাব থেকে ছয় মাসের ইন্টর্নি। সে ভাবে না হলেও এ্যকাডেমিক ব্যপার-স্যাপারতো এখন অন্তত ছোট্ট-খাট্ট ইন্টারএকটিভ বক্তব্য দিতে তেমন বাধেনা।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:০৬

ইলুসন বলেছেন: লেখক হলে যে কেউ বক্তা হতে পারবে না এমন তো কথা নেই! অনেক লেখক ই ভাল বক্তা হতে পারে, দেখা যাক কয়জন বক্তা আছেন আমাদের মাঝে। আপনাকে ধন্যবাদ অভিজ্ঞতার কথা বলার জন্য। :)

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৫৭

সাধারণমানুষ বলেছেন: প্রথম প্রেজেন্টেশনের দিন তো এসির মধ্যেই ঘাইমা ঘুইমা একশা হয়া গেছিলাম।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:০৬

ইলুসন বলেছেন: :P :P :P :P

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ২:১২

অক্টোপাস বলেছেন: অনেক মজা পেলাম!

প্রথম ডায়াসে বক্তৃতা দেয়ার সুযোগ হয়েছিলো বুয়েটের-হলে নবীণবরণের অনুষ্ঠানে নবীণদের পক্ষে!! ;) ;)

০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:০৭

ইলুসন বলেছেন: ভালই তো। নবীন বরনের দিনই অভিজ্ঞতা হয়ে গেল। ;)

৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৬:২৬

ইনকগনিটো বলেছেন: আর এখন আমি কারণে অকারণে এত বেশি লেকচার দেই যে আমার বন্ধুরা আমাকে লেকচারার ডাকে। :P

লাইন টা নেক্সট কোন সেমিনারের দিন আয়োজক গো দেখামু :P তোমার লেকচার শুনবার মুঞ্চায় । :D

১১ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৭:৪১

ইলুসন বলেছেন: :P :P :P :P :P

১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৫৭

শিপু ভাই বলেছেন: ভার্সিটিতে ওরিয়েন্টেশনের দিন মঞ্চে ডেকে আমাকে কিছু বলতে/করতে বলা হল। আমি ডায়াসের সামনে ডারিয়ে দর্শকদের দিকে তাকাই। দেখি সবাই আমার দিকে চেয়ে আছে। মনে হচ্ছিল আমার ডান পা টা ভাইব্রেট করছিল। আমি নিজের পরিচয় দিয়ে একটা জোক্স বলি। অল্প কয়েকজন ভদ্রতার হাসি হাসল। আমি লজ্জিত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে ছিলাম। পরে আমি কোন রকমে মঞ্চ থেকে নেমে বাঁচি।

১১ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৪৯

ইলুসন বলেছেন: শিপু ভাইয়ের কিছু অভিজ্ঞতা আছে দেখা যায়। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। :)

১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:১৮

ফাহিম হায়দার খান বলেছেন: .....আর যাই কন না কেন আমি ভাই বক্তৃতা দিতে বড়ই ভালা পাই :#) । আমার কাজ-কর্মের আনাচে কানাচে অনেক বেশিই বক্তৃতা দিছি, দিতেছি। প্রথম বক্তৃতা দেয়ার সুযোগ হয় ক্লাস ৭ এ থাকতে যখন প্রথম ডিবেট করতে উঠি। প্রথমে টেনসন এ ছিলাম ডিবেট এর টপিকস নিয়া। কিন্তু ডায়াস এ উঠার পর সমস্ত গ্যালারী আমার দিকে তাকায়ে থাকতে দেখে পায়খানার রাস্তা দিয়ে গরম বাতাস এর হল্কা টের পেলাম :#> তাই পুরা সময়টা প্রতিপক্ষের দিকে তাকাইয়ে কথা কইছি :|| তয় এখন আমার কাজ এর খাতিরে এতই বক্তৃতা দিছি যে মাঝে মাঝে মনে হয় আমার বক্তৃতা শুইনা কেউ আবার টেনসন বোধ করে কিনা B-))

১১ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:০৬

ইলুসন বলেছেন: ভয়ে ফাহিমের পিছন দিয়ে বাতাস বের হয়! :-P

১২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৪১

িনদাল বলেছেন: আমি প্রথম দিসিলাম ক্লাস ৪ এ থাকতে

২২ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৪৪

ইলুসন বলেছেন: হুম, তা বুঝলাম কিন্তু অভিজ্ঞতা কেমন ছিল তা তো বললেন না!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.