![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ছেলেটির সাথে আমার নামের কোন মিল নেই।এমনকি আমার লিখার সাথেও নেই।আমি আমার মত।আমার লিখারা তাদের মত..
স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাগুলোর একটি অদ্ভূত ব্যাপার রয়েছে। এরা প্রতিদিন সকাল বেলা ঝকঝকে ইস্ত্রী করা ড্রেস পড়ে টিফিন আর জ্যামিতি বক্সটা ব্যাগে ভরে দৌড়ে স্কুল মাঠে ঢুকে পিটির লাইনে দাঁড়ায়। দুপুরের দিকে এরা স্কুল থেকে বাসায় ফিরেই আবার দৌড়ে মায়ের কাছে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে।স্কুলে যাবার পর সারাক্ষন কার সাথে কি কি করেছে তা এক নিশ্বাঃসে বলে যেতে থাকে। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলেও হাপাতে হাপাতে বলে যেতে থাকে তারা। কার ব্যাগ থেকে ডোরেমনের স্টিকার চুরি হয়েছে, আজকে কার টিফিন বক্সে বিরানি ছিল, মাঠে খেলতে গিয়ে কে কে হাটুতে ব্যাথা পেয়েছে কোন কিছুই বাদ যায়না।
এরা একটি সময়ে বড় হয়ে যখন হাই স্কুল বা কলেজে ওঠে, তখন এদের ছুটি ছোটবেলার মত দুপুর বেলায় হয়না। বিকেলে হয়। কিন্তু এরা ক্লাস করে বাসায় ফিরে কখনো মায়ের কাছে এসে এক নিশ্বাঃসে ছোটবেলার মত করে সারা দিনের আপডেট দেয়না। ছোটবেলার মত করে এখন আর বলেনা ,"আজ অমুক আমার জন্য ইচ্ছে করে স্যারের কাছে মার খেয়েছে", "কিংবা অমুক আমার ইংরেজী বইএর মলাটের উল্টোপিঠে একটি কবিতা লিখে দিয়েছে" ।
এরা ছোটবেলায় ছোট ছোট ব্যাপারগুলো সবাইকে বলার জন্যে একটা সময় মরিয়া থাকলেও, বড় হবার বড় বড় ব্যাপারগুলো এরা গোপন রাখতে মরিয়া হয়ে যায়। এদের মন ধীরে ধীরে জগতের জটিল ব্যাপারগুলোকে বুঝে ফেলে। কোনটি কাউকে বলা যাবে আর কোনটি বলা যাবেনা , সেটি তাদের কেউ শিখিয়ে না দিলেও কোন এক অদ্ভুত রহস্যময় উপায়ে তারা শিখে ফেলে।
প্রায় প্রতিটি টিন এজ ছেলেমেয়েদের একটি করে ডায়রী থাকে।বিশেষ করে মেয়েদের। সে ডায়রীটা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই খুব বেশী মোটা হয় না।ডায়রীর পাতার ভেতর কয়েকটি কবিতা বা রোমান্টিক কথা লিখা থাকে। তার উপড় থাকে ঝকমক করা বিভিন্ন লাভ স্টিকার। খুব নিরস কথা দিয়ে সেখানকার পাতাগুলো ভরলেও তখন সেগুলোর প্রতিটি লাইনে একবার চোখ বোলালে পূর্ণিমা রাতে একবার সমূদ্র ভ্রমনের সুখ পাওয়া যেত। এই ডায়রীটি খুব বেশী মোটা না হলেও এর অনেকগুলো পাতা সাদা রয়ে যায়। পাতাগুলো ভরে যাবার পূর্বেই এরা সে বয়সটি থেকে বেরিয়ে যায়। পাতাগুলোয় আর কিছু লিখা হয় না...
এই ডায়রীটার খোঁজ সে টিন এজ ছেলেমেয়েগুলো ছাড়া আর কেউ জানেনা। কারন সে এখন বড় হয়েছে। কোন কথা কাউকে জানানো যাবে আর কোন কথাটি যাবেনা, সে তা কোন এক অদৃশ্য উপায়ে যেমন শিখে নিয়েছে। তেমনি কোন জিনিস টেবিলের উপড় রাখা যাবে, আর কোনটি টেবিলের ড্রয়ারে তালা দিয়ে রাখতে হবে তাও সে শিখে নিয়েছে।
এই শেখানোর কাজটি কে করে দেয় সে এক বড় রহস্য। রহস্য থাকাটা বোধহয় খুব প্রয়োজন। তা না হলে প্রকৃতি কেনই বা এটাকে রহস্য হিসেবে রাখছে সেটিও একটি বড় রহস্য...
১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:১৬
আশিক সরকার শুভ (আবীর) বলেছেন: ধন্যবাদ...
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষনমূলন গবেষণা ভালো লাগলো।