নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আশিক। প্রচন্ড স্বপ্নবাজ একজন মানুষ। একাধারে অনেক কিছু হবার ইচ্ছে।খুব আত্মকেন্দ্রিক একজন । অনেক কথা কারো সাথে তাই বলা হয়ে ওঠেনা। তাই এখানে আসা। যা কিছু মনে আসে, তার মধ্য থেকেই সবার সাথে শেয়ার করা.. এইতো.. আর কিছু বলার নেই...

আশিক সরকার শুভ (আবীর)

আমি ছেলেটির সাথে আমার নামের কোন মিল নেই।এমনকি আমার লিখার সাথেও নেই।আমি আমার মত।আমার লিখারা তাদের মত..

আশিক সরকার শুভ (আবীর) › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন সবাই মিলে নারীদের পা চাটি

২২ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

ধরুন একটি ছেলে বাথরুমে গোছল করছে।দুইটা মেয়ে বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে উঁকি দিল।ছেলেটি এটা দেখে মেয়ের বাপ মাকে বলল। ঘটনাটা কোথায় গড়াবে জানেন? মেয়ের বাপ মা হাসতে হাসতে বলবে

-তোমার কি আক্কল জ্ঞান কিছু নাই? আয়না ছাড়া ভেন্টিলেটরআলা বাথরুমে গোছল কর ক্যান?

এখন ঘটনাটিকে উল্টোভাবে কল্পনা করা যাক।ধরুন একটি মেয়ে বাথরুমে গোছল করছে।দুটি ছেলে বাথরুমটির ভেন্টিলেটর দিয়ে উঁকি দিল।মেয়েটি বুঝতে পেরে তার বাবা মা ছেলেগুলোর বাবা মা সহ সবাইকে ঘটনাটা বলল। এবার কিন্তু ঘটনাটি ছেলেটির বেলায় যতটুকু হালকা এবং হাস্যকর ছিল,মেয়েটির বেলায় ব্যাপারটি তার চাইতেও শতগুন বেশী গুরুত্বপূর্ণ বা সিরিয়াস!!! মেয়ের বাপ বলবে
-ছিঃ ছিঃ ছিঃ লজ্জা করেনা এভাবে মেয়েদের গোছল দেখতে? এই শিক্ষা দিয়েছে তোমার বাবা মা??

এই "ছিঃ ছিঃ" টা মেয়েদের জন্যে কখনো আসেনা।প্রশ্ন হচ্ছে কেন? Why..???

ধরুন একটি লোক রাস্তার কোন হোটেল থেকে কিছু একটা চুরি করল। সাধারনত শাস্তি সাধারন মানুষ যেটা দিয়ে থাকে সেটা হচ্ছে খাম্বার সাথে বেঁধে গনধোলাই।এই মারটা কি পরিমান ভয়াবহ হয় তা যে না দেখেছে সে বিশ্বাস করতে পারবেনা। আচ্ছা চুরিটা যদি একটা মেয়ে করত! সে কি সমান শাস্তিটা পেত?

ধরুন আপনি ঢাকার কোন রাস্তা দিয়ে হাটছেন।আপনার পাশ দিয়ে একটা মেয়ে হেটে যাচ্ছিলো।আপনার গায়ের সাথে অসাবধানতাবশত লেগে গেল। ভূলটি যদিও মেয়ের ছিল কিন্তু সে আপনাকেই শাসাতে শুরু করল, "দেখে চলতে পারেন না?"। আপনি হয়তো বললেন, "আমি কি আপনাকে ধাক্কা দিয়েছি? আপনিই তো এদিক দিয়ে যাচ্ছিলেন "। কিছুক্ষনের মধ্যেই অনেক লোক জড় হল।মেয়েট নালিশ করল আপনি মেয়েটিকে ডিস্টার্ব করেছেন। এবার বলুন তো মারটা কে খাবে?

যদিও আপনার কোন দোষ নেই।তবে পাবলিক কিন্তু মেয়ের মুখের কথাকেই কুরান হাদিসের মতই সত্য ধরে নেবে।

মেয়েদের প্রতি বরাবরই সবার সহানুভূতিশীল দৃষ্টি থাকে একটা পুরুষের চাইতে।আর সে কারনেই প্রথম ঘটনাটিতে একটা মেয়ে হয় নিষ্পাপ লুতুপুতু বাচ্চা আর ছেলেটা হয় বাংলা ছবির ডিপজল। দ্বিতীয় ঘটনাটিতে মেয়েটিকে সাধারনত পুরুষের মত ধোলাই দেয়া হয় না। কিংবা তৃতীয় ঘটনাটিতেও ছেলেটির কোন দোষ না থাকার পরেও মেয়েটির মুখের কথাকেই সত্য ধরে ছেলেটিকে ধোলাই দেয়া হচ্ছে।

অনেকেই বলে বেড়ান সে সম অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদের হ্যান করতে হবে ত্যান করতে হবে ব্লা ব্লা ব্লা..... কিন্তু আমার কথা হচ্ছে সুযোগ সুবিধা যখন সমান ভাগে ভাগ হবে তবে ধোলাই কেন নয়? সেই রাম ধোলাইগুলোও তো মেয়েটিরও পাওনা।তাকে কেন বঞ্চিত করা হবে? আর কেনই বা একটা ছেলের সত্য কথা একটা মেয়ের মুখের মিথ্যে কথার কাছে হেরে যাবে?

আর সম অধিকারের কথাও যদি বলি তবে সেখানেও ঘাপলা আছে। সেগুলো বলতে গেলেও হাস্যকর শোনায়।যেমন মেয়েদের উপবৃত্তি+বিনাবেতনে পড়ার সুযোগ রয়েছে,ছেলেদের নেই।মেয়েরা নারী নির্যাতন মামলা বিনা টাকায় চালিয়ে নিতে পারে,ছেলেদের জন্য আইনে পুরুষ নির্যাতন নামে কোন কিছুর অস্তিত্বই নেই।এমনকি আপনাকে একদম বিনা কারনেও নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে আপনার পুরো জীবনের দফারফা করা একটা মেয়ের জন্য বা হাতের খেল! মেয়েরা কোন বাসে মহিলা সিট ছাড়াও যেকোন সিটে বসতে পারে,কিন্তু একটা ছেলে যদি কখনো বাধ্য হয়ে কোন মহিলা সিটে বসে তবে সবাই ছেলেটির দিকে এমনভাবে তাকায় যেন ছেলেটির হরমন চেইঞ্জ হয়ে গেছে।এই হল আমাদের সম অধিকারের নমুনা!!

একটা ছেলে চুরি ছিন্তাই করলেও তার পুরো বংশ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, অথচ ঐশীর মত জোড়া খুনের আসামীর জন্য মানুষ সহানুভূতি জানিয়ে পোস্ট লিখে। শুধু এখানেই শেষ নয়, আমাদের দেশে নারীদের জন্যে কোন ফাঁসির মঞ্চ পর্যন্ত নেই। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে শতাধিক নারীর ফাঁসির রায় হলেও ফাঁসি হয়নি একজনেরও।

এইসব লজিকগুলো সবার সামনে দাড় করাতে গেলেই আমরা নারীদের চোখে হই ভিলেন,আর কিছু ছেলের (ওইসব মেয়েদের দালাল) কাছে হই খারাপ লোক।যারা বিশেষ করে ফেসবুক সমাজে "নারীবাদী" শব্দটি দ্বারা বেশ পরিচিত এবং তাদের মধ্যে অনেকেই খুব ফেমাস...

সত্য হজম করার ক্ষমতা সবার থাকেনা সেটা আমরা সবাই জানি।কিন্তু সত্য তার মতই চলে।কে হজম করতে পারবে কি পারবেনা সেটার ধার সে ধারেনা। সত্য সত্যই।কি বলতে চেয়েছি তা চুশীল সমাজ নিজ দ্বায়িত্বে বুঝিবে বলেই আমার বিশ্বাস......

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

বিতর্কিত এই আমি বলেছেন: সত্য কথা বলছেন.....ভাও............।ভালোলাগলো.......।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩

বিতর্কিত এই আমি বলেছেন: কপি করলাম ভাই......

২২ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

আশিক সরকার শুভ (আবীর) বলেছেন: করেন ভাই... যত ইচ্ছা..

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




ধরুণ আপনি এই করলেন, ধরুণ আপনি ঐ করলেন; ধরতে আছি

২২ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

আশিক সরকার শুভ (আবীর) বলেছেন: কি করবো ভাই বলুন... বড় বড় পদার্থবিদ গণিতবিদরাই তো বহু সমস্যার সমাধান করেছেন "মনে করি" দিয়ে। ধরে নিন তাদেরই অনুসরন করলাম...

৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন:

৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩৬

সব জান্তা বলেছেন: ফেসবুকে শেয়ার করলাম ভাইয়া।

২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:০৭

আশিক সরকার শুভ (আবীর) বলেছেন: অবশ্যই ভাই...

৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: জটিল কিন্তু এরকম চিন্তাধারা সমর্থনযোগ্য নয়...

২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:০৮

আশিক সরকার শুভ (আবীর) বলেছেন: আচ্ছা ভাই, তালগাছ আপনার...

৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, এসব ব্যাপারে নারী পুরুষের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নাই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফলাফল নারীর অনুকূলে যায়। নারী নির্যাতনের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান আছে। কিন্তু পুরুষ নির্যাতনের জন্য বলতে গেলে আইনী সুরক্ষা নেই বললেই চলে। পুরুষ নির্যাতনের কথা শুনে অনেকে হাসেন। কিন্তু এটি অতি বাস্তব। আমি নিজে বেশ কিছু পুরুষ নির্যাতনের ঘটনার কথা জানি। এগুলো শারিরীক নির্যাতন নয়, নির্মম মানসিক নির্যাতন।
তবে নারীর ক্ষেত্রে তাদের প্রতি আবহমান কাল থেকে চলে আসা পুরুষের সহানুভুতিবোধ তাদের সুবিধা দিয়েছে। এর মানে অবশ্য এই নয় যে নারীদের পা চাটতে হবে পুরুষদের। এই পোস্টের শিরোনামটি ভালো লাগলো না।

ধন্যবাদ আশিক সরকার।

৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৫১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুম, যুক্তি আছে আপনার কথায়, ফেলে দেয়া যাবে না।

নারী পুরুষ যেমন কখনোই এক না, তেমনি নারী পুরুষের সম অধিকারের কথা বলাও হাস্যকর। প্রত্যেকের স্বতন্ত্র্য অধিকার আছে, যেটা তুলনাযোগ্য নয়। নারী প্রকৃতিগতভাবেই দুর্বল আর এই দুর্বল নারী সন্তানধারণের এবং জন্ম দেয়ার মত কঠিক কাজটি করে থাকেন। তাই একজন মাকে সেই মর্যাদা দেয়া হয় যেটা বাবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

প্রকৃতির সেই নিয়মেই দেখুন, মানুষ নারীর প্রতি সহানুভূতিশীল এবং আপনি যেসব প্রেক্ষাপটের উদারহরণ দিলেন, সেখানে নারী পুরুষের কাছ থেকেই বেশী সহানুভূতি পাচ্ছে। :)

৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:৫৮

আদীব জামান বলেছেন: কপি করলাম।:)

১০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৫৫

প্রামানিক বলেছেন: ভালো কথা বলেছেন। ধন্যবাদ

১১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: কথাগুলান কিন্তু ভাই সত্যই কইছেন। তলে তলে নির্যাতিত আমরাই হইতাছি, আবার আমরাই নির্যাতনের দায়ে ফাইসা যাইতাছি।

১২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ভাইএর সাথে সহমত জানিয়ে গেলাম ।

১৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: বিনা কারনেও নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে আপনার পুরো জীবনের দফারফা করা একটা মেয়ের জন্য বা হাতের খেল! :((

১৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫

জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন: সমান অধিকার ব্যাপারটাই হাস্যকর। অধিকার কিছু ক্ষেত্রে কম বা বেশি হবে এটাই তো নিয়ম শুধু নারী অধিকারএর আন্দোলন এর পিছনে অন্য কোন কারন থাকতে পারে। আন্দোলন হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে

১৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

মহা সমন্বয় বলেছেন: আপনি যে সকল অপরাধের কথা উল্যেখ করেছেন তা আমাদের সমাজের নারীরা সাধারণত ঘটায় না। যে কারণে কাঁদাচিত দুই একটা ঘটনা ঘটালেও নারীদের প্রতি পুরুষদের আলাদা একটা সহানুভুতি থেকেই যায়।
আমরা যতই সহানুভূতির কথা বলি, সম অধিকারের কথা বলি, আর নারীদের জন্য স্পেশাল আইন তৈরী করি, নারীদের জন্য যতই আলাদা সুযোগ তৈরী করি না কেন আমাদের সমাজে নারীরা পুরুষদের তুলনায় যোজন যোজন পিছিয়ে আছে। সময়ের পরিক্রমায় হয়ত একদিন এই ব্যবধান দূর হবে।

১৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

SwornoLota বলেছেন: যা বলেছেন হয়তো ভালো বলেছেন । আমিও কিছু বলি।

প্রথমত বলি, আমি সো কলড "ফেমিনিস্ট" নই।
দ্বিতীয়ত, আমি "সম অধিকার" এর খেতা পুরি।

এবার আসল কথা,
আমরা কোনোদিন দেখিনা বয়'স স্কুল বা কলেজ এর সামনে কোন মেয়ে "এডাম টিজিং" করছে। উল্টোটা দেখি।

কখনো শুনিনি যৌতুক/মোহরানা আদায়ের জন্য স্ত্রী-র হাতে স্বামী খুন। উল্টোটা প্রায় প্রতিদিন খবর হয়।

কোনদিন পাওয়া যায়না কোন মেয়ে গোপন ক্যামেরায় কোন বয়'স হস্টেল এর বাথরুম থেকে ছেলেদের গোসলের দৃশ্য ধারণ করছে। উল্টোটা প্রায়ই ঘটে এবং পুলিশই ধরে তাদের।

কোনদিন শুনিনি কোন মেয়ে তার প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় সে প্রেমিককে অপহরণ করেছে। বিপরিতটা তো কতই ঘটে।

আমরা এমনও খবরে দেখেছি, দুশ্চরিত্র ছেলেদের ধাওয়া খেয়ে ছোট্ট মেয়ে পুকুরে ডুবে মারা গেছে।

আমাদের সমাজে বোন তনুরা যেভাবে মরে, আমাদের কোন ভাইকে সেই একই ভাবে মরতে শুনিনি কখনো।

কোনদিন যদি বিবর্তনের ধারায় সমাজের এই চিত্রটা উলটে যায়, আমি চোখ বুঁজে বলতে পারি, সেই অনুযায়ি আইনও তৈরি হবে মানুষের প্রয়োজনে।

তখন পুরুষেরও অনুরূপ ক্ষমতা থাকবে। যদি নারী সত্যিই পুরুষের বেঁচে থাকার জন্য গণহারে হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।

সবশেষে বলি, যে নারী অন্য নারী অথবা পুরুষ যে কারোর জন্যই নির্যাতনের দোষে দোষী, সে সভ্য সমাজে বসবাসের যোগ্য নয়। সেই নারী নিঃসন্দেহে ঘৃণ্য, যার অত্যাচার তার স্বামীকে জীবনের প্রতি নিরাসক্ত, নির্মোহ এবং হতাশ করে।

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:১৭

আশিক সরকার শুভ (আবীর) বলেছেন: আপনি মোটামোটি বড়ই একটি রচনা লিখেছেন। আমিও এখন সে রচনার বীপরিতে কিছু বলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। আপনার "আসল কথা" অংশের প্রতিটি লাইনের against এ আমার কথা রয়েছে...

১। এডাম টিজিং এর শিকার আমি নিজে হয়েছি। আজকাল ছেলদেরও "পয়সাওয়ালা মাল" বলে মেয়ে কর্তৃক সম্বোধন করা হয়। সে খবর হয়তো আপনারা রাখেন না বলে এই কথাটি বলতে পেরেছেন। স্কুল কলেজের সামনে মেয়েরা এডাম টিজিং না করলেও কোচিং এ , বান্ধবীদের আড্ডায় থাকা সংখ্যালঘু ছেলেদের সাথে তারা এডাম টিজিং করাটা বর্তমান যুগে অনেক বেড়েছে। যদিও মেয়ে কর্তৃক এডাম টিজিংকে আমাদের সমাজ হাস্যকর হিসেবে বিবেচনা করে এটেনশনের বাহিরে রাখছে।

২। বয়েজ হোস্টেলে একটা মেয়ে যেয়ে সেখানে বাথরুমের ভেন্টিলেটর বেয়ে উঠে ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করার মত সাধ্য কিংবা সাহস কোনটাই মেয়েদের থাকেনা (এখন এটা অস্বীকার করতেই পারেন, But its true) । যার কারনেই মেয়ে কর্তৃক বয়েজ হোস্টেলের গোসলের ভিডিও রেকর্ড হয়না। না হলে অনেক বয়েজ হোস্টেলের ভিডিও এতদিনে দেখতে পেতেন।

৩। এটাও একটা ফালতু যুক্তি। যেখানে একটা মেয়ে বয়েজ হোস্টেলে গিয়ে একটা ভিডিওই ধারন করতে পারেনা সেখানে একটা ছেলেকে অপহরন করবে কিভাবে? ব্যাপারটা অনেকটা চামচিকা এসে বিড়ালকে হুমকি দেয়ার মত । মেয়েরা প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হয়ে অপহরণ করতে পারেনা ঠিক, কিন্তু ওই ছেলেদের তেরোটা বাজানোর জন্যে এক পায়ে খাড়া থাকে প্রচুর মেয়েই। ওই ছেলে যখন নতুন কোন এফেয়ারে জড়াবে, তখন সে ওই মেয়ের কাছে করতে শুরু করবে চরম পর্যায়ের মিথ্যাচার । আর ওই ছেলের গার্লফ্রেন্ডও তখন সে মেয়ের মুখের কথাকে বিশ্বাস করেই ছেলের মুখে চড় মেরে রিকশা নিয়ে বাসায় চলে যাবে। এরকম ঘটনা একটা দুটো না, হাজারটা আছে, যেগুলোর কোন পরিসংখ্যান হয় না। আর এ সবগুলোই হয় আপনাদের নারীদের ওই ইগো প্রবলেমের কারনে। জেলাসির কারনে।

৪। এক্ষেত্রেও অনেকটা একই যুক্তি আমি দেবো। কোন দুশ্চরিত্রা মেয়ে কোন ছোট্ট ছেলেকে ধাওয়া করারও কোন প্রশ্নই আসেনা। কারন অত ছোট ছেলেকে দিয়ে শরীরের ক্ষুধা মেটানো যায় না। তাই মেয়েদের দিক থেকে অমন উদাহরন নেই। সত্যিকার অর্থে মেটানো গেলে অনেক ছোট ছেলেকে পানিতে ডুবতে দেখতে পেতেন।

৫। তনুরা কিভাবে মরেছে সেটি এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। কারন ফরেনসিক রিপোর্টে শেষবার বলা হয়েছে তনুরে হত্যার পূর্বে ধর্ষন করা হয়নি। অর্থাৎ এটি একটি সাধারন হত্যাকান্ড (সাধারন বলছি একারনে যে এই হত্যার সাথে ধর্ষন সম্পৃক্ত নয়) ।আর সেটাকেই যদি আমি সত্য ধরে নেই, আর আপনি যদি বলেন এরকম সাধারন হত্যাকান্ড কোন ভাইদের উপড় হচ্ছে না তাহলে আমি বলব আপনি একজন এলিয়েন মানুষ, মাত্র পৃথিবীতে ল্যান্ড করেছেন। কারন পত্রপত্রিকা খুললে যে কয়টি খুনের নিউজ দেখা যায় তার সিংহভাগই হচ্ছে ভাইদের হত্যার নিউজ। আর এ ব্যাপারটি আজকাল স্কুলের ছেলেপেলেরাও জানে।

শেষে বিবর্তনের ধারায় সমাজের যে চিত্রটি উলটে যাবার কথা বলেছেন সেটি উল্টানোর সত্যিকার অর্থে কোন প্রয়োজনই নেই। এটলিস্ট নারী অপরাধীদের ফাঁসির মঞ্চের জন্যে হলেও এতটা বিবর্তনের প্রয়োজন নেই। ওরকম বিবর্তনের আশায় থাকলে ঐশীর মত জোড়া খুনের আসামীদের ফাঁসি হবার আগেই এদের গায়ের চামড়া বুড়িয়ে যেয়ে শেষে স্বাভাবিক মৃত্যুই হবে। যুদ্ধ পরবর্তী সময়েও অনেকেরই হয়েছে।

আজকে কতগুলো পুরুষ নারী নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত সেটির পরিসংখ্যান হয়তোবা আছে, কিন্তু নারীরা যে কতটা পুরুষের উপড় শারীরিকভাবে না হোক, সামাজিকভাবে, আর্থিকভাবে , পারিবারিকভাবে এবং মানসিকভাবে কতটা ভয়াবহভাবে যে পুরুষের জীবন দোযখ বানাচ্ছে, সেটির কোন পরিসংখ্যান নেই। আর মিথ্যা নারী নির্জাতন মামলাও আগের তুলনায় এখন অনেক বেড়েছে (এটারও কোন পরিসংখ্যান নেই)। আর একজন পুরুষ নারী নির্যাতন মামলা পাওয়া মানে তার পুরোটা লাইফ ডিজাস্টার! মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে লাইফ হেল করাটাও কিন্তু এক প্রকার শারিরীক নির্যাতন। তাহলে মেয়েরা কোনটা করা বাদ রাখছে? আদৌ কি বিবর্তনের আশায় থাকার কোন যৌক্তিকতা রয়েছে ?

আমি এই ব্লগটি সবকিছু মাথায় নিয়েই লিখেছি। অযথা যুক্তিতর্ক করার জন্যে নয়। আর যেখানেই আমি এ পোস্টের লজিকগুলো দেখাই, তখনই তাদের " সম অধিকার" এর বিপক্ষে বলতে দেখি। কিন্তু তার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত তাদের আমি সর্বদা "নারী-পুরুষ সম অধিকার" স্লোগানগুলোই বলতে শুনি...

আশা করি বুঝতে পেরেছেন যা বলতে চেয়েছি...

১৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭

নীলাকাশ ২০১৬ বলেছেন: আমি মনে করি, একজন নারী যদি খাবার চুরি করে, তবে তার জন্যও তার স্বামী বা পিতার শাস্তি হওয়া উচিত। নারী একটি পরিবারের সম্মান ও গৌরবের ধারক, তাকে কোন অবস্থাতেই অপমানিত হতে দেওয়া উচিত হবেনা।

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৫১

আশিক সরকার শুভ (আবীর) বলেছেন: কেন ভাই? কোন নারী যদি কাউকে মার্ডার করে তবে সেজন্যেও কি স্বামী বা পিতার শাস্তি হওয়া উচিত? চুরি এবং মার্ডার দুটোই তো অপরাধ.. যদিও অপরাধের মাত্রা ভিন্ন..

১৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: "স্বর্ণলতা" যথার্থই বলেছেন। সহমত। B-)

১৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

SwornoLota বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়া আর না পড়া আমার "সম অধিকার" সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গীর মধ্যে বিশেষ কোন পরিবর্তন আনেনি।

মেয়েদের সাহস হবে না সেরকম ক্রাইম করার, সেই জন্যই তারা সেরকম করবে না, -হতে পারে। কিন্তু যা ঘটছে আর যা ঘটছে না, তার প্রেক্ষিতেই সবাই কথা বলে।

আপনি "এডাম টিজিং " এর বিরল শিকার। আপনার জন্য সহানুভূতি রইলো।
আমার মত অনেকেই এরকম ঘটনার নজির সম্পর্কে ওয়াকিফহাল নই। দুঃখিত সেই অজ্ঞতার জন্য।

তনু-র পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট বিশ্বাস করে আপনি সত্যিই নজির সৃষ্টি করলেন। সাধু!

সব গেলো। এবার এটার অন্তত বলুন, নারীই হোক বা পুরুষ, এদের বিকৃতির উৎস কই??
পারিবারিক বিকৃতি বন্ধ হোক। আমাদের কাউকেই আর এলিয়েন থাকতে হবে নাহ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:০৪

আশিক সরকার শুভ (আবীর) বলেছেন: ঠিক আছে, ধরলাম তনু ধর্ষিতা হয়েই খুন হয়েছে। এখন হয়তো বলবেন "মেয়েরা তো তাহলে ছেলেদের রেপ করে না" । যদি তাই বলেন তবে সেটার ব্যাখ্যা কয়েক লাইনের। একটা মেয়ে খুব ভালকরেই জানে যে একটি ছেলে শারীরিকভাবে উত্তেজিত না হলে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা যায়না। কিন্তু ছেলেদের দিক থেকে মেয়েদের উপড় ঠিকই যায়। সেজন্যেই মেয়ে কর্তৃক ছেলেরা ধর্ষিত হয়না। কারন ছেলেদের ধরে জোর করেও কোন লাভ নেই। তাছাড়া একটা ছেলের শারীরিক শক্তিও একটা ফ্যাক্ট, একটা মেয়ে পেরে উঠবেনা। যদি পেরে উঠতো, আর ছেলেদের ইচ্ছের বিরুদ্ধেও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা যেত, তবে মেয়ে কর্তৃকও হাজারো লাখো ধর্ষনের নজির দেখতে পেতেন...

আর হ্যাঁ, আমি এডাম টিজিং এর বিরল শিকার নই.. মেয়েরা বর্তমানে "বড় শশা" "দশ টাকার তেল" ইত্যাদি সহ আরো নোংরা বিশেষন ব্যাবহার করে এডাম টিজিং করে থাকে। ছেলেদের মত রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভরা মজলিসে তারা এগুলো করেনা বলে মানুষের কাছে বিরল বলে গণ্য হয়, যেমনটি আপনার কাছেও হল...

যাই হোক, আমি আপনার প্রতিটি কথাই লজিক্যালি খন্ডন করার চেষ্টা করেছি। সেটিকে যদি আপনার পারিবারিক বিকৃতির বহিঃপ্রকাশ বলে মনে হয়, তবে আপনার সাথে কথা আমার এখানেই শেষ...

ভালো থাকবেন...

২০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:১৬

SwornoLota বলেছেন: " আমি আপনার প্রতিটি কথাই লজিক্যালি খন্ডন করার চেষ্টা করেছি। সেটিকে যদি আপনার পারিবারিক বিকৃতির বহিঃপ্রকাশ বলে মনে হয়, তবে আপনার সাথে কথা আমার এখানেই শেষ... "

আপনার কথা বোঝার ক্ষমতায় বিস্মিত হলাম।
আমি আপনার যুক্তি খন্ডনের ক্ষমতায় কোন বিকৃতি দেখিনি বা বলিওনি।
যাদের কেন্দ্র করে আপনার এই পোস্ট, যাদের কারণে আপনার এতো মাথা গরম আমি তাদের পরিবারকে আর পরিবারের শিক্ষা নিয়েই কিছু বলেছিলাম। কিন্তু আপনার অতি উর্বর মস্তিষ্ক তো রয়েছে "ব্যাখ্যা প্রবণ"।

সুন্দর পারসেপশন!!! মুগ্ধ হলাম।

বাই দ্য ওয়ে, "মা" নামক নারীটির পা আক্ষরিক অর্থেই চাটুন। সার্বিক দিক থেকে মঙ্গলে থাকবেন।

আর একটাও কথা নয় আপনার সাথে এখানে।
অন্য কোথাও কথা হলে হতে পারে। এখানে আর বলছিনা।

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৩২

আশিক সরকার শুভ (আবীর) বলেছেন: আপনি আপনার আগের রিপ্লাইটিতে "পারিবারিক বিকৃতি বন্ধ হোক। আমাদের কাউকেই আর এলিয়েন থাকতে হবে নাহ।" বাক্যটি বলেছেন বলে ধরে নিয়েছিলাম আপনি আমার ফ্যামিলিকেই মিন করেছেন। কেননা ইতোপূর্বে আমিই প্রথম আপনাকে এলিয়েন বলেছিলাম। সে হিসেবে আমি যেরকমটি ভেবেছি সেটি ভাবাটা স্বাভাবিক, অস্বাভাবিক নয়। যাই হোক, আপনার শেষ রিপ্লাইয়ে এসে ব্যাপারটি পরিষ্কার হলাম।

আর আমি কারো পা চাটতে পারিনা। "মা" নামক নারীটির পা চাটলে মঙ্গলে থাকবে মানুষ এমন কোন থিওরী আজ পর্যন্ত শুনিনি, তবে সম্মান করলে মঙ্গলে থাকা যায় সেরকমটি শুনেছি অনেক।

যাই হোক, একটা জিনিস দেখলাম, যেকোন নারীই তাদের বিপক্ষে কিছু অপ্রিয় সত্য বলতে গেলেই ঘুরেফিরে "মা" আর "বোন" নামক শব্দ দুটো আলোচনায় শেষমেষ টেনে নিয়ে আসে.. সেটি আরেকবার দেখলাম..

আপনার সাথেও আর একটা কথাও নয় এখানে..

এখানেও নয়.. অন্য কোথাও ও নয়...

২১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৩৫

মহা সমন্বয় বলেছেন: আমি প্রথমে ভাবছিলাম লেখক হয়ত নিছক মজা করে এই পোস্ট দিয়েছেন, কিন্তু না এখন তো দেখি সিরিয়াস পোস্ট। স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে লেখক সিরিয়াসলী নারী বিদেষী। :-<
আর্চয্য নারীদের কি আপনার মানুষ মনে হয় না? আপনার কি মা বোন নেই?? X((
এসব নারী বিদেষী জ্ঞান কই থেকে পান একটু শুনি??
আপনি কোন হুজুরের ভক্ত একটু বলেন দেখি?


নাকি তেতুল হুজুর আল্লাম শাফির ভক্ত?? ;)



২২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:০৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: "মহা সমন্বয় বলেছেন: আমি প্রথমে ভাবছিলাম লেখক হয়ত নিছক মজা করে এই পোস্ট দিয়েছেন, কিন্তু না এখন তো দেখি সিরিয়াস পোস্ট"

আমিও তাই ভাবছিলাম। শিরোনাম খানা কি "আসুন সবাই মিলে নারীদের পা চাটি" হেহেহে....।

ব্লগে অনেক ছাগু দেখতে পাই, তবে এরকম রামছাগল দূর্লভই বটে ।

"SwornoLota বলেছেন: বাই দ্য ওয়ে, "মা" নামক নারীটির পা আক্ষরিক অর্থেই চাটুন। সার্বিক দিক থেকে মঙ্গলে থাকবেন।"
এই সহজ কথাটা রামছাগলের মাথায় ঢুকলে তো ......।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.