নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষ যদি জানতো তার মৃত্যুর পর কত দ্রুত সবাই তাকে ভুলে যাবে, কারো সন্তুষ্টি অর্জন, দৃষ্টি আকর্ষন কিংবা নৈকট্য অর্জনে সে এভাবে উঠে পড়ে লাগতো না।

দিলারা জাহান ব্লগ

দিলারা জাহান ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কত মৃত্যুর পর আমাদের টনক নড়বে ?

২০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:০২


দেশের বিভিন্ন স্হানে নির্মাণাধীন স্থাপনাগুলোর (ফ্লাইওভার, উড়াল সেতু, বিআরটি ইত্যাদি) অব্যবস্থাপনার কারণে যত্রতত্র দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। সেখানে জবাবদিহির বালাই নেই। একে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে দেয়ার একটি অপচেষ্টা লক্ষ্য করা যায় সবসময়ই। সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ কিংবা পুনরায় এ ধরনের দুর্ঘটনা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে কারোর কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। একে অন্যকে দোষারোপ করার ক্ষেত্রে আমাদের জুড়িমেলা ভার। কিন্তু সম্মিলিতভাবে কার্যাদেশ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যে বা যারাই সংশ্লিষ্ট তাদের প্রত্যেকের দায় রয়েছে দুর্ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে। আরও একটি বিষয় হচ্ছে, এ ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া সাধারণ মানুষ সহজে ক্ষতিপূরণ পায় না। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ভিক্টিমের স্বার্থে দেশব্যাপী সহমর্মিতা, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের ঘটনা ঘটলেও দু’তিনদিন পরেই সব কেমন ঠান্ডা হয়ে যায় অর্থাৎ স্থবির হয়ে পড়ে। সে কারণেই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে দায়ী পক্ষদের বাধ্য করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। দোষীরাও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।

সম্প্রতি উত্তরার জসীমউদ্দিন এলাকার প্যারাডাইস টাওয়ারের কাছে বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার ভেঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে যায় একটি গাড়ি। গার্ডারটি ক্রেন দিয়ে ওঠানোর চেষ্টার সময় প্রাইভেট গাড়িটির ওপর সেটি পড়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির ভেতর থাকা শিশুসহ পাঁচযাত্রীর মৃত্যু হয়। চট্টগ্রামে ফ্লাইওভার ধসে মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও আমাদের অজানা নয়। এদিকে চকবাজারে পলিথিন কারখানায় অগ্নিকা-ের ঘটনায় ৬ শ্রমিক মারা যায়। এ ধরনের অসংখ্য মৃত্যুর ঘটনা পত্রিকার পাতায় নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। আবার অনেক ঘটনা ঘটনার আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। যেগুলো সামনে আসছে, সেগুলোর সুষ্ঠু বিচার ও ভুক্তভোগীদের সুবিধা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গাফিলতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেগুলো অপ্রকাশিত ঘটনা, লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যাচ্ছে সেসবের হিসাব কষতে গেলে হতাহতের সংখ্যা এবং এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের দীর্ঘ লাইন হয়ে যাবে।

নগর পুড়লে দেবলায় রক্ষা পায় না, এ প্রবাদ এবার সত্যি হতে চলেছে রাজধানী ঢাকার ক্ষেত্রে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সরকার বা প্রশাসন দেবালয় পোড়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এর আগে কারও ঘুম ভাঙবে বলে কোনো লক্ষণ চোখে পড়ছে না বলেই মনে করছেন অনেকে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৯

হালিমপাট বলেছেন: সরকারের কাছে দেশের মানুষের কোন দাম নাই ইচ্চামাফিক প্রকল্প নিয়ে কাজ করবে কোন জবাবদিহি নেই, নেই কোন নিরাপত্তা, জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রাথিষ্ঠানিক সকল প্রতিষ্ঠানকে ধংস করে আজ তারা দেশটা হীরক রাজার দেশে পরিনত করেছে। আমি মনে করি এর কোন বিচার হবে না।

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৫

পালমিটু বলেছেন: শুরু থেকেই অনিয়ম চলছে এটা যখন সবাই জানে তাহলে এতদিন বিআরটিএ আর সিটি কর্পোরেশন কেন অবজ্ঞা করলো? শুধু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে দোষ দিলে তো হবে না। যার যার অবস্থান থেকে সবাই দায়ী

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৮

হান্নানগাজী বলেছেন: স্বীকার করে দায় এরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এই পরিবারের ক্ষতি পুরণ দেওয়া হউক এতগুলো মানুষের প্রাণ চলে গেছে এর বিচার করবে কে, মানে এতদিন তামাশা চলছে ভবিষ্যতে ও চলবে।

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪১

হাসান৩২এমডি বলেছেন: Desher amla kamla ra jamon tamon e contractor raw. Coz unnoto bissher shathe tulona day unara ki dakhe na je akta construction side a kaj shuru theke shesh porhonto tader ki safety equipment procedures obolombon kore thake? Asholei shobai shudhu kothar balay achen kintu practically tader matha puro khali r kichu n।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.