নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষ যদি জানতো তার মৃত্যুর পর কত দ্রুত সবাই তাকে ভুলে যাবে, কারো সন্তুষ্টি অর্জন, দৃষ্টি আকর্ষন কিংবা নৈকট্য অর্জনে সে এভাবে উঠে পড়ে লাগতো না।

দিলারা জাহান ব্লগ

দিলারা জাহান ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুজুরের দাবী লক্ষ টাকা তাই ওয়াজের নামে শিশুদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:০৮


তথাকথিত ভাইরাল বক্তাদের ধর্মব্যবসায়ী বলা হলে কিছু মানুষ চরমভাবে মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে থাকেন। কিন্তু সত্যতা এখন দিবালোকের মত সত্য হয়ে মানুষের কাছে ধরা পড়েছে।এক একজন ভাইরাল বক্তা দিনে তিন থেকে চারটি স্থানে ওয়াজের শিডিউল রাখেন, আর প্রতি স্থানে ১/২ ঘন্টা ওয়াজ করার রেট হল ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা!!। আর এই খরচ তুলতে জন্য ছোট ছোট বাচ্চাদের দিয়ে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, ব্যস্ত সড়কের পাশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অর্থ সংগ্রহ কিংবা সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় ১০/১২ কিলোমিটার হাঁটিয়ে অর্ধ পেটে কখনও বা খালি পেটে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাউল সংগ্রহ করতে পাঠানো হয়। আর ভাইরাল বক্তা সময় বাচাতে হেলিকপ্টার নিয়ে চলাফেরা করেন।

শিশুদের সাথে এরকম অমানবিক আচারন অবশ্যই আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ নয় কারন এগুলো শিশুশ্রম বা শিশু নির্যাতন আইনের মধ্যে পড়ে না। হুজুরদের ব্যাপারতো। ওনারাতো আবার বেশ কিছু আইনের উর্ধ্বে। অথচ ইসলাম বলে- নবীজির শিক্ষা, করো না ভিক্ষা। ভিক্ষাকে হারাম ঘোষণা করেছে ইসলাম।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪১

পালমিটু বলেছেন: ওয়াজের নামে ছোট বাচ্চাদের দিয়ে ভিক্ষা করানো স্বার্থবাদী হুজুরদের ব্যবসা। এজন্য দায়ী তথাকথিত ওয়াজেজ হুজুররা যাদের চাহিদা অনুযায়ী ফি দিতে হয়। খরচ তুলতে জন্য ছোট ছোট বাচ্চাদের দিয়ে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, ব্যস্ত সড়কের পাশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অর্থ সংগ্রহ কিংবা সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় ১০/১২ কিলোমিটার হাঁটিয়ে অর্ধ পেটে কখনও বা খালি পেটে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাউল সংগ্রহ করতে হয়

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৩

হান্নানগাজী বলেছেন:

ইসলাম ধর্মে কখনো ভিক্ষাবৃত্তি কে উৎসাহিত করেনা,নবীজি সাঃ কাজ করে হালাল কাজ করে উপার্জন করতে উৎসাহিত করেছেন, অথচ আজ আমরা ইসলামের নামে ওয়াজের নামে বিভিন্ন ভাবে দৃষ্টিকটু ভাবে অবুঝ বাচ্চাদের দিয়ে যত্রতত্র চাঁদা কালেকশন করাচ্ছি.!! এটি দিয়ে দু চার পয়সা আয় হয় কিন্তু আদৌ কি এতে ইসলামের কোন লাভ হচ্ছে.?
মানুষ কি ভাবছে.? আর এটি কতটুকু সমর্থন যোগ্য.? দয়া করে মাদ্রাসার বাচ্চাদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি কালেকশন বন্ধ করুন।

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০১

জিকোরায় বলেছেন:
বাংলাদেশের মাদ্রাসা গুলোকে ভিক্ষার আখড়া বানাচ্ছে, ওয়াজের নামে ছোট বাচ্চাদের দিয়ে ভিক্ষার ব্যবসা করাচ্ছে জুব্বা ওয়ালারা। অচিরে এই বিষয়গুলোর উপর সরকারের নজরদারী বাড়ানো উচিত

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১৭

জুনিকমািমা বলেছেন: গত কয়েকদিন আগে হঠাৎ ১০/১২ বছরের বাচ্চারা মানুষদের হাতে ওয়াজের একটি হ্যান্ডবিল ধরিয়ে দিয়ে আকুতি ভরা কণ্ঠে বলে আংকেল ১০টা টেহা দ্যান মাহফিল হইবো। পোষ্টারের বড়বড় বক্তাদের নাম দেখে চোখ যেন আমার ঝলমল করছিলো। কারন তাদের সম্পর্কে কম বেশি আমার জানা আছে তারা কেমন বাজেটের বক্তা। বাচ্চাটিকে জিজ্ঞাসা করলাম। তোমার আব্বা কী করেন? উত্তর দিলো, "আমার আব্বু মালয়শিয়াতে থাকেন।" বুঝলাম ছেলেটি ভদ্র পরিবারের। বললাম, তোমাকে এখানে কালেশনে কে পাঠিয়েছে? "বললো আমাদের মাদ্রাসা থেকে।" কত পেয়েছো সব মিলিয়ে? বললো, "সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩৭০ টাকা।" লজ্জায় আমার মাথা নত হয়ে যাচ্ছিল। কথিত এসব মোহতামিম আর মাদ্রাসার কমিটিকে, কে বলেছে মাহফিল করতে? কে বলেছে ওয়াজের নামে এসব বাচ্চাদেরকে ভিক্ষাবৃত্তি শিখাতে?

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২৪

জুনিকমািমা বলেছেন: আদালত থেকে ছিনতাই হওয়া দুই জঙ্গির হদিস মেলেনি এখনও। এরই মধ্যে আবার মাঠের উপস্থিতি জানান দিতে তৎপর নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন-হিযবুত তাহরীর। সম্প্রতি রাজধানীর অলিগলিসহ বিভিন্ন এলাকায় পোস্টারিং করেছে তারা। পোস্টারের ভাষাই বলে দিচ্ছে বর্তমমান সরকার ও বিরোধীদলের মধ্যে চলমান কথিত রাজনৈতিক খেলায় ফায়দা লুটতে চায় এ জঙ্গি সংগঠনটি।

৬| ১৫ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮

ফৌজিয়াইয়াসমিন বলেছেন: হুজুরেরা এতোই নিৎক্রষ্ট যে কোমলমতি বাচ্চাদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে আনা টাকা পয়সার ওয়াজ মাহফিলে এসে কিছু গৎবাধা হাদিসের কথা শুনিয় লক্ষ টাকা পকেটে নিয়ে যায়।

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৮

এসমোস্তফা বলেছেন: ওয়াজের নামে ছোট বাচ্চাদের দিয়ে ভিক্ষার ব্যবসা এ ভাবে তারা বাংলাদেশের মাদ্রাসা গুলোকে ভিক্ষার আখড়া বানাচ্ছে। জুব্বা পড়িয়ে কোমলমতি শিশুদের ভিক্ষু বানাচ্ছে, ওয়াজ নসিহত খুবই ভালো, কিন্তু এর উসিলায় হয় ব্যবসা, কে রাখে তার খবর, কোনো জায়গায় ওয়াজ হলে স্থানীয় যারা আছে, তারাই খরচ বহন করতে পারে, যেমনঃ যেখানে ওয়াজ করা হবে তার আস-পাশের ১০০ জন লোক যদি ১০০০ টাকা করে দেয়, তাহলে হবে, এক লক্ষ টাকা, ৫০০ টাকা করে দিলে হবে পঞ্চাশ হাজার টাকা, তাছাড়া অনেকে দশ বিশ হাজার টাকাও দেয়। এক জেলায় ওয়াজ হলে আরেক জেলাতে টাকার জন্য আসতে হয় না। এমন কি এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নেও যেতে হয় না, সর্বোচ্চ আসপাশে দু একটা বাজার থেকে কালেকশন করলেই চলে।

৮| ১৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৩৭

আয়েশারাজ বলেছেন: হুজুরা মুখে যে বয়ান দেয় তা যদি নিজেরা মানত তাহলে আজ তাদের অবস্থা আরো সুদৃড় ও মজবুত হত। কারণ ধর্মীয় আইন-কানুন তাদের চেয়ে অন্যেরা বেশি ভাল জানে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.