নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষ যদি জানতো তার মৃত্যুর পর কত দ্রুত সবাই তাকে ভুলে যাবে, কারো সন্তুষ্টি অর্জন, দৃষ্টি আকর্ষন কিংবা নৈকট্য অর্জনে সে এভাবে উঠে পড়ে লাগতো না।

দিলারা জাহান ব্লগ

দিলারা জাহান ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০২৩ নতুন বোতলে পুরোনো মদ

১২ ই আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৬:০৭


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ আইন বদলে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০২৩ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিগত আইনটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে ফেইসবুক পোস্ট ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। সিজিএস ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা ১ হাজার ২৯৫টি মামলার তথ্য বিশ্লেষণ করেছে। তাতে উঠে এসেছে, এসব মামলার মধ্যে ২৭ দশমিক ৪১ শতাংশ মামলা হয়েছে সাংবাদিক ব্লগারদের বিরুদ্ধে। আমি ও এই আইনের একজন ভক্তভোগী।

সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০২৩ এ মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক এবং জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুধুমাত্র গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য কারাদণ্ডের বিধান পরিবর্তন করে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান এবং জামিন অযোগ্য ধারা পরিবর্তন করে জামিনযোগ্য করা হচ্ছে। নতুন এই আইনে সাধারণ মানুষের জন্য কোনো সুরক্ষা দেওয়ার প্রস্তাব নেই। যাদের নাম বা পদের পেছনে সাংবাদিক তকমা নেই তাদের কী হবে? তাদের কি জামিন হবে? তাদের কারাদণ্ডের বিধান কি থেকে যাবে? দেশের বেশিরভাগ মানুষের কাছে ২৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান কারাদণ্ডের চেয়েও ভয়ঙ্কর, সেই ভয়েই দেশের মানুষ বাকরুদ্ধ হয়ে থাকবে।’

আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার ভয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কিছু লিখতে গিয়ে যেমন তটস্থ থাকতেন, ধারাটি রহিত হওয়ার মধ্য দিয়ে সেই ভয় অনেকটা কাটবে বলে মনে করা হলেও কার্যত হয়েছে উল্টো। উপরন্তু তথ্যপ্রযুক্তি আইন এবং পরবর্তীতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও যেমন ধর্মীয় অনুভূতির সংজ্ঞা এবং ঠিক কোন কথাটি লিখলে ‘মানহানি’ বলে গণ্য হবে সেটি স্পষ্ট ছিল না বলে যে কেউ যে কারো বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা করতে পারতেন, নতুন আইনেও এই ‘ইচ্ছাকৃত অস্পষ্টতা’ থাকলে যে লাউ সেই কদু হবে। অর্থাৎ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তায় যে নতুন আইন হবে সেটি নতুন বোতলে পুরোনো মদ ছাড়া আর কিছুই না।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চলমান মামলাগুলোর কী হবে? নিয়ম হচ্ছে নতুন আইন হলে আগের আইনে দায়ের করা মামলাগুলো কীভাবে চলবে, সেটি নতুন আইনে উল্লেখ থাকে। সুতরাং আগামী সেপ্টেম্বরে যদি সাইবার সিকিউরিটি আইন নামে নতুন আইন পাস হয় তাহলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলাগুলোর ভবিষ্যৎ কী হবে, সে বিষয়ে নিশ্চয় নতুন আইনে নির্দেশনা থাকবে। অর্থাৎ নতুন আইন হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলাগুলো খারিজ হয়ে যাবে, সেটি ভাবার কোনো কারণ নেই।

দেশে-বিদেশে সমালোচনার মুখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের নামে নতুন করে এমন কোনো আইন করা হবে কি না যেটি সাইবার দুনিয়ায় নাগরিককে সুরক্ষা দেয়ার বদলে তাদের বাকস্বাধীনতাকে আরও বেশি সংকুচিত করবে বলেই মনে হচ্ছে। কেননা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রতিস্থাপনের ফলে কী হয়েছে, সেটি গত পাঁচ বছর ধরেই সবাই দেখছে

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:১২

পালমিটু বলেছেন: বাংলাদেশে একটা প্রবাদ বাক্য আছে,লাউয়ি কদু কদুয়ি লাউ ৷আমারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চাই আর আমরা সাইবার নিরাপত্তা আইন চাই না ৷একটা কমেন্ট করলেও মামলা হয় এটি কেমন আইন।। মত প্রকাশ করলে মানহানি হবে কেনো?

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:২০

হান্নানগাজী বলেছেন: সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০২৩ নতুন বোতলে পুরোনো মদ লেখার শিরোনামটি ১০০% সঠিক। প্রথওম আইনটির নাম ছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন দ্বিতীয়বার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৃতীয়বার হতে যাচ্ছে সাইবার নিরাপত্তা আইন চতুর্থ তথা শেষবার এর নাম হওয়া উচিত 'স্মার্ট আওয়ামী দাসপ্রথা আইন'।

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৩২

হালিমপাট বলেছেন: ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে সমালোচনার মুখে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন পরিবর্তন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন' ব্যপকভাবে সমালোচিত হয়, যখন এই আইনের প্রয়োগে মারাত্মকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। আগামী নির্বাচন যখন দুয়ারে কড়া নাড়ছে তখন বহুল সমালোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বদলিয়ে 'সাইবার নিরাপত্তা আইন' নামে নতুন আইন করা হচ্ছে। এই আইনের কয়েকটি ধারা জামিনযোগ্য করা হয়েছে এবং শাস্তির মাত্রা কমানো হয়েছে মাত্র। তাছাড়া আইনটি আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতোই মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা দেয়া হয়নি এবং সাংবাদিকদের শাস্তির বিধান নতুন আইনে রাখা হয়েছে। ভয়ের সংস্কৃতি ও সাংবাদিকদের সেল্ফ সেন্সরশীপ অব্যাহত থাকবে। এজন্যই কেউ বলছেন 'যেই লাউ সেই কদু', কেউ বলছেন 'নতুন বোতলে পুরোনো মদ'। নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে ডিজিটাল ধারা আগের মতোই থাকছে। পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তারও থাকছে। শুধু কেবল নাম পরিবর্তন করলেই খাসলত বদলায়না। খাসলত বদলালে নামে কিছু আসে যায়না। সকলের দাবি ছিলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের। সরকার চাতুর্যের আশ্রয় নিয়ে শুধু নামটা পরিবর্তন করে দিয়েছে। এভাবে মানুষের চোখে ধূলো দিয়ে আগামী নির্বাচনের আগে নতুন করে বিতর্কিত আইনটিকে সাজানোর ফলে আশংকা হয় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নতুন আইনে হয়রানি করে নির্বাচন থেকে দূর রাখা হবে। নির্বাচন সামনে রেখে নতুন করে বিতর্কিত আইনটিকে সাজানো দুরভিসন্ধিমূলক মনে করছেন বিরোধী দলের রাজনীতিকরা। যেসব অপরাধের জন্য আইনটি করা হয়েছে, আগের ফৌজদারি আইনে ওইসব অপরাধের শাস্তি দেয়া সম্ভব। ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে মানুষের ও সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করাই নতুন আইনের উদ্দেশ্য। আইনটি জনস্বার্থে সম্পূর্ণ বাতিল করাই উচিত।

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:১৯

জিকোরায় বলেছেন: ডিজিটাল আইন বাতিল হোক,সাইবার আইন নামে মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষ সরকারের বিপক্ষে আর পক্ষে বলবেই সেই বাক স্বাধীনতা থাকতে হবেই হবে। কিন্তু সরকার যে ডিজিটাল আইন পরিবর্তন করেছে আমি মনে করি তা সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০২৩ নতুন বোতলে পুরোনো মদ। পরিবর্তন নয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে।

৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:২৭

জুনিকমািমা বলেছেন: It is not possible that the people of Bangladesh will be victims of brutality and therefore I will say that we the people of the country hate and do not accept the current government

৬| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:২৩

এসমোস্তফা বলেছেন: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন করে বিতর্কিত আইনটিকে সাজানো হযেছে দুরভিসন্ধিমূলক বিরোধী দলকে দমন নিপীড়ন ও নির্যাতনের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে। যেসব অপরাধের জন্য আইনটি করা হয়েছে, আগের ফৌজদারি আইনে ওইসব অপরাধের শাস্তি দেয়া সম্ভব। ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে মানুষের ও সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করাই নতুন আইনের উদ্দেশ্য। আইনটি জনস্বার্থে সম্পূর্ণ বাতিল করাই উচিত।

৭| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৫১

সৌরভরায় বলেছেন: সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০২৩ নতুন বোতলে পুরোনো মদ লেখার শিরোনামটি ১০০% সঠিক। কারণ বিতর্কিত আইনটিকে সাজানো হযেছে দুরভিসন্ধিমূলক বিরোধী দলকে দমন নিপীড়ন ও নির্যাতনের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে।

৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:১০

মুসকানজান্নাত বলেছেন: এটা নতুন বোতলে পুরোনো মদ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকা ছাড়াও আমার মনে হচ্ছে এতে নতুন নতুন ফ্লেভারও যোগ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে দেখানো জন্যই। পরিবর্তনের ভিতরে অনেক কিছু লূকায়ে আছে। ৫৭ ধারা থেকে ডিএসএ এবং এখনকার সাইবার সিকিউরিটি এক্ট সবই জনগণকে হেনস্তার অস্ত্র

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.