নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি করতে ভালবাসি।

শেখ শাকিল হোসেন

লেখালেখি করতে ভালবাসি।

শেখ শাকিল হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছেলেবেলার স্মৃতি

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০


ছোটবেলায় আমি ঘুড়ি বানাতে এবং উড়াতে ওস্তাদ ছিলাম। ধান কাটার পর পুরো মাঠ খাঁ খাঁ করতো,দখিনা বাতাস বইতো। দিন নেই দুপুর নেই মাঠে যেতাম ঘুড়ি নিয়ে। বাজার থেকে কেনা রেডিমেড ঘুড়ি না,নিজের তৈরি ঘুড়ি। ঘুড়ির উপরে বাঁশের শলা ধনুকের মতো বাঁকিয়ে দিতাম,সুন্দর শব্দ হতো। কতো রকমের ঘুড়ি যে উড়িয়েছি...

ঘুড়ি উড়ানোর একটা ভয়ও ছিলো। মাঝেমধ্যে সুতা কেটে দূর লোকালয়ের বড় কোনো গাছের মাথায় বেঁধে যেতো। প্রিয় ঘুড়ি হারানোর ভয় থাকতো। এমনই একদিন আমার ঘুড়ি গিয়ে বাঁধলো এক নারকেল গাছের মাথায়। টুকটাক সব ধরণের গাছেই তখন উঠতে শিখেছি। কিন্তু,নারকেল গাছের ব্যাপারটা আলাদা। তারপরও সাহস করে উঠেছিলাম, প্রিয় ঘুড়িটাও উদ্ধার করেছিলাম। এটা ছিলো আমার প্রথম নারকেল গাছে চড়া।

শৈশব থেকে ফিরে আসল কথায় আসি। আমাদের উঠানেই কয়েকটা নারকেল গাছ আছে। কিন্তু, আমার গাছে ওঠা বারণ। মা দেখলেই বকাবকি করে,উঠতে দেয়না।

এইতো সেদিন গাছে বড় বড় ডাব দেখে লুকিয়ে গাছে উঠেছি। হাত-বুকের চামড়া ছিলে গেছে। আমি পেশাদার না, কেনো রকম বুকে ভর দিয়ে উঠেছি। উঠেই তো পড়েছি মহাবিপদে! আমি আর নামতে পারছি না! নারকেল গাছে উঠার থেকে নামাটা বোধহয় বেশিই কঠিন। পড়ে গেলে হাত পা আস্ত থাকতো না। সেদিন কোনোমতে নেমেছিলাম ঠিকই,তবে কেঁদে ফেলেছিলাম। গাছতলায় নেমে ডাব আমি ঠিকই পেয়েছিলাম,কিন্তু সবকয়টা ফেটে গেছিলো। ডাবের ভিতর তখনও কিছুই হয়নি, পানিও খেতে পারিনি।

কিছুদিন ধৈর্য ধরলে ডাব পেতাম,পানিও পেতাম। কচি ডাব আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকে! চাতকী আমি সজনি, শুনি জলধর ধ্বনি, কেমনে ধৈর্য ধরি?
- Shakil Hosen
ছোটবেলায় আমি ঘুড়ি বানাতে এবং উড়াতে ওস্তাদ ছিলাম। ধান কাটার পর পুরো মাঠ খাঁ খাঁ করতো,দখিনা বাতাস বইতো। দিন নেই দুপুর নেই মাঠে যেতাম ঘুড়ি নিয়ে। বাজার থেকে কেনা রেডিমেড ঘুড়ি না,নিজের তৈরি ঘুড়ি। ঘুড়ির উপরে বাঁশের শলা ধনুকের মতো বাঁকিয়ে দিতাম,সুন্দর শব্দ হতো। কতো রকমের ঘুড়ি যে উড়িয়েছি...

ঘুড়ি উড়ানোর একটা ভয়ও ছিলো। মাঝেমধ্যে সুতা কেটে দূর লোকালয়ের বড় কোনো গাছের মাথায় বেঁধে যেতো। প্রিয় ঘুড়ি হারানোর ভয় থাকতো। এমনই একদিন আমার ঘুড়ি গিয়ে বাঁধলো এক নারকেল গাছের মাথায়। টুকটাক সব ধরণের গাছেই তখন উঠতে শিখেছি। কিন্তু,নারকেল গাছের ব্যাপারটা আলাদা। তারপরও সাহস করে উঠেছিলাম, প্রিয় ঘুড়িটাও উদ্ধার করেছিলাম। এটা ছিলো আমার প্রথম নারকেল গাছে চড়া।

শৈশব থেকে ফিরে আসল কথায় আসি। আমাদের উঠানেই কয়েকটা নারকেল গাছ আছে। কিন্তু, আমার গাছে ওঠা বারণ। মা দেখলেই বকাবকি করে,উঠতে দেয়না।

এইতো সেদিন গাছে বড় বড় ডাব দেখে লুকিয়ে গাছে উঠেছি। হাত-বুকের চামড়া ছিলে গেছে। আমি পেশাদার না, কেনো রকম বুকে ভর দিয়ে উঠেছি। উঠেই তো পড়েছি মহাবিপদে! আমি আর নামতে পারছি না! নারকেল গাছে উঠার থেকে নামাটা বোধহয় বেশিই কঠিন। পড়ে গেলে হাত পা আস্ত থাকতো না। সেদিন কোনোমতে নেমেছিলাম ঠিকই,তবে কেঁদে ফেলেছিলাম। গাছতলায় নেমে ডাব আমি ঠিকই পেয়েছিলাম,কিন্তু সবকয়টা ফেটে গেছিলো। ডাবের ভিতর তখনও কিছুই হয়নি, পানিও খেতে পারিনি।

কিছুদিন ধৈর্য ধরলে ডাব পেতাম,পানিও পেতাম। কচি ডাব আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকে! চাতকী আমি সজনি, শুনি জলধর ধ্বনি, কেমনে ধৈর্য ধরি?
- Shakil Hosen

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ছেলে বেলায় এমন সব বোকামি তেই মজা ছিল এডভেঞ্চারের মজা পেতাম।
সুন্দর লেখা।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৯

শেখ শাকিল হোসেন বলেছেন: সত্যিই মজার ছিলো!

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: এই লেখাটা তো একবার পড়েছি। আবার পোষ্ট দিলেন যে!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৮

শেখ শাকিল হোসেন বলেছেন: ভুলক্রমে দুইবার পোস্ট করে ফেলেছিলাম। একটা পোস্ট ডিলিট করে ফেলেছি।

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৬

ওমেরা বলেছেন: সুবুরে মাওয়া ফলে তবে সবুর সব সময় করা যায় না । লিখা ভালো লাগলো ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৮

শেখ শাকিল হোসেন বলেছেন: ভালো বলেছেন,ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.