নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জোছনা রাত। হট চকলেট। লেক এর পাড়। ছোট ছোট চুমুক। ভেজা রাস্তায় চেনা মুখ। আলিঙ্গন। হট চুমুক। ছোট ছোট জোছনা রাত। চকলেট লেক এর পাড়।
ম্যানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র কারিকুলাম ডিভালাপারদের তিনদিনের সম্মেলনে যোগ দেয়ার ইনভিটেয়শ্যন(invitation) যখন পাই তখন হাতে দু সপ্তাহ সময় আছে। প্ল্যান করার জন্য সময়টা একটু টাইট। তবে চিঠিতে বলে দিয়েছে যাওয়া আসার এবং থাকা খাওয়ার খরচ কর্তৃপক্ষ বহন করবে এবং টিকিট কনফার্ম করার জন্য নির্দেশিত agent এর সাথে যেন সত্বর যোগাযোগ করি। ভেরি গুড। কাজটা একটু সহজ হয়ে এলো।
লম্বা দুরত্বে ট্রেইন জার্নি আমার খুব পছন্দের। হাত পা মেলে, হেঁটে, ফিরে প্রকৃতি দেখতে দেখতে গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। অবশ্য ক্যানাডায় ট্রেইন ভ্রমণ বেশ ব্যায়বহুল। ইয়োরোপে বা এশিয়ারই অনেক দেশে ট্রেইনে ভ্রমণ যেমন সময় সাশ্রয়ী ও পকেটের জন্য স্বস্তিকর ক্যানাডায় সেরকম না। আগে থেকে ট্রাভেল প্ল্যান না করলে বা কোনও ডিল(deal) না পেলে টিকিটের দামটা অযৌক্তিক মনে হতে পারে। তাই আমরা অগ্রীম প্ল্যানকে খুব গুরুত্ব দেই।
টরন্টো টু ওইনিপেগ। খবর নিয়ে দেখলাম ২০০০ কিলোমিটার দুরত্ব ট্রেইনে যেতে লাগবে ৩৭ ঘন্টা, স্লিপার ক্যাবিনে(sleeper cabin) টিকিটের দাম প্রায় ৫০০ ডলার(এখন $৭০০)। হুম।
চিঠিতে কর্তৃপক্ষ দুইরাত তাঁদের খরচে হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করেছে, তার সাথে আমি আরও একরাত যোগ করে agent মারফত ঝটপট প্লেইনের টিকিট কেটে নিলাম। হোটেল বুক করলাম। দুই দিনের জন্য একটা রেন্ট এ কারও কনফার্ম করলাম।
এটাই আমার প্রথম ওইনিপেগ, ম্যানিটোবা যাত্রা।
সকাল সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ওয়ার্কশপ। সকালে ১০ মিনিটের চা বিরতি, দুপুরে ৪৫ মিনিটের লাঞ্চন(luncheon), বিকেলে আবার ১০ মিনিটের বিরতি। বাকি সময়টা খুব ব্যস্ত। একের পর এক টপিক নিয়ে আলোচনা, ব্রেইনস্টর্মিং, রিভিউ, প্রেজেন্টেয়শ্যন, ডিসপ্লে, আবার নতুন টিম, আবার নতুন আইডিয়াজ। দম ফেলার সময় ওই চা বিরতিতে। দম নিতে চাইলেও তাই।
দিন শেষে কেউ হোটেলে ফেরে। রিল্যাক্স করে। কেউ ঘুরতে যায়। ডিনারে দেখা হয়ে যায় কারো সাথে আবার। রাতে লাউঞ্জ বা বারে সময় কাটায় কেউ।
আমার তখন প্রতিদিন জগিংয়ের অভ্যাস। রোদ, বৃষ্টি, ঝর, স্নৌ, বা ভ্রমণ, দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে পারেনা। সপ্তাহে তিনদিন পার্কে জগিং করি। পার্কও দেখা হয়। ঘামও ঝরে।
ওইনিপেগে এসে প্রথম বিকেলেই অ্যাসিনিবয়েন পার্কে গেলাম। চমৎকার করে সাজানো পার্ক। সুন্দর একটা ক্যাফে ভেতরে, চিড়িয়াখানা আছে, স্কাল্পচার গার্ডেন, ওপেন গ্রিন স্পেইস, বাচ্চাদের খেলার জন্য নানারকম ব্যবস্থা। কোলাহলমুখর জনপ্রিয় পার্ক।
ঠিক করলাম শেষদিনে আমাদের কাজ একটু তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলে আমি লা ব্যারিয়ের পার্কে যাব। শুনেছি, পার্কটা বিশাল, বড় একটা ট্রেইল আছে আর পার্কের ভেতরেই লা স্যাল(La Salle) লেইকে ফিশিং বা কায়াকিং(kayak) করা যায়।
শেষ দিনেও সাড়ে তিনটায়ই শেষ হলো আমাদের সম্মেলন। দেরি না করে সেখানেই ড্রেস বদলে গাড়িতে সাড়ে চারটার দিকে পার্কে পৌঁছে গেলাম। জায়গাটা মূল শহর থেকে খানিকটা দুরে। পার্কের একটা অংশে ঘন জঙ্গল। এই সময়েও পার্কিংয়ে মাত্র সাত আটটা গাড়ি দেখেই বুঝলাম শান্তশিষ্ট পার্কই হবে।
ছয় মিনিটের একটা কুইক স্ট্রেচিং সেরে হাঁটা ধরলাম। গা একটু গরম হয়ে আসতেই ট্রেইল ধরে দৌড়।ট্রেইলের দু-পাশে সবুজ ঘাস। ফ্রেশ কাটা ঘাসের গন্ধ নাকে লাগলেই মন ভালো হয়ে যায়। প্রাকৃতিক জঙ্গলের পাশাপাশি কিছু কৃত্রিম বনায়নও হয়েছে, ওক ট্রি, অ্যাশ ট্রি দিয়ে। ওয়েল মেইনটেইনড পার্ক। এই বিকেলেও প্রচুর পাখির আনাগোনা, যদিও প্রায় সবই আমার অজানা পাখি। কাক, কবুতর, চড়ুই, লুন, আর কার্ডিনাল ছাড়া আর কোনও পাখি ঠিক চিনিনা আমি। পাখিদের কিচিরমিচির বাদ দিলে চারদিক থেকেই নীরবতা ঘিরে রেখেছে পার্কটিকে। ভেতরে লোকজন তেমন কেউ নজরে এলো না এখনো পর্যন্ত। স্বচ্ছ, শান্ত লা স্যাল লেইক দেখে ফিশিং, কায়াকিং(kayak) এর জন্য দারুণই মনে হলো। দৌড়াতে দৌড়াতে ভাবছিলাম আরেকটা দিন থাকলে কায়াকিং করে যেতে পারতাম।
লেইকের উপর একটা ছোট্ট ফুটব্রিজ। ব্রিজে উঠতেই হুউস করে বাতাস ধাক্কা দিয়ে গেল। এক মুহূর্তের জন্য তাল হারালাম। অশুভ লক্ষ্মণ? খটকা লাগলেও না থেমেই পার হয়ে গেলাম ব্রিজটা। ব্রিজ থেকে আরো কিছুদুর যেতেই দিগন্ত ছড়ানো বিশাল এক ফসলি জমি এসে উদয় হলো। দু চার পাঁচ বিঘা না, একরের পর একর। সম্ভবত গম চাষ হচ্ছে। এক মিনিট থেমে ডুবন্ত সূর্যটাও দেখে নিলাম। নাম না জানা পাখিরা যার যার বাসায় থিতু হয়ে বসছে। আরো চুপচাপ হয়ে গেল পরিবেশটা।
আমি একা। এই অনুভূতিটা খুব শক্তিশালী ইন্দ্রিয় আবেশি অনুভূতি। স্টেডিয়ামে বসেও যদি কারো মনে হয় সে একা, তাহলে আর পরিত্রাণ নেই। জমাট বাঁধা পার্টিতেও অনিরাপদ মনে হবে নিজেকে।
আমাকে নিশ্চিন্ত করে দুর থেকে বাচ্চাদের খেলার শব্দ ভেসে এলো। ডাকাডাকি, চিৎকার, চেচামেচি হচ্ছে।মনে পড়ে গেল ছোটবেলায় আজিমপুর কলোনিতে আমি, রুমি, টিপু, আফফান, গগি এমন চেঁচামেচি করেই ইটের উইকেটে ক্রিকেট খেলতাম। হেসে নিজে নিজেই বললাম, সন্ধ্যা হয়েছে, বাসায় যাও কচি কাঁচার দল।
দৌড়ের গতি বাড়িয়ে দিলাম। ট্রেইলটা একটা লুপের(loop) মতো, তাই লেইকের উপর দিয়ে ফিরতে হয়না। বুশ(bush) আর হালকা একটা জঙ্গলের মাঝ দিয়ে ট্রেইল ধরে ফিরে আসার পথে আবারও বাচ্চাদের খিলখিল হাসি শুনতে পেলাম। কে যেন বলছে, 'লেট'স গৌ'। আনন্দ, খুশি, আর দুরন্তপনা ভরা শব্দ। বাচ্চাদের হাসির শব্দের চেয়ে বিশুদ্ধ শব্দের অস্তিত্ব আর কোথায় আছে!
পার্কের শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। ভেতর থেকেই দেখা যাচ্ছে পার্কিং এ আমার ভাড়া করা টয়োটা ক্যামরি নিঃসঙ্গ শেরপা হয়ে দাঁড়িয়ে। লম্বা পথ যেতে হবে। ছোট্ট একটা বাথরুম ব্রেইক নিয়ে টি-শার্টটা বদলে হোটেলের দিকে রওনা দিলাম।
পরদিন সকালের ফার্স্ট ফ্লাইটে ব্যাক টু টরন্টো।
এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি আমার ডিপার্টমেন্টে। লাঞ্চের পর বাসায় ফিরে গোসল সেরেই দিলাম এক ঘুমে বিকেল পার করে। ঘুম থেকে উঠে ডিনারে বসে দ্য টরন্টো স্টার এ চোখ বুলাতে বুলাতে 'ট্যুরস অ্যান্ড ট্র্যাভেলস' পাতায় দেখলাম লা ব্যারিয়ের পার্ক নিয়ে প্রতিবেদন। মজা তো, আমি তো সেখান থেকেই ফিরলাম!
'লা ব্যারিয়ের পার্কে ভৌতিক অভিজ্ঞতা' শিরোনামে যা লিখেছে,- 'পার্কটি তৈরি করার পর থেকে ভ্রমণকারীদের কেউ কেউ সেখানে অসময়ে বাচ্চাদের খেলাধুলা ও হৈচৈ এর শব্দ শুনতে পেয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েছেন। প্রতিটি অভিযোগের অধিকতর তদন্তে জানা গিয়েছে যে, অভিযোগে উল্লিখিত সময়ে পার্কে বাচ্চাদের খেলতে আসার বা অবস্থানের কোনও রেকর্ড কর্তৃপক্ষ খুঁজে পায়নি'।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২২
ডাব্বা বলেছেন: হাহাহা। তাহলে আমি আরও প্রস্তুতি নিয়ে যেতাম। ধন্যবাদ আপনাকে মজার মন্তব্যের জন্য।
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০২
রাজীব নুর বলেছেন: এটা কি গল্প না বাস্তব?
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২৪
ডাব্বা বলেছেন: জীবন থেকে নেয়া। আমার বেশ কিছু ঘটনা আছে এমন।
৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৩
শায়মা বলেছেন: ১. ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৪০
মা.হাসান বলেছেন: ভাগ্যিস ফেরার পরে খবরটা পড়েছেন। আগে খবরটা পড়ে পরে ঐ অভিজ্ঞতা হলে তো হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা ছিলো!
আমি হলে তো খবর আগে জানলে ঐ পার্কের ধারে কাছেও যেতাম না.....
ভাইয়া আমারও মন্তব্য এটাই ভাগ্য়িস পরে খবরটা জেনেছো নইলে আমার মত না হলেও একটু তো ভয় লাগতোই।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২৭
ডাব্বা বলেছেন: আগে জানলে কিউরিয়াস হতাম বেশি। হয়তো আরও সময় নিয়ে থাকতাম। আরও কিছু ঘটনা আছে এমন, আস্তে ধীরে শেয়ার করব ইন শা আল্লাহ।
৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৩৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কি সর্বনাসের কথা!
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২৯
ডাব্বা বলেছেন: এমন কিছু সর্বনাশের কথা সামনে বলবো ইন শা আল্লাহ।
৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৪৫
অধীতি বলেছেন: ফেরার পরে খবরটা পড়ে অনুভূতিটা কেমন ছিল জানাবেন।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩৩
ডাব্বা বলেছেন: খবরটা পড়ে আমার হাসি পেয়েছিল, আর মনে হয়েছিল ইশশ! আগে জানলে তো বাচ্চাগুলোকে দেখতে যেতে পারতাম। মূলত এই ঘটনার পরই আমি ghost hunting নিয়ে আগ্রহী হই ও একটা টিম তৈরি করি।
৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
কানাডা গিয়েও ডাব্বা মারছেন?
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩৩
ডাব্বা বলেছেন: সবাইকে দিয়ে কি সবকিছু হয়?
৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:০০
অজ্ঞাতকুলশীল বলেছেন: কোন মাধ্যমে আপনিও কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিন আপনার অভিজ্ঞতা।
দ্য টরেন্টো স্টার দেখার পর কেমন অনুভূতি জানাবেন।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩৬
ডাব্বা বলেছেন: বহু বছর আগের কথা। আমি ফোন করে জানিয়েছিলাম। স্টারে নিউজটি দেখে আমার হাসি পেয়েছিল। মনে হচ্ছিল কিছু একটা মিস করলাম। আগে জানলে আরও টাইম স্পেন্ড করতে পারতাম। খোঁজ নিতে পারতাম। এমনই মনে হচ্ছিল আমার।
৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সব মন্তব্য পড়ে আরেকটা পোষ্ট দিবেন
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩৯
ডাব্বা বলেছেন: ভালো বুদ্ধি দিয়েছেন। কিন্তু আমি একটু অনিয়মিত, একটু নিয়মিত হওয়া দরকার। ধন্যবাদ।
৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:২৮
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: এ তো দেখি তারা আপনের অভিজ্ঞতা লিখে দিয়েছে। যাক, এখন ফিলিংটা জম্পেশ হয়েছে
কীএক্টাবস্থা!
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪০
ডাব্বা বলেছেন: কতো অদ্ভুত ব্যাপারই না আছে পৃথিবীতে, তাই না?
১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২০
ত্রিশিলা বলেছেন: আমার তো গায়ে কাটা দিলো পড়ে
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪২
ডাব্বা বলেছেন: সেরকমই অবস্থা, তাই না? ঘুরে টুরে এসে শুনি জিন ভুতের রাজ্য!
১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: জীবন থেকে নেয়া। আমার বেশ কিছু ঘটনা আছে এমন।
ভয়াবহ। আমি ভাই মারাত্মক ভীতু মানুষ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:০৮
ডাব্বা বলেছেন: ভয় পাবেন না। খুব খারাপ কিছু মৃত্যুই হবে, তাই না? মৃত্যুকে ভয় না পেলে দেখবেন আপনি পৃথিবীর দুঃসাহসী মানুষদের একজন।
১২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দারুণ লেখা, শুরু থেকেই, কিন্তু, লেখার কোনো সাসপেন্স বা টুইস্ট না পেয়ে ভাবছিলাম- এত সুন্দর লেখাটা এভাবে ডাব্বা মারলেন! এমন হলে আমি সাধারণত লেখা শেষ না করেই বেরিয়ে যাই। তারপর ইচ্ছের বিরুদ্ধে লাস্ট টু প্যারাগ্রাফ পড়লাম। অ্যাস্টোনিশ্ড হলাম আপনার লেখনিশক্তি ও গল্প বলার স্টাইল দেখে। অসাধারণ।
আপনার মাইন্ড বেশ ইনকুইজিটিভনেসে ভরপুর বলে আমার ধারণা। আবার কোনোদিন ওখানে গেলে আপনি বাচ্চাদের শব্দের উৎস খুঁজতে যাবেন। খুঁজতে খুঁজতে অনেক দূরে যাবেন, কিছুই পাবেন না। হ্যাঁ পাবেন, সেটাও অনেক দূরে। সন্ধ্যার নির্জনতায় অনেক দূরে খেলতে থাকা, কিংবা কোনো লোকালয় থেকে বাচ্চা, বা অন্য কোনো যান্ত্রিক বা প্রাকৃতিক শব্দ উড়ে আসছে। রহস্য কিছু থেকে থাকলে ওটাই। এর বাইরে কিছু থাকলে অন গ্রাউন্ডেই আপনি খুঁজে পাবেন। আমি এ বর্ণনা দিলাম এ কারণে, জীবনে আমি অনেক ভুতুড়ে রহস্য উদ্ঘাটন করেছি। পৃথিবীতে ভূত বলে কিছু নাই, প্রেম বলে কিছু মহৎ জিনিস আছে
সুন্দর লেখায় উপরে একটা প্লাস দিয়া আসি
১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:১৭
ডাব্বা বলেছেন: কিছু একটা অবশ্যই আছে। আমি দেখেছি।
https://www.somewhereinblog.net/blog/blogrocks/3031663
এই লেখাটি পড়ে কিছু কি বলবেন?
আমার আবার যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না কিন্তু আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে যাই। যদি আবার যাই সেখানে, খুঁজে দেখব আপনি যা বলেছেন। জানাব আপনাকে, করোনাটা একটু নিয়ন্ত্রিত হোক।
প্রশংসার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৪৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দারুন এক ভৌতিক অভিজ্ঞা অর্জণ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২২
ডাব্বা বলেছেন: মজার না? ভুতের কাছ থেকে ঘুরে এলাম অথচ জানলামও না!
১৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভয় পাবেন না। খুব খারাপ কিছু মৃত্যুই হবে, তাই না? মৃত্যুকে ভয় না পেলে দেখবেন আপনি পৃথিবীর দুঃসাহসী মানুষদের একজন।
আসলে মৃত্যুকে ভয় পাই না। যদি ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হয়- তাহলে ভয়ের কিছু নাই। আবার যদি কেউ গলা কেটে, বা কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সেটা কি ভয়ের না?
১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২২
ডাব্বা বলেছেন: খুবই ভয়ের।
১৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: দারুন লেখনীশৈলী ও চমৎকার বর্ণনা। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম।
শেষে আমারও মনে হচ্ছিল- এখানে শেষ করে দিলেন কেন- পুরোটা পড়ে বুঝলাম ঠিক আছে।
সোনাবীজ@ এর মন্তব্যটা চমৎকার
১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৪৪
ডাব্বা বলেছেন: আপনার মন্তব্যটিও চমৎকার হয়েছে। উৎসাহব্যঞ্জক। ধন্যবাদ আপনাকে।
১৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
যদি আবার যাই সেখানে, খুঁজে দেখব আপনি যা বলেছেন।
আবার ওখানে যাওয়ার পর বাচ্চাদের শব্দের ব্যাপারে আপনি খুব সজাগ থাকবেন। কিন্তু সেই শব্দ আপনি কোথাও শুনবেন না। অনেক হাঁটাহাঁটি করবেন, হয়ত পাহাড় বা নদীর ধারে যাবেন, যত দূরেই যান, বাচ্চাদের শব্দ নেই। কিন্তু, ফিরে আসার পর হয়ত আপনি এমন কিছু মিথের খবর জানবেন, যা শুনে আপনি বিস্মিত হবেন, এবং ভয়ও পেয়ে যেতে পারেন। যেমন, এমন একটা গুহার খবর হয়ত পড়বেন/জানবেন, যেখানে গেলে কেউ ফিরে আসে না, অথচ সেই গুহার ভেতরে আপনি ঢুকেছিলেন। অথবা, এমন একটা জায়গায় আপনি পায়ে হেঁটে ঘুরে এসেছেন, যেটা নদী/সাগরের অন্য পাড়ে, কিন্তু আপনি ওখানে কীভাবে গিয়েছিলেন, তা আপনি জানেন না। ----- এই তো, এইসব ভাববেন, আর আপনি শিউরে উঠবেন !!!
২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:০১
ডাব্বা বলেছেন: আমার শিউরে উঠার ইন্দ্রিয়টি নেই। মানে, আসলেই নেই।
তবে, আরেকবার যাব। সময়ের অপেক্ষায়। আপনি জানবেন।
১৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০১
সোহানী বলেছেন: ভাগ্যিস আগেই বলে দিলেন তাই নেক্সট যাবার আগে ওই পার্কের আশে পাশেই হাটা যাবে না। আমি ভুত প্রেত থেকে এক হাজার হাত দূরে থাকি...
২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:০২
ডাব্বা বলেছেন: হাহাহা। কতো মানুষ এটা না জেনেই ঘুরে আসে। কোনও সমস্যা হবে না ইন শা আল্লাহ।
১৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আসলে বুঝাইতে চাইছিলাম, এমন কিছু ঘটনার কথা হয়ত জানবেন, যা অকল্পনীয়, অদ্ভুত। হয়ত প্রতিবারই পুরোনো রহস্যটা উদ্ঘাটন করবেন, পরের বার আরেকটা রহস্য দানা বাঁধবে।
ঘুঁটঘুঁটে অন্ধকার, গভীর রাতে, কবরের পাশ দিয়ে হেঁটে গেছি। গভীর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হেঁটেছি। আড়িয়াল বিলের মাঝখানে একা নৌকায় ভেসে রাত কাটিয়েছি। অপেক্ষায় থেকেছি, অশরীরী কিছু আছে কিনা তা দেখার জন্য। অনেকে অনেক ভুত প্রেতের কথা বলেছে। তাদের সাথে সেখানে গিয়ে দেখেছি, পাখি বা পেঁচা ছাড়া, বাঁশের ঘর্ষণের শব্দ ছাড়া আর কিছু নাই।
রহস্যময় কিছু থেকে থাকলে তা মানুষ। অদ্ভুত, ভুতুড়ে জায়গা, যেখানে অশীরী কিছু আছে বলে মানুষ যাতায়াত করে না, ওখানে ভয়ের কিছু থেকে থাকলে মানুষের আস্তানা আছে, যারা দুর্বৃত্ত। আর হয়ত কোনো হিংস্র বা অদ্ভুত প্রাণী, বা প্রাকৃতিক কোনো জটিল কিছুও থাকতে পারে।
এ নিয়ে এ ব্লগে প্রচুর গল্প আছে আমার
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:১২
ডাব্বা বলেছেন: ম্যারাডোনা তাঁঁর মধ্যগগনে সাংবাদিকদের একটি মজার কথা বলেছিলেন। তাঁকে নিয়ে তো এমনিতেই বিস্ময়ের সীমা ছিল না মানুষের, সেসময়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, 'পৃথিবীতে যদি বিস্ময়কর কিছু থাকে তাহলে তিনি 'রেকেল ওয়েলচ(Raquel Welch)। হাহাহা। অপ্রাসঙ্গিক হলেও মনে পড়ে গেল বলে শেয়ার করলাম।
আমি ধর্ম বিশ্বাসী মানুষ। জিন, এবং এদের উপদ্রবে বিশ্বাস করি। আমার গৌস্ট হান্টিং নিয়ে কিছু গভীর অভিজ্ঞতা আছে। একদিন না হয় বলা যাবে। যখন কিছু ঘটবে, ঘুটঘুটে অন্ধকার না পেলেও ঘটবে। আজিমপুর কবরস্থানে, সেমেটারিতে অনেক রাত কাটিয়েছি, ব্যাখ্যার অতীত কিছু পাইনি কিন্তু ব্যাখ্যা করার মতো ব্যাপারগুলোই কেন ঘটবে তার ব্যাখ্যাও পাইনি।
আমি কাঠখোট্টা ধরনের যুক্তিবাদী লোক। শুনলেও বিশ্বাস করিনা, দেখলেও বিশ্বাস করি না। বুঝলে বিশ্বাস করি।
আপনার গল্পগুলো পড়ার চেষ্টা করবো।
১৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮
মিরোরডডল বলেছেন:
বর্ণনাটা খুব ভালো লাগছিলো আর মনে হয়েছে আরও কিছু দারুণ ছবি দেয়া যেতো । তাহলে আরও ভালো লাগবে ।
আর শেষের যে টুইস্ট, ওটা থেকে একটা ছোট থ্রিলার শর্ট ফিল্ম হতে পারে ।
স্টকে আর কি কি আছে এরকম স্টোরি ?
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:১৭
ডাব্বা বলেছেন: আছে। আসবে সামনেই। আরেকটি গল্প পৌস্ট করেছিলাম বেশ আগে, 'কালো হ্যাট, কালো জামা, কালো জুতো পায়', পড়ে দেখবেন, আমার ধারণা আপনার ভালো লাগবে।
এটা অনেক বছর আগের কথা, তখন স্মার্ট ফোন ছিল না। স্যরি।
২০| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪১
মিরোরডডল বলেছেন:
ধুলোর মন্তব্যের সাথে একমত, মানুষ হচ্ছে সবচেয়ে রহস্যময় ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:১৯
ডাব্বা বলেছেন: এই যে লিংকটি - Click This Link
সোনাবীজ ভাই নিজেই রহস্য মানব মনে হচ্ছে। হা হা হা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৪
মা.হাসান বলেছেন: ভাগ্যিস ফেরার পরে খবরটা পড়েছেন। আগে খবরটা পড়ে পরে ঐ অভিজ্ঞতা হলে তো হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা ছিলো!