![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাসক (Adhatoda vassica)
গোত্র : EUPHORBIACEAE
সর্দি-কাশির মহা ঔষধ বাসক, একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ উদ্ভিদ। গাছটি লম্বায় ১-১৫ মিটার (৩-৫ ফুট) পযর্ন্ত হয়। কচি অবস্থায় গাছের গোড়া সবুজ হলেও পরিণত অবস্থায় হাল্কা বেগুনী রঙের মত দেখায়। পাতাগুলি লম্বায় ৫-১২ সেন্টিমিটারের মত হয়। ফুল সাদা রঙের এবং গুচ্ছাকারে ফোটে। ফলগুলি ক্যাপসুল - এর মতো দেখতে।
সাধারণতঃ বাগানের চারপাশে বেড়ার মত কিংবা রাস্তার ধারে ধারে বড় গাছের নীচে বাসক গাছকে জন্মাতে দেখা যায়। প্রধানতঃ উঁচু জমিতে যেখানে অন্য ফসলের চাষ প্রায় অসম্ভব এবং যেখানে গাছের গোড়ায় জল জমবে না এমন জমিতে বাসক গাছের চাষ ভাল হয়। সাধারণতঃ কাটিং থেকেই এই গাছের বংশ বৃদ্ধি হয়। পরিণত গাছ থেকে কাটিং এমনভাবে কাটতে হবে যাতে প্রতিটি কাটিং- এ অন্ততঃ একটি করে গাঁট থাকে। গাঁট যুক্ত কাটিং ভেজা বালিতে পুঁতলে ১৫ দিনের মধ্যে গাঁট অংশ থেকে মূল বের হবে। প্রতিদিন অল্প অল্প করে জল দিয়ে বালি ভিজিয়ে রাখলে একমাসের মধ্যে চারা তৈরী হয়ে যাবে।
বর্ষা শুরু হলে বিঘা প্রতি ৬ কুইন্টাল বোনমিল মিশ্রিত গোবর সার বা কেঁচো সার জমিতে ছড়িয়ে দিয়ে জমি ভালোভাবে তৈরী করে নিতে হবে। এরপর ১ মাস বয়সের চারা ১ মিটার X ১ মিটার (৩ ফুট X ৩ ফুট) দুরত্বে বসাতে হবে। ৬ মাসের মধ্যে গাছের গোড়া থেকে ডালপালা বেরিয়ে ঝোপের সৃষ্টি করবে। এক বছরের মাথায় গাছ থেকে পাতা তোলা উচিত এবং তারপর পরের বছরগুলিতে ৬ মাস অন্তর অন্তর গাছ থেকে পাতা তোলা উচিত। নিয়মিত ব্যবধান পাতা তোলা হলে ৬ বছর কিংবা তার বেশী সময় ধরে ফলন পাওয়া যায়। বাসক গাছে তেমন কোন পরিচর্যার দরকার হয় না। ফসল তোলার পর তা বায়ু চলাচলযুক্ত ছায়া জায়গায় শুকিয়ে নিয়ে ব্যবহার করা উচিত।
ব্যবহার্য অংশ- মূল, পাতা, ফুল, ছাল।
প্রয়োগ
বাসক পাতার রস ১-২ চামচ হাফ থেকে এক চামচ মধুসহ খেলে শিশুর সদির্কাশি উপকার পাওয়া যায়।
বাসক পাতার রস স্নানের আধ ঘন্টা আগে মাথায় কয়েকদিন মাখলে উকুন মরে যায়।
আমবাত ও ব্রণশোথে (ফোঁড়ার প্রাথমিক অবস্থা) বাসক পাতা বেটে প্রলেপ দিলে ফোলা ও ব্যথা কমে যায়।
যদি বুকে কফ জমে থাকে এবং তার জন্যে শ্বাসকষ্ট হলে বা কাশি হলে বাসক পাতার রস ১-২ চামচ এবং কন্টিকারীরস ১-২ চামচ, ১ চামচ মধুসহ খেলে কফ সহজে বেরিয়ে আসে।
প্রস্রাবে জ্বালা-যন্ত্রনা থাকলে বাসকের ফুল বেটে ২-৩ চামচ মিছরি ১-২ চামচ সরবত করে খেলে এই রোগে উপকার পাওয়া যায়।
জ্বর হলে বা অল্প জ্বর থাকলে বাসকের মূল ৫-১০ গ্রাম ধুয়ে থেঁতো করে ১০০ মিলি লিটার জলে ফোটাতে হবে।
২৫ মিলি লিটার থাকতে নামিয়ে তা ছেঁকে নিয়ে দিনে ২ বার করে খেলে জ্বর এবং কাশি দুইই চলে যায়।
বাসকের কচিপাতা ১০-১২ টি এক টুকরো হলুদ একসঙ্গে বেটে দাদ বা চুলকানিতে লাগলে কয়েকদিনের মধ্যে তা সেরে যায়।
বাসকপাতা বা ফুলের রস ১-২ চামচ মধু বা চিনি ১চামচসহ প্রতিদিন খেলে জন্ডিস রেগে উপকার পাওয়া যায়।
পাইরিয়া বা দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লে বাসক পাতা ২০ টি থেঁতো করে ২ কাপ জলে সিদ্ধ করে ১ কাপ থাকতে নামিয়ে ঈষদুষ্ণ অবস্থায় কুলকুচি করলে এই রোগে উপকার পাওয়া যায়।
-নেট থেকে
২| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:২৩
কৃষক বলেছেন: i
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৪৭
বকলম বলেছেন: গুড পোষ্ট।
আমার বাড়ি চট্টগ্রামে সমূদ্র উপকূলবর্তী এলাকায়। আমার বাড়ির আঙিনায় ভাল জাতের ফুল ফল ও ঔষধী গাছ লাগাতে চাই। কিন্তু এখন যা আম কাঠাল ও নারিকেল গাছ আছে সেগুলোর ফলন নেই বললেই চলে। আপনার পরামর্শ চাই।
প্রশ্ন ১: মাটি পরীক্ষা করে কি জানা সম্ভব এই মাটিতে কি ধরনের গাছ লাগালে ভাল ফলন পাওয়া যাবে? মাটি পরীক্ষা কোথায় করা হয়? এ সম্পর্কিত পরামর্শের জন্য সরকারী বা বেসরকারী কোন প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামে আছি কিনা?
প্রশ্ন ২: আমার ইচ্ছা উন্নত জাতের আম, কাঠাল, লিচু, পেপে, পেয়ারা, বাউকূল, আঙ্গুর, এষ্ট্রোবেরি বাড়ির পাশের জায়গাতে লাগানো। এ সম্পর্কে আপনার পোষ্ট চাই।
প্রশ্ন ৩: স্বল্প পরিসরে অধীক মূনাফা জনক কি গাছ লাগাতে পারি?
প্রশ্ন ৪: একতলা বাড়ির ছাদে ফলের বাগানের উপর পোষ্ট চাই। বাড়ির ছাদে কি পদ্ধতিতে গাছ লাগালে ছাদের কোন ক্ষতি হবে না?
আপাতত এগুলোর উত্তর পেলেই হবে।