নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোকা মাকড়ের অস্তিত্ব নিয়ে কিছু দিন বেঁচে থাকা

.......অতঃপর মৃত্যুর প্রতীক্ষা

সাঈফ শেরিফ

আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |

সাঈফ শেরিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাড়ি-গোঁফের যৌক্তিকতা

২৪ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ১০:১২

দাড়ি-গোঁফের মাঝে আমরা মৌলবাদের উকুঁন আর ধর্মান্ধতার ছারপোকা খুজঁতে অভ্যস্ত। বিটিভির 'তুখোড়' নামের এক কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রখ্যাত কবি নির্মলেন্দু গুণের ছবি দেখিয়ে যখন জিজ্ঞাসা করা হলো এটি কার, নটরডেম কলেজের মেধাবী ছাত্ররা উত্তর দিলো, 'ওসামা বিন লাদেন'!!!



অপরদিকে খোঁচা খোঁচা দাড়ি হলো দেবদাস, পাগল, পড়ুয়া বা প্রচন্ড ব্যস্ত মানুষের মুখোচ্ছবি। সতের-আঠারো বছর বয়সে ছেলেদের দাড়ি-গোঁফ না উঠলে পাড়াপরশীর ঘুম নষ্ট হবার যোগাড় হয়। বন্ধু মহল থেকে মাকুন্দ, পুরুষত্বহীন বিবিধ শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। কিন্তু আশ্চর্য লাগে যখন দাড়ি-গোঁফ উঠলেই ততক্ষণাত তা কামিয়ে ফেলাটাই হয় পুরুষত্ব রক্ষার কাজ। না উঠলেও দোষ, আবার উঠলে পড়ে ুক্ষুরের কোপ। নারীদের মত দাড়ি-গোঁফ না উঠলেই তো ভালো-সেভ করার উটকো ঝামেলা থাকতোনা।



ভদ্র সমাজে দাড়ি-গোঁফকে 'নোংরা জঙ্গল' হিসেবে গণ্য করা হয়। পরিপাটি ঘন চুল কিন্তু 'জঙ্গল' নয়। আসলে ব্যাপারটা হলো দৃষ্টি ভঙ্গির। জন্মের পর হতে পুরুষ বলতে দেখে আসছি বা চোখের সামনে ভেসে উঠেছে শ্মশ্রুমুন্ডিত মুখ। রুচিবান সভ্য পুরুষ মাত্রই সেভ করেন । ভারতের পুরুষেরা ঐতিহ্য গত ভাবেই গোঁফকে পুরুষত্বের প্রতীক হিসেবে গণ্য করে। কিন্তু আধুনিক মানুষ পাশ্চাত্যের প্রভাবে স্বঐতিহ্য ফেলে গোঁফ কামানোটাই সৌন্দর্য জ্ঞান করছে। পাশ্চাত্যের ফর্সা লাল মুখ ও দাড়ি-গোঁফ কামানো পুরুষের চেহারা দেখে নারী ভেবে অনেকেই বিভ্রান্ত হন। অথচ তারা এদেরকেই সুদর্শন-সুপুরুষ মনে করেন।



আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যার যথার্থই বলেছিলেন, "বাংলা ছবির নায়কদের মুখ হলো ফর্সা গোলগাল টমাটো মার্কা...।" আমরা দাড়ি-গোঁফহীন মেয়েলি চেহারার পুরুষদের সুদর্শন মনে করে আসছি। আসলে পুরুষদের দাড়ি রাখাটা যদি স্বাভাবিক ঘটনা হতো, তবে দাড়ি কাটাটা হতো মাথা মুন্ডানোর মতই বীভৎসতা। বন্ধুরা বলতো, "কীরে তুই গাল কামিয়েছিস!! তোকে তো হাফ লেডিস-নাদান ছেলে লাগছে।" সৈয়দ মুজতবা আলীর ভ্রমণ বিষয়ক গল্প গ্রন্থে পাবেন ফরাসি বিপ্লবের আগে নারীরা দাড়িহীন পুরুষকে কতটা অনীহার চোখে দেখত এবং ফরাসি বিপ্লবের পর পরেই গণ হারে দাড়ি মুন্ডানোর হিড়িক পড়ে যায়। রুচিবোধের বাতাস তারপর থেকে সেদিকেই চলেছে।



পাশ্চাত্য কেন্দ্রীক যে চলনসই রুচিবোধ তাতে গা ভাসিয়ে পুরুষরা ক্লিন সেভ করছে যাতে পরিচ্ছন্নতা গন্ধ পাওয়া যায়-অথচ বগলে চুলের ব্যাপক আবাদ হচ্ছে- যা দেখা যায়না বলে কাটারও প্রয়োজন মনে করা হয়না। নারীদের মাঝে যেটা অনুপস্থিত, শুধু পুরুষ সুলভ-সেটাই হলো পুরুষত্বের প্রতীক। অথচ নিয়ম দোষে এটাই নারীদের কাছে ঘৃণিত। নারীরা তাদের মতই পুরুষের লোমহীন মুখ পছন্দ করে। তাই বলে তা কখনই পুরুষত্বের বড়াই হতে পারেনা।



আমাদের দেশে দাড়ি-গোঁফ দেখলেই ধরে নেওয়া হয় তিনি ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নেতা-ক্যাডার বা হুজুর। সংকীর্ণ এ মানসিকতা আজ সংক্রামক ব্যাধির মত ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে দলনিরপেক্ষ, শান্তিপ্রিয় শ্মশ্রুধারীদের সমাজে, দেশে-বিদেশে, চাকুরি ক্ষেত্রে, বিয়ের বাজারে, ভিসা অফিসে ব্যাপক হয়রানি আর প্রশ্নবাণের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কলেজ জীবনে অধ্যক্ষকে দেখেছি দাড়ি রাখার অপরাধে এক ছাত্রকে তিরষ্কার করছেন এ বলে যে, "দাড়ি কেন? মাওলানা হবার শখ নাকি?" পরে দেখা গেল ছেলেটি হিন্দু, এক আত্মীয়ের মৃত্যুর কারণে কিছুদিন ক্ষৌরকর্ম হতে বিরত আছে।



যীশুর দাড়ি-গোঁফ ছিল এবিষয়ে কোন মতবিরোধ নেই । প্যাশন অব ক্রাইস্ট ছবিতে আমরা শ্মশ্রুধারী এক পবিত্র মানুষকেই দেখি। অথচ আজ পর্যন্ত কোন পাদ্রী, ফাদার, আর্চ বিশপ, কার্ডিনাল, পোপ বা যীশু ভক্তের দাড়ি-গোঁফের কোন নমুনা দেখলামনা। আগেই বলেছি, খিষ্ট ধর্ম প্রভাবিত হলেও অতীত ভুলে পাশ্চাত্যের সমাজ কিন সেভ করাটাকেই সুপুরুষের বৈশিষ্ট্য মনে করে। এরপরও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর, আলী যাকের, কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমান, প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ, কার্টুনিস্ট শিশির ভট্টাচার্য, গায়ক মাহামুদুজ্জামান বাবু, পরিচালক সুভাষ দত্ত দেশের বাইরে চলচিত্র পরিচালক পিটার জ্যাকসন, স্টিভেন স্পিলবার্গ, লেখক সালমান রুশদী, নোবেলবিজয়ী লেখক ভি,এস,নাইপল, বিপ্লবী নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রো, গায়ক লুসিয়ানো পাভারত্তি, রূপ কুমার রাঠোর আরো অনেক বিখ্যাত বুদ্ধিজীবী, অভিনেতা, গবেষক, বিজ্ঞানী, অধ্যাপকের দাড়ি-গোঁফ আছে এবং কেউ বলবেন কী কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তাঁরা গালে 'জঙ্গল' চাষ করছেন? এতে আদৌ তাদের কুৎসিত দেখায় কী? 'দি লাস্ট সামুরাই' চলচিত্রে সুদর্শন অভিনেতা টম ক্রুজকে যতটা সুপুরুষ বলে মনে হয়েছে-আগে কোথাও ততটা মনে পড়েনি।



প্রকৃতি শুধু পুরুষকে দাড়ি-গোঁফ দিয়েছে-তাই এটা পুরুষের অলংকার। দাড়িহীন অনেক পুরুষ তৎক্ষনাৎ অনেক নারীদের দাড়ি-গোঁফ ওঠার কথা তোলেন-যেটা নেহাতই একটা অস্বাভাবিক, নিয়ম বর্হিভূত ও দুর্লভ ঘটনা। এখানে নারী পুরুষের অসমতার কোন বিষয় নেই বরং স্বকীয়তার বিষয়টিই মুখ্য। কিন সেভ করে লম্বা চুল রেখে পুরুষরা স্পষ্টতই নারীদেরই অনুকরণ করছে। নারী সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে, পাশ্চাত্যের গোলগাল লালটু চেহারাকে ষ্মার্টনেস ভেবে পুরুষরা প্রকৃত 'ম্যানলি এপিয়ারেন্স' এর সংজ্ঞা ভুলে গিয়েছে-চলছে প্লাস্টিক সার্জারি, লিঙ্গান্তর, কানে দুল ইত্যাদি। বয়স কম দেখায় বলে সেভ করার পিছনে যুক্তি দেখানো হয়। ক্লিন সেভ করে হলেও নারী-শিশু সুলভ তুলতুলে পটাটো মার্কা চেহারা দেখিয়ে নিজেদের সুদর্শন পুরুষরা ভেবে আত্মতৃপ্ত হই। তাই বলে খোঁচা খোঁচা দাড়িকে কখনই ভালো বলা যাবেনা।



কিন্তু পুরোদস্তুর দাড়ি রেখেও যখন পরিচিত মহলে শুনে বিব্রত হই, "কী ব্যাপার দাড়ি!! কেটে ফেলেন! সেভ করে আসুন, তারপর চাকুরি! ছবি তুলবেন, সেভ করে আসেন! দাড়ি রাখলে একালে বিয়ে হবেনা" তাহলে তো মাথার জঙ্গলও সাফ করতে হয়। খুব ফর্সা এক যুবককে দেখলাম মাথা, গাল কামিয়ে এসেছে কিন্তু কালো ভ্রু জোড়ার কারণে তাকে বীভৎস দেখাচ্ছে।এখন সেটাও কামানো দরকার।



চুল ও ভ্রু হলো সাধারণ মানবীয় অলংকার-আর গোফ-দাড়িটা কেবল পৌরুষের বহিপ্রকাশ-এটা নারীরা স্বীকার নাই করুন, তথাকথিত রুচিবান পুরুষেরা নাই মানেন- যুক্তি কখনও তাদের প েযাবেনা। যারা 'দাড়িওয়ালা' বলে টিটকারী দিয়ে মানুষকে বিব্রত করেন-যদি বলি আপনারা দেখতে গোফ- দাড়িহীন নপুংশকের মত তবে সেটা কী ভালো শুনাবে? ভাঙ্গা গাল আর মেয়েলি চেহারার পুরুষদের জন্য গোফ-দাড়ির আর কী বিকল্প আছে? গোফ-দাড়ি রাখা না রাখার মত নিরাপরাধ স্বাধীনতার উপর হস্তপে করাটা বাবা-মার পুরোপুরি অন্যায় অনাধিকার চর্চা। পরিমিত আকারে গোছনো গোফ-দাড়িতে পুরুষদের কখনই এতটা কুৎসিত লাগেনা যে সবসময় তা সেভ করার তাগিদ দিতে হবে। নারীদের চুলের মতো পুরুষের গোফ-দাড়ির যে কত বৈচিত্র্য আর ফ্যাশন হতে পারে তা নিয়ে আমরা চিন্তা করিনা কারণ পুরুষের গালে জঙ্গল হয় তা কামিয়ে ফেলার জন্য-ফ্যাশানের অনুষঙ্গ এটা নয়।



পাশ্চাত্যের যুবারা মূলত ফ্রেঞ্চ কাট দেয় বলে শুধু সে ধরনটাই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য। অনেককেই দেখা যায় ধর্মের কারণে গোফ কামিয়ে বিশাল দাড়ি রাখে-এটা সামঞ্জস্যহীন ও দৃষ্টি কটু। নগরের অতি ব্যস্ত মানুষ পরিমিত গোফ-দাড়ি রেখে অর্থ ও সময় সাশ্রয় করতে পারবেন, অলসতার কারণে খোঁচা খোঁচা দাড়ির অপবাদ হতে রেহাই পেতে পারেন। পেতে পারেন কাটাছেড়ামুক্ত ঝামেলাহীন জীবন। রেজরের বিজ্ঞাপনে গোঁফ-দাড়ি শূণ্য পুরুষকে রূপবান বলাটা আমাদের অনভ্যস্ত চোখের বিভ্রম । নারীদের রুচি বা পছন্দ কী পুরুষের মুখ ও ফ্যাশানের প্রভাবক হওয়া উচিৎ? বরং পুরুষের নিজস্ব রুচিবোধ প্রকাশ করতে পারাটাই তাদেও স্বাতন্ত্র্য ও স্বকীয়তার পরিচয়বহ।



যেকোন ডাক্তারের পরামর্শ নিন-তিনি দাড়ি সেভ করলে ত্বক ও স্নায়ু তন্ত্রের ক্ষতির কথা উল্লেখ করে সপ্তাহে তিনবারের বেশি সেভ করতে নিষেধ করবেন। পুরুষের চেহারায় কিছুটা গাম্ভীর্য ও কাঠিন্য থাকাটাই শোভনীয়। গোফ-দাড়ি গাম্ভীর্য ও কাঠিন্য আনে। এটা ব্যক্তিত্ব্য, জ্ঞান ও পবিত্রতার প্রতীক। প্রফেসর-বিজ্ঞানী বলতেই চোখের সামনে দাড়ি-গোফ মন্ডিত মুখ-একটা আলাদা ভাব-গাম্ভীর্য আসে। এটাকে শুধুই বার্ধক্যের অনুষঙ্গ মনে করাটা অযৌক্তিক।



তারপরও গোফ-দাড়ি কেটে নারীর সাদৃশ্য গ্রহণ করবেন এটা আপনার ইচ্ছা। তাই বলে শ্মশ্রুধারীদের বিব্রত করা, গালি দেওয়া, কাটার পরামর্শ দেয়া (যদি খোঁচা খোঁচা না হয়), রাখার কারণ জানতে চাওয়া, হয়রানি করা, বিশেষ বিতর্কিত দলভুক্ত মনে করে হেয় বা ঘৃণা করা, এক ঘরে করে রাখাটা পুরোপুরি যুক্তিবিরুদ্ধ, অন্যায় অনধিকার চর্চা। সজ্ঞানে পৌরুষের পোশাক ফেলে দিয়ে অন্যের পোশাকের যৌক্তিকতা ধরে টানাটানি করাটা আদৌ ভদ্রোচিত, বিবেকবান ও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৫:৩৪

হিমু বলেছেন: শেষ পর্যন্ত ঘটনা কী দাঁড়াইলো? দাড়ি রাখুম না রাখুম না?

২| ২৪ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৫:৩৭

অতিথি বলেছেন: সুন্দর লেখা ... বেশ ভাল লাগছে ... যদিও আমি দাড়ি রাখিনি :)
ছোট্ট একটা অনুরোধ ... স্পেস দিয়ে লিখতে পারেন ... পড়তে সহজ হয়

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৫:৫৭

অতিথি বলেছেন: চোর সাহেব (সিক একটা নাম) আমি কখনই বলিনি সাদা চামড়ার মেয়েরা লোমশ দেহ পছন্দ করে, বরং তার উলটো টাই বলেছি। আমি নিজে এক বছর লিভারপুলে ছিলাম, আমি জানি। সাদা চামড়ার মেয়েদের পছন্দ পুরুষের ফ্যাশনের প্রকাশের নিয়ামক হওয়া উচিত নয়-নিজেদের স্বকীয়তা রক্ষার খাতিরেই। লেখাটি পুরোটা না পড়ে মন্তব্য করা ঠিকনা। জানেন ইতালির ফুটবলার একমাত্র দাড়িওয়ালা জেন্নারো গাত্তুসোকে সবচেয়ে আকর্ষনীয় খেলোয়াড় আখ্যা দিয়েছে মিডিয়া যেখানে ডেভিড বেকহাম পাত্তাই পায়নি। ফরাসি বিপলবের পূর্বে পুরুষরা গণ হারে দাড়ি কামিয়ে নপুংশক সাজার প্রতিযোগিতায় নেমেছিল তাকে ঘৃণা করে সেকালের নারীরা কি মন্তব্য করেছিলেন তা পাবেন সৈয়দ মুজতবা আলীর দেশে বিদেশে ভ্রমণ গ্রন্থে। আজ আমরা চুল না দাড়িকে অনভ্যস্ততার কারণে জঙ্গল বলছি। লেখাটি আবার পড়বেন।

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

অতিথি বলেছেন:

৫| ২৪ শে জুলাই, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

অতিথি বলেছেন: বোকাচোদা আর কারে কয়।

৬| ২৪ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ৮:০২

অতিথি বলেছেন: গালি দেওয়ার জন্য সরি। কিন্তু যেভাবে আমার নির্দোষ মন্তব্যগুলো ডিলিট মারতেছিলেন, একটু বিরক্ত হয়েছি বই কি। গালির মন্তব্যটা ডিলিট মাইরেন। অন্যের যৌক্তিক মন্তব্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া আমার মতে পার্ট অব গ্রোয়িং আপ। ভালো থাকেন।

৭| ২৫ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ১:১২

অতিথি বলেছেন: ভয় খাইলাম চোরের সাথে ঠোকাঠুকিতে।

যাই হোক, পোস্ট নিয়ে বলি, একশো ভাগ একমত
আমি খুব হালকা, ফ্লাফি টাইপের পোস্ট করেছিলাম কিছুদিন আগে এটা নিয়ে। পড়তে পারেন [link|http://www.somewhereinblog.net/AstoMeyeblog/post/8206/|GLv

৮| ২৫ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ১:১২

অতিথি বলেছেন: ফাকা ফাকা করে লিখলে পড়তে সহজ হয়!

৯| ২৫ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ১:২৩

অতিথি বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন.. ভাল লাগল পড়ে। প্যারা করে লিখুন। পড়তে সুবিধা হয় তাতে।

লিখে যান। শুভ কামনা রইল।

১০| ২৫ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ১:২৯

অতিথি বলেছেন: বাহ! চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন শেরিফ। আমাদের মানব সমাজের অনেক দিকই আছে এমন, যেগুলোকে সবাই দেখেও অন্ধের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। তখন প্রয়োজন পড়ে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার। সে হাত আপনার চমৎকার, আরো লিখুন।

এটাই আপনার প্রথম লেখা পড়লাম, সো, আমাদের মাঝে আপনাকে স্বাগতম।

১১| ২৫ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ২:৫২

অতিথি বলেছেন: ঘন কাল দাড়ির মত হয়েছে পোস্ট টা। একটু গ্যাপ দিয়ে লিখেন।

১২| ২৫ শে জুলাই, ২০০৬ ভোর ৪:১১

সাইফ ভুইয়া বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য । দোয়া রইল।

১৩| ২৫ শে জুলাই, ২০০৬ ভোর ৬:৩৫

ধানসিঁড়ি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো। নিয়মিত লিখে যান।

১৪| ২৫ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ৮:১৩

অতিথি বলেছেন: হে হে, নয়া 'মাল' পাইছে।

১৫| ২৫ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ৯:১৪

মদন বলেছেন: দাড়ি নিয়ে এতো লেখা যায় জানতাম না।
দাড়ি রাখি নাই বাট রেখে ফেলবো ইনশাআল্লাহ

১৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০০৬ রাত ১১:১৩

হযবরল বলেছেন: এইটা পৌরুষের কাতরতা, ফারমগেটে আপনি সমাধান পাইবেন।

১৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০০৬ রাত ১১:২০

মুড়িওয়ালা বলেছেন: খালি বাল লইয়া কথা।

১৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০০৬ রাত ১১:২১

মুড়িওয়ালা বলেছেন: ঊর্দুতে কইলাম।:)

১৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০০৬ রাত ২:০২

অতিথি বলেছেন: হে হে.. নবীজী ক্লিন সেভড হইলে হেরা উলটা কথা কইতো।

২০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ রাত ১১:০১

ভাইটামিন বদি বলেছেন: ছোট্ট জিনিস নিয়ে বড় লেখা.....না পড়ে আবার উঠার মতোও না......চমৎকার...

ফোন বুথ সিনেমা টার কথা মনে পড়ে গেল আপনার লেখা পড়ে ....কোন কারন নেই, এমনিই....

শুভ কামনা রইল।।।।

২১| ৩০ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৩:৩০

সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ বলেছেন: হুম্ পড়লাম আপনার লিখাটা.. বেশ চমৎকার লিখেছেন.. মুগ্ধ হলাম।

আমি যখন দাড়ি রাখা শুরু করি তখন যে কত দিক থেকে কত কিছু শুনতে হয়েছে.. এখন আলহামদুলিল্লাহ সব ঠিক হয়ে গেছে... :)

২২| ৩০ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৩:৪০

ভাঙ্গন বলেছেন: লেখাটা অত্যন্ত মনোযোগসহ পড়ে মন্তব্য কলাম পর্যন্ত আসলাম। কিন্তু এসে ঠিক কোন মন্তব্যটা করলে যথার্থ হবে ভাষা খুঁজে পেলামনা। বুকে হাত দিয়ে বলি, এই লেখা এবং আপনার প্রাণবন্ত বিশ্লেষন আমার কাছে অসাধারণ লেগেচে। যদিও আমি দাড়ি রাখিনি। তবে দাড়ি সর্ম্পকে একশ্রেনীর কূপমন্ডুক আর অপদার্থদের হাসফাস দেখে আমার সত্যি গা ঘিনঘিন করে উঠে। দাড়ি নিয়ে তাদের বিস্তর এলার্জি আমাকে বিরক্ত করে। পৌরুষত্বের পরিচয় অবশ্যই দাড়িতে। অনেক সময় সেটা ধর্মীয় চিহ্ণ হয়েও রাখে।
আমি দাড়ি রাখিনা বা দাড়ি হাল ফ্যাশন বলে অন্য কেউ রাখলে তাকে তুচ্ছ করবো- এই মানসিকতাকে আমি ঘৃণা করি!

২৩| ৩১ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:১০

জনৈক আরাফাত বলেছেন: ভাইয়া দারুন লিখেছেন তো! সত্যি কথা। দাড়ি আমারও রাখার ইচ্ছে আছে!

তবে, পুরো বড় বড় দাড়ি না হলেও, খোচা খোচা দাড়ি আমার দারুন পছন্দ। আর, সেটাই থাকে বেশির ভাগ সময়। :)

দাড়ি সম্পর্কীত একটা জোক মনে পড়লো.।.।

"শোনা যায়, দাড়ি প্রথম শেভ করা শুরু হয় ফ্রান্সে।

তখন এক ভদ্রমহিলা দুঃখ করে বান্ধবীকে বলেছিলো, এখন থেকে চুম্বনের মজাই নষ্ট হয়ে গেলো!"

সুতরাং, এইরকম সমঝদার পেলে আপনার আর চিন্তা নেই! :D

৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:৪৫

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: সৈয়দ মুজতবা আলীর ভ্রমণ গ্রন্থ গুলোতে এ ধরনের তথ্য পাবেন।

২৪| ৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:০০

অ্যামাটার বলেছেন: ওয়াও! দারুল একটা লেখা তো। এতদিন পরে ঠেলা দিল কে?
তবে একটা বিষয় আবিষ্কার করলাম, পাঠক রুচির মত লেখকেরও বিবর্তন হয়। মানে তার চিন্তাধারা, দৃষ্টিভঙ্গী, চেতনা; ইত্যাদির, যদিও লেখার স্টাইলটা অপরিবর্তিত।

আমার বিশ্বাস, এই টপিকে আজ যদি একটা আর্টিকেল লিখতেন, তাহলে তিন বছর আগের 'সাইফ শেরিফ'-এর লেখার চেয়ে অনেক বৈসদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যেত।

৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:১২

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: পুরনো ব্লগার রা সেই তিন বছর আগের সাঈফ শেরিফকেই চিনে, নতুন করে কোন বিবর্তন বা পরিবর্তনের খোজ তারা নিতে আসেন না। এ লেখাটি সেকালে আমার দাড়ির বিরুদ্ধে গণ উপহাস ও বিদ্রোহের প্রেক্ষিতে লিখা। দৃষ্টিকোণ পুরোপুরি ধর্ম নিরপেক্ষ রেখে তার একটা জবাব দাড় করানোর চেষ্টা করেছি মাত্র। ঠেলায় না পড়লে আমার আবেগ আসেনা, আবেগ না এলে লিখতেও পারিনা। মূল বক্তব্য একটাই, পুরুষ হিসেবে আমার সাজ সজ্জা সমাজ/নারীদের পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে নয়, বরং নিজের ব্যক্তি ইচ্ছার ভিত্তিতে তৈরি হওয়া চাই।

২৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:২১

সুবিদ্ বলেছেন: "শ্মশ্রুধারীদের বিব্রত করা, গালি দেওয়া, কাটার পরামর্শ দেয়া (যদি খোঁচা খোঁচা না হয়), রাখার কারণ জানতে চাওয়া, হয়রানি করা, বিশেষ বিতর্কিত দলভুক্ত মনে করে হেয় বা ঘৃণা করা, এক ঘরে করে রাখাটা পুরোপুরি যুক্তিবিরুদ্ধ, অন্যায় অনধিকার চর্চা"----সহমত.....

২৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:১৬

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: বাপরে, বিশল পুরান পোস্ট!

লেখায় মজা পাইছি, কমেন্ট গুলায়ও মজা পাইছি, অনেকেরই খাতা ক্লোজ হইয়া অতিথি হইয়া গেছেন--এটাও মজার।

তবে লেখাটা পক্ষপাতদুষ্ট, এইটা ৩ বছর পর আপনেও নিশ্চ্যই বুঝেন। একটা পচা উদাহরণ দিয়া বুঝাই---বাংগালী পোলার কাছে সবচাইতে "আবেদনময়ী" ড্রেস হইতেছে শাড়ী, আর ব্লাউজ-পেটিকোটের থিকা "সেক্সি" জিনিস তার কাছে কিছু নাই।

তার মানে কি দাড়াইল? শাড়ী-ই সবচেয়ে বিশুদ্ধ ড্রেস? না। তার মানে হইতেছে, সে ছোটবেলা থিকা শাড়ী দেইখা অভ্যস্থ, আর যখন সে "বড়" হইতেছে, তখন তার স্বপ্নে যারা হানা দিছে, (পাশের বাসার মেয়েটা কিংবা টিভির নায়িকাটা) তারা শাড়ি পড়া, আর .....(ব্লাউজের কথায় গেলামনা, বেশি র হইয়া যাইতেছে)

দাড়ির ব্যাপারটা ঠিক তেমনই। আমার বাবারে যদি আমি রাশভারী গম্ভীরতার প্রতীক হিসাবে দেখি, আর যদি বাবা দাড়ি রাখে, তাইলে আমার কাছে "ব্যাক্তিত্যের ভার" ব্যাপারটা দাড়ির সাথে জড়ায়া গেছে সারা জীবনের জন্য। আবার বাবা/বড়চাচা/ছহোটচাচা সবাই যদি ক্লীন শেভ হয় আর সো কল্ড প্রগতিশীল হয়, আর মেজচাচা যদি প্রবল কনজার্ভেটিভ গোঁড়া আর দাড়িওয়ালা হয়, তাইলে দাড়ি আর গোঁড়ামি আমার কাছে সমার্থক হয়া গেছে, করার কিছু নাই।

সো এই ক্ষেত্রে রাইট-রং বইলা কিছু নাই। যস্মিন দেশে যদাচার।


২১ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:০২

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: কনজারভেশনের সাথে দাড়িকে যুক্ত করাতে আমার জোর আপত্তি। দাড়ি-গোফ রাখার পেছনে তাই ধর্মকে টেনে আনা হয়নি এখানে। আমি ন্যায়-অন্যায় বিচার করিনি, দাড়ি-গোফের কারণে জন হয়রানি, এক ঘরে করে রাখার বিষয় গুলো উল্লেখ করেছি মাত্র। আলী যাকের কিংবা তারিক আনামের মত বাংলাদেশি সেলিব্রেটিরা তাদের দাড়ি সহ আমেরিকান বিমান বন্দরে গিয়ে কী ধরনের আদর আপ‌্যায়ন পান সেটা জানার ইচ্ছে খুব। দাড়ি-গোফের বিষয়টি চাপিয়ে দেয়া , শ্রেষ্ঠ বলা এ পোস্টের মূল বিষয় না, ধর্মীয় কারণের বাইরে যারা রাখেন তাদের উপর সামাজিক জুলুমের কথা ভেবে তাদের পক্ষ সমর্থন দেয়া।

২৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:১৭

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: তবে এইটা কি কইলেন??
"পাশ্চাত্যের ফর্সা লাল মুখ ও দাড়ি-গোঁফ কামানো পুরুষের চেহারা দেখে নারী ভেবে অনেকেই বিভ্রান্ত হন।"

বলেন কি? আসলেই নাকি?

২১ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:০৪

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ১০০ ভাগ সত্য। সাদাদের দেশে আসেন, কিছু ছেলেরা চুল একটু বড় রাখলে, লাল টুকটুকে গোল গাল চেহারা হলে বার বার তাকিয়ে বুঝতে হবে এটা ছেলে যায় না মেয়ে যায়।

২৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:২৫

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: আপনের পোস্টে আপনি আরেকখান সুবিশাল টপিক টাচ কইরা গেছেন, সেইটা হইল "সোশাল এসিমিলেশন", জোর করে আর দশটা মানুষের মত বানানোর চেষ্টা। দাড়ি বলেন, কাপড় বলেন, চিন্তা চেতনা বলেন।
এইটা নিয়া ইনশাল্লা কথা হবে।

২৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৩১

শয়তান বলেছেন: কব্বর থিকা হঠাৎ :)

৩০| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৪৩

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: @শয়তান: লিখক নিজেই আইজকার একটা পোস্টে লিনক দিয়া বলছেন এইখানে আইসা যুক্তি দিতে :) তাই আর কি...

৩১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৯

নিকষ বলেছেন: "বাংলা ছবির নায়কদের মুখ হলো ফর্সা গোলগাল টমাটো মার্কা...।" =p~ =p~

৩২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৩

বাদশা নামদার বলেছেন: ভাল লিখেছেন

৩৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৭

হাসান মুহিব বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.