![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |
প্রাইভেট টিউশানী করাতে গিয়ে ছাত্রীর সাথে প্রেম করাটা এখন ঢাল ভাত ফ্যাশন। স্যার থেকে ভাইয়া, আপনি থেকে তুমি সম্বোধন, ঘর ছেড়ে বেরিয়ে বুমার্স, বসুন্ধরা, মোবাইলে রাত জেগে ফ্লার্ট..এসব অনেক পুরনো কেচ্ছা।
অর্থ সঙ্কট বা অর্থ বিলাসিতা ছিলনা দেখে প্রাইভেট পড়ানোর মত কাজে আমার সময় ব্যয় করার ধৈর্য হয়নি কখনও.....কিন্তু ঘটনা গুলো কানে আসতে সময় লাগতনা, তথ্য সূত্র আর কেস স্টাডির অভাব ছিলনা।কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে এসে ব্যাচমেটরা যেসব ঘটাচ্ছে ইদানিং, আমি যার পর নাই হতভম্ব। তাই বলে নিজের ক্লাশের ছাত্রী!!!!! শিক্ষক পদের মর্যাদা রাখলো কই এরা??
শুরু করি আধা শিবিরের এক সহপাঠী দিয়ে।রাত জেগে রিসার্চ এর কাজ করলেও মসজিদে জামাতে ফজরের নামায মিস হতে দেখিনি কখনও।আর আমি পাপী বান্দা তো প্রায়ই কাজা করে ফেলি। দেশের শীর্ষ স্থানীয় এক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। রেজাল্ট ভাল না হলেও গবেষণার দক্ষতা গুণে সবাই মুগ্ধ।আমাকে ফেস বুকের চ্যাট অপশনে জানায়, 'একটা প্রেম শুরু করলাম দোস্ত।'
আমি বিব্রত, বলে কি ধার্মিক ছেলে!!! কথা প্রসঙ্গে জানলাম নিজের ক্লাশের ছাত্রী। ৫'৫" নাকি উচ্চতা!!! কোন সহপাঠীকে পাত্তা দেয়না, কিন্তু তাকে নাকি এস এম এস করেছে!!!
আমি হতভম্ব। আমার ছাত্র-ছাত্রীরা যেখানে আমাকে কল করার সাহস পায়না, ভয়ে কাঁপে আমার কিম্ভুতকিমাকার জঙ্গলি দানবীয় মূর্তি দেখে, (শিক্ষা গুরু বলে কথা), আর তোকে এস এম এস দেয়!!! সর্বনাশ!!! শিক্ষক প্রজাতির জাত গেল দেখছি!!! তারপর কি হল?
ছোকরা বলে আমিও এস এম এসের উত্তর দিলাম। এভাবে চলতে থাকলো ....দিনে দশটা থেকে বিশটা, বিশটা থেকে ত্রিশটা...শেষে লজ্জা ভেঙ্গে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা শুরু হলো মোবাইলে।(এখন প্রায়শই তার মুঠোফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়।)
তা কি মনে হয়? তোর প্রেমে পড়েছে?
আমার তো তাই মনে হয়।
খোঁজ নিয়ে দেখ আর কতগুলো শিক্ষককে এভাবে এসএম এসের ট্যাপে ফেলার চেষ্টা করেছে।
ছেলে আমার কথা শুনতে নারাজ। বুমার্স, হেলভেশিয়ার নিয়মিত ভোক্তা তারা দুজন।বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এড়িয়ে এক রিক্সায় দুজন ঘুরতে বের হয়। আড়াল হতে চাইলেই কি আড়াল হওয়া যায়, বাতাসেরও তো চোখ আছে....
কোথায় গুরু? কোথায় শিষ্য ..কে বলে তা বহুদূর, মানুষের মাঝে গুরু শিষ্য.....হা কপাল এ কোন যুগে বাস করছি আমরা? লজ্জা-শরম আর শ্রদ্ধা ভক্তির দেয়াল অতিক্রম করে....ছি ছি ছি....আমি ভাবি আমার অন্য ছাত্ররা আমাকে এ অবষ্থায় দেখলে লজ্জায় ঢাকা শহর ছেলে চলে যেতে হত।
আরেক ব্যাচ মেট। এই আগস্টে আমেরিকা যাত্রা করছে। নামী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ক্লাশে যে ছাত্রী তার চোখে লেগে ছিল, সেই কিনা গুরুর চোখের ইশারা বুঝে কিনা জানিনা একইভাবে সেই এস এম এস ফাঁদ। বাচ্চা ছেলে কৌতূহল বশে কল ব্যাক করে। শিক্ষক হলে এই ঝুকি পূর্ণ কল ব্যাক করার সময় একশবার চিন্তা করা উচিত। আমি শিক্ষক, আমার রেজাল্ট ভাল, আমি ভাল পড়াই... এটাই যথেষ্ট পরিচয় হতে পারেনা ছাত্রদের কাছে। আমার ব্যক্তিত্ব আর ধরন দিয়ে ছাত্রদের মাঝে শ্রদ্ধা ও অনুকরণীয় আদর্শ তৈরি করা শিক্ষকের পবিত্র দ্বায়িত্ব।
পৃথিবীতে মেয়ে মানুষের এত অভাব পড়েনি যে ব্যক্তিত্ব আর রুচি নষ্ট করে নিজের ক্লাশের ছাত্রী দেখে ঝুলে পড়তে হবে।
কে শোনে কিসের আদর্শের কথা? ওসব আদর্শের খাওয়া নাই নতুন প্রজন্মের কাছে। জীবনটা ছোট, তাই খাও দাও ফূর্তি কর। নিজের ক্লাশের ছাত্রীকে নিয়ে রিক্সায়, পথ ঘাটে, রেস্তোরায়। মোবাইল আর অপ্রকাশ্য যোগাযোগের কথা বাদই দিলাম। উচ্চশিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গামী বুয়েট স্নাতক। এমন পাত্রকে শিক্ষক ভেবে পিতার আসনে (অন্তত বড় ভাইয়ের আসনে) বসিয়ে শ্রদ্ধা করলে যে কত বড় লস, সেটা খানদানি বঙ্গ ললনারা ভালই জানে।কেউ দখল করে ফেলার আগে প্রেমিক/স্ত্রীর ভালবাসা দিতে অস্ত্রের অভাব হয়নি নারীদের। পুরুষরা কেবল অসহায় বলি, তথাকথিত অবলা এক নারীর কাছে ব্যক্তিত্ব আর সামাজিক মর্যাদা নাশ করে।
মশকরা করে ব্যাচ মেট রা যখন বলে, "তুইও শুরু কর, দেখ ভাল লাগে কিনা, বেছে নাও..."
আমি বলি ধরণী দ্বিধা হও..........
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৪
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: মনের রঙ দেখানোর জন্য ...প্রকাশের জন্য যথা স্থান আছে।
স্থান কাল পাত্র ভেদ জ্ঞান থাকাটা শিক্ষক কুলের জন্য ফরয কর্তব্য।
২| ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৫
নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: ভালো লাগলো্ এটাই হয়ত বাস্তবতা শিক্ষক সমাজের আসল চেহেরা।
সাহসী লেখার জন্য ধন্যবাদ। আর শিবির আর ধার্মিক শব্দ দুটি এক নয়।
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৯
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আমি শিবির কে খোটা দিয়েছি....."তুই না ধার্মিক..এটা কোন ধরনের ধার্মিতকা?"
তারা যেহেতু নিজেদের সেরা ধার্মিক মনে করে....কাজেই ধার্মিকতার প্রসঙ্গ তুলে শিবিরকে খোটা দেয়ার সুযোগ কে হারাতে চায় বলুন?
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:৫১
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ঢালাও ভাবে শিক্ষক সমাজকে হেয় করে বলা......."এটাই হয়ত বাস্তবতা শিক্ষক সমাজের আসল চেহেরা।"........বেশ অপ্রীতিকর শোনায়।
৩| ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:৫১
প্রীটি সোনিয়া বলেছেন: আপনার সাথে একমত....শিক্ষককে সবসময় শিক্ষকের স্থানেই রাখা উচিৎ.....শ্রদ্ধা ও সম্মানের চোখে দেখা উচিৎ....ভাল লাগলো।
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৩
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: কথাটা কে কাকে বুঝাবে ম্যাডাম? আপনিই বরং গুরু দ্বায়িত্বটা কাধে নিয়ে নারী প্রজাতির মাঝে সঠিক বুঝ দানের মেহনত করুন।
আমেন।
৪| ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৪
নেমেসিস বলেছেন: ঠিক করলাম আপনারে আর কমেন্ট করবো না । কেননা আপনি কমেন্ট মুছে ফেলেন ।
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৭
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: বিগ ম্যান নেমেসিস,
কখন, কোন পোস্টে মুছলাম একটু বলবেন কি? কারো ব্যক্তি আদর্শ নিয়ে গায়ে পড়ে মারামারি, গালাগালি করাটা আমি পছন্দ করিনা। নির্বিবাদী থাকি, থাকতে চাই।
আপনার আমেরিকা যাওয়া কতদূর? ভিসা হয়েছে?
৫| ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৬
নূহান বলেছেন: ভালো লাগলো্।
আর শিবির আর ধার্মিক শব্দ দুটি এক নয়।
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৯
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আমাকে নতুন করে শিবির চিনাতে হবেনা। পয়লা বৈশাখে দেখলাম হালকা শ্মশ্রুধারী শিবিরের পোলা মেয়েদের হাত ধরে রঙ নকশা একে দিচ্ছে। আড়ালে ডেকে চার্জ করলাম।
"তুই না ধার্মিক..এটা কোন ধরনের ধার্মিতকা?"
তারা যেহেতু নিজেদের সেরা ধার্মিক মনে করে....কাজেই ধার্মিকতার প্রসঙ্গ তুলে শিবিরকে খোটা দেয়ার সুযোগ কে হারাতে চায় বলুন?
৬| ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:০০
যূঁথী বলেছেন: হুমম। বুঝলাম। অনেকাংশেই সহমত পোষণ করছি তবে একটা কথা না বললেই নয় - ব্যক্তিত্ব যেন এতটাই স্ট্রং না হয়ে যে আপনার স্টুডেন্টরা আপনার কাছে ঘেঁষতে ভয় পায়। সবচেয়ে বড় কথা - একজন শিক্ষকের সবসময় "ফ্রেন্ড" এবং "ফ্রেন্ডলি" এ দু'টোর মাঝের যে স্পর্শকাতর দেয়ালটি আছে তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া। ব্যক্তিত্বের প্রকাশ করতে "কিম্ভুতকিমাকার জঙ্গলি দানবীয় মূর্তি"র ন্যায় দর্শণ ধারনের যুক্তিকতা কত খানি তা আমার চেয়ে হয়ত আপনিই ভাল বুঝবেন শিক্ষক হিসেবে। শুভ কামনা রইল।
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:০৬
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: "কিম্ভুতকিমাকার জঙ্গলি দানবীয় মূর্তি................এটা স্রষ্টা প্রদত্ত ......আমার হাত নেই নিজের কুদর্শন সংশোধন করার।
একজন শিক্ষকের সবসময় "ফ্রেন্ড" এবং "ফ্রেন্ডলি" এ দু'টোর মাঝের যে স্পর্শকাতর দেয়ালটি আছে তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।
............ভাল বলেছেন। কিন্তু দেয়ালটা এতটাই স্পর্শকাতর, হেসে হেসে বিদ্যা দান করতে গিয়ে, সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য এসব নোংরামির পথ উন্মুক্ত হবার বিশাল ঝুকি আছে।
বয়স্ক শিক্ষকদের জন্য বন্ধু ভাবাপন্ন হবার কাজটা সহজ। ব্যাচেলর যুবক শিক্ষকদের অনেক মেপে মেপে চলতে হয়। কারণ টা আপনি আমার চেয়ে ভাল বুঝবেন।
৭| ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৮
হিমু রুদ্র বলেছেন: শিক্ষকতা পৃথিবীর সবচাইতে মহৎ পেশা - এটা আমি বিশ্বাস করি কারণ - আমি এ জীবনে আমার সমস্ত শিক্ষকদের কাছে ঋণী। তবে যে বিষয়টা আপনি সাঈদ- তুলে ধরেছেন, সেটা নতুন কিছু না... পুরাতন বিষয়। ধার্মিক নামধারী ব্যক্তিরা যদি অবাধে পাপকাজ করে যেতে পারে তাহলে শিক্ষক নামধারী অমানুষেরা বসে থাকবেন ক্যানো ? অনেক ঘটনা শুনেছি, দেখেছি, এখনও দেখছি - শিক্ষকদের অপকর্ম নিয়ে ! তবে সেটা সংখ্যায় নগণ্য কারণ পৃথিবীতে এখনো আদর্শ শিক্ষক আছেন।
কিছু প্রাইভেট শিক্ষক ( ! ) দের কাজই থাকে ছাত্রীদে পটানো অতঃপর প্রেম এবং আরো অনেককিছু...
এইসব অমানুষ এবং তথাকথিত শিক্ষকদের চরিত্র সম্পর্কে অবগত থাকা উচিত এবং এদের সম্পর্কে সতর্ক অবশ্যই হতে হবে !
আপনার পোস্টটা ভালো লেগেছে।
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:০২
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ধন্যবাদ। শিক্ষক রাও মানুষ....আর অবিবাহিত জুনিয়র শিক্ষক গণ...বুঝেনই তো বয়সের দোষ কাটেনি......সারা জীবন আতলামি করে শেষে ছাত্রীর হাতে বোল্ড........
৮| ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:০৪
নাজিরুল হক বলেছেন: দিন বদলের পালা...
রক্ষক যখন ভক্ষক। কথাটা ঠিক ভাবে মানতে পারিনাই যখন কেউ এসে প্রশ্ন করলো, তুমি কি মনে করো, অমুক শিক্ষক নাকি ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে?
কিছুই বলতে পারি নাই। তয় আপনার বর্ননার প্রেক্ষিতে ভক্ষক হিসেবে মানা যায়।
৯| ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:০৬
নেমেসিস বলেছেন: এর আগের পোস্টটে ।
আমেরিকা যাওয়া নিয়েই দ্বিতীয় কমেন্টটা করেছিলাম ওখানে । পরে দেখি ওটি শ্রেফ উধাও । অথচ বাগ কেস ছিল না কেননা আমি স্বাক্ষি ।
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:১১
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আমি যদি বলি আমি ওটা পড়িও নি, ডিলিট ও করিনি। বিশ্বাস করবেন?
কারণ আপনার আমেরিকা যাবার ব্যাপারে আগের পোস্টে মন্তব্য টা জানলে এই পোস্টে আবার ঔ মন্তব্য টা করতাম না।
আমার চোখে পড়ার আগে কিভাবে উধাও হল দুঃখিত বলতে পারছিনা।
আপনার সাথে আমার ঈষৎ সখ্যতা ছাড়া কোন শত্রুতা নেই, ভুল বুঝবেন না আশা করি।
১০| ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:০৬
স্পাইডারওয়েব বলেছেন: চাদেঁরও কলঙ্ক আছে! হাতেগোনা কয়েকজনের জন্যতো সব শিক্ষক দোষী না!
১১| ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:১২
অহনা বলেছেন: ছাত্রীদের জন্য ইয়াং টীচার চুজ করা খুবই যুক্তি যুক্ত। প্রেমকে আমি অপরাধের তালিকায় ফেলি না। অন্যায় কিছু করেছে কি না? যেমন...
যেমন সম্প্রতি একটা নিউজ বেরিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষকের বিরেুদ্ধে ছাত্রীকেলেঙ্কারির তথ্য। এটাই অনুচিৎ। অসৎ উদ্দেশ্যে ....
প্রাইভেট ভাসির্িটি বলে প্রাইভেট ভার্সিটির সবার গায়ে কাদা না মাখিয়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামটা বলতে পারলে লেখাটা দুঃসাহসিক হতো।
আধা শিবির কী জিনিষ?
ধার্মিকের সংজ্ঞা কি?
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:২১
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আধা শিবির মানে শিবিরের সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিশ্বাসের সাথে পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতা আছে।
ছাত্রীদের জন্য ইয়াং টীচার চুজ করা খুবই যুক্তি যুক্ত। প্রেমকে আমি অপরাধের তালিকায় ফেলি না।
..............হা হা হা হা.........ব্লগার বাসী এনাকে চিনে রাখুন, নতুন মৎসকন্যা জালে ধরা পড়েছে।ছাত্রীরা প্রেমের আহবান করলে দোষ না, শিক্ষক রা করলেই সেটা আপনার দৃষ্টিতে কেলেঙ্কারি আর অসৎ উদ্দেশ্য.......!!!!!!!!!!!!
আধা শিবির আর ধার্মিকের সঙজ্ঞা চাওয়া ঢং দেখেই বুঝা যায়, আপনিও তাদের দলে, আতে ঘা লেগেছে........প্রেমকে আমি অপরাধের তালিকায় ফেলি না।
দেখেন আপনার কোন ধার্মিক শিক্ষককুলের কাউকে প্রেমের ফাদে ফেলতে পারেন কিনা। দুনিয়া ও আখিরাতের বহুত ফায়দা হবে।
শুভ কামনা রইল।
১২| ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:২৫
নেমেসিস বলেছেন: ঠিকাছে । নো মোর হার্ড ফিলিংস । মে বি সামহোয়ার নতুন কোন বাগ এ আক্রান্ত । অন্য আরেকখানেও একই ঘটনা ঘটলো দেখলাম ।
আমি আপনার লেখা ফলো করি । যাই হোক একটা ব্যাক্তিগত তথ্য লিখেছিলাম ঐ হারিয়ে যাওয়া কমেন্টটায় । যা আর লিখত ইচ্ছে হচ্ছে না। ইফ আই গেট ইউর মেইল আইডি দেন আই ক্যান রোট দ্যাট থিং এগেইন । এত কথা বললাম কেননা আরেকটি পোস্টটে আপনি আমাকে ঈষৎ ভুল বুঝে আছেন ।
দুঃখিত এতগুলো অপ্রাসংগিক মন্তব্য লিখার জন্য ।
১৩| ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:২৭
নামহীন মানব বলেছেন: ভাল লাগল। আমার এক বন্ধুর কাহিনী আছে। যেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছে সেখানেই শিক্ষকতা করছে। সম্প্রতি বিয়ে করেছে আমাদের এক শিক্ষিকাকে। আমরা যখন ছাত্র তখন তিনি আমাদের শিক্ষিকা ছিলেন। এটাও এক আধা শিবিরের কাহিনী। সময় পেলেই ব্লগে পোষ্ট করবো।
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৩
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: কলিগ কে বিয়ে করা বা প্রেম করাটা ছাত্রী নিয়ে ঘুরার মত গর্হিত অপরাধ না।
কিন্তু নিজের শিক্ষিকাকে বিয়ে(বয়সে কত বড়?)....সারছে...পোস্ট টা লিখে অবশ্যই আমার পোস্টে একটা লিংক পাঠাবেন।না হলে চোখ এড়িয়ে যেতে পারে।
মানুষের জাত প্রকার জানতে হবে।
১৪| ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৭
সাঁঝবাতি'র রুপকথা বলেছেন: আমি এতক্ষন পরেও বুঝতে পারলাম না শিক্ষক এর সাথে ছাত্রী প্রেম করলে এতে অন্যায় এর কি আছে...?দুজনেই মানুষ...কোনো নিয়ম আছে শিক্ষক ছাত্রী প্রেম করা যাবে না?শিক্ষক দের ম্যানুয়ালে?আমি ঠিক জানি না...
নাকি "আঙ্গুর ফল টক কাহিনি" মিয়াভাই?
১৩ ই মে, ২০০৮ রাত ৯:২৩
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ভাইজান, কোথায় মাস্টারি করান?
শিক্ষক যতদিন ছাত্রী পড়াবেন ততদিন, শিক্ষকতার বাইরে একজন স্টুডেন্টকে বউ, প্রেমিকা, ফ্রেন্ড বিবিধ আঙ্গিকে দেখা কোন রুচি বোধের মাঝে পড়ে? আপনার রুচির তো তারিফ করতে হয় মশাই। স্টুডেন্ট 'মেয়ে' এবং 'আকর্ষণীয়' এবং 'কামনার জিনিস', এধরনের অসুস্থ বিকার মনের মধ্যে থাকলে আর যাই হোক বিদ্যা দান ও বিদ্যার ন্যায় মূল্যায়ণ করা সম্ভব নয়।
আমার ফল কতটুকু টক সেটা আমার ব্লগ ঘুরলেই টের পাবেন।
১৫| ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৬
বহুরূপী মহাজন বলেছেন: প্রাইভেটের কথা কি বলবো, পাবলিকেই যা অবস্থা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও এখন এসব দেখি। সবার জন্য শিক্ষকতা না, তাই যারা শিক্ষক হতে চায় তাদের সে ধরণের মনমানসিকতা থাকা দরকার। কিছু মেয়ে আছে, যদিও সংখ্যায় অল্প, যারা নিজেদের সুবিধার জন্য হেন কাজ নেই যে করতে পারে না। এরা সবজায়গাতেই এক রকম চরিত্র ধারণ করে, শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা কি বলবেন। তেমনি কিছু শিক্ষক আছে যাদের শিক্ষক হবার নৈতিকতাটুকু নেই।
১৬| ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৭
হ্যারি সেলডন বলেছেন: বহুরুপী'র সাথে একমত। তবে প্রাইভেটগুলো এদিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। পোস্ট ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ।
১৭| ১৩ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬
শতভাগ হতবাক বলেছেন: Click This Link পড়ুন।
ছাত্রীর সাথে প্রেম করেছে? ছিঃ ছিঃ ছিঃ আধা শিবির!
(ফুপাতবোনের মেয়ে)ভাগ্নির সাথে প্রেম করছে এক প্রগতিবাদী ছাত্র-নেতা(হলসভাপতি) । এসব হচ্ছেটাকি?
১৮| ১৩ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩
শতভাগ হতবাক বলেছেন: আধা শিবির বলেকি বুঝাতে চাইছেন যে, এসব মন্দকাজ আধা শিবিররা করে, ফুল শিবির হলে করত না?
আপনার কথার মারপ্যাচে শিবিরের গন্ধ পাচ্ছি।
আমরাতো শিবির চিনি, আধা শিবির চিনি না। আপনি শিবির বললেই হতো । আধা শিবির বলে শিবিরের পক্ষেই কথা বললেন না?আবার অপরাধও বের করলেন এমন একটি যাকে অনেকে অপরাধই মনে করেন না। আজকাল বাবা মারাও উৎসাহ দেন, প্রেম করলে যেন কোনও ভদ্র টিচারের সাথে করে, রিক্সা বা ঢা.বির বাসের হেল্পারের সাথে না করে। অর্থাৎ যখন অন্যরা স্যার কামালরা ছাত্রী কেলেঙ্কারীতে জড়িত শিবির তখন মাত্র এসএমএস প্রেম করছে ছাত্রীর সাথে।
শিবির সম্পর্কে এমন সুধারণা এমন সুন্দর কৌশলে শিবির ছাড়া আর কে দিতে পারে?
সাহস থাকলে সত্যিকারের নামধাম মোবাইল নাম্বার ও অ্যাড্রেস দিন দেখুন প্রমাণ করে দিচ্ছি আপনি শিবির না আধা শিবির!
১৩ ই মে, ২০০৮ রাত ৯:৪২
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আজকাল বাবা মারাও উৎসাহ দেন, প্রেম করলে যেন কোনও ভদ্র টিচারের সাথে কর..........সাধু সাধু......একালের বাবা মা দের ব্যাপক উন্নতি দেখছি। প্রেমের কথা বলবেন আবার ছেলের টাকা পয়সা, ঢাকায় গাড়ি বাড়ি খুজবেন, প্রেমের সঙজ্ঞা তো ভালই জানেন ভাই।
আপনার বোন তার শিক্ষকের সাথে প্রেম করবে ভাল কথা, লেখা পড়ার পাট চুকিয়ে ফেলুক তার পর প্রেম করতে বলুন। নচেৎ, শিক্ষক সম্প্রদায়কে কলঙ্কিত/ বিতর্কিত করার মানে নাই। আপনার বউ/প্রেমিকা আপনার ক্লাশের ছাত্রী........ব্যাপারটা কেমন অস্বস্তিকর না?
আপনার কথার মারপ্যাচে শিবিরের গন্ধ পাচ্ছি।...............
...........ধন্যবাদ। আপনাকেও চিনতে পেরেছি। আমার আগের পোস্ট গুলো পড়ে দেখুন আমি শিবিরের কতটা গোড়া সমর্থক।
আপনার আতে ঘা লাগায় সমবেদনা দিচ্ছি। যার সাথে ৭/৮ বছরের উঠা বসা, তাকে সার্টিফাই করতে আমি যথেষ্ট, আপনার ইনভেস্টিগেশনের প্রয়োজন নাই।
১৯| ১৩ ই মে, ২০০৮ রাত ৯:০৪
মৃদুল মাহবুব বলেছেন: দুজন যদি তাদের সম্মতিতে পরস্পরের প্রেমে পড়ে তবে দোষ কোথায়? ছাত্রী শিক্ষক বা শিক্ষীকা ছাত্র হলে দোষ কোথায় যদি উভয়ই রাজি থাকে? প্রেম প্রেমই। স্রেফ প্রেম।
এখন শিক্ষক যদি তার ছাত্রীর সাথে সম্পর্কে না জড়িয়ে পাশের বাসার ভাবির সাথে বা আরও আরও অন্য কারও সাথে প্রেমে জড়ান তবেই বা কি? একইতো হলো।
"প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে কে কোথায় ধরা পড়ে কে জানে।"
কথা হলো দায়িত্ব। দায়িত্ববোধে যদি কোন অবহেলা শিক্ষকের না থাকে তবে আমরা তার ব্যক্তি জীবনে যাবো না। এটাই হয়েতো শোভন, নয় কি?
১৩ ই মে, ২০০৮ রাত ৯:৩০
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ভাইজান, কোথায় মাস্টারি করান?কতটুকু দ্বায়িত্ববোধ থেকে ছাত্র পড়ানোর অভিজ্ঞতা আছে আপনার? শিক্ষকের দ্বায়িত্ব আর মর্যাদার ব্যাপারে নূন্যতম ধারণা থাকলে অন্ধের মত এমন মন্তব্য করতেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার সাথে গ্রামের জায়গীর শিক্ষক কালচার এক করতে আসবেন না।
শিক্ষক যতদিন ছাত্রী পড়াবেন ততদিন, শিক্ষকতার বাইরে একজন স্টুডেন্টকে বউ, প্রেমিকা, ফ্রেন্ড বিবিধ আঙ্গিকে দেখা কোন রুচি বোধের মাঝে পড়ে? আপনার রুচির তো তারিফ করতে হয় মশাই। স্টুডেন্ট 'মেয়ে' এবং 'আকর্ষণীয়' এবং 'কামনার জিনিস', এধরনের অসুস্থ বিকার মনের মধ্যে থাকলে আর যাই হোক বিদ্যা দান ও বিদ্যার ন্যায় মূল্যায়ণ করা সম্ভব নয়। অন্য ছাত্ররা বিদ্যার সঠিক মূল্যায়ণ থেকে বঞ্চিত হবে।
নারী-পুরুষ ভেদেবুদ্ধির উর্ব্ধে থেকে তরুণ শিক্ষক একজন স্টুডেন্ট কে মূল্যায়ণ করবে এটাই কাম্য। এক্ষেত্রে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি দুর্বলতা বশত ব্যতিক্রমই হল অন্যায় আর অবিচারের কারণ, যেটা অহরহই ঘটছে।
আমার ফল কতটুকু টক সেটা আমার ব্লগ ঘুরলেই টের পাবেন।
২০| ১৩ ই মে, ২০০৮ রাত ৯:০৯
মৈথুনানন্দ বলেছেন: please grow up...
১৩ ই মে, ২০০৮ রাত ৯:৪৪
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: দোয়া করেন ভাই দোয়া করেন। পারলে মিলাদ দেন আমার জন্য। বন জঙ্গল ছেড়ে যেন আপনাদের ম্যাচ্যুরড দের প্রেম কাননে গা ভাসিয়ে আমোদ করতে পারি। আমেন।
২১| ১৩ ই মে, ২০০৮ রাত ৯:৫১
অনর্গল বলেছেন: শিক্ষাদানের পেছনের উদ্দেশ্যটা ছাত্রীর সাথে প্রেম করা হয়ে থাকলে তা মানা যায় না। একজন আদর্শ শিক্ষক হয়ে থাকলে ছাত্রী সম্মানজনক দূরত্ব রাখবে তা আশা করা যায়। তারপরও শিক্ষক বেচারা একটা ছাত্রীর প্রেমে মনের অগোচরে পড়ে গেলে তাকে রীতিমত অচ্ছুৎ করা কি ঠিক? আর সবার মত তারও কাউকে ভাল লাগার অধিকার আছে।
১৩ ই মে, ২০০৮ রাত ১০:০৫
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: অধিকার আছে বৈকি। তবে তা অবশ্যই পড়াশোনার পাট চুকানোর পরে, ছাত্রীকে প্রেমিকা সাজিয়ে শ্রেণী কক্ষে অপরাপর সহপাঠীদের সাথে শিক্ষাদানের ব্যাপারটা অস্বস্তিকর মানবেন আশা করি।
২২| ১৩ ই মে, ২০০৮ রাত ১০:১১
মাইনুল বলেছেন: আধা শিবির নামে কিছু শিবিরের অভিধানে নেই। তাই বুঝা যাচ্ছে আপনার নিয়ত খারাপ। আপনি আসলে আপনার কলিগের উপর জেলাস। আপনাকে কোন নারী পাত্তা দিলনা তাই এই ধরনের একটা প্রবন্ধ লিখে ফেললেন। আর আধা শিবির লেবেল টা লাগিয়ে দিলেন হিট পাবার জন্য।
১৩ ই মে, ২০০৮ রাত ১০:১৮
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আপনার মুখোশ উন্মোচিত হবার কারণে সমবেদনা জানাচ্ছি।
এই সাঈফ শেরিফ নারী প্রজাতির জন্য লালায়িত নয়, কোন প্রকার 'এ টীমে'র চাদার পয়সা খেয়ে শিবিরের বিরুদ্ধে লিখেনা। নিজের খায়, নিজের পরে, ঘর-সংসার বাধার স্বপ্ন দেখেনা।
ঝোকের বশে, মগজ ধোলাই হয়ে, না বুঝে শিবিরের সাথে পরোক্ষ সহচার্য, সহায়তা রাখে বা করে তারাই আধা শিবির, আপনাদের ভাষায়..."শিবির সমর্থক"।
২৩| ১৩ ই মে, ২০০৮ রাত ১০:১৭
বিবর্তনবাদী বলেছেন: বুঝলাম ভাই সবই হাচা কথা!!! কিন্তু ছাত্রী যদি সেই রকম!! হয়, তখন খানিকটা ব্যতিক্রমে চললেও সমস্যা নাই। আফটার অল, সুযোগ সব সময় আসে না।
১৩ ই মে, ২০০৮ রাত ১০:২১
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: দাতে দাত চেপে সংবরণ করতে হইবেক। আগে মেয়ে পড়াশোনা শেষ হউক, আপনার ছাত্রী দায়ভার হতে মুক্ত হউক, তারপরে দেখা যাবে।
এর মাঝে তার অযোগ্য কোন সহপাঠী যদি দখল করে ফেলে তো পোস্টের এই লেখাটা আবার উল্লেখ করছি.......
পৃথিবীতে মেয়ে মানুষের এত অভাব পড়েনি যে ব্যক্তিত্ব আর রুচি নষ্ট করে নিজের ক্লাশের ছাত্রী দেখে ঝুলে পড়তে হবে।
২৪| ১৩ ই মে, ২০০৮ রাত ১০:২৯
মৃদুল মাহবুব বলেছেন: জনাব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,
আপনি আমাকে ছাত্র ভাবতে পারেন না। আপনার উত্তরের অ্যাপরোচ আমার ভালো লাগে নাই। নিজেকে একটা উচু অবস্থানে বসিয়ে জ্ঞান দান এবং সেরূপ জ্ঞান গ্রহনে আমি প্রস্তুত না। আপনি একটা বিষয়কে খুব সিম্পল করে ফেলেছেন। তা হলো শিক্ষকের সাথে ছাত্রীর প্রেম হতে পারে না। খুব সাধারণ বলবো আপনার এই অতি আদর্শবাদী ধারণাকে।
আপনার কথা ধরে কথা বলা যেতো। তবে তা আপনার পছন্দ না। আর আমারও পছন্দ না এভাবে শুধু আলোচনা শোনা। ধন্যবাদ।
১৩ ই মে, ২০০৮ রাত ১০:৪০
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: দেখে ত আপনাকে তরুণই মনে হয়। 'ছাত্রী' প্রজাতির ব্যাপারে তরুণ শিক্ষকদের দুর্বলতা বশত অধিক নম্বর প্রদানের ঘটনা তো বলাই হল না। প্রেম হতে পারে। কিন্তু একই সাথে ক্লাশে বিদ্যা দান আর বাইরে প্রেম সমান্তরালে চলাটা আমার কাছে অরুচিকর।
পারলে অন্য ভার্সিটির মেয়ে দেখুন, সমস্যা নাই। কিন্তু শিক্ষক প্রজাতিকে বিতর্কিত বা কলঙ্কিত করবেন না সমাজের কাছে দয়া করে।
আপনার মুক্ত পৃথিবী নিয়ে আপনি সুখি হউন।
২৫| ১৪ ই মে, ২০০৮ সকাল ৯:৪৬
সাঁঝবাতি'র রুপকথা বলেছেন: ভাই,আমি মাস্টারি করাই না...তবে আপনার ধ্যান ধারনা শুনে খুব অবাক লাগছে...ক্লাস এ বসে ক্লাস টাইম এ প্রেম করতে হবে এইটা আপনাকে কে বলছে...?শিক্ষকদের পারসোনাল লাইফ বলে কি কিছু থাকতে নেই?
আপনি নিজের ভার্সিটির ছাত্রী দের সাথে প্রেম করবেন না কিন্তু অন্য ভার্সিটির ছাত্রী দের সাথে ঠিক ই প্রেম করবেন এটা কোন লজিক এ পড়ে? কেন,ওরা কি ছাত্রী না? আপনার সরাসরি না হোক কিন্তু ছাত্রী তো...
আপনি শিক্ষক...শিক্ষক দের মন থাকবে বড়...উদার...
আপনার ছাত্র ছাত্রী দের কথা ভেবে মায়া লাগছে...
বেচারারা...বেচারিরা...
২৬| ১৫ ই মে, ২০০৮ সকাল ৮:২৯
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: শিক্ষকদের প্রেম করা নিষেধ নাকি?
১৫ ই মে, ২০০৮ সকাল ৮:৩১
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: পুরো পোস্ট এবং কমেন্ট গুলো পড়ে দেখুন আগে। তারপর প্রশ্ন করুন।
২৭| ১৫ ই মে, ২০০৮ সকাল ৮:৩৫
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: আপনি এত আক্রমনাত্বক কেন? আমি কি কোন ভুল করে ফেলেছি? ভুল করে থাকলে সরি। আপনার জবাবটা আমার কাছে বড় রুড লেগেছে। হয়ত আমার বোঝার ভুলও হতে পারে। আসলে অভ্যস্ত নই তো এমন ব্যবহারে।
সরি।
১৫ ই মে, ২০০৮ সকাল ৮:৪১
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আপনার প্রশ্ন করার ধরনটার চেয়ে প্রশ্নটাই আমার কাছে অফেন্ডিং মনে হয়েছে। পুরোটা না পড়েই হুট করে যে কমেন্ট করেছেন তার উত্তর সবাইকে একবার করে দিতে দিতে ক্লান্ত। কারণ পোস্ট বা কমেন্ট গুলো পড়ার সময় পায়না কেউ।
যাই হোক, যারা আমাকে চিনে তারা আমার প্রশ্ন ও কথার ধরনের সাথে পরিচিত ও অভ্যস্ত, তারা কিছু মনে করেনা। আমি রাগ করে বলিনি কিছু আপনাকে, মনে কিছু রাখবেন না। আমার সহজাত ধরনটাই এমন। পারলে ক্ষমা করবেন এ অধম কে।
২৮| ১৫ ই মে, ২০০৮ সকাল ৮:৪৯
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: যা হোক। দোষটা আমারও ছিল। আপনার হয়ত অতীতে উটকো প্রশ্ন শোনার বাজে অভিজ্গতা আছে, সেজন্য আপনি এমন করেছেন।
আমি আসলে সবটুকুই পড়েছিলাম। মৃদুল মাহবুব এর জবাবে আপনার উত্তরগুলো আমার কাছে যথেষ্ট আক্রমনাত্বক বলৈ মনে হওয়াতেই আমি প্রশ্নটা ওমন অসুন্দরভাবে করেছি। আমি আপনার ধৈর্য্যশীল জবাব আশা করেছিলাম, পরবর্তীতে হয়ত এ বিষয়ে আলোচনা করা যেত। কিন্তু যাই হোক তা আর হল না।
আপনার নতুন কোন পোষ্টে কথা হবে।
ভাল থাকবেন।
২৯| ১৫ ই মে, ২০০৮ সকাল ৯:০১
রাগিব বলেছেন: হুম। শিক্ষক হওয়ার পর ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে প্রেম প্রচন্ড অনৈতিক একটা ব্যাপার। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এরকম ক্ষেত্রে সাধারণত নৈতিক স্খলনের দায়ে শিক্ষককে বরখাস্ত করার রীতি দেখা যায়। আপনার বন্ধুর নীতিবোধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়নের সাথে একমত।
১৫ ই মে, ২০০৮ সকাল ৯:২৭
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ধন্যবাদ গুরুদেব।
৩০| ১৫ ই মে, ২০০৮ সকাল ৯:০৫
আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: একপেশে হইয়ে গেল ব্যাপারটা।
৩১| ১৫ ই মে, ২০০৮ সকাল ৯:১০
হটডগ বলেছেন: হয় প্রেম না হয় শিক্ষকতা; প্রেম যদি অনিবার্য্য কারনে শুরু হয়েই যায়, সাথে সাথে শিক্ষকতা থেকে সরে গিয়ে প্রেমিকের আসনে বসা উচিত। দুই ভুমিকায় থাকা নৈতিকতা বিরোধী। একমত।
৩২| ১৫ ই মে, ২০০৮ সকাল ৯:৩৫
অ্যামাটার বলেছেন: আপনার সাথে একমত নই,
আপনি বারে বারে খোঁড়া যুক্তি দিয়ে বেপারটাকে অনৈতিক,রুচিতে বাঁধে--এসব বিশেষনে ভুষিত করছেন,
ভেবে দেখুন, আপনার স্ত্রী(যদি বিবাহিত হন) যদি আপনার ছাত্রী হোতেন, তাহলে আপনাদের সম্পর্কটা হত আজকে অবৈধ,অনৈতিক?আপনার কি তাহলে নৈতিক স্খলন ঘটত না?
অথচ ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে ডিফাইন্ড করেই দেওয়া আছে, কোন কোন সম্পর্ক সঠিক আর কোন টা অনৈতিক,
সেখানে আপনি এসেছেন নয়া থিওরি নিয়ে!!
১৫ ই মে, ২০০৮ সকাল ৯:৪৬
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: যতগুলো সহমত/ একমত পেলাম, তার চেয়ে দ্বিগুণ মাইনাস পড়েছে দেখছি। ভালই। কিছুটা হলেও শিবিরের আক্রমণ।
ছাত্রী পড়াতে গিয়ে, বিদ্যা দানের লক্ষ্য নিয়ে প্রেম করাটা আমার কাছে অন্যায় মনে হয়। যদি ভাল লেগেই যায় তাহলে ঐ মেয়েকে তার প্রাতিস্ঠানিক বা প্রথাগত বিদ্যা দান থেকে বিরত রাখুন। শিক্ষক হিসেবে দায়ভার থেকে মুক্ত হয়ে বিয়ে করুন।
ছাত্রীকে পাঠদান শেষে বিয়ে করবেন ভাল কথা। বিদ্যা দান আর প্রেম সমান্তরালে চালিয়ে শিক্ষক প্রজাতির কেমন ভাবমূর্তি আশা করেন আপনি। বিয়ের পর বাচ্চারা জানবে তাদের বাবা ছাত্রীর সাথে প্রেম করার মত রুচি রাখে..যার ফসল আজকে তাদের মা। ভালই।
তরুণদের কথা বাদই দিলাম। পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয়ের বুড়া শিক্ষকরাও যে ছাত্রীর সাথে পরকিয়া কেলেঙ্কারি তে যুক্ত, সেই সব কাহিনী জানা আছে? বাংলাদেশেই....শেষ মেশ আগে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে অল্প বয়সী ছাত্রীকে বিয়ে করেছে।
কোথায় শিক্ষাদানের এথিক্স, কোথায় শিক্ষকের মর্যাদা, কোথায় রুচিবোধ...হা কপাল!!!
৩৩| ১৬ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৪
প্রচেত্য বলেছেন:
শিক্ষক - ছাত্রী : পুরো ব্যপারটিই একটি অসমান্তরাল সামঞ্জস্যহীন সম্পর্ক মনে হয়
সম্পর্ক বলতে বিশেষত মোহ কিংবা উচ্চাভিলাষের আকর্ষণবোধ
পিতা-মাতার পরই শিক্ষকের স্থান, অবশ্যই তাদের সম্মান তাদেরকেই রাখতে হবে
৩৪| ১৭ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:১৪
মুনিয়া বলেছেন: অনেক আলোচনা দেখলাম।
আসলেও ব্যাপারটা অন্যদের চোখে খারাপ দেখাবে। কিন্তু তরুণ শিক্ষক যদি ভাললাগার মত হন, তাহলে তার প্রেমে পড়া খুবই সম্ভব। তবে সঙ্গত কারণেই অন্য কাপলদের মত তাদের ডেটিংটা দৃষ্টিকটু।
যদি এরকম প্রেমে পড়ার ব্যাপার ঘটেই যায়, সেটা যতটা সম্ভব গোপন রাখাই বেটার মনে হয়। এমনকি শিক্ষক যদি নীতির ব্যাপারে স্ট্রং হন, মার্ক্স ডিস্ট্রিবিউশানে এই প্রেমের প্রভাব নাও পড়ে, তবু অন্যদের ধারণায় সেটা হতে থাকবে। এজন্য ব্যপারটা হিডেন থাকাই ভাল।
টিচার স্টুডেন্ট কাপলের জন্য সমবেদনা (যারা সত্যি ভালবাসেন)
অবশ্য উদ্দেশ্য নিয়ে প্রেম করা বা টিচারের নিজের অবস্থানের সুযোগ নেওয়া- এটা তো হয়ই।
কি আর করা, কিন্তু তাই বলে সবাইকে এক পাল্লায় মাপা ঠিক না। জেনুইন লাভারসও থাকতে পারে এইরকম।
৩৫| ১৭ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:৩৮
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আমি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
আমি বিবাহিত এবং আপনার দৃষ্টিতে নৈতিক ও নিরাপদ জীবনযাপন করছি; মানে কোনো ছাত্রীকে বিয়ে করিনি, ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমও করিনি।
কিন্তু কোনো শিক্ষক যদি কোনো ছাত্রীর প্রেমে পড়েন, সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয় বলে মনে করি। আর যদি প্রেম করেন সেটাও শেষ পর্যন্ত আমার কাছে দোষের কিছু নয়। প্রশ্ন হলো এর সূত্র ধরে কোনো অনৈতিকতার জন্ম নিচ্ছে কিনা। যেমন নম্বর বেশি পাওয়া, এর সুযোগে যৌনহয়রানি ইত্যাদি।
শুধু তরুণ অবিবাহিত শিক্ষক কেন, বুড়ো শিক্ষকও মেয়ের বয়েসী ছাত্রীর প্রেমে পড়তেই পারেন।
তবে প্রেমে পড়া এবং প্রেম করার মধ্যে অনেক ব্যবধান। দুপক্ষকেই রাজি হতে হবে, এবং এই জায়গায় বহু পড়া ঝরে যেতে পারে, করায় রূপান্তরিত নাও হতে পারে। আর সর্বপ্রথমে শিক্ষকই হয়তো প্রেমভাবনাকে অবদমনের চুলোয় নির্বাসন দিতে পারেন।
আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে প্রেমে পড়াটাও শিক্ষকের জন্য বিরাট অপরাধ। এবং এটা খুব এবনরমাল একটা বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শিক্ষককে তাহলে কেবল মগজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হবে, মন ও সেক্সুয়াল সেল্ফকে তার বউ বা মায়ের আঁচলে বেঁধে আসতে হবে।
শিক্ষক হিসেবে আপনাকে বেশ আনফ্রেন্ডলিও মনে হচ্ছে।
১৭ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:৫১
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: শুধু তরুণ অবিবাহিত শিক্ষক কেন, বুড়ো শিক্ষকও মেয়ের বয়েসী ছাত্রীর প্রেমে পড়তেই পারেন। ........
............অতি সম্প্রতি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজনের ঘর ভাঙ্গল এই দোষে....বুড়ো বয়সের এই ভীমরতি কে আপনি সমর্থন করছেন? আপনিও কি এমন কিছু ঘটানোর আশংকা রাখেন নাকি?
আমি বিবাহিত এবং আপনার দৃষ্টিতে নৈতিক ও নিরাপদ জীবনযাপন করছি; মানে কোনো ছাত্রীকে বিয়ে করিনি, ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমও করিনি।
...আপনাকে আমি শুরু থেকেই শ্রদ্ধা করি।
তবে প্রেমে পড়া এবং প্রেম করার মধ্যে অনেক ব্যবধান।
....সহমত। প্রেমে মানুষ পড়তেই পারে, তাই বলে একজন শিক্ষক তার ছাত্রীকে কোন দৃষ্টিতে বা রুচিতে দেখলে প্রেমের কথা আসতে পারে বলবেন কি? সেটা কি চেপে যাওয়াই শিক্ষক কুলের জন্য সম্মানজনক নয়? দরকার কি শিক্ষকতা কালে ছাত্রিকে প্রেমের কথা জানিয়ে নিজেকে বিতর্কিত করার?
বউ, ছাত্রী, মা........তিন জনের সাথে সম্পর্কটা বন্ধুত্বপূর্ণ হতে হবে বুঝলাম। তবে পরিধি আর গভীরতার তফাত গুলো নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন।
শিক্ষক হিসেবে শুধু না, মানুষ হিসেবেও আমি অবন্ধুত্ব সুলভ, অসামাজিক। কাজের চেয়ে বেশি কথা বলতে ভাল লাগেনা।
৩৬| ১৭ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:৩১
প্যাঁচনাই বলেছেন: বর্তমানে অনেক শিক্ষকের কাজই হল লুচ্চামি করা আর খেলাধূলা করা।
৩৭| ১৭ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:৪০
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: @মুনিয়া, প্রেমে পড়াটা আপনার কাছে লজ্জা বা গর্হিত অপরাধ কর্ম মনে হচ্ছে যে বললেন,.... যদি এরকম প্রেমে পড়ার ব্যাপার ঘটেই যায়, সেটা যতটা সম্ভব গোপন রাখাই বেটার মনে হয়। ....
এমনকি শিক্ষক যদি নীতির ব্যাপারে স্ট্রং হন, মার্ক্স ডিস্ট্রিবিউশানে এই প্রেমের প্রভাব নাও পড়ে
.....ছাত্রীর সাথে প্রেম করার ব্যাপারে নীতিবোধ কাজ করেনা, মার্কস দেবার বেলায় তা কাজ করবে, ভালই যুক্তি দিলেন।
এজন্য ব্যপারটা হিডেন থাকাই ভাল।
.......লুকিয়ে লুকিয়ে মানুষ কুকর্ম করে। আপনি কি তাহলে এটাকে কুকর্ম মেনে নিয়ে এর পক্ষে সাফাই গাইছেন?কতদিন লুকিয়ে রাখবেন? মানুষের কি চোখ, কান, মুখ নাই?
জেনুইন লাভ ....ওটা আবার কি বস্তু? বাবা মার ভালবাসার বাইরে জেনুইন লাভ বলে কিছু আছে নাকি?
@প্যাচনাই..........আবার বলতে...
৩৮| ১৮ ই মে, ২০০৮ রাত ১২:০৯
ফাহমিদুল হক বলেছেন: "বুড়ো বয়সের এই ভীমরতি কে আপনি সমর্থন করছেন? আপনিও কি এমন কিছু ঘটানোর আশংকা রাখেন নাকি?"
বুড়ো বয়সের প্রেমকে আমরা ভীমরতি বলি ঠিকই, কিন্তু বায়োলজিকালি এটাও চলে আসে। প্রশ্ন হলো আমি সেটা অবদমন করবো কি করবো না।
আমরা এখানে ব্যক্তিনিরপেক্ষভাবে আলোচনা করছিলাম। আমি এরকম ঘটাবো কিনা কেমনে বলি? বুড়ো তো এখনও হই নাই। তবে আমি এসব ক্ষেত্রে অবদমনের পক্ষপাতী। ঐযে আপনি বলেছেন 'নিজেকে বিতর্কিত করা' -- এসব ঝামেলা এড়ানোই ভালো।
রুচির কথা যদি বলেন, একজন শিক্ষক ক্লাসে বা টিউটোরিয়াল ক্লাসে কোনো ছাত্রীর আগ্রহ, মেধা ইত্যাদি দেখে যেমন মুগ্ধ হতে পারেন, পাশাপাশি তার কোনো স্টাইল, কণ্ঠস্বর, চাহনি দেখেও মুগ্ধ হতে পারেন। এইখানটায় হয়তো কিছু একটার জন্ম নেয়। এটা বায়োলজিকাল ব্যাপার। একজন পুরুষ শিক্ষক একজন নারী-শিক্ষার্থীর কথা শুনছেন বা তার দিকে তাকাচ্ছেন। এখানে রুচির বিচার করতে যাওয়াই বোকামি।
আপনার প্রোফাইল পড়ে আমি হতবাক। আপনি এতটা নিরাশাবাদী কেন? দয়া করে এইটা পড়েন এবং দেখেন একজন বৃদ্ধ মানুষ কত আশাবাদী: Click This Link
৩৯| ১৮ ই মে, ২০০৮ দুপুর ২:১৫
মুনিয়া বলেছেন: ভুল বুঝলেন। আমি কুকর্ম মনে করছি না। মেয়েটা যতদিন স্টুডেন্ট ততদিন হিডেন রাখার কথা বলেছি অন্যদের যাতে খারাপ না লাগে। ভালবেসে ফেললে তখন স্টুডেন্ট বলে কি দূরে থাকবে? এটা তো দুজনের জন্যই কষ্টকর।
আর ছাত্রীর প্রেমে পড়াটা কি অনৈতিক?
৪০| ১৮ ই মে, ২০০৮ দুপুর ২:৩৭
বৈকুনঠ বলেছেন: আপনের এই পোস্টে কমেন্টের হিড়িক দেইখা বোঝা যায় পিরিত বা.দেশে এখনো এতডা সস্তা হয় নাই। আসলে শব্দটা সস্তা না হইয়া হইব সহজভাবে গ্রহনীয়। এই অবস্থা ক্যান? বা.দেশের মানুষ আসলে নিজেগো খুব মোরালিটি সম্পন্ন মানুষ হিসাবে পরিচয় দিতে গিয়া নিজের ব্যাক্তি স্বত্তারে মাইরা ফালাইতাছে। করতাছে নানান নিম্নরুচির বা বিকৃত রুচির কাম কাজ। অবশ্যই আপনের দোস্তের ব্যাপারে কিছু কইতাছি না। এখন একটা হাচা কথা কইতে গেলে বেক্কে মিল্লা ফাল দিয়া উঠবো। আমি দেশের বাইরে পড়তে গিয়া মাস্টারনি মহাশয়ার সাথে পেরেম করছি। আগে হইছে দৈহিক সম্পর্ক পরে পেরেম। পরে অবশ্য সম্পর্ক টিকে নাই। কথা হইল এই ব্যাপারটা আমি আমার বাংগাল মানষিকতার কারনে সেই সময় লুকাইতে চাইছিলাম। কিন্তু দেখলাম অই মহিলার কোনো মাথাব্যাথাই নাই লুকানোর ব্যাপারে। পরে আরো দেখলাম কারোই কোনো মাথাব্যাথা নাই এই ব্যাপারে। মাথাব্যাথা খালি আমার দেশি ভাইদের। তারা ফটো পর্যন্ত পাঠাইল আমার বাসায়। যাহোক এখন আমার প্রশ্ন এই ব্যাপারে মোরালিটির পরাকাস্ঠা প্রদর্শন কইরা আমরা কি অন্নান্য জাতীর চাইতে বেশি আগায়া গেছি? এখনোতো আমাদের যুবক যুবতীদের মনে একমাত্র সুপ্ত ইচ্ছা হইল বিদেশ যাওয়া। ভন্ডামি ছেড়ে আমাদের মানুষ হওয়া উচিত। আরেকটা কথা, আমাদের এই মানষিকতা হওয়ার পেছনে ধর্মীয় অনুশাসন অনেক দায়ী। কাজেই ঝেঁটিয়ে সব ধর্ম আমাদের সমাজ থেকে বিদায় করা উচিত
৪১| ১৮ ই মে, ২০০৮ দুপুর ২:৪৭
অনিকেত বলেছেন: আসলে ছাত্রীর সাথে প্রেম বিষয়টাই অসস্তিকর
৪২| ২০ শে মে, ২০০৮ সকাল ৮:২০
(অ)গাণিতিক বলেছেন: হা হা হা!! দারুণ লিখেছেন!!
আমি শিক্ষক, আমার রেজাল্ট ভাল, আমি ভাল পড়াই... এটাই যথেষ্ট পরিচয় হতে পারেনা ছাত্রদের কাছে। আমার ব্যক্তিত্ব আর ধরন দিয়ে ছাত্রদের মাঝে শ্রদ্ধা ও অনুকরণীয় আদর্শ তৈরি করা শিক্ষকের পবিত্র দ্বায়িত্ব।
এই পয়েন্টে শত ভাগ সহমত। আসলেই স্টুডেন্ট এর সাথে রিলেশনে জড়ালে সম্মান হানির একটা ভয় থেকেই যায়। তার উপর সেই স্টুডেন্ট যদি হয় 'এস এম এস' এর ফাদ পাতা কেউ !!
৪৩| ২০ শে মে, ২০০৮ সকাল ৮:৩০
(অ)গাণিতিক বলেছেন: এইবার একটা কথা বলি।
কথা হল আপনি যদি আমার মত ভাবেন যে, "প্রেম বড় খারাপ জিনিস"। তাহলে তো কথাই নাই। স্টুডেন্ট এর সাথে সেসব প্রশ্নই আসে না।
কিন্তু আপনি যদি অন্য দলের হন তাহলে??
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে সে স্টুডেন্ট হলেই কি না হলেই কি?? মানুষ তো? নাকি? ভাল বাসার সম্পর্ক হতে বাধা কোথায়?
এই স্যার আমার এক ক্লাসমেট মেয়েকে "ভালবাসে"!! এইরকম নিরিহ কারণে কেন আমি আমার স্যার কে অশ্রদ্ধা করব?
আমি 'ফষ্টী নষ্টি" টাইপের কিছুর কথা বলছিনা। ভাল বাসার কথাটা বিবেচনা করুন/
সেই আগের যুগে যখন বাচ্চা মেয়েদের সাথে লজিং মাস্টার রা প্রেম করে ফেলতো তখন না হয় একটা কথা ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েতো বাচ্চা না!! তার সাথে আপনি প্রেম করলে বাধা কোথায়? বাংলাদেশ না হয়ে অন্য দেশ হলে তো আরো বেশী কিছু করলেও কিছু আসতো যেতো না।
ব্যপার টা নিতান্তই ব্যক্তি স্বাধীনতা। তবে টিচার হয়ে ক্লাসের মেয়েদের সাথে 'ম্যাস ফ্লার্টিং' বা কোন স্পেশাল সুবিধা আদায় যেটা সে টিচার বলেই পারছে। এসব নিন্দনিয়। অন্য একটা সাধারন ছেলে যতটুকু ফ্লার্টিং করার অধিকার রাখে। আপনিও রাখেন। আর একটু আধটূ 'ফ্লার্টিং' কিন্তু এত 'ট্যাবো' কিছুনা।
কারণ সেভাবেই "সব কিছুঃ শুরু হয়।
৪৪| ২০ শে মে, ২০০৮ সকাল ৮:৩৫
(অ)গাণিতিক বলেছেন: ভাই ৫'৫" লম্বা মেয়ের খবর দিলেন মনে হয় !!!
বড় বিপদে আছি। দেশে মেয়ে সব আমার হাটুর নিচে পড়তেছে। ৫'৫" অ অবশ্য প্রায় ৮ ইঞ্চি শর্ট হয়ে যায়। তার পরও একবার ভাবেন শুধু ৫'১ অথবা ৫'০" মেয়ে দের দেখে আমার হতাশার পরিমান !
তার নাম্বার টা কি কাইন্ডলি ....
৪৫| ২০ শে মে, ২০০৮ সকাল ৮:৫১
(অ)গাণিতিক বলেছেন: একজন শিক্ষক তার ছাত্রীকে কোন দৃষ্টিতে বা রুচিতে দেখলে প্রেমের কথা আসতে পারে বলবেন কি?
ভাই আমি নিজে প্রেম করিনাই। দেখছি খালি নাটক উপন্যাসে। কিন্তু প্রেমে র জন্য ভালবাসার মানুষ কে 'রুচিহীন' কোন দ্রৃষ্টি তে দেখতে হবে!!! এটা মানতে পারলাম না!! সরি।
আপনি একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবুন। শান্ত হোন। লেখা টা ভাল হয়েছে। তবে আরেকটু ওপেন মাইন্ডেড হওয়া দরকার ছিল।
আর ভালবাসতে শিখুন।
শুভেচ্ছা!!!
৪৬| ২৩ শে মে, ২০০৮ ভোর ৫:০৩
সব্যসাচী বলেছেন: মন্দ লেখেন না....
যে বিষয়ে লিখেছেন ব্যাপারটা দৃষ্টিকটূ, সন্দেহ নেই....
দোষ হলে দু'জনের-ই হবে...
আপনার লেখা পড়ে মনে হল আপনি এক্ষেত্রে মেয়েটিকেই দুষছেন।
৪৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:০২
কিরিটি রায় বলেছেন: ভাইরা আফনেরা সব ভারী ভারী কথা লেখছেন।
ওদিকে না গিয়া আমি একটি অন্য প্রসঙ্গে।
প্রেম .. আর কাম দুটো ভিন্ন জিনিস।
আমরা কাম বা (সেক্স) কে প্রেম বলে চালিয়ে দেই.....
বিষয়টা অনেক বেশি অন্যরকম। যা কিছূ সম্পর্ক সেকানে কামনাই বেশি থাকে।..কোন সন্দেহ নাই।
আর যেখানে সত্যিকারের প্রেম থাকে সেখানে ..মিলন কোন শর্ত নয়।
তবে ভাবুন... প্রেম কয়টি??????
৪৮| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬
রিমঝিম বৃষ্টি বলেছেন: কি কলিকাল আসিল।
৪৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৪৫
আকাশ_পাগলা বলেছেন: পৃথিবীতে মেয়ে মানুষের এত অভাব পড়েনি যে ব্যক্তিত্ব আর রুচি নষ্ট করে নিজের ক্লাশের ছাত্রী দেখে ঝুলে পড়তে হবে।
ভাই আপনি কোথায় থাকেন?
আমার আশে পাশে আমি ত কোন মেয়েই দেখিনা।
৫০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:৪২
মুহিব বলেছেন: শিক্ষকের গাম্ভীর্যের কারনে মনের রং না ফুরায় যায়