![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |
আপনার ধর্ম দিন দিন সভ্যতার জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ভদ্রজন কখনই প্রকাশ্যে আপনার ধর্মকেই দায়ী করবেনা। বিরোধ লাগবে অন্যভাবে। আপনি যখন আপনার ধর্মের শ্রষ্ঠত্ব, মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে যাবেনা--ঠিক তখনই।
যারা আপনার ধর্মের বিশ্বাস করেন না, তারা পাল্টা তর্কের খাতিরে আনবেন বোকো হারাম, জামাত, তালেবান, আল কায়দার পাল্টা যুক্তি। কারণ তাদের দৃষ্টিতে আপনার ধর্মের প্রতিনিধি ঐ ছয়জন শিশু গণহত্যাকারী, বাকি দেড় বিলিয়ন বিশ্বাসী নন। যারা ধর্মের বিশ্বাসই করেন না, তাদের জন্য এরকম গণহত্যার ঘটনা তর্কের জন্য বেশ ভালো রসদ।
কিন্তু তারপরেও মানুষ বা রাষ্ট্র আপনার ধর্মের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছেননা। তারা সরাসরি বলছেননা -- "হঠাও ধর্ম, বাঁচাও দেশ" । চক্ষুলজ্জায় তারা বলছেন, "হঠাও মৌলবাদ, বাঁচাও দেশ ।" অথচ এ কথা কাগজে কলমে প্রতিষ্ঠিত যে আপনার ধর্ম দেশ ও জাতিকে ক্ষতি ছাড়া কোন পার্থিব টাকা কড়ি দেয়নি, দুর্নীতি-মিথ্যাচার থেকে বাচায়নি, কিন্তু তারপরেও আপনার ধর্মকে থাকতে দিতে হবে। অপুষ্টিতে ঠোটের কোণায় ঘা হয়ে যাওয়া মাদ্রাসার এতিমেরা আরবি মুখস্থ করেও ভাল পয়সা পায়নি। ধর্মের নামে এই ব্যবসা করেও তাদের পেট চলছেনা এটা বরং সভ্যতার জন্য মঙ্গলজনক।
আপনি কি দাবি করতে পারেন না যে আপনার ধর্মটির কোন অস্তিত্ব না থাকলে ১৯৭১ ত্রিশ লক্ষ লোককে জীবন দিতে হতোনা। আপনার ধর্মটি আছে, ছিল এবং তার 'অপব্যবহার' ঠেকাতে না পেরে যখন বিস্ফোরিত হচ্ছে, তখন তা ফরমালিনে নিস্ক্রিয় রাখাই শুভ। অথবা আপনার ধর্মের মাঝেই মডারেট বনাম মৌলবাদ দুটো শ্রেণীর তৈরি করে তাদের মাঝে গৃহযুদ্ধও চালু থাকাটা জরুরি অনুভূত হচ্ছে।
"ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা", "ধর্মের নামে মানুষ হত্যা", "ধর্ম ব্যবসা", "ধর্মের নামে রাজনীতি"-- কথাগুলো প্রবলভাবে প্রতিনিয়ত যেসব মানুষ ব্যবহার করেন, তাদের কলামে, মিটিং এ, সেমিনারে, ভাষণে তারা ধর্মের মঙ্গলজনক প্রবৃদ্ধির জন্য মেধা, শ্রম, অর্থ ব্যয় করতেও নারাজ। নেহায়েত রাজনৈতিক শিষ্টাচারের কারণে আসাদুজ্জামান নূর বলেন না যে ধর্ম তার কতটা অপছন্দ এবং এই মনোভাব তৈরির পিছনে দায়ী ১৯৭১ এর গণহত্যা। ১৯৭১ এবং তৎসংশ্লিষ্ট প্রজন্ম ধর্মের এই রূপটা দেখেছিল বলেই ব্যক্তিজীবনেও ধর্মকে উপলব্ধি বা ধারণ করতে শরমিন্দা বোধ করেন।
এভাবে ভাবুন না আপনার ধর্মটি না থাকলে সেটি নিয়ে ব্যবসা হতোনা, এত লক্ষ মানুষকে মরতেও হতোনা। কিন্তু গণতন্ত্র ও রাজনীতির স্বার্থে দেশের একমাত্র সেক্যুলার শক্তির পক্ষে সেটা বলা শুধু অসম্ভবই নয়, দন্ডনীয় অপরাধ। লতিফ সিদ্দিকির কথায় সমর্থনদানকারীরাও মনে প্রাণে চান আপনার ধর্মটি বোতল বন্দী থাকুক, বিপজ্জনক বোতল ভূতের মত। অথবা ধ্বংস হোক। চক্ষুলজ্জার কারণে সেই বাক স্বাধীনতার চর্চাটাও করা হয়ে ওঠেনা।
আমরা খুশি যে পাকিস্তানিরা মরেছে এবং তার কারণ ১৯৭১ এর পাপ। আবার আমরা তালেবানের ব্যাপারেও বেজায় ক্ষুব্ধ। আপনার ধর্মের ক্ষতি হচ্ছে, না কেউ ক্ষতি করছে সেটা আপনার আল্লাহ বিচার বা রক্ষা করবেন। আল্লাহর ধর্মের লাভ-ক্ষতি আল্লাহকেই ভাবতে দিন । আপনি না হয় আপনার ইহকাল-পরকাল নিয়ে ভাবুন। নিজের জীবন, ঘর-সংসার, রুটি-রুজি নিয়ে ভাবুন। ছয়জন গণহত্যারকারীর জন্য যদি আপনার ধর্ম পালনে বা বিশ্বাসে যদি বিঘ্ন সৃষ্টি হয়, সেটার জন্য সরাসরি ধর্মকেই প্রশ্ন করুন।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী যখন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে তখন আপনি কোন পক্ষে থাকবেন? নাকি দু'পক্ষই ধ্বংস হলে আপনি খুশি। নাকি আপনি তাদের মাঝে মৈত্রী চান? সংঘাত চাননা? আমেরিকা দায়ী নয়, ৪৭ এর ধর্ম ভিত্তিক দেশভাগ করা ব্রিটিশরাও দায়ী নয়, খুনি-ধর্ষক-আগ্রাসী সোভিয়েত কমিউনিস্টরাও দায়ী নয়, দায়ী আপনার ধর্ম --যাকে সৎ সাহসের সাথে মিতা হক ১৯৭১ এর চেতনা বা বাঙালি জাতীয়তাবাদের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক বলতে পারেন।
আমাদের সময় এসেছে পড়াশোনা করার, ইতিহাস জানার । বাকিটা আপনার বিবেক দিয়েই বিচার করুন।
২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৩
সাজেদ বলেছেন: ভাল হয়েছে
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৫
ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: আপনার মূল্যায়ন যথার্থ হয়েছে, মতামতে জায়গাটা সংক্ষিপ্ত, অনেকটা অস্পষ্ট.