![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |
ভুল বললাম?
আপনি যখনই ধর্মকে যার যার বলে বিলি বন্টন করে দিচ্ছেন, তখনই ধর্মগুলোর মাঝে একটা সংজ্ঞাগত বিভেদ প্রতিস্থাপন করছেন। অর্থাৎ রাষ্ট্রের মত ধর্ম সার্বজনীন হতে পারেনা। ধর্ম বিভেদমূলক বলেই তার পরিসরটা ব্যক্তিগত পর্যায়ে ধারণ করাটা বাধ্যতামূলক করা হয়।
কিন্তু ধর্ম তার সার্বজনীন আকাঙ্ক্ষার জন্য মুখিয়ে থাকে। আপনি যদি বলেন ঈদ শুধু মুসলিমদের জন্য, তাতে করে অমুসলিমরা ভীষণভাবে আহত হতে পারেন । অর্থাৎ সার্বজনীন হিসেবে ঈদ উৎসবে সবার অংশগ্রহণ চাই। ঈদের খুশি শুধু এক মাসের রোজাদারদের না, এই খুশি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার। ধর্মকে এভাবে সার্বজনীন না করতে পারলে সমাজে সাম্প্রদায়িকতা ঠেকানো যায়না।
আপনি মুসলিম হয়ে ঢাকায় থেকে একটা ক্রিসমাস ট্রির সামনে বউসহ দাড়িয়ে ছবি তুললেন, সেটিও একটা সার্বজনীন চর্চা। এটি যেন ধর্ম স্থানে ধর্ম নিরপেক্ষ চর্চা--কারণ আপনি ধর্মের উদ্দেশ্য নিয়ে সেখানে যাননি। আপনি ধর্ম যার যার বলে যাকে যার ধর্ম নিয়ে চুপচাপ বাড়িতে চলে যেতে বলছেন, এখানে তেমনটা বোধ হয়না। অথবা মুসলিম হয়ে দুর্গাপুজোতে প্রতিমার সামনে দাড়িয়ে ছবি তোলাতেও কোন ধর্মভিত্তিক দাবি বা বাধা নেই। ধর্মশালাতে পুরো সেক্যুলার ও উদার ভাবধারা। খুব ঘটা করেই বলা হয়, শারদীয় উৎসব । শরতকালের উৎসব এবং সার্বজনীন।
আপনি জার্মানি, ব্রিটেন, যার যার রাষ্ট্রে থেকেও বাঙালি উৎসবের টানে মুসলিম হয়েও শারদীয় উৎসবে হাজির হতে পারেন । দেশটা যার যার, কেউ ভারতীয়, কেউ নেপালি, কেউ বাংলাদেশের, কিন্তু ধর্মটা পালন করবে সবাই, কারণ তা সার্বজনীন।
যুক্তরাষ্ট্রে একটি চার্চ অতি সম্প্রতি এক সমকামি মহিলার শেষকৃত্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আপনি ধর্মকে যার যার বলে সবাইকে বাড়ি পাঠিয়ে দিলে ঈশ্বরে অবিশ্বাসী কারো লাশ বিশ্বাসীদের চার্চে আনার কথা না। ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিনের মত মরনোত্তর দেহ দানই তার ধর্ম, মেডিকেলের লাশ কাটা ঘরই তার চার্চ।
কিন্তু আপনি তা করছেন না। আপনি মুসলিমদের পক্ষে থেকেও এবং ইসলামের সমর্থক হয়েও দাবি করছেন হুমায়ুন আজাদ/তসলিমা নাসরিন নাস্তিক নন, তারা ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলেন নি--তারা স্রেফ ধর্মীয় গোড়ামির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন । অর্থাৎ ধর্মে সবার সমান অধিকার, কোন একক গোষ্ঠী-সম্প্রদায়ের সম্পত্তি না ।এই হিসেবে সেক্যুলাররা দাবি করেন তারাই ধর্মের সবচাইতে ভাল রক্ষক ও বুঝদার। লতিফ সিদ্দিকী মারা গেলেও তার জানাজার জন্য মোল্লার সন্ধান খুবই দরকার ---ঠিক হুমায়ুন আজাদের মত। আপনি টাকার বিনিময়ে ১০০০ মাওলানা জোগাড় করতে পারবেন যারা ইসলামের 'আসল ব্যাখ্যায়' বিশ্বাস করেন বিধায় লতিফ সিদ্দিকির জানাজা পড়াতে রাজি হবেন।
অথবা বলতে পারেন
শহীদ মিনার যার যার, ধর্ম সবার
একটা বিশেষ চেতনা না থাকলে যেহেতু শহীদ মিনারে লাশ নেয়া যায়না, কিন্তু জানাজা সবারই হয়, ধর্ম সবার, সবারই কবর হতে পারে।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রতিমার রূপ-শিল্প গুণে দুর্গাপুজোকে যেমন সার্বজনীন করা গেছে, মুসলিমদের ধর্মের নামে গরু হত্যা উৎসবটা সেভাবে করা যায়নি। মুসলিমদের ধর্ম প্রসঙ্গ আসলেই তাই আলাদাভাবে বলা হয়, ধর্ম যার যার, যার যার ধর্ম নিয়ে বাড়িতে চলে যাও, ঝামেলা করোনা।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪০
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: শুধু শিরোনাম পড়েই তোতাপাখি ছেড়ে দিলেন?
ধর্মও সবার, ধর্মও সার্বজনীন। এটা অসত্য ভাবাটাও সাম্প্রদায়িকতা।
২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:১০
রামন বলেছেন:
আমি তো সোজা সাপটা উত্তর দিয়েছি, আপনার মত হিন্দুরাও তাদের দুর্গাপূজাকে সার্বজনীন বলতে পারে কিন্তু বাস্তবে তা নয়৷ তবে এটা সত্য একটি দেশে ভিন্ন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী সহাবস্থানে থাকলে সেখানে সাম্প্রদায়িকতা থাকতেই পারে। যদিও এই ফেনমেনালকে চিরতরে উত্পাটন করা সম্ভব নয় তবে রাষ্ট্রের যথাযথ উদ্যোগে ব্যবধান কমিয়ে আনা সম্ভব। ধন্যবাদ।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আফসোস হলো, পোস্টটি আসলেই পড়েননি। তোতাপাখি কিন্তু খুবই ভাল সোজাসাপটা উত্তর দিতে পারে --ঠিক যা শেখানো হয় তাই।
৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: মুসলিমদের ধর্ম প্রসঙ্গ আসলেই তাই আলাদাভাবে বলা হয়, ধর্ম যার যার, যার যার ধর্ম নিয়ে বাড়িতে চলে যাও, ঝামেলা করোনা।
কথা সত্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:২৮
রামন বলেছেন:
আপনি যদি বলেন সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে, এই অসত্যটি আপনি বলতেই পারেন কিন্তু আমরা সেটা মানব না৷
কোন মুসলিম ইন্তেকাল করলে যার যার পক্ষে সম্ভব তার জানাযায় উপস্থিত হবে - এটাই নিয়ম। একটি রাষ্ট্রের নাগরিকের উপর যখন কর ধার্য্য করা হয়, তখন সেই কর কমবেশী রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের উপর বর্তায়। কেউ দিবে কেউ দিবে না এটা কখনই সম্ভব নয়। কাজেই,
ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধন্যবাদ।