![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |
ধরুন ২০০৫ এ আইন করে 'কেয়ারটেকার' ব্যবস্থা উচ্ছেদ করা হলো। খালেদা জিয়া বলে বসলো আমার অধীনেই হাসিনাকে নির্বাচন করতে হবে।
হাসিনা কী নির্বাচনে যেত?
ধরুন ২০০৬ এই নির্বাচন হয়ে গেল, খালেদা বীর দর্পে আবার প্রধানমন্ত্রী । ১৫৪ টা আসনে জামাত-বি এন পি বিনা প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত। ভাবুন । আরো দুটো রাজাকারকে মন্ত্রী বানানো হয়েছে। তারেক যথারীতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
আওয়ামীলীগ কী শান্তিপূর্ণ, অহিংস আন্দোলন করতো?
অথবা দুর্নীতির দায়ে আওয়ামীলীগের চার জন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে ফাঁসি দেয়া হলো।
আওয়ামীলীগ কী মৌন মিছিল বা অনশন করতো?
হাসিনাকে ধানমন্ডি ৩২ শে পুলিশ-ট্রাক দিয়ে আটকে রাখা হলে জনগণ তাকে বাঁচাতে ঝাপিয়ে পড়তো?
কিন্তু এই জনগণ কারা? যুবলীগ? কোন বেনামী সন্ত্রাসী? নাকি সাধারণ মানুষ? ঠিক কী নিয়মে তারা ঝাপিয়ে পড়তো? পুলিশের উপর চোরাগোপ্তা হামলা হলে সেটি নায্যতা পেত?
ইংরেজিতে শব্দগুলো হলো ডেমোনাইজ করা আর টেরোরাইজ করা। আপনি ফাঁসি, গুম, খুন, সমাবেশ নিষিদ্ধ, আটক, মামলা, বিদেশে নির্বাসন করে একটা শান্তিপূর্ণ দলকে খুব সহজেই সন্ত্রাসের পথে ঠেলে দিতে পারেন। এতে দুটো লাভ--আপনার প্রতিপক্ষকে নির্যাতন করতে পারবেন রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এবং তাদের সন্ত্রাসী প্রতিপন্ন করতে পারবেন।
প্লিজ, স্বেচ্ছা সেবক লীগকে সাধারণ মানুষ ভেবে বলবেন না যে জনগণ হাসিনার মুক্তি ও সমাবেশ করার অধিকার আদায়ের জন্য ঝাপিয়ে পড়তো।
সেই ঝাপিয়ে পড়াটাকে সন্ত্রাসবাদ থেকে কত দূরে রাখতে পারতেন?
জনগণ একটা নিরপেক্ষ শক্তি, যারা অন্ধ নয় বলেই প্রতি নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদল ঘটে।
নিজামী-মুজাহিদকে যখন মন্ত্রী করা হলো তখন প্রতিবাদের জন্য রাস্তায় কোন লোক পাওয়া যায়নি। কারণ প্রতিবাদ করার মত মানসিকতার লোক গুলো ক্ষমতার দিক থেকে দুর্বল ছিল । তারা ব্লগে-বাদাড়ে কী বোর্ড চেপেই রাজাকার নিধন করে বেড়াতো। অথবা আমজনতা রাজাকারের মন্ত্রী হবার সংবাদে মনে মনে বিরক্ত-ক্ষুব্ধ হয়ে নিজ নিজ কাজ-সংসারেই ব্যস্ত ছিল ।
অথবা বলতে পারেন---
বাংলার মানুষ নেহায়েৎ শান্তি প্রিয় বলে কে ক্ষমতায় তা নিয়ে তারা মাথা ঘামায়না। এখন এমন একটা অবস্থা যে
নিজামী-জিয়া-এরশাদ-হাসিনা-তারেক-খালেদা যেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন জনগণ তা নিয়ে মাথা ঘামায় না।
জনগণ শান্তির পক্ষে, শান্তি কমিটির পক্ষে, তারা নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা পেলে আর কিছু লাগেনা। ভুলেও বলতে আসবেন না যে তখন রাজাকার মন্ত্রী খেদানোর জন্য বাংলার মানুষ রাস্তায় নেমে আসতো। এগুলো পরিস্থিতি সাপেক্ষে ঘটে ।
পুলিশের লাঠি-স্প্রে থাকলে শাহবাগ এক দিনও টিকতোনা, সরকারের লাভ না হলে শাহবাগকে এক দাড়াতে দেয়া হতোনা--যেমন আজকে দাড়াতে দেয়া হয়না । তাই শাহবাগকে তিন মাস ধরে দাড় করানোর পুরো কৃতিত্ব সরকারের । অসতর্ক বা আবেগী হয়ে আমরা বলে ফেলি সেটা ছিল গণজাগরণ ।
মোসাদ্দেক হোসেন ফালু গলা উচিয়ে বললেন ২০১৯ সালের নির্বাচনেও ২০০ টা আসনে জামাত-বি এন পি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জিতবে।
প্লিজ বলবেনা, এটা স্বৈরাচার, প্লিজ বলবেন না জনগণ প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নেমে আসতো। বি এন পির কাছে ২৪ ঘন্টা জনসম্পৃক্ততার দাবি করার মানে এই না যে আওয়ামীলীগ জনসম্পৃক্ততায় উত্তীর্ণ। জন রায়ে হারবে জেনেই ভদ্র-শান্তিপূর্ণভাবে আইন করে ক্ষমতা দখল করতে হয়।
জনগণের অস্ত্র ব্যালট, যতদিন ব্যালটের অধিকার না দিবেন, ততদিন বাংলার জনগণ নিজের খেয়ে কোন সরকারের যাত্রা ভঙ্গ করতে যাবেনা। তারা শান্তির পক্ষেই থাকবে--পেট্রোল বোমার পক্ষে নয়।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৬
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: সেনাবাহিনী আছে বলার চেয়ে বলা উচিৎ সেনাবাহিনীকে হাত করা আছে। ১৯৭৫ এ সেনাবাহিনীকে বিশ্বাস করে ভুলটা তো আর দ্বিতীয়বার করা যায়না।
মুক্তিযুদ্ধের কারণে আওয়ামীলীগ অনেক মানুষের কাছে ধর্মের মত ।রাজনীতিটা ধর্মের মত প্যাশন দিয়ে করতে না পারলে টিকা মুশকিল। জামাতকে দেখুন কীভাবে টিকে আছে। লড়াইটা তাই মূলত জামাত বনাম লীগের---বি এন পি শুধু একটা ছায়া শক্তি।
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৬
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: লড়াইটা তাই মূলত জামাত বনাম লীগের---বি এন পি শুধু একটা ছায়া শক্তি...সহমত!
৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: জনগন শান্তির পক্ষেই থাকবে, পেট্রোল বোমার পক্ষে নয়।
৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৩৫
মিতক্ষরা বলেছেন: প্রতিটি কথা সত্য। তবুও আমরা আশা করতে চাই, বিএনপি ভাল কিছু করে দেখাবে।
৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:১৩
রাফা বলেছেন: ভালো জাস্টিফাই করার চেষ্টা।চালিয়ে যান ,এক সময় গ্রহণযোগ্যতা পেয়েও যেতে পারেন।
আওয়ামি লীগকে অনেকবার এলিমেনেটেড করার চেষ্টা হয়েছে।৭৫-এ পুরো জেনারেশন শেষ করে দেওয়া হয়েছে।আরেকবার হোয়েছে ২১শে আগষ্ট।এর বিপরীতে কিনতু গ্রেনেড কিংবা পেট্ট্রোল বোমা মেরে আওয়ামি লীগ আন্দোলন করে নাই।শেখ হাসিনাকে সুধাসদনে আটক রাখার পর দিনরাত ২৪ ঘন্টা পালাক্রমে পাহাড়া দিয়ে রেখেছে আওয়ামি লীগের কর্মিরা।আশা করি আপনি অন্ধ নন সব কিছুই দেখেছিলেন।এমনকি ১/১১ -র সময় যখন বন্দি করা হয়েছিলো শেখ হাসিনাকে তখনও মতিয়া চৌধুরি ও সাজেদা সহ আরো অনেকেই দিনরাত ঐখানেই ছিলেন।এখানেই ২টো দলের মাধ্যমে পার্থক্য।
এখন যা চলছে এটা নিখাদ সন্ত্রাস,আন্দোলন করলে সেটাকে সবাই আন্দলনই বলবে।আর আন্দোলনের মুখে পৃথিবীর কোন সরকারই টিকে থাকতে পারে নাই ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:১৮
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আসল কথা হল, আওয়ামী লীগের হেডম আছে আন্দোলন করার, তাদের পেছনে সবসময় ভারতদেব আছে তাদের ভাল-মন্দ দেখার জন্য, মিডিয়া আছে তাদের দোষ ঢাকার জন্য, এত কিছুতেও যদি কাজ না হয়, তবে সেনাবাহিনী আছে তাদের ক্ষমতায় যাবার রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য।
কিন্তু বিএনপি? উপরের একটাও নাই - আছে কেবল জনসমর্থন। গণতন্ত্রের আধুনিকতায় যা সবচেয়ে অকার্যকর ও ফালতু অস্ত্র। তাই এদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ যা চাইবে, তাই হবে।