![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |
প্রবাসে সংখ্যালঘু জীব হিসেবে আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় সজাগ আর কঠোর থাকে । এই কালো বলে কেউ খোচা দিলো কিনা, এই পুছলিম বলে কেউ 'গো ব্যাক টু ইয়োর কান্ট্রি' বললো কিনা । সামান্য 'না' শুনলেই ভাবি শালা বর্ণবাদী। এক বাস ড্রাইভারের কর্কশ স্বর শুনে ভাবলাম আমার বর্ণ, ধর্ম দেখেই হয়তো চেচাচ্ছে । পরে দেখি না, বেটা চরিত্রগতভাবেই বদ মেজাজি, সবার সাথেই এমনটা করে।
বাংলাদেশের মুখে চুনকালি দিয়ে ভারতে অভিবাসী হওয়া বীর বাঙালিরা একই ধর্ম ও বর্ণের পরেও ভারতে একটা অপবাদের মুখোমুখি হন। বাংলাদেশ স্বাধীন করে দিয়েছি বলেই তোদের মুখে এত বড় বড় কথা! বাঙালির সম্মানবোধ প্রখর বলেই ভিন দেশের দালালি করে অসম্মান হাজির করে।
ওয়াসিম আকরাম যদি ধারাভাষ্যে বলে বসেন তামিম ইকবাল শুড বি রিপ্লেসড --সেটা রক্ত গরম করে দিতে পারে । শত্রু দেশের মুখ কোন প্রকার সমালোচনা শুনতে আমরা রাজিনা। এই কথা গাঙ্গুলি বলতে পারেন, টেন্ডুলকার বলতে পারেন, কিন্তু কোন পাকিস্তানি বলতে পারেনা ।
ফকিরের দেশ বাংলাদেশ এখন ধনী হয়ে গেছে-- সিধুর এ ধরনের কথার জবাব কী? বাংলাদেশকে তো ধনীই বলেছে। ভালই তো বলেছে। আপনি খেলে দেখান আপনি ভাল পারেন । জবাব দিন খেলার মাঠে । জিতবে বাংলাদেশ জিতবে বলে চেচিয়ে কী লাভ?
যারা নিজেদের বাঙালি ভেবে ভেবে শিহরিত হন তারা ভারতের সাথে পরাজয়কে বড়দার কাছে হার মানা ভেবেই শান্ত হন। এপার বাংলা-ওপার বাংলা একই তো দেশ, নিজেদের মাঝে এত ঘৃণা-গন্ডগোল পুষে পাকিস্তান আর মৌলবাদের হাতকে শক্তিশালী করবেন কেন? ভারত নিজেদের অস্ত্র, মাটি, সেনাবাহিনী দিয়ে ঔকান্তিকভাবে সাহায্য করার পরেও বাংলার মাটিতে যে ভারত বিদ্বেষের দানা বাধে সেটাকে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র বলা যায়।
শক্ত পোক্ত দেশ প্রেমিক বাংলাদেশি হতে হলে নিয়ম করে পাকিস্তানের প্রতি ঘৃণাটাকে পোক্ত এবং চালু রাখতে হয়, আর পাকিস্তানের প্রতি ঘৃণাটাকে আরো মজবুত করতে লাগে ভারতের প্রতি নিঃশর্ত বন্ধুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি। আপনি যদি বলেন বাংলাদেশি হেসেবে পাকিস্তান-ভারত দুটোই আপনার অপছন্দ, খাঁটি বাঙালিরা ঘোলা ঘোলা চোখে আপনার দিকে তাকাবে।
খাঁটি বাংলাদেশ বা বাংলাদেশী বলে কিছু নেই ।ঐতিহাসিকভাবে এই দেশটা কোন না কোনভাবে ভারত বা পাকিস্তানের দালালি করেই একটা ভূখন্ড ধারণ করে আছে।
২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সত্যিকারভাবেই বাঙালির অনুভূতি বলে যদি কিছু থাকে, তবে অপমান/বৈষম্য/কটাক্ষ পেলেই সে অপমানিত হবে, সেটি পাকি/ভারতী/পশ্চিমা যার নিকট থেকেই আসুক। ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, আগেপরে কিছু না বলে, এটি বলা যায় না। বাঙালি তার নিজ যোগ্যতা ও ত্যাগে স্বাধীনতা পেয়েছে। ভারত শুধু গুটাকয়েক উপলক্ষের মধ্যে একটি।
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৮
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: শুধু আবেগ আর দেশ প্রেম দিয়েই যদি দেশ স্বাধীন করা যেত এই উপমহাদেশকে ২৫০ বছর ব্রিটিশের গোলামি করতে হোত না । অসংখ্য যুদ্ধ করেও কিছু করতে পারেনি।
যোগ্যতা আর ত্যাগ এসব সস্তা আবেগের কথা। সমর শক্তিটাই আসল । ভারতের সেই সমর শক্তি ছিল বলেই খুব অল্প সময়ে পাকিস্তানকে পরাজিত করতে পেরেছে।
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১৮
সুদীপ্ত সরদার বলেছেন: সাইফ শেরিফের সাথে একমত! শুভকামনা!
৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
ভাল বলেছেন। যুক্তি আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৫৫
মিতক্ষরা বলেছেন: না মোটেই না। খেলা নিয়ে যা বললেন তা একেবারে ঠিক নয়। সবাই চাইছে বাংলাদেশ ফাইনাল না হোক, অন্তত সেমি ফাইনাল পর্যন্ত খেলুক। সে মানুষটি পাকি দালালই হোক বা ভারতীয় দালালই হোক। কারন ঐসব দালালরাও সবার আগে বাংলাদেশের দালাল।
তবে ভারতীয়রা মানসিক ভাবে দৈন্য, তারা বাংলাদেশকে ফকির ব্যতিরেকে অন্য কিছু ভাবতে পারে না। আরব ভাইরা যখন বাংলাদেশীদের মিসকিন বলে তখন দুঃখ হলেও তা মেনে নেয়া যায়, কারন তারা আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। তাদের "মিসকিন" বলার পেছনে কিছু যৌক্তিক কারনও রয়েছে। কিন্তু ভারতীয়দের মানসিকতা নিন্দনীয়, বিগ বস টাইপের বলেই তারা সেরকম ভাবে বলে।
আর মুসলিম বলে পশ্চিমারা বৈষম্য করছে কিনা সেটা বোঝা খুব কঠিন নয়। আমি অবশ্য এই বৈষম্যকে নিয়তি বলেই ধরে নিয়েছি। সেই সাথে সাথে বুঝতে পারছি সংখ্যাগুরুর রাজ্যে সংখ্যালঘুরা কতটা অনিরাপদ।