![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |
ইসলামের মৌলবাদী পরিভাষায় 'তাকদির' বা ভাগ্য বলে একটা ব্যাপারে বিশ্বাস স্থাপনটাকে খুবই জরুরি ধরা হয়। বিজ্ঞানীরাও আবার কিছুদিন আগে অসহায়ভাবে বললেন
"ক্যান্সার হওয়াটা অনেকটা দুভার্গ্য।"
খোদ আমেরিকার মত 'সভ্যতম' দেশে সড়ক দুর্ঘটনা মৃত্যুর ২য় তম প্রধান কারণ । তো আমেরিকাতে সড়ক দুর্ঘটনায় পড়লে সেটাকে দুর্ভাগ্য বলেই জ্ঞান করবেন । যদিও চালক মদ্যপ ছিল । পশ্চিমের সভ্য দেশগুলোর বাইরে কোথাও দুর্ঘটনা হলে আমরা বলি সেটা হত্যাকান্ড । ক্ষোভবশত, আবেগ বশত । পথচারী যদি জীবনের ঝুকি নিয়ে দৌড়ে মহাসড়ক পার হতে গিয়ে মারা যায়, সেটাও কিন্তু চালকের দোষ । লাশ দেখলে ফাঁসি দেবার জন্য আমরা হিসহিসিয়ে উঠি । অসহায় চালকের বদলে আমরা বলিনা
"নগর পিতা নগরের পথচারীদের পারাপারের নিরাপদ ব্যবস্থা রাখেননি বলেই এই মৃত্যু, নগর পিতার বিচার চাই।"
পুলিশ যখন দাঙ্গা রুখতে/মিছিল ঠেকাতে/বিনা উস্কানিতে ফার্গুসনে বা টাঙ্গাইলে গুলি করে মানুষ মারে, কিংবা ক্রস ফায়ার করে, আমরা তাকে হত্যাকান্ড বলতে কেউ কেউ দ্বিধান্বিত হই । ২০০৬ এর পর ২০১৫, বেশ অনেক বছরের ব্যবধানে মক্কায় দুর্ঘটনা হলো। নিন্দুকেরা বিভিন্নভাবে সরব হলেন, ব্যঙ্গ, ধিক্কার জানালেন।
১. অদৃশ্য শয়তারকে পাথর মারতে গিয়ে মানুষের মৃত্যু
২. সৌদীদের কুকর্মের কারণে মৃত্যু
৩. সৌদীদের অব্যবস্থাপনার কারণে মৃত্যু
নিন্দুকেরা হাজিদের মানুষ হিসেবে করুণা করেন, কিন্তু হজ্জ্ব প্রথার ব্যাপারে তাদের গুরুতর আপত্তি আছে ।তাই কোনভাবেই এটাকে দুর্ভাগ্য বলা যাবেনা। এটা হত্যাকান্ড । অথবা মানুষের মৃত্যুকে স্বাভাবিকভাবে যারা নেয় তারা বরং অসুস্থ । ঠিক আমেরিকাতে সড়ক দুর্ঘটনায় সপরিবারে নিহত হবার মত দুর্ঘটনা না এটা । এত ঘৃণার চাষ-বাস করে ওহাবীদের দেশে গিয়ে ইনু-মেননের হজ্জ্ব করে আসাটা আমার কাছে বিশাল বিস্ময়।
ষ্ট্যাম্পিডে কি মানুষ মরেনা? স্ট্যাপিডের জন্য জনতার বিবেক, ধৈর্য্যের কী কোন দায় নেই?
জাকাত নিতে গিয়ে মানুষেরা নিজেদের মাঝে মারামারি, হুড়োহুড়ি করে মরলে, তার দোষটা পড়ে যাকাতদাতার । আমাদের বিবেকটা এমনি । ভিন্নভাবেও দেখা যায়।
কসাই খানাতে, থ্যাঙ্কস গিভিং এ, বিয়ের দাওয়াতে পশু জবাই করা মানবিক-স্বাভাবিক, কিন্তু উতসবের নামে পশু জবাই বর্ববরতা।
আপনার মনের গভীরে সৌদী বিদ্বেষের ডালপালা গুলো খুব 'নায্যভাবে' বেড়ে, পুষ্ঠ হয়ে পশু জবাইকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আপনি কল্পনাতে পশু জবাইকারীদের মানুষ জবাইকারী হিসেবে দেখতে শুরু করেন । শয়তানকে পাথর মারা আপনাকে সেই মধ্যযুগীয় বর্বরতার কথা, তালেবানদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আপনি তবুও জোরে সোরে নিজেকে 'সাচ্চা' মুসলিম দাবি করতে থাকেন। আপনাকে মুরতাদ বললে 'রাজাকার' গালি শোনার মত তড়িতাহত হন । আপনি তবুও বিশ্বাসী ।
ভাল মন্দের মাপকাঠি হয়ে উঠে আপনার নিজের বিবেক । আপনি কুরআন, পুরান, ইসলামকে সরিয়ে রেখে অথবা তুলনা করে ন্যায়-ন্যায় নির্ধারণ করেন। তারপরেও আপনার টুপি পরাটা জরুরি, মিলাদের গোলাপজল ছিটা উপভোগ করেন, গো হত্যা করে মাংসে তৃপ্তির কামড় বসান, ঈদ মোবারক বলে মানুষদে জড়িয়েও ধরেন ।
সাত বছরের বাচ্চাটি যখন ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে মারা গেল, তখন
আপনি হয়তো চিতকার করে সৃষ্টাকে গালি দিয়েছিলেন, আপনি কল্পিত সৃষ্টায় ঠেকায় পড়ে বিশ্বাস করেন বলেই হয়তো এই অনুযোগ দেখানোর অধিকার চর্চা করেন । মৌলবাদের ধর্ম ইসলাম বলে পৃথিবীটা ক্ষুদ্র, তুচ্ছ, খুবই ক্ষণস্থায়ী। মানুষের জীবন-মৃত্যু লিখিত। এটা বিশ্বাসীদের একটা গোষ্ঠীকে ভীষণ ব্যথিত করে । তারা পৃথিবী ছেড়ে যেতে চায়না।
মৌলবাদ বিষয়ে আপনার ক্ষোভগুলো জমতে থাকে, একসময় নিজেকে মুসলিম ভেবে লজ্জিতবোধ করতে শুরু করেন । নিজেকে ধর্মাচার থেকে গুটিয়ে নিতে থাকেন। আপনি হয়ে পড়েন ঈদ মোবারক সর্বস্ব বিশ্বাসী।
ইনু-মেননের মত ভন্ডামিটা লতিফ সিদ্দিকি করেননি, করতে পারেননি বলে তাকে রোষানলে পুড়তে হয়েছে। ২০ লাখ হাজির মাঝে বিভিন্ন লেভেলের পাপী আছে, মোনাফেকও আছে। তারা পাপমুক্তির জন্য যায়, হজ্জ্বে গিয়ে যদি কারো হজ্জ্ব কবুল না হয় তার হজ্জ্বের মূল্য কী? কিংবা বৃদ্ধ বয়সে যিনি শারীরিকভাবে সক্ষম নন, তার উপর তো হজ্জ্ব ফরয থাকেনা।
সৌদিরা যদি তাদের বন্ধু আমেরিকানদের ডেকে এনেও হজ্জ্ব ব্যবস্থাপনা করায়, তাও ২০ লাখ লোক সামলানো যাবে আমি বিশ্বাস করিনা । এটা এক মহাযজ্ঞ। আমেরিকা প্রযুক্তি আপনাকে বেঁচে থাকার গেরান্টি দিবেনা, দিতে পারেও না। মৌলবাদীরা মনে করে এহরাম বাধা অবস্থায় মরলে হয়তো সে সেই অবস্থায় পরকালে উঠবে।পাপমুক্তির এর চাইতে কী ভাল পন্থা হতে পারে।
আমরা বরং সেই ধর্মানুভূতিকে ধিক্কার দেই । আমরা মৃত্যুকে ভয় পাই, ঘৃণা করি ।
২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
" । এটা এক মহাযজ্ঞ। আমেরিকা প্রযুক্তি আপনাকে বেঁচে থাকার গেরান্টি দিবেনা, দিতে পারেও না। "
-আমেরিকা পারবে।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৪৫
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকার উপর কিন্তু কারো ঈমান ছিলনা।
৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০০
বনরুই বলেছেন: হো হো হো
৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৪
সিপন মিয়া বলেছেন:
৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫২
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো।
৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬
এম এ কাশেম বলেছেন: হাতি ঘোড়া গেলো তল
ছাগল বলে কত জল।
যান , লতিফ সিদ্দিকীর পায়ে তেল মালিশ করেন।
৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
ফরিদ আলম বলেছেন: দারুন লেখা। সত্যিই দারুন।
ঈদ মুবারাক। আল্লাহ আপনাদের এবং আমাদের ভালো কাজ গুলো কবুল করুন!
৮| ২৭ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: @চাঁদ গাজীর বাবা `অামেরিকা' পারবে ! অামি বিশ্বাস করি পারবে!
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:১০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বৃদ্ধ বয়সে যিনি শারীরিকভাবে সক্ষম নন, তার উপর তো হজ্জ্ব ফরয থাকেনা।এটা কে বুঝতে চায়??
আমরা শেষ বয়সে যাই পাপমোচনের জন্য অথচ যা ফরজ হয়ে আছে অনেক আগেই।।
মৌলবাদকে বিশেষ করে মুসলিম ধারন করা আজ ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে পিছনে আছে পশ্চিমা ভিসার হাতছানি(যদিও খুলবে দরজা)।। বিভিন্ন ধর্মের দর্শনীয় স্থানগুলিতে (বিশেষ করে হিন্দু) ষ্টামপিড নিত্যনৈমিত্যিক ঘটনা।। তখন কিন্তু প্রখ্যাতদের দেখা যায় না।। ( বাহুল্যে বন্ধু বড় বিষ জ্বালা এই বুকে)।।