নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোকা মাকড়ের অস্তিত্ব নিয়ে কিছু দিন বেঁচে থাকা

.......অতঃপর মৃত্যুর প্রতীক্ষা

সাঈফ শেরিফ

আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |

সাঈফ শেরিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেই ১০ টি কারণে \'মধ্যযুগীয়\' ধর্মটা এই সভ্যতার সাথে মানায় না

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত হতে হলে জাত-ধর্ম পিছে ফেলে আধুনিক সভ্যতার সাথে মিশে যেতেই হবে । এই আধুনিক সভ্যতায় সাফল্য পেতে হলে ধর্মটাকে যুগের দাবি মত বদলাতেই হবে, সংশোধন করতে হবে, ব্যাখ্যা গুলো সার্বজনীন করতে হবে, কেটে ছেটে মানবিক ও রুচিশীল করতে হবে । কিন্তু মধ্যযুগীয়রা ধর্মের দোহাই দিয়ে নিজেদের পশ্চাদপদ রাখতে চায়, তাই যুগের সাথে তাল মেলাতে পারেনা ।
যেমন:

১. সুদ নিষিদ্ধ

সুদ বিশ্বব্যাপী সার্বজনীন বাস্তবতা । কিন্তু মধ্যযুগীয়দের সুদ পছন্দ না । তারা সুদমুক্ত থাকার জন্য বিকল্প অর্থনীতির মডেল দিল যেটা হলো একটা মৌলবাদী, মধ্যযুগীয় অর্থনীতি । এই মডেল ধর্মকে পুজি করে ব্যবসা করে যা অবাস্তব, অগ্রহণযোগ্য এবং পুজিবাদী সমাজে বেমানান । এই সভ্যতায় থাকতে হলে সুদ খেয়েই থাকতে হবে ।

২. এলকোহল নিষিদ্ধ

এলকোহল বিশ্বব্যাপী সার্বজনীন বাস্তবতা ও জনপ্রিয় পানীয় । কিন্তু মধ্যযুগীয়দের এলকোহল পছন্দ না । গোটা সভ্যতার জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বশেষে যেখানে এলকোহল উতসব, উপাসনা, সংস্কৃতি, স্বাধীনতা, সু-সভ্যতার প্রতীক সেখানে একদল মধ্যযুগীয় এলকোহলমুক্ত জীবন যাপন করতে চায় । তারা সভ্যতার সাথে মিশতে চায়না।

৩. জুয়া, লটারি নিষিদ্ধ

জুয়া, লটারি, ক্যাসিনো বিশ্বব্যাপী বাস্তবতা । কিন্তু মধ্যযুগীয়রা তাদের ধর্মগ্রন্থের দোহাই দিয়ে জুয়া, লটারি মুক্ত থাকতে চায়। তারা সভ্যতার সাথে মিশতে পারেনা, মিশতে জানেনা । তারা জীবনকে উপভোগ করতে চায়না।

৪. মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য নিষিদ্ধ

মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য বিশ্বব্যাপী শিল্প, সংস্কৃতি, ধর্ম ও মানবতার প্রতীক । প্রতিটি সভ্যতা, ধর্ম ভাস্কর্য ও প্রতিমা নির্ভর । কিন্তু মধ্যযুগীয়রা মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য নির্মাণ আগ্রহী না, বরং বিরোধী। তারা পশ্চাদপদ। তারা শিল্প চর্চা ঘৃণা করে, সভ্যতার সাথে মিশতে পারেনা, মিশতে জানেনা ।

৫. বিবাহ পূর্ব দৈহিক সম্পর্ক নিষিদ্ধ

বিবাহ পূর্ব দৈহিক সম্পর্ক সারা বিশ্বে প্রায় সকল জাতি-ধর্ম-বর্ণে স্বাভাবিকভাবেই প্রচলিত । লিভ টুগেদার, মিউচ্যুয়াল হলো ব্যক্তি স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রথম শর্ত । কিন্তু মধ্যযুগীয়রা লিভ টুগেদার, মিউচ্যুয়ালকে ব্যভিচার বলে গালাগাল করে। তারা পশ্চাদপদ। তারা মানব ধর্ম ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ঘৃণা করে, সভ্যতার সাথে মিশতে পারেনা, মিশতে জানেনা ।

৬. উপাসনালয়ে সঙ্গীত চর্চা নিষিদ্ধ

পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মে সঙ্গীত পবিত্র এবং প্রার্থনার অবিচ্ছেদ্য অংশ । কিন্তু মধ্যযুগীয় ধর্মটি এখানে ব্যতিক্রম । তারা মসজিদে জাতীয় সঙ্গীত 'সোনার বাংলা' পর্যন্ত গাইতে দেয়না । মসজিদের বাদ্যযন্ত্র নিষিদ্ধ । যারা সঙ্গীত বিরোধী তারা মানবধর্মে বিশ্বাস করেনা । তারা এই সভ্যতার সাথে মিশতে পারেনা, মিশতে জানেনা ।

৭. শুকরের মাংস নিষিদ্ধ

পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই শুকরের মাংস সুস্বাদু, সস্তা ও জনপ্রিয় খাদ্য । কিন্তু মধ্যযুগীয়রা শুকরের মাংসমুক্ত সভ্যতা চায়, খাবারের পরিবেশনা চায়। ধর্মের দোহাই দিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত খাবারে হালাল-হারাম বাছবিচার করে । ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে, তারা আধুনিক সভ্যতার সাথে মিশতে পারেনা ।

৮. সমকামিতা নিষিদ্ধ

সারা পৃথিবী এখন সমকামিতার পক্ষে, সমকামিতা বিজ্ঞান ও প্রকৃতির বাস্তবতা এটা বিজ্ঞানমুর্খ মধ্যযুগীয়রা মানতে চায়না। মধ্যযুগীয়রা সমকামিদের মৃত্যুদন্ড দিতে চায়। তারা মানব ধর্মে বিশ্বাস করেনা । আধুনিকতায় বিশ্বাস করেনা । তাদের বিশ্বাসে শুধুই মধ্যযুগ আর পশ্চাদপদতা ।

৯. কুকুর পালন নিষিদ্ধ

কুকুর প্রভুভক্ত বিশ্বস্ত প্রাণী হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও পালিত । কিন্তু মধ্যযুগীয়রা মনে করে কুকুর অপবিত্র। কুকুর স্পর্শ করলে তাদের উপাসনা ব্যর্থ হয় । কুকুর থেকে তাই মধ্যযুগীয়রা দশ হাত দূরে থেকে পশ্চাদপদতার চর্চা করে ।

১০. হাত দেখা, ভাগ্য গণনা নিষিদ্ধ

জ্যোতিষশাস্ত্রের মত জনপ্রিয় বিষয় নিষিদ্ধ করেছে মধ্যযুগীয়রা । ভবিষ্যত জানার ব্যাপারে বিশ্বব্যাপী এত আগ্রহ, পত্রিকা জুড়ে রাশি চক্রের হিসেবকে নিষিদ্ধ করেছে মধ্যযুগীয়রা । ধর্মের নামের মানুষের কৌতূহলকে দমন করতে চায় মধ্যযুগীয়রা ।

আপনিই ঠিক করুন, মধ্যযুগীয়দের মত জীবনযাপন করে পশ্চাদপদ থাকবেন নাকি আধুনিক, সভ্য, প্রগতিশীল জীবনযাপন করে সুনাম ও সাফল্য কুড়াবেন?


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.