![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার আজ (২৫ ডিসেম্বর) প্রথম প্রহরে একটি ফেসবুক স্ট্যাসাট পোস্টিং দিয়েছেন । ঐ পোস্টিং-এর প্রথমেই তিনি লিখেছেন – “খুব ভালো লাগছে যে ৭দিন পরে হলেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো উপলব্ধি করতে শুরু করেছে পাকিস্তান বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে অন্যায় করেছে!”
অন্য এক জায়গায় তিনি লিখেছেন- “মুসলিম লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার জাতীয় পরিষদে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে অনৈতিক প্রস্তাবও পাশ করেন। আর ইসলামের চিহ্নিত শত্রু পাকিস্তান জামায়াতে ইসলাম তাদের সেনাবাহিনীকে বাংলাদেশ আক্রমণ করার আহবান জানানোর মতো ধৃষ্টতা দেখানোর পর বাংলাদেশে গণজাগরণ মঞ্চের তীব্র গণ আন্দোলনের চাপে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেন যা ঘটনার ৩দিন পর”।
পোস্টিং-এর শেষের দিকে তিনি সম্ভবত সরকারকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন- ”জাতীয় স্বার্থে কোনো আপোষ কেউই মেনে নেবে না”।
উপরোদ্ধৃত বাক্যগুলোতে তথ্য বিভ্রাট রয়েছে এবং রং সিগন্যাল দৃশ্যমান । কারণ, প্রথমত ৭ দিন পর নয়, বর্তমান সরকারি দলসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলগুলো ১৬ ডিসেম্বর থেকেই পাকিস্তানের পার্লামেন্টের পদক্ষেপের ব্যাপারে নিন্দা জ্ঞাপন করতে থাকে । দ্বিতীয়ত, ৩দিন পর নয়, ২দিন পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন, তথ্যসূত্র- Click This Link অর্থাৎ, যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসি দেওয়াতে পাকিন্তান পার্লামেন্টে শোকপ্রস্তাব পাশ হয় ১৬ ডিসেম্বর, আর প্রধানমন্ত্রী প্রতিবাদ জানান ১৮ ডিসেম্বর । অন্যদিকে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানায় ১৭ ডিসেম্বর, তথ্যসূত্র- Click This Link অর্থাৎ, আমাদের সরকারের পক্ষে ১দিন পরই প্রতিবাদ জানানো হয়, ৩দিন পর নয় । কাজেই গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রের নিকট থেকে এ ধরণের তথ্য বিভ্রাট কাম্য নয় । তৃতীয়ত, কার সাথে সরকার আপোস করছে তা ইমরানের স্পষ্ট করে বলা উচিত ছিল । কারণ, যে সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শুরু করাসহ আইনের ফাঁকফোকর বন্ধ করে এ পর্যন্ত অন্তত একটা যুদ্ধাপরাধীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে, সেই সরকার যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে আপোস করবে বলে উক্তি করা অতিবিপ্লবী মন্তব্য বলেই মনে হচ্ছে ।
পকিস্তানের পার্লামেন্টে নিন্দনীয় প্রস্তাব গ্রহণের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে আরো ত্বরিত ও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারতো কিনা তা অবশ্যই আলোচনা-সমালোচনার বিষয় হতে পারে বৈকি । তবে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রের স্ট্যাটাস পোস্টিং-এ বিরোধী দলগুলোর, বিশেষ করে প্রধান বিরোধী দল এবং বিরোধী দলীয় নেতার দীর্ঘ নীরবতার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা থেকে কেনো বিরত থাকলেন তা বোধগম্য নয় । বিরোধী দল, যারা যুদ্ধাপরাধীদের সাথে জোটবন্ধভাবে আন্দোলন করছে, ইমরান তাদেরকে যুদ্ধাপরাধীদের সাথে আপোস নাকি অন্য কিছু করতে দেখছেন তা খুব জানতে ইচ্ছা করছে ।
ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন অভিমুখী গণজাগরণ মঞ্চ আয়োজিত ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বরের সমাবেশ ও মিছিলে পুলিশি হামলা কোনোভাবেই কাম্য ছিল না, তা অতীব নিন্দনীয় এবং এ ব্যাপারে দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যাবশ্যকীয় । প্রথম দিন (১৭ ডিসেম্বর) গোটা সময়জুড়ে আমি ঐ সমাবেশ ও মিছিলে উপস্থিত ছিলাম । তাতে আমার ব্যক্তিগত খানিকটা বিপদও ঘটেছে বৈকি। সে বড় কোনো বিষয় নয় । ঐ দিন সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় পুলিশকে দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করানোতে আমার সামান্য হলেও ভূমিকা ছিল । তবে একটি বিষয় আমার কাছে এখনো রহস্যাবৃত যে, ঐ দিন (১৭ ডিসেম্বর) সরকারকে ২০ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়া এবং পরের দিন (১৮ ডিসেম্বর) আবার একই ধরণের কর্মসূচি ঘোষণার আদৌ কোন প্রয়োজন ছিল কিনা । বরঞ্চ ১৯ ডিসেম্বর থেকে গণজাগরণ মঞ্চ যেসব কর্মসূচি পালন করে আসছে সেসবে জনসম্পৃক্ততা বাড়ছে, প্রশংসনীয় এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিগুলোর মধ্যে এক ধরণের অলিখিত চুক্তি মোতাবেক পাকিস্তান এবং পাকিস্তানপন্থীবিরোধী যুগপদ আন্দোলন-সংগ্রাম বেগবান হচ্ছে ।
গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকদের মনে রাখা প্রয়োজন- ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এ যাবত তাদের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে- অন্যতম যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লাকে ফাঁসিতে লটকানো । এ কাজে তারা সবচেয়ে বড় সহায়তা পেয়েছেন কোন পক্ষীয় শক্তির নিকট থেকে, তা কি তাদের অজানা ? পক্ষান্তরে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষীয়রা ক্ষমতায় আসলে গণজাগরণ মঞ্চের অবস্থা কী হবে তা কি তারা চিন্তা করেন ? কাজেই গণজাগরণ মঞ্চকে ভেবেচিন্তে কথাবার্তা বলা, কর্মসূচি প্রণয়ন এবং পথ চলতে হবে । অন্যথায়, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষীয় তারুণ্যের অযুত শক্তিতে বলিয়ান গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো কঠিন হতে পারে ।
২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০১
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: শুধু মাত্র ফাকিস্হান আমাদের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে এমন নয়, আমেরিকা এবং ভারতও অহরহ একই কাজ করে যাছছে।কিন্তু এই সব ক্ষেত্রে গনজাগরন মন্ঞ্চকে কোন আন্দোলন-প্রতিবাদ করতে দেখা যায় না।এতে তাদের সদ্দুশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন উঠছে।অনেকে বলছে এই মঞ্চ " র " এর প্রজেক্ট।তাই দ্রুত সকল অবৈধ হস্তক্ষপের বিরুদ্ধে একইভাবে গর্জে উঠা এই মঞ্চের দায়িত্ব।
৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১
এম আর ইকবাল বলেছেন:
কথাটা একজন রিক্স্রাচালকের ।
তার রিকস্রায় যাওয়ার সময় তার বলে যাওয়া কথাগুলো,
ম্যাডম বলছে পতকা নিয়ে ঢাকা যেতে ।
আমিঃ গতকাল রাতে বলেছে,
পতকা নিয়ে কেন, জানেন ।
কেন ?
পতকা তো আসল না, পতকার সাথে ডাণ্ডা নিতে হবে, সেটা আসল কথা ।
কি ভাবে ?
কারণ মারামারি করা লাগবো ।
তুমি জানলে কিভাবে ।
সকালে দুজন পেসেন্জার নিছিলাম, তারা লাঠির ওডার্র দিচ্ছিল কয়েক জায়গায়, আর এসব নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ করছিল । তাই
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: বাংলাদেশ অপার সম্পদ এবং সম্ভাবনায় পূর্ণ একটি দেশ । কিন্তু তারপরও এই দেশ কাঙ্খিত ভাবে এগিয়ে যেতে পারছে না । এর কি কারণ ? এর মুল কারন হলো সঠিক ও যোগ্য এবং দেশ প্রেমিক নেতৃত্বের অভাব।।আর রাস্ট্রীয় সর্বচ্চো পর্যায় হতে সর্ব নিম্নপর্যায় পর্যন্ত দূর্নীতি ।আমরা সকলেই জানি যে,আমাদের দেশের কোন রাজনৈতিক দলের কোন নেতাই দেশ বা জনগনের জন্য রাজনীতি করে না, আদর্শে জন্য করে না ।সবাই নিজের জন্যেই রাজনীতি করে । বড়জোর নিজ পরিবারের জন্য। সে বর্তমান প্রধানমণ্ত্রীই হোক আর বিরোধীদলীয় নেত্রীই হোক,এরশাদ সাহেবই হোক আর সাবেক প্রেসিডেন্ট বদরূদ্দোজা চৌধূরীই হোক। সে ৭১'রণান্গনে বীর যোদ্বা আবদুল কাদের সিদ্দীকিই হোক আর দেলোয়ার হোসেন সাইদীই (দেইল্ল্যা রাজাকার) হোক। সাকাচৌই হোক আর তেতুঁল হুজুর(যদিও এদের নামের সাথে হুজুর শব্দটি লেখা ঠিক নয )শফি সাহেবই হোক। এদের মধ্যে কেউ একত্তরের চেতনা ফেরী করে বন্ধু বেশে শত্রু প্রতিবেশী দাদাদের আশির্বাদের(!) জন্য দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয়,কেউ বা জাতীয়তাবাদী চেতনা ফেরী করে বন্ধুবেশি শত্রু , বিশ্ব সন্ত্রাসী মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের আস্থা অর্জনের জন্য সবকিছু করার অন্গীকার করে,কেউ ইসলাম রক্ষার দোহাই দিয়ে জণগনের জানমালের ক্ষতি করে বেড়ায় ইত্যাদি ইত্যাদি ।সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাছ্ছে যে, বাংলাদেশের অভ্যণ্তরীণ রাজনৈতিক জটিলতার সুযোগে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপতি-পররাষ্ট্র মণ্ত্রী-রাষ্ট্রদুত ,জাতিসংঘের মহাসচিব -বিশেষ দুত ইত্যাদি সকলে আন্তর্জাতিক কূটণৈতিক শিষ্টাচার লং্ঘন করে বাংলাদেশের অভ্যণ্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে যাছ্ছে । আর আমাদেরদেশপ্রেমিক(???) নেতা-নেত্রীগণ সাদরে বরণ করছে । শু তাই নয় , আয়োজন করে একে অপরের বিরূদ্দে তাদের কাছে নালীশ দিছ্ছে । একজনতো আরো একধাপ এগিয়ে জিএসপি সুবিধা বািতলের আবেদন পর্যন্ত করেছে। হায়রে দেশপ্রেম ???
মূলতঃ এরা সকলেই এক ও অভিন্ন আদর্শে (?) বিশ্বাসী। সেটা হলো দেশ ও জাতীর জন্য সর্ব্বোচ্চ ত্যাগের কিছু গৎবাধাঁ বুলি আওড়াও , জণগন নামক একদল গাধাঁর সামনে একগাদা মিথ্যা আশ্বাসের মুলা ঝুলিয়ে ছলে বলে কৌশলে ক্ষমতায় যাও ।আর দূর্নীতির মাধ্যমে জনগনকে ন্যয্য অধিকার থেকে বন্চিত করে রাস্ট্রের কোটি কোটি টাকা চুরি করে টাকার পাহাড় গড়ে তোল । তাদের সময় কোথায় দেশ ও জনগকে নিয়ে ভাবার ।আর তারই ফলে আজকে বাংলাদেশে কাঙ্খিত উন্নয়ন হছছে না । হচছে আজকের এই জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি ।সুতারাং এখন সময় এসেছে আমাদের সাবধান হওয়ার।