![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক যুগ অতিক্রান্ত হয়েছে -গ্রাম ছেড়ে শহরে, শহর ছেড়ে আপাতত পৃথিবীর রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু ওয়াশিংটন ডি.সি তে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি তে অনার্স,মাস্টার্স করে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন বুকে নিয়ে প্রবাস যাপন।\nখুব কষ্ট হয় যখন দেখি \'৭১ নিয়ে এ প্রজন্মের অজ্ঞতা, যখন দেখি লালনের গান রিমিক্স হয়ে পরিচিত হয় আরেকজনের গান হিসেবে। খুব কষ্ট হয় রাজাকারদের হাতে কিংবা গাড়িতে লাল সবুজ পতাকা দেখে।\nভালোবাসি ভালোবাসতে। সুপরিচিত বদমেজাজী হিসেবে।
আজকে তেলাপোকার জিনোম এনালাইসিস নিয়ে নেচার কমিউনিকেশনে একটা আর্টিক্যাল এসেছে। চায়নীজ একটা গ্রুপ এই আর্টিক্যালে দেখিয়েছে তেলাপোকার শরীরে যেকোন ইনসেক্টের তুলনায় সবচেয়ে বেশি জিন আছে। সংখ্যায় তেলাপোকার জিন প্রায় সাড়ে তের হাজার যেখানে পতঙ্গের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঘাস ফড়িঙ্গের, প্রায় আট হাজারের মত। তারা দেখিয়েছে তেলাপোকা এবং উইপোকা আসলে ভাই ভাই- অর্থাৎ জিনগত বিবর্তনের দিক দিয়ে নিকট-আত্মিয়। যেখানে উইপোকারা ফ্রেশ কাঠ হজম করতে পারে তাদের পেটের ভেতরের মাইক্রোবায়োটা বা ব্যাক্টেরিয়ার জন্য অন্যদিকে তেলাপোকাদের মাইক্রোবায়োটা হজম করতে পারে নানা-ধরনের পঁচা-বাসি খাবার যা দীর্ঘকাল মানুষের সাথে বসবাসের ফলে উদ্ভব হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে । ঠিক একই কারনে সর্বভোগী এই তেলাপোকাদের ভেতরে উদ্ভব হয়েছে ম্যাসিভ সব রিসিপ্টরের যা দিয়ে সে যেকোন প্রকার খাবারের স্বাদ, গন্ধ নিতে ও সেগুলোর ডিটক্সিফিকেশন করতে পারে।
আরো মজার ফাইণ্ডিংস হচ্ছে এই তেলাপোকারা টিকটিকির লেজের মত পা হারালে দ্রুত আবার নতুন পা তৈরী করে ফেলে যাকে বলে ডেভেলপমেণ্টাল প্লাস্টিসিটি এবং এই সক্ষমতা খাবারের এভেইলিবিটির সাথে বাড়ে। এই ফাইন্ডিংসের মোদ্দা কথা হচ্ছে কিছু সুত্র দেয়া যা ভবিষ্যতে তেলাপোকার মত পেস্ট কন্ট্রোলে কাজে লাগবে। যাইহোক, তেলাপোকা নিয়েও কত সুন্দর কাজ হতে পারে তার প্রমাণ এই পেপারটা। পড়ার সময় ভাবছিলাম দুটো জিনিসঃ--
১। দেশে যখন পাটের জিনোম সিকোয়েন্সের খবর প্রকাশ হল তখন একদল শিক্ষিত মানুষ এই কাজের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ভাবখানা এমন যে, নিজে বা নিজেরা পারিনি তাই বলে অন্যেরা পারবে কেন। সেই সব বাঙ্গালীর মত কি চাইনীজ গভর্নমেন্টের কেও ভেবেছিল কী হবে তেলাপোকা পেছনে গবেষনায় টাকা খরচ করে?
২। যেইসব গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টরা এই প্রজেক্টে কাজ করেছে তাদের কেউ হয়তো এমএস বা পিএইচডি করলো (হয়তো) তেলাপোকার উপর আর সেই ব্যাক্তি যদি বাংলাদেশের কোন চাকরির ইন্টারভিউয়ে বা কারো সাথে আলাপ করে তার রিসার্চ তেলাপোকা নিয়ে... উফফ কি পচানী-টাই না দিবে...
https://www.nature.com/articles/s41467-018-03281-1?utm_source=fbk_nr&utm_medium=social&utm_campaign=NNPnature#Sec7
২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১১
শাদা-অন্ধকার বলেছেন: আগ্রহের কারনেই অনেক কিছু পেয়েছি আমরা।
২| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:১৬
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আমরা সমালোচনা সহজে নিতে পারলেও, করতে পারি। ইস্যু নিয়ে মুহূর্তেই বিভক্ত হতে পারি।
২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১০
শাদা-অন্ধকার বলেছেন: হুম.।.। শুধু আমরা না, সারা পৃথিবীতেই বিভক্তি।।
৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একদিকে আরশোলা সম্পর্কে সমৃদ্ধ হলাম।অন্যদিকে আমরা সহজে সমালোচনা হজম করতে পারিনা।কি বা আর করা যাবে।যাক সাফল্য যেভাবেই আসুক তা কাম্য।
ধন্যবাদ,শুভেচ্ছা রইল।
২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০০
শাদা-অন্ধকার বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাকেও শুভেচ্ছা।
৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: কিছু লোক আছে যারা সবসময় নেগেটিভ চিন্তা করে।
৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩
নীল মনি বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম শুকরিয়া
২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০১
শাদা-অন্ধকার বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪
কলাবাগান১ বলেছেন: খুবই সঠিক অনুভুতি
বরফ পড়াতে অপ্রত্যাশিত ছুটি..পড়ছিলাম নেচারের ১৮ টা আনসলভড ফিজিক্স প্রবলেম...তার মাঝে একটা হল Sonoluminescence- শব্দ থেকে আলো তৈরী হওয়া ...এটা কে এখনও কেউ বৈজ্ঞানিক ব্যাখা দিতে পারছে না। আর এই বিষয় টা পরীক্ষা হচ্ছে যখন গলদা চিংড়ি যখন বিদ্যুত গতিকে কোন শিকার কে আক্রমন করে... আর এর থেকে উঠে আসছে কিভাবে মহা বিশ্বে স্টার/ব্ল্যাক হোল তৈরি হচ্ছে সেই গবেষনা...।
Pistol Shrimp Shows sonoluninescence
ধার্মিক লোকজন আবার এর মাঝে বলা আরম্ভ করেছে শব্দ দিয়েই মহাবিশ্বের সকল স্টার আরম্ভ হয়েছে!!!! Let there be light!!!!!!
২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০২
শাদা-অন্ধকার বলেছেন: স্যার, লিখে ফেলুন এই ১৮ টা আনসল্ভড প্রব্লেমের যেকোন একটা নিয়ে। আমরা সবাই জানতে পারবো। খুব ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে।
৭| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২০
চাঁনমিয়া বলেছেন: আজকাল শুনছি মানুষের সাথে নাকি শয়তানের জিন মিলছে এটা কি সত্য ?
২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০৪
শাদা-অন্ধকার বলেছেন: শয়তান আছে নাকি দুনিয়ায়? বিজ্ঞান কোন অশরীরি অস্তিত্তের পক্ষে যিক্তি দেয়না। তথ্য-প্রমাণ, উপাত্ত নির্ভর জিনের সন্ধান দিতে পারলে এটা নিয়ে আলাপ করা যেতে পারে।
৮| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২১
টারজান০০০০৭ বলেছেন: বাংলাদেশে গুণীর কদর হয় না কারণ যাহারা কদর করিবেন বা কদর করিতে বলিবেন তাহাদের অধিকাংশই গুণী নহেন ! বুদ্ধুজীবী সম্প্রদায়ের মধ্যে inferior/supirior complexity সবচেয়ে বেশি।বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও পড়াশোনা/গবেষণা না করিয়া মাল কামানোর ধান্দার মহামারী লাগিয়াছে ! আগের মতন আত্মভোলা,নিবেদিতপ্রাণ, নিরহংকারী, পার্থিব স্বার্থের প্রতি বেখবর বুদ্ধিজীবী আর দেখা যায় না ! আফসোস !
৯| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৯
আখেনাটেন বলেছেন: যেইসব গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টরা এই প্রজেক্টে কাজ করেছে তাদের কেউ হয়তো এমএস বা পিএইচডি করলো (হয়তো) তেলাপোকার উপর আর সেই ব্যাক্তি যদি বাংলাদেশের কোন চাকরির ইন্টারভিউয়ে বা কারো সাথে আলাপ করে তার রিসার্চ তেলাপোকা নিয়ে... উফফ কি পচানী-টাই না দিবে...
-- দেশের মাথামোটা সর্ববিষের ওঝা আমলারা এহেন তেলাপোকা বিষয়ক গবেষণার কথা শুনে একটা কথাই বলবে 'অর্থের কি নিদারুন অপচয়। মেধাবীবের এ কি হাল।'
ভালো লাগল বিজ্ঞানবিষয়ক এ লেখা।
২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০৫
শাদা-অন্ধকার বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগল। ধন্যবাদ।
১০| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৩৪
অক্পটে বলেছেন: ভালো লাগলো। কিছু জানলাম। মন্তব্যগুলোই দারুণ করেছেন সবাই।
কলাবাগান১ আপনার লেখাও দারুণ উপভোগ্য। তুষারপাতের এই অপ্রত্যাশিত ছুটিতে কিছু লিখে ফেলুন আমাদের জন্য।
১১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০১
তাশমিন নূর বলেছেন: মজার বিষয়। তবে তেলাপোকার আর মশার বংশ বিস্তার একটু কম দ্রুত হলে ভালো হত। জীবন অতিষ্ঠ।
১২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১৪
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আমরা সহজে কারোও প্রশংসা করতে চাইনা । অথচ নিজের কাজ গুলো বলে বেড়াতে পছন্দ করি ।
তথ্য গুলো জেনে ভালো লাগলো ।
২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯
শাদা-অন্ধকার বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
১৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮
মি.সিম্পলম্যান বলেছেন: নতুন পা গজায় এই বিষয়টা এত দিন কারো চোখে পড়েনি। অনেকেই তো তেলাপকা কৌটায় রেখে সংরক্ষন করেন।
আরেকটা জানার বিষয় জিনোম কি ডিএনএর সাথে সম্পর্কিত। আই মিন জিনোম টা কি?
নেচার কমউনিকেশন- এটা কি কোন দেশি পত্রিকার নাম নাকি?
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষ তার চারিপাশের সবকিছুকে জানতে চাচ্ছে, বুঝতে চাচ্ছে; সবকিছুকে সঠিকভাবে জানার আগ্রহ আছে মানুষের।