![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন দার্শনিক।১৯৭৯সালে ২৬শে জুলাই জন্ম নিয়েই এপর্যন্ত আছি। উল্লেখ করার মত পড়াশোনা হয়েছে হয়নি এমন। লিটল জুয়েলস এ হাতেখড়ি, নাসিরাবাদ স্কুলে নড়িচড়ি, ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে দৌড়াদৌড়ি, চট্টগ্রাম পাবলিক কলেজে হুড়াহুড়ি, মহসিন কলেজে ঘুরাঘুরি, শেষে আইসিএমএতে খোড়াখুড়ি। মেট্রিক ১৯৯৫, ইন্টার ১৯৯৭, গ্রাজুয়েট ২০০২, এরপর লটকে আছি। নো মানি নো এডুকেশান। একই কাহিনী চাকুরী জীবনেও। পড়িয়ে দেশ উদ্ধার করেছি সাইফুরস, এমসিএইচ, ইউসিসি, আরও কতকি। চাকুরীর সূচণা সিটিসেল, জিটিআর, এরপর এপেক্স ইনভেস্টমেন্ট, ও ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ম্যাংগোপিপল.কম এর কাজ করেছি। আপাতত--- প্রচুর গান লিখি, ক্লাসিক্যাল গাই, কি-বোর্ড বাজাই, কম্পোজ করি, সাউন্ড ডিজাইনার বলা যায়। রেডিও ফুর্তি, ফিল্ম ফেস্টিভেল আর একটা নাটকে গানের কাজ আছে। শিল্পী তাহসানের মুঠো গানটা আমার ছিল। অনেক কবিতা আছে বাংলা ইংলিশ। টুইটুম্বুর পত্রিকায় একটা লেখা ছাপিয়ে ছিল। আজকাল গল্প লিখার আস্পর্ধা করি। ব্লগ বুঝেছি এ বছর ২০১২তে। প্রচুর ছবি আঁকি- ভাল পারি পেস্টেলের কাজ আর পেন্সিল স্কেচ। পছন্দ করি এবেস্ট্রেক্ট আর্ট। তবুও আমি অপূর্ণ। আমি বাবা মার একমাত্র সন্তান। বাবা নেই ২০০৪ থেকে, মা আছেন, সাথে নানা নানু ও আমার ক্যান্সার আক্রান্ত আন্টি। সিংহ রাশীর জাতক আমি। জীবনে প্রেম করার চেয়ে ইনফ্যাচুয়েশনে পড়েছি বেশি। আরো কিছু মনে পড়লে লিখবো। এ পর্যন্ত অনেক জেনেছেন। এবার ধন্যবাদ। আপনি আসতে পারেন।
ধন্যবাদ জামাত শিবির!
• তোমরা নাস্তিকরে হত্যা কইরা মুমীন বানাইসো;
• আর নিজেরা নাস্তিকটার সব গুনাহ কাঁধে নিয়া মুশরিক হইয়া গেসো। মারহাবা মারহাবা!!
ধন্যবাদ জামাত শিবির!
• নাস্তিকটার অবদান ছিল দেশপ্রেম, তাই সে ঈমানদার।
• আর তোমার অবদান ছিল কোরান অবমাননা, তাই তুমি কাফের। মারহাবা মারহাবা!!
ধন্যবাদ জামাত শিবির!
• নাস্তিকটার মৃত্যুতে তুমি আজ ১০লক্ষ লোকের জানাজা পড়াইলা,
• আর তোমার জুলুমের কারণে তোমার আর তোমার রাজাকার নেতাদের এদেশের মাটি কপাল থেকে সরাইলা।। মারহাবা মারহাবা।।
ধন্যবাদ জামাত শিবির!
• নাস্তিকটার কৃতকর্মের বিচার তুমি আল্লাহকে করতে দিলা না, তুমি নিজে প্রাণ নিয়া বুঝায় দিলা তুমি আল্লাহ, তুমি বুঝায় দিলা আখিরাত এর কোন মূল্য নাই, তুমি বুঝায় দিলা আল্লাহ কত অসহায়;
• আর তোমার কৃতকর্মে আল্লাহ নিজেই অপমানিত হলেন, ইসলামকে অশান্তির অস্ত্র বানাইয়া অস্বীকৃতি জানাইলা, আর মহানবী হযরত মুহম্মদের পবিত্র নামে থুথু ছিটানোর জন্য সব নাস্তিকদের পথ তৈরী করে দিলা। মারহাবা মারহাবা!!
ধন্যবাদ জামাত শিবির!
• নাস্তিকটা আজ যে শহীদ – রাস্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অফ অনার – এমন সম্মানিত মৃত্যু যে কোন ঈমানদার মুসলমানের কাম্য, তাতো তুমি পেতে পারতে;
• কিন্তু তুমি আজ খুনী-আসামী, রাস্ট্রীয় অপরাধে রাজাকার – তোমার জীবন কত নোংরা, কত নিরাপত্তাহীন,কত জাহান্নামী তা তো নাস্তিকের প্রাপ্য ছিল।
হায় জামাত শিবির! আর তোমাদের দোসর যারা জানাজা চায় নি-
• তারা নাস্তিকতার গুনাহ গুলো ভাগ করে নিজেরা নিজেদের কামড়া কামড়ি করছো। আর আমাদের বলছো নাস্তিকের গুনাহ মাফ হবে না।
• অথচ আমরা দেখলাম আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে ১০লক্ষ মানুষ পাঠালেন সারাদেশ থেকে, আর তার সব গুনাহ গুলো তোমাদেরকে দিলেন বিকাল ৫টা ৩০মিনিটে যখন তোমরা পরাজিত হয়ে তোমাদের হিংসা নিয়ে ফোঁস ফোঁস করছিলে আর সফল হওয়া জানাজা দেখছিলে।
• কেমন লাগছিল তখন? মনে হচ্ছিল না যে মহান আল্লাহ তোমাদের থেকে মুখ ফেরালেন?
• তোমাদের কি মনে হচ্ছিল না এটা তোমাদের উপর আল্লাহর একটি গজব? যে পুরস্কার তোমরা পেতে পারতে তা তোমাদের অন্যায় হত্যার মাধ্যমে একজন নাস্তিক তার পুরো পুরস্কারটা পেয়ে গেল?
• তোমরা কি বুঝতে পারছো না যে তোমাদের আখিরাতটা এখন ওই নাস্তিক রাজীব ভোগ করবে আর তোমরা তার জন্য নির্ধারিত দোজখটা ভোগ করবা?
তোমরা কি তোমাদের নিশ্বাসকে জিজ্ঞেস করেছো কেন একজন নাস্তিক মানুষ মুমীনের সম্মান পায় যা তোমাদের প্রাপ্য ছিল?
কারণ - তোমাদের নিরাপরাধ মানুষ হত্যা, তোমাদের আল্লাহ ও রাসুলকে অপমান, ও দেশের প্রতি বেঈমানী।
এই হত্যাকান্ড ঘটানো, হত্যা সমর্থন ও রাজীবের জানাজাকে অসমর্থন – আল্লাহর দৃষ্টিতে একই অপরাধ।
• এখন যদি কারো মনে অনুতাপ আসে, যারা জানাজার বিপক্ষে বলেছেন বা হত্যাকে সমর্থন করেছেন; তারা - এই হত্যার বিপক্ষে- এখন থেকে – দেশের স্বার্থে দেশপ্রেমকে সামনে রেখে রাজাকারের ফাঁসি চান আর আল্লাহর কাছে মাফ চান। যাতে আল্লাহ আর আপনাদেরকে এমন গজব না দেন, আপনাদের ভেতরে ঈমান ঢেলে দেন, আর সত্য ও সরল পথ দেখান।
• নাহলে আপনাদের নাম লিখে রাখছি, যেদিন আপনারা মৃত্যুবরণ করবেন সেদিন আমরা বলব আপনাদের জানাজা পড়া যাতে না হয়; দেশের মাটিতে আপনাদের কবর যাতে না হয়; কারণ আপনারা দেশের ঐতিহাসিক প্রজন্ম চত্বরের ২০১৩ সালের বিপ্লবের সর্বপ্রথম শহীদ রাস্ট্র ঘোষিত বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজীব হায়দার শোভনের জানাজা - না হবার জন্য প্রতিরোধ করেছেন। একথাগুলা আপনাদেরকে হুমকি নয়, এটা আপনাদের জানানো যে আপনাদের সময়ের পাপ আমরা ভুলি নাই।
• আপনারা কি বুঝেননা যে আল্লাহ আপনাদের মধ্যে ‘দেশপ্রেমই ঈমান’ – এটা দেখতে চাচ্ছেন? দেশপ্রেমই ঈমান – এটা দিয়ে পুরস্কৃত করতে চাচ্ছেন? যা দেখছেন, শুনছেন ও বুঝছেন তা দিয়ে আমি দেখি নাই, আমি শুনি নাই আর আমি বুঝি নাই- বলে কতক্ষণ কুফরী পথে যাবেন?
আর রাজীবের হত্যাকারীদের বলব, স্বেচ্ছায় আইনে নিজেদের সোপর্দ করেন, আপনাদের হত্যা করার মত জঘন্য কাজ এদেশে মানুষের রুচিতে নাই – পারলে আইনের মাধ্যমে স্বসম্মানে আপনাদের বিচার করাই আমরা এখনও নৈতিক মনে করি।
আপনি বেঈমান-মুনাফিক-মুশরিক-দেশদ্রোহী-রাজাকার-হত্যাকারী-জালেম হবার পরও দেশবাসী আপনাদেরকে এখনও নাগরিক হিসেবে সম্মান দেয়, আপনার মা আপনাকে এখনও তার সন্তান জানেন। আপনার মায়ের মুখ মনে করে - লজ্জা থাকলে বুঝে নেবেন জামাত শিবির।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৪
সি এস আহমেদ বলেছেন: সেটাই।
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫০
মশামামা বলেছেন: ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
ফিরে এসো বাছাধন - সুস্থ জীবনে
বাঙালী হয়ে প্রজন্ম চত্বরে এসে জড়ো হও -
রাজীব হত্যার ক্ষমা চেয়ে পবিত্র করো কণ্ঠ তোমার,
মুখে তোলো একটাই স্লোগান -
'জয় বাংলাদেশ; রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ,
আমি বাঙালি, বাঙালির জয় হোক,
পাকিস্তানী হানাদারবাদ নিপাত হোক।'
ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
সবার সামনে এসে প্রকাশ্যে বলো -
আমি দ্বিধাহীন, বিবেকবোধে সমুজ্বল তোমাদের মতই,
আমি বাংলায় জন্মেছি, বাংলায় একাত্ম, বাংলায় গান গাই
আমি তোমাদেরই সন্তান ও ভাই।
ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
উচ্চস্বরে বলো - আমি লজ্জিত, আমি ভারাক্রান্ত,
আমি মুসলমান; তবে উন্মাদনা নয়, ত্যাগ ও শান্তিই আমার ধর্ম,
আমি জানি - শিবির মানেই উন্নাসিক, মানসিক রোগীদের আস্তানা
করজোড়ে প্রার্থণা করো - প্রজন্মের কাছে প্রজন্ম চত্বরে এসে -
'আমার ভুল হয়ে গেছে; আমায় ক্ষমা করো ।
ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
আমিও আজ তোমাদের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই -
'জয় বাংলাদেশ; যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ,
আমি বাঙালি, বাঙালির জয় হোক,
পাকিস্তানী হানাদারবাদের মৃত্যু হোক।
জামাতীবাদ নিপাত যাক, সন্ত্রাসবাদ নিপাত যাক,
মানবতাবাদের জয় হোক, বাংলাদেশের জয় হোক।'
ওহে জনতা, জেগে ওঠো -
আর একটিবার মুক্তির স্লোগানে মাতো আর বলো -
সারাদেশ জাগ্রত হোক, গোটাজাতি এক হোক
এখনি সময়, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবার
পবিত্র মাটির রক্তের ঋণ পরিশোধ করবার
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৫
সি এস আহমেদ বলেছেন: ভাল কবিতা লিখসেন। আজ সারাদিন মনে হয় এই একটাই কমেন্ট দিসেন তাই না?
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫২
এক্সপেরিয়া বলেছেন: ++
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৫
সি এস আহমেদ বলেছেন:
৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৯
rasel246 বলেছেন: নিচের লাইনগুলো বাদ দিলে খুশি হব :
তুমি বুঝায় দিলা আল্লাহ কত অসহায়; কারন আল্লাহ কখনই অসহায় নন।
আর তোমার কৃতকর্মে আল্লাহ নিজেই অপমানিত হলেন; আল্লাহ কখনই
অপমানিত হন না, কারন প্রতেকের কাজের জন্য প্রতেকেই দায়ী।
আর মহানবী হযরত মুহম্মদের পবিত্র নামে থুথু ছিটানোর জন্য সব নাস্তিকদের পথ তৈরী করে দিলা। কারো কর্মের জন্য হযরত মুহম্মদের দায়ী নন, কারন তিনি সৎ উপদেশ দিয়েছেন।
অথচ আমরা দেখলাম আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে ১০লক্ষ মানুষ পাঠালেন সারাদেশ থেকে; কারন আল্লাহ কার গুনাহ মাফ করবেন আর কার গুনা মাফ করবেন না তা কেও জানে না।
তোমরা কি বুঝতে পারছো না যে তোমাদের আখিরাতটা এখন ওই নাস্তিক রাজীব ভোগ করবে আর তোমরা তার জন্য নির্ধারিত দোজখটা ভোগ করবা? কারন (উপরোক্ত)
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৯
সি এস আহমেদ বলেছেন: এই কথাগুলা দিয়া আমি বুঝাইলাম যে তারা কত্ত বড় সীমালংঘন করেছে, আর আল্লাহ তা'আলা সীমালংঘন পছন্দ করেন না। আর এই কথা গুলা তাদের অবশ্যই আঁতে ঘা লাগবে - আর অনুশোচণা যদি আসে তো করবে, কারণ হত্যাকারীও তো মানুষ।
বাই দা ওয়ে - আপনার কথা না রাখতে পারলে কি আপনি আমার গলা কাটবেন?
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৮
সি এস আহমেদ বলেছেন: "(হাবিল বলল) তুমি যদি আজ আমাকে হত্যা করার জন্য আমার দিকে তোমার হাত বাড়াও, তবুও আমি তোমাকে হত্যা করার জন্য তোমার প্রতি আমার হাত বাড়াব না। কারণ, আমি আল্লাহকে ভয় করি, যিনি সৃষ্টিকুলের প্রভু।বরং আমি চাই তুমি আমার গুনাহ এবং তোমার গুনাহের বোঝা একাই তোমার মাথায় তুলে নাও; আর এভাবেই তুমি জাহান্নামের অধিকারী হয়ে পড়ো। এ হচ্ছে জালেমদের কর্মফল।"[সুরা : আল মায়েদা, আয়াত : ২৮-২৯
আশা করি বুঝে নিতে পারবেন।
৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
পুংটা বলেছেন: পোষ্ট স্টিকি করা হউক।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৬
সি এস আহমেদ বলেছেন: ধইন্যবাদ।
৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৫
rasel246 বলেছেন: ভাই , ওই কয়েকটা লাইন একজন মুসলমান এর ঈমান পরিপন্থী। আপনার ঈমান যেন নষ্ট না হয়, তাই আপনাকে বলেছি, এখন আপনি পরিবরতন করবেন, না করবেন তা আপনার ইচ্ছা। একজন মুসলিম হিসেবে আমার দায়িত্ব ছিল বলা তাই বলেছি। সাধারন একজন মুসলিম হিসেবেই আপনার ভুলটুকু বলেছি, এতে যদি আপনি মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমাকে ক্ষমা করবেন। আপানার পোস্ট নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করিনি । তাই সবাই কে একরকম ভেবে “আপনার কথা না রাখতে পারলে কি আপনি আমার গলা কাটবেন? “ মন্তব্য করা ঠিক না।
বাই দা ওয়ে আমি নিজেও জাশি ও রাজনীতি কে দৌড়ের উপর রাখি।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১২
সি এস আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ। তাহলে আপনাকে লাইন বাই লাইন বলিঃ
১) তুমি বুঝায় দিলা আল্লাহ কত অসহায়; কারন আল্লাহ কখনই অসহায় নন।----- এটা কখনো কোন মুসলমান ভাবতে পারে না আর মুশরিকরা ভাবতে পারে। আমি জামাতিদের হুমকির নমুনায় বলি - তারা এমনও বলেছে যে - যখন আমরা (জামাতিরা) ধরব তখন আল্লাহও বাঁচাতে পারবে না। আজকে আমি এটাও দেখেছি এক জামাতি ছেলে বলেছে যে - যে হুজুর আজ জানাজা পড়িয়েছেন তাকেও হত্যা করবে সে। তাহলে কি জামাতিরা বলছে না তাদের কাছে আল্লাহ কিছু না, যেখানে রাহমানুর রাহীম রক্ষা কর্তা।
২) আর তোমার কৃতকর্মে আল্লাহ নিজেই অপমানিত হলেন; আল্লাহ কখনই
অপমানিত হন না, কারন প্রতেকের কাজের জন্য প্রতেকেই দায়ী।
আবারও বলছি এটা জামাতিদের গায়ে লাগানোর জন্য, তারা কি আল্লাহকে অপমান করেন না? যদিও আল্লাহ অপমানিত হননা কারণ দোষ অবশ্যই অপমান যে করে তার- সেই অপমানিত হয়। আমি ছাগুদের পেইজে মক্কা শরীফ - সানি লিওন এর অশ্লীল ছবির সহাবস্থান দেখেছি - যেখানে যারা পবিত্র পেইজ বানায় তারা পবিত্র থাকে আর যারা অপবিত্র পেইজ বানায় তারা কোনদিন ধর্মীয় কিছুকে সেখানে আনেন না। জামাতিদের ছাগলের লাদা কনসেপ্ট হল - অশ্লীল বিষয় এনে তারা সেখানে ধর্মীয় কথা ঢুকায় এভাবে নাকি মানুষ ভাল হয় - অথচ এভাবে সরাসরি ধর্ম অবমাননা হয়।
৩) আর মহানবী হযরত মুহম্মদের পবিত্র নামে থুথু ছিটানোর জন্য সব নাস্তিকদের পথ তৈরী করে দিলা। কারো কর্মের জন্য হযরত মুহম্মদের দায়ী নন, কারন তিনি সৎ উপদেশ দিয়েছেন।
জামাতিদের রিসেন্ট একটা হাদীস বলি তার প্রমান স্বরূপ একটা বই আমাকে দেখাইসে, তা হল, একদিন রাসুল (সঃ) কে কে নাকি মিথ্যা অপবাদ করসে, আর তা শুনে সাহাবীরা নাকি রাসুলকে জিজ্ঞেস করেছে যে - হে রাসুল! আপনি যখন থাকবেন না তখন এভাবে আপনাকে মিথ্যা অপবাদ দিলে আমাদের করণীয় কি? তখন রাসুল (সঃ) নাকী বলেছিলেন - আল্লাহকে অপবাদ দিলে তিনি ক্ষমা করে দেবার আয়াত দিসেন, কিন্তু আমি রাসুল (সঃ)কে মিথ্যা অপবাদ দিলে তাকে যেখানে পাও কুপিয়ে হত্যা কর, তার কন্ঠনালী কেটে দাও যাতে সে মিথ্যা অপবাদ উচ্চারণের জন্য যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে মৃত্যু বরণ করে। নাউযু বিল্লাহ। এবার আপনি বোঝেন - হুমায়ুন আজাদকে কি করা হল, ৭১ কি করা হল, আসিফ মহীউদ্দিন কি করা হতে যাচ্ছিল আর রাজীবকে কি করা হল। তাহলে এবার বলেন এ হাদীস নাই - নাকি আসে তা আমরা জানি না। তা নাহলে এত বছর যাবৎ এভাবে একই নিয়মে হত্যা করে হয় কেন?
৪) অথচ আমরা দেখলাম আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে ১০লক্ষ মানুষ পাঠালেন সারাদেশ থেকে; কারন আল্লাহ কার গুনাহ মাফ করবেন আর কার গুনা মাফ করবেন না তা কেও জানে না।
আবশ্যই আল্লাহ মাফ করেছেন কি করেন নাই - তা আমি জানি - তা আপনি জানেন - তা এখানে যারা এ ব্লগটার সব কমেন্ট পড়েছে সেও জানে। কিভাবে? আয়াতটাতে খেয়াল করুন।
"(হাবিল বলল) তুমি যদি আজ আমাকে হত্যা করার জন্য আমার দিকে তোমার হাত বাড়াও, তবুও আমি তোমাকে হত্যা করার জন্য তোমার প্রতি আমার হাত বাড়াব না। কারণ, আমি আল্লাহকে ভয় করি, যিনি সৃষ্টিকুলের প্রভু।বরং আমি চাই তুমি আমার গুনাহ এবং তোমার গুনাহের বোঝা একাই তোমার মাথায় তুলে নাও; আর এভাবেই তুমি জাহান্নামের অধিকারী হয়ে পড়ো। এ হচ্ছে জালেমদের কর্মফল।"[সুরা : আল মায়েদা, আয়াত : ২৮-২৯
কারণ এখানে,
আমি আল্লাহকে ভয় করি, যিনি সৃষ্টিকুলের প্রভু।বরং আমি চাই তুমি আমার গুনাহ এবং তোমার গুনাহের বোঝা একাই তোমার মাথায় তুলে নাও; আর এভাবেই তুমি জাহান্নামের অধিকারী হয়ে পড়ো। এ হচ্ছে জালেমদের কর্মফল।
তাহলে বুঝেছেন - পবিত্র কোরান পড়ে আপনি নিজেই বলতে পারবেন কোনটা কোথায় আপনি মাফ পেলেন কোথায় পাননি।
এটি হল হাবিল হত্যার কথা – তাকে তার আপন ভাই কাবিল হত্যা করেছে। আর তাতে হাবিলের সমস্ত গুনাহ চলে গেল কাবিলের মাথায়। আর এভাবেই হাবিল নিস্পাপ।
ধরে নিই (যদিও না), হাবিল নাস্তিক। তাহলে অন্যায়ভাবে হত্যার দায়ে কাবিল যদি সব দোষ পবিত্র কোরান অনুসারে বর্তায় তাহলে হাবিল নিস্পাপ হয় ও নিস্পাপ মানুষের জানাজাতে অংশ নেয়ায় শোয়াব বেশী। এটা জামাত মানবে না। তবে যারা ধর্ম মানেন কিন্তু জামাত নন তাদের এই ব্যাখ্যাটা বুঝানো এখনই অনেক জরুরী।
৫) তোমরা কি বুঝতে পারছো না যে তোমাদের আখিরাতটা এখন ওই নাস্তিক রাজীব ভোগ করবে আর তোমরা তার জন্য নির্ধারিত দোজখটা ভোগ করবা?
কারন তো বলেই দিয়েছি - আর এভাবেই তুমি জাহান্নামের অধিকারী হয়ে পড়ো। এ হচ্ছে জালেমদের কর্মফল।
জাহান্নাম আখিরাতের বিষয় - ভাইজান মনে হয় বলবেন না যে আখিরাত না এলে বুঝবো কেমনে - তাহলে কিন্তু পবিত্র কোরানের এই আয়াত অবমাননা হয়।
৬) শেষ কথা - আমি বুঝতে পেরেছি আমার কথাটায় আপনি কষ্ট পেলেন, আমি তাই দুঃখিত। তবে উদ্দেশ্য করে বলেছিলাম তাতেই বুঝলাম - আপনার মানবতার আঘাত লেগেছে - আর আপনি একজন সুন্দর ধার্মিক মানুষ পরিচয় দিলেন। আমি কাল থেকে তো অনেককেই বুঝাচ্ছি এভাবে - তাতে দেখলাম কেউ হত্যা পছন্দ করে না।
মোট কথা নাস্তিকতা আমিও পছন্দ করি না, তার উপর মিথ্যা অপবাদ (দেখলাম রাজীবের পোস্ট গুলা বেশ কিছু পেইজে বলেছে বানোয়াট কারণ পেইজটাতে নাকি একই দিনে ৭/৮টা ব্লগ প্রকাশ হয় যা আমরা ব্লগাররা জানি এটা অসম্ভব, একটা পোস্ট দিয়ে আমরা অপেক্ষা করি কমেন্টের জন্য তারপর আরেকটি পোস্ট এমন )--- আর তার উপর হত্যা। না আমি নাস্তিককেই ভাল বলবো অন্তত হত্যাকারীর চেয়ে, কারণ - নাস্তিকের সাথে প্রতিদিন হয়ত ঝগড়া হবে বেশীতে -মেরে তো ফেলবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
নিষ্কর্মা বলেছেন:
ধর্মের কথা বলে আর ধর্ম নিয়া খেলে -- এর নাম জামাত।