নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

From dust I have come, Dust will I be.

সাদাত সিয়াম

নির্বাক

সাদাত সিয়াম › বিস্তারিত পোস্টঃ

Short Histories - 01

১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:৩০



The great questions of the day are not decided by speeches and majority votes, but by blood and iron.
- Otto von Bismarck

ইউরোপের সামরিক প্রস্তুতির যুগ ছিলো মূলত ১৮৭১-১৯১৪ সময়কাল। এর শুরুতেই ১৮৭০ সালে সংঘটিত সেডানের যুদ্ধ ইউরোপীয় ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা যা পরবর্তীতে গোটা ইউরোপের ভূ-রাজনীতিকে প্রভাবিত করে। ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যে সংঘটিত এই যুদ্ধ দুই দেশের মধ্যে চরম শত্রুতা সৃষ্টি করে।

জার্মানির উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশই তখন প্রুশিয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিলো যা পরবর্তীতে জার্মানকরণের মাধ্যমে আধুনিক জার্মানির অন্তর্ভুক্ত হয়। জার্মানিতে সেসময় গঠিত হয়েছিলো "উত্তর জার্মান ফেডারেশন" যার চ্যান্সেলর ছিলেন অটোভন বিসমার্ক। সমগ্র জার্মান জাতি অধ্যুষিত অঞ্চলকে এক করার লক্ষ্যে তিনি পরবর্তীতে প্রুশিয়া কে জার্মান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন।

সেডানের যুদ্ধে ফ্রান্স পরাজিত হয়। ফলে জার্মান রাজধানী বার্লিন ইউরোপের রাজনীতির মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়ায়।
অটোভন বিসমার্ক, জার্মানির প্রথম চ্যান্সেলর। যিনি জার্মান অঞ্চলকে শুধু একীভূতই করেননি, জার্মানিকে রূপান্তরিত করেছিলেম ইউরোপের শ্রেষ্ঠ শক্তিতে। সেডানের যুদ্ধে তিনি ফ্রান্সকে কেবল পরাজিতই করেননি বরং তার দেওয়া পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে ইউরোপের রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন ফ্রান্সকে।

তিনি বুঝতে সক্ষম হয়েছিলেন, ফ্রান্স যদি অন্য ইউরোপীয় শক্তির সাথে আঁতাত তৈরি করে তবে তা জার্মানির অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে উঠবে। এসময় ব্রিটেন নিজেকে ইউরোপীয় রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন রেখেছিলো এবং জার্মান উত্থান নিয়ে চিন্তিত ছিলোনা। এই সুযোগে বিসমার্ক অপর দুই গ্রেট পাওয়ার রাশিয়া ও অস্ট্রিয়ার সাথে মৈত্রীবন্ধন তৈরী করেন। তবে বিসমার্কের পতনের মাধ্যমে এই মৈত্রীব্যবস্থারও পতন ঘটে এবং ফ্রান্সের উপর জার্মান Isolation নীতিও দুর্বল হয়ে পড়ে।

পরিহাস্য ব্যাপার এই যে একই সময়ে ফ্রান্স আবার রাশিয়ার সাথে আঁতাত গড়ে তোলে।
বিসমার্ক পরবর্তী সময়ে জার্মানিতে উগ্র জাতীয়তাবাদ দেখা দেয় এবং তাদের পররাষ্ট্রনীতিতে জার্মান রাষ্ট্রের জাত্যাভিমানের উপর অধিক মনোনিবেশ করা হয়।

© সাদাত সিয়াম

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:০২

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.