নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুকণা

i am critical

মরুকণা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের দেশে পাত্রী দেখা; কিছু নেতিবাচক দিক

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:০৩

কিছুদিন আগে আমার এক চাচাতো ভাই বিদেশ থেকে এসেছে। আবার বিদেশ চলে যাওয়ার পূর্বে চাচা চাচী তার একমাত্র ছেলের বিয়ে দেয়ার জন্য উঠে পরে লাগলেন। শুরু হল পাত্রী দেখার ধুম। আজকে এ জায়গায় তো কালকে ও জায়গায়। আমিও পাত্রী দেখার জন্য একদিন চাচা চাচী, চাচাতো ভাই ও তার দুই মামার সাথে সওয়ারী হলাম। পাত্রীর বাড়িতে এসে দেখি তারা মোটামুটি একটা মিনি বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। কিছুক্ষন কথা বার্তা হওয়ার পর শুরু হল মেয়ে দেখা পর্ব। মেয়েটি খুব ধীর কদমে এসে সালাম দিয়ে বসল। এবার শুরু হল তার ইন্টারভিউ পর্ব। প্রথমে সাধারন প্রশ্ন উত্তর পর্ব। তারপর বুদ্ধিবৃত্তিক প্রশ্ন উত্তর পর্ব। এতক্ষন পর্যন্ত পরীক্ষা নিচ্ছিলাম আমি , চাচা, আর চাচাতো ভাই এর একজন মামা। আমাদের প্রশ্ন উত্তর পর্ব শেষ হলে পাত্রীর শুরু হল আসল পরীক্ষা। আমার চাচী ও আরেক মামা শুরু করলেন-- প্রথমে তারা পা্ত্রীকে একটু হাটতে বললেন, পাত্রীর হাটা পর্ব শেষ হলে চাচী কৌশলে পাত্রীকে নিজের কাছে বসিয়ে তার চুল খুলে চুল দেখতে লাগলেন। লক্ষ্য করলাম চাচী পাত্রীর চোখ, কান , মুখ থেকে শুরু করে হাত পায়ের নখ পর্যন্তু খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে লাগলেন। দেখে আমার মনে হতে লাগল আমরা পাত্রী নয় যেন কোরবানীর হাটে গরু দেখতে এসেছি। পাত্রীর চেহারা দেখে মনে হল সে তার চরম অস্বস্তি ঢাকার প্রানপন চেষ্টা চালাচ্ছে। আমার চাচী এবার তাকে তার ছেলের সাথে বসালেন। তাদের একসাথে দাড় করালেন , আবার বসালেন। বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে কৌশলে তাদের দেখতে লাগলেন। এবার তিনি পাত্রীকে নিজের সাথে মাপলেন। চাচীর এই পর্যবেক্ষন আমি তাজ্জব হয়ে দেখতে লাগলাম আর নিজের কাছে লজ্জিত হতে থাকলাম। প্রায় একঘন্টা এরকম পরীক্ষা দেয়ার পর পা্ত্রীর মুক্তি মিলল। খাওয়া দাওয়া শেষে পাত্রী পক্ষের লোকজনের চোখ মুখ দেখে মনে হতে লাগল মেট্রিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে আর কয়েক মিনিটের মধ্যে। কিন্তু তাদেরকে আমরা আশা নিরাশার পেন্ডুলামে ঝুলিয়ে হ্যা বা না কিছুই না বলে চলে আসলাম। বাড়িতে এসে আশে পাশের লোকজনের অভিব্যাক্ত্যি দেখে আমার মনে হল আমরা বোধহয় কোন অজানা দেশের অজানা জীব দেখে এসেছি। মেয়ে হাত কেমন, পা কেমন, চোখ কেমন, গায়ের রং কেমন, উচ্চতা কেমন, চুল কতবড়, হাটা চলা কেমন, হাসি কেমন, কথা বলার ধরন কেমন, বয়স কত, মেয়ে কি করে, ইত্যাদি নানা প্রশ্নবানে জর্জরিত হতে লাগলাম। আশে পাশের লোকজন আত্নীয় স্বজন একজনের উত্তর শুনে সন্তুষ্ট হতে পেরে আরেক জনের কাছে শুনতে চাইছেন। ভাব দেখে মনে হল যে আগে তথ্য পাবে সে তার বিশ্লেষন করতে পারবে আরও সুচারু ভাবে। ও দিকে আমার চাচী তার কাছে করা পাত্রী সম্পর্কে প্রায় প্রতিটি প্রশ্নের নেতিবাচক জবাব দিচ্ছেন। তার মানে পাত্রী তার পছন্দ হয় নি। অর্থাৎ পাত্রী পক্ষ পরীক্ষায় ফেল করেছে।

পাত্রী দেখার এই সংস্কৃতি গ্রামে দেখা গেলেও শহর এলাকাও এর বাইরে নয়। ছেলে পক্ষ পাত্রী দেখে পাত্রী পছন্দ না হলে তার কিছু যায় আসে না কিন্তু পাত্রী পক্ষ পড়ে যায় অস্বস্তিকর অবস্থায়। সবচাইতে খারাপ অবস্থা হয় পাত্রীর। তার আত্নবিশ্বাস চরম হারে কমে যায় এবং সে প্রচন্ড হীনমন্যতায় ভোগে। সে নিজেকে মূল্যহীন ভাবতে থাকে এবং হতাশায় নিমজ্জিত হয়।

পাত্রী দেখার এই সংস্কৃতি বহু যুগ আগে থেকে বাংলাদেশে প্রচলিত। কিন্তু বর্তমান আধুনিক যুগে এর বিকল্প নিয়ে ভাবতে হবে। কেননা মেয়েরা আর যাই হোক কোরবানীর হাটের গরু নয়।

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:০৯

দি সুফি বলেছেন: ভাই ভাল বলছেন। সবাই বেশি বারাবারি করে। X(( X(( X(( X((

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৫৫

মরুকণা বলেছেন: ধন্যবাদ!!!!

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:১৫

ইসমাইল হোসাইন বলেছেন: ডিজিটেল পেশনে দেখা।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৪

মরুকণা বলেছেন: অনেকটা।

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৩২

রিফাত হোসেন বলেছেন: কথাটা সত্যি হতে পারে. কিন্তু দদদদদদদিন অনেক বদলেছে .. এখন মেয়ে পক্ষ ছেলেকে দেখে !

তাদের অবস্থান বাহির করে ।

আর এরেঞ্জ এ অধিকাংশ মেয়েই কোন না কোন ছেলের থেকে বা প্রেম থেকে অব্যহতি দেওয়ার জন্য বাবা মা বিয়ে দিতে চান ।

তবে ব্যতিক্রমও আছে , আর ছেলেরাও আছে ।
----------

অন্তত এখনকার কথা এমন হতে পারে টাকা আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়ায় না যে লক্ষ টাকার দেনমোহর সহ বাড়ি গাড়ি থাকতেই হবে !!


আপনার শেষ লাইন বর্তমান জীবনের সাথে মিলে না । প্রত্যেক মেয়েই নিজেকে আলাদা করে প্রতিষ্ঠা করতে চায় ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৭

মরুকণা বলেছেন: ঘটনাটি গ্রামের । তাই আপনাপ শেষের লাইনটা শহরের মেয়েদের বেলায় খাটলেও গ্রামের মেয়েদের বেলায় মনে হয় এখন পর্যন্ত খাটে না।

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৫

টুন্টু কুমার নাথ বলেছেন: ভাই আপনার বেলায়ও একই রকম করতেন। আমরা আজকাল নিজেকে ধুয়া তুলসিপাতা ভাবি । আর অন্যের বেলায় মেজাজটা একটু বিগড়ে যায় ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১১

মরুকণা বলেছেন: আমরা কেউ ই ধোয়া তুলসি পাতা নই। আমি বা অন্য কেউ যাতে এই দুঃখজনক কাজ না করি তার জন্য আমার এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। নিজেকে তুলসী পাতা ভাবতে নয়।

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৪৬

সবুজ মহান বলেছেন: আমার লেখা একটা কবিতা পড়েন
..............অভাগী

হয় নি সে ষোড়ষী, হবে তার বিয়ে
দেখাদেখি , মাতামাতি শুধু তাকে নিয়ে
নামটা লেখ তো , পড়ে শুনাও আরবী
এইতো হল শুরু ,জানাশুনা কত কি
দেখি মা মাথাটা , চুলগুলো কালোতো
দাড়াও না একটু ,হাঁটাচলা ভালতো
বয়স্কা বলে উঠে জানতো রাধতে
মেহমান এলে রোজ জানতো সাধতে
তারপর টেনে নেয় কচি কচি হাতটা
দোআ করে গুজে দেয় নোট দু – চারটা

পা থেকে মাথা , মেয়ে দেখা হল শেষ
এরপর শুরু হল আলোচনার অবশেষ
বিয়ের পর কত খরচ ,ছেলে যাবে ঢাকা
১০ ভরি সোনা চাই , আরও কিছু টাকা
টিভি চাই , ফ্রিজ চাই , সাজাতে লঙ্কা
তারপর হবে বিয়ে , বাজাও ঢুল -ঢঙ্কা

পাত্রীর মতামত করেনি কেউ জিগ্যেস
পাত্র দেখে তার রয়েছে কি বিদ্বেষ ?
বাবা মা বলে উঠে , ছেলে খুব ভাল
খুব ভাল মানিক সে , হয়তবা কালো
এরপর কথা কি , শুক্রবার বিয়ে ঠিক
পালকিতে মেয়ে নেবে , এসে কালোমানিক
আসবে বর, সাজাও ঘর বাজাও বিয়ের বাদ্য
অসম বিয়ে ঠেকাতে যাবে রয়েছে কার সাধ্য?
বর আসে , কবুল হয় ,নিয়ে যায় কনে
সোনা , রুপা , কত কি যায় তার সনে

এরপর ছেলে যায় ঢাকা , বানাতে টাকা
লসটস খেয়ে খুব , ফিরে আসে ফাঁকা
এরপর করে কি বেকার হয়ে ঘুরে
এদিকে অভাগী জ্বলে পুড়ে মরে
চিত্কার করে উঠে ” মাগো কি করে থাকি ”
শাশুড়ির মারধর , মুখে বাজে গালি
মাঝরাতে কালোমানিক ফিরে , করে আসে নেশা
এরপর মারধর , গালি দেয় বেশ্যা
অভাগী কাঁদে ,কাঁদে পাখি ফুল – ফল
এভাবে কত রাতে গড়ায় কত জল

এরপর টাকা চাই , নিয়ে আয় টাকা
টাকা ছাড়া এ বাড়ীতে চলবে না থাকা
অভাগী ফিরে যায় , শুনে বাবা মা
বহু কষ্টে পাঠিয়ে দেয় সামান্য কিছু টাকা
সামান্য থাকা দেখে বরের পিত্ত জ্বলে
”এরজন্য পাঠিয়েছিলুম বাপের বাড়ি তোকে ”
হারামজাদী বলে , লাঠি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে
আকাশটা ভেঙ্গে পড়ে করমর করে
গগনবিদারী আওয়াজ হঠাৎ মিলে যায়
ফুল -পাখি – প্রকৃতি করে হায় হায়
নিথর দেহটা মেঝেয় পড়ে রয়
এভাবেই অভাগীর ভবলীলা সাঙ্গ হয়

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১২

মরুকণা বলেছেন: অসাধারন!!!!মনে হচ্ছে আমার কথা গুলো পদ্য আকারে লিখেছেন।

৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৪৮

সবুজ মহান বলেছেন: কবিতাটি কপিরাইট দ্বারা সংরক্ষিত .....ইতিমধ্যে প্রকাশিত
আমার ব্লগেও এই কবিতাটির পোস্ট আছে

৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৫৬

তোমোদাচি বলেছেন: আপনি তখন প্রতিবাদ করেন নি কেন??

নিজে সংশোধন না হয়ে ব্লগে এসে সমালোচনা করে কোন সুফল আসবে না!!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৭

মরুকণা বলেছেন: ওখানে প্রতিবাদ সমস্যা বাড়ত বৈ কমত না। আর নিজে সংশোধনের চেষ্টা করছি বলেই এ সম্পর্কে লিখছি। আর সুফল আসবে কি আসবে না সেটি আপনার বা আমার দেখার বিষয় না। আসল কথা হচ্ছে সচেতনতা। আশা করি মাথায় ঢুকেছে বিষয়টা।

৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

কালমঠ বলেছেন: চরম লজ্জাজনক একটা বিষয় এটা । বছরখানেক আগে আমার মামার জন্য পাত্রী দেখতে গিয়েছিলাম। আপনি যেভাবে বর্ননা দিলেন ঠিক সেভাবেই দেখা হচ্ছিল। লজ্জায় আমি হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। রাগ করতে ওখান থেকে চলে আসার সময় সবাই করন জিজ্ঞেস করলে সবার সামনেই আমি উত্তর দিয়েছিলাম "আমি পাত্রি দেখতে এসেছি,কোরবানীর গরু দেখতে নয়"

৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৬

কালমঠ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ওখানে প্রতিবাদ সমস্যা বাড়ত বৈ কমত না


এসব ক্ষেত্রে ইনস্ট্যান্ট লজ্জা না দিলে শিক্ষা হয়না।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:১৩

মরুকণা বলেছেন: আপনার সাথে সহমত। কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতি সবসময় এক হয় না। প্রতিবাদ করলে হয়ত বিষয়টা হিতে বিপরীত হতে পারত। আমি যেটা করেছিলাম সেটা হল বাসায় এসে আমার চাচী সহ বাড়ির প্রায় সকলের সামনে পাত্রী দেখার এই নেতিবাচক দিক গুলো আলোচনা করেছিলাম। এর ফলে তারা বিষয়টা বুঝতে পেরেছিলেন। তাই পরবর্তীতে পাত্রী দেখতে গেলেও এত আয়োজন করে যাননি এবং পাত্রীর সাথে ভদ্রভাবে আচরন করেছেন। এই আলোচনা আমাদের বাড়ির আশেপাশের প্রতিবেশী সহ আত্নীয় স্বজন অনেকেই পছন্দ করেছেন এবং বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন বলে মনে হয়।

১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:১৯

ভুলো মন বলেছেন: কালমঠ বলেছেন: ... ... সবার সামনেই আমি উত্তর দিয়েছিলাম "আমি পাত্রি দেখতে এসেছি,কোরবানীর গরু দেখতে নয়"

@কালমঠ, আপনাকে +, কিন্তু পোষ্টদাতাকে মাইনাস। X(( X(( X((

১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৫০

আবুল হাসান নূরী বলেছেন: আপনার চাচীকেও কি বিয়ের পূর্বে পাত্রপক্ষ এভাবে দেখেছিল? উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তবে সেইসময় তার মনের অবস্থা কেমন ছিল চাচীকে জিজ্ঞেস করুন।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:১৬

মরুকণা বলেছেন: এখানে আামর চাচীর মনের অবস্থা জেনে কোন লাভ নেই। যদি লেখাটি আপনাকে একটু হলেও আন্দলিত করে এবং সচেতন করে তাহলেই লাভ। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

১২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৫৫

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: ভাই, নির্মম বর্ননা দিসেন। লেখায় +

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:৫১

মরুকণা বলেছেন: ধন্যবাদ!!!!

১৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:০৩

নাটক বলেছেন: আপনার পোষ্টের সাথে সম্পূর্ণ সহমত জানাচ্ছি। কারণ, এতে আমাদের বোনদেরকে এক প্রকার অপমানিত হতে হয়।

যারা নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলন করে তারা কি এগুলো দেখতে
পায় না নাকি?

ধন্যবাদ আপনাকে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:২৯

মরুকণা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। বাংলাদেশে নারী আন্দোলনতো শুধু টেলিভিশনের টকশোতে, কাগজে কলমে, পত্র পত্রিকায়। মাঠ পর্যায়ের কাজ শুন্য। সবাই বিদেশী টাকা গুনতে ব্যস্ত।

১৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:১৩

কে এম শিহাব উদ্দিন বলেছেন: পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
এইসব কুপ্রথা থেকে বের হয়ে আসতে আমাদেরকেই সচেতন হতে হবে।
আপনি একটা ভালো চেষ্টা করলেন
আর অনেকেই দেখি আপনারই সমলোচনা শুরু করছে।
আজব!!!!!!!!
কেউই নিজের দিক থেকে চিন্তা করে না। ঐ অবস্থায় আসলেই প্রতিবাদ করা কঠিন। প্রতিবাদটাকে দেখা যেত পাত্রি পক্ষই ভালো ভাবে নিত না।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:২৩

মরুকণা বলেছেন: বিষয়টি বোঝার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর সমালোচনার কথা বললেন সেটি বাংগালীর চিরন্তন অভ্যাস। তবে সমালোচনাকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই নেব যদি তা হয় গঠনমূলক। অপ্রাসঙ্গীক সমালোচনা যেমন একজনকে মূর্খ হিসেবে পরিচয় দেয় তেমনি গঠনমূলক সমালোচনা একজন মানুষকে প্রকৃত জ্ঞানী হিসেবে আত্নপ্রকাশে সহয়তা করে।

১৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আলফা-কণা বলেছেন: polapokkher ay rup achoron dekhile, uhader ongohani koria, barite ferot pathano kam.

the very stupid system.

০৭ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৩৯

মরুকণা বলেছেন: we have to get aware and raise our voice against this kind of system. Thanks for the comment..

১৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:১৩

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আসলেই খুব খারাপ ব্যাপার। মেয়েটার মানসিক প্রেশারটা এড়ানোর মত না।

কি যে করা যায় এসবের বিরুদ্ধে! বুঝি না!

আপনি অবশ্য আপনার পরিবারের ভেতর এই আচরনের তীব্র প্রতিবাদ করতে পারেন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৮

মরুকণা বলেছেন: প্রতিবাদের সাথে সাথে সবাইকে নিয়ে আলোচনা করেও এ ধরনের সমস্যার সমাধান হতে পারে।

১৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৩

চানাচুর বলেছেন: এই সমস্ত ব্যাপার এখনও চলে!! মেয়েটাকে নিয়ে যে এরকম কান্ড করলো আর মেয়েটাও কিছু বললো না!! কি অদ্ভুত!!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:০২

মরুকণা বলেছেন: শহর এলাকায় এরকম ঘটনা কম ঘটলেও মফস্বল বা গ্রামে এই রকম অহরহই ঘটে। আর একজন ইন্টার পাশ গ্রামীন যে কোন মেয়ের পক্ষে ঐ অবস্থায় প্রতিবাদ করাটা দুঃসাধ্য ব্যাপার।

১৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:১৮

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:
আপনি যে পরিস্থিতিতে ছিলেন সেই পরিস্থিতিতে আসলে কিছু বলারও থাকে না !!


সবার বোঝার দরকার মেয়ে কোরবানির গরু না !!!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৫৬

মরুকণা বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৮

শিপু ভাই বলেছেন:
এভাবে দেখার যদিও কিছু নেগেটিভ ইফেক্ট আছে তবুও এভাবেই দেখা উচিত। তবে শুধু পাত্রিকে না পাত্রকেও এভাবে দেখা উচিত।

মোটামুটি নিখুত দম্পতিদের সন্তানও নিখুত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি (শারিরিক)।

আমার এক রিলেটিভ যাকে বিয়ে করে সে দেহতে যথেস্ট সুন্দরী হলেও তার হাতের আঙ্গুলে সমস্যা ছিল যা বিয়ের আগে কেউ দেখেনি। বর্তমানে তার দুই সন্তানের একজনের সেই সমস্যা আছে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:০৭

মরুকণা বলেছেন: জনাব শিপু, আপনার মন্তব্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি,,এরকম চিন্তা ভাবনা করলে মধ্যযুগ আমাদের পিছু ছাড়বে না।
বাংলাদেশে পাত্রী দেখার নানা উপায় আছে। ছেলে ও মেয়ের পরিবার যদি সততার সাথে নিজেদের উপস্থাপন করে তাহলে কেউ কাউকে গরুর মত দেখবে না। বিষয়টি হচ্ছে ভদ্রতার , আত্নসন্মানের। বর্তমান যুগে এরকম ভাবে মেয়ে দেখা ন্যাক্কারজনক ও নিজেদের জন্য লজ্জার।

২০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৫৬

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: পাত্রী দেখতে গিয়ে পুরুষদের চেয়ে মহিলারাই বেশি দেখাদেখি করে। মেয়ে হয়ে আরেক মেয়ে খুঁত খুঁজতেই তারা বেশি উৎসাহী। তাই এসব বিষয়ে মেয়েদেরকেই সচেতন হতে হবে আগে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:৩৯

মরুকণা বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

২১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:২৮

বাগসবানি বলেছেন: এরজন্য কিন্তু পাত্রীর অভিভাবকরাও দায়ী । তারা জেনে শুনে মেয়ের আত্মবিশ্বাসকে নষ্ট করে । বলতে খুব কষ্ট হয় কিন্তু আমি আমার বাবা-মার সাথে অনেক বছর ধরে কথা বলি না ঠিকমত শুধু এই একটা কারণেই।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:৩২

মরুকণা বলেছেন: একটি সংস্কৃতি যেমন একদিনে গড়ে ওঠে না তেমনি একটি সংস্কৃতি একদিনে পরিবর্তন করা যায় না। আপনার বাবা মায়ের কাধে সম্পূর্ণ দোষ দেয়াটা ঠিক হবে না। সবার সাথে এই ধরনের সনাতনী অপসংস্কৃতি সম্পর্কে আলোচনা করে এগুলো বন্ধ করা সম্ভব। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

২২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৩২

গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: হ্যাঁ,এভাবে দেখাটা অবশ্যই অস্বস্তিকর এবং আমি কখনো তা মেনে নেব না। তবে আত্ববিস্বাস কমে যাবে এই কথায় একমত না। কারো পছন্দ হবে কা্রো হবেনা এটাই নরমাল।
আল্টিমেটলি বিয়ে তো একজনের সাথে হবে, তাই না! সবাই লাইক করলে তো প্রব্লেম :P

২৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩৩

চটপট ক বলেছেন: গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: হ্যাঁ,এভাবে দেখাটা অবশ্যই অস্বস্তিকর এবং আমি কখনো তা মেনে নেব না। তবে আত্ববিস্বাস কমে যাবে এই কথায় একমত না। কারো পছন্দ হবে কা্রো হবেনা এটাই নরমাল।
আল্টিমেটলি বিয়ে তো একজনের সাথে হবে, তাই না! সবাই লাইক করলে তো প্রব্লে

সুপারব কমেন্ট

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.