নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এম. বোরহান উদ্দিন রতন, জন্ম : বাংলাদেশের ফেনী জেলায় দাগনভুঁইয়া উপজেলায়, পেশায় একজন প্রফেশনাল আইটি স্পেশালিস্ট গ্রাফিক্স ডিজাইনার ও চিত্রশিল্পী । সেই সাথে সামাজিক, ক্রীড়া ও রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত আছি ।

এম. বোরহান উদ্দিন রতন

মানুষ হয়ে ওঠাই বড় চ্যালেঞ্জ

এম. বোরহান উদ্দিন রতন › বিস্তারিত পোস্টঃ

৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন নামক প্রহসনে আসল পরাজিত কারা ?

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫

গত ৩০ ডিসেম্বর হয়ে যাওয়া একাদশ জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৭ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রহসন হয়েছে। আগে থেকে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতাকে কারাগারে রেখে বিএনপির সারাদেশে ৬৮ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং একের পর এক গায়েবী মামলা দিয়ে হয়রানী, নির্বাচনে সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে ।
তবে আশার কথা হলো এতে ক্ষমাসীন স্বৈরাশাসক মহলেরই আসল পরাজয় হয়েছে ।

বিএনপির জন্য প্লাস পয়েন্টে হলো, সবাই আগে খালেদা জিয়ার সমালোচনা করেছে, অনেকে বলেছে তিনি রাজনীতি বুঝে না, এবং তাই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী নির্বাচন বয়কট করে ভুল করেছে, এখন সেই ধারণা স্বৈরাচারীরা ভুল প্রমাণ করেছে, বিএনপির প্রথম থেকেই দাবি ছিলো নির্দলীয় সরকারের অধিনে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, কিন্তু হাসিনা একদম গায়ের জোরে দেশের সংবিধান পরিবর্তন করে প্রচলিত নির্বাচনী সিস্টেমই পাল্টে দিয়ে দলীয় সরকারে অধিনে নির্বাচন করার বিধান চালু করেছে বির্তকিত ভাবে ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচন করে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরেও প্রহসনের নির্বাচন কর, যা ২০১৪ থেকেও জঘণ্য ৫০ % ভোট প্রশাসনকে দিয়ে রাতেই দিয়ে দিলো । তবে বর্তমান স্বৈরাচার শাসক যদি দলীয় সরকারের অধিনে নিবার্চন বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য বা আগামীতে আবারো দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন করতে চাইতো তবে এমন ডাকাতি করার সময় আরো সতর্ক থাকতে পারতো, গিলার সময় হুশ ছিলো না, এখন হজমটা বড় কঠিন হয়ে গেছে ।
বিএনপিকে কোন আসন দেয়নি তবে যদি বামজোটকে ৩/৪ আসন এবং ইসলামী ঐক্যজোট চরমোইনকে ৫/৬ টি আসন দিতো তবে এই ফাঁদ পেতে আবারো তার অধিনে নির্বাচন করতে পারতো হাসিনা, তা আর হবে না, আগামীতে কেউ তার অধিনে নির্বাচনে যাবে না। এই জায়গায় ধরা, এমন কারচুপি করেছে যা ৪৭ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য, ঘৃণিত। দেশের মানুষের সাথে নিষ্ঠুর প্রতারণা, এবার সারাদেশের কোন রাজনৈতিক দল মরে গেলেও হাসিনার অধিনে নির্বাচনে যাবে না, বিএনপির দাবির সাথে সবাই ঐক্যবদ্ধ হবে সেটি এখন সময়ের ব্যাপার। আর সুষ্ঠু নির্বাচন হলে হাসিনার দলের ভরাডুবি হবে ইতিহাসের সবচেয়ে বাজেভাবে । সারাদেশে বিএনপির মতো একটা সর্ববৃহৎ দল নাকি ৫ আসন পায় !
অথচ আপনারা জানেন ফেনী জেলা বিএনপি ঘাঁটি সেখানে স্বাধীনতার পর কখনো লীগ জিতেনি সুষ্ঠু নির্বাচনে বা সিলেটে সদ্য মেয়র নির্বাচনে আরিফুল হক জিতেছে সেই ভোট গেলো কই? পুরা চট্টগ্রাম বিভাগে বিএনপির কোটি কোটি ভোট ব্যাংক তা গেলো কই?

এসব হাস্যকর রাতের আধাঁরের নির্বাচন জাতি বয়কট করেছে।

এখন বিএনপিকে যা করতে হবে আমি মনে করি :
আরো সক্রিয় হতে হবে, জামায়াতকে আপাতত ছেড়ে বামদলকে সঙ্গে রাখুন, আন্দোলনে গতি আনতে ইসলামী ঐক্যজোটের সাথে সমন্বয় করুন, তাহলে হেফাজতকেও পাশে পাবেন, কারণ হেফাজতের বেশীরভাগ চোরমোনাই পন্থী, আর সারাদেশে ত্যাগিদের দিয়ে তৃণমূলকে মূল্যায়ন করুন, মামলা - হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের দায়িত্বভার নিন, ছাত্রদল থেকে অদক্ষ বুড়াদের বাদ দিয়ে নতুন করে সংগঠনটিকে সাজান, এবং দলে জিয়া পরিবারের সদস্যদের অন্তর্ভূক্ত করুন । ডা. জোবায়েদা রহমান দিয়েও করা যায়।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পরাজয় হয়েছে স্বৈরাচারেরতো বটেই
সাথে হেরেছে গণতন্ত্র, হেরেছে স্বাধীনতার চেতনা, !

জামায়াতকে সাময়িক নয়, স্থায়ী ভাবেই পরিহারের সময় এসেছে।
বরং অন্য সাধারন ইসলামী বা সমমনাদের নিয়ে জোট গঠন করতে পারে। হেফাজত তো অবশ্যই নয়।
আজকের মাওলানা শফির বিবৃতিই দেখুন! তারা না ইসলামে! না সাধারন জ্ঞানে! যথাযথ অবস্থানে আছে!
নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে এমন আবালীয় বিবৃতিতে ইসলাম সম্পর্কে তার অজ্ঞানতাই প্রকাশিত হলো।

এত এত বিশাল জনসমর্থস থেকেও বিএনপির ভরাডুবি দু:খজনক।
তারা আঁচ করতে পারেনি সরকারের পরিকল্পনা।
তার প্রতিরোধে গণ মানুষের সম্পৃক্ত করার চেষ্টায় ঘাটতি ছিল।
শুধূ বিদেশ মূখিতা আর সাধারন জনতা নির্বিচারে মরে তাদের ক্ষমতায় বসাবে এমন আবালীয় স্বপ্ন!
বিগত সময়ে যারা ঘুম, খুন হয়েছে তাদের জণ্য বিএনপির অংশগ্রহনমূলক কর্মসূচি কম ছিল বা থাকলেও তা লাইম লাইটে আনতে পারেনি।
মিডিয়ায় বন্ধু সৃষ্টি করতে না পারা!
সব জাতীয়তাবাদী ধনকুবেরদের ইয়া নাফসি মনোভাব! জাতি বা দলের জন্য বড় বিনিয়োগে অনিহা!
গোয়েবলসীয় প্রোপাগান্ডার বিপরীতে সত্য কন্ঠেরও নিস্তেজ প্রচারনা।
সর্বোপরি এত বড় বিপর্যয়ের পর তারেক রহমানের নেতৃত্বের ব্যার্থতা স্বীকার করে পদত্যাগ করা উচিত।
প্রকৃত গণতান্ত্রিক উপায়ে দল পুন:গঠন, প্রয়োজনের স্বাধীনতা রক্ষায় একাত্তরের চেতনায় উজ্জিবীত হয়ে সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করেও দলীয় কার্যক্রমে গতিশীলতা আনা। ত্যাগি, মেধাবী, দেশপ্রেমিকদের যথাযথ যোগ্যতায় দলে স্থান দেয়া!
যদি করতে পারে- আশা করা যায় রাত ভোর হবেই।
নয়তো ভর দুপুরেও অমাবশ্যার আঁধারই নজরে থাকবে।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২৭

এম. বোরহান উদ্দিন রতন বলেছেন: নারীকে যারা অশিক্ষিত বানিয়ে ঘরে বন্দী রাখতে চায় তাদের স্থায়ীভাবে বয়কট করতে হবে, িআমি ভোট ব্যাংকের কথা বলেছি, এসব তেঁতুল হুজুরদের কে রাজনীতিতে আনার কথা বলিনি ।

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৯

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: জাগো বাঙলার বিবেক,আরো জাগো।

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আসল পরাজিত আপনার মত বিশাল বুদ্ধিমানবরা

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: এই বিষয় নিয়ে আমি আলোচনা করতে চাই না।

৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২

আখ্যাত বলেছেন: সরকার এবং জনগণের জ্ঞানবুদ্ধির পার্থক্য মা এবং শিশুর জ্ঞানবুদ্ধির পর্থক্যের মত।
সরকারই ভালো জানেন, জনগণের মঙ্গল কিসে।
শিশুদের চিপ্স খাওয়ার আবদার সব সময় পূরণ করতে নেই, শিশুর মঙ্গলের জন্যই।
মূর্খপ্রধান দেশের জনগণের “আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব” আবদারটিও পূরণ করতে নেই,
জনগণ, দেশ, জাতি, এবং এই মহাবিশ্বের কল্যানেই।

৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩

বাকপ্রবাস বলেছেন: পরার্শটা গোজামিল আছে, ভাল পরামর্শ দিন। কারো সাথে জোট করার কি প্রয়োজন, একা একা করুক। আগে নিজে ঠিক হোক, রেডিমেইড রাজনীতির দিন আর নাই। হয় দাঙ্গাবাজ হতে হবে, না হয় আদর্শবান, বাম ডান এসবে না গিয়ে জাতিয়তবাদটাই করুক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.