নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
'ইসকন' যার পুরা নাম ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) বাংলায় আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ।
১৯৬৬ সালে ইসকন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হয়, এর পর মানুষকে জোর পূর্বক ধর্মান্তরিত করার অপরাধে ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই ইসকনের কার্যক্রমকে সাময়িক নিষিদ্ধ করে।
১৯৯০ সনের শেষের দিকে আবারো যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অনুমতি নিয়ে ভিন্নকৌশলে
আমেরিকায় কার্যক্রম চালায় ইসকন।
পরে এটির প্রধান কার্যালয় ইসরায়েলের তেল আবিবে রেখে সেখান থেকে রাশিয়ায় ও ভারতে বিস্তার করা হয়, ইসকন মূলত ইসরায়েল ও ভারতের যৌথ পরিচালায় চলা একটি উগ্র হিন্দু মৌলবাদী জঙ্গিবাদী সংস্থা ও এন্টি ইসলামিক গোষ্ঠী।
২০০৮ সালের পরর্বতী সময়ে আমি যখন চট্টগ্রাম পাড়ি দিই, তখন লায়ন আমিরুল ইসলাম ইমরুল কায়েস ভাই আমার আঁকা চিত্রকর্ম গুলো দেখে আমাকে নিয়ে জান শিল্পকলা একাডেমীতে। এবং সেখানে একটা এক্সিবিশনে অংশ নিয়ে ৩য় স্থান অর্জন করি জল রং দিয়ে আর্ট কম্প্রিটিশনে।
তার পর থেকে ইমরুল কায়েস ভাই আমাকে নিয়ে জান খোকন দাশ নামের আমার গ্রাফিক্সের শিক্ষকের কাছে, মূলত তার কাছে থেকে নিখুঁত ক্রিয়েটিভ গ্রাফিক্স ডিজাইনের হাতেখড়ি আমার।
সেই খোকন দাদার প্রতিষ্ঠানে ইসকনের মাথা ন্যাড়া পিছনে একগুচ্ছ চুল ওয়ালা পরনে হালকা গোলাপী মিষ্টি রঙের সন্ন্যাসীর পোষাক পরে ইসকনের লোকরা তাদের প্রচারে ব্যবহৃিত পোস্টার ফেস্টুন ও হ্যান্ডবিল ডিজাইন করাতো। তাই এদের কার্যক্রম খুব কাছ থেকে দেখেছি।
এরা ১ম হাজার হাজার বছর ধরে চলা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মে সংশোধন আনার চেষ্টা করেছে, তখন অনেক হিন্দু এদের প্রতিহত করতো এবং সমালোচনা করতো।
এরা শুধু হিন্দু ধর্মের শ্রী কৃষ্ণের পূজো করতো।
খাবার খায় নিরামিষ এবং সব ব্যপারে অতিরঞ্জিত করতো।
এর পর এরা ধীরে ধীরে এদের আসল মুখোশ উম্মোচন করতে শুরু করেছে, তাদের সেই মেশিনারি টার্গেটের ১ম শিকার উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের লোক, যারা স্ব ধর্ম নিয়ে হাজার বছর ধরে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি জীবনধারায় এই বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য গড়ে তুলে বসবসা করে আসছে।
অথচ এই ইসকন তাদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করে যাচ্ছে।
এবং এরা দেশের প্রতিটি জেলায় কমিটি গঠন করেছে।
কথা হলো আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্রে ধর্মনিরপেক্ষ মতাবাদের কথা বলা হয়েছে অথচ আওয়ামী ছাত্রলীগের কমিটিতে যতোগুলো সংখ্যালুগু নেতাকে পদ দেয়া হয়েছে তাদের সিংহভাগই হয় ইসকন না হয় হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা।
এই সংগঠন গুলো কি আমাদের জাতিগত বিদ্বেষ বাড়াচ্ছে না? এগুলো কি সাম্প্রদায়িক নয়?
বাংলাদেশে যেমন ইসলামের নাম ব্যবহার কেউ উগ্রবাদী কার্যক্রম করতে পারবে না, কাদিয়ানি, দেয়ানবাগি, হেজবুদ তাওহিদ সহ সকল জঙ্গিদের নিষিদ্ধকরণ করতে হবে এবং তার সাথে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ইসরায়েলের এজেন্টদের কর্মকান্ডও বন্ধ করতে হবে।
এদের মূল উদ্দেশ্যেই হলো মানুষের ভিতর একটি বিভেদ তৈরি করে দেয়া।
আমি সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সকল ধর্মাম্বলীদের প্রতি আমার কোন বিদ্বেষ নেই, আমার প্রতিবাদের জায়গা হলো উগ্রবাদ নিয়ে। তাহোক ইসলামের নামে হোক হিন্দুদের নামে হোক বৌদ্ধদের নামে।
গত রবিবার রাতে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বুয়েটে ভারতের সাথে দেশের স্বার্থ বিরোধী চুক্তি করার কারণে বুয়েট (EEE) ২য় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ তার ফেসবুকে গঠনমুলক সমালোচনা করায়, তার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে অমিত সাহা নামক ছাত্রলীগ নেতা জেরা করার পর ১৯ জন মিলে নৃশংসভাবে পিটিয়ে আবরারকে হত্যা করলো।
এই নৃশংস ঘটনা পর্যালোচনা করলে এর থেকে উগ্রবাদী গোষ্ঠীর আচরণ প্রমাণ মিলবে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা জেলা ইসকনের সা. সম্পাদক, এবং বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যার অন্যতম খুনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক ও পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র অমিত সাহাও ইসকনের নেতা।
দায়ের করা মামলার ১৯ জন আসামির তালিকা থেকে কার ইঙ্গিতে অমিতকে বাদ দেয়া হলো। সেটা
এবার চিন্তা করুন অমিত সাহা ও প্রিয়া সাহাদের এমন ধৃষ্টতার পিছনে কার এজেন্ট থাকতে পারে তা এখন পরিষ্কার।
- লেখক এম. বোরহান উদ্দিন রতন
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫৫
এম. বোরহান উদ্দিন রতন বলেছেন: ইনশাআল্লাহ এদের মুখোশ উম্মচিত হবে খুব শীঘ্র, ইতোমধ্যে হেফাজতে ইসলাম সহ আরো বেশ কয়টা সংগঠন এদের নিষিদ্ধের দাবি তুলেছে। এবং এদের পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৩
কর্ণফুলী এক্সপ্রেস বলেছেন: চট্টগ্রামে ইসকন এবং আরএসএস এর অবস্থান শক্তিশালী । আবরার হত্যার বিষয়ে এদের যোগসূত্র আছে কিনা , এটা বুঝতে পারছি না ।
চট্টগ্রামের একজন আইনজীবী আছেন যে আরএসএস এর হয়ে কাজ করে । আমার কাছে কোন প্রমাণ না থাকায় আমি কোথাও অভিযোগ জানাতে পারি নি ।
বাতিঘর নামক বই বিপণি প্রতিষ্ঠানের মালিকও নাকি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট । তারা ৬৪ জেলায় শাখা খুলবে।
চট্টগ্রামের কৈবল্যা ধাম মন্দিরও আরএসএস এর রিক্রুটিং অফিস ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫৬
এম. বোরহান উদ্দিন রতন বলেছেন: আপনার মতামত একদম সত্য, এরা খুব ভয়ংকর পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫৬
ল বলেছেন:
The International Society for Krishna Consciousness (ISKCON), known colloquially as the Hare Krishna movement or Hare Krishnas ............জানলাম .
এমন হলে ভয়াবহ
৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৮
আদিল ইবনে সোলায়মান বলেছেন: আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন তারপরেও তাদেরকে নিয়ে কেউ মাথা ঘামাবে না।
৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:১৭
অগ্নিবেশ বলেছেন: আপনি কি রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন দয়া করে জানাবেন কি?
৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:১৫
কর্ণফুলী এক্সপ্রেস বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=g2Cq1ruf0CY
ইসকন নিয়ে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের প্রতিবেদন
৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:০৪
নতুন বলেছেন: এটা নিয়ে এই রকমের রাজনিতি করার চেস্টা করছে কিছু মানুষ।
এটা ছাত্রলীগের কিছু নেতাদের বাড়াবাড়ীর ফল.... এটার পেছনে এতো ষড়যন্ত্র আছে বলে আমার মনে হয়না।
৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হিন্দু যারা ছাত্রলীগ, ছাত্রদলের রাজনীতি করেন; ইসকনের সাথে এদের যুক্ত থাকাটা স্বাভাবিক। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ির কিছু আছে বলে মনে করছি না।
১০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭
করুণাধারা বলেছেন: ফেসবুকে একটা পেজ আছে, BUETian - বুয়েটিয়ান। সেখানে এসম্পর্কে বিস্তারিত লেখা আছে। আমি ফেসবুকের লিংক দিতে জানি না দেখে দিতে পারলাম না।
১১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: রাক্ষুসী দুনিয়া, পিশাচ সমাজ, তোদের বুকে পা দিয়ে আমি প্রতিশোধ নিবো ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি ভয়ংকর জাল বিছিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তারা!!! বিস্ময়কর!
আপনি সাবধানে থাকবেন। এদের তথ্য ফাঁস করে দেয়ায় ক্ষিপ্ত হতে পারে।
তবে সার্বিক গণজাগরন হলে এরা পালানোর পথো পাবেনা।
কারণ এরা মূখোশধারী। এরা কাপুরুষের মতো পিছনে ছুরি মারে!
নিজের ততত্ব এবং সত্য নিয়ে মূখোমূখি বাহাসে সব সময় পিছে থাকে।
হে আল্লাহ তুমি এ দেশটাকে, এদেশের মানুষকে রক্ষা করো।