![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের অনেকের মধ্যেই কথা দিয়ে কথা না রাখার প্রবণতা রয়েছে। আবার অনেকে তুচ্ছ ব্যাপারে বা ঠাট্টা করে চোখেমুখে মিথ্যা কথা বলি।
কারো জিম্মায় কিছু আমানত রাখলে, তার খেয়ানত তো অনেকে হরহামেশাই করে থাকি।
অনেক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘বিশ্বাস করে বন্ধুর কাছে টাকা দিয়েছিলাম আমার জন্য জমি কিনতে। কিন্তু পরে জানতে পারি বন্ধু জমি ঠিকই কিনেছেন, কিন্তু আমার নামে না, তার নিজের নামে। মানে আমার জমি-টাকা দুইই গায়েব।’’
আর কারো সাথে ঝগড়া হলে তো কথাই নেই, তাকে যা ইচ্ছা তাই বলে গালিগালাজ করি। এ কাজটি শুধু অশিক্ষিত ব্যক্তিরাই করেন এমন নয় বরং তথাকথিত শিক্ষিত সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিরা এ ব্যাপারে কয়েকধাপ এগিয়ে রয়েছেন।
উল্লিখিত স্বভাবগুলোকে আমরা তেমন কোনো বড় গুনাহের কাজ বলে মনে করিনা। এগুলো যেন কোনো ব্যাপারই না।
অথচ হাদিসে রয়েছে,
‘‘হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি-
১. যখন কথা বলে, মিথ্যা বলে
২. যখন অঙ্গীকার করে, তা ভঙ্গ করে এবং
৩. আমানতের খেয়ানত করে।’’ (বুখারী-২৬৮২, মুসলিম ১/২৫)
আরেক বর্ণনায় এসেছে, ‘‘আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নবী করিম (সা.) বলেছেন, চারটি স্বভাব যার মধ্যে বিদ্যমান সে হচ্ছে খাঁটি মুনাফিক। যার মধ্যে এর কোনো একটি স্বভাব থাকবে তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকের একটি স্বভাব থেকে যায়।
এগুলো হচ্ছে-
১. আমানতের খেয়ানত করে
২. কথা বললে মিথ্যা বলে
৩. অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে
এবং ৪. বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীলভাবে গালাগালি করে।’’ (বুখারী শরীফ-২২৫৯, মুসলিম শরীফ ১/২৫)
আর মুনাফিকের শাস্তি সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন,
‘‘নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিকৃষ্ট স্তরে থাকবে এবং তাদের জন্য তুমি কখনও কোনো সাহায্যকারী পাবে না|’’ (সুরা নিসা, আয়াত: ১৪৫)
তবে মহান আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু, তাই আমাদের কারো মধ্যে যদি এ রকম কোনো স্বভাব থাকে তাহলে এখনই তা ত্যাগ করে তওবা করা উচিত।
এ ব্যাপারে আল্লাহ পাক বলেছেন, ‘‘কিন্তু যারা তওবা করে, নিজেদের অতীত কৃতকর্মের সংশোধন করে ও আল্লাহ পাক উনার কাছে আশ্রয় নেয় এবং আল্লাহ পাক উনার জন্য ধর্মে বিশুদ্ধ হয়, তারা বিশ্বাসীদের সঙ্গে থাকবে। মহান আল্লাহ পাক শিগগিরই মুমিনদের মহাপুরস্কার দেবেন।’’ (সুরা নিসা, আয়াত: ১৪৬)
আমাদের উচিত কথা ও কাজে এক থাকা, আর এসব মুনাফিকি কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখা।
মূলতঃ এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে ইসলামী অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা ফয়েজ, তাওয়াজ্জুহ। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবতেই সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তা নছীব করুন। (আমীন)
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুন, ২০১২ ভোর ৪:০১
সব কিছুর পরিবর্তন চাই বলেছেন: ভাই আপনার মধ্যে এ স্বভাবটি নাই তো!!! নিশ্চিত করুন প্লিজ! এরপর আপনার সহবত নিমু আমি..