![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তবু বেঁচে থাকতে হয়,আমিও বেঁচে আছি। কোনো স্বপ্ন নিয়ে নয়, একটা স্বপ্ন গড়ার জন্য।
মাফ করবেন!
গত তিন-চার বছর হুমায়ুন আহমেদের বই পড়া হয়নি। আমার ধারনা ছিলো উনার সব বইই আমি পড়ে ফেলেছি! কয়েকদিন আগে ফিল্মমেকিং এর উপর বাংলা বই খুঁজতে গিয়ে দেখি হুমায়ুন আহমদেরও একটা বই আছে "ছবি বানানোর গল্প"! গতকাল বইটা পড়লাম।।
বইটা পড়তে গিয়ে আবিষ্কার করলাম মানুষ সত্যিকার অর্থেই তার স্বপ্নের সমান বড়! স্বপ্ন পূরনের জন্য মানুষ কি না করতে পারে! হুমায়ুনের কথাই ধরা যাক, "আগুনের পরশমণি " বানানোর জন্য কার কাছে যাননি! এমনকি হতাশার পর্যায় এমন হয়ে গিয়েছিল যে তিনি ভেবেছিলেন চিত্রনাট্য পুড়িয়ে ফেলবেন। কিন্তু মানুষটা যে হুমায়ুন! একজন স্বপ্নবাদী মানুষ। স্বপ্নে বসবাস করার মানুষ। সেই স্বপ্নটা এতটাই তীব্র যে বাস্তবতাকেও হার মানতে হয়েছিল। তিনি ছবি বানিয়েছিলেন। শুধু ছবি বানাননি ছবি মানে যে শুধু সেলুলয়েড গল্পই নয় সেটা একটা শিল্ল তা বাঙ্গালিদের আরেকবার বুঝিয়েছিলেন।
আরেকটা কথা, কিছু মানুষের ধারনা বোকারাই স্বপ্নে বাস করে, এই পৃথিবী নাকি অতি নির্মম তাই এটা শুধু বাস্তববাদীদের জন্যই। এখানে স্বপ্নবাদীদের স্থান নেই। অথচ একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম পৃথিবী বদল করেছে শুধু স্বপ্নে বাস করা মানুষগুলোই। আজ পর্যন্ত কোনো বাস্তববাদী পৃথিবী বদলাতে পারেনি। তারা সেটা দখল করতে পেরেছে, শোষণ করতে পেরেছে কিন্তু বদলাতে পারেনি। বদলিয়েছে ঐ স্বপ্নে বাস করা মানুষগুলোই। (তবে তারমানে এই না যারা স্বপ্নে দেখেছে তারাই বদলাতে পেরেছে, অনেক ব্যর্থের নজিরও আছে এবং তাদের সংখ্যাই বেশী!)
আমার কাছে তাই বাস্তববাদী হয়ে শোষণ করে সফল হওয়ার চেয়ে স্বপ্নে বাস করে বিফল হওয়া ব্যক্তি যুক্তিযোগ্য মনে হয়,তাতে অন্তত দিনশেষে নিজেকে বলা যায় "আমি পৃথিবীকে কিছু দিতে পারিনি ঠিক কিন্তু ধ্বংসও করিনি।"
©somewhere in net ltd.