![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তবু বেঁচে থাকতে হয়,আমিও বেঁচে আছি। কোনো স্বপ্ন নিয়ে নয়, একটা স্বপ্ন গড়ার জন্য।
মাফ করবেন!
আজ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস! অনেককে এই নিয়ে অনেক বয়ানসূচক পোস্ট দিতে দেখলাম। বেশীরভাগই আজকের এই দিনে ছয়দফা উথাপন করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে বিভিন্ন বিশেষনে উপমা দিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে অমুক-তমুক ভাইকে ট্যাগ দিয়ে লিখে সোস্যাল মি্ডিয়া কাপানোর মত অবস্থা করে ফেলেছেন ! সমস্যা সেখানে না, সমস্যা হলো আমাদের এই ইতিহাসবেত্তারা জানেন না 'ছয়দফা দিবস' এ বঙ্গবন্ধু ছয়দফা উপস্থাপন করেনননি।অথচ উনারা মনে করেন 'ছয়দফা' দিবস' মানেই এই দিনে বঙ্গবন্ধু ছয়দফা উথাপন করেন। বঙ্গবন্ধু লাহোরে ছয়দফা উথাপন করেন পাঁচ ফেব্রুয়ারি। আমাদের ইতিহাস না পড়ে ইতিহাস বেচে খাওয়া রাজনীতিবিদরা এই তথ্য জানেন না। উনারা তাই মনের মাধুরি মিশিয়ে যা খুশি তাই লিখেছেন।
যাই হোক, আপনি জানেন কেন ৭জুনকে ছয়দফা দিবস বলা হয়? না জানলে জেনে নিন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাসখন্দ চুক্তিকে কেন্দ্র করে লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ছয় দফা উত্থাপন করেন এবং পরের দিন সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে যাতে এটি স্থান পায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর এ দাবির প্রতি আয়োজক পক্ষ গুরুত্ব প্রদান করেনি। তারা এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে। প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে যোগ না দিয়ে লাহোরে অবস্থানকালেই ছয় দফা উত্থাপন করেন। সেদিন পাকিস্তানের তত্কালীন সেনাশাসক জেনারেল আইয়ুব খান অস্ত্রের ভাষায় ছয় দফা মোকাবিলার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
পরে ঢাকায় ফিরে বঙ্গবন্ধু ১৩ মার্চ ৬ দফা এবং এ ব্যাপারে দলের অন্যান্য বিস্তারিত কর্মসূচি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে পাস করিয়ে নেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা উত্থাপন করা হয় ১৯৬৬ সালের ২৩ মার্চ। জিন্নাহ লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ। আর বঙ্গবন্ধু ৬ দফা উত্থাপন করে ১৯৬৬ সালের ২৩ মার্চ, লাহোর প্রস্তাবের সাথে মিল রেখে।
৬ দফা উত্থাপন করা হলে পাকিস্তান সরকারের দমন নিপীড়ন মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।
ছয় দফার সমর্থনে ১৯৬৬ সালের ১৩ মে আওয়ামী লীগ আয়োজিত পল্টনের জনসভায় ৭ জুন হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
৬ দফা কর্মসূচি জনগণের মাঝে পৌঁছে দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সমগ্র পূর্ববাংলা সফর করেন এবং ৬ দফাকে বাঙালির বাঁচার দাবি হিসেবে অভিহিত করেন।
বঙ্গবন্ধুর সাথে তাজউদ্দিন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান চৌধুরী, জহুর আহমদ চৌধুরী ও নুরুল ইসলাম চৌধুরী গণসংযোগে অংশ নেন। প্রতিটি জনসভায় বিপুল মানুষ অংশগ্রহণ করে। ফলে শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে।
যশোর, ময়মনসিংহ ও সিলেটসহ অন্যান্য কয়েকটি স্থানে ৬ দফার প্রচারকালে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন।
মাসব্যাপী ৬ দফা প্রচারে ব্যাপক কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। ৭ জুন তেজগাঁওয়ে বেঙ্গল বেভারেজের শ্রমিক সিলেটের মনু মিয়া পাকিস্তান স্বৈরশাসকের গুলিতে প্রাণ হারান। এতে বিক্ষোভের প্রচণ্ডতা আরো বাড়ে। তেজগাঁওয়ে ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। আজাদ এনামেল এ্যালুমিনিয়াম কারখানার শ্রমিক আবুল হোসেন ইপিআরের গুলিতে শহীদ হন।
একই দিন নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনের কাছে পুলিশের গুলিতে মারা যায় আরো ৬ শ্রমিক। আন্দোলনের প্রচণ্ডতায় লাখো বাঙালি মাঠে নেমে পড়ে। সন্ধ্যায় জারি করা হয় কারফিউ। রাতে হাজার হাজার আন্দোলনকারী বাঙালিকে গ্রেফতার করা হয়। এমনিভাবে ৬ দফা ভিত্তিক আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। শহীদের রক্তে আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয় শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের আন্দোলন।
৭জুন মোট ১২ জন শহীদ হন। তাই ৭ জুনকে ৬ দফা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
এই হলো ইতিহাস। কিছু লিখতে হলে আগে জানুন, তারপর লিখুন।
(তথ্যসূত্র সংগ্রহ- উইকিপিডিয়া,দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক ইত্তেফাক,য্মুনা নিউজ, kamal hossain: :Quest for freedom and justice.UPL)
০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৭:২৪
মহাপুরুষের ডায়েরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনা্কেও
২| ০৭ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৬:১০
তপোবণ বলেছেন: ইতিহাসের এই জ্বলজ্বলে সত্যটা পরিস্কার করে বলার জন্য ধন্যবাদ। নারায়ণগঞ্জ ষ্টেশনের কাছে যে হত্যাকান্ড এটার ব্যপারে জানতাম নারায়ণগজ্ঞের বাম দলগুলোর সুবাদে। আপনার লেখায় পরিস্কার হলো। ধন্যবাদ
০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৭:২৫
মহাপুরুষের ডায়েরী বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৭:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কি ৬ দফা সম্বলিত কোন দাবী টাবী দেয়ার কথা ভাবছেন? ভালো, আপনার দফাগুলো নিয়ে আরেকটা পোস্ট দেন।
ধন্যবাদ দফার জন্য
০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৭:৪৬
মহাপুরুষের ডায়েরী বলেছেন: হা হা , না রে ভাই আমার সেরকম কোন ইচ্ছা নাই! সেটার যোগ্যও মনে করিনা নিজেকে।ধন্যবাদ।
৪| ০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আপনার পোষ্টে সবার শেষে লিখেছেন- ''এই হলো ইতিহাস। কিছু লিখতে হলে আগে জানুন, তারপর লিখুন।''
জানতে হলে পড়তে হবে। প্রচুর পড়তে হবে। প্রচুর পড়াশোনা করলেই সুন্দরভাবে লেখা সম্ভব।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৬:০১
eajulhas বলেছেন: অসাধারণ। খুব তথ্যবহুল লেখা। ধন্যবাদ সুন্দর এই লেখার জন্য।