নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন থেকে এক একটি আনন্দ কুঁড়িয়ে নিতে চাই...

বৃষ্টি'র জল

সহজ সরল, সত্য স্বীকারোক্তিতে বিশ্বাসী। বর্তমানে আনন্দ খুঁজে নিয়ে সামনের দিনে এগিয়ে যাই।

বৃষ্টি'র জল › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীন দেশ!!!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫

কিছুই লিখার বা মনের অবস্থা ব্যক্ত করার ইচ্ছে ছিল না দুদিন ধরে টিএসসি তে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে কারণ আমরা শুধু ফেবুতে বা আরো অন্যসব সামাজিক সাইটে, ব্লগে লিখেই যাবো, রাত হলেই টকশো গুলোতে এসব নিয়ে আরো বিস্তর আলোচনা হবে কিন্তু এসবে কি পরিস্থিতি বদলাবে?

লিটন নন্দির ভিডিওটি থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে আমার বিশ্বাস হয়নি যে এসব সত্য।মনে হল, কোন সিনেমা বা নাটকের গল্প এটি।কিন্তু বিশ্বাস না হলেও এটিই সত্য যে এই ঘটনাটি ঘটেছে আমাদের দেশে, আমাদেরি সুনাম ধন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে, এবং বাংলা নববর্ষের দিন।লজ্জা!

কেন যেন বিগত সময়গুলোতে এই এলাকাকে আমার নিরাপদ মনে হত। মনে হত, ঢাকার অন্য সব জায়গায় যাই ই হোক এখানের চিত্র ভিন্ন কারণ এটি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। কিন্তু অভিজিৎ খুনের পর আমার আস্থার জায়গা কিছুটা নড়ে গিয়েছিল, আর এখন কোন আস্থাই আর নেই।

এতগুলো দিন শুধু 'মেয়েদের' পোশাককে দায়ী করা হয়েছিল, কিন্তু সেদিন তো সবাই জাতীয় পোশাক শাড়ীসহ সেলোয়ার কামিজ পরেছিল। আর পরে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখলাম যে সকল মেয়েরা এই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তারা সকলেই শালীন পোশাকে ছিলেন।
দুপুর থেকে বিকেল কোন মেয়েকে তো সেদিন উলোটপালট বা কারো চোখে মনে দোলা জাগানোর মত পোশাক পরিহিত দেখিনি আমি নিজে। তাহলে কেন এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হল ঐ কজন মেয়েকে, এমন কি এক বাচ্চার মাকেও, ভাইয়ের সামনে বোনকে!

আমরা অনেকেই ভাবি, পুলিশ আছে যেখানে সেখানে সমস্যা নাই। ভাবনাটি ভুল। আমি এমন অনেক দেখেছি যে, একটা ঘটনা ঘটছে কিন্তু একটু দূরেই পুলিশ নির্লিপ্ত ভাবে দাঁড়িয়ে আছেন, গল্প করছেন,
ছিনাতাই হচ্ছে পুলিশের সামনে পুলিশ তাতে পাত্তা না দিয়েই পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। বর্তমানে পুলিশদের কাজ এখন করে সাধারণ মানুষ। আর তারা দাঁড়িয়ে থেকে মজা নেয়।
যেমন লিটন নন্দি পুলিশকে বলেও কোন সাহায্য পাননি। বরং পুলিশদের কাজ তিনি করেছেন।

পহেলা বৈশাখের দিন আমি আর আপু যখন উদ্যানের ভেতর দিয়ে 'সেন্ট্রাল কন্ট্রোল বুথের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম তখন দেখলাম কিছু পুলিশ ফ্যানের হাওয়া খাচ্ছে গল্প করছে, আর কেউ বাইরে দাঁড়িয়ে ফোনালাপ করছে।
আপু হেসে বলছিল," কি সুখ তাদের, তারা ডিউটি করছে।"

এই যদি হয় দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থা সেখানে এমন অপ্রীতিকর ঘটনাই ঘটবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ রক্ষণশীল না করে এমন ঘটনা যেন না ঘটে সেই ব্যবস্থা নিন। যারা এমন পাশবিক আচরণ করেছে তাদের শাস্তি দিন, বিচার হোক

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.