নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা লিখি তাহা মনের খুশিতে লিখি আর যাহা লিখি তাহা বিশ্বাস করেই লিখি।

বৃত্ত হাবিব

বৃত্ত হাবিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

২১শে ফেব্রুয়ারি, বাংলা সংস্কৃতি এবং আমাদের চলচিত্রের চালচিত্র!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:০৮

ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া একমাত্র জাতি আমরা। মাতৃভাষা বাংলার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করা সকল শহীদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

আমাদের এই ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরুপ সারা বিশ্বে ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। এটা জাতি হিসাবে আমাদের ও আমাদের ভাষার জন্য গর্বের। বাংলা ভাষা বিশ্বব্যাপী পরিচিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সাম্প্রতিক জাতিসংঘরের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য অনলাইনে দাবী জানানো হচ্ছে।

সারাবিশ্বে বাংলা ভাষার প্রচার মাধ্যম এবং বাংলা সংস্কৃতির প্রতিনিধি হিসাবে আমাদের বাংলা সিনেমার ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি। কিন্তু সেই বাংলা সিনেমা জগতের বর্তমান অবস্থা আসলে কিরূপ?

প্রথমত সিনেমার মান ভালো না হলে দর্শক বাংলা সিনেমা দেখে সময় ও টাকা কোনটাই নষ্ট করবে না। যার কারণে অধিকাংশ সিনেমার লগ্নিকৃত টাকা ঘরে তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রযোজক-পরিচালকদের। ফলে অনেক সিনেমা ব্যবসায়ী সিনেমা জগত থেকে চলে যাচ্ছে। নতুন যারা আসছে তারাও বেশী দূর যেতে পারছে না।

এখন দেখা যাক বাংলা সিনেমা প্রদর্শন ব্যবস্থার কি অবস্থা।
আজ থেকে ১০ বছর আগেও সারা দেশে সিনেমা হলের সঙ্গে প্রায় ৪৮ হাজার কর্মী জড়িত ছিলো। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে সারা দেশে সিনেমা হল ছিল ১ হাজার ৪৩৫টি। এরপর থেকে হলের সংখ্যা কমতে কমতে ২০১৭ সালে দাঁড়ায় ২২০টি।

কিন্তু চলতি বছরে আরো প্রায় ৮০টি সিনেমা হল বন্ধ হতে যাচ্ছে। যার মধ্যে রাজশাহীর একমাত্র সিনেমা হল ‘উপহার’ রয়েছে। এছাড়াও উল্লেখ্যযোগ্য রাজধানীর জোনাকী,অভিসার; নারায়নগঞ্জের চলন্তিকা; চট্রগ্রামের আলমাস।

চলচ্চিত্র সমিতির হিসাবে ২০১৭ সালে মাত্র ৬২টি বাণিজ্যিক সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এর মধ্যে দেশে নির্মিত বাণিজ্যিক সিনেমা, অনুদান পাওয়া সিনেমাসহ আমদানি করা সিনেমাও রয়েছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির হিসাবে মাত্র ৩টি সিনেমা হিট হয়েছে। বাকি ৫৯টি সিনেমার প্রযোজক-পরিচালকের কি অবস্থা চলছে তাহলে!!!
এর মধ্যে ভারতীয় সিনেমা আমদানী নিয়ে বাংলাদেশের সিনেমা জগতে রয়েছে পক্ষে-বিপক্ষের আন্দোলন। বাংলা সিনেমার উপর এর প্রভাব কি পড়ছে না?

বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে বাংলা সিনেমার সম্পর্ক ঘনিষ্ট। যেভাবে সিনেমা বাজার চলছে তাতে আগামী ৫ বছর পরে কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নিলে দেশে আর সিনেমা হল থাকবে কিনা সেটা ভাবা জরুরী।
আর সিনেমা বাজার ধ্বংস হলে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির একটি বড় প্রচার মাধ্যম হারাতে যাচ্ছি আমরা।
“আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।”

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.