নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আস্তিকও নই -নই নাস্তিক

বুলবুল আহমেদ সোহেল

আস্তিকও নই-নই নাস্তিক

বুলবুল আহমেদ সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বয়কট করুন ইসলাম বিদ্বেষী অপব্যাখ্যাকারি আজাহারি গং দের ; গণ মাধ্যমকে নয়

২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০৩

প্রসঙ্গঃ একাত্তর টিভি ইসলাম বিদ্বেষী, অপ-ব্যাখ্যাকারি - ধর্ম ব্যাবসায়ীর বিরদ্ধে এবং অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে পথ প্রদর্শক ।


☞ বাস্তবতা মোকাবেলা করতে গিয়ে শয়তানের ধোঁকায় অনেক গুনাহ করার পরও যার দয়ায় সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে এই যে বেঁচে আছি, তার জন্য পরম করুনাময় সৃষ্টি কর্তার দর্বারে শুকরিয়া আলহামদুলিল্লাহ। ইসলামের হকের ওপর অটল থাকার তওফিক চাই পরম করুনাময়ের দরবারে। সৃষ্টিকর্তা কতোনা দয়াময় যিনি আমাদের শ্রেষ্ঠ মাখলুক হিসেবে সৃষ্টি করছেন তারই ইবাদত করার জন্য। আর আমাদেরই ইহকাল ও পরকালের শান্তির জন্য,পথ প্রদর্শক ও কঠিনতম বিচারের দিনে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করার সুপারিশকারি হিসেবে নেয়ামত স্বরুপ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)কে শ্রেষ্ঠ নবী হিসেবে দান করেছেন। আর যে নবী উম্মতের জন্য রহমত স্বরূপ, সে নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর রেখে যাওয়া কোরআনও হাদিসের বাইরের কোন কথা আমি মানিনা। বরং যারা নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর আদর্শের বাইরে গিয়ে এক লাইন কম-বেশী বলেন, আমি তাদেরকে বয়কট করি একজন মুসলমান হিসেবে। আর সত্যিকার অর্থে কোরআন ও হাদিসের আলোকে যে সকল আলেম ওলামাগণ পথ দেখান তাদেরকে ভালবাসি, শ্রদ্ধাকরি,পথ পদর্শক হিসেবে মানি। আমি সেই হক্কানি আলেম গণের অনুসারী ও সমর্থক। যারা মানুষকে আকৃষ্ট করতে ভালো বক্তা হিসেবে খেতাব কুড়াতে কোরআন ও হাদিসের ব্যাখ্যার সঙ্গে নিজেদের মনগড়া উদ্ভট বক্তব্য জুড়ে দিয়ে শস্তা জনপ্রিয়তা কুড়াতে ব্যাস্ত তাদেরকে ঘৃণা করি। আমি মনে করি সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণও তাদের ঘৃণা করে হক্কানি আলেম ওলামাদের তালাশ করে তাদের অনুসরণ করবে।

হক্কানী আলেম ওলামাগণদের আলোচনা থেকে জেনেছি, যারা রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাহভিত্তিক জীবন যাপন পরিচালনা করতে চায়, তারা কখনো সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী হতে পারেনা। মুমিনগণ কোন ক্ষেত্রেই অশালীন শব্দ ব্যাবহার করবেনা। ভিন্ন ধর্ম বা ভিন্ন মতাবলম্বিের কটুক্তি করে কোন কথা বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবেনা। পক্ষান্তরে মুনাফিকরা ইসলামী লেবাস ধারণ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। তারা ভুল করে অনুসোচনা না করে,তাদের ভুলকে সর্ব সাধারণের কাছে যায়েজ করতে নানা পথ অবলম্বন করে বিভ্রান্তি তৈরি করবে। তারা ধর্ম প্রচারের নামে নিজেদের মতাদর্শের দিকে মানুষকে আকৃষ্ট করতে ব্যাস্ত থাকবে। লিপ্ত থাকবে গোরামী আর দম্ভোক্তিতে।

মূল প্রসঙ্গে আসার আগে প্রাসঙ্গিক আরেকটু কথা বলি,যেহেতু আলোচনাটা মিজানুর রহমান আজাহারি বা ইসলামের অপব্যখ্যাকারিগণ ভার্সেস গণমাধ্যম নিয়ে আলোচনা। তাই সবার কাছে প্রশ্নঃ
★প্রজাতন্ত্রের রাজ্যে গণমাধ্যম কি সাম্প্রদায়িক শক্তির পক্ষে প্রচারণা চালাবে?
★গণমাধ্যম কি দোষত্রুটি বা অপকর্ম ঢেকে রাখার দায়িত্ব পালন করবে, না অপকর্ম তুলে ধরে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভুমিকা পালন করবে? গণমাধ্যম কি সংখ্যা গরিষ্ঠ-সংখ্যা লঘু,ধর্মীয় পক্ষ-বিপক্ষের প্রচারণার মাধ্যম, না যেখানেই অনাচার বা সম্ভাবনার প্রশ্ন উঠবে তা তুলে ধরার দায়িত্ব পালন করবে?
★ গণমাধ্যম কি নির্দিষ্ট কোন নীতি আদর্শের বশ্যতা মেনে নিতে বাধ্য,প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কোন নীতি আদর্শ বা মতবাদ মেনে নিতে বাধ্য করেছে বা সে সুযোগ কি রয়েছে?

আমি মনে করিঃ

★হ্যা। অসাম্প্রদায়িক সমপ্রিতীর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয় এমন সব কিছু প্রচারের অধিকার তার রয়েছে। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিপক্ষে তার প্রচারণাতো অবৈধ নয়।
★ সংখ্যা লঘু বা সংখ্যা গরিষ্ঠের বিবেচনায় নয়।যৌক্তিক দাবি,অযৌক্তিক আচরণ সব কিছুই জনতার সামনে তুলে ধরা গণমাধ্যমের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। ভালো মন্দ ভাগ করে গ্রহণ বা বর্জন করার সিদ্ধান্ত পৌঁছাতে জনতার সহায়কের ভূমিকায় থাকবে এটাইতো স্বাভাবিক।
★ যে কোন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, জঙ্গিবাদ সাম্প্রদায়িক উষ্কানি,ধর্মীয় অপবেখ্যা, কট্টরপন্থী বা মৌলবাদে প্ররোচনার বিরুদ্ধে সতর্কতা অবলম্বন করতে গণমাধ্যমেরইতো বলিষ্ট ভূমিকার দায় থাকে। এখানেইতো গোটা জাতির কাছে দায়িত্বশীল ভূমিকার অঙ্গিকার করেছে গণমাধ্যম।
★ প্রত্যেক গণমাধ্যমেরই প্রাতিষ্ঠানিক একটা ধর্ম,নীতি আদর্শ রয়েছ। সেই যায়গা থেকে নিজস্ব আদর্শ নীতি সমর্থক গোষ্ঠির পক্ষ অবলম্বন করবে সেটা হলো তার স্বাধীন অধিকার।
★মুক্ত গণমাধ্যম কারো বশ্যতা মেনে নিবে,কারো কুকর্ম,অপ প্রচার,অপব্যাখ্যার জন্য জনতার কাঠগড়ায় দাঁড় না করিয়ে তা ঢেকে রাখবে এমন প্রত্যাশা বড়ই বোকামি।
★ গণমাধ্যমের কাছে যারা কুকর্ম ঢেকে রাখার প্রত্যাশা করেন,তাদের বলবো কুকর্ম থেকে বিরত থাকাই বড়ং সঠিক পথ ও বিবেকবান মানুষের কাজ। কারণ গণমাধ্যমের প্রধান কাজই হলো অপরাধ ও অপরাধীদের শনাক্ত করে জনতার আদালতে হাজির করিয়ে দেয়া। দেশ ও জনতার প্রতি এতটুকু দায়বদ্ধতাতো রয়েছে গণমাধ্যমগুলোর।

থাকলো আমার এসব প্রশ্ন আর মতামত। যাই হোক যেই প্রেক্ষিতে আমার এই আলোচনাঃ ধর্মীয় বক্তা হিসেবে ব্যাপক আলোচিত ও সমালোচিত মিজানুর রহমান আজাহারি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তরকে বয়কট ঘোষণাসহ বয়কটের আহবান করেছেন। এর পর থেকে তার অনুসারী, অন্ধভক্ত এবং একদল সুযোগ সন্ধানী একাত্তর টভির বিরুদ্ধে নানা অপ প্রচার চালাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন কায়দায়।

প্রথমে আমি আজাহারি সাহেবের ফেসবুকে একাত্তর টিভিকে বয়কট আহবানের স্টেটাসটি হুবহু তুলে ধরলাম পাঠকের জন্য। তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুকে লিখেন- " সংকটে,সংবাদে,সংযোগে - সর্বত্রই যাদের ইসলাম বিদ্বেষ তাদের বয়কট করা সময়ের দাবী। তাই একাত্তর টিভিকে বয়কট করুন। আমি করেছি, আপনারাও করুন। "

এখানে প্রশ্ন হলো কি কারণে আজহারি সাহেব একাত্তর টিভিকে বয়কটের আহবান করলেন?

সম্প্রতি একাত্তর টিভিতে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে- "ওয়াজের নামে উদ্ভট বক্তব্য " শিরোনামে। সেই প্রতিবেদনে আজাহারি সাহেবের বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে আলোচনার অংশ বিশেষ তুলে ধরা হয়েছে। সেই প্রতিবেদনে আজাহারি সাহেব যে শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন তা কি ছিল ? জেনে নেই-

ধর্মীয় আলোচনার এক পর্যায়ে কোন একটি উদাহরণ টানতে গিয়ে তিনি ঢাকাইয়া ভাষায় বলছিলেন - " ছোনেন ছোনেন আল্লাহ হালায় কোরআন পাঠাইছে নবীর উপড়ে,নবী হালায় সহাবাগো" (নাউজুবিল্লাহ)। আরেক বক্তব্যে তিনি বলছিলেন-" ২৫ বছরের বিশ্ব নবী বিয়ে করলেন ৪০ বছরের এক বুড়ি মহিলাকে,আগে দুইবার তালাক খাইছে,ইনটেক্ট মহিলা,তওতো না,ভার্জিন না। বিশ্ব নবীরতো তেমন কোন উপার্জনই ছিলো না,মা খাদিজার উপার্জন দিয়ে বিশ্ব নবী চলেছেন (নাউজুবিল্লাহ)।
আবার হিন্দি গান -'তো চিজ বাড়িহে মাস্তে মাস্তে'এই গানের সুরে তিনি একটি গানের কয়েকটি লাইন পরিবেশন করেন- 'একদিন শুধু জনগনকে আল্লার দরবারে বরখাস্ত খাস্ত,হায় পাপ করিবার হস্ত হস্ত'।
আরেক বক্তব্যে আজাহারি সাহেব উপস্থিত স্রোতাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়েন -বলেনতো আমাদের দেশে বিয়ে করা সহজ না জিনা করা সহজ? সালির সাথে কিভাবে পরকীয়া করা যায়,চাচির সাথে প্রেম,একে অপরকে আলিঙ্গণ করে,গালে কিছ দিচ্ছে,ঠোটে কিছ দিচ্ছে।" তার এই উদ্ভট বক্তব্য গুলোকে একাত্তর টিভি প্রচার করেছে বলেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার ফেসবুকে বয়কটের ওই আহবান করেন।

একাত্তরে প্রচারিত ওই প্রতিবেদনটির বাইরেও আজাহারি সাহেবের অনকে ব্যাঙ্গাত্বক ভাষার আলোচনা রয়েছে। নামাজ ও রোজাসহ বিভিন্ন আমলের ভুল ফতোয়াও দিয়েছেন নিজস্ব যৌক্তিকতা দিয়ে। নবী ও নবীদের স্ত্রীদেরকে নিয়ে আলোচনার সময় অশালীন শব্দ ব্যবহার ও অযাচিত উদাহরণ টেনেছেন। এমনকি বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর দেহ মোবারকের গঠন নিয়ে আজাহারি সাহেব নিজস্ব কল্পনা প্রসূত সিক্সপেক বর্ণনা করেছেন (নাউজুবিল্লাহ)। হক্কানী বিশিষ্ট আলেমগণ যার যার অবস্থান থেকে তার এসব অপব্যাখ্যাকে বর্জন করেছেন এবং মুমিন মুসলমানগণকে আজহারি সাহেবের এসব ভুল ফতোয়াকে বর্জনসহ হকের ওপর সচেতন থাকার আহবান জানিয়েছেন।

যে সব বক্তব্যের জন্য আজহারি সাহেব বশিরভাগ হক্কানি আলেম ওলামাদের কাছে বর্জিত,সে সব বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো পাঠকের জন্যঃ
তিনি এক ওয়াজে বলেছেন-বিশ্ব নবীর বুকটা ছিল উঁচু,পেট ছিল চাপা,সিক্স প্যাক্। তবে শেষকালে একটু গায়ে গোশত বেড়ে গিয়েছিল।
সৌদি আরবের মদীনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি এইচ ডি করা ড.মোহাম্মদ সাইফুল্লাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সম্পর্কে এই বক্তার বক্তব্য ঠিক না। এটা একটি বিভ্রান্তকর বক্তব্য। কোন সাহাবাগণ (রাঃ) এমন ধরণের কোন বক্তব্য দেননি।

মিজানুর রহমান সাহেব এক বক্তব্যে বলেন,যারা তাবলীগ করেন তারা মনে করবেননা যে সব হক,সব সত্য, শুধু আপনি হকের ডিলার এটা মনে করবেন না। সব সত্য আপনার বাবার দাদার এটা মনে করবেন না। জামাতে ইসলামের মতো হেফাজতে ইসলামের মতো আন্দোলনে স্পিরিট থাকতে হবে।
অন্য এক ওয়াজে তিনি নামের আগে আল্লামা ব্যবহার প্রসঙ্গে বলেন, আল্লামাতো আল্লা। অনেকের নামের আগে আল্লামা লাগায়,এগুলো মানুষ লাগায়। অথচ অন্য এক ওয়াজে তিনি নিজেই আহবান করেন- "ঘরে ঘরে আল্লামা সাঈদি দাও।"

আরেক ওয়াজে - "তোমারে লেগেছে এতো যে ভালো,চাঁদ বুঝি তা জানে,রাতেরও আঁধারে দোসর হয়ে, তাই সে আমারে টানে,চাঁদবুঝি তা জানে" এই গানটি সুর করে গেয়ে তিনি উপস্থিত সকলে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ বলেন। আজকে রাতে গিয়ে ভাবিরে এ গানটা শোনানো যাবেনা? এই গানটি শোনাইলে সওয়াব হবে আল্লাহর কসম করে বলছি।
আজাহারি সাহেবের এইসব বক্তব্য ও গান চর্চা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন ইসলামি চিন্তাবিদগণ। তারা মনে করেন ওয়াজ এখন যতটানা ধর্মের উপলক্ষ তার চেয়ে বেশি মৌসুমি ব্যাবসায় পরিণত হয়েছেন। ইসলামি ঐক্য জোটের মহাসচিব মুফতি ফায়জুল্লাহ বলেন -ব্যাপক জ্ঞানের অভাব পরিলক্ষিত হয় বলেই এই ধরনের কথাগুলো তারা বলে থাকেন। ওয়াজ করতে হলে জানতে হবে,কোন কাজটার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ইসলামী চিন্তাবিদরা বলেছেন তিনি কেন একটা গান এতবার শুনলেন,চর্চা করলেন। ইসলামেতো এটা নিষিদ্ধ।

আজাহারি সাহেব নামজ ও রোজা সম্পর্কে ভুল ফতোয়া দিয়ে বলেছেন - আমরা চাইলে ঈদের সালাত ঘরে একা একা পড়তে পারবো। সে ক্ষেত্রে খুতবা দেয়া লাগবেনা।যেখানে হক্কানি আলেম ওলামারা বলছেন জামাত ছাড়া জুম্মাও হবেনা ঈদের জামাতও হবেনা। আলেম ওলামারা তাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন কোনো নবী বা সাহাবাদের আমলে ঈদের নামাজ জামাত ছাড়া পরেছেন।

এছাড়া বেশিরভাগ আলেম ওলামাগণ যেখানে ঐক্যমত, দেখে দেখে নামাজে তেলোয়াত করলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। সেখানে তিনি নামাজে দেখে দেখে তেলোয়াত করা যাবে বলে ফতোয়া দিয়েছেন। আজাহারি সাহেব কাজা নামাজ বলতে কোন নামাজ নেই বলে ফতোয়া দিয়েছেন,রিক্সা চালকসহ কঠোর পরিশ্রমীদের রোজা রাখতে হবেনা বলে ফোতায়া দিয়েছেন তিনি। কাজা নামাজ আর রোজা নিয়ে তার এই দুটি ফতোয়ার জন্য আলেম ওলামা বা কোন হাদিসের রেফারেন্স টানলাম না। এ দুটি ফতোয়ার বিশ্লেষন সাধারণ মুসলিমরা খুব ভালো করেই জানেন। কারণ জুম্মার নামাজের পূর্বে সকল মসজিদেই নামাজ রোজা নিয়ে আলোচনা হয়।

আজাহারি সাহেবের এইসব আলোচনা যদি ইসলামের হককে জিন্দা করে তাহলে রেফারেন্স দেন ; একাত্তরে প্রচারিত প্রতিবেদনটি ইসলামের বিরুদ্ধে গেছে যৌক্তিকতা দেখান, আমিও একাত্তরকে বয়কট করবো,ফিরে আসব আজাহারির সমর্থনে। অন্যথায় সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বলবো আজাহারি গং দের বয়কট করুন।

যারা আজাহারি সাহেবের অন্ধভক্ত হিসেবে না বুঝেই ভুলের দিকে দৌড়ঝাপ করছেন তাদেরকে বলছি-
যারা বলেছে চিলে কান নিয়েছে; তারা না হয় নিজেদের ভুলকে যায়েজ করতে বা মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিকে ভিন্নদিকে নিতে বাজারে ছেড়েছেন চিলে আপনার কান নিয়েছ। পরের কথা শুনে,কানে হাত না দিয়ে চিলের পেছনে দৌড় ঝাপ। এমন প্রবাদটি শুনে মনে হতো এমন গর্দভ কি আছে ! অজ্ঞাতার যুগে না হয় তেমনটা ছিল। হায় আফসোস এমন গর্দভের কাতারে মানুষ আজো নাম লিখিয়ে গর্ববোধ করে। খোদা প্রদত্ত নিজের বিবেককে সমান্যতম ব্যবহার করেনা।সত্যটা কি? না বুঝেই দৌড়ঝাপ করাকি বিবেকবান মানুষের কাজ!

আমি জানি এই লিখাটা পড়ে, আজাহারি সাহেবসহ ইসলামের অপব্যাখ্যাকারিরা আমাকে গাল মন্তব্য করবেন। করেন তাতে কোন সমস্যা নেই। আমি বলবো আল্লাহ যেন তাদের সঠিক বুঝ দান করুন। হেদায়েত নসিব করুক। আমি জানি হকের ওপর থাকতে গেলে শয়তানের তরফ থেকে বাঁধা আসবেই।
এই লিখাটি লিখার আগে আমি তাবলিগী ভাইয়েদের সঙ্গ কথা বলেছি,মসজিদের ইমাম-খতিবদের সঙ্গে কথা বলেছি। মুফতি এবং মুফতিদের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে আজাহারি সাহেবের এসব ফতুয়া ও বক্তব্যের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সাধারণ মুসলমানদের প্রতি এসব বক্তব্য বর্জনের আহবান জানিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

সর্বোপরি, আমার আজকের এই পর্যবেক্ষণে ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে একাত্তর। এ ক্ষেত্রে একটি চক্রের গায়ে ফোসকা পড়বে, ভুলভাল আউড়ে সহজ সরল মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বিপথগামী করে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক। তাই আমি বলবো ইসলামের বিরুদ্ধে যত অপব্যাখ্যাকারী রয়েছে সেসব ইসলাম বিদ্বেষীদের বর্জন করার সময় এসেছে। সমস্ত ইসলাম বিদ্বেষীদের বর্জন করুন। মুক্তির পথ পেতে হক্কানী আলেম ওলামাদের তালাশ করুন। #

https://www.facebook.com/107990713936621/posts/409371683798521/

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



বিশ্বে হাজার দরকারী বিষয় আছে, সেসব বাদ দিয়ে এই অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে এত মাথা ব্যথা কেন?

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৩

বুলবুল আহমেদ সোহেল বলেছেন: কথা খারাপ বলেন নাই? তারপরও কিছু অপব্যখ্যাকারির অপৎপড়তায় সাধারণ সহজ সরল মানুষ যুক্ত হয়ে যাচ্ছে না বুঝে, বিপথগামী হয়ে যাচ্ছে, একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরী করার অপচেষ্টায় লিপ্তদের সঠিকটা বোঝার জন্য একটু মাথা ঘামালাম।

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৬

আমি সাজিদ বলেছেন: আপনাদের ম্যানেজমেন্টকে বলবেন এর আগে যত কেলেঙ্কারির সূত্রপাত একাত্তরে , সবই মিথিলার সাডেন স্ক্রিপ্টের বাইরের নিজস্ব মন্তব্যে, মানলাম মিথিলার টি আর পি বেশ ধরে রেখেছে, কিন্তু ওর একার জন্য আপনারা সাফার করবেন কেন ? মিথিলাকে প্রতিটি শো তে ওর পারসোনাল মন্তব্য করতে মানা করুন। আপনি একটা কাজ করুন ভাই, আপনার বসকে বলে ক্ষমা প্রার্থনা করুন আর মিথিলা রুপাকে বাদ দিয়ে সিচুয়েশন ট্যাকেল দিতে বলুন। কি করবেন বলুন, ফ্রান্সের ম্যাক্রোও এত উদারপন্থী হয়ে সাধারণ একটা মন্তব্য করে ধরা খেয়ে গেল, সবাই এখন অসহনশীল।

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমি পক্ষেও নাই বিপক্ষেও নাই

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১১

আকন বিডি বলেছেন: আপনারা তার সাথে কথা বলেছেন? তাকে প্রশ্ন করেন, তার সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রচার করুন।

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: ওয়াজ মাহফিলে আসলে কি বলে হুজুররা , তার সম্পর্কে ধারনা নাই। তবে আজাহারি বেশ জনপ্রিয় অনলাইনে। তার ওয়াজের যে বর্ননা দিলেন, তার লিংক দিলে ভাল হয়। তানাহলে এটা মিথ্যাচার করা হয়েছে কিনা তার গ্যরা্নটি কি?

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৪৭

বুলবুল আহমেদ সোহেল বলেছেন: Click This Link

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২০

রাজীব নুর বলেছেন: ফ্রান্সের বর্তমান সরকার কিন্তু উদারপন্থী সরকার। আমার ঘরে ফান্সের ইলেকট্রি আয়রন এবং ব্যালান্ডার মেশিন আছে। ওগুলো কি এখন ফেলে দিতে হবে? আমাদের ধর্মে কিছু সমস্যা আছে সংশোধনের সময় এসে গেছে। মনে রাখতে হবে এটা ইন্টারনেট এর যুগ। প্রেস আসার পর খৃষ্ট ধর্মের প্রভাব হ্রাস পায়, ইন্টারনেট আসার পর এখন পালা ইসলাম ধর্মের।

৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমি বেশির ভাগ সময় ওয়াজ শুনি অন লাইন লাইভে।বাংলাদেশ থেকে খুব সম্ভব শুনা যায় না।তবে কেউ কেউ অংশ গ্রহন করে, কিভাবে করে জানি না।

৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: উপরের মন্তব্যটা ভুলে করে ফেলেছি। দুঃখিত।

১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৩

রাশিয়া বলেছেন: @ রাজীব নূর, আগে নূরুল ইস্লা৪৪৪ কে ভাবতাম উদাসী স্বপ্নের প্রেতাত্মা - এখন দেখছি আপনার মাল্টি। আপনি ব্লগে নিজের ছবি, বৌয়ের ছবি দিয়ে রেখেছেন বলে সরাসরি ইসলাম বিদ্বেষী কথা বলতে ভয় পেতেন - কেউ রাস্তায় আপনাকে পেলে পাছায় লাথি মেরে বসে কিনা এই ভয়ে। কিন্তু এখবন দেখি তার আর তোয়াক্কা করছেন না। এত দুঃসাহস আপনি পালেন কোথায়? ইসলাম আপনি সংশোধন করতে চান, ইসলামের আপনি কোন াল বোঝেন?

১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৭

পঞ্চগড়ের বাসিন্দা বলেছেন: ইসলাম বিদ্বেষী চাটুকারদের চটকদার কথায় ইসলামি মূলনীতির কখনো পরিবর্তন হয়নি আর হবেও না , ইসলাম তার আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল, নিশ্চয়ই আল্লাহ সত্য মিথ্যার প্রভেদকারি, তাইতো তিনি ৭১ টি ভি আর মুসলিম নামধারী মুনাফিকদের পরিচয় তার বান্দাদের সামনে প্রকাশ করেছেন

১২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৫১

বুলবুল আহমেদ সোহেল বলেছেন: Click This Link

১৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:২০

অগ্নিবেশ বলেছেন: রাশিয়ার দাঁত নখ ন্যাজা বার হয়ে গেছে, চাপাতি বার করার সুযোগ খুজছে। বাংলাদেশ থেকে হিন্দু নির্মুল হয়েছে, এখন মারতে কাফের পাইবেন না, অসহনশীল মুসলমানদের শেষ করতে মুসলমানরাই যথেষ্ট, খ্যালা শুরু।

১৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:২২

রাশিয়া বলেছেন: @অগ্নিবেশ, আমাদের মুসলিমদের কাফের মারার এত শখ নেই - যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া কাফের মারার কোন সুযোগও নেই। মুসলিমরা মোটেও অসহনশীল নয়, বিশ্বব্যাপী মুসলিমরা অনেক ধৈর্যশীল। ভাবতে পারেন, কাফেরদের াল ফেলার ক্ষমতা নেই বলে মুসলিমরা বাধ্য হয়ে ধৈর্যশীল হয়ে আছে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী মুসলিম শক্তি যখন ক্ষমতার তুঙ্গে ছিল, তখনও বিনা কারণে কাউকে আক্রমণ করেনি।

মুসলিম কখনও কথায় কথায় চাপাতি বের করেনা - ওটা বজরং, শিবসেনা আর সেবক সংঘের কাজ। গো হত্যা নিয়ে ভারতব্যাপী যে তান্ডব চলেছে - সেটা আপনারা দেখেছেন। বাংলাদেশে কুরআন অবমাননা তো কম হয়নি, তার জন্য কয়জনকে চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়েছে, হিসাব দিন তো!

১৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩৪

বিবেকহীন জ্ঞানি বলেছেন: আপনি আপনার সংবাদে যা ছিলো তাই এখানে ব্যাখ্যা করেছেন।এটা মোটেও আপনার থেকে আশা করা যায়না।

আপনি উপরে যা বলেছেন তা সত্যি কিন্তু মাহফিল বা বক্তব্যের সম্পূর্ণ অংশ কখনো শুনেছেন?

একজন মানুষের সম্পূর্ণ কথা থেকে আংশিক কেটে আপনারা সংবাদ প্রকাশ করছেন এখন এখানেও একই কথাই বিশ্লেষণ করছেন।জাতিকে দিকভ্রান্ত করছেন টেলিভিশন এ এখন এখানেও এসেছেন একই কাজ করতে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫

বুলবুল আহমেদ সোহেল বলেছেন: এক বালতি খাঁটি দুধে এক ফোটা চেনাই যথেষ্ট, খাঁটি দূরের পবিত্রতা নষ্ট করতে। পুরো আলোচনা আমি শুনেছি। কোন প্রেক্ষাপটেই অশালীন শব্দ ব্যবহার সভ্য সমাজে গ্রহণ যোগ্য নয়। আর ভুল ফতোয়া নিয়ে কি বলবেন জানিনা?

১৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২০

অগ্নিবেশ বলেছেন: যুদ্ধ বাধায়ে একটা ক্ষেত্র বানায়ে ফ্যালেন। রাশিয়া কুমার, বজরঙ, তেলরঙ, তঈমুরলং সব মুদ্রার এ পিঠ ও পিঠ, আপ্নে আবার রাজীব জমিদারের পাছায় লাথি মারার আশায় আছেন, খুব ভালো, চালায়ে যান।

১৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: রাজীব নূরের মোনাফেকি (দ্বিমুখী ভাব পোষণ কারী) আচরণ এই প্রথম নয়। দেখা যাবে, কয়েক দিন পরই আবার ইসলামের সুনাম করে আরেকটা পোস্ট প্রসব করবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.