নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুনোগান

বুনোগান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকিস্তানে ছাত্র হত্যা না জিহাদ?

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

বোকো হারাম শত শত স্কুল ছাত্রীদের গুম করে ফেললো। গতকাল পাকিস্তানে শতাধিক ছাত্রকে বোমা মেরে / গুলি করে হত্যা করা হোল। তালেবানরা বললো এটা জিহাদ অর্থাৎ ধর্মযুদ্ধ ! ধর্মযুদ্ধ হোল ধর্ম প্রসারের জন্য বিধর্মীদের বিরুদ্ধে, বিধর্মী দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। বিভিন্ন নামের সকল ধর্মীয় গোষ্ঠীই বলছে তাদের এই জিহাদি যুক্তির উৎস একই পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ। বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান এই গ্রন্থই অনুসরণ করে বলছে ইসলাম শান্তির ধর্ম। বাংলাদেশ স্বাধীন করার জন্য আমাদের জিহাদ করার প্রয়োজন হয়নি। আমরা করেছিলাম স্বাধীনতা যুদ্ধ। কিন্তু আফগানিস্তানে তালেবানরা বলছে এটা তাদের জিহাদ।

আমরা যারা সাধারণ জনগণের উপর জিহাদের নামে আক্রমণের বিরুদ্ধে, আমরা যারা নারী/শিশুদের শিক্ষা লাভের সুযোগের পক্ষে, তাদের বিক্রি করে দেয়ার বিরুদ্ধে এবং আরো অনেক পশ্চাতপদতা সমর্থন করি না তারা কি শুধু নিন্দা জানিয়েই এই বিষবাষ্প থেকে মুক্ত থাকতে পারবো? নিদেন পক্ষে বিভ্রান্তিকর ধর্মীয় যুক্তির বিরুদ্ধে সমালোচনার অধিকারও আমরা পাবো না?

এই বিষবাষ্প আজ সমাজে সন্তপর্নে নিঃসরিত হয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অনেককে গ্রাস করে চলছে এটা আমরা দেখেও না দেখার ভান করছি। আমাদের উঠতি বয়সের তরুণেরা রাস্তা ঘাটে, খেলার মাঠে, ভর্তি কোচিং এ এই জিহাদিদের সহজ শিকারে পরিণত হচ্ছে। প্রতিবাদ করার সাহস কারো হচ্ছে না। এমন কি নারী জিহাদিরা গৃহে গৃহেও ঢুকে পড়ছে। তৈরি করছে বিভিন্ন ধরণের গ্রুপ। মূল সমস্যা হচ্ছে ধর্ম সম্পর্কে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর ধারণা। এমনকি পরিবারে, বন্ধু মহলে এগুলো নিয়ে মুক্ত আলোচনার কোন সুযোগ নেই। আলোচনা করতে গেলেই কেউ কেউ ভয়ংকর অনুভূতি প্রবণ হয়ে পরেন অথবা অনেকেই মুক্ত আলোচনাকে সযত্নে এড়িয়ে চলেন। ফলে তথাকথিত জিহাদিদের জন্য আমাদের সমাজ হোল এক উন্মুক্ত চারণ ক্ষেত্র।

গণতান্ত্রিকরা ধর্মীয় অজ্ঞতাকে প্রসয়/সমর্থন দিয়ে ভোটের বাক্স ভরতে চান।

প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা ধর্মের সমালোচনাকে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেয়া মনে করেন।

সমাজতন্ত্রীরা মনে করেন শ্রেনিযুদ্ধই সকল সামন্তীয় অবশেষের অবসান ঘটাবে।

বিলোপবাদী বামরা মনে করেন এটা সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এক ধরণের মুক্তিযুদ্ধ।

তথাকথিত মুক্তমনারা ধর্মীয় মনিষীদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করে সুস্থ যুক্তিতর্ককে অঙ্কুরেই জলাঞ্জলি দেন।

আর আমরা শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি এই সুযোগে আমাদের উঠতি বয়সের তরুণ ছেলে / মেয়েদের ঘিরে আছে একদল শিকারি।

.

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬

জেকলেট বলেছেন: মুল সমস্যা মুক্ত আলোচনা না হওয়া। আমরা যদি মুক্ত আলোচনার দরজা বন্ধ করে দেই তাহলে এইভাবে অন্ধকার আমাদেরকে ঘিরে ধরবে।

আর আমাদের তথা কথিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা যেভাবে React করেন উনাদেরকেই আমার আরো বেশি অন্ধ মনে হয়।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: "তালেবানরা বললো এটা জিহাদ অর্থাৎ ধর্মযুদ্ধ !" জিহাদ মানেই ধর্মযুদ্ধ নয় তবে জিহাদের একটা রুপ ধর্মযুদ্ধ হতে পারে।

"বাংলাদেশ স্বাধীন করার জন্য আমাদের জিহাদ করার প্রয়োজন হয়নি।" আপনি কি করে জানলেন সেটা? নিজের মাতৃভূমিকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করা, নিজের মা-বোনের সতীত্ব রক্ষা করাটাও জিহাদ।

নিরীহ মানুষ হত্যা করার নাম জিহাদ নয়।

দয়া করেও "জিহাদ" বিষয়ে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করুন, সঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭

বুনোগান বলেছেন: এক এক গোষ্ঠী জিহাদের এক এক ব্যাখ্যা দিচ্ছে। তালেবানরা একই শব্দ ব্যবহার করে ছাত্রদের খুন করছে। আর এই ব্যাখ্যাগুলোর উৎস হিসাবে সবাই একই ধর্মের কথা বলছে। আসল কথা আপনি এই হত্যার পিছনের যুক্তিকে আড়াল করছেন কেন? আর জিহাদের নামে এই হত্যাকাণ্ড যদি সঠিক না হয় তাহলে বড় বড় আলেমরা এর প্রতিবাদ করছে না কেন? মসজিদের ইমামরা কেন বলছেন না এই ধরণের হত্যাকাণ্ড জায়েজ নয়? তার যদি ইসলামের ভুল ব্যাখ্যাই দেয় তাহলে বায়তুল মোকাররম থেকে কেন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল হয় না?

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩১

শাফি উদ্দীন বলেছেন: ঘৃণা জানাই।

৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬

যোগী বলেছেন:
ধর্মযুদ্ধ হোল ধর্ম প্রসারের জন্য বিধর্মীদের বিরুদ্ধে, বিধর্মী দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।


বাংলাদেশ স্বাধীন করার জন্য আমাদের জিহাদ করার প্রয়োজন হয়নি।



এই সব আজব কথাগুলা আপনারে কেও শেখায় না নিজে নিজে তৈরী করেন?

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮

বুনোগান বলেছেন: Click This Link এই লিঙ্ক এ গিয়ে দেখুন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কারা জিহাদ করেছিল।

৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: রাসুল (স) কি পরিস্থিতিতে যুদ্ধ করেছিলেন? যুদ্ধে কোন নারী বা শিশুর মৃত্যু হয়েছিল কি? প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য উনি কি একটি যুদ্ধের ডাকও দিয়েছিলেন? কোন জাতির উপর হিংসাত্মক বা বর্বর হামলা চালিয়েছিলেন?

এগুলোর উত্তর যদি হয় না, তবে একথা নির্দ্বিধায় বলা চলে, রাসুল (সঃ) জীবনে কোনদিন জিহাদ করেন নি। জিহাদের যে ডেফিনেশন এক একজন দিচ্ছেন, তাতে একথা অস্বীকার করার কোন উপায়ই নেই।

৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখকে বলছিঃ আমার কথাগুলোর ভুল ব্যাখ্যা দেয়ার কোন দরকার ছিলোনা। আগে বুঝুন আমি কি বলেছি তারপর আপনার মন্তব্য দিন। আর কথা পরিস্কার না হলে সেটাও জিজ্ঞেস করুন।

"এক এক গোষ্ঠী জিহাদের এক এক ব্যাখ্যা দিচ্ছে। তালেবানরা একই শব্দ ব্যবহার করে ছাত্রদের খুন করছে। আর এই ব্যাখ্যাগুলোর উৎস হিসাবে সবাই একই ধর্মের কথা বলছে।" - কে কি ব্যাখ্যা দিচ্ছে প্রশ্ন সেটা নয়। প্রশ্ন হলো আপনি কোন ব্যাখ্যা দিচ্ছেন আর কি বুঝতে পারছেন। আজ যদি কেউ বলে ২+২ = ৫ কাল অন্য কেউ বলছে ৬, তাহলে আপনি কোনটা মানবেন? নিজের বুদ্ধি বা জ্ঞান ঠিক মতো ব্যবহার করতে পারলে আপনিও জানবেন যে আসলে ২+২ = ৪। অবশ্য সেটা জানার জন্য আপনাকে কিছুটা হলেও পড়াশোনা করতে হবে। ঠিক তেমনি, অন্য কারো ব্যাখ্যা নিয়ে নাচানাচি না করে পড়ুন, জানুন। সত্য মিথ্যের যাচাই করুন। কে ভুল বলেছে আর সঠিক বলেছে সেটা নিজেই বুঝতে পারবেন।

"আসল কথা আপনি এই হত্যার পিছনের যুক্তিকে আড়াল করছেন কেন?" - আমি এখানে কার যুক্তি আড়াল করেছি, সেটা বোধগম্য হলোনা। এই হত্যা অবশ্যই নিন্দনীয়। যারা এই কাজ করেছে তাদের কি যুক্তি সেটা তারাই ভালো বলতে পারবেন। আমি এ ধরনের ঘৃণ্য কাজকে কোনভাবেই সমর্থন করিনা আর করছিও না। আমার কথাটার মূল উদ্দেশ্য ছিলো "জিহাদ" শব্দটার প্রকৃত মানে নিয়ে। সেটাকে অন্যদিকে ডাইভার্ট করার কোন কারণ দেখছিনা।

"আর জিহাদের নামে এই হত্যাকাণ্ড যদি সঠিক না হয় তাহলে বড় বড় আলেমরা এর প্রতিবাদ করছে না কেন? মসজিদের ইমামরা কেন বলছেন না এই ধরণের হত্যাকাণ্ড জায়েজ নয়? তার যদি ইসলামের ভুল ব্যাখ্যাই দেয় তাহলে বায়তুল মোকাররম থেকে কেন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল হয় না?" - কে কি করছে আর করছেনা, সেটা তাদের ব্যাপার। ব্লগে এসে বাচ্চাদের মতো লাফালাফি না করে, তাদের কাছে গিয়ে তাদের জিজ্ঞেস করুন। আমাকে জিজ্ঞেস করার মতো কোন কারণ খুঁজে পেলাম না।

একটা কথা মনে রাখা জরুরী, ইসলাম করো পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। কেউ যদি ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দেয়, সেটা তার বা তাদের নিজস্ব সমস্যা। এখানে ইসলামের কিছু করার নেই। ইসলামে এক সৃষ্টিকর্তা (আল্লাহ) ছাড়া কারো কোন কর্তৃত্ব নেই। আজ যদি "রামলাল" বলে আমি "মুসলিম" তাতে যেমন ইসলামের কিছু যায় আসেনা, তেমনি "রহিম মিয়া" যদি বলে আমি হিন্দু তাতেও ইসলামের কিছু যায় আসেনা। আলেম, ইমাম অথবা বায়তুলম মোকাররম কেন সমস্ত মানবজাতিও এককভাবে কেউ ইসলামকে রিপ্রেজেন্ট করেনা। কারণ প্রত্যেকটা মানুষের মাঝেই ত্রুটি আছে। ব্যাপারটা অনেকটা ঐ ২+২ = ৪ এর মতোই। ইসলামের নিয়ম কানুন পরিপূর্ণভাবে মানলেই কেবল একজন নিজেকে মুসলিম দাবী করতে পারেন, আর তার ভ্যালিডিটিও একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই দিতে পারবেন। কেউ ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে মানুষ খুন করে যদি নিজেকে মুসলিম দাবী করে, তাতে ইসলামের কি করার আছে? মানে দাঁড়ালো ইসলামের চোখে ১/২ মুসলিম বলে কোন ব্যাপার নেই, তা তালেবানই হোক আর তথাকথিত "মডারেট মুসলিম"-ই হোক।

এই ছাগল-তো নিজেকে শুধু মুসলিম নয়, মুসলিম ইমাম দাবী করছে। প্রশ্ন হলো, তাতে ইসলামের কি আসে যায়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.