নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুনোগান

বুনোগান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংক্ষেপে সামাজিক জ্ঞান

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪

মানুষ তার ইন্দ্রিয়র মাধ্যমে বাইরের জগত সম্পর্কে জানতে পারে এবং এই তথ্যগুলো মস্তিষ্কের কোষে জমা থাকে। বিবর্তন ইন্দ্রিয়গুলোকে ততটুকুই দক্ষ করেছে যতটুকু হলে সে বেঁচে থেকে বংশ বিস্তার করতে পারে। বাইরের জগতের পুরোপুরি সত্য তথ্য তার ইন্দ্রিয়ে ধরা পরে না। ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে জানার পরিধি সত্যের একটি ছায়া মাত্র।
দর্শন ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে মানুষ আলোকিত বস্তুর আকার ও রঙের প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়। কিন্তু আলো কম থাকলে সে রঙ সম্পর্কে ভ্রান্ত তথ্য লাভ করে। আবার একই আকারের কাছের বস্তুর তুলনায় দূরের বস্তুকে ছোট দেখতে পায়। একটি বড় গাছ ও একটি ছোট গাছের পার্থক্য বুঝতে পারে কিন্তু গাছটি কত হাত লম্বা সেটা শুধু দেখে বুঝতে পারে না। শ্রবণ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে মানুষ বাইরের জগতের বিভিন্ন শব্দ শুনতে পায় এবং শব্দের উৎস কোন দিকে সেটা মোটামুটি ধারণা করতে পারে। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে সে বুঝতে পারে শব্দের সাথে কোন না কোন বস্তু বা প্রাণীর সম্পর্ক আছে। সে যদি একটি বিকট শব্দ শুনে সেদিকে তাকিয়ে দেখে সেখানে একটি হাতি রয়েছে তাহলে সে হাতির সাথে সেই বিকট শব্দের একটি সম্পর্ক খুঁজে পায়। এভাবে মস্তিষ্ক একটি সিদ্ধাতে আসে যে সকল শব্দেরই একটি উৎস রয়েছে। কিন্তু শব্দ যে একটি তরঙ্গ এটা সে তার শ্রবণ ইন্দ্রিয় দ্বারা বুঝতে পারে না।
ইন্দ্রিয়ের দ্বারা তথ্য সংগ্রহের পর মস্তিষ্ক সেগুলো একটার সাথে আর একটা তুলনা করে চিনে রাখে এবং কোন তথ্যের সাথে কোন তথ্যের সম্পর্ক রয়েছে সেগুলোও স্মৃতি-কোষে জমা রাখে। বিবর্তনের দৃষ্টিকোণ থেকে সকল প্রাণীর জন্য এতটুকু ভাসাভাসা জ্ঞানই যথেষ্ট। বেঁচে থাকার জন্য বাইরের জগতে কোন ঘটনা সম্পর্কে যতটুকু প্রাক ধারণা করা প্রয়োজন সেটুকু এই জ্ঞান থেকেই সম্ভব। কিন্তু মানুষের মস্তিষ্ক এর থেকে ব্যতিক্রম। তার মস্তিষ্ক আরও বেশি বিকশিত হয়েছে। সে আরও বেশি প্রাক ধারণা করতে চায় এবং সে ইন্দ্রিয় দ্বারা প্রাপ্ত তথ্য থেকে আরও বেশি সত্যের কাছাকাছি যেতে চায়।
মানুষ সত্য জানার দুটি পথ খুঁজে পায়। একটি হলো ইন্দ্রিয় লব্ধ ভাসা ভাসা জ্ঞান থেকেই অজানা তথ্য সম্পর্কে একটা ধারণায় আসা। আর একটি হলো পর্যবেক্ষণ ও পরিমাপের দ্বারা তথ্যের সত্যতা যাচাই করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। প্রথম পথে মুনি, ঋষি ও দার্শনিকেরা সত্যের অন্বেষণ করে থাকেন। তাদের পথ হলো ধ্যানের পথ। যখন কোন তথ্যের কোন কার্যকারণ সম্পর্ক খুঁজে পান না তখন ইন্দ্রিয় লব্ধ জ্ঞান থেকে যুক্তির মাধ্যমে একটি প্রাক ধারণায় উপনীত হন। মেঘের গুরু গুরু শব্দের নিশ্চয় কোন উৎস আছে, প্রাক ধারণা হোল এটা বিভিন্ন দেবতাদের যুদ্ধের ঢাল তলোয়ারের শব্দ। ভূমিকম্পে ধরণী কেঁপে উঠার কারণ হলো পৃথিবীটা একটা ষাঁড়ের মাথায় আছে, সে মাথা নাড়ালেই ভূমিকম্প হয়। এভাবে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের কোন কিছুই আর অজানা থাকে না। মুনি ঋষি ও দার্শনিকদের কাছে জগতের সব কিছুরই ব্যাখ্যা রয়েছে। তবে এই সত্য জ্ঞানের ব্যাখ্যা বিভিন্ন মুনির কাছে বিভিন্ন।
দ্বিতীয় পথে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা লব্ধ ফলাফলের উপর তাদের সত্য জ্ঞান অর্জিত হয়। ইন্দ্রিয় লব্ধ জ্ঞানের গভীরে যাওয়ার জন্য তারা পরিমাপ পদ্ধতির আশ্রয় নেন। সাধারণ মানুষ যখন এক ঝাঁক পাখী দেখতে পায় তখন বিজ্ঞানীরা গণনা করে দেখেন সেখানে কয়টা পাখী। এভাবে গণনা পদ্ধতি সত্য তথ্য জানার একটি হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। তারা একটি সমকোণী ত্রিভুজের দুটি জানা বাহুর দৈর্ঘ্য থেকে অপর বাহুর দৈর্ঘ্য জানার সূত্র জানতে পারেন। তারা কোন বস্তুর ওজন মাপার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। তারা এক দিনকে ঘণ্টা, মিনিট, সেকেন্ডে ভাগ করে নিয়ে সময় মাপতে পারেন। সময় দিয়ে তারা কোন বস্তুর গতিও মাপতে পারেন। এই মাপার ক্ষমতা মানুষকে ইন্দ্রিয়ের সীমাবদ্ধতাকে ছাড়িয়ে যেতে সাহায্য করেছে। সে এখন বস্তু ও শক্তি জগতের সত্য তথ্য জানার ক্ষমতা অর্জন করেছে। সে জানতে পেরেছে জগতে কি কি বস্তু ও শক্তি আছে এবং তাদের মধ্যকার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া কি। বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত চারটি শক্তি শনাক্ত করতে পেরেছেন এবং এদের কি কাজ সেই তথ্যও তারা জানেন। তারা জেনেছেন পরমাণুরও ক্ষুদ্র ডজন খানেক পার্টিকেল ও চারটি শক্তির সমন্বয়েই এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সবকিছু সৃষ্ট হয়েছে। পার্টিকেলগুলোও এক ধরণের তরঙ্গ শক্তি। স্থান কালেরও আবির্ভাব হয়েছে এই বিশ্ব সৃষ্টি হওয়ার সময়ে। এই স্থান কালে শূন্য স্থান বলে কিছু নাই। কোথাও শূন্যতার সৃষ্ট হওয়ার উপক্রম হলেই সেখানে বস্তু অস্তিত্ব লাভ করে। বিজ্ঞানীদের এই সমস্ত জ্ঞান হলো গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত জ্ঞান। যে প্রাক ধারণা প্রমাণিত হয়নি সেই জ্ঞান তারা গ্রহণ করেন না। বস্তু জগতের অনেক কার্যকারণ সম্পর্ক এখনো অজানা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা সেগুলোর ভাববাদী ব্যাখ্যা দিতে যান না। সেগুলো সম্পর্কে তারা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিজ্ঞানের আর একটি ক্ষেত্র হোল জীব বিজ্ঞান। অচেতন বস্তু কিভাবে চেতনা লাভ করল সেটা এখনো বিজ্ঞানীদের কাছে রহস্যময়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখন জানেন কখন থেকে জীবনের শুরু হয়েছে। তারা জানতে পেরেছেন যে জীবনের বিল্ডিং ব্লক হোল ডিএনএ ও আরএনএ। এরা এমন ভাবে সজ্জিত যে উপযুক্ত পরিবেশ পেলে তাদের প্রতিলিপি তৈরি হয়। প্রতিলিপি তৈরির ক্ষমতাকেই আমরা জীবন বলি। ভাইরাসের সুক্ষ্ণ আবরণের ভিতরে এই ডিএনএ জিন রয়েছে। প্রতিকূল অবস্থায় এরা জীবিত নয়। কিন্তু অনুকূল পরিবেশে তারা পোষকের কোষে প্রবেশ করে তাদের জিনের প্রতিলিপি তৈরি করতে থাকে। ভাইরাসের অণুতে এমন কোন আত্মার অস্তিত্ব নেই যে সে পোষককে খুঁজে তার কোষে প্রবেশ করবে। পোষকের কোষের সংস্পর্শে আসলেই পোষক কোষ তাকে গ্রহণ করে নেয়। এই প্রক্রিয়াটা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক। পোষকের কোষের জিন ভাইরাসের জিনের সংস্পর্শে এলে ভাইরাসের জিনের ছাঁচে প্রতিলিপি তৈরি হতে থাকে।
জীব বিজ্ঞানীরা গবেষণার দ্বারা প্রমাণ পেয়েছেন বিবর্তনের ধারায় এককোষী জীব থেকে বর্তমান কালের সকল প্রাণী ও উদ্ভিদের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ সহ সকল বহুকোষী প্রাণীর দেহে বিভিন্ন কোষ-গুচ্ছের বিভিন্ন কাজ রয়েছে। সম্মিলিত ভাবেই তারা একটি প্রাণীকে বাঁচিয়ে রাখে। আবার তাদের দেহে বাইরের কিছু অণুজীবও রয়েছে। মানুষের দেহের প্রতিটি কোষে যে মাইক্রোকন্ড্রিয়া রয়েছে তারা এই ধরণের অণুজীব, যারা কোষেরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছে। এর কাজ হল শক্তি উৎপাদন করা। এই অণুজীব ছাড়া কোষ বেঁচে থাকতে পারত না। আবার পরিপাকতন্ত্রে এমন অনেক ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যে এদের ছাড়া পরিপাক সম্ভব হত না। এ থেকে বুঝা যায় মানুষের সৃষ্টি কোন বিশুদ্ধ জায়গায় হঠাৎ করে হয়নি। বিবর্তনের পথ ধরে প্রাকৃতিক পরিবেশেই মানুষের বিকাশ হয়েছে।

কিন্তু সব মানুষেরই জ্ঞানের পিপাসা এক নয়। সাধারণ মানুষ জ্ঞান অনুসন্ধানে আগ্রহী নয়। সে ততটুকুই জানতে চায় যতটুকু তার বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট। ইন্দ্রিয়লব্ধ তথ্যই তাদের সেই জ্ঞান দিতে পারে। সে হলো অনুকরণ ও অনুসরণকারী। বিবর্তনই তাকে এখানে আটকে রেখেছে। মানুষ সহ সকল প্রাণীর প্রবৃত্তিগত কিছু আচরণ রয়েছে। যে আচরণ তাকে সক্রিয় থাকতে তাড়না যোগায়। প্রবৃত্তির কারণেই সে একটি টেরিটরিতে সমাজবদ্ধ থাকে। অন্যান্য প্রাইমেটদের মতই সেই সমাজে হায়ারিকি রয়েছে। কিছু আলফা পুরুষ ও নারী সকল কাজ ও অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে বাকী সবাই তাদের কাজের অনুকরণ ও অনুসরণ করে। একদল হাতির পালের অগ্রভাগে থাকা আলফা পুরুষ বা নারী শুর উঁচিয়ে দূরের কোন জলাশয়ের ঘ্রাণ পেলে সেদিকে যাত্রা শুরু করে, বাকী দল তাদের অনুসরণ করে পিছু নেয়। মানুষের সমাজে এদের বিজ্ঞ বলা হয়। এরা জাগতিক সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে অনুসন্ধান করে ও তার একটা ব্যাখ্যা প্রদান করে। সাধারণ মানুষ তাদের এই পথ ও ব্যাখ্যা মনে প্রাণে বিশ্বাস ও গ্রহণ করে নেয়। বিজ্ঞ জনেরা জন্ম, মৃত্যু, ভাল, মন্দ, শুভ অশুভ শক্তিকে তুষ্ট করার প্রক্রিয়া ইত্যাদি সম্পর্কে যে ব্যাখ্যা প্রদান করেন সেগুলো বিনা প্রশ্নে মেনে নেয়। বিজ্ঞ জনেরা যে যন্ত্র আবিষ্কার করলো তার পিছনের প্রযুক্তি সম্পর্কে অজ্ঞ থেকেই সাধারণ মানুষেরা তার ব্যবহার শিখে নিল। পশু প্রবৃত্তির আর একটি দিক রয়েছে। খাবার সংগ্রহের তাড়না থেকে যৌন তাড়না অনেক বেশি, তার থেকে বেশি ভয় থেকে পালানোর তাড়না। এই সময় তাদের হার্ট-বিট দ্রুত হতে থাকে, নিঃশ্বাস বেড়ে যায়, শরীরের সকল পেশী সক্রিয় হয়ে কাঁপতে থাকে। তাই অজানা শুভ ও অশুভ শক্তি সম্পর্কে ব্যাখ্যায় সাধারণ মানুষ বেশি আগ্রহী থাকে এবং সেই ব্যাখ্যা তার অবচেতন মনে গেঁথে যায়। যেহেতু জ্ঞানের গভীরে তারা যায় না তাই ভয় প্রসূত ব্যাখ্যা থেকে তারা সহজে মুক্তি পায় না। বিজ্ঞ জনের এই সমস্ত জ্ঞান, আচার, আচরণ ও ব্যাখ্যা ভাষা ও পরবর্তীতে লেখনীর মাধ্যমে সামাজিক জ্ঞান ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে থাকে। এই সামাজিক জ্ঞানই বিভিন্ন সামাজিক টেরিটরিতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য নিয়ে প্রকাশ পায়। প্রবৃত্তিগত কারণেই মানুষ তার নিজস্ব সামাজিক টেরিটরিতে বসবাস করতে বেশি একাত্মতা অনুভব করে। আতংকিত হওয়া একটি সহজাত প্রবৃত্তি। নিজের সমাজ ও টেরিটরি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে সব প্রাণীই আতঙ্কগ্রস্ত ও বিভ্রান্ত হয়ে পরে। শিশুরা মায়ের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে তারস্বরে চিৎকার করতে থাকে। আতংকগ্রস্থতার পরবর্তী অবস্থা নিস্তেজ হয়ে পরা, বিষন্নতায় ভোগা। ভিন্ন টেরিটরি, ভিন্ন সংস্কৃতি ও বিশ্বাসে মানুষ প্রথমে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পরে ও পরবর্তীতে বিষন্নতায় ভুগতে থাকে। তাই ভিন্ন সমাজে গিয়ে মানুষ হয় সেই সমাজের সংস্কৃতি ও বিশ্বাস গ্রহণ করে অথবা একই সমাজের সকল প্রবাসীদের নিয়ে নিজেদের এক পৃথক টেরিটরি করে নেয়।
তাই প্রবৃত্তিগত কারণেই বিজ্ঞান ভিত্তিক জ্ঞানের চেয়ে টেরিটরি-গত সামাজিক জ্ঞানের ভিত্তি অনেক শক্তিশালী। মানুষ প্রযুক্তির সুফল গ্রহণ করে এর পিছনের বিজ্ঞানকে উপেক্ষা করেই। টেরিটরি-গত সামাজিক জ্ঞান ও বিশ্বাসের বিপরীত কোন বৈজ্ঞানিক সত্যকে তারা অস্বীকার করে টেরিটরি-গত বিশ্বাসকে অক্ষুণ্ণ রাখার জন্যই। সাধারণ মানুষ তার টেরিটরি-গত সামাজিক জ্ঞান ও বিশ্বাসের অনুসারী। এই অসংখ্য মত, পথ, ও বিশ্বাস নিয়েই মানব জাতি। তাই কোন মত সত্য কোন মত মিথ্যা এই বিতর্ক করে কোন লাভ নেই বরং এই বিতর্ক বিরোধিতারই সৃষ্টি করবে। এই ক্ষেত্রে বিজ্ঞ জনদেরই উচিৎ তাদের সামাজিক জ্ঞানকে বিজ্ঞান-মুখি করে ক্রমশ উন্নত করা। অনুসরণকারীদের উপর চাপ দিয়ে কিছুই বদলানো যাবে না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১৬

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: লাইক ও প্রিয়তে।

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬

*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: চিন্তাশীল লেখা। ++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.