নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুনোগান

বুনোগান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তমনা সমাজ

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৭


বিজ্ঞান কখনো ধর্মের পিছনে ছুটেনি বরং ধর্মই বিজ্ঞানের পিছে ছুটছে। বিজ্ঞান দেখে প্রকৃতিকে তাই এটা কোন মতাদর্শ নয়। মতাদর্শ দেখে হয় ধর্মকে না হয় বিজ্ঞানকে। মতাদর্শ যদি বিজ্ঞানকে দেখে তাহলে সেই মতাদর্শ প্রগতির পথে হাটে। বিজ্ঞান চর্চা মতাদর্শ চর্চা নয়। বিজ্ঞান চর্চা নৈর্ব্যক্তিক। বিজ্ঞান চর্চা প্রগতিশীল মতাদর্শের পক্ষে যায় কিন্তু ধর্মীয় মতাদর্শের বিপক্ষে কাজ করে। বিরোধ হয় মতাদর্শের সাথে মতাদর্শের। যুগে যুগে মতাদর্শ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অসির দ্বারাই। এখানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ অবান্তর। গণতন্ত্র কাজ করে একই মতাদর্শের অভ্যন্তরে। শত্রুর সাথে নয়।
এখন প্রশ্ন হল মুক্ত-মনা কি বিজ্ঞান চর্চা করছে নাকি মতাদর্শ চর্চা করছে? এখন সে যদি বিজ্ঞান চর্চা করে থাকে তাহলে ধর্ম তার বিষয়বস্তু হতে পারে না। তাহলে ধর্ম চর্চা তার বন্ধ করা উচিৎ। আর মুক্ত-মনা যদি কোন মতাদর্শ চর্চা হয় তাহলে বিরোধী মতাদর্শের আক্রমণের জন্য তাকে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। এই যুদ্ধে 'বাক স্বাধীনতার' মায়া কান্না করে কোন লাভ নেই।
নাস্তিকতা বিশেষ কোন মতাদর্শ বহন করে না। এরা সমাজের একটি সংখ্যালঘু অংশ। ধর্মান্ধরা এদের আক্রমণ করে স্রেফ তারা ধর্ম বর্জন করেছে বলে। সমাজের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ন্যায় এদের অধিকার রক্ষাও প্রগতিশীলদের কাজ। মুক্তমনা ব্লগাররা একটি মতাদর্শের প্রচার করে থাকে। কিন্তু এই মতাদর্শ ধারণকারী কোন সমাজ-কাঠামো তাদের আদর্শ এবং সেখানে কোন কোন চিন্তার মানুষগুলোিয়ে সেটা গঠিত হবে, এই ধরণের কোন লক্ষ্য তাদের নেই। লক্ষ্যহীন যুদ্ধে প্রাণ হারানোর সম্ভাবনাই বেশি। এই প্রাণ নাশের বিরুদ্ধে তারা এখন শুধু প্রতিবাদই করছে। পাল্টা কোন সমাজ গঠনে তারা এখনো মনোযোগী নয়, যেখানে তারা স্বাধীন জীবন যাপন করতে পারবে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি কি বস্ত্রমুক্ত মনা?

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০০

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: বিজ্ঞান বিশ্বাস ভিত্তিক নয়, এবং এখানে কেন। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি একটি অনুমান করে, এবং শুধুমাত্র একটি অনুমান: মহাবিশ্ব নিয়মগুলির একটি সেট মেনে চলে। ... একটি উপসংহার আছে, এবং তা হল যে যদি মহাবিশ্ব এই নিয়মগুলি অনুসরণ করে, তাহলে সেই নিয়মগুলি মহাবিশ্বের আচরণকে পর্যবেক্ষণ করে অনুমান করা যেতে পার।
ধর্ম হল বিশ্বাস বিজ্ঞান সত্য..................।

৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: বিজ্ঞান কখনো ধর্মের পিছনে ছুটেনি বরং ধর্মই বিজ্ঞানের পিছে ছুটছে।
লেখা শুরু করেছেন একটা ভুল লাইন দিয়ে। বাকি আর কিছু পড়ার রুচি হয়নি।

৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের সমাজটা কুসংস্কার মুক্ত নয়।

৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৩

কামাল১৮ বলেছেন: ধর্ম মানুষকে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়।বাস্তবতা হলো ধার্মীকরাই বেশি অনৈতিক।

৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৪

মোবায়দুল সাগর বলেছেন: আস্তিক এবং নাস্তিক উভয় গোষ্ঠিই কট্টরপন্থি এবং বিদ্বেষে জড়িত। আমি একজন নাস্তিক কিন্তু কখনই কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমার মোটেও পছন্দ না বা কোনো ধর্ম প্রচারককে কঠোরভাবে নিন্দা করাও আমি পছন্দ করি না। আমার বিশ্বাস ধর্ম প্রচারকগণ মানুষের কল্যাণের জন্যই ধর্মের প্রবর্তন করিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সকল চিন্তা ধারা বর্তমানে আদিম যা বর্তমান সমাজের সাথে খাপ খায় না। যেমন ঈশ্বর।

৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৪

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: "বিজ্ঞান কখনো ধর্মের পিছনে ছুটেনি বরং ধর্মই বিজ্ঞানের পিছে ছুটছে" - সুন্দর একটি বাক্য দিয়ে শুরু করেছেন। তবে এর সাথে সবিনয়ে আংশিক দ্বিমত পোষণ করছি। ধর্ম মূলতঃ স্থবির এবং নীতিগতভাবে বিজ্ঞানের বিপরীত। ধ্রুব সত্য হচ্ছে, "বিজ্ঞান কখনো ধর্মের পিছনে ছুটেনি"। ধর্ম কখনো বিজ্ঞানের ধার ধারে না। এটা মানুষের অন্ধবিশ্বাসকে পুঁজি করে বেঁচেবর্তে আছে। তাই "ধর্মই বিজ্ঞানের পিছে ছুটছে" এই কথা বিবেচনায়ই আসে না। কিছু অতি উৎসাহী ধর্মবেত্ত্বা রয়েছেন, যারা নিজেদের আধুনিকতা(!) প্রকাশ করার জন্যই বিজ্ঞানের পিছে ছুটছেন এবং ধর্মকে বিজ্ঞানের সাথে জুড়ে দেবার মতলবে উদ্ভট যুক্তি দাঁড় করানোর অপপ্রয়াস চালিয়ে থাকেন।
বাকি সব সুন্দর বিশ্লেষণ। ভাল লেগেছে। শুভেচ্ছা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.