নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুনোগান

বুনোগান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ভূমিকা

০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:০১

ছবিঃ সংগ্রহ
প্রতিটি পুরুষই নিজেকে তার আওতাধীন সকল নারীর রক্ষক হিসেবে ভাবে। এই ভাবনার উল্টো পিঠ হোল একমাত্র সে-ই নারীর সম্ভাব্য ভোক্তা। অন্য কোন পুরুষ যদি তার সম্পত্তিতে নজর দেয় তাহলে সে হিংস্র হয়ে উঠে। কিন্তু সে নিজেও অন্য কোন অরক্ষিত নারীকে পাওয়ার লোভ অনেক সময় সংবরণ করতে পারে না। এক্ষেত্রে সে তাকে গদ গদ ভাবে জয় করার চেষ্টা করে, নয়তো বল প্রয়োগ করে। পুরুষের এই মানসিকতা শুধুমাত্র তার পরিবারে নয়, ঘরে, বাইরে কর্মক্ষেত্রে সর্বত্রই সে চায় নারীরা তার আশ্রয়ে থাকুক। এ নিয়ে কলিগদের মধ্যে একটি অঘোষিত প্রতিযোগিতা চলতে থাকে। বাইরে নারীদের প্রতি সব সময় একটি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে রাখে। কোন নারী যদি এই সাহায্য প্রত্যাখ্যান করে তাহলে পুরুষ ভাবে এই নারী অন্য কোন পুরুষের বশ্যতায় আছে এবং তাকে সুযোগ পেলেই হেনস্থ্যা করার মানসিকতা কাজ করতে থাকে। নারী পুরুষের এই সম্পর্কের উৎস হলো পশু প্রবৃত্তি। অন্যান্য পশুর মত মানুষও এই প্রবৃত্তি থেকে মুক্ত নয়।

নারীও পুরুষের এই মানসিকতা সম্পর্কে জানে এবং এই ধরনের সমাজে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর কৌশলও তারা আয়ত্ত করে নিয়েছে। তারাও তার আওতাধীন পুরুষদের নিজের সম্পত্তি ও অপছন্দের পুরুষদের হাত থেকে রক্ষক হিসেবে ভাবে। নিজের সন্তান, আশ্রয় এবং সন্তান ধারণের দুর্বল সময়ে সে পুরুষদের রক্ষক হিসেবে ব্যবহার করে। সে কাজ করে কৌশল ও বুদ্ধি দিয়ে। পুরুষেরা প্রায় অধিকাংশ সময়েই এই কৌশলের কাছে পরাজিত থাকে। নিজের আওতাধীন পুরুষের প্রতি যদি অন্য কোন নারীর নজর যায় তাহলে নারীও হিংস্র হয়ে উঠে। পুরুষের বিচ্যুতিকে সে অন্য কোন নারীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করে। ঘরের বাইরে নারী চায় পুরুষের একটা স্বপক্ষ বলয়ের মধ্যে থাকতে, যেখানে সে নিজেকে ক্ষমতাবান মনে করতে পারে। সে চায় না পুরুষেরা অন্য কোন নারীকে তার থেকে বেশী গুরুত্ব দিক।

নারী ও পুরুষের এই মানসিকতার দ্বন্দ্ব সমাজে একটি ভারসাম্য বজায় রাখে। কিন্তু পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা নারী পুরুষের ব্যক্তি স্বাধীনতাকে অতিরঞ্জিত করে নারীকে পুরুষের ভোগ্য পণ্য হিসেবে হাজির করে। আবার অনেক দেশে পুরুষকেও নারীর ভোগ্য পণ্য হিসেবে ব্যবহার করতে দেখা গেছে। অন্য ক্ষেত্রে পশ্চাৎপদ সমাজ নারীর স্বাধীনতাকেই অস্বীকার করে নারীকে গৃহবন্দী করতে চায়। এই উভয় সমাজই ধর্ষণের চারণ ভূমি। নারী পুরুষের মানসিকতার আভ্যন্তরীণ এই দুর্বলতা থেকেই বাইরের সমাজ চরম পন্থা চাপিয়ে দেয়ার সুযোগ পায়।

যে সমাজে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নারী পুরুষ সমান ভাবে পারিবারিক বা কমিউনিটি পর্যায়ে অংশ গ্রহণ করতে পারে, নিজের মতামতকে উচ্চ কণ্ঠে প্রকাশ করতে পারে সেই সমাজে নারী ও পুরুষ কেউ কারো সম্পত্তি হতে পারে না। সবারই কমিউনিটির সদস্য হিসেবে সমান মর্যাদা থাকে। এ ক্ষেত্রে ধর্ষণের সম্ভাবনাও কমে যায়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৫২

জুল ভার্ন বলেছেন: গুড পোস্ট। তবে ধর্ষণ বন্ধ হবেনা। কারন, ধর্ষকামীতা মানষিক রোগ।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:২০

নাহল তরকারি বলেছেন: যৌন চাহিদা একটি স্বাভাবিক চাহিদা। যৌন চাহিদা প্রবিত্র রাখার জন্য এবং যৌন চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে যাতে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি যাতে না হয় সে জন্য ধর্ম বিয়ে ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে। মানুষ তো রোবট না, সে তো আগে প্রাণী। অন্যান প্রাণীর মতই তার ক্ষিধে, পিপাসা, বিভিন্ন প্রকার অনুভূতি আছে। এখন সে যদি অধর্মের মত যাকে তাকে নিয়ে এসে যৌন চাহিদা মিটায় তাহলে তার পাপ হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.