নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুনোমানুষের ব্লগে স্বাগতম

© তন্ময় ফেরদৌস

তন্ময় ফেরদৌস

একি আজব কারখানা...

তন্ময় ফেরদৌস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিসেস অমুক কিংবা মিসেস তমুক... আমার নারীভাবনা।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৪৮







আমি বরাবরি নারী স্বাধীনতা এবং নারী পুরুষের সমান অধিকারে বিশ্বাসী। কিন্ত এ ব্যাপারটা চিন্তা করতে গিয়ে কিছু এলোমেলো চিন্তা আসছে মাথার ভিতরে। ব্যাপারটা শেয়ার করি আপনাদের সাথে। তবে বলে রাখি নারী বিষয়ক অহেতুক চুলকানি আছে, এমন কেউ লেখাটা পড়া থেকে বিরত থাকলে ভালো হয়।



নারী যতই প্রগতিশিল হোক না কেন , নিজের সার্বিক আত্মসন্মানের ব্যাপারে যদি সচেতন না হন, তবে স্বকীয়তা বজায় রেখে অস্তিত্ব নিয়ে মাথা উচু করে দাড়ানোটা সমস্যা হয়েন যাবে। সমাযে শিক্ষার হার যতটা বাড়ছে, নারীর স্বাধীনতাবোধ এবং মেধার জাগরন ও বাড়ছে। কিন্ত মজার ব্যাপার হচ্ছে, একই তালে বেড়ে চলছে তাদের অবচেতন মনে পরাধীনতার প্রবনতা। তারা কিছুতেই পুরুষের ছায়াতল হতে পুরোপুরি বের হতে পারছেনা।



উদাহরন দিলে বুঝতে সুবিধা হবে।



আমরা যদি সমাজের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নারীদের দিকে তাকাই তবে দেখতে পাব নারীর ক্ষমতায়নের গন্ডি বড় হচ্ছে, তবে ইন্টারনাল সাইকোলজির দিক থেকে তারা এখনো মুক্তমনা হতে পারেন নি। প্রসংক্রমে বলা যায়, নিজে প্রধান্মন্ত্রী হয়েছেন, প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রি হয়েছেন, কিন্ত তারপরেও খালেদা নামটির অস্তিত্ব থাকেনা, তা রুপান্তরিত হয় বেগম জিয়াতে। এ যেন নিজের যোগ্যতায় নয়, স্বমীর প্রতিনিধি হয়ে তিনি দেশের দায়িত্ব গ্রহন করেছিলেন। একই ব্যাপার আরো অনেকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। শিল্প সাহিত্যের জগতে, গানের জগতে, নাটকে সিনেমায়, সর্বত্র স্বামীর লেবাসে আটা প্রগতিশীল নারীদের পদচারনা।



এভাবে ব্যাপারটা ভাবা যায়, মেয়েদের আকীকা হয় দুবার। একবার জন্মের পর খাসি বা গরু জবাই দিয়ে, অন্যবার স্বামীগৃহে নিজের স্বকীয়তা বিলিয়ে দেবার মাধ্যমে। একজন মেয়ের জন্মের সময় নিজের নাম নির্ধারনের কোন সুযোগ থাকেনা। তার পিতামাতা কিংবা আত্মিয় স্বজন পছন্দ করে নাম রাখেন। কিন্ত মেয়েটি যখন পিতার ঘর ছেড়ে স্বামীর গৃহে পদার্পন করে, তখন তিনি অত্যন্ত অহংকারের সাথেই নিজের নামের সাথে স্বামীর নামের শেষাংশ জুড়ে দেন। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার যেটি, তা হলো- বিশ্বজুড়ে প্রগগতিশীল নারিরাই কিন্ত এটি চালু করেছেন।



তাহলে কি সত্য এই যে, নারী যতই আধুনিক কিংবা প্রগতিশীল হোক, সে তার চিরদাসত্বের যায়গা থেকে বের হতে পারেছেনা? আমাদের অধিকাংশ নারীদের কথা বাদ দিলাম, উন্নত বিশ্বে, পশ্চিমা রাষ্ট্র গুলোতেও কি তাই ঘটছেনা ? কাজের প্রতিটা ক্ষেত্রে তারা পুরুষের সাথে একই সমান্তরালে দাঁড়িয়ে আছে। অনেক ক্ষেরেই নারীরা তাদের স্বামীদের চাইতেও প্রতিভাবান। কিন্ত দুক্ষজনক সেই প্রতিভাবান নারীর প্রতিভার প্রতিনিধিত্ব করে তার স্বামীর নামের পদবী। হিলারি কি নিজের যায়গাতে যথেষ্ট সক্ষম নয় ? তারপরেও কেন নামের শেষাংসে জুড়ে দিতে হবে ক্লিনটন নামটি ?



সবচাইতে মজার ব্যাপার আমাদের দরিদ্র অশিক্ষিত মূর্খ নারীদের বেলায় কিন্ত এই নিয়ম খাটেনা। গ্রামের আমেনা খাতুন আমেনা রহমান হয়ে যায় না। সে আজীবন আমেনা খাতুন ই থাকে। স্বামীর নাম নিজের নামের সাথে জুড়ে দেবার ব্যাপারে তার মধ্যে এক রকম লজ্জাও কাজ করে। যে কাজটি আমাদের গ্রাম্য সমাজে অবাধে হচ্ছে, তা কেন সুশিল শিক্ষিত সমাজে প্রশ্নের জন্ম দেয় ?



তবে এই লিজ্জাবোধ টা কিন্ত পুরোপুরি স্বাধীনতা বোধ থেকে নয়। সে কখোনই জানতে পারেনা, নিজ নাম নিয়ে বেচে থাকার মধ্যে মর্যাদা কতটুকু। বরং তার লজ্জা- এতে করে সে আধুনিক নারীদের দলে পড়ে যাবে। অসম্ভব প্রতিভাময়ী ইন্দিরা গান্ধিও কিন্ত এই পাক থেকে বের হতে পারেন নি।



প্রায়শ জন্মের পর থেকে বহন করা নিজের নাম পরিবর্তিত হয়ে যায় মিসেস আকবর, মিসেস তরফদারেরে। উচ্চবিত সমাজে বিশাল পার্টির মধ্যে চলতে থাকে মিসেস অমুক তমুকের খেলা। এবং আমাদের মিসেস আকবর, বাস্তবে যিনি হয়তো সাবিহা আখতার , এই সম্বোধনে দ্বিগুন গর্বে ফুলে গিয়ে হাসিতে মত্ত হয়ে পড়ে। আধুনিকতার বিশাল স্তম্ভের নিচে চাপা পড়ে যায় একজন সাবিহা, মালিহা কিংবা নিশিতা, সেই সাথে চাপা পড়ে তাদের স্বকীয়তা। একে কোনভাবেই আধুনিক নারী মানসিকতা বলা যায় না। আমার সন্দেহ আছে, তথাকথিত সেই সব নারীদের নিয়ে , যারা স্বাধীনতার বুলি কপচায় সোশাল পার্টিতে, কিন্ত নিজেই ধারন করে আছে আরেকজনের আইডেন্টিটি, তারা কতটা বুঝে নারীর সার্বিক স্বাধীনতার অর্থ।



আরেক্লটি অস্বস্তিকর অবস্থা হচ্ছে , আমাদের শিক্ষিত সমাজে প্রায় ই দেখা যায় একজন নারীর নামের অর্ধাংশ জুড়ে থাকে তার বাবার নাম। সেই শ্রৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে বিয়ের পর সে পড়ে যায় আরেক শৃংখলে। কদাচিত কেউ যদি নাম পরিবর্তন না করে, তবে তাকে পড়তে হয় আরেক রকম বিভ্রাটে। যেমন মহিলার নাম মিসেস আনিকা মহিউদ্দীন। মহিউদ্দীন তার বাবার নামের অংশ। কিন্ত বিয়ের পর নাম পরিবর্তন না করায় তাকে অনেকেই ভুল করে মিসেস মহিউদ্দীন ডেকে ফেলেন। ব্যাপারটা কিন্ত মোটেই হাস্যকর নয়। বরং একটি প্রশ্নের সন্মুখীন করে দেয় নারী সমাজকে।



প্রশ্নটি হচ্ছে, "আপনি মিসেস মহিউদ্দীন বা মিসেস রহমান, আপনি নারী স্বাধীনতার বুলি কপচান কথায় কথায়, আপনার বাস সমাজের সবচাইতে উচু মহলে, আপনিই নির্ধারন করেন নারী সমজের উন্নতির পলিসি, অথচ আপনার চেয়ে গ্রামের সেই আমেনা খাতুন - যে আধুনিকতা কিংবা নারি স্বাধীনতার অর্থ না জেনেই আমেনা রহমান হতে লজ্জাবোধ করে, সেই কি বেশি প্রগতিশিল নয় ??



কলেজ লাইফের একটা ঘটনা দিয়েশেষ করি। নটরডেমের বায়োলজির শিক্ষক গাজী আজমল স্যার। একবার দেখলাম তার মন খুব খারাপ। জিজ্ঞেস করলাম, কি হয়েছে স্যার ? কিছুক্ষন চুপ থেকে বললেন- আজকে মেয়ের জন্য একটা ফরম ফিলাপ করতে গিয়ে পিতার নাম/স্বামীর নাম এর যায়গাতে , পিতার নামে ক্রস চিহ্ন দিয়ে স্বামীর নাম বসাতে হয়েছে। আমি কি মেয়ের বিয়ের পর এত বছরের অভিভাবকত্ব, পিতৃত্বের অধিকার হারিয়ে ফেলেছি ?



আসলেই মনে প্রশ্ন জাগে, নারীর কি নিজস্ব কোন আইডেন্টিটি থাকবেনা , তাকে কি আজীবন ই ফরম ফিলাপ করতে গেলে পিতার নাম আর স্বামীর নাম ফিলাপের প্রহসনে পড়ে থাকতে হবে ?



নারী স্বাধীনতা এবং জেন্ডার ইকুয়েলিটি প্রতিষ্ঠা করতে গেলে বেগম রোকেয়ার মত দূরদর্শী এবং চিরাধুনিক কিছু নারীর বড্ড দরকার এই সমাজে। যারা নিজেরাই গড়ে নিতে পারবে নিজেদের আইডেন্টিটি।







-----------------------------------------------------------







আমার ভাবনাগুলো আমি ক্লিয়ার করতে পারলাম কিনা বুঝতে পারছিনা, তবে আপনাদের মোটামুটি চিন্তার খোরাক জন্মালেই বুঝবো লেখাটি স্বার্থক। আর এই লেখাটা উৎসর্গ করলাম ব্লগার আরজুপনি কে, জিনি জেন্ডার ইস্যুতে কাজ করে যাচ্ছেন। সেই সাথে সমস্ত সাহসী নারী ব্লগারদের প্রতি থাকলো আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা



এই জনরায় আমার আরো কিছু লেখা-



সতীত্ব ও সততা- নারীর অনুভূতি ও আমাদের সমাজ।



ছেলে মেয়ের সম্পর্কের পিছনের দ্বন্দ......



সামুপিডিয়া......(পর্ব ২)





সবাইকে ধন্যবাদ।

মন্তব্য ১৯৩ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (১৯৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:০৫

সাইফুল ইসলাম নিপু বলেছেন: নিজেরে চেঞ্জ করেন মিয়া :P
স্বামীর নামের সাথে নিজের নাম মিলানোই আধুনিকতা। নাহলে গ্রাম্যই হয়ে থাকতে হবে। উলটা বুঝেন কেন

/:) /:) /:)

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:২৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: উলটা বুঝলাম কোথায়, আমিওতো সেটাই বলেছি। তবে কেউ বুঝে আধুনিক, আর কেউ না বুঝে। যাদের বুঝার দরকার, তাদের জন্য এই পোস্ট। :|

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:১২

অচিন্ত্য বলেছেন:

সাবাস !!! সাবাস !!! সাবাস !!!

অসাধারণ লেখা। আপনার বিশ্লেষণ অত্যন্ত যৌক্তিক, প্রাসঙ্গিক এবং এই সময়ের জন্য প্রয়োজনীয়। নারী বিষয়ে আমার চিন্তা-চেতনা আপনার সাথে অনেকটাই মিলে।

নারীর নামকরণের এই বিষয়টা আমাকেও ভাবিয়েছে। আপনাকে সাবাস যে আমি শুধু ভাবনা পর্যন্তই, আপনি লেখা পর্যন্ত গড়িয়েছেন।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:২৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

আমি খুব একটা গুছিয়ে লিখতে পারিনা। আর নারী বিষয়ক লেখাতো আরো কঠিন। কারন পুরা ব্যাপারটা ভাবতে হয়ে একটা ইম্পার্শিয়াল পয়েন্ট অফ ভিউতে।

আপনার অপিনিয়ন গুলাও জানতে মুঞ্চায়। লেখে ফেলেন। আলোচনা করা যাবে এই নিয়ে। :)

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:১৩

রাজসোহান বলেছেন: ব্যাপারটা বেশ জটিল :|

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:২৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: কিন্ত ভাবনার মতন বিষয়। কেউ আবার পোস্ট পড়ে উলটা না বুঝলেই হয়। :|

৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:২৬

রাশান শাহরিয়ান নিপুন বলেছেন: হুম, ভাই। ভালো লাগলো। চমৎকার উপস্থাপনা। বিষয় বস্তুর সাথে একমত।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৩১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ নিপুন ভাই।

এখন নারীবাদী ট্যাগ দিয়ে না বসলেই হয়। সামুতে আবার ট্যাগিং বিষয়টা খুব ইন্টারেস্টিং। অবশ্য ডাজেন্ট ম্যাটার। :)

৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৩৭

রাশান শাহরিয়ান নিপুন বলেছেন: এমনিতে হয়ত খাইতেন না। তয় পনিপ্পুর নামের কারনে খাইতে পারেন। অনেকে আবার......... শেষ করলাম না। মনে হয় ধরতে পারছেন।
আর মূল কথা হইল, ডাজেন্ট ম্যাটার।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৪৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: এই পোস্ট টা পনিপুকে উৎসর্গ করা যথাযত। কারন তার "জেন্ডার স্টাডিজ" বইটা আমি খুব ভালোমত পড়েছি, তার সাথে আমার অনেক সময় ই নারী বিষয়ক বিভিন্ন ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে, এবং তিনি ব্লগে জেন্ডার ইস্যুতে লেখালেখিতে সক্রিয়।

অনেকে আবার... ... টাইম নাই /:)

৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৪৭

তারেক বলেছেন: হু, আপনি ঠিকই বলেছেন, এটা একটা ব্যাপক সমস্যা, মজার ব্যাপার হলো শিক্ষিত আধুনিক মেয়েদের মধ্যে এই সমস্যাটা, গ্রাম্য মেয়েদের মধ্যে এই সমস্যাটা নাই যেটা আপনি উল্লেখ করেছেন।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৫৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: সহমত প্রকাশ করায় নিজের ভাবনার উপর কনফিডেন্স পেলাম।

৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৪৭

রাশান শাহরিয়ান নিপুন বলেছেন: আমি জানি। ব্যাপার না। ভালো থাকবেন।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৫৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপ্নিও ভালো থাকুন। :)

৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৫২

আরজু পনি বলেছেন:

তন্ময়, ভালো বিষয়ের অবতারণা করেছেন। এই বিষয়েই আমার একটা পোস্ট ছিল "স্লামেলুকম ভাবী" জুলাই ২০১১ এর...পোস্ট ডিলিট করে ফেলছি নাহলে এখন লিংক দিতে পারতাম।

পরে এসে আমার মতামত দিয়ে যাবো।


আর নিচে যেন মনে হলো আমার নাম দেখলাম :#> :P
দায়িত্ব বেড়ে গেল আরো অনেক বেশিই !


@নিপুন, পনিপ্পুর যে তা ফেস করার যথেষ্ঠ সাহস আছে তা বোধ করি.....;)

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:০০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আলোচনার অপেক্ষায় থাকলাম। :)

৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৫৬

রাশান শাহরিয়ান নিপুন বলেছেন: পনিপ্পু, ফেস করা সমস্যা না। তন্ময় ভাই ও ফেস করতে পারবে।
সমস্যা হল ক্যাচাল শুরু করতে পারা। ব্লগের অনেকেই তাতে পি,এইচ,ডি ধারী।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:০৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: তা অবশ্য ঠিক, তবে ক্যাচাল হবেনা মনে হয়।

কেউ যৌক্তিক ও গঠনমূলক সমালোচনা করলে স্বাগতম। হুদাই ক্যাচাল বাধাইতে আসলে লাথি খায়া বিদায় নিতে হবে। :|

১০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:০৬

তামীল০০৯৬ বলেছেন: চমৎকার বিষয় তুলে ধরেছেন। বিষয়টি নিয়ে আমি কখনো ভাবিনি।এখন দেখছি খুব করে ভাবতে হবে।দেখি আপুরা কিভাবে নেই।আর ট্যাগিং বিষয়ে বলব, ব্যাপার না। ট্যাগিং এর ভয় না করে এরকম অসঙ্গতি তুলে ধরলে আমরা উপকৃত হব।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:১১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: হুম, দেখি পনিপু পরে কি মন্তব্য দেয়। আপুরা কিভাবে ভাবে সেইটা দেখার ইচ্ছা আমারো। কেউ দ্বিমত পোষন করতেই পারে।

ধন্যবাদ তামিল। :)

১১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:০৬

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভালো বিষয়।
পড়তে হবে।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:১২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ফাকিবাজি কমেন্ট করলে হবেনা কবি, পুর্ন মতামত চাই। :)

১২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:১১

মিনহাজুল হক শাওন বলেছেন: নারীকে নারী বা মানুষ ভাবুন, "মেয়ে" নয়। তাহলেই সমাধান সম্ভব। :| :-*

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:১২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: নারীকে মানুষ ভাবুন, "মেয়ে মানুষ" নয়। তাহলেই সমাধান সম্ভব।

সহমত। এক কথায় অনেক কিছু ক্লিয়ার হয়ে যায়। :)

১৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:১৪

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লেখাটার জন্য...আমার মতে স্বামীর নামের সাথে নিজের নাম মেলানো এক ধরনের ব্যাকডেটেড কালচার!কিন্তু আফসোস,অনেক শিক্ষিত মানুষেরা ইচ্ছে করে,নিজের স্বামীর পরিচয় দিয়ে বেড়ানোর জন্য এই কাজ গুলো করেন!কেউ কেউ আবার বিয়ে হয়েছে এটা বুঝানোর জন্যেও করেন!!কি অদ্ভুদ চিন্তা!!

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:২২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

সোসাইটির সাথে সাথে চিন্তা চেতনাগুলো আপডেট করা জরুরী। ম্যারেজ কনসেপ্ট টাই এখন অনেকাংশে চেঞ্জ হয়ে গেছে। ইটস নট লাইক বিফোর যে, স্বামী অফিস থেকে আসবে, আর স্ত্রী হাতপাখা দিয়ে বাতাস করবে, না খেয়ে বসে থাকবে। বরং এখন ইটস মোর লাইক, হানি, আর ইউ ফ্রি অন ফ্রাইডে, জাস্ট টেক কেয়ার অফ দা চিল্ড্রেন। আউইল লুক আফটার দা নেকস্ট ডে। মানে বিয়ে মানে এখন দু জনেরি কমিট্মেন্ট। এক তরফা কোন ডমিনেট করার যায়গা নয়।

এবং এটাই হয়া উচিত।

১৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:১৫

সাইকোপ্যাথ্‌ বলেছেন: আপনার সাথে সহমত। মেয়েদের নিজেরা যদি কখনো এগিয়ে না আসে সমাজ কখনো তাদের হেল্প করবে না। মেয়েদেরকে নিজেদের অদিকার নিজেদেরকেই আদায় করে নিতে হবে।
ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই।একবার বাসে দেখলাম মহিলা সিটে ৩-৪ জন লোক বসে আছে,সবাই কিন্তু শিক্ষিত।এক স্টপেজ থেকে একজন মহিলা উঠলেন,উনি লেডিস সিটের পাশে দাড়িয়ে আছেন।আমি বল্লাম,আপু আপনি উনাদেরকে লেডিস সিটটা ছেড়ে দিতে বলেন।উনি আমাকে বল্লেন,থাক ভাইয়া,ঝামেলা পাকাতে চাইনা।
আপনি যদি নিজেই নিজের অধিকার আদায় করে না নেন দুনিয়ার কেউ সুপারম্যান হয়ে আপনার হেল্প করতে আসবে না।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:২৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপ্নার এই কথাটাই বেগম রোকেয়া অনেক আগেই বলে গেছেন। এমন শক্তিশালী চিন্তার এবং চির আধুনিক চিন্তার কারনেই তিনি শ্রদ্ধেয়। এই ব্যাপারটায় সকল নারীর কাছে তিনি অনুস্মরনীয় হওয়া উচিত।

ধন্যবাদ আপনাকে। কঠিন নাম ভাই আপনার।

১৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:২১

এনটনি বলেছেন: অভিভাবকত্ব পিতৃত্বের কথায় বলতে পারি, এটা আসলে স্থান-ভেদে নিয়ম একেকরকম। যেমন ব্যান্কের তথ্য ফোনে জানতে গেলে বাবার নাম না, মায়ের নাম বলতে হয়

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:২৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: বাহ, ভালো তথ্য তো।

সবযায়গাতেই কেন বাবা ও মায়ের দু জনেরি নাম থাকবেনা ? কবে ঐ রকম ফরম ফিলাপ করতে পারবে নারীরা ।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:২৮

তামীল০০৯৬ বলেছেন: একটা কথা মনে পড়ে গেল। কোন একজন লেখক বলেছেন" নারীদের জন্য আলাদা নারী ক্লাব বা নারী সমিতি নারীদের জন্য অপমানজনক যেমন বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর জন্য গবেষণাগার।"
আমার ভুল ও হতে পারে। বিষয়টি পনিাপু র জানা থাকলে ক্লিয়ার করবেন।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ব্যাপার টা একটু সেন্সেটিভ। অপমানজনক তা ঠিক আছে। তবে এখনো সেই সময়টা আসছে কিনা আমি শিওর না। আগেতো ইন্টারনালি নিজেদের চেতনার বিকাশ ঘটাতে হবে, তারপরে বাইরের মিডিয়েটর।

পনিপুর দৃষ্টি আকর্ষন করলাম।

১৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৩৯

পাতিকাক বলেছেন: ভাল লিখেসেন।।
আসলে উন্নত দেশেও একই অবস্থা।। স্বামীর লাস্ট নাম টা স্ত্রীর লাস্ট নাম হয়ে যায়।। আর ইউরোপ দেশ গুলতে সন্তান রা লাস্ট নাম টা বাবার লাস্ট নাম টা লিখে।।
এমনকি ফর্ম এ ও লিখা থাকে স্ত্রীর নতুন নাম কি বিবাহের পর।।
আমার স্ত্রী নিতে চেয়েছে আমার লাস্ট নাম। আমি দেইনি। অর নিজের নাম টা থাকবে আজীবন ইনশাআল্লাহ।। আমার নাম আমার আর স্ত্রীর নাম তার। তবে সন্তান দের লাস্ট নাম টা আমার হবে।।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপনার উদ্যোগ কে প্রশংসা জানাই। তবে সন্তান্দের নামের শেষে নিজের নাম আসাটা সম্ভবত অভিভাকত্বকে রিপ্রেজেন্ট করে। বংশের নামটা তো অনেকের নামের সাথেই থাকে। আচ্ছা, সন্তানদের নামের লাস্টে আপনার নাম জুড়ে দেয়ার পিছনে আপনার যুক্তিটা কি ? তারা আপনার ফ্যামিলির এক্সটেনশন বলে ?

১৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪২

চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ব্রো।
নাম বা পদবী দ্বারা নারীর পরিচিতির ব্যাপ্তি না ঘটে তার স্বকীয় গুনেই সে বাচুঁক।
পোস্টে ভালোলাগা।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: থাঙ্কু চেয়ারম্যান সাহেব। সামনে তো বিবাহ করবা। বৌয়ের নামের শেষে আবার নিজের টা লাগাবা নাতো ?? :P

আচ্ছা, এখন কিন্ত চেয়ারম্যান কথাটা জেন্ডার সেনসেটিভ, বলতে হয় চেয়ারপারসন। :)

১৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪৪

নেফেরতিতি বলেছেন: আমাকে একবার এক আধুনিক লন্ডন প্রবাসী ভাবী পরিচয় করতে এসে প্রথম প্রশ্ন...'আপনি কোন ভাবী??' আমি হতবাক এবং আমোদিত,একই সাথে করুনায় আপ্লুত হয়ে গেলাম এবং হাজার চেষ্টা করেও সারকাজমের হাসিটি এড়াতে পারলামনা।বল্লাম,সরি আমি এখনো কোন ভাবী হতে পারিনি।আমার নাম জানতে চাইছেন? আমি একজন স্টুডেন্ট,বিবাহিত নই এবং আমার নাম নেফেরতিতি।আমার মা কিন্তু তার মেইডেন নেইমটি বহন করে চলেছেন আজীবন।যারাই টাকে প্রশ্ন করেছে তাদের সবাইকে তিনি জবাব দিয়েছেন,স্বামীর নামটি বহন করার কোন প্রয়োজনীয়তা ত নেই।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪৭

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: এই অভিজ্ঞতা কম বেশি অনেকেরি আছে। :)

আপনার মাকে আমার স্যালুট। সত্যি এইটা সাহসিকতার পরিচয়।
তিনি যদি পারেন, তাহলে এই জেনারেশনের মেয়েরা কেন পারবে না ?

ধন্যবাদ।

২০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: পোস্টের বিষয়ে বিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী এবং মনস্তত্ববিদ সিগমুড ফ্রয়েডের মেইয়ে আনা ফ্রয়েডের বেশ কিছু তত্ব আছে। প্রসংগক্রমে আসলে আলোচনা করা হবে। উল্লেখ্য আনা ফ্রয়েড নিজেও একজন বিখ্যাত ফেমিনিন সাইক্লিয়াট্রিস্ট।

২১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৫২

রাতুল_শাহ বলেছেন: @আরজুপনি আপু - এত সুন্দর পোষ্ট আপনাকে উৎসর্গ করা হয়েছে, সে উপলক্ষে বিরিয়ানি খাওয়ান।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৫৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: বাহ হেব্বি মন্তব্য তো। এক ঢিলে তিন পাখি। পোস্ট টা সুন্দর হইসে, পনিপুকে উৎসর্গ করা ঠিক হইসে এবং আপনার বিরানি খাওয়া।

নাইস ট্রাই রাতুল। ভালো থাকুন। :)

২২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৫৭

ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: বিষয়বস্তুর সাথে একমত, ভাবনা উদ্রেককারী পোস্ট, এবং এই ইস্যুতে আরো আলোচনা হওয়া উচিত।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:০১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: সবাই এখন পর্যন্ত সহমত পোষন করছে দেখে এলোমেলো ভাবনাগুলো একটা হাইপোথিসিসে পরিনত হচ্ছে। ফেমিনিন সাইকোলজি নিয়ে আমার আগ্রহ অনেক ফেলুদা। কাজেই এই ব্যাপারে মাঝে মধ্যে কি বোর্ড চালাই।

আলোচনায় আগ্রহী আমি।

অটঃ কালকে ধানমন্ডি থাকবো সন্ধায়। তোমাকে ফোন দিবো। ফ্রি থাকবা ?

২৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৫৮

তামীল০০৯৬ বলেছেন: আরেকটি বিষয় আলোচনা করবেন কি? অনেকদিন ধরে মাথায় ঘুরছে। ৮ই মার্চ বিশ্ব নারী দিবস। সমঅধিকারের ভাষায় পুরুষ দিবস কই? @ পনিআপু প্লিজ একটু বুঝাইয়া দিবেন।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:০৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: এটা আপনার প্রায় আগের প্রশ্নের ই সমার্থক।

আমার মনে হয় নারী কিংবা পুরুষ কোন দিবসই থাকা উচিত নয় একটি ইটোপিয়ান সমাজে। অন্তত এই উদ্দেশ্যে তো নয়ই যে, আলাদা ভাবে পুরুষদের বা নারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাপারটা হওয়া উচিত মানবাধীকার দিবস টাইপ, নারী অধিকার দিবস টাইপ নয়।

তবে যেহেতু আমরা ইটপিয়ায় বসবাস করছিনা, এবং এখনো নারী অধিকার এবং স্বাধীনতার পুর্ন বাস্তবায়ন হয় নাই , এক্ষেত্রে নারী দিবস বলে আলাদা একটা দিবস করা হয়েছে জাস্ট তাদের প্রতি রেস্পেক্ট দেখানোর জন্য। আমরা যেন ভুলে না যাই নারীরাও মানুষ এবং তাদেরো আছে অধিকার। এই দিবিস্টা যতটা না নারীর অধিকার প্রতিষ্টার জন্য, তারচেয়ে বেশি হচ্ছে পুরুষদের এটা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য। যদি একুইলিব্রিয়াম থাকে, তাহলে এই রকম কোন দিবসের আর দরকার পড়বেনা।

একইভাবে নারীর নিরাপত্তা সম্পুর্ন রুপে নিশ্চিত হলে যেমন বাসে আলাদা সিট লাগবেনা।

দেখা যাক পনি আপু কি বলে।

২৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:০৪

ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: হুমম ফ্রি আছি, চলে আইসো, অনেকদিন দেখা সাক্ষাৎ হয় না :)

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আচ্ছা, শিওর আসলে ফোন দিবো। মিস ইউ ব্রো। :)

২৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:০৭

পাতিকাক বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন।। পারিবারিক এক্সটেনশন বলতে পারেন। ঠিক বংশ্য না।। যেটা আপনার লাস্ট নাম অথবা ফ্যামিলি নাম। একটা পরিবারের ধারাবাহিকতা। যেটা মূটামূটী বিশ্বস্বীকৃত।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:২০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: হুম, এটা অবশ্য বিশ্বস্বীকৃত।

একটা মজার হাইপোথিসিস দেই।

আপনি, আপনার বাবা , মা আর বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে যদি এক পরিবারে থাকেন , তাহলে সেটাকে মোর পার্টিকুলারলি এক্সটেন্ডেড ফ্যামিলি বলা হয়। কারন আপনি আপনার বাবার এক্সটেনশন।

কিন্ত আপনার বোন যদি এই পরিবারের সাথে যুক্ত হয় তখন তাকে এক্সটেন্ডেড ফ্যামিলি না বলে জয়েন্ট ফ্যামিলি বলা হয়। মেয়ে বা তার পরিবার কে ফ্যামিলির এক্সটেনশন ধরা হয় না, যেইটা ছেলে সন্তানের বেলায় ধরা হয়।

সোসাইটির এই ধরনের ছোটখাট আরো অস্নগখ্য বিষয়ে আপনি ডেস্ক্রিমিনেশন দেখতে পাবেন। কিভাবে যে এইসব নিয়ম কানুন গুলা গড়ে উঠলো , খুবি ইন্টারেস্টিং লাগে :)

২৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪১

সংবাদিকা বলেছেন: সমস্ত বিপ্লবীদের মতনই এখানেও আরেকটি জিনিস এড়িয়ে যাওয়া হল। এটা ভালো কথা নারীরা তাদের নামের ক্ষেত্রে বিবাহ পূর্ব স্বকীয়তা বজায় রাখবে।

কল্পনা করিঃ

আজিজ খন্দকারের প্রগতিশীল মেয়ে সামিয়া খন্দকার, ফেরদৌস হকের সাথে বিয়ের পর "হক" পদবী গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিলেন। বংশগত পদবী খন্দকার থাকবে। কিন্তু সমস্যা হল সামিয়া খন্দকারের মায়ের নাম নোওরীন চৌধুরী। স্বামীর বংশগত পদবী ব্যবহার না করা বুদ্ধিমতী সামিয়া খন্দকারের মনে কখনও প্রশ্ন উদয় হয়নি তার নামের শেষে শুধু বাবার "খন্দকার" পদবী কেন মায়ের "চৌধুরী" পদবী নেই কেন!!!!!!!!

বুঝলামনা, অতি সচেতন লেখক কেন এটা এড়িয়ে গেছেন........ ভুলে না সাবধানতার সাথে; কোন "বৃহত্তর" স্বার্থে.......... :P :P :P :P :P :P

যাই হোক সমাজে কতগুলো গ্রহণযগ্যো জিনিস থাকে....... সব কিছু নিয়ে প্রশ্ন তুললে হয়না...... সব কিছু বিবেচনা করতে হয় ;) ;) ;) ;)

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: কোথায় এড়িয়ে গেছি ? এই প্যারাটা আরেকবার পড়েন-

"আরেক্লটি অস্বস্তিকর অবস্থা হচ্ছে , আমাদের শিক্ষিত সমাজে প্রায় ই দেখা যায় একজন নারীর নামের অর্ধাংশ জুড়ে থাকে তার বাবার নাম। সেই শ্রৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে বিয়ের পর সে পড়ে যায় আরেক শৃংখলে। কদাচিত কেউ যদি নাম পরিবর্তন না করে, তবে তাকে পড়তে হয় আরেক রকম বিভ্রাটে। "

তাছাড়া ১৫ ও ২৫ নাম্বার মন্তব্যের প্রতি উত্তর দেখেন। স্পষ্ট উল্লেখ করেছি , "সবযায়গাতেই কেন বাবা ও মায়ের দু জনেরি নাম থাকবেনা ? কবে ঐ রকম ফরম ফিলাপ করতে পারবে নারীরা ।"

বাবা, মা অনেক বছর সময় নিয়ে একজন সন্তান কে মানুষ করেন। এখানে দুইজনেরি সন্তানের উপর সমান অধিকার। সেই হিসেবে লাস্ট নেইম অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকত্ব বা বংশের নামের প্রতিনিধিত্ব করে। তবে একজনের নাম গ্রহন করবে, আরেকজনের নাম গ্রহন করবেনা, এইটা আমিও মানতে পারিনা। পুরা পোস্টের মূল কথাই তো এইটা, নারীর স্বকীয়তাবোধ। কারো নাম ই গ্রহন করার প্রয়োজন নাই।

"বুঝলামনা, অতি সচেতন লেখক কেন এটা এড়িয়ে গেছেন........ ভুলে না সাবধানতার সাথে; কোন "বৃহত্তর" স্বার্থে."


আর বৃহত্তর স্বার্থে এড়িয়ে গেছি মানে কি ? এইখানে আমার কি স্বার্থ থাকতে পারে ? আমি কি ফাইজলামি পোস্ট দিসি ? যারা মন্তব্য করছেন তারা কি ফান করছেন ?

"যাই হোক সমাজে কতগুলো গ্রহণযগ্যো জিনিস থাকে....... সব কিছু নিয়ে প্রশ্ন তুললে হয়না...... সব কিছু বিবেচনা করতে হয়"

বিবেচনা করেছি বলেই তো যুক্তি দিয়ে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখালাম। তাও চোখ বুজে থাকলে আমার কি করার আছে ? সমাজের গ্রহনযোগ্যতা ডিপেন্ড করে সমাজের মানুষের উপর । ধরেন একজন মদ বিক্রি করে, আপনি তাকে বলবেন , ছি, ব্যাটা মদের বিক্রি করে, খারাপ লোক। আবার সেই মানুষটাই যখন সরকারের পারমিশন নিয়ে এলকোহল এক্সপোর্ট ইম্পোর্টের বিজনেস করবে, তখন আপনিই বলবে, আরে, ওতো ব্যাবসায়ি।
অথচ তার কাজের কিন্ত কোন পরিবর্তন হচ্ছেনা।

তার মানে হচ্ছে, কোন টা গ্রহনযোগ্য আর কোন টা না, সেটা ডিপেন্ড করে আপনার, আমার মত এই সমাজের মানুষদের উপর। আমরা যেটাকে গ্রহনযোগ্য করে তুল্বো, সেইটাই গ্রহনযোগ্য হবে। এই ব্যাপার টা পুরাই আপেক্ষিক।

আপনি নিজে চেঞ্জ হতে চান না ভালো কথা, কিন্ত না বুঝে ইর‍্যাশনাল মন্তব্য করার কোন মানে হয় না। যারা সিরিয়াস্লি ব্যাপারটা নিয়ে ভাবছে, বা মন্তব্য দিচ্ছে, তাদের ভাবার সুযোগ দিন।

২৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৫৫

তামীল০০৯৬ বলেছেন: ধন্যবাদ তন্ময় ভাই সুন্দর কমেন্ট রিপ্লাই এর জন্য।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পোস্ট টিকে সচল রাখার জন্য। আলোচনা ভালো পাই। অনেক কিছু শিখতে পারি। :)

২৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: চিন্তাশীল বিষয় :||

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: তাইলে চিন্তা করেন ভাইয়া। |-)

২৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৪

নাফিজ মুনতাসির বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট......বিষয়বস্তুর সাথে আমি একমত.......নারীদের তাদের নিজস্ব পরিচয়েই সমাজে পরিচিত হতে দেয়া উচিত......বিষয়টাকে নিয়ে সবাইকে অবশ্যই ভেবে দেখা উচিত.......এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ এবং চিন্তা করার মতো টপিকস...........ধন্যবাদ তন্ময় চমৎকার এই পোষ্টটির জন্য......সবার মতামত এবং আলোচনা দেখার জন্য অপেক্ষায় রইলাম...........

অ:ট: আমিও আড্ডা দিবো :(

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: স্বাগতম রবিন। সবাই শেয়ার করচ্ছে যার যার মতামত। তবে মূল কথার সাথে প্রায় সবাই একমত মনে হচ্ছে।

আলোচনায় স্বাগতম।

৩০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২২

বীরেনদ্র বলেছেন: দেখুন , সমাজব্যবস্থা হল পুরুষতান্ত্রিক। এখানে নিয়ম হয়েছে মেয়ের নামের পাশে স্বামীর নাম লিখতে হবে। এটা কিন্তু নারীদের রচিত ব্যাবস্থা নয়।

তবে আশার কথা হল সমাজে নারীর অবস্থান পরিবর্তন ঘটছে এবং ঘটবে। এক সময় ছিল যখন নারীকে দেখা হত সন্তান জন্ম দানের যন্ত্র হিসেবে। ১০০ বছর আগের কথা ভাবুন। অনিচ্ছা সত্বেও নারীকে বাধ্য করা হচ্ছে ২/৩ বছর পর পর গর্ভবতী হতে এবং ৮/১০ সন্তানের মা হতে ।

আজ কিন্তু সে অবস্থার কিছুটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে, আশা করি ভবিষ্যতে আরও হবে।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: সহমত বীরনেন্দ্র ভাই।

শ্রেনীবিভক্ত সমাজে যে দর্শন তৈরি হয়েছে তা শষক শ্রেনীর শ্রেনী শাষনের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। অধিকাংশ সমাজেই শাষক পুরুষ। তাই তারা সমাজ, এমনকি ধর্মীয় আইনও তৈরি করে নিয়েছে নিজেদের মত করে। নারীকে তারা বন্দি করে রেখেছে চার দেয়ালের উনুন আর সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র হিসেবে। যেহেতু ভ্রুন পুরুষের, তাই তারা মনে করে দশমাসের জন্য পুর্নতা পাওয়ার লক্ষে নারীর শরিরে তা ধার দেয়া হয়েছে মাত্র।

আমি জানিনা এ বিশ্বাস আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে।
আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামো , শ্রেনীবৈশম্য একজন নারীর যে কোন বিষয়কে অবদমিত করে রাখে। তাহলে নারীর জীবনে আছে টা কি ? শুধুমাত্র শারিরিক সমর্কের মধ্য দিয়ে যেখানে একজন পুরুষ কিনে নিতে পারে একজন নারীকে।

এখন নারীরা সচেতন হচ্ছে শিক্ষার মাধ্যমে, কিন্ত হেজেমনিকভাবে তাদের মাথায় যে জিনিস্টা বসিয়ে দেয়া হয়েছে, তা পুরাপুরি উপড়ে ফেলতে সময় লাগবে অনেক।

আর আমি দেখেছি, আমরা যতই মুক্তমনার ভান করিনা কেন, এক্সময় না এক্সময় আমাদের ডমিনেটিং টেন্ডেন্সিটা বের হয়ে আসেই। তখন নারী যদি তা না মানে, তবে সে হয়ে যায় উশৃঙ্খল, বেয়াদপ, উগ্র।

যাই হোক, আমিও আশাবাদী, যেখানে নারী পুরুষের মধ্যে সুষম অধিকার বজায় থাকবে।

ধন্যবাদ।

৩১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

বিসকুট বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। সহমত । জোরালো সহমত

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনাকে ধরে খেয়ে ফেলতে মুঞ্চায় :D

৩২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:১৬

কবি ও কাব্য বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ। ভালো লাগলো।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:০৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ পাপ্পু ভাই। :)

৩৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৩৮

তিথির অনুভূতি বলেছেন: নামের পদবী নিয়ে ক্যাচাল ছেলেদের বেলায়ও আসে যদি সে তার নামের শেষে বংশের নাম রাখে।
পিতৃপদত্ত নাম নিয়ে ক্যাচালটা ভাল লাগেনি। উন্নত দেশে কেউ কেউ পুরো নাম রেখে জুনিয়র রেখে দেয় , যেমন রবার্টস উইলিয়াম এর ছেলেও রবার্টস উইলিয়াম(জুনিয়র)।

স্বামীর নামের পদবী নেওয়াটা হয়তবা মেয়েদের স্বামীর প্রতি তীব্র ভালবাসা বোধ থেকে এসেছিল।
কিন্তু আমার জানা নেই আজ পর্যন্ত কোন স্বামী তার স্ত্রীকে জোর করেছে তার নামের শেষে পদবীটা লাগাতেই হবে।

স্বাধীনতা আর স্বকীয়তার পাশাপাশি আমরা যেন মানুষের ভালবাসাকে ভুলে না যাই ।
আপনার এই নামের পদবী নিয়ে ক্যাচালটা আমার কাছে কিছুটা অতিরঞ্জিত ও আপত্তিকর মনে হয়েছে।

ভালবাসা কি কখনও দাসত্ব হয় ???
প্রশ্ন রইল ।
আধুনিকতা শিখাতে গিয়ে মানুষের কিছু ভাল লাগাকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবেন না আশা করি।

আর আপনার কিছু কিছু পোষ্ট আমার খুব ভাল লাগে , কিন্তু এই পোষ্টটির ভিত্তি ও তার উপস্থাপনটা সমাজের নেতিবাচক দিয়েই এগুবে আর স্বামী স্ত্রীর ব্যক্তিগত ভাললাগাকে ইস্যু বানিয়েন না।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৩০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: কুল ডাউন তিথি, আপনি এত বড় কমেন্ট আমার আর কোন পোস্টে করেন নি। আপনি কি ব্যাপারটাকে পার্সোনালি নিচ্ছেন ? ইটস নাথিং পার্সোনাল, জাস্ট এ ডিস্কাশন। আমি আমার পয়েন্ট অফ ভিউ দিয়েছি, আপনি আপনার টা দিবেন। বাট এত এক্সাইটেড হচ্ছেন কেন ??
------------------------------

প্রথমত,আপ্নি মন্তব্যে ক্যাচাল শব্দটা অনেক বার ব্যাবহার করলেন। কিন্ত আমাকে বলুন তো পুরা পোস্টে ক্যাচাল কোথায় দেখলেন ? এমনকি মন্তব্য প্রতিমন্তব্যেও ক্যাচাল কোথায় পেলেন ?

আপনি বলেছেন পিতৃদত্ত নাম নিয়ে ক্যাচাল ভাল লাগেনি। আমি কোথায় পিতৃদত্ত নাম নিয়ে ক্যাচাল করলাম ? বাইরের দেশে অনেকেই ছেলে বা নাতির নাম জুনিয়র দিয়ে রাখে, আমি জানি। সেটা নিয়ে কখনো তাদের আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে পড়তে হয়নি। এটা করা হয় সন্মানের সাথে। এখানে জেন্ডার ইকুয়েলিটির কোন ব্যাপার নেই। অথচ পুরা পোস্ট টাই হচ্ছে নারীর স্বাধিনতা বিষয়ক। নারীর স্বকীয়তা ব্যাতিত বাকি সব ব্যাপার এখানে গৌন। কাজেই আপনার উদাহরন যথাযত হয় নি। বৃটেনের একটা ট্রেডিশন আছে, কুকুরের নাম রাখা হয় সন্মানিত ব্যাক্তিদের নামে, তাদের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করে। এটাকেও কি আপনি উদাহরনে টেনে আনবেন ?

আপনি বললেন, স্বামীর নামের পদবীটা তীব্র ভালবাসা থেকে এসেছে। হা হা, ভালোবেসে মানুষ জান ডাকে, হানি ডাকে, ডার্লিং ডাকে, কিংবা আরো নানান ধরনের নিক ব্যাবহার করে। অফিশিয়ালি মিসেস অমুক তমুক কখনো ভালোবাসা থেকে আসেনা। আর মেয়েদের স্বামীর প্রতি তীব্র ভালোবাসা আছে , ছেলেদের নেই ? তাহলে ছেলেরা নাম মি. অমুক তমুক স্তীর নামে রাখেনা কেন ?

যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেই, তীব্র ভালোবাসা থেকে এসেছে, তাহলেও তো তা একজন নারীর আইডেন্টিটিকে প্রকাশ করতে বাধা দিচ্ছে। সাবিহা খাতুন যখন মিসেস রহমান হয়ে যান, তখন, তার এক্সটার্নাল আইডেন্টিটি চেঞ্জ করেদেয়, যা প্রভাব ফেলে ইন্টারনাল সাকলজিতেও।

আপনি বলেছেন, স্বাধীনতা আর ভালবাসাকে ভুলে না যাই। আমিও তাই বলি এই ব্যাপারে একেবারে একমত। সে জন্যেই তো এই পোস্ট। আপনি যদি ডমিনেটেড হতে ভালোবাসেন স্বামী দ্বারা, এবং তার নাম যদি হয় ভালবাসা, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। তাহলে মেনে নিন আপনি প্রগতিশীল নন। আপনার জন্য এই পোস্ট নয়।

আপনি বলেছেন ভালবাসা কি কখনো দাসত্ব হয় ? আমি এটাই বুঝতে পারলাম না, পুরা ব্যাপারটাতে ভালবাসা কোথেকে আস্লো। যৌথতার স্বার্থে একজন নারীকে অবশ্যই সনযমী হতে হবে, নিজেকে সার্বিক পঙ্কিলতার হাত থেকে বেচে থাকতে হবে। তবে তা যেন হয় নিজস্ব বিচার বুদ্ধি ও শিক্ষা থেকে। ঠিক একই কথা প্রযোজ্য পুরুষ টির বেলাতেও। অর্থাৎ বলতে চাইছি, আপনি ১০০% ভালবাসা দিচ্ছেন, তা যেন ৫০ % ব্যাক করলেই আপনি তাকে নিয়ম বলে ধরে না নেন।

ভালবাসা দাসত্ব হয়, তবে সেই দাসত্বে কোন দোষ নেই। দোষ আছে যদি আপনি একতফা ভাবে যে কোন এক পক্ষকে দাস বানিয়ে রাখতে চান। আপনি কি জানেন বাংলাদেশে ৮০% রেপ হয় বিবাহের পর? অর্থাৎ স্বামীর সাথে বিছানায় যেতে হয় শুধুমাত্র স্বামীর ইচ্ছার কারনে। এই কঠন বাস্তবতা আপনি না দেখলেও আপনাকে মেনে নিতে হবে। একে শুধুমাত্র তথাকথিত ভালবাসার দোহাই দিয়ে মেয়েটিকে আজীবন স্বামীগৃহে থালা বাসন মাজার কাজ করতে হলে একে দাসত্ব না বলে উপায় নাই। এটা ফ্যাক্টস। আপনি জেন্ডার ইস্যু সঙ্ক্রান্ত যে কোন বইতেই এই ডেটাগুলো পাবেন।

আমার কিছু পোস্ট আপনার ভালো লেগেছে যেনে আমি আনন্দিত। খুশিতে প্রায় কেদে ফেলেছি। আর এই পোস্ট টা পছন্দ হয়নি, এইটাও স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিচ্ছি। সবার সব কিছু ভালো লাগেনা। প্রথা ভাঙ্গার চেষ্টাটা সবাইকে দিয়ে হয় না।
আমি মোটেই ভালোবাসাকে ইস্যু বানাচ্ছিনা। আমি আপনাকে কিছু করতেও বলছিনা। শুধু যেই সকল নারী তাদের স্বাধীনতা নিয়ে উতকন্ঠিত, তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দখিয়ে দিচ্ছি সমস্যাটা কোথায়।

জিনি পরাধীন থাকতে চান, কিংবা থারটিজ এর লাইফ লিড করতে চান, তিনি তা করতেই পারেন। এইটা ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আর আমি প্রথমেই বলেছি, ইটস নাথিং পার্সোনাল।

সবশেশে আমি দুখিত কড়া ভাষায় কথা বলার জন্য। আই ডিডেন্ট মীন টু...

৩৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৪২

আরজু পনি বলেছেন:

১৬ নম্বর মন্তব্যে তামীল০০৯৬ বলেছেন: ... কোন একজন লেখক বলেছেন" নারীদের জন্য আলাদা নারী ক্লাব বা নারী সমিতি নারীদের জন্য অপমানজনক যেমন বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর জন্য গবেষণাগার।"

এই কথাটার সাথে আমি একমত হতে পারলাম না।

কারণ সমতা বলতে আসলে সাদা চোখে দুইয়ে দুইয়ে চার হওয়ার কথা থাকলেও আসলেই কি তাই?!
আমি সোজাসাপটা করেই বলি আশা করি এর স্ক্রীণশট নিয়ে পরে আবার কেউ ফেরি করে না বেড়ায়।...

ছেলেরা নিজেদের আন্ডার গার্মেন্টস সংগ্রহ করে থাকেন সাধারণ ভাবেই কোন ছেলেদের কাছ থেকে..অর্থাৎ দোকানগুলোতে ছেলেরা বসে বলেই আপনারা কখনো বুঝতেই পারেন না যে দোকানে নারী বসলে সেখান থেকে সবাই নির্দ্বিধায় তা ক্রয় করতে পারতেন কি না। এই সমস্যায় মেয়েরা হরহামেশাই পরে...এবং শেষ পর্যন্ত তারা তাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সংকোচ ঝেরে কিনতেও পারেন।
সবাই কি পারে? সব ছেলেরা কি পারবে?
সব ছেলেরা কি ফ্রি ভাবে মেয়েদের সাথে আড্ডা দিতে পারবে?? কয়দিন আড্ডা দেওয়ার পরেই শুরু হয়ে যাবে প্রেম ঘটিত সমস্যা...বন্ধুত্ব নষ্ট।

সবাই সব পারে না বলেই সমিতি করে মেয়েদের এগিয়ে যাওয়াটাকে আমি ব্যাক্তিগতভাবে ভালো চোখেই দেখি। কারণ বোঝা হয়ে থাকার চেয়ে তবুওতো এগিয়ে যাচ্ছে....তাই বা কম কি।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:০৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: হুম, এইটা একটা চিন্তা করার মত টপিক।

৩৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৫১

তিথির অনুভূতি বলেছেন: মিসেস ওমুক মিসেস তমুক বুঝিবা ইংরেজদের কালচার। আমাদের দেশে কি এই কালচার আছে??
খালেদা ঠিকই জিয়া ধারন করেছেন কিন্তু আমরা কখনই তাকে মিসেস জিয়া বলি কি ???
আমাদের দেশে এই কালচার কোনদিনই ছিল না তাইতো দরিদ্র আমিনা বেগম স্বামীর পদবী নেয়নি , কারন আমাদের দেশে এই রীতিই নেই।

বাইরের দেশে এর প্রচলন ব্যপক। এটা তাদের জাতিগত রীতি-প্রচলন।

আর আমাদের হাই সোসাইটির কিছু মহিলারা বাইরের ইংরেজ সাজতে গিয়ে হয়তবা ওই কালচার ধারন করেছেন।
আমার আম্মাও আব্বার।নানার কারো দেওয়া পদবীই নেয়নি। আমার ক্ষেত্রেও তাই । আমার বংশের নাম নেই।
নামের পদবী যদি বংশের পরিচয় বহন করে তা অবশ্যই রাখা উচিত।
পিতৃপদত্ত নাম সবার রাখা উচিত। তাতে সে কোন বংশ থেকে এসেছে তা বুঝা যায়।

আমরা না বুঝেই অনেক বেশী বলে বসি , ভাবি না যে এটা আদৌ ঠিক কিনা .।।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৫১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: " মিসেস ওমুক মিসেস তমুক বুঝিবা ইংরেজদের কালচার। আমাদের দেশে কি এই কালচার আছে??"

নাহ , এই কালচার আগে ছিলোনা। কিন্ত এখন আছে। হাজবেন্ডের সাথে কোন পার্টিতে গেলে, অথবা কোন ফোন আসলে , অথবা কেউ খোজ করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এখন মৌখিকভাবে এভাবেই সম্বোধন করা হয়। আর আমি তো পুরা পোস্ট জুড়ে এই কালচারের বিপক্ষেই বললাম।

"খালেদা ঠিকই জিয়া ধারন করেছেন কিন্তু আমরা কখনই তাকে মিসেস জিয়া বলি কি ???"

জ্বী না, মিসেস জিয়া বলিনা, তবে বেগম জিয়া বলি, কোন পার্থক্য আছে কি ?

"নামের পদবী যদি বংশের পরিচয় বহন করে তা অবশ্যই রাখা উচিত।"

জ্বী রাখা উচিত, তবে সেটা সবার বেলায় একই হয়া উচিত। বিয়ের পর কি বংশ চেঞ্জ হয়ে যায়, যে স্বামীর নামের অংশ বসাতে হবে ? অলরেডি উপরে প্রশ্ন চলে এসেছে, বাবার নাম যদি আস্তে পারে, মায়ের নামের অংশ কেন আসবেনা ? এই প্রশ্নের কি জবাব দিবেন? আপনি তো বাবার বংশের মেয়ে, মায়ের বংশের না, নাকি ? এই কথাটা রিতীমত জন্মটা কি বাবা দিয়েছে না মা ? নাকি দুইজনে মিলে ? পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বাবার বংশ পরিচয়ে সন্তান বড় হবে, গারো সমাজে যান, দেখবেন মাত্রিপরিচয়ে সন্তান বড় হচ্ছে। কাজেই ব্যাপার টা আপেক্ষিক। আর এতসব বিতর্কের জন্মই তো হতোনা, যদি আপনি নিজের আইডেন্টিটি নিয়ে থাকতেন।

আপনার নিজের পরিবারে কেউ কারো পদবী ব্যাবহার করেনা। আর আপনি পদবী ব্যাবহার করতে চাচ্ছেন ? বাহ ভালো তো। উলটোরথে আপনি যাত্রা করতেই পারেন। তা এতক্ষন রাগ টা ঝাড়লেন কি নিয়ে বলেন দেখি, যা আপনার নিজের পরিবারের ভিতরেই নেই তা নিয়ে ? আপনি প্রথমে বলেছেন, আপনার বংশের নাম নেই, তবে আপনার মতামত, পিতৃ প্রদত্ত নাম সবার রাখা উচিত, যাতে সে কোন বংশ থেকে এসেছে বুঝা যায়। আচ্ছা আপনার মধ্যে কি কোন রকম হীনমন্যতা কাজ করছে এই নিয়ে ? বাই আ ওয়ে, পিত্ত্রিপ্রদত্ত নাম নিয়ে বা বংশের নাম নিয়ে আমি কি কোথাও আপত্তি করেছি ? আমিতো বলেছি স্বামীর নামের শেষাংস নিয়ে।

তবে আপনার পরিবারের প্রতি আমার স্যালুট থাক্লো।



"আমরা না বুঝেই অনেক বেশী বলে বসি , ভাবি না যে এটা আদৌ ঠিক কিনা .।। "

একেবারে আমার মনের কথাটাই বলেছেন আপু। আর আমার মনে হয়, আপনি পোস্টের মুল থীম টাই ধরতে পারেন নি।

আমারি ব্যার্থতা, এখন আমাকে ক্ষমা করে বালখিল্যতার পরিচয় দিন দয়া করে।

৩৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:০২

আরজু পনি বলেছেন:
২৩ নম্বর মন্তব্যে @তামীল০০৯৬ নারী দিবস নিয়ে জিজ্ঞেস করেছেন...আপাতত এগুলো দেখুন পরে এসে প্রয়োজনে আরো বলার চেষ্টা করবো।
সমতা আর সাম্যের ব্যাপারে দেখুন এই পোস্টটা
বোকা নারী!……..সমান অধিকার নয়, বল ন্যায্য অধিকার চাই

আর নারী দিবস নিয়ে দেখুন নারী -পুরুষ নিয়ে একটি বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলি

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:০০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। :)

৩৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:১১

আরজু পনি বলেছেন:

@রাতুল_শাহ...অপেক্ষা করেন রান্না করে নিয়ে আসি ;)

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:০২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আমিও ওয়েটাইলাম। ;)

৩৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৫৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: প্লাস !!!

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:০২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। :)

৩৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:০২

তিথির অনুভূতি বলেছেন: প্রিয় তন্ময় , নামে কি কিছু বেশী যায় আসে ???
এটা একটা উপলব্ধি বোধ, কিন্তু আপনার কাছ থেকে আমি এত .।.।। কথা আশা করিনি ।
এই নাম নিয়ে শুধ নারী না পুরুষরাও এই পরিস্থিতির শিকার।
কিন্তু একে নারীদের একপেশে ভাবে উপস্থাপন টা কেমন জানি ভাল লাগে নি .।।

তাই বলে কি আপনি কি আমাকে এত কিছু বলতে পারেন ????
আমি বার বার বলেছি এটা আমাদের কালচার নয়।
আর এ নিয়ে আমাদের দেশে কোন ক্যাচাল নেই (ক্যাচাল বলতে টপ অফ দ্যা টক বুঝানো হয়েছে)।

আজ এক নারীর স্বাধীন চিন্তাই আপনি সহ্য করতে পারছেন না।
একটু মন খারাপ হয়ে গেল :( :( :( :(

আপনি বিষয়টা নিয়ে একটু ঠান্ডা মাথায় ভাববেন।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:১৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপু কোনভাবে হার্ট করে থাকলে আমি আন্তরিক ভাবে দুখিত।

আসলে পোস্টের টপিক্টাই হচ্ছে নারী্র স্বাধীনতা, স্বকীয়তা। কাজেই নারীদের চাওয়া পাওয়া নিয়ে কথা হবে, এটাই স্বাভাবিক। একপেশে তো হচ্ছেই। তাই এখন পুরুষদের নিয়ে লেখাটা কি যুক্তিসঙ্গত ? যেখানে সারা পৃথিবী নারীর অধিকার নিয়ে সচেতন হচ্ছে।

আপনি বার বার বলেছেন এটা আমাদের কালচার নয়।আমিওতো বার বার সহমত জানাচ্ছি। তাহলে সমস্যাটা কোথায় ? আপনার আপত্তির যায়গাটা কোথায় ? এ নিয়ে আমাদের দেশে কোন কথা নেই দেখেই তো এই সাবকন্টিনেটালে নারীরা এত পিছিয়ে। ইন্ডিয়ান সিরিয়াল গুলো দেখু, ভালো নারী মানেই যে সব যন্ত্রনা মুখ বুজে সহ্য করবে, শাশুড়ির ঝাড়ি খাবে আর জামাইয়ের জন্য দুনিয়া স্যাক্রিফাইস করে দিবে। এটাই কি হয়া উচিত বলে মনে করেন ?নারীর জন্মই হয়েছে শুধু স্যাক্রিফাইস করার জন্য ?

এটা বাধা দিতে হলে দরকার নারীর স্বাধীনতা, নারীর অধিকার নিশ্চিত করা। আর তার জন্য দরকার স্বতন্ত্র একটা আইডেন্টিটি। অথচ যারা নারী স্বাধীনতা করে গলা ফাটিয়ে ফেলে তাদের নিজেদেরি কোন আইডেন্টিটি নেই। ঘরে আসলে তারা সেই পতিভীত সন্ত্রস্ত একজন অবলা নারীই হয়ে থাকে।

সেই যায়গাতেই আমার আপত্তি। নারীর সার্বিক স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সবার আগে দরকার নিজ নামের একটা পরিচিতি, একটা আইডেন্টিটি, একটু কনফিডেন্স। সেই কারনেই স্বামীর নামের শেষাংস যোগ করার বিপক্ষে আমার অবস্থান।

আপনি কি এখন লিঙ্কগুলো ধরতে পারছেন ? এইখানে আমি নারি পুরুষের ভালোবাসাকে মোটেই অবহেলা করি নাই আপু।

একটু বুঝার চেষ্টা করুন, আমি আপনাদের পক্ষেই বলছি। আপনাদের স্টেপ দিয়ে সমান্তরালে দাড়ানোর কথা বলছি।

এরপরো যদি আমি বোঝাতে ব্যর্থ হই তাহলে আমার নিজের মনটাই খারাপ হয়ে যাবে। বুঝতে পারছি, বেগম রোকেয়া কেন সবার আগে সেলফ কনশাস্নেসের কথা বলেছিলেন।

আপনাকে ধন্যবাদ এবং আবার দুখিত কড়া গলায় কথা বলে ফেলার জন্য। আমি আন্তরিক ভাবে বলছি, রাগ করবেন না আপু, প্লিজ। আমি শুধু আপনার কথার প্রতিউত্তর দিয়েছি। আর কিছু নয়।

৪০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:২৫

তিথির অনুভূতি বলেছেন: বিয়ে নিয়ে আপনার কোন ধারনাই নেই। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক বিয়ের পরই বুঝা যায়। আমার আশেপাশের স্বশিক্ষিত মানুবিক বোধের ব্যক্তিদের আমি খুব সুন্দর মিল দেখেছি ।
তাঁরা স্ত্রীদের সব বিষয়েই অনেক সাহায্য করে থাকেন।

সমাজের কিছু পশুদের সাথে নিজেদের গুলিয়ে ফেলেন না।
আজকাল প্রগতির নামে কিছু নারী পশুও বের হয়েছে।
আর দুঃখের বিষয় এরা ডিগ্রীধারী । এরা স্বাধিনতা ও প্রগতিশীলতার নামে অশ্লীলতা করে বেড়াচ্ছে।

মাঝখান থেকে আপনি আমাকে এত খারাপ কথা কেন শুনালেন ???

আমি আমার আইডেয়েন্টি নিয়েই আছি আর আমি কার সন্তান এটা যদি কেউ বলে ?? তাতে কি আমি ছোট হয়ে যাব।
আমার আব্বা/ আম্মা কেউই আমাদের এভাবে ভাবেনি ।
আর যুগ যুগ থেকে যে রীতি বংশ তা আজকাল কেউই মানে না ।
কিন্ত সে যদি ভাল বংশের হয় আমি সরকার/ চৌধুরি /খান বংশ
তা এমনিই বলে .।.।।
এই নিয়ে যে এত কিছু ভাবে মানুষ আমি সত্যি হতবাক হয়েছি

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৩৭

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আচ্ছা বিয়ে নিয়ে আমার কোন ধারনাই নেই, মেনে নিলাম।

আপনি খুব সুন্দর মিল দেখেছেন, আমি সেটা এপ্রিশিয়েট করছিতোরে বাবা। আমিতো আপনার সাথে দ্বিমত করি নাই। নারী পুরুষ বোঝাপাড়ার মধ্য দিয়ে সুন্দর একটা ফ্যামিলি গড়ে তুল্বে এইটা তো আমারো চাওয়া। আমি আপনার কথা মেনে নিচ্ছি, সেই সাথে শুধু একটা লাইন যোগ করছি যে, এই বোঝাপাড়াটা যেন কম্প্রমাইজ হয়, শুধুমাত্র স্ত্রীর স্যাক্রিফাইজ না হয়। তাই না ?

যারা প্রগতিশিলতার নামে অশ্লীলতা করে বেড়াচ্ছে তাদের সংখ্যা খুবি নগন্য। মিডিয়ার কল্যানে সবাইকেই আমারা চিনি বা ধারনা করতে পারি তারা কোথাকার। কিন্ত বাকি ৯০% এভারেজ বাঙালি মেয়েদের কথা ভাব্লেন না ?

আপু আমি আপনাকে কোন খারাপ কথা শোনাইনি। কিছু সত্যি ফ্যাক্টস তুলে ধরেছি। এই বিষয়ে আমার একটা পুর্নাং রিসার্চ পেপার আছে। আমাকে ডোর টউ ডোর ইন্টারভিউ নিতে হয়েছে, সার্ভে করতে হয়েছে। নাইটক্লাব থেক শুরু করে বস্তিতে যেতে হয়েছে। আমি যা বলেছি তা ফ্যাক্টস। তবে আমি দুখিত এভাবে বলতে চাইনি। কিন্ত আপনার প্রশ্নের উত্তরে আমার আর কিবা বলার ছিলো। আর কেন বংশের কথা বলছেন, বংশ নিয়ে তো আমার কোন কথা নাই। আপনি মনে হয় আমার একটা উত্তর ও পড়ে দেখছেন না। আমার আগের উত্তরটা প্লিজ রিপিট ইট।

আমি কিন্ত বার বার স্যরি বলছি আপু। আই ডু এপলোজাইজ।

আমার ধারনা আপনি এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পার হননি। আমি কি জানতে পারি আপনি কিসে পড়ছেন ?

৪১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৫৫

আরজু পনি বলেছেন:

@ তিথির অনুভুতি, আমি একটু বলতে চাচ্ছি....টাইপে একটু স্লো আছি...অনুগ্রহ করে একটু অপেক্ষা করবেন কি?!

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:১৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: হে ধরণী দ্বিধা হও,
আমি মাটির ভতরে প্রবেশ করি।

:| :|

৪২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৫৮

জনতার সেবক বলেছেন: একজন নওমুসলিম নারী

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:১৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আচ্ছা।

৪৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:১২

নস্টালজিক বলেছেন: ইন্টেরেস্টিং বিশ্লেষন, তন্ময়!

দেখি সবাই কি বলছে! গ্যালারীতে বসলাম!

আর তোমাকে, ঈদ মুবারক!
ঈদ এর পর ইনশাল্লাহ দেখা হচ্ছে!

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:২০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ঈদ মুবারক রানা ভাইয়া। তোমাকে দেখে ভীহন ভালো লাগলো।

"আমি ফিরে পেতে চাই,সেই বৃষ্টি ভেজা সুর" এই লিরিকের পিছনের কাহিনী পড়ছিলাম। ডিপ্রেশন থেকে কি চমৎকার একটা সৃষ্টি।

আর পোস্টের ব্যাপারে কি বল্বো। লাস্ট কয়েকটা কমেন্টে পোস্টের অব্জেক্টিভ ই চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছিলো প্রায়। সবার ম্যাচিউরিটি লেভেলের সাথে তাল মিলিয়ে লেখা আসলেই টাফ।

আর ঈদের পর অবশ্যই চুড়ুইভাতি হচ্ছে আমার বাসায়। এইটা ভাইয়া মিস করতে পারবানা। তুমি আর আমি মিলেই সবাইকে ম্যানেজ করে ফেলবো। :)

৪৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:১৯

আরজু পনি বলেছেন:
@তিথির অনুভুতি
৩৩ নম্বর মন্তব্য ধরে যদি বলি.... এই মুহুর্তে রেফারেন্স দিতে পারছি না বলে দুঃখিত, তবে পদবীটা স্বামীর প্রতি তীব্র ভালোবাসা থেকে আসেনি। একটা সময় নারীর নিজস্ব কোন পরিচয়ের কথা ভাবতেই পারতো না, তখন স্বামীর পদবী ব্যবহার করে নিজেদেরকে পরিচিত করতো অন্যের কাছে।

পরিচিতি আর ভালোবাসা দুই জিনিস...আমার বরকে আমি কতোটা পাগলের মতো ভালোবাসি সেটা ব্যাখ্যা করে বোঝানো সম্ভব না , কিন্তু দেখুন একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়া শেষ করার পর আমি আমার বাচ্চাকে চারুকলায় শিশুদের ছবি আঁকায় ভর্তি করেছিলাম সেখানকার এক শিক্ষককে একদিন সালাম দেওয়ার পর তিনি আমাকে হেসে জিজ্ঞেস করেন.. "ভাবী, ভালো আছেন?" !!!!!!!!!!

যেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আমার হাজব্যান্ডকে না চিনেও আমাকে ভাবী ডাকবে!! এটা আর কেউ মেনে নিলেও আমি মানতে পারিনি। কিন্তু এর মানে এই না যে আমি আমার বরকে ভালোবাসি না। বরঙ বেশিই বাসি।

ভালোবাসা আর স্বাধীনতাকে এককাতারে দেখতে যা্ওয়া কি ঠিক?! হ্যাঁ, স্বেচ্ছাচারিতা গ্রহণযোগ্য নয় মোটেও। স্বাধীনতার নামে কোন নারী স্বেচ্ছাচারিতা করুক এটা আমিও ভালো চোখে দেখি না।
ভালোবাসতে যেয়ে আমরা যেন আমাদের নিজস্বতাকে ভুলে না যাই।

এখানে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ভালোবাসায় কোন সমস্যা হবে বলে আমি মনে করি না। আমার বরও চায় আমি অর্কিডের মতো না হয়ে নিজস্ব পরিচয়ে পরিচিত হই। এবঙ তিনি কিন্তু তার অফিসে আমাকে পরিচিত করিয়ে সম্মাণিতই বোধ করেন।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:২৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: নাইস পিক আপ, "পরিচিতি আর ভালোবাসা দুই জিনিস"

ইম্পর্টেন্ট কথা। আর আমি এত কথা বলেও এই লাইনটাই বলতে পারলাম না। নাহ আসলেই আমার ব্যার্থতা। :(

৪৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:২০

তিথির অনুভূতি বলেছেন: আমি একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এণ্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর লেকচারার।
আমার দাদা ডাঃ ও বুদ্ধিজীবি ছিলেন, আমাদের বাবা-চাচারা সবাই কেউ ডাঃ/বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক/ স্বনামধন্য লেখক/শিল্পী । আমার কাজিনেরা সবাই ব্যাংকের ম্যানেজার, ডাঃ, মেজিষ্ট্রেট।
সবাই প্রতিষ্টিত এবং তাদের স্বামী -স্ত্রী রাও সবাই (চাকুরীজীবি) । আমার দাদী সেই যুগে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ফার্স্ট হয়েছিলেন এবং আমার দাদাই পড়িয়েছিলেন .।।
আমার দাদী ইণ্ডিয়ার একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতেন সেই আমলে।

আমার বাংলা এবং ইংরেজী সব ক্লাসিক পড়া । আর আমাদের সবাই পড়ালেখার মধ্যে থাকে।
বেগম রোকেয়া থালা - বাসন মেজেই ঘরের রান্না করে যেমন লেখালেখি করেছেন।
আমি তেমনি ছোট থেকেই নিজ হাতে আমার বাসার কাজ করতে খুব পছন্দ করি ।
আমাদের বাসার সবাই মিলেমিশে বাসার সব কাজ করতে ভালবাসে। আব্বা রান্না/সেলাই/ সব করতেন । আমার জীবনে আমি আমার স্কুল কলেজের সব কালচারাল প্রোগ্রামে পারটিসিপেট করেছি । দাবায় প্রাইজ পেয়েছি । বিতর্ক করেছি । ছায়ানটে নাচ শিখেছি । গান গাই । কবিতা আবৃতি করি । আমার ১৩ তেই উপন্যাস, কবিতা বেড়িয়েছে। মাঝে কিছুদিন পত্রিকাই আর্টিকেলঅ লিখেছি।

নারীর কোনটা স্বাধীনতা আর কোনটা না তা সম্বন্ধে আমি কিছুটাও হলেও বুঝি।
আমাদের পরিবারে কেউ আমাকে এই বোধই দেয়নি যে আমি নারী ।
আমি মানুষ এই আমার বড় পরিচয় ****

সামুতে কিছু লেখা আমি দেই টাইম পাস করি। আমার রোমান্টিক লেখা দিতে ভাল লাগে।
কিন্তু আমি এতে সিরিয়াস নই । আমার সিরিয়াস লেখা পত্রিকাই বের হয় ।

আর আজ কেন জানি আপনার আমাকে নারী ভাবাটাই আমাকে বেশ ভাবালো।
আমি এতদিন জানতান আমি মানুষ । আজ শিখলাম বাইরের সবাই একভাবে ভাবে না।
আসলেই পারাবারিক শিক্ষাবোধটা আজ বড় জরুরী হয়ে পড়েছে।

তাই কেউ যদি বলে আমি শিল্পী অমুকের মেয়ে আমি সেজন্য খুশি ,
কেউ যদি কাল বলে আমি অমুকের বউ তাতেও আমার আপত্তি নেই ।
কারন একই ভাবে তারাই বলবে যে সে আমার স্বামী এবং
আমার বাবা সে ।
বিষয়গুলি নিয়ে ভাববেন । কিছু আক্রমাত্মক কথা বললেই মানুষ বড় হয়ে যায় না,
চিন্তাটা গভীরতা থেকে আসা উচিত ।




১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৩০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: খুবি আনন্দিত হলাম আপনার জীবন কাহিনী শুনে। আমি আসলে আবেগে আপ্লুত, এমন ট্যালেন্ট মানুষজনের সাথে ব্লগিং করছি ভেবে।কিন্ত একটা জিনিস মুঝতে পারলাম না, এত ট্যালেন্ট একজন মানুষ পোস্টের মোটিভ ই বুঝলোনা, এ কেমন করে হয় !

আপনি যেটা এতক্ষনে বললেন, সেইটা আমি ১২ আর ২৩ নং কমেন্টে অনেক আগেই বলে এসেছি। এজন্যই বলেছি পোস্ট টা ভালমত পড়তে।

৪৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:২৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: নামের সাথে স্বামীর টাইটেল জুড়ে দেয়া আমার কাছে মনে হয় না জোর পূর্বক করা হয়! অনেক মহিলাই নিজেকে নিজের পিতৃদত্ত নামের চাইতে মিসেস জামান, মিসেস কামাল পরিচয় দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এবং এটা তথাকথিত শিক্ষিত সমাজেই বেশি প্রচলিত দেখা যায়!

আদিম কৌম ভিত্তিক সমাজ গুলোতে নারীও একটা সম্পদের মতো ছিল, নানা ভাবে সেই সম্পদে সিল-ছাপ্পর মেরে দেয়া হতো, এটা আমার সম্পদ!
আমার কাছে এই উপাধি নেয়াটাও অনেকটা সেই প্রথারই সূক্ষ ধারাবাহিকতা মনে হয়।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৩৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: চমৎকার একটা উদাহরন দিলা রেজু আপু। আমি ঠিক এই কথাগুলাই বল তে চাচ্ছিলাম , মানে এইটাই পোস্টের সারমর্ম। নারী কোন সম্পদ নয় যে তাকে সিল মেরে রাখতে হবে, এবং এই জিনিস্টা নারীদেরি আগে বুঝতে হবে।

অনেক ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য। :)

৪৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৩৮

তিথির অনুভূতি বলেছেন: আরজুপনি আজ মনটা ভাল নেই,
কিন্তু আমি ছোট মানুষ। দু একটা ভাবনা জানাই। কিন্তু প্লিজ ভাববেন ।
আমিও বিয়ে নামক অধ্যায়ে যাইনি , কিন্তু যে আপনাকে ভাবী ডেকেছে তা আপনাকে সম্মানার্থে ডেকেছে, এটা ভালবাসার ডাক। আর এই বিভিন্ন ভাবী , কন্যা, মা, বোন, এইগুলি আসবেই ।
যেখানে আপনার আইডিয়েন্টি আছে সেখানে আপনাকে নাম ধরেই ডাকবে। আপনার অফিসে, আপনার প্রিয়জনেরা। বাইরের হাবী- জাবী লোক কেন আপনাকে নাম ধরে ডাকবে ???
বিষয়টা দৃষ্টিকটু হবে, জাতী হিসেবে শালীনতা বজায়েই এই বাকী পরিচয় গুলি আসে।

একটু ভাবুন আপনার স্বামীকে আপনার বান্ধবী যদি নাম ধরে ডাকে আপনার কেমন লাগবে???
সে অবশ্যই ভাইয়া ডাকবে।

জীবনটা সরলভাবে ভাবুন। আর হ্যা আজ থেকে একটা অনুরোধ নিজেকে নারী না
মানুষ ভাববেন ।

আর বেশী বেশী বলার থেকে আমরা ভাবতে শিখি। অনুভব করতে শিখি ।
শান্তির নিবাস বানাই এ জীবনকে। আমার বিশ্বাস আমরা জীবনে আরও বেশী সুখি হব যদি নিজেকে মানুষ ভাবতে শিখি।

নারীর মূন্যবোধের চাপে যেন আমরা মানুষ ও মানবিকতা না ভুলে যাই .। ***

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আর বেশী বেশী বলার থেকে আমরা ভাবতে শিখি। অনুভব করতে শিখি ।
শান্তির নিবাস বানাই এ জীবনকে। আমার বিশ্বাস আমরা জীবনে আরও বেশী সুখি হব যদি নিজেকে মানুষ ভাবতে শিখি।


ভালো বলেছেন ।

৪৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৪৮

অন্ধকার অবচেতন বলেছেন: প্লাস এবং প্রিয়তে।

নামের শেষে স্বামীর নাম/ পদবী যোগ করা, বিষয়টা আসলেই অদ্ভুত। বিভিন্ন ফর্মে পিতা "অথবা" স্বামীর নাম দেয়ার বিষয়টা আরও বাজে।
তাও মন্দের ভালো, এখন প্রায় সব জায়গায় বাবা-মা দুজনের নামই জানতে চাওয়া হয়। এটাই হওয়া উচিত...

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: সহমত জানানোর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের কমেন্ট থেকেই বুঝা যায়, আমাদের চিন্তা চেতনার প্রসার ঘটছে।

৪৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৪৯

তিথির অনুভূতি বলেছেন: ভাই তন্ময়, আমার উপরোক্ত কমেন্টস এর সাথে আপনি সহমত হয়েছেন।
কিন্তু দাবী করছেন আমি আপনার মূল লেখা পড়িনি, পড়েছি আমজনতা যা বলে তাই লিখেছেন।
আপনার থেকে আরো বেশী কিছু আশা করি।

এর পরে আমি এই লেখার আরো বিস্তারিত চাই,
উপলব্ধি করে লেখা চেষ্টা করবেন ।
আর আমার উপরের পরিচয়ের কমেণ্টস টা মুছে দিয়েন প্লিজ।

শুভকামনা রইল।
ঈদ মোবারক **

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপনার জন্যেও অনেক অনেক শুভকামনা এবং ঈদ মুবারক আপু। :)

৫০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৫০

কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভালো একটা বিষয় নিয়ে চমৎকার বিশ্লেষন করেছেন

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২৭

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ স্বপ্ন ভাই।

অগ্রীম ঈদ মুবারক। :)

৫১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৫৮

আরজু পনি বলেছেন:

@তিথির অনুভুতি, আপনার এই মতামতটাকে শ্রদ্ধা জানাই। আমি তখনই নারী ভাবতে বাধ্য হই যখন আমাকে নিয়মের বেড়াজালে আটকে ফেলা হয় শুধুই নারী হয়ে জন্মেছি বলে।

আমাকে রাত জেগে ব্লগিং করলে শুনতে হয় একজন নারী এতো রাতে ব্লগে কি করে,যাছেলেদেরকে শুনতে হয় না সাধারণত। এসব আরো অনেক সমস্যাতেই পড়তে হয়েছে। জেন্ডার স্টাডিজ পড়াতে যেয়ে যখন আমার শিক্ষার্থীরা তাদের জীবনের কঠিন বাস্তবতার কথা বিনিময় করে তারা শুধু নারী হ্ওয়ার কারণেই তারা সুবিধা বঞ্চিত...তাদের চোখের জল তখন আমাকেও ছোঁয়। অনেক মেয়েরাই শুধুই মেয়ে হ্ওয়ার কারণে অনেক বেশিই সীমাবদ্ধ জীবন যাপন করেন। যারা এসেব কষ্টে থাকে তারাই স্বাধীনতার মুক্ত বাতাসের খোঁজ করে।

আপনি অনেক শিক্ষিত, আপনি নিশ্চয়ই চান যে মেয়েরা মেয়ে হিসেবে সীমাবদ্ধ না থেকে মানুষ হিসেবেই জীবনটাকে উপভোগ করুক আর আট-দশজন সাধারণ মানুষের মতো। অবশ্য আপনি সেকথা ইতমধ্যে বলেও গেছেন অনেকটা।

আমাকে উদ্দেশ্য করে আপনার কথাগুলো আসলেই ভালো লাগলো।

তবে সেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আমাকে আপা ডাকলে কি এমন ক্ষতি হতো ? ;)


আপনার রোমান্টিক পোস্টগুলো কিন্তু আমি দারুণ উপভোগ করি। কাজেই আমি আশা করছি আমদের ব্লগীয় সম্পর্ক এই পোস্টের কারণে মোটেও কোন প্রভাব ফেলবে না .... :)

অনেক ভালো থাকুন :)

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: মন্তব্য পৌছে যাক তিথি আপুর দুয়ারে। :)

৫২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৫৯

বাঘ মামা বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ আমার ভালো লেগেছে তবে তাতে নারীর আসল সমস্যা উঠে আসেনি,কারো নামের সাথে কারো নাম জুড়িয়ে দিলেই সে পিছিয়ে থাকবে এমন কথা নেই, নামের সাথে মাওলানা মৌলোভি আল্লামা মোফাছ্ছের অনেক কিছুই লাগায় ও লাগানো যায় তা মানুষে মনের উপর কতটা প্রভাব পড়ে সন্দেহ,,আমরা আমাদের ঠিকানা বুঝানোর জন্য নামের আগে পড়ে অনেক কিছুই লাগাই সেটা আমাদের উপর প্রভাব পড়েনা।

প্রভাব পড়ে আমাদের পারিবারিক শিক্ষা,কেউ মানসিক ভাবে উন্নত হলে তার নাম মানুষ রাখবে,তাকে তার নাম নিয়ে ভাবতে হবেনা।
আমার হিসেব মতে নারী পিছিয়ে যাওয়া কারণ তার নামের সাথে কারো নাম জুড়িয়ে দেয়ার কারণে নয়, নারী পিছিয়ে যাওয়ার কারণ তার পারিবারিক শিক্ষা, আর স্বাধীনতা বলতে আপনি ঠিক কি বুঝাতে চান জানিনা,স্বাধীনতা মানুষকে বড় ও উন্নত করেনা,মানুষ উন্নত হয়ে স্বাধীন হয়, আর যেই স্বাধীনতা আপনি ভাবছেন তা ভালোবাসা বন্ধন বিয়ের বিষয়ে অচল, এখানে স্বাধীনতা তো দুর বরং একে অন্যকে বুকের মাঝে লুকিয়ে রাখাই আটকে রাখা গোপন করে ফেলাই সুন্দর,।
নারী পুরুষের সম্পর্কে সব জায়গায় স্বাধীনতা খুঁজতে যাবেননা,অন্তত নারী পুরুষের চরম বন্ধন নিয়ে,যে ব্যবস্থা বিধাতা করেছেন ও যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে,।
যখন নারী পুরুষ মননে শিক্ষিত হয়ে উঠবে তখন তারা নিজেরাই বুঝবে কার কতটুকু স্বাধীনতা দেয়া নেয়া দরকার, কে কতটা সন্মান পাবার যোগ্য।যতক্ষন নারী নিজেকে চিনবেনা বুঝবেনা ততক্ষণ কোন স্বাধীতা তাকে বদলাতে পারবেনা।সব কিছুই তার পরাধীন মনে হবে,।

আসুন নাম নিয়ে না ভেবে আমরা কাজের কথা ভাবি, ভাবি কিভাবে আসছে নতুন নারী প্রজন্মকে সুশিক্ষিত ও নারীর গতানুগতিক জীবন ধারা বদলে সমাজের সর্বস্তরে নিজেকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করার মত করে গড়ে তুলি,আমার বোন আপনার বোন আমার মেয়ে আপনার মেয়েকে দিয়েই শুরু করা যাক।

আপনার বিশ্লষণের প্রতি যথাযত সন্মান রেখেই উপরের কথা গুলো যোগ করলাম।

(আবারও মানসিক ভাবে ভালো নেই বলে কথা গুো গুছিয়ে বলতে পারিনি মনে হয়।)

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: বাঘ মামার দেখা পেলাম অনেক দিন পরে। মানসিক ভাবে ভালো নেই কেন ? বুড়িয়ে গেছেন বুঝি ? পথ চলতে চলতে ক্লান্ত ?

চমৎকার একটা মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ব্যাঘ্র মামা। আমি আসলে নারীর স্ররবিক সমস্যার কথা তুলে ধরিনি। তাহলে তো অনেক অনেক কথা আস্তো। এক্কেবারে ছোট্টবেলা থেক শুরু করে বার্ধক্য পর্যন্ত প্রতিটা স্টেজ, ইতিহাস, সমাজ ব্যাবস্থা, ধর্ম ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি আসলে শুধুই একটা বিষয়ে ফোকাস করেছি। ভবিষ্যতে হয়তো অন্য কোন বিষয়ে ফোকাস করবো।

আবারো ধন্যবাদ মামা। :)

৫৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:০০

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন: শুভ জন্মদিন।

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: এক্কেবারে কাটায় কাটায় রাত বারোটায়। অনেক ধন্যবাদ স্বর্ণা।

সেই সাথে অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছাও নিন। :)

৫৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:০৪

বাঘ মামা বলেছেন: ও হ্যা শুভ জন্মদিন তন্ময় :)

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: থাঙ্কু মামা, ভাগ্য ভালো আজকে পোস্ট দিয়েছিলাম, তাই সবার উইশ পাচ্ছি।

অগ্রীম ঈদ মুবারক । :)

৫৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:০৭

কালীদাস বলেছেন: জ্যাক হোয়াইট নামে একজন আমেরিকান সিঙার আছে (দ্যা হোয়াইট স্ট্রাইপস), যে নিজের বউয়ের (মেগ হোয়াইট) নাম থেকে হোয়াইট নামটা লাগিয়েছিল নিজের নামে। ডিভোর্স হওয়ার পরও হোয়াইট নামটা ছাড়েনি।

পোস্টের ব্যাপারে আপাতত ডিটেলস কমেন্ট করুম না :( /:)

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: বাহ, এটাতো দেখি পুরাই ব্যাতিক্রমী উদাহরন দিলেন কালীদাস ভাই। তবে এইটাও ভালো কিছু না। যার যার নাম তার তার কাছে থাকাই মনে হয় বেটার। :)

৫৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:০৮

কালীদাস বলেছেন: আরে, বেলুন উঁড়ে দেহি;)
হ্যাপি বার্থডে, তন্ময় :)

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: থাঙ্কু ভাইয়া।

বিষন্ন এক জন্মদিন। সব প্রিয় ব্লগারদের উইশ পেয়ে খুব ভালো লাগছে। :)

৫৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:১০

রাশান শাহরিয়ান নিপুন বলেছেন: @তিথির অনুভূতি, আপু আপনি বলেছেন নাম পরিবর্তন ভালোবাসা থেকে হয়। কিন্তু আমি একটা জিনিষ বুঝলাম না। কোন পুরুষই কি তাহলে টার স্ত্রীকে ভালবাসে না?? তাহলে কোন পুরুষ কেন নিজের স্ত্রীর নামে নিজের নাম করন করে না??
আমার নিজের বেশ কিছু পরিচিত মহিলা আপু আছে যারা স্বামীর নামে নিজেকে পরিচিত হতে পছন্দ করে না। কিন্তু সমাজের ভয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে স্বামীর ভয়ে নাম পরিবর্তনে বাধ্য হয়।

পনিপ্পু, তন্ময় ভাই দুই জনেই আমার সিনিয়র। উনাদের কথার সাথে জাস্ট এইটা অ্যাড করলাম। :)
স্বামীর নাম, বাবার নাম যাই নেন ভালো থাকবেন। :)

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: মন্তব্য পৌছে যাক তিথির ঘরে।

আমিও অবশ্য সেইম কোশ্চেন টা করেছিলাম একটা মন্তব্যে।

ফিরে এসে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ নিপুন।

ভালো থাকুন। :)

৫৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:১৫

তিথির অনুভূতি বলেছেন: আরজুপনি আমি আপনার নামের মাঝেই আপু খুজে পেয়েছি । ;) ;) ;)
আমার রোমান্টিক লেখা আপনার যেমন ভাল লাগে। :) :)
আপনার পোষ্টও আমার ভাল লাগে। B-) B-)

আমরা নিজেদের ছোট ছোট বিতর্কে না জরিয়ে নিজেদের উন্নত করি।
আজ থেকেই শুরু হোক এ যাত্রা । আপনার বেবিটার জন্য অনেক মিষ্টি আদর।

পাছে লোকে কি বলল তা না ভেবে কিভাবে আমরা নিজেদের প্রগতিশীল করতে পারি তাই হবে আমাদের লক্ষ্য।

আর নারীর থেকে মানুষ হিসেবেই থাকতে চাই,
নারী/শিশু / বয়স্কদের জন্য খোলা বিভিন্ন আশ্রম কে উদ্ভোদন করতে মাহাত্মা গান্ধীকে বলা হয়েছিল।
তিনি যাননি তার বদলে বলেছেন যে আমি এইগুলি উদ্ভোদন না বন্ধ করতে যাব, সমাজে আজ এ দুর্দশা আসবে কেন যে এরকম আশ্রম খুলতে হবে। তাদের আশেপাশের মানুষেরা এই দায়িত্ব নিবে।

এই সংস্থা গুলির ভাল যেমন আছে মন্দ দিকগুলিই ফুটে উঠে, আর আমাদের আশেপাশের দায়িত্ব ভুলে আজ আমরা খালি আমিতেই ব্যস্ত। আমাদের মানুষ হিসেবে যে দায়িত্ব আছে। আমাদের আরো কিছু কাজ আছে তা আমরা করছি না।

আমি ভাবি আমি চেষ্টা করি আমার আশেপাশের মানুষের জন্য কিছুটা করতে,
আমরা যদি সবাই কাউকে না কাউকে একটু দেখি তাহলেই আজ সমাজ টা বদলে যেত।
আর আমরা শান্তিতে থাকতাম , আজ এরকম তুচ্ছ তুচ্ছ হিজিবীজি আমাদের মাথায়ই আসতো না।

আমি লেখককে অনেক শ্রদ্ধা জানাই ও আপনাকেও ঈদ মোবারক ।
শুভকামনা **

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৪১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: সো উই আর ওকে। :)

আসলে এই টাইপের পোস্টে আলোচনা সমালোচনা হবেই। এর মাঝখান থেকেই হয়তো শিক্ষনীয় অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে।

আপনার সরল মানসিকতার প্রশংসা করি। সবাই সহজ করে ভাবতে পারলেই সমাজটা সুন্দর হয়ে যেত, ঠিক ইই বলেছেন।

আপনার প্রতি রইলো শুভকামনা। :)

৫৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:১৭

স্বর্ণমৃগ বলেছেন: চমৎকার লেখা!
+++++

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৪১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। ব্লগে আবার রেগুলার হচ্ছেন বুঝি ?

ভালো হয়েছে, পরিচিত মুখ দেখলে তাও একটু শান্তি পাই।

ভাল থাকুন। :)

৬০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:১৭

আরজু পনি বলেছেন:

ইয়াহু!!!! শুভ জন্মদিন তন্ময় ফেরদৌস !:#P

এইবার ঠেলা লও.....কেক, মিষ্টি...আর খাওয়া তো পাওনা আছেই ;)

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৪৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: হা হা, সকল ঠেলা নেয়ার জন্য প্রস্তুত আছি, কবে কোথায় খেতে চাও শুধু বলে ফেলো। ঈদের পরে নিশ্চই দেখা হচ্ছে ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। :)

৬১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:১৯

তিথির অনুভূতি বলেছেন: শুভ জন্মদিন তন্ময় ভাইয়া ;) ;)

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৪৭

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: হা হা, অনেক অনেক ধন্যবাদ তিথি ম্যাডাম। বহুত ঝগড়াঝাটি হইসে, আসেন ভাব নেই। থাম্বস আপ ভাব। :)

অনেক ধন্যবাদ আপু। আজকের পোস্ট টা একটু অন্যরকম হয়ে গেলো। নানান দিকে কার্ভ করে শেষ পর্যন্ত সবার হাসিমুখ দেখে আমি অনেক খুশি। :)

অগ্রীম ঈদ মোবারক, আর ট্রিটের জন্য পনিপুর সাথে যোগাজোগ রাখবেন। জানিয়ে দেয়া হবে কবে কোথায়।

বাই দা ওয়ে, গিফট না দিলে ট্রীট দিবো না। /:)

৬২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২০

স্বর্ণমৃগ বলেছেন: ওহ...
শুভ জন্মদিন!

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৪৭

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহবুব ভাই। অগ্রীম ঈদ মুবারক। :)

৬৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩১

ইউসুফ খান বলেছেন: নাইস পোস্ট বাডি :)
এন্ড---

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৪৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ওয়ে হয়ে , থাঙ্কু ডিয়ার ব্লগার। এইটা তো তোমার ট্রেডমার্ক হয়ে গেলো। নাইস ...

দেখাহবে শীঘ্রই। ঈদ মুবারক। :)

৬৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৪২

রাশান শাহরিয়ান নিপুন বলেছেন: ১৬ নম্বর মন্তব্যে তামীল০০৯৬ বলেছেন: ... কোন একজন লেখক বলেছেন" নারীদের জন্য আলাদা নারী ক্লাব বা নারী সমিতি নারীদের জন্য অপমানজনক যেমন বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর জন্য গবেষণাগার।

এই খানে আমার নিজের একটা থিওরি আছে।
একটা দেশ বা সমাজের উত্থানের জন্য নারী পুরুষ উভয়েরই সমান ভাবে এগিয়ে আসা জরুরি। আমাদের দেশে মেয়েরা একটু পিছিয়ে আছে। আমরা নারী সমিতি বা নারী ক্লাব বা নারীদের জন্য বাসে আলাদা সিট রেখে নারীদের নারী হিসেবে আলাদা করছি সেই ভাবে না দেখে, নারীদের আমরা এগিয়ে পুরুষদের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য একটু সময় দিচ্ছি, এই ভাবে দেখলে কিন্তু আর কোন ঝামেলাই থাকে না।

এক জন মা যদি দেখেন তার দুই সন্তানের মধ্যে একজন পিছিয়ে আছে, তখন তিনি স্বাভাবিক ভাবেই পিছানো সন্তানকে উঠিয়ে আনার জন্য তার দিকে স্পেশাল নজর দিবেন। তার মানে কিন্তু এই না তাকে তার দিকে নজর দিয়ে তাকে ছোট করা হচ্ছে। তাকে জাস্ট নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য অভয় দেওয়া হচ্ছে।

তন্ময় ভাইকে জন্মদিনের পুনরায় শুভেচ্ছা। :)

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৫৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: এইটা একটা সুন্দর ভাবনা। সবাই যদি এত নাইস করে ভাবতো, আহা, তাইলে দুনিয়াটা কি সুন্দর ই না হতো।

ধন্যবাদ নিপুন ভাই :)

৬৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৪৭

রাশান শাহরিয়ান নিপুন বলেছেন: আমি প্রতিটা কমেন্ট এবং তার প্রতিকমেন্টই পড়ছি। হয়ত কোন কারনে চোখ এড়িয়ে গেছে। :) দুঃখিত।

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আরে দূর, মন্তব্য করে পোস্ট টিকে সচল রাখছেন।

আজকের এই পোস্ট টা কত দিকে কার্ভ নিলো দেখেন। সবার শেষে বার্থডে উইশে এসে থামলো। ভালই লাগছে। :)

৬৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৫০

বেঈমান আমি বলেছেন: হো হো হো হা হা হা কিসের মধ্যে কি পান্তা ভাতে ঘি।ব্রো তিথির আপু কে দেওয়া তোমার রিপ্লাই পড়ে চেনা তন্ময়কে অচেনা লাগলো ;) তিথির আপুকে বলবো আপনি যা বলছে আপনার সাথে সহমত। বিশেষ করে এইটা আজকাল প্রগতির নামে কিছু নারী পশুও বের হয়েছে।
আর দুঃখের বিষয় এরা ডিগ্রীধারী । এরা স্বাধিনতা ও প্রগতিশীলতার নামে অশ্লীলতা করে বেড়াচ্ছে।

কুল ডাউন সিস্টার।

তন্ময় চমৎকার পোস্ট চমৎকার ভাবনা।শুভ জন্মদিন ব্রো !:#P !:#P !:#P !:#P

নামের বড়াই করো নাকো নাম দিয়ে কি হয়?নামের মাজে পাবে নাকো সবার পরিচয় ;) নারীদের নাম তো ছোটোখাটো ব্যাপার এর চেয়ে আরো বড় সমস্যা গুলো দেখতে হবে।নারীদের নিজেকে মানুষ ভাবতে হবে নারী হয়ে থাকলে চলবে না।

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: হা হা, আমার সিরিয়াস পোস্ট উইশে উইশে ভরে গেলো। থাঙ্কু মশা ভাই। দেশে আস, ট্রিট দিবো। :)

৬৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৫১

অনিমেষ হৃদয় বলেছেন: আমার মনে হয় শুধু স্বামীর দিক থেকে ব্যাপারটা দেখলে হবে না, এটা পিতৃপ্রধান সমাজের একটা অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আরো ভালো করে বলতে গেলে , এটা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বৈশিষ্ট।

ধন্যবাদ। :)

৬৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৫২

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: জন্মদিনে অসাধারণ একটা লেখা লিখলেন। দারুণ লাগলো ভাবনা গুলো।


অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল জন্মদিনে। ভালো থাকুন !:#P !:#P !:#P !:#P

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:১০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আরে আমাকে আবার আপনি করে বলছো কেন আপু ।

যাই হোক। অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা আপু। :)

৬৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:১৯

রাহি বলেছেন: শুভ জন্মদিন ভ্রাতা। ভালো থাকুন সবসময়।

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:৩০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাহি ভাই। আপনাদের পাশে থাকতে পেরে আমি গর্বিত। :)

৭০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:২৩

পাতিকাক বলেছেন: happy birthday brother...... !:#P !:#P !:#P !:#P

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:৩০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: েনি মেনি থাঙ্কস ভাইয়া। :)

৭১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:১৭

বাগসবানি বলেছেন: নাম যত না মানুষকে বড় করে, কর্ম তার থেকে তাকে আরও বড় করে । কেউ কারও নাম গ্রহণ করলেই যে তার বশ্যতা স্বীকার করে ঠিক তাও নয়। আপনি যে যুক্তি দিয়েছেন, সেটা আসলে সমাজের এক অতি প্রাচীন এক প্রথা । বর্তমানের নারীরা শুধু সেই প্রথাটাকে চালু রেখেছে । এটা একটা ঐতিহ্য । আপনি যেমন আপনার নামের শেষে বংশীয় নামটা জুড়ে দেন ব্যাপারটা ঠিক সেইরকম । আপনার নামের শেষে এখন যদি ঠাকুর (ট্যাগর) থাকে, তাহলে কি আমি ধরে নিব যে আপনাকে রবী ঠাকুরের মত কবিতা, গল্প লিখতে হবে!!

যাইহোক আপনাকে অনেক অনেক জন্মদিনের শুভেচ্ছা ।

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৪:১৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: বংশের নাম যুক্ত করলে আমি হবো সৈয়দ তন্ময় ফেরদৌস। কিন্ত আমার বউ যদি আমার নামের শেষাংশ নেয় তবে সে হবে, মিসেস ফেরদৌস। দুইটার মাঝে অনেক বড় ডিফারেন্স। আমার আইডেন্টিটি হারাচ্ছেনা, কিন্ত অর্চি থেকে মিসেস ফেরদোউস হয়ে যাওয়ায় তার আইডেন্টিটি হারিয়ে যাবে আমার নামের আড়ালে। কাজেই আপনার উদাহরন টা যথাযত হয়নি। আর ব্যাপারটা বশ্যতা স্বকার করার না ঠিক, এই টা অনেক টা নিজের স্বকীয়তা ধরে রাখার ব্যাপার। যেই ব্যাপার টা নারী স্বাধীনতার ক্ষেত্রে খুব জরুরী। যাই হোক, ভালো হয় আপনি যদি মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যগুলার দিকেও একটু চোখ বুলান।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৭২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:১৮

তামিম ইবনে আমান বলেছেন: শুভ জন্মদিন তন্ময় ভাই

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৪:১৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আরে, মেনি মেনি থাঙ্কস তামিম ভাই। চোখ টিপ দিয়া লাভ নাই, গিফট না পাইলে খাওয়ামু না ;)

৭৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:২৬

এটি এএমডি এর নতুন ফিউশন ট্রিনিটি প্রসেসর বলেছেন: শুভ জন্মদিন !:#P !:#P !:#P !:#P

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৪:১৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: খাইসে, ভাই আপনার নাম তো মারাত্মক। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৭৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:০৪

নিশিতা খান বলেছেন: Happy Birthday :)

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৩৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৭৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:১১

শোশমিতা বলেছেন: শুভ জন্মদিন ভাইয়া !:#P !:#P

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৩৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: নেক অনেক ধন্যবাদ আপুনি।

অগ্রীম ঈদ মুবারক।

৭৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:২৬

সংবাদিকা বলেছেন: শুভ জন্মদিন :)

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৩৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ওহ, অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৭৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:১৩

অবাক-পৃথিবী বলেছেন: শুভ জন্মদিন !:#P

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৫৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

৭৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:০৭

রাসেল মেটামোরফোজ বলেছেন: ভাববার মত বিষয়। তবে আমার স্ত্রীর নামের সাথে নিজের নাম জুড়ে দিইনি।

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৫৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: সেই জন্য আপনার প্রতি সন্মান। ধন্যবাদ ।

৭৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৫

বাকপটু বলেছেন: শুভ জন্মদিন ভাইয়া !:#P !:#P

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৫৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: হেই, থাঙ্কু ভাইয়া।

৮০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৯

আর.হক বলেছেন: পোস্ট পড়লাম কি পড়লাম না তাতে কি আসে যায়.............. শুভ জন্মদিনটা আগে দিয়ে নেঈ

১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৫৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।

৮১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:০৫

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: ভালো লিখসেন।প্লাস নেন।কেক খাওয়ান।

২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: এই নেন, আমার প্রিয় বেলজিয়াম চকোলেট খান।



৮২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:১৪

চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: নারীদের নামের সাথে তাদের বাবা কিংবা স্বামীর নামের অংশবিশেষ থাকলে তাদের কৃতিত্ব বা কর্ম ছোট হয়ে যায় না বলে আমার বিশ্বাস। আর না থাকলেও কোনো ক্ষতি হয় না। আমি এমন দেখেছি যে, একজন নব বিবাহিতা নারী তার নামের শেষে তার স্বামীর নাম ইচ্ছাকৃতভাবে জুড়ে নিয়েছে। আর এটা বেশি দেখা যায় শিক্ষিত সমাজে, যা ইচ্ছাকৃতভাবেই হয়ে থাকে।

বিয়ের আগে একজন নারীর দায়িত্ব তার পরিবারের উপর থাকে। আর আমাদের পরিবারের প্রধাণ কর্তা হয়ে থাকেন- বাবা। এ কারণে সে অবিবাহিত নারী অফিসিয়ালি তার পরিচয় দেয়ার সময় বাবার নাম যুক্ত করেন। আর একজন পুরুষ যখন একজন নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, তখন সেই নারীর দায়িত্ব তার স্বামীর উপর এসে পড়ে। এ কারণে বিয়ের পরে নারী অফিসিয়ালি তার স্বামীর নাম উল্লেখ করেন।

শুভ কামনা তন্ময় ভাই।

২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: হুম, শিক্ষিত সমাজে বেশি দেখা যায়, এইটা সত্য।

তাছাড়া তোমার যুক্তিও হয়তো ঠিক আছে রুমান ভাই। কিন্ত নারী স্বাধীনতা বলে চিল্লাতে চিল্লাতে বিজের দায়িত্ব হাজবেন্ডের হাতে সমর্পন করা টা কি যুক্তিযুক্ত ?

কোন মেয়ের জন্মের পর যদি তার বাবা মারা যায়, এবং তার মা সমস্ত দায়িত্ব নেয়, তাহলে কি মায়ের নামের শেষংস যুক্ত হবে ? হবেনা। এই খানেই তো সমস্যাটা।

শুভকামন রুমান ভাই। :)

৮৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ২:২৮

মামুন হতভাগা বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল জন্মদিনের,অগ্রিম ঈদ মোবারক :)

২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ঈদ মুবারক ভাইয়া। লেট করে ফেললাম। ঢাকার বাইরে ছিলাম তো।

কেমন আছেন ? :)

৮৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা ভালো প্রসঙ্গ নিয়ে লিখছিলেন। তবে চিহ্নিত সমস্যাটা/গুলো খুব হালকা বা অ-জোরালো, ইনসিগনিফিকেন্ট, আমার মতে। বাবা বা স্বামীর নামের একাংশ নিজের নামের আগে-পরে যুক্ত হলেই তিনি স্বকীয়তা হারালেন তা ভাবা বোধ হয় ঠিক না। যে পুরুষ তাঁর নামের সাথে বাবার নামের একাংশ জুড়ে দিলেন তিনি কিন্তু বাবা-নির্ভর হওয়ার/বোঝানোর জন্য এটা করেন না, এটা পরিচিতি বোঝানোর জন্য। এই 'পরিচিতি' ব্যাপারটার জন্য তাঁকে পর-নির্ভর বলা অসমীচীন। পরবর্তীতে এ ব্যক্তি নিজ কর্ম বা কীর্তির দ্বারা সমাজ পরিমণ্ডলে নিজস্ব পরিচিতি ও স্বকীয়তা অর্জন করেন। নিজ পরিচয় দেবার জন্য অন্য একজনের পরিচিতি দেয়ার প্রয়োজন পরে। এটা সমাজ-বন্ধনের ফসল, যা নিয়তি-নির্ভর ও প্রাকৃতিক নিয়ম দ্বারা নিয়ন্ত্রিতও। সমাজটা এরকম যে, জন্মের পর একজন শিশুকে, মানব বা পশু-পাখি, যা-ই হোক না কেন, তাকে মা-বাবার কোলে বেড়ে উঠতে হয়। একটা পাখি দূর থেকে খাবার সংগ্রহ করে আনে বাসায় তার বাচ্চা-পাখির জন্য। পর-নির্ভরতার সূত্র শুরু এভাবে।

নারীদের স্বকীয়তা বা স্বাধীনতা বোধের প্রমাণ পাওয়া যেতে পারে তাঁদের মানসিকতা এবং সমাজ বা ঘর-গৃহস্থালির কাজকর্মের ভিতর দিয়ে। আমরা 'পুরুষ শাসিত' কথাটা বলে থাকি, এ শব্দটার উৎপত্তির পেছনে নারীরাই দায়ী। ক অপর ব্যক্তি খ-কে শাসন করার অধিকার পাবেন তখনই, যখন খ, ক-কে শাসন করার ক্ষমতা হারাবেন, বা যখন খ, ক-কে শাসন করার কোনো ক্ষমতা অর্জনে ব্যর্থ হবেন। নারীরা যদি আদতে কোনোকালে পুরুষ দ্বারা 'শাসিত' হয়েই থাকেন তা তাঁদের ব্যর্থতার জন্যই সম্ভব হয়েছে। শত বছর আগের চেয়ে অধুনার নারীরা কি অধিক স্বাধীনচেতা নন? কিন্তু যদিও আমরা বলে থাকি পেশিশক্তির চেয়ে মেধাশক্তি অধিক শক্তিশালী, তবু পুরুষের 'পেশিশক্তি' একটা বিরাট ফ্যাক্টর। মেধাশক্তি একজন নারীকে একজন পুরুষের চেয়ে সুপিরিয়র গুণাবলিতে অধিক শক্তিশালীরূপে তৈরি করতে সক্ষম। কিন্তু নারীকে শেষাব্দি পুরুষের পেশিশক্তির কাছে পরাস্ত হতে হয়- এটা হলো বাস্তবতা।

একজন নারী যত যশ ও মেধাশক্তিই অর্জ করুন না কেন, তাঁর মনের গভীরতম প্রত্যাশা হলো একজন পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ, এবং পুরুষের কাছে নিজের সবটুকু সমর্পণ করা; সেজন্য 'লাস্যময়তা' অর্জনের লক্ষ্য কাজ করে তাঁর সকল কাজের অন্তরালে।

একজন পুরুষ যে-সব বৈশিষ্ট্য দ্বারা পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা, অ-পরমুখাপেক্ষিতা অর্জন করে থাকেন, একজন নারী যদ্দিন তা অর্জনে সক্ষম না হবেন, ততোদিন তাঁকে ঐ হারে পুরুষ দ্বারা শাসিত হতে হবে। সর্বাঙ্গীন সম-অধিকার অর্জন হবে তখনই।

নর ও নারী উভয়ে ভোগ করুন নির্বিঘ্ন শতভাগ স্বাধীনতা- এ প্রত্যাশা থাকলো।

ঈদ মোবারক।



২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: একটু বুঝার ভুল হয়েছে ভাইয়া। আপনি বলেছেন-

"এই 'পরিচিতি' ব্যাপারটার জন্য তাঁকে পর-নির্ভর বলা অসমীচীন।"

আমি তো পর নির্ভরশীলতার এক মাত্র কারন হিসেবে এইটা বলি নাই। তাদের উদ্দেশ্য করে বলেছি, যারা নারী আন্দোলন করে বেড়াচ্ছেন, তবে নিজের নামের অংশে স্বামীর নাম লাগিয়ে মজাও পাচ্ছেন। এইটা কোন জাজমেন্ট না, জাস্ট অবজার্ভেশন।

"নিজ পরিচয় দেবার জন্য অন্য একজনের পরিচিতি দেয়ার প্রয়োজন পরে। এটা সমাজ-বন্ধনের ফসল, যা নিয়তি-নির্ভর ও প্রাকৃতিক নিয়ম দ্বারা নিয়ন্ত্রিতও।"

তাহলে পুরুষের বেলায় এই নিয়ম নাই কেন ? তাছাড়া একবার বাবার নাম, একবার স্বামীর নাম, তাহলে তার নিজের পরিচয়ে থাকলে সমস্যাটা কোথায় ? একজন নারীর পরিচয় টা তার নিজের কর্মের উপরি ডিপেন্ড করে, তার স্বকীয়তাও। কিন্ত তাহলে বারবার তা পরিবর্তন হয় কেন ? এই পরিবর্তনের ফলে কি তার নিজের কর্ম পরিচয় টা ঢাকা পড়ে যাচ্ছেনা ?

আপনি আরো বলেছেন- "'পেশিশক্তি' একটা বিরাট ফ্যাক্টর। কিন্তু নারীকে শেষাব্দি পুরুষের পেশিশক্তির কাছে পরাস্ত হতে হয়- এটা হলো বাস্তবতা।"



তাহলে বলতে হয়, যেই যুগে শুধুমাত্র একটা সুইচ জালিয়েই অন্ধকার ঘরকে আলোকিত করা সম্ভব, সেইখানে সুইচটা কি ছেলের আঙ্গুলের টিপে হয়েছে, নাকি মেয়ের আঙ্গুলের টিপে হয়েছে, তা কোন ফ্যাক্টস নয়। পেশীশক্তির দিক দিয়ে পুরুষ শক্তিশালী, মানলাম। কিন্ত তাতে কি হয়েছে ? এইটা তো ১৯২০ সাল নয় যে পেশীশক্তি দিয়ে নারীকে দাবিয়ে রাখা হবে। পাহাড়ি এলাকায় আদিবাসিরা যে জুম চাষ করে, তা কিন্ত মেয়েরাই করে। পুরুষগুলো দেখে ঘর সংসার। আমি বলছিনা, এটাই হয়া উচিত, আমি বলছি- পেশীশক্তি এই বিজ্ঞানের ও প্রযুক্তির যুগে কোন বড় ব্যাপার নয়।

" ক অপর ব্যক্তি খ-কে শাসন করার অধিকার পাবেন তখনই, যখন খ, ক-কে শাসন করার ক্ষমতা হারাবেন, বা যখন খ, ক-কে শাসন করার কোনো ক্ষমতা অর্জনে ব্যর্থ হবেন"

ভাইয়া, কেউ কাওকে শাষন করতে হবে কেন ? একজন কে কেন ডমিনেটিং হতে হবে ? দুইজনেই সমান থাকলে কি হয় ? কেউ কাওকে শাষন করতে না চেয়ে সহাবস্থান করাটাই কি বেশী যুক্তিযুক্ত নয় ?

"একজন পুরুষ যে-সব বৈশিষ্ট্য দ্বারা পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা, অ-পরমুখাপেক্ষিতা অর্জন করে থাকেন, একজন নারী যদ্দিন তা অর্জনে সক্ষম না হবেন, ততোদিন তাঁকে ঐ হারে পুরুষ দ্বারা শাসিত হতে হবে। সর্বাঙ্গীন সম-অধিকার অর্জন হবে তখনই। "

এ কথাটা বেগম রোকেয়াও বলেন। নারীদের পিছিয়ে রাখে নারীরাই। কাজেই তারা এগিয়ে যেতে হলে তাদেরি উঠে দাড়াতে হবে।

"নর ও নারী উভয়ে ভোগ করুন নির্বিঘ্ন শতভাগ স্বাধীনতা- এ প্রত্যাশা থাকলো।"


এই প্রত্যাশা আমাদের সকলের। কারন, নারীরাতো আমাদেরি মা, বোন, স্ত্রী। তাদের অধিকার ক্ষুন্ন করা কোন ভালো কাজ নয়।

ঈদ মোবারক ভাইয়া। আপ্নাকেও শুভকামনা। :)


৮৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৩৯

দূর্যোধন বলেছেন: জন্মদিনের বিলম্বিত শুভেচ্ছা,তন্ময়!

একই সাথে ইদের আগাম শুভেচ্ছাও ;)

২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার । আপনাকেও ঈদ মুবারক, স্যরি, লেট হয়ে গেলো। :|

পোস্ট বিষয়ক কোন মতামত দূর্যোদা ?

৮৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:৩৬

স্বাধীনতার বার্তা বলেছেন: জ্ঞানী পোস্ট।

নাম নিয়ে অনেক কিছু লেখলেন। আমার কাছে খালি এটা একটা ট্র্যাডিশন মনে হয়। আমি নিজেও তো আমার বাবার দেয়া নামে আটকা পোড়ে গিয়েছি। :-/ :-/ :P :P

ঈদ মোবারক। :)

২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ঈদ মোবারক ভাইয়া।

নাম হোক যাই তাই, কর্ম হোক ভালো। :)

৮৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৪৭

লেডি বার্ড বলেছেন: ঈদ মোবারক :)

২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ঈদ মোবারক, লেডি বার্ডকেও অনেক দিন পর দেখলাম। :)

৮৮| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:১৭

শিপন মোল্লা বলেছেন: তন্ময় ভাই চমৎকার একটি বিশ্লেষণ ধর্মী লিখা আজ পোস্ট করেছেন ভারি ভারি এ কথা গুলো অনেক অর্থ বহন করে তার বিশ্লেষণ করার সামর্থ্য আমার নেই। তবুও কিছু বলতে ইচ্ছে করছে, খুব মন দিয়ে আমি আপনার লিখা গুলি সব সময়ই পরে থাকি। আপনার এই পোস্টে বাগ মামা সহ অনেকেই খুব সুন্দর করে বিশ্লেষণ করেই মন্তব্য করেছেন যা আপনার পোস্টের সুন্দরয্য বাড়িয়ে দিয়েছে।

তন্ময় ভাই আমার মনে হয় কি এই বিতর্কের শেষ হবেনা কখনই আর এর সমাধানও হবে না কখনোই। আমার ধারনা মানুষ মাএই যার যার সুবিদা থেকেই পরিচয় বহন করে থাকে। গ্রামের যে নারীটার রেফারেন্স দিয়েছেন হয় তো আপনার কথাই ঠিক কিন্ত আমার মনে হয় তার এই ব্যাপারে কোন হেডিকই নেই।

পাশ্চাত্য বাসীদের নারী অধিকারের যথেষ্ট বলিষ্ঠ কণ্ঠ শোনা যায়, কিন্ত সত্য কথা হল এই যে, পাশ্চাত্যবাসী নারী অধিকার নামে নারীকে শুধু উলঙ্গই করেছে। এছাড়া আর কোন অধিকার তারা দেয়নি। আমাদের দেশেও তথাকথিত প্রগতিশীল ও সুশীল সমাজও নারী স্বাধীনতার নামে কিছুই দিতে পারেনি শুধু ক্যাচালই করে। অথচ আমার ধর্ম ইসলাম নারীকে শুধু সম্ভ্রম এবং সম্মানই রক্ষা করে নাই তাকে সমাজে একজন সম্মানিতা এবং মানানসয়ী স্থান দিয়েছে। মা হিসাবে তাকে পিতার চেয়েও অধিক ভাল আচরন পাওয়ার অধিকার দিয়েছে। স্ত্রী হিসাবে তার জন্য আলাদা অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছে। মেয়ে ও বোন হিসাবেও তাকে তার অধিকার দেওয়া হয়েছে। যদি সে বিধবা হয় তাহলে সে ক্ষেএেও তার অধিকার দেওয়া হয়েছে। যদি তালাক প্রাপ্ত হয় তাহলে সে ক্ষেএেও তার অধিকার দেওয়া হয়েছে। আমার ধারনা যদি ইসলামকে সঠিক ভাবে এ সমাজ মেনে নিতে পারে তবেই এর সমাধান সম্ভব।

উন্নতী ও অগ্রগতি সম্পন্ন এবং মুক্ত চিন্তার প্রগতিশীল পাশ্চাত্য সমাজ কি নারীকে এ অধিকার দিতে প্রস্তুত আছে ?


ঈদ মোবারক আপনাকে। শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছাও নিবেন।

২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আমি এই পোস্টে ধর্মের ব্যাপার টা সচেতনভাবেই এড়িয়ে গিয়েছি।

ইসলাম নারীকে পূর্ন সন্মান দিয়েছে এই ব্যাপার টা মানতে পারলাম না। সময়ের অভাবে বিস্তারিত আলোচনায় গেলাম না, আপাতত শুধু ইসলামে নারীর ডেস্ক্রিমিনিশন নিয়ে কয়েকটা কোট করি।

নিসার তিন নাম্বার আয়াতে আছে পুরুষের বহুবিবাহের অধিকার আর 34 নাম্বার আয়াতে আছে প্রহারের অধিকার। সেগুলো এখানে পুনরুল্লেখ করলাম না। নিসার 11 নাম্বার আয়াতে পুরুষ সন্তান ও মেয়ে সন্তানের মধ্যে যে পার্থক্য করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীতে অনেক মুসলিম নারী সংগঠন আন্দোলন করছে। তাদের বক্তব্য একটাই পিতার কাছে সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় বড় হতে পারে না। কিন্তু কোরানে নারীর প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য আছে আরো অনেক আয়াতেই। হতে পারে এর একটি কারণ কুরাইশরা যে তিনটি দেবীর পূজা করতো সে তিনটি দেবী নারী ছিলেন। পুরুষের তুলনায় নারী যে নীচু তা বুঝা যায় অনেক আয়াতে (যেমন: 4.117, 43.15-19, 52.39, 37. 149-50, 53. 21-22, 53. 27)। তবে সেগুলো হয়তো সুক্ষম।

সুরা নাহল- আয়াত ৪৩ (১৬:৪৩), সুরা হজ্ব আয়াত ৭৫ (২২:৭৫) এ?
নারীকে কোনদিন নবী-রসুল করা হবে না।

সুরা ইউসুফ, আয়াত ১০৯-(১২:১০৯) তেও একই কথা:
আপনার পূর্বে আমি যতজনকে রসুল করে পাঠিয়েছি, তারা সবাই পুরুষই ছিল জনপদবাসীদের মধ্য থেকে, আমি তাঁদের কাছে ওহী প্রেরণ করতাম।

এবং সিদ্ধান্ত দিয়েছে সুরা আল্ আনাম আয়াত ৯ (৬:৯):
যদি আমি কোন ফেরেশতাকে রসুল করে পাঠাতাম, তবে সে মানুষের আকারেই হত। এতেও ঐ সন্দেহই করত, যা এখন করছে।

আরো রেফারেন্স দেই,

সহিহ্‌ মুসলিম, বই ৩১ হাদিস ৫৯৬৬:
আবু মূসার বর্ণনা মতে নবী (দঃ) বলেছেন: “পুরুষদের মধ্যে অনেকেই ত্রুটিমুক্ত কিন্তু নারীদের মধ্যে কেউ-ই ত্রুটিমুক্ত নয়, কেবল ইমরানের কন্যা মেরী এবং ফারাওয়ের স্ত্রী আয়েশা ছাড়া”।

কায়েস ইবনে সা’দ বলছেন, ‘‘নবী (দঃ) বললেন: “আমি যদি কাউকে কারো সামনে সেজদা করতে বলতাম, তবে মেয়েদের বলতাম তাদের স্বামীদের সেজদা করতে। কারণ আল্লাহ স্বামীদের বিশেষ অধিকার দিয়েছেন তাদের স্ত্রীদের ওপরে”।

এই কোটেশনগুলা পড়ার পরো কি আপনার মনে হয় ইসলাম নারীকে পুরুষদের সম অধিকার দিয়েছে ?

পরে সময় পেলে বিস্তারিত আলোচনায় আসা যাবে। শুধু ইসলাম নয়, কোন ধর্মেই নারীর অধিকার নিশ্চিত করা হয় নি।

ধন্যবাদ।

৮৯| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৫০

আরজু পনি বলেছেন:

ঈদের শুভেচ্ছা রইলো তন্ময় !:#P

২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আমি লেট করে ফেলেছি।

তোমাকেও ঈদ মোবারক আপু। :)

৯০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৪৫

রুপ।ই বলেছেন: ঈদ মোবারক, শুভেচ্ছা রইল জন্মদিনের যদিও সব ব্যাপারেই লেইট। এই ব্যাপারটা আমাকে পীড়া দেয় , নারী শিশুর নাম পুরুষ শিশুরই মত প্রথমেই পরিবার থেকে রাখা হয় যেখানে তার কোনো হাত থাকে না । বিয়ের পর নারী তার নামের কিছু অংশ পরিবর্তন করে, কেন ? কেউ কেউ নিজ ইচ্ছায় পরিবর্তন করেন কেউবা পারিবারিক সুক্ষ্ম চাপে করেন, কিনত্ত নিজের আইডেনটিটি গরে তুলতে পারলে এই সব খুবই নগন্য ব্যাপার । নামের প্রথমাংস ব্যাবহার করা যায় যদি পরের অংশটি নিয়ে অসস্তি থেকে থাকে ।


সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই এর সাথে আমি একমত।

২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: বিয়ের পর নারী তার নামের কিছু অংশ পরিবর্তন করে, কেন ? এই প্রশ্ন আমার নিজেরো। আইডেন্টিটী গড়ে তুলতে হলে এই ব্যাপারগুলো নগন্য না হলেও মূখ্য নয়। কারন জিনিস্টা হেজেমনিক ভাবে নারীদের মাথায় ঢুকানো হয়। নিশ্চই জানেন, হেজেমনি থেকে বের হয়া অনেক কঠিন। ধীরে ধীরে কাজ করলেও এই ধারনা মেয়েদের মনে গেথে গেলে তা উন্নতির অন্তরায় তো বটেই।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৯১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৫১

মুহিব বলেছেন: আমি একজনকে ক্যামিষ্ট আন্টি বলে ডাকতাম যার হাজবেন্ড ক্যামিষ্ট ছিলেন।

২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: =p~ =p~ =p~

৯২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:২০

সমাধান ও সমাধি বলেছেন: লেখাটা পছন্দ হল। মনের এলোমেলো একই রকম ভাবনা গুলো অন্য কেউ গুছিয়ে লিখে দিলে মন্দ হয় না। B-)

২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আরে, সুপ্রিয় নাকিরে ?? আছিস কেমন ?

থাঙ্কু দোস্ত। মাঝে মাঝে কিছু জিনিস মাথায় চলে আসে, তখন পোস্ট প্রসব করে দেই, আর পাঠকদের ভাবনায় ফেলে দেই। হা হা। অনেকেই কিন্ত দ্বিমত পোষন করছে দেখ, কিন্ত এইটাই ব্লগের মজা।

ভালো থাকিস। :)

৯৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৩১

tanbir10 বলেছেন: তিথির অতিথি,৫২,৬৪এবং ৮৪ নং কমেন্টের সাথে পুরোপুরি একমত। পাশাপাশি কিছু বিষয় মনে হলো-
১. এটি মনে হয়না আমাদের দেশের মেজর সমস্যা, আমি খুব অল্প পরিবারেই এটি দেখেছি- বিয়ের পরে মিসেস অমুক...
২.গ্রামের মেয়েদের যে উদাহরণ দিয়েছেন তার সাথে একমত, তবে মনে হয় একটু তথ্য বিভ্রাট আছে, আমেনা খাতুন সব সময় আমেনা খাতুন থাকে না, বিয়ের পর আমেনা বেগম হয়ে যায়। খাতুন সাধারণত অবিবাহিতদের নামে ব্যবহৃত হয়, বেগম বিবাহিতদের । এমনটাই আমাদের এলাকার কালচার। অন্য এলাকায় আলাদা কিনা জানা নেই।
৩. আমার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে, যখন সম অধিকার নিয়ে কথা হয় তখন নারী-পুরুষের মধ্যে একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ অবস্থা দেখা যায়, কিন্তু যখন শুধু নারী অধিকার এর কথা উঠে তখন কেন জানি একটা প্রতিদ্বন্দীতাপূর্ণ অবস্থা দেখা যায়। এর কারণ কী বলে মনে করেন?
৪. উপরের সবগুলোই আমার স্বল্প অভ্জ্ঞতা ও জ্ঞানের বাড়াবাড়ি রকম ভাবনা, সুতরাং খুব সিরিয়াস ভাবে না নেওয়াই ভাল।

২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: তিথি আপুকে তার সব কমেন্টের উত্তর দেয়া হয়েছে। দেখতে পারেন।

১) এটা আমাদের দেশের মেজর সমস্যা নয়। একমত, তবে ব্যাপারটা চিন্তা করার মত।

২) আমেনা খাতুন আমেনা বেগম হলে তো আইডেন্টিটি ক্রাইসিস হচ্ছেনা, তবে আমেনা বেগম না হয়ে যদি মিসেস রফক হতো, তাহলে ?

৩) কারন, পুরুষ তান্ত্রিকতা থেকে আমরা বের হতে পারিনা, আর নারীরাও সুষম অধিকারের বদলে সম অধিকারের আন্দোলন করতে গিয়ে সব কেচে ফেলে। সম্ভবত পেশিশক্তির ব্যারটা আমরা ভুলতে পারিনা। সেই সাথে নিজেদের ডমিনেটিং যায়গাটাও আমরা মনের ভিতর থেকে ছাড়তে পারেনা। নারী অধিকারের মধ্যে পুরুষ শব্দটা এসে পড়লেই যত সমস্যা।

৪) গঠন্মূলক সমালোচনা ভালো পাই। আমি নিজে যে ১০০% সঠিক তাতো না, তাই তো আপনাদের সাথে শেয়ার করা। কাজেই আপনার ভাবনাগুলা জানতে পারলেও আমার নিজের ভাবনাকে জাস্টিফাই করার সূযোগ পাই।

ধন্যবাদ বস।

৯৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৫৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ভাল বলেছেন :)

২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। :)

৯৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪৭

নিশাচর ভবঘুরে বলেছেন: অসাধারণ। তন্ময় ভাই, তোমার পোষ্ট মানেই ব্যাতিক্রম কিছু আলোচনার জায়গা।
সবার কথাগুলো পড়লাম। আমি মনে করি সমস্যাটা অন্য জায়গায়, মানসিকতায়। আমি আরজু আপুকে আপুই বলবো ভাবী নয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক উনাকে ভাবী বলছেন। পার্থক্যটুকু কোথায় আন্দাজ করতে পারছেন?

আমি আপু বলাতে অভ্যস্ত। তাই যেকোন নতুন পরিচয়ের নারীকে আপু/আন্টি বলতে পারি। একজন চাকুরীজীবী তার অফিস কলিগের বউকে ভাবী বা আশেপাশের পরিচিতজনের বউকে ভাবী বলতে বলতে অভ্যস্ত। সে তার অভ্যাসের বশে যেকোন নারীকে ভাবী বলাটাই স্বাভাবিক।

নারীকে তার প্রাপ্য অবশ্যই বুঝিয়ে দিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সভা সেমিনারগুলোতে বা আলোচনায় নারীকে ডেকে ডেকে তাদের অধিকার বুঝাতে হবেনা। সব নারী জানে তাদের অধিকার কি, তাদের চাওয়াটুকু কি। তাই তাদের নিয়ে না ভেবে বরং তাদের অধিকার বঞ্চিত করা পুরুষগুলোকে ডেকে ডেকে সভা-সেমিনার করা উচিত। তাদের বুঝানো উচিত নারীর অধিকারটুকু থেকে নারীকে যেন বঞ্চিত করা না হয়।

পদবী আসলে কেন দেওয়া হয়? এটার ব্যাপারে আমি একটা সমাধান আন্দাজ করতে পারি। আমি আমার বাবার সন্তান। তার সম্পত্তিতে আমার অধিকার আছে। তাই তার নামে আমার পরিচিত হতে চাওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তেমনি একজন নারী তার স্বামীর সম্পদের অধিকারিণী। তাই সে তার স্বামীর পদবী ব্যাবহার করতেই পারে।


সবচাইতে বড় কথা হলো কর্পোরেট এই দুনিয়ায় এখন মালিহার চেয়ে মিসেস জামানের প্রতি বাইরের মানুষদের শ্রদ্ধাবোধ বেশি। এটাতে একটা সন্মানজনক দূরত্ব তৈরী হয় অন্যদের সাথে।

ভালো থাইকো।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: তোমার লাস্ট প্যারাটাই সব কতাহ বলে দেই। সুদীর্ঘ ও সুন্দর মন্তব্যের জনইয় অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার এই পোস্ট টা যতটা না অবহেলিত নারীদের প্রতি, তারচেয়ে বেশি প্রগতিশীল নারীদের জন্য। কারন, তারাই নারী অধিকারে সোচ্চার, অথচ ভিতরে ভিতরে রেপ হয় নিজ স্বামীর কাছে। ধারন করে স্বামীর আইডেন্টিট।

আবারো ধন্যবাদ ভবঘুরে ব্রো।

৯৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার এই বিশ্লষনধর্মী লেখার সাথে প্রথমে 'চুলকানি' জাতীয় শব্দ ব্যাবহারটা ঠিক মানায়নি।
বিষয়বস্তু আমার অনেক ভাবনার সাথে দারুনভাবে মিলে গেল।
সহমত পোষন করছি।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৭

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আরে, প্রিয় ব্লগার তপন ভাই কে দেখে অনেক খুশি হলাম।

আসলে চুলকানি শব্দটা উল্লেখ না করলেই হয়তো ভালো হত, কিন্ত কিছু পাঠক আছেন, যারা যুক্তি তর্ক বা মূল থীম না বুঝে খামোখাই পেচায়। তাদের উদ্দেশ্যেই বলা।

রাশিয়ার নারীরা কটা অধিকার সচেতন ? আপনার কাছে এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাই। অবশ্য কিছুটা ধারনা পেয়েছি আপনার একটা পোস্ট থেক।

ভালো থাকবেন ভাইয়া।

৯৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৩৭

আফসিন তৃষা বলেছেন: আপনার চিন্তাটা ভালো। সহমত। তবে জন্মের সময় নামকরণের উপর তো আমাদের কোন হাত থাকেনা। আমার মতে কখনোই কারো নামেই টাইটেল থাকা উচিত না। সে বড় হবে নিজের নামে। যেমন ধরেন- তমুক পিএইচডি :)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৫৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে তৃষা। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.