নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুনোমানুষের ব্লগে স্বাগতম

© তন্ময় ফেরদৌস

তন্ময় ফেরদৌস

একি আজব কারখানা...

তন্ময় ফেরদৌস › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন থেকে নেয়া...

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৪





একটু বড় হলেও পোস্ট টা পারলে পুরোটা পড়ুন। শুনেছি দুখ শেয়ার করলে নাকি কমে যায়। তাই আমার কিছু কথা শেয়ার করা। আপ্নারা আমার মনটা এক্টু হালকা করে দিবেন ?





আমার মন টা অসম্ভব খারাপ। অনেক ফ্রেন্ড কেই হারিয়েছি আমি এই জীবনে। সময় থেমে থাকেনা। "একটি ফটোগ্রাফ" এর মত হয়তো সেই স্মৃতিগুলোও মলীন হয়ে যাবে। গতকাল আমার এক ফ্রেন্ড আত্মহত্যা করেছে। জানিনা, তাকে কাপুরুষ বল্বো, নাকি সাহসী বল্বো। আমার জীবনেও এমন কিছু পরিস্থিতি গেছে, যখন চোখের সামনে শুধুই একটা ব্লেড, বা একগাদা স্লিপিং পিল চোখে পড়তো। সে কি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলো তাও আমার অজানা নয়। তবে তার অকাল মৃত্যু আমাকে নাড়া দিয়েছে । আমার লাইফ টা হটাত ফ্লাশব্যাকের মত উপস্থিত হয় আমার সামনে। সেই সময়টাকেই বন্দী করার চেষ্টা করছি এই পোস্টে। অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন, আমার পরিবার বন্ধুবাধবের সাথে সেই ছেলেটার সম্পর্ক কোথায়, বলবো যথাসময়ে।





আপনাদের অনেকের সাথেই আমার ব্লগিয় পরিচয় অনেক দিনের। আবার কারো সাথে শুধুই ভার্চুয়াল পরিচয়। আজ কেন যেন আমার পরিবারের সব মেম্বারদের কথা শেয়ার করতে ইচ্ছা করছে। আপ্নারাও শেয়ার করতে পারেন আপনাদের ভালোলাগা খারাপ লাগা, পরিবার ও প্রিয় মানুষদের কথা। ব্লগার বন্ধুদের সাথে না হয় আরেকটু দৃড় হোক বন্ধন।



আমার পরিবার টা বেশ অদ্ভুত কিসিমের। ভালো রকমের ধার্মিক, কিন্ত এট দা সেইম টাইম সংস্কৃতিমনা। টিপিকাল, আবার একই সাথে মডার্ন। উদাহরন দেয়া যাক, একটা সময় ছিলো যখন আব্বুর রাতের কোরান শরিফ পড়ার জন্য টিভি দেখতে পারতাম না। কি টিপিকাল ধার্মিক ! আবার সেই বাবা মার মুখের কথাই হচ্ছে, তারা নাকি আমার বিয়ের পর আলাদা হয়ে যাবে। কারন আমার বউ হয়তোবা অনেক মডার্ন হবে য, যে কারনে যৌথ ফ্যামিলি তার কাছে ভালো নাও লাগতে পারে। এই কথাটা সাধারনত ছেলেরা বলে প্যারেন্টসদের, আর আমার বেলার আমার প্যারেন্টস রা বললো আমাকে। আমার কোন গার্লফ্রেন্ডদেরি আমার বাসায় আসার ব্যাপারে কোন বিধিনিষেধ ছিলোনা। দীর্ঘ ৬ বছরের রিলেশন এক মেয়ের সাথে। এমনো হয়েছে, আমি বাসায় নেই, সে এসে আম্মু আব্বুর সাথে গল্প গুজব করতো। ছেলে আর মেয়ে ফ্রেন্ডের মাঝে তারা কখনো ডেস্ক্রিমিনেট করেনি। তাহলে তাদের মডার্ন বল্বোনা ?







ছবিঃ আম্মু আর আমার বেস্টেস্ট ফ্রেন্ড হৃদি।







আমার মনে পড়ে ছোটবেলা থেকেই বাবা আমাকে কোন কিছুতে প্রেশার করতো না। যেহেতু কলোনীতে থাকতাম, তাই প্রতিদিন বিকাল বেলাতেই ক্রিকেট খেলতাম। সন্ধার এক্টু আগে আব্বু বাসা থেকে নামতেন দুইটা টুপি নিয়ে। একটা নিজে পরতেন, আরেকটা আমাকে দিয়ে বলতেন," টুপিটা পরে ফেল দেখি", এই কথার পর আর নামাযে না গিয়ে উপায় থাকতো না। সুইট একটা এপ্রোচ। আস্তে আস্তে বড় হবার সাথে সাথে সোশিওলজি আর ফিলোসফির বিভিন্ন বই পড়তে পড়তে কিছুটা মুক্তমনা হয়ে গেলাম। যাকে বলা যেতে পারে নাস্তিক। মজার ব্যাপার হচ্ছে , এই নিয়েও আব্বুর সাথে অনেক আলোচনা হতো। তিনি আমার ব্যাক্তিগত অপিনিয়ন কে কটাক্ষ করে কোন কথা বলেন নি। বরং বলেছে, আরো পড়। যুক্তির সাথে বিশ্বাসের তাল্গোল পাকিয়ে ফেলো না।



আরেকটা ঘটনা শেয়ার করি, আমি তখন নতুন নতুন সাইন্সের মজা পেয়েছি। একদিন আব্বুকে প্রশ্ন করলাম, "আচ্ছা আব্বু, আমি যদি কোরানের পাতায় একটা তারের পজেটিভ বসাই আর দোতলা থেকে তারের নেগেটিভ প্রান্ত পায়ে লাগাই, তথলে কি গুনাহ হবে ?" কি বদ ছিলাম চিন্তা করেন। য়াব্বু শান্ত ভিঙ্গিতে উত্তর দেয়, "বাবা, তোমার উউদ্দেশ্য যদি হয় কোরান কে অপমান করা তাহলে তুমি লাথি মার আর তার দিয়ে পা লাগাও, একই কথা। আর যদি ইন

টেনশনালি নাহয়, তাহলে আমার মনে হয়, পা লেগে গেলেও সেটা অপ্রাধ হবেনা। কারন কোরান শরীফ কে সন্মান দেখানোটাই আসলে মুল কথা। এই যে দেখ, জামাত শিবিরের নিকৃষ্ট মানুষজন কোরারন কে সামনে রেখে মিছিল করে, কোরান কে বা ইসলাম কে ইউজ করে পলিটিক্যাল উইপন হিসেবে, তাদের কি আসলে ক্ষমা করা যায় ? মনে রেখ- যদি বিশ্বাস করতে চাও কোন কিছু, তা বুকে ধারন কর। আর একটা কথা, রাজাকার মাত্রই নিকৃষ্ট জীব, এদের থেকে সাবধান। এদের জন্য ঘৃনা ছাড়া আর কিছুই রেখো না। সেই আমার ছাগুদের বিরুদ্ধে প্রথম পাঠ।







ছবিঃ আমার আব্বু



আমার দাদু ছিলেন একজন কোরানের হাফেজ। অথচ তিনি মরার আগেও বিড়বিড় করে রবীন্দ্রনাথের সোনার তরী কবিতাটা শোনাতেন আমাদের। সাধারন এক গ্রাম্য বৃদ্ধার মুখে রবীন্দ্রনাথের কবিতা আমাকে অবাক করে দিতো। আর দাদা ছিলেন একটা মশজিদের মুয়াজ্জিন। আমি সম্ভবত একজন এরাবিয়ান ধর্মপরাচকের বংশধর। তার ৭ম জেনারেশন। কাজেই ধর্ম জিনিস টা আমাদের পরিবারের সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িত।







ছবিঃ আমার দাদু আর ছোট বোন ফারিহা





আমাদের ফ্যামিলির একটা ট্রেডিশন হচ্ছে- যে কোন একজন আরবীতে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য বাইরে পড়তে যাবে। আমার একটা কাজিন ফিয়েছিলো মিশরে। আমার ছোট ভাইটাও কিন্ত একজন কোরান হাফেজ। সম্ভবত তাকেও মিশরের আল আজাহার বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ইউনিভার্সিটি অফ তেহরানে পাঠিয়ে দেয়া হবে। ওর হাফেজি শেষ হয় বেশ অল্প বয়সে। আমি তখনো ভেটো দিয়েছিলাম। কিন্ত এখন দেখি, ও আর অন্য ১০ জনের মত নয়। সে কোরান পড়ে, কোরানের উপর গবেষোনা করে, এর বাংলা ও ইংলিশ অনুবাদ রেগুলার স্টাডি করে। সে নাকি মজাই পায় এতে। হাফেজ রা অনেক দুষ্ট হয় এবং পরে হাফেজি ছেড়ে দিয়ে নানান অপকর্মে লিপ্ত হয়, এই ধারনা আমার ভেঙ্গে যায় আবীর (আমার ছোট ভাই) কে দেখে।



আমি অন্যন্ত গর্বিত, একজন মাদ্রাসার ছাত্র হয়েও সে, সংসকৃতিমনা। সে ভালোবাসে রবীন্দ্রনাথ, নজ্রুলের কাব্য। সে দস্তয়ভস্কির বই পড়ে আবার হুমায়ুন আজাদের বই ও পড়ে। সে প্রায় সময় আমাকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে প্রশ্ন করে। সে জানতে চায়, সে ব্লগ পড়ে, সে আসিফ মহিউদ্দীনের লেখা পড়ে। অবাক হয়ে দেখলাম সে আসিফ মহিউদ্দিনের লেখার সমালোচনা করলেও অনেক আগ্রহ নিয়ে পারভেজ আলমের বিষলেষন ধর্মী লেখাগুলো পড়ে। না বুঝলে আমাকে জিজ্ঞেস করে। একদিন দেখলাম মারামারি করে এসেছে স্কুল থেকে। বল

লো, তাকে নাকি শিবিরে জয়েন করানোর জন্য অনেক চেষ্টা চালিয়েও ব্যার্থ হয়ে শিবিরের ছেলেরা তাকে পিটিয়েছে। স অবশ্য ছেড়ে কথা কয় নি। তার ইতিহাস ও রাজনিতী সচেতন সত্তা দিয়ে সে টিচারদের ফেভারে চলে আসে।



আমার এই ভাইটা কিন্ত তাইকোয়ান্ডোর ন্যাশ্নাল প্লেয়ার। ইন্ডিয়ার এক ছেলের সাথে প্রতিযোগিতায় সে একটা ১৬০ ডিগ্রি কিকে নক আউট করে দিয়েছিলো। সে একটা কম্পিউটা্র পুরাটা প্ররটস টু পার্টস খুলে আবার এসেম্বেল করতে পারে।







ছবিঃ আমার ছোট ভাই আবীর





এত কথা তাকে নিয়ে বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনাদের একটা ধারনা দেয়া আমার পরিবার সম্পর্কে। এই পরিবারে এক একজন সদস্য এক এক রকম। সবার আঝেই দৈত সত্তার একটা ছায়া দেখা যায়। আমি অনেক আদর করি আমার এই ভাইটাকে, কিন্ত কখনো বুঝতে দেই না। যদিও আমরা দুই ভাই অনেক ফ্রি এন্ড ফ্রাঙ্ক।



আমার আম্মুর বিয়ে হয়ে যায় ইন্টারের পরেই। কিন্ত আব্বু তাকে অনার্স মাস্টার্স করায় ডি ইউ থেকে। বি এড এম এড দেয়ায়। তার শিক্ষকতার চাকুরিকে কখনই বাধা দেয় নি, বরং রাতের পর রাত শিক্ষার্থিদের খাতা দেখে গেছে। আম্মু কবিতা আবৃত্তি করে। জীবনে প্রথম "কেউ কথা রাখেনি" কবিতাটা আই শুনি আম্মুর কাছ থেকে। সেইখান থেকেই হয়তো আমাদের ভাইবোন দের মাঝে অবচেতনভাবেই একটা সংস্কৃতিমনা ভাবনা ঢুকে গেছে।







ছবিঃ আমার আম্মু





আর ছোট বোনটা র কথা কি বল্বো। সে আমাদের দুই ভাইয়ের অনেক আদরের। নতুন নতুন রান্না করে আমাদের খাওয়ানোটাই তার প্রধান হবি। সেও ছবি আকে, গান গায়। সুইট একটা বোন আমার।







ছবিঃ আমার ছোট বোন ফারিহা





আমরা যখন ডিনারে বসি, তখন নানা রকম কথা হয় সমাজ, রাজনীতি, ধর্ম অনেক কিছু নিয়েই স্বাভাবিক ভাবেই আব্বু আর আবীর থাকে এক পক্ষে। অপরদিকে আমি একা, যেহেতু আমি কিছুটা নাস্তিক মাইন্ডের। আম্মু বসে বসে আমাদের তর্কাতর্কি দেখে। আর ছোট বোন টা বসে বসে ফিক ফিক করে হাসে। তবে কখনই আমরা কেউ কারো অপিনিয়নে যুক্তি ছাড়া কটাক্ষ করিনি।





আমার মেডিকেলে চান্স পাওয়াটা ছিলো সবার জন্য বিরাট খুশির কেটা ব্যাপার। আসলে আমার কোন ইচ্ছাই ছিলোনা, বাট গার্লফ্রেন্ডের ডিমান্ড, সেষ পর্যন্ত ফরিদপুর মেডিকেলে ভর্তি হলাম। পেলাম অবাধ স্বাধীনতা। এবপং সঙ্গতভাবেই স্বাধীনতার মূল্য দিতে পারলাম না। নষ্ট হয়ে গেলাম, জড়িয়ে পড়লাম ছাত্র রাজনীতিতে, গার্লফ্রেন্ডের সাথে তখন কমিউনিকেশন গ্যাপ, আমার মাসিক ইনকাম তখন অনেক। ড্রাগস আর বন্ধুদের পিছনেই উড়াতাম সব টাকা। সারাদিন ড্রাগস, আর সারারাত নকচারনাল জীবনে আটকে গিয়েছিলাম। জড়িয়ে পড়েছিলাম ভয়াবহ মেডিকেল কলেজের ইন্টারনাল পলিটিক্সে। ছাত্রদের উন্নয়নের কথা ভাবতে গিয়ে আন্দোলন শুরু করি ছাত্র সংসদের জন্য। চেয়েছিলাম জামাত শিবির মুক্ত একটি মেডিকেল কলেজ। কিন্ত অবাক হয়ে দেখলাম শেষ সময়ে আমি একেবারে একা। একজন ও ছিলোনা আমাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য। অথচ পুরা স্ট্রাইক টাই করেছিলাম সাধারন ছাত্রদের অধিকারের দাবিতে। এক্সময় টিচারদের চোখে হয়ে গেলাম বখাটে। কেস খেলাম একাধিক। বুঝতে পারলাম ভুল করছি, ভুল পথে চলছি। কিন্ত ততদিনে আমি সেকেন্ড ইয়ারের লাস্টে। তবে বুঝে গেছিলাম, আমি এখানে থাকতে পারবোনা, থাকলে স্পয়েল্ড হয়ে যাবো পুরাপুরি।চলে এলাম ঢাকা, মেডিকেল থেক টিসি নিয়ে।







ছবিঃ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ



ব্রেক আপ হয়ে গেলো গার্লফ্রেন্ডের সাথে। মেয়েটার নাম বলছিনা, তবে সে বাংলাদেশের একজন টপ ক্লাশ রাইটারের এক্মাত্র কন্যা। আমার সচাইতে খারাপ টাইমে পাশে পাইনি তাকে, কিছুটা অভিমান রেয়ে গিয়েছিলো। তবে তাকে কোন ভাবেই দোষ দেই না। আমি তো তখন ভবঘুরে টাইপের একটা ছেলে। আমার প্রতি তার ভরসা না থাকাটাই অবশ্য স্বাভাবিক। মেয়েটা অসম্ভব ভালও একটা মেয়ে ছিলো। আমাদের ভালোবাসার ৬ টি বছর আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। আজো তার সাথে আমার যোগাজোগ আছে। তবে অভিমান টুকু কাটিয়ে উঠতে পারিনি এখনো। যদিও জানি, আমরা একজন আরেকজনের বেস্ট ফ্রেন্ড এবং একসাথে থাকলে এর চেয় ভালো থাকা আর কারো পক্ষে সম্ভব না। আমারা এক জীবনে যা মজা করেছি, সেই স্মৃতি নিয়েই আমার মনে হয় সারাজীবন বেচে থাকা সম্ভব।







ছবিঃ আমি ও আমার গার্লফ্রেন্ড, সেইসব সুখের দিনগুলি







"খুব মিস করি তোমাকে মেয়ে। তোমার থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে আমার আসলে অনেক কষ্ট হয়। কিন্ত কি করবো বল, মেডিকেল ছাড়ার পর একটা বছর আমি প্রচন্ড ডিপ্রেশনে ছিলাম। প্রতিটা মুহুর্তে ভাবতাম তোমার কথা, ফোন দিতাম, তুমি চুপ থাকতে, আমারো কিছু বলার ছিলোনা। এইটা কাটিয়ে উঠে নিজের ট্রাক খুজে পেতে আমার অনেক সময় লেগেছে। এখন সামান্য দুখবোধ আমাকে আর টলাতে পারেনা। এখন আমি আমার ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক সচেতন। আমি এখন অনেক গ্রোন আপ। জানো, মেডিক্যাল ছাড়ার পরে আমি যে শিক্ষা পেয়েছি একলা চলার, তা আজীবন আমি কাজে লাগাবো। আমাকে ক্ষমা করে দিও মেয়ে, আমি এখন অনেক ইগোসেন্ট্রিক। মনের ভিতরে তোমার আবেদন যেমন অস্বীকার করতে পারিনা, তেমন অস্বীকার করতে পারিনা তোমার প্রতি অভিমান। মাঝখানে কয়েক জনের সাথে ডেটিং করেছি হয়তো, কিন্ত তোমার যায়গাটা কেউ নিতে পারেনি প্রিয়তমা। তুমি এখন আমার সেই বন্ধু, সেই প্রিয়া।"





শুরু হয়ে গেলো আমার ফ্রাশট্রেশন, ডিপ্রেশনের এক অতল গহবর। বারো ফুট বাই ১৫ ফিট একটা কামরায় বদ্ধ করে ফেললাম নিজেকে। সারাক্ষন গিটার টা বা পুরাতন সব ছবি নিয়ে বসে থাকতাম ঘরের কোনে। সূর্য দেক্লে ভয় লাগতো আমার। ভয় পেতাম অন্ধকার ও। এই গভীর একাকীত্ব আসলে ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। দাতে দাত চেপে সয্য করতাম ড্রাগের উইথড্রল। তারপরেও ট্রিট্মেন্ট করাইনি। বিশ্বাস ছিলো নিজের মানসিক শক্তি দিয়েই পারবো সব জয় করতে। সেই একটা বছর যে কি গেছে আমার ..... একজন বন্ধুও খোজ নেয় নি আমার।









ছবিঃ আমার বাউলা অবস্থার একটা ছবি।



কিভাবে সেই ভয়াবহ ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেলাম জানিনা, তবে মনে আছে একদিন ভোর বেলা সূর্য দেখে মনে হলো অনেক কিছুই করা বাকি জীবনে। ইয়াবড় বড় চুল দাড়ি কেটে ফ্রেশ হলাম, শাওয়ার নিয়ে ব্রেকফাস্ট করলাম। ঘর থেকে বের হলাম মনে হয় দীর্ঘ ছয় মাস পর। জানিনা কি থেকে কি হলো- কোথা থেকে যেন এক শক্তি এসে ভিড় করলো আমার মনে। একটা কথাই মনে হচ্ছে, আমি সৃষ্টির সেরা জীব, আমি কি এত সহজে হাল ছেড়ে দিতে পারি ? ভর্তি হলাম মিডিয়া এন্ড ম্যাস কমিউনিকেশনে। বেশ ভালো মার্ক নিয়ে এডভার্টাইজিং এ ফাস্ট মেজর এবং জার্নালিজমে সেকেন্ড মেজর করলাম। এখন আমার সেই সব ফ্রেন্ড রা প্রায় ই ফোন করে, মেডিকেল ছাড়ার পর যাদের টিকিটাও পাইনি। মনে হয় , জীবন যুদ্ধে যেন নতুন করে জয়ী হলাম।









তবে এটাও ঠিক, কিছু ফ্রেন্ড আমার সাথে ছিলো সবসময়। এরাই লাইফের সত্যিকার বন্ধু। আফসোসের ব্যাপার সবার সাহে আমার এখনো পার্টিকুলারলি যোগাজোগ থাকলেও ফ্রেন্ড ব্যাচ টা আর নেই। তাদের নিজেদের নিজেদের মাঝেই কত্ত কমপ্লিকেশন। থাক, তাতে আমাএ কি, আমি তো সুখেই আছি। আমিতো সবার সাথেই ভালো আছি।









ছবিঃ সেই সব বন্ধুরা, যারা আমার সাথে সবসময় ছিলো।





আমি অনেক কৃতজ্ঞ আমার বাবা মার প্রতি, সবাই আমাকে পোক করলেও তারা বরাবরি আমাকে সাহস জুটিয়েছিলো, সারাক্ষন আমার পাশে ছিলো। ড্রাগস নেয়া , মারামারি করা বখাটে জেলখাটা ছেলেকে তারা ফিরিয়ে দেয়নি তাদের ছায়াতল থেকে। আমিও আমার সন্তান্দের পাশে থাকতে চাই ঠিক এভাবেই।



আমি এখন ড্রাগস নেই না আজকে তিন বছর। পড়াশোনা করি, জব করি পছন্দের সেক্টরে, মনের সুখে গান শুনি, বই পড়ি , আড্ডা মারি ফ্রেন্ডদের সাথে। ভীষন ভালো আছি আমি, ভীষন। সবার মরে যাওয়া বিশ্বাস কে আমি আবার জাগিয়ে তুলতে পেরেছি। এটাই আমার জীবনের সবচাইতে বড় এচিভমেন্ট। দোয়া করবেন আপ্নারা আমার জন্য, আমি যেন দেশের জন্য কিছু একটা হলেও করতে পারি নিজ যায়গা থেকে।



আমি অনেক কে দেখেছি এই রকম আপ্স এন্ড ডাউনের পরে স্পয়েল্ড হয়ে যেতে, ব্লগার বন্ধুরা, তারা হয়তো আপনি বা আপনার কাছের কেউ। তাদের ঝরে যেতে দিয়েন না। লাইফ ইজ সো বিউটিফুল, তাদের মটিভেট করুন। লাইফের ভালো স্মৃতিগুলোকে আকড়ে ধরে বাচতে শেখান।



স্বার্থ মানুষ কে অনেক দূরে ঠেলে দেয়। কিন্ত তাতে করে নিজের ট্র্যাক হারালে চলবেনা। মানুষের মন অনেক শক্তিশালি একটা জিনিস। সে সব কিছু নিজের কন্ট্রোলে আয়ত্বে নিয়ে আস্তে পারে চাইলেই। দরকার শুধু একটু বোধদয়।



আর একটা জিনিস, নিজের প্রতি বিশ্বাস হারাবেন না। মনে রাখবেন আপনার জীবন আসলে আপনার একার নয়, আপনার বন্ধু বান্ধব, পরিবার, সবার প্রত্যাশা নিয়েই আপনার জীবনের স্বার্থকতা। কাজেই আপনার মন্মত সবি করবেন, তবে এইটাও মাথায় রাখবেন, আপনাকে কিছু দায়িত্ব পালন করতেই হবে। একটা ব্যাপার আপনার হয়তো করতে ইচ্ছা হচ্ছেনা, তবে আপনি জানেন, এইটা করতেই হবে, কারন এইটা দায়িত্ব। সেক্ষেত্রে ইউ হাভ টু পুশ ইট। এই একটা পুশ, এক্টুখানি চিন্তাই হয়তো আপনার জীবনে নিয়ে আসবে অনাবিল সুখের মুহুর্তগুলো।



অনেক কথা শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে। জানিনা কতটা বোর করলাম। তবে লেখাটাকে একজন নুয়ে পড়া মানুষের উঠে দাড়ানোর গল্প বলা যেতে পারে। অন্তত আমার জীবন দিয়ে পাওয়া অভিজ্ঞতাগুলো তো মিথ্যা নয়।



আপনাদের কাহিনী শুনতেও ইচ্ছুক।







ছবিঃ হাসিখুশি আমি, জীবন বড়ই সৌন্দর্যময়।



---------------------------------



মূলত এই লেখাটিতে আমার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের প্রসংগ তুলে এনেছি দুইটি কারনে। প্রথমত, আমাদের সবারি পরিবার আছে। আছে বন্ধু বান্ধব- প্রেমিক, প্রেমিকা। কিন্ত যে কোন একটা মানুষের উপর অভিমান করে আত্মহুতি দেয়ার অর্থ অন্য সবার ভালোবাসাকে অমর্যাদা করা। এদের সবাইকে নিয়েই আমাদের জীবন, এইটা বুঝতে হবে। আর দ্বিতীয়ত, আমি আমার পরিবার আর ফ্রেন্ডদের সুখস্মৃতি নিয়ে আজীবন বেচে থাকতে চাই। সেই গভীর ডিপ্রেশনের সময়টায় যদি আমি আত্মহত্যা করতাম, তাহলে এই সব সুখের মুহুর্ত গুলো কবরে কি কাজে আসতো আমার ? আমার বোকা বন্ধুটা বুঝলোনা, আত্মহত্যা সব কিছুর সমাধান নয়, বরং এটি হচ্ছে সবকিছু থেকে পালিয়ে বেড়ানো। এমন ভুল যেন আর কখনো কেউ না করে। যেখানেই থাকো, ভালো থেকো বন্ধু। মনে রেখো- তোমার পরিবার আর বন্ধুদের আজীবনের জন্য কাদিয়ে গেলে...।



ধন্যবাদান্তে

তন্ময় ফেরদৌস।

মন্তব্য ২৪৮ টি রেটিং +৫০/-০

মন্তব্য (২৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫০

রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: ১ম+ টা দিলাম....যেভাবে ব্যাক করেছেন অন্ধকার জগত থেকে সেটা প্রশংসনীয়...
আর ফরিদপুর মেডিকেলের ছবিটা দেখে নস্টালজিক হয়ে গেলাম,আমার জীবনের একই সাথে সবচেয়ে ভাল এবং সবচেয়ে খারাপ সময়টা কেটেছে ফরিদপুরে...
আপনি ভাগ্যবান যে পরিবারকে আপনার পাশে পেয়েছেন.।।
শুভকামনা রইল ...

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপনার ফরিদপুরের অভিজ্ঞতা শুনতে চাই।

আসলে আমার জীবনের গল্পের ভিতর দিয়েই আমি সবার কাছে একটা ম্যাসেজ থ্রো করতে চেয়েছি। সেটা হচ্ছে, জীবন এক্টাই, এবং অনেক সুখকর ব্যাপার বাকি আছে জীবনে, যা হয়তো আমরা কল্পনাও করতে পারবো না। তাই আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়।

ফেস করাটাই সাহসিকতা।

আনাকে ধন্যবাদ।

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৪

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
টাচি পোস্ট
আত্মহত্যা কখনো কোন সমাধান হতে পারেনা

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আত্মহত্যা কখনো কোন সমাধান হতে পারেনা

পোস্টের সারকথা। ধন্যবাদ।

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৬

আশকারি রহমান বলেছেন: wow !!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আশকারি আবার রেগুলার হচ্ছিস নাকি ?

ওয়াও কি বুঝে বললি ঠিক বুঝলাম না। তবে ভাইয়া জীবনেও কখনো এমন কিছু করার চেষ্টাও করোনা, খবরদার।

৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৭

পুশকিন বলেছেন: অনুপ্রেরণা মূলক ....

ফ্রাসট্রেসন যে আমাকেও বেধে ফেলছে জানি না আর পারবো কিনা ....

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: কি বল এগুলা। তুমি ফ্রাস্টেশনে আটকে থাকবে কেন ? পুশকিন দা, মাথায় রেখো, জীবনে এখনো অনেক কিছু করা বাকি। ফ্রাশটেশনের কারন টাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নাও। আমরা তো আছিই।

পুশ ইট ব্রো, জয় তোমার হবেই।

৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০১

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:

সবার জীবনেই কিছু কিছু সময় যায় খুবই খারাপ । কেন জানি তখন সুইসাইড এর চিন্তা নাড়া-চাড়া দিয়ে উঠে । অনেকে আবার সুইসাইড করেও ফেলে !


এই খারাপ সময়গুলাতে কারও সাপোর্ট না পেলে ঘুরে দাঁড়ানটা সত্যিই কঠিন ।


চতুর্থ প্লাস । শুভকামনা রইল অনেক অনেক :) & প্রিয়তে

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লিনকিন পার্ক।

মোরাল সাপোর্ট অনেক বড় একটা ব্যাপার। তবে নিজের মানসিক শক্তি আর আত্মবিশ্বাস্টাই সবচাইতে বড়।

৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০১

ডাব্বা বলেছেন: খুব ভাল লাগল। হারিয়ে যাননি, আবার হেরে ও যাননি। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। ইনশাল্লাহ্‌।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপ্নিঅ ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা।

৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৩

অদ্ভুত ছেলে বলেছেন: তন্ময়...তোমার পুরা লেখাটা পরলাম...যদিও আমি আগে থেকেই সব জানি...

আরো বড় হও...এই দোয়া করি

- দিপু জামান

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: তোমার চেহারা দেখেই চিনেছি ভাইয়া। তুমি এত পুরাতন ব্লগার , তাতো জানতাম না।

হুম, তুমি তো ভাইয়া সবি জানো। তোমাদের জীবনেও তো কত আপস এন্ড ডাউন আছে। অথচ দেখ, তোমরা তো ভেঙ্গে পড়নি। স্যালুট তোমাদের।

মিঠুর কাছে জিজ্ঞেস করো- মডেলের ই পার্থ আর সোহেল সুইসাইড করেছিলো সেই হাই স্কুলে থাকতে। আর এখন আরেকজন। কি বল্বো, কি ভাব্বো, কিছুই বুঝতে পারিনা।

ভালো থাকো ভাইয়া।

৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৩

নাফিজ মুনতাসির বলেছেন: দারুণ টাচি একটা লেখা.........

ফিরে আসতে পেরেছো সেই খারাপ সময়টা থেকে এইটাই দারুণ একটা ব্যাপার.......ব্রাভো ম্যান.......পরিবার এবং বন্ধুদের সাহায্য ছাড়া আসলে এইসব একেবারেই সম্ভব হয়ে উঠে না..........

আত্মহত্যা জিনিসটা আমি খুব ঘৃণা করি...........এটা কোনদিক কোন সমাধান নয়......স্বার্থপর একটা কাজ...........নিজের জন্য কাছের আপন মানুষগুলোকে কষ্ট দেয়া.........

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আমহত্যা এক ধরনের ক্রাইম। তবে একে বলে ভিক্টিম লেস ক্রাইম। আমার মনে পড়ে আমরা সুইসাইডের উপর একসাথে রিসার্চ করেছিলাম। হায় বন্ধু...

৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৩

কথক পলাশ বলেছেন: পুরোটা লেখা মোহাবিষ্ট হয়ে পড়লাম। বুঝতে পারছি আপনার মনের অবস্থা। পুরনো দিন গুলি যেন ঘুরেফিরে মনে আসছে। নিজেরও অনেক ঘটনাই চোখের সামনে চলে এলো। লিখতে ইচ্ছে করছে না, তবে লিখবো কোন এক দিন। তবে আপনার সাথে একটা মিল খুঁজে পেলাম। মানসিক শক্তি। এটা আমার জীবনের ঝড় গুলোকের সিম্পলি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে।

আপনার ও আপনার পরিবারের সবার জন্য শুভকামনা রইলো।

আর হ্যাঁ, যে বন্ধুর মৃত্যুতে আপনার এই পোস্ট, উনি যেন পৃথিবীর চাইতে ভালো যায়গায় থাকেন-সেই দোয়া করি।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: সে যেখানেই থাকুক, কষ্ট থেকে মুক্তি পাক, এই কামনা করি।

আপ্নিও লিখে ফেলুন, দেখবেন মন হালকা হয়ে যাবে।

১০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৫

রাফাত নুর বলেছেন: বালো কাম কর্ছেন । আত্মহত্যা বালা কাম না।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: হুম, বুঝতে পারি।

১১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৮

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: লাইফ ইজ বিউটিফুল। এটাই বিশ্বাস করতে হবে। নিজেকে ভালবাসতে হবে, নিজেকে ভালবাসলেই অতল গহ্বর থেকেও ফিরে আসা যায়। যেমন তুমি পেরেছ। তোমাকে একটা বীর ই মনে হচ্ছে। একজন যোদ্ধা।

তোমার বন্ধুর অকাল প্রয়ানে তার আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া করি।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: বধুর জন্য প্রার্থনা করছি।

আপু, আমাকে যোদ্ধা বলে লজা দিওনা। আমি যা করেছি, ভুল করে করেছি। পরে ভুল টা শোধ্রানোর চেশটা করেছি। কিন্ত আমার চোখের সামনে হাজারো ছেলেমেয়ে স্পয়েল্ড হয়ে যাচ্ছে। এইটা মানতে পারিনা। খুব অস্থির লাগে এইগুলা চিন্তা করলে। বড় অসহায় লাগে।

১২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১১

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: পোস্টে ভালোলাগা বলে পোস্টের মূলভাবকে খাটো করতে চাই না। একটি মানুষ কতটুকু ডেপ্রেশনে সুইসাইড করার মত ডিসিশন নিতে পারে সেটা আমার ভালো করেই জানা। কিভাবে বুঝা যায় একজন মানুষ এসব ডিসিশন নিতে পারে এমন উপসর্গ দেখলেই আতংকিত হয়ে যাই। খুব ভয় লাগে প্রিয় কিংবা পরিচিত মানুষটির জন্য। তবে আমাদের সবারই উচিৎ তাদের প্রতি সহানুভূতির, সহমর্মিতার হাত বাড়ানো। একটু ভালোবাসাই হয়ত পারে একটি অমূল্যবান জীবন বাচাতে। কেন যে তোর বন্ধু চলে গেলো ভেবে খুব কষ্ট লাগছে। এই পৃথিবীকে দেয়ার ছিলো অনেক কিছু। একটু অভিমানই তাকে কেড়ে নিয়ে গেলে এভাবে! ভালোবাসা রইলো সেইজনার প্রতি।

ব্লগে তুই প্রথম যে এমন একটি মনখোলা লিখা দিয়েছে। সত্যিই নিজেকে ব্লগার হিসেবে তোর পরিবারেরই একজন মনে হচ্ছে। আমরা সবাই এক পরিবার, সবাইকে অনুরোধ পরিবারটির অমর্যাদা করবেন না। অসম্ভব ভালো লেগেছে। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো তোর জন্য। খুব খুব ভালো থাক :)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: তোর কমেন্টাও হৃদয় ছুয়ে গেলো। আসলেই আমি গোটা ব্লগটাকেই পরিবার হিসেবেই দেখি। হোক ভার্চুয়াল, কিন্ত প্রতিটা ব্লগারি আমার আপঞ্জনের চেয়ে কম কিছু নয়।

আর আমি তোর সাথে একমত। একজন বন্ধু আরেকজন বধুর কাছে অনেক কিছু চায় না। শুধু কাধে হাত রেখে এইটুকু বললেই হয়"দোসত, চিন্তা করিস না, সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে"। অথচ এই মোরাল সাপোর্ট দেয়ার মতন মানুষ ও অনেক সময় খুজে পাওয়া যায়না। আমার বন্ধুটা হয়তো এই একাকিত্বের যন্ত্রনাতেই আত্মহত্যা করেছে। সে দিক থেকে আমি নিজেও দায়ি।

ভালো থাকিস বন্ধু।

১৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১১

স্বপ্নবিলাসী আমি বলেছেন:



লেখাটার বেশ কিছু জায়গায় নিজের জীবনের প্রতিচ্ছবি খুজে পেলাম।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আমাদের সবার জীবনেই যে এমন কিছু ডার্ক ফেজ থাকে রাজিব ভাই।

১৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৩

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: অসাধারণ। দারুন লাগলো। আমিও একটা ঘোরের মাঝে আছি। বের হওয়ার চেষ্টা করছি...


অনেক অনেক ভাল থাকুন

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপ্নিও অনেক অনেক ভালো থাকুন, উপভোগ করুন লাইফটাকে।

১৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৬

ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: লেখক বলেছেন:

আসলে আমার জীবনের গল্পের ভিতর দিয়েই আমি সবার কাছে একটা ম্যাসেজ থ্রো করতে চেয়েছি। সেটা হচ্ছে, জীবন এক্টাই, এবং অনেক সুখকর ব্যাপার বাকি আছে জীবনে, যা হয়তো আমরা কল্পনাও করতে পারবো না। তাই আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়।

ফেস করাটাই সাহসিকতা।

শতভাগ সহমত তন্ময় ভাই। পোস্টে ভালো লাগা রেখে গেলাম।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৭

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফেলুদা।

আমার তো মনে হয়, ইশ মারা না গেলে জানি কত শত ফাটাফাটি মুভি মিস করবো, সেই আফসোসেই তো সুইসাইডের কথা চিন্তা করতে পারিনা।

১৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৭

মামুন হতভাগা বলেছেন: মন খারাপ হয়েছে অজস্র লেখা পড়ে,চোখ ভিজেছে কম লেখায়।পড়তে পড়তে কোথায় জানি তীব্র একটা ব্যাথা পেলাম :(
প্লাস ও প্রিয়তে

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: নেক ধন্যবাদ মামুন ভাই। আসলে পজেটিভলি মটিভেট করাটাই এই লেখার মূল উদ্দেশ্য।

১৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: অভিনন্দন অন্ধকারকে পরাজিত করে ফিরে আসার জন্য :)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ এপ্রিশিয়েট করার জন্য। :)

১৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৮

ধূসরধ্রুব বলেছেন: সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধ্যে যুদ্ধ করে জীবনযুদ্ধে যে জয়ী হয় সেই প্রকৃত বিজয়ী । হ্যাটস অফ ইউ ম্যান

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:০০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: লজ্জা দিওনা ভাই, আরো কত কিছু করা বাকি লাইফে। :)

১৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৯

রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: নিজের কাহিনীগুলো কেন যেন শেয়ার করতে ইচ্ছে করেনা...
তবে আপনার মত কোন অন্ধকার অধ্যায় নেই...সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমত আর গুরুজনদের দোয়া ছিল বলেই হয়ত চরম ফ্রাস্টেশন আর ডিপ্রেশনের টাইমেও তেমন কাউকে পাশে না পেয়েও টিকে থাকতে পেরেছি...

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: জীবনে সফল হোন, এই কামনাই করি।

২০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৩

সামদ বলেছেন: পুরো পোষ্ট খানা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। আপনার নবজন্ম হয়েছে ভাই। এজন্য শুভেচ্ছা। :)


আপনার বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য আন্তরিক শুভকামনা রইল। ভালো থাকুন সবসময়। অল দ্য বেষ্ট।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: উৎসাহ প্রদানের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি পোস্টের প্রথমেই বলেছিলাম হালকা হতে চেয়েছি। সত্যি আপ্নারা , মানে ব্লগার ফ্রেন্ড রা আমার মনের বিষন্নতাকে দূর করে দিচ্ছে।

শুভকামনা আপ্নাকেও।

২১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৪

হাসি .. বলেছেন: হা, একটা ছোট (আমি ছোটই বলছি) ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আপনি থেমে থাকেন নি, সেটাই বড় কথা। সুন্দর জীবনকে ঘিরে সুন্দর পোস্ট


প্রিয়তে থাক এটা, আবারো পড়তে হবে আমার

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ওনেক ধন্যবাদ হাসি আপু।

আব্বু সবসময় বলে, জীবনটাকে যতটা পারবি উপভোগ কর, এই যে দেখছিস, কল থেকে পানিপড়ছে, সাউন্ড টা ফিল কর, ফ্যানের বাতাস টা ফি কর, সব কিহচুতেই মজা খুজে নে, দেখবি জীবন মোটেই বোরিং না। আব্বুর এই কথাগুলা আমাকে অনেক পজেটিভ লি মটিভেট করেছে।

আপ্নিওউপোভোগ করুন আপনার জীবন।

২২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৭

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: আপনার বন্ধু যেটা করেছেন সেটা কৈন সমাধান নয় । আপনাকে অভিভাদন জানাই অন্ধকারকে সরিয়ে আলো ছিনিয়ে আনার জন্য ।জীবন অনেক সুন্দর জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই সুন্দর ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:১০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: রাইট, জীবনের প্রতিটি মুহুর্তই সুন্দর। আমাদের আসলে প্রতিটা মুহুর্তে বাচা উচিত।

ধন্যবাদ হিমু।

২৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৩

বাঘ মামা বলেছেন: কয়দিন হলো নিয়ম করেছি ১২ টার পর আর চোখ খোলা রাখবোনা,কিন্তু আপনার এই পোস্ট দেখে পুরোটা শেষ না করে পারলামনা, আপনি যেভাবে উঠে এসেছেন অতল থেকে তা দৃষ্টান্তই বলা চলে,এমন মানসিক শক্তি অবশ্যই গড গিফ্টেড যাকে আপনি স্বীকার করতেননা এক সময়।

সে যাই হোক এই নিয়ে আবার বসবো আপনার আঙ্গিনায় আরেকদিন,

বন্ধুর জন্য আশির্বাদ থাকলো,বিধাতা তার ভুল ক্ষমা করে স্বর্গবাসী করুন,বন্ধু তুমি স্বর্গবাসী হও।

শুভ কামনা তন্ময়

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:২০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ বাঘ মামা। আপনার সাথে গল্পগুজব করা যায়, চলে আসেন একদিন আমার আঙ্গিনায়।

বন্ধুর জন্য প্রার্থনা। আর আমার জন্য দোয়া করবেন।

২৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৫

তাহাসিন আহমেদ বলেছেন: স্বপ্নময় জীবনে একটা স্বপ্ন হেরে গেলে আরেকটি সুন্দর স্বপ্নের শুরু হতেই পারে; হয়ত প্রথম ভালবাসার চেয়ে ২য় ভালবাসা আরও পবিত্র আরও সুন্দর আরও বড় কিছু নিয়ে অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:২২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: খুব সুন্দর করে বলেছেন। তবে ভালোবাসা পাবার জন্য আমি আসলে ততটা অস্থির নই। জীবনে অনেক স্বাদ আল্লাদ তো পুর্ন হলই। এবার না হয় সবকিছু সময়ের হাতেই ছেড়ে দেই।

ধন্যবাদ তাহসিন ভাই।

২৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৬

কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: দীর্ঘদিন পরে একটা সত্যিকারের আবেগী লেখা পড়লাম , আপনি যেভাবে সব হতাশা ভুলে গিয়ে নতুন জীবন শুরু করেছেন ,সেটা অবশ্যই দৃস্টান্ত হতে পারে । আর এই পোস্ট পড়ে আমিও কেনো জানি একটু সান্তনা পেলাম ,কারন একটা সময় আমিও আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলাম ।

অসম্ভব সুন্দর এই পোস্টটায় অনেক গুলো প্লাস দিতে ইচ্ছা থাকলে একটার বেশী দিতে পারলাম না

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আত্মহত্যার চিন্তা মুখেও আইনেন না। এইটা একটা ভয়ানক অথচ রাবিশ ব্যাপার। সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে, আপনি শিওর জান্তেসেন, দুই মিনিট পরে কি হবে আপনি জানবেন না। ততক্ষনে আপনি পারাপারে। কাজেই দুই মিনিট পর যদি পৃথিবীর অপার কোন সৌন্দর্য ধরা দেয় ? যদি পরিস্থিতি পালটে যায় কোন মিরাকলে ? সেই জিনিস্টা দেখার সুযগ ও তো পায় না সুইসাইডকারি।

জীবন উপোভোগ করুন ব্রো, প্রতিটা মুহুর্তে বাচুন, আর ভাবুন, লাইফ টা কত্ত সুন্দর।

২৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৮

মোঃমোজাম হক বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে অন্যভাবে চিনলাম।
আপনার ব্লগ প্রায়ই পড়তাম কিন্তু বুঝা যায়নি আপনারর মনের ঝড়।
আমার এখনো সন্দেহ হচ্ছে এটা কি সত্যি নাকি গল্প!কারন কোন ব্লগার অকপটে এভাবে নিজের ঘটনা ছবিসহ অকপটে বলে দিয়েছে আমার জানা নেই।

শুভকামনা রইলো।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: মোজাম ভাই, এইটা আমার জীবনের একেবারে পাই টু পাই সত্য ঘটনা। তবে গল্পের মত করে বলার উদ্দেষ্য হলো একটা ম্যাসেজ থ্রো করা, সবাইকে পজেটিভ লি মটিভেট করা।

ভালো থাকুন।

২৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৮

সরলতা বলেছেন: আপনি যে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছেন, সেটাই ভাল লাগল। পড়তে আমার খুব ভাল লেগেছে, কারো ভাল কোন কিছু দেখলে সত্যি ভাল লাগে। জানি লিখতে গিয়ে হয়ত আপনার মাঝে মাঝেই মন খারাপ হয়েছে, তবুও যে লিখেছেন--সেজন্য আপনাকে স্যালুট!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু।

ঘুরে দাড়ানোর জন্য আমার মনে হয় কয়েকটা জিনিস খুব প্রইয়োজন। প্রথমত, আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার চেসা করতে হবে, এটা সম্ভব ছোট ছোট কাজের মধ্য দিয়ে, নিজেকে যতটা সম্ভব এক্সট্রোভার্ট রাখতে হবে, কিছু একটা নিয়ে বিজি থাকতে হবে, এবং সম্ভব হলে ফ্রেন্ডস দের সাথে ঘন ঘন হ্যাং আউট করতে হবে। বন্ধ বা পরিবারের মোরাল সাপোর্ট টা খুব জরুরি। কাউন্সিলিং করা যেতে পারে।

২৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৯

কালমঠ বলেছেন: দারুন উদ্দীপনামূলক পোস্ট।
+++ প্রিয়তে

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:১১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ কালমঠ। আপনার নামের অর্থ কি ?

২৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫১

পদ্মাচরের লাঠিয়াল বলেছেন: অনেক অনেকদিন পরে আপনি আমাকে বাধ্য করলেন আবার কমেন্ট করতে। লেখা কিরকম লেগেছে সেইসব আলাপে আর না যাই। স্রেফ নিজের সশ্রদ্ধ অভিবাদনটুকু জানিয়ে গেলাম।

[খুবই অফটপিক- আপনার ইন্টেনশনের উপর বিন্দুমাত্র কিছু আরোপ না করেই বলছি, মেয়েদের ছবিগুলো একটু ব্লার করে দিলে ভালো হতো কি? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমজনতার উপরে আমার শ্রদ্ধাবোধ খুবই কম।]

ভালো থাকুন। আলোকিত থাকুন। বাঁচুন। তীব্রভাবে বাঁচুন। সবার জন্য বাঁচুন- এই শুভকামনা রইলো নিরন্তর।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:১৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আরে, আপনাকে কতদিন পর দেখলাম। আপনি জানেন, নতুন অনেক ব্লগার আপনার নামি শুনেনি (যদিও আমি নিজেও নবীন),আমার একটা পোস্ট আছে প্রিয় ব্লগারদের নিয়ে যেখানে আপনার নাম আছে। আপনি এমন অনিয়মিত কেন ?

আমি আসলে সাদা মনেই ছবিগুল্কা দিয়েছিলাম। আসলে সেভাবে ভেবে দেখিনি। আপনার আর ফিফার কথা শুনে গার্লফ্রেন্ডের ছবিটা সরিয়ে দিয়েছি।

আপনার জন্যেও অনেক শুভকামনা। ভাল থাকুন।

৩০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জানি না সত্যিই আপনার জীবনের ঘটনা কিনা, তবে 'শিক্ষণীয় আর্টিকেল' লিখবার একটা ব্যতিক্রমী ও চমকপ্রদ এবং সফল প্রচেষ্টা।

আপনার জীবন- ড্রাগস নেয়াটা ছিল টার্নিং পয়েন্ট। নিজের ভেতরেই বোধোদয় হওয়াটা আপনার জন্য একটা বিরাট ব্লেসিং ছিল।

আপনার পরিবারকে আমার পছন্দ হলো খুব, বিশেষ করে আপনার বাবা ও আবীরকে। আপনার পিচ্চি বোনটা এ বয়সেই রান্না শিখলো?


শুভ কামনা।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:১৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: পিচ্চি বোন টা আসলে এখন আরো বড় হয়েছে। এইটা কয়েক বছর আগের ছবি।

বাবা আর আবীর কে জানিয়ে দিবো ভালো লাগার কথা। আবীর নিজেও অবশ্য ব্লগ লেখে, তবে সেফ হয়নি এখনো। ও আসলে ইংরেজি, আরবি, ফার্সি, উর্দু তে ভালো। বাংলা একটু কম লেখতে পারে। তবে শিখার আগ্রহ অনেক। আর আব্বু প্রতিদিন ডিনারের পর আমাদের সব ভাই বোন আর আম্মু কে নিয়ে পান খায়। দারুন পান বানাতে পারে আব্বু। আপনাকে পার দাওয়াত রিলো।

ভালো থাকুন।

৩১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৪

পেংগুইন বলেছেন: নিজের প্রতি বিশ্বাস হারাবেন না। মনে রাখবেন আপনার জীবন আসলে আপনার একার নয়, আপনার বন্ধু বান্ধব, পরিবার, সবার প্রত্যাশা নিয়েই আপনার জীবনের স্বার্থকতা। কাজেই আপনার মন্মত সবি করবেন, তবে এইটাও মাথায় রাখবেন, আপনাকে কিছু দায়িত্ব পালন করতেই হবে। একটা ব্যাপার আপনার হয়তো করতে ইচ্ছা হচ্ছেনা, তবে আপনি জানেন, এইটা করতেই হবে, কারন এইটা দায়িত্ব। - খাটি কথা।
আপনার লেখা খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার আগের ছবিটা দেখে বখাটে লাগতেচিল। শেসের ছবিটা লাগে একদম নিষ্পাপ........।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: হা হা, ভালো বলেছেন। আসলেই আমি বখাটে টাইপের ই ছেলে। :P

৩২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:০০

অলস ঘোড়া বলেছেন: আপনার প্রতি শুভকামনা রইল ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। :)

৩৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৫

শার্লক বলেছেন: জানি না কেন পারিবারিক বন্ধন থাকা স্বত্তেও এমন হয়। বেশির ভাগ ছেলের ক্ষেত্রে আমি এটা দেখেছি। সুখে থাকলে ভূতে কিলায় হয়তো।

যাহোক এগিয়ে যান। আপনার এই পোস্ট অনেকেই অনুপ্রেরণা দিবে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: যদি একজন ও মটিভেটেড হয়, সাহস ও আত্মবিশ্বাস পায়, তাহলেই পোস্ট টা স্বার্থক। এখানে আমার পরিবার বা কাহিনী মুখ্য না, মুখ্য হচ্ছে পার্থিব ভালোবাসার ব্যাপারটা। এই ব্যাপারটা সবার বুঝতে হবে।

ধন্যবাদ।

৩৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৭

কান্নার ছায়া বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে লেখাটা ।ভালো লাগা থাকলো

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:১২

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: এ আসলে আপনার জীবনকাহিনী নয়, বরং অসামান্য এক বিজয়ের গল্প। মুগ্ধ হলাম রীতিমতো। আপনি অনেক দূর যাবেন - মন থেকে এই কামনা করছি।


চাপাচাপি নয়, সম্ভব হলে আপনার গার্লফ্রেন্ডের ছবিটা সরিয়ে ফেলুন। প্রায় সব মানুষের জীবনে এইরকম কিছু একান্ত মুহূর্ত থাকে, যা ব্যক্তিগত থাকাই ভালো।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপনার উৎসাহ পেয়ে সত্যই খুব ভালো লাগছে।

আপনি আমার অন্যতম প্রিয় ব্লগার। যাই হোক, গার্লফ্রেন্ডের ছবিটা সরিয়ে দিয়েছি। আমি অবশ্য সাদা মনেই ছবিটা আপ করেছিলাম। ঐয়া আমার অনেক পছন্দের একটা ছবি।

আপনার ফেবুর একাউন্ট কি হয়েছে ?

৩৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:১৪

সুদীপ্ত কর বলেছেন: অনেক চমৎকার কামব্যাক।
ভাল থাকুন :)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: এগুলা আসলে অনেক আগের কথা। তবে আজকে মুখ ফুটে বেরিয়ে গেলো, ফ্রেন্ডটার কথা মনে হয়ার সাথে সাথে। তবে ব্লগে প্রকাশ করা হয়নি আর কি।

৩৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: বেশিরভাগ তথ্যই আমার অজানা না। কেমন আছো তন্ময়? কথা হয়না অনেকদিন। ভালো থাকো সবসময়।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: প্রথমেই কংগ্রাচুলেশন।

হামা ভাই, ব্লগারদের মাঝে তুমি আমার সবচাইতে কাছের সিনিয়ার ভাইয়া কাম ফ্রেন্ড। তুমি তো আমার প্রায় সব ই জানো। তবে আজকে ফ্যামিলির ব্যাপারগুলা তুলে আনলাম পরিবারের সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক্টা তুলে ধরার জন্য।

বিশ্বাস করবা, আমি আজকেও তোমার নাম্বার খুজতেসিলাম। পাচ্ছিলাম না নতুন মোবাইল হবার কারনে। মিস ইউ ব্রো।

৩৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩১

আর.হক বলেছেন: হাসিখুশি আমি, জীবন বড়ই সৌন্দর্যময়।



চিরদিন দেখার কামনা করি এ চেহারা

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৩৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩২

অনিক আহসান বলেছেন: আপনার আর একটা সাহসী সরল স্বীকারোক্তি ১ বছর আগে সম্ভবত পড়ছিলাম।
আসলে জীবনের মুখোমুখি হয়ে তার সাথে জুঝতে পারার এই সাহসটা সবার মধ্যে ছড়ায় দেয়া খুব প্রয়োজন। আপনার আমার আমাদের সবার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অমন ভোরের নতুন সুর্য কামনা করছি।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ামি আসলে ঠিক সাহসী বা এরকম কিছু ভেবে লেখিনি। এখন কিছুটা লজ্জা লাগছে এত মানুষ এপ্রিশিয়েট করছে দেখে। জাস্ট বন্ধুবিয়োগের ব্যাথাটাকে নিজের জীবনের সাথে একটা লিঙ্ক করে মটিভেট করার চেশটা চালিয়েছিলাম।

একজন ও যদি আত্মবিশ্বাস ফিরে পান, তাহলেই লেখাটা স্বার্থক।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৪০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৩

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র বলেছেন: বাংলাদেশি তরুণদের শত্রু একটাই। মাদক, মাদক আর মাদক। এই জঘন্য জিনিসটাকে একদিন আমি লাথি দিয়ে দেশ থেকে দূর করবো! মন খারাপ করার মতো অনেক কিছুই জীবনে আসবে কিন্তু ভেঙে পড়লে চলবে না, ব্লগ মন ভালো করার জায়গা, ব্লগাররাও যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। ইউ শ্যুড রেসপেক্ট ইন বাংলাদ্যাশ! বিকোজ ইউ আর ইটিং ফুড ফ্রম বাংলাদেশ! সো ডোন্ট হারট! চিয়ার্সসসসসস.... চিল....

(সিরিয়াসলি : Click This Link)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪৭

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ।আমি সকল ব্লগারদের ফিডব্যাক দেখে রিতিমত অবাক। অনেকেই আমাকে ফেবুটেক্সট করছে, ফোন করছে। আমার মন ভালো করার চেষ্টা করছে। কেউ বা আবার কাউন্সিলিং চাচ্ছে তাদের সমস্যা নিয়ে। ব্লগার রা এম্নিতেই আমার অনেক আপন। তবে এখন দেখছি আমি ঋনি হয়ে যাচ্ছি সকল ব্লগার দের প্রতি।

সত্যি আমার মন ভালো হয়ে যাচ্ছে এত পজেটিভ ভাইব দেখে। সকল ব্লগার দের স্যালুট।

৪১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৫

বাগসবানি বলেছেন: আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আসলে আমার পরিবার মানে আমার চাচা, মামা, খালা, ফুপু এরা ছাড়া আমি আর কারও ফ্যামিলি সম্পর্কে জানতাম না । ভাবতাম আমার পরিবারের মত জঘণ্য ফ্যামিলি বুঝি বাংলাদেশে দুইটা নাই । এই ধরণের নেগেটিভ ইম্প্রেশনের একটা কারণ ছিল । আমার মা । বলতে কিছুটা দ্বিধা হচ্ছে তবু কথাটা সত্য । একটা মানুষের দুটা দিকই আছে । ভাল আর মন্দ । আমার মা সবসময় মানুষের মন্দ দিকগুলাই তুলে ধরত । এরকম করার পিছনে অবশ্যই কারণ ছিল । যাই হোক । বড় হয়ে বুঝতে পারলাম এরকম সমস্যা শুধু আমার একার নয় । আরও অনেক পরিবারেই আছে । মানসিক বিকলাঙগতা ।
আমাদের পরিবার বেশিরভাগই অনেক বড় । বিশেষ করে আমাদের চাচা-মামাদের সংখ্যাটা বেশ বড় অংকেরই । এত গুলো বাচ্চাকে বড় করা এবং তাদের মানসিক চাহিদা পুরণ করা আমার দাদা-নানার পক্ষে খুব সহজ ছিল বলে মনে হয় না । ফলে মানসিক সমস্যাগুলো দানা বাঁধতে থাকে ।
অনেকে খুব সহজ সমাধান হিসেবে আত্মহত্যাকে বেছে নেয় । আপনার বন্ধুর প্রতি সমবেদনা রইল ।
আর আপনার মনবল অনেক দৃঢ় । এখনও হারিয়ে যাননি । এটাইতো চ্যালেন্জ । এটাই লাইফ । আপনার অনেক গুণ আছে । এটা আপনার নিজেকে ফাইন্ড আউট করতে হবে । নিজেকে নিজের ভালবাসতে হবে ।
আশা করি আমাদের আরও অনেক ভাল ভাল পোস্ট উপহার দিবেন । গুড লাক ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৩২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ বাগসবানি।

আমাদের সবার জীবনেই এমন কিছু না কিছু আছে।। নোবডি ইজ পারফেক্ট। তাই বলে সেটা ধরে আকড়ে থাকলে তো চল্বেনা। নিজের আসল যায়গাটা খুজে বের করে নিজেকে সেট করতে পারাটাও একটা চ্যালেঞ্জ।

ধন্যবাদ, সাথে থাকুন।

৪২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৬

জেমস বন্ড বলেছেন: কি বলব ভাইয়া :) । দোয়া করি শুধু ধির্গায়ু হোন আপনি আমাদের অনুপ্রেনা :)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৪৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপনাদের উতসাহ আমার চলার পথের পাথেয়। :)

৪৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪৭

আমি তানভীর বলেছেন: শুভকামনা আপনার জন্য।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৫০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপনার জন্যেও শুভকামনা।

৪৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫০

সাকিব বাপি বলেছেন: অসাধারণ একটা জয়ের গল্প পড়লাম ভাই। আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন উঠে দাড়ানোর জন্য। আপনার এই জয় উজ্জীবিত করুক আরো অনেক নুয়ে পড়া মানুষকে।

লেখাটা অসম্ভব ভালো লাগলো। সবচে ভালো লাগলো আপনার হাসিমাখা ছবিটা। আল্লাহ আপনাকে এরকম অপার শান্তিতে রাখুন সবসময়।

ভাল থাকবেন ভাই।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:১৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপনারা সত্যই আমাকে ইমোশোনাল করে দিচ্ছেন বাপি ভাই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সুখি হউন।

৪৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৭

জ্বীন কফিল বলেছেন: মুক্ত কর ভয়/ আপনা মাঝে শক্তি ধর/ নিজেরে কর জয়


তন্ময় আপনি বিজয়ী ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:২৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: মুক্ত কর ভয়/ আপনা মাঝে শক্তি ধর/ নিজেরে কর জয়

দারুন দারুন। এইটা সবসময় মাথায় রাখতে হবে।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

৪৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:০০

বাকরুদ্ধ আমি বলেছেন: আল্লাহ হতাশা গ্রস্থকে পছন্দ করেন না ।

জাস্ট কুল ডাউন । জীবনে দুঃখ থাকবেই । আমার জীবনের উপর দিয়ে অনেক টর্নেডো বয়ে গেছে । তার পর কি করে যেন সামু ব্লগে আসলাম ।

নিয়তিকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্ঠায় আছি ।

আমার সর্বশেষ পোষ্ট পড়লে বুঝবেন ,কতটা ধাক্কা সহ্য করে এখনো সোজা হয়ে দাড়িয়ে আছি ।

সবশেষে আপনার জন্য শুভ কামনা থাকলো । ভালো থাকবেন ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:২৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপনার সর্বশেষ পোসট টা পড়ে আসি তাহলে।

৪৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:১৬

নীরব 009 বলেছেন: কোড করা প্রতিটা কথার সাথে সহমত। আমার এক ফ্রেন্ড আমাকে বলেছিল, 'তোমার জীবনের ওপর একজন অথবা দু জনের অধিকার নেই'- তখন বুঝিনি, তবে এখন বুঝি। অভিমান হলেও মনে হয় বাস্তবতার খাতিরে সব মেনে নেয়া যায়।


বোর হই নাই। অনেক আগ্রহ নিয়েই পড়েছি। আপনাকে অভিবাদন জানাই আর আপনার বন্ধুর প্রতি দুঃখ বোধ রেখে যেতেই হচ্ছে। যেখানে থাকুক সে ভাল থাকুক। ভাল থাকবেন আপনিও।

শুভ কামনা রইলো। :)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৩১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের সবার দোয়া পৌছে যাক বন্ধুর কবরে।

কেমন আছেন ?

৪৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:১৯

অনাহূত বলেছেন:

আপনার লেখাটা পড়লাম। ফ্রাষ্টেশনের সময়গুলো কেমন কেটেছিল আপনার এটাই ভাবছি। জিবনে সব চাইতে ফ্রাষ্টেশনের মধ্য দিয়ে গিয়েছি কলেজ লাইফেই। সংক্ষেপেই একটু বলতে ইচ্ছে করছে -

২০০৪ সাল। আমার কাজিনকে সঙ্গ দেবার জন্য আমিও সিদ্ধান্ত নেই টঙ্গী গভ: কলেজে ভর্তি হব। এবং ভর্তিও হই। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হওয়া সত্যেও মানবিক এবং ব্যবসা বিভাগের ছাত্রদের সাথেই প্রচুর মিলামেশা শুরু করি।

আমার কাজিন শুধুই কাজিন না, আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড। মনেকরি, ওর নাম অভি। অভি আড্ডাবাজি পছন্দ করত না। 'তারগাছা' নামক একটা জায়গায় আমরা থাকতাম। ওখান থেকে কলেজ কাছেই ছিল।

ড্রাগস্, পলিটিক্স এর মত মারাত্মক টপিকগুলো আমার জিবনের সাথে উতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল। অভি এইসব ব্যপারে তেমন একটা জানত না। ও জানত কলেজে যেসব ফ্রেন্ডদের সাথে মিশি ওরা পলিটিক্স করে, ড্রাগস নেয়। আমি মাঝেমাঝে স্মোক করি। ব্যাস এতটুকুই ও জানত। কিন্তু এতটা নিচে নামতে পারি ও হয়তো কল্পনাও করে নাই।

অভি একদিন খুব খারাপ অবস্থায় আমাকে একটা টি-ষ্টল থেকে তুলে বাসায় আনে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জিজ্ঞেস করে কিভাবে কি হল। আমি তেমন কোন প্রাসঙ্গিক জবাব না দেয়াতে ও সব খোঁজখবর করে জেনে যায় এবং বাসায় ব্যাপারটা শেয়ার করে। ততদিনে ১ম বর্ষের ফাইনাল এক্সাম দরজায় নক করছে।

আমাদের বাসায় ছোট চাচাই আমাদের শাসন করতেন। উনি টঙ্গি থেকে টিসি নিয়ে আমাকে এনে বাসায় কড়া শাসনে রেখে দেন। শুরু হয়ে যায় আমার ফ্রাষ্ট্রেশনের দিনগুলো। আমি ধরেই নিই যে আমার আর পড়াশোনা হবে না। বাসা থেকে বেড় হতাম না, চাইলেও বের হতে পারতাম না। ভয়ানক দিন ছিল সব।


ছবি : সে সময়কার একটা ছবি

টঙ্গী থেকে বাসায় আসার পর আপনার মত আমি তেমন ফ্যামিলি সাপোর্ট পাইনি। তবে আব্বুই শুধু আমার সাথে স্বাভাবিক আচরণ করতেন। পরীক্ষার জন্য প্রিপারেশন নিতে আমি যা কষ্ট করেছি তার চাইতে বেশী কষ্ট করেছেন ছোট চাচা।

চাচা উনার বান্ধবীদের নিয়ে আসতেন আমাকে পড়ানোর জন্য। :) লজ্জায় হলেও পড়তে হতো। যাই হোক, ওই কঠিন সময়ের ভয়ানক বোঝা কাঁধে নিয়ে ঢাকা কলেজ থেকে পরীক্ষা দেই এবং পাসও করি মোটামোটি ভাল ভাবেই।

সেই থেকে যে সিগারেট ধরেছি, এখনো চলছেই . . .। আমার মাইগ্রেন এর সমস্যা আছে। সিগারেট টানা আমার জন্য হারাম বলা চলে। তারপরও ..... ।

ভাল থাকুন।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৩৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। সিগারেট কাওকে থামাতে বলিনি কখনো,আপ্নাকেও বলছিনা, তবে পারলে কমিয়ে দিন একেবারে। আরে, এত স্ট্রাগল করেছেন লাইফে, সিগেরেটের সাথে পারবেন না ?

আপনি কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন না, জাস্ট লিভ ইন দা মোমেন্ট। ছোট চাচার ও বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলাম।

৪৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৩

জীবন যোদ্ধা বলেছেন: প্রথম কথাঃ ছবি সরাও। (নিদেন পক্ষে এডিট মারো)



দ্বিতীয় কথাঃ

কিস্স্যু বলার নাই। কুল ম্যান।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৩৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ছবি সরাইসি।

৫০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৪

জীবন যোদ্ধা বলেছেন: লাইঠ্যালরে দেকলাম।
ম্যালা দিন পর।
ঐ মিয়া, আপ্নে আহেন না ক্যান এই হানে?
হাফেজরেতো আরো মিসাই!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৩৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আমিও দীর্ঘদিন পরে ওনাকে দেখলাম। পি মুন্সি ফিরে আস্লেও ভালো হত। ওনাদের গুরুগম্ভির আলোচনা ভালো লাগতো।

৫১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৮

অনাহূত বলেছেন:
আপনার সাথে আমার যে শুধু নামের মিল তা না, আমার ছোট ভাইও মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে। :)

আর আমার এখনকার অবস্থা বলা হয়নি -
সিএসই করার সময় নিজে একটা ডেভেলপমেন্ট ফার্ম দেই। প্রায় ৩ বৎসর হয়ে গেছে ফার্মের মেয়াদ। দোয়া করবেন যাতে নিজেকে সেই ষ্টাবলিশড পজিশনে দেখতে পারি, যা আমার ড্রিম। আমার স্বপ্নগুলোকে যাতে স্বার্থক করতে পারি।

আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৩৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অবশ্যই আপনি পারবেন। এতদুর চলীসেছেন, আর কিছুটাদিন নাহয় কষ্ট করুন। সাফল্য হাতে এসে ধরা দিবেই।

আব্রো অনেক ধন্যবাদ।

৫২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩০

বাউন্ডুলে শিকু বলেছেন: জীবন বড়ই সৌন্দর্যময়।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৩৭

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: জীবন বড়ই সৌন্দর্যময়, কিন্ত হেলায় অনেকেই তা হারায়।

৫৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩৩

অ তে আজগর বলেছেন: জাস্ট টাচি।কিছু কথা আগেই তোমার ফেসবুকে দেখেছি।আমার দেশ ছেড়ে বিদেশ পড়তে আসার পিছনেও অনেক কাহিনি আছে ।সেটা না হয় অন্য কোথাও বলবো।তোমার বন্ধুর জন্যে খারাপ লাগছে।তোমার কাহিনি শুনে ভালো লাগলো।যত বিপদই আসকু না আমি বিশ্বাস করি এভরি থিং উইল বি অল রাইট।নাথিং ইজ ইম্পসিবল।ভয় পাওয়ার কিচ্ছু নাই।


অফটপিক :তুমি যে আমাকে তুমি করে বলো ট্রাস্ট মি আই লাভ দ্যাট।অনেক আন্তরিক মনে হয়।ভালো থেকো ব্রো

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৪৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: তোমার বিদেশ যাত্রার কাহিনী শুনতে চাই। অফস্ক্রিনে বা অনস্ক্রীন এ। আমিও মনে করি ভয় পাওয়ার কিছু নাই, দরকার শুধু সাহসের।

তোমার আগের নিক টা সেফ হয়নাই মশা ভাই ? আমার নিজেরো আন্তরিক লাগে। মনে হয় কাছেরানুষ। বড়রা তুই করে বল্লেও ভালো লাগে।

৫৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৩২

নিশাচর ভবঘুরে বলেছেন: তন্ময়য়, তোমার গল্পটাই আমি আমার ছেলেকে বলবো। তাকে বলবো যাই করোনা কেন, দিনশেষে বিজয়ী হয়ে যেন ঘরে ফেরে। পরাজয় এবং শেষ বলে কোন কিছুই নেই। সবকিছুর পরেও শেষে জয় বলে যে শব্দটা আছে, সেটা নিজের করে নেওয়াটাই আসল কাজ। তুমি জয়ী।


ব্লগে আমার খুব প্রিয় মানুষদের একজন তুমি। যাকে সহজেই তুমি বলি, বন্ধু মানি। তোমার চিন্তাধারা আমাকে অনেক সময় অবাক করে দেয়। আজকের দিনে শোকের কান্না না কেঁদে তুমি আর কিছু মানুষকে স্বপ্ন দেখাচ্ছো, ভুল না করার গল্প শোনাচ্ছো। স্যালুট টু ইউ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:০১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আমি আন্তরিকভাবে কৃওজ্ঞ তোদের সবার প্রতি । এতটা উৎসাহ আর ভালোবাসা খুব উৎসাহিত করিস আমাকে। আত্মবিশ্বাস থাকলে আসলে সব কিছুই করা সম্ভব আর সেটা ।ছেলেকে জাস্ট গাইডলাইন দিবি, আর মোরাল লেসন দিবি। তারপরের টা সে সময়মত নিজেই বুঝে নিবে।

তুই নিজেও আমার অনেক প্রিয় ব্লগার এবং বন্ধু। কথাট মনে রাখিস।

বাই দা ওয়েঃ ফিল্ম মেকিং ক্লাস ১০৩ (স্ক্রিপ্ট রাটিং , আগামীকাল বিকাল তিন টায়।

৫৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৩৭

আধারের কবি বলেছেন: :(

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:১৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: :|

৫৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৩৮

শোশমিতা বলেছেন: একটা জিনিস, নিজের প্রতি বিশ্বাস হারাবেন না। মনে রাখবেন আপনার জীবন আসলে আপনার একার নয়, আপনার বন্ধু বান্ধব, পরিবার, সবার প্রত্যাশা নিয়েই আপনার জীবনের স্বার্থকতা।

মনের বিশ্বাস ও সক্তি ছিলো বলে আপনি পেরেছেন এতো বড় জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে।সবাই যদি এই ভাবে মনে রাখে যে আমরা সৃষ্টির সেরা জীব, আমরা এতো সহজে হাল ছেড়ে দেব কেন ? তাহলে কেউকে আর আত্মহত্যা করে জীবনের সমাধান খুজতে হবেনা।
অনেক সুন্দর করে লিখেছেন আপনার জীবন যুদ্ধে জয়ী হবার গল্প। এটা পড়ে অনেকর খারাপ সময়গুলাতে মনে আত্মবিশ্বাস ফিরে আসবে। বুঝতে পারবে আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়। জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে হবে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:২৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু । আমি কল্পনাও করিনাই ব্লগে এই ধরনের ফিডব্যাক পাবো সবার কাছ থেকে। প্রত্যেকে আমাকে সাহস দিয়েছে, ইন্সপায়ার করেছে। তাদের কি মটিভেট করবো, আমি নিজেইতো মটিভেটেড হয়ে গেছি ।

আগেই বলেছি পোস্টের মুল উদ্দেশ্য হলো পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের ভালোবাসাটা উপলদ্ধি করার ব্যাপারে। এই ভালোবাসা কেউ ফিল করলে সে আর সুইসাইড এটেম্পট করতে পারবেনা। কারন, প্রৃথিবীর মায়া বড় ভয়ানক জিনিস।

৫৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৫৯

মুনসী১৬১২ বলেছেন: গাঢ় আঁধারের বুকেই
আলোককুমার থাকে লুকিয়ে
বিভূতি রাতে নিযুত জোনাক জ্বলে
পথহারা পথিকের তরে

দেখা হবে বন্ধু নতুন কোনো ভোরে


হাজারো দুর্বিপাকে
কিছু হাত থাকে
নিরন্তর কষ্ট মাঝে
বুকের গভীরে
আগলে রাখে
পোড়া ক্ষতগুলো
মমতার চাদরে ঢাকে


হতাশার ডুবো চরে
আশার খড় ধরে
তুমি উঠে দাঁড়াও
ও দুর্বিনীত যুবক
আগামী সফলতার কলহাস্যে

নিদারুণ দুখের ভীড়ে
পরশ পাথর মনোবলে
তুমি ফিরে আসো আপন নীড়ে
চন্দ্রাহত রাতের আঁধার চিরে

আজ তোমার আকাশে
হাজারো প্রজাপতি উড়ে
অসীম নীলে
মুক্ত বলাকা হয়ে
ইচ্ছেঘুড়ি উড়ে যায়
সফেদ ডানা মেলে
রঙধনুর সাত রঙ
ছড়িয়ে দাও
সারাটি ভুবন জুড়ে




০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:২৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ভাই, আমার রিতিমত হিংসা হয় আপনার ইন্সট্যান্ট কবিতা লেখার ক্ষমতা দেখে। কি সুন্দর করে কবিতার মাঝে ফুটিয়ে তুলেন অনেক কাহিনী। অসাধারন মুনসী ।

আপনাকে প্লাস।

৫৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৩৫

গানচিল বলেছেন: কম বেশী অনেকের জীবনেই কিছু কিছু ব্যাপার থাকে-যা কাছের দু'একজন ছাড়া কাউকে বলাও যায়না সওয়াও যায়না।আর ব্লগের মাধ্যমে এভাবে খোলাখুলি বলাটাও একটু কঠিন কাজ, তাতে ব্লগের পরিচিতজনদের কেউ যদি নেতিবাচক ধারনা পোষন করে! মানে "পাছে লোকে কিছু বলে "---আর কি!অথচ এই কঠিন কাজটা কত সহজে বর্ণনা করে গেলেন।

পড়লাম আপনার জীবনের টুকরো টুকরো কথা।এবং ভাল লাগলো শুনে সব প্রতিকূলতাকে জয় করতে পেরেছেন বলে।
আসলেই- "লাইফ ইজ সো বিউটিফুল"

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৪০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: লাইফ ইজ বিউটিফুল।

আমি আসলে খোলা মনে বলে ফেলেছি সব। রাখঢাক করবো কেন ? আমার একটা বন্ধু মারা গেছে। সে যেই সময়টা পার করেছে, আমিও ঠিক সেই বিষয়েই আটকা পড়েছিলাম। আমি জানি ও ভয়ানক ডিপ্রেসড ছিলো আন ফরচুনেটলি। আরো কত না তরুনএভাবে ঝরে যায় ডিপ্রেশনে। তাই তো সব কিছু খুলে বলা উচিত, যাতে সবাই বুঝতে পারে। নিজদের আইসোলেটেড অবস্থা থেকে তারা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে।

দোষ যা করেছি তা তো স্বীকার ও করেছি। সাহস দেখিয়ে বলেছি, আবার তাহলে আমাকে কেউ কিছু বলবে ? সমাজ টা বদলে ফেলা যায় না ?

৫৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৩৭

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: চমৎকার কাম-ব্যাক!!! ব্রাভো।

সুন্দর পরিবার নিয়ে চিরসুখী থাকুন এটাই কামনা করি।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৪১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রজন্ম। আপনার জন্যেও রইলো অনেক শুভকামনা। :)

৬০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:০৪

কবি ও কাব্য বলেছেন: খুব খুব দারুন ও সংগ্রামী একটি পোস্ট । অনেক ভালো লাগলো। আজ একটা কথা বলি, আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ ও দুঃসময়ের দিন আমি আজ ২ বছর যাবত পার করে যাচ্ছি। নিজেকে পরিবার থেকে আলাদা করে রেখেছি একাই লড়াই করে জয়ী হয়ে দেখানোর জন্য। আমি খুব জিদি ও একরোখা যে কারো কথা শুনিনা। জানিনা , জিতবো কি হারবো ? শুধু জানি যতদিন প্রান আছে আমাকে লড়াই করে যেতে হবে।
ভালো থাকবেন।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৪৭

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: পাপ্পু ভাই, তুমি যে একজন সংরামী মানুষ এবং একরোখা, তা আর আমাকে বুঝিয়ে বলতে হবেনা। আমি জানি। আজকে দুসময় পার করছ, ভবিষ্যতে অবশ্যই তা সুসময়ে পরিবর্তিত হবে। এটাই নিয়ম। এত সংগ্রাম আর পরিশ্রম বৃথা যাবেনা।

তুমি আমাদের ফিল্ম মিডিয়া আর বাংলা গানের যে কালেকশন তৈরি করেছ, নিসন্দেহে এইটা বাংলাদেশের সবচাইতে বড় আর্কাইভ হবে একসময়। স্যালুট ভাই, তোমার কাছ থেক আমার অনেক কিছু শিখার আছে।

স্যালুট কম্রেড।

৬১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৪০

অ্যামাটার বলেছেন: ফিরে আসতে পেরেছেন, সেজন্য শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন থাকল। আপনার গল্পটা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের একটা উদাহরন। আত্মহত্যা বিষয়ে মন্তব্য করতে চাইনা:|

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৫১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আসলে পোস্টের মেইন কথা হচ্ছে, আমার এক ফ্রেন্ড মারা গেছে । সুইসাইড করেছে সে। তবে ও যেই অবস্থা পার করেছে, আমিও সেইম অবস্থাই পার করে এসেছি। কাজেই তার কষ্টের যায়গাটা আমি ফিল করতে পারি। আর আমার পরিবার ,বন্ধু আর নিজের লাইফের ডার্ক সাইডটা তুলে ধরে চেষ্টা করেছি অন্যদের মটিভেট করতে।

মাদক হোক আর নারী হোক, আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়।

৬২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:১৯

মাস্টার বলেছেন: lekhata porlam tanmoy

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৫২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: কোন কমেন্ট করবানা মাস্টার ভাই ?

৬৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৫৪

লাল চাঁন বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ ব্লগার কল্পবিলাসী সপ্নকে এত সুন্দর লেখা ফেইসবুকে শেয়ার করায়। না হলে হয়ত মিস করতাম!

লেখক আপনি খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। অনেক শিক্ষনিয় পোষ্ট।

আমি একজনকে খুব ভালোবাসতাম, ব্র্যান্ড ডিপার্টমেন্ট-এ কাজ করার কারনে সময় দিতে পারতাম না। মাঝে মাঝে অফিস ফাঁকি দিয়ে দেখা করতাম। দু-এক শুক্রবার আমি সময় দিতে চাইলেও সে বের হতে চাইতো না। রিলেশনের ৩ বছরের মাথায় ধরতে পারলাম আমার মতো আরো ২জনের সাথে তার রিলেশন!
মাথায় যেন বাজ পড়লো। রাতে ঘুমাতাম না, ঘুমের পিল খেতে হতো। সব সময় অস্থির থাকতাম। শুরু হলো অন্য জীবন। প্রতি বৃহস্পতীবার বন্ধুদের সাথে চলে যেতাম ফুয়াং-এ ডিজে পার্টিতে। অতপর ড্রিংকস..সিগারেট..।
অফিসে কোন কাজেই মন বসাতে পারতাম না। একদিন বস বললো আচ্ছা ঐ ফাইলটার কাজ হয়েছে? আমরা উল্টো প্রশ্ন কোন ফাইল স্যার! অন্য কোথাও হলে হয়তো ভৎসনা করতো কিন্তু স্যার অনেক ভালোবাসতেন। আমি স্যারকে রিকোয়েস্ট করেছিলাম স্যার আমাকে তিনমাস ছুটি দিন, রেস্ট নেবো। ছুটি দেয়নি, হেসে বলেছিলো কাজ করো সব ঠিক হয়ে যাবে। হ্যা সব ঠিক হয়ে গিয়েছিলো, নিজেকে নিজে বুঝিয়েছি, বহুবার শুনেছি গানটা " সত্যি বলছি তোমাকে আর ভালোবাসি না"


আর আপনার এ ধরনের ভাবনাগুলো আমার ভাবনাও ছিলো। হেরে গেলে চলবে না।

আমি অনেক কে দেখেছি এই রকম আপ্স এন্ড ডাউনের পরে স্পয়েল্ড হয়ে যেতে, ব্লগার বন্ধুরা, তারা হয়তো আপনি বা আপনার কাছের কেউ। তাদের ঝরে যেতে দিয়েন না। লাইফ ইজ সো বিউটিফুল, তাদের মটিভেট করুন। লাইফের ভালো স্মৃতিগুলোকে আকড়ে ধরে বাচতে শেখান।

স্বার্থ মানুষ কে অনেক দূরে ঠেলে দেয়। কিন্ত তাতে করে নিজের ট্র্যাক হারালে চলবেনা। মানুষের মন অনেক শক্তিশালি একটা জিনিস। সে সব কিছু নিজের কন্ট্রোলে আয়ত্বে নিয়ে আস্তে পারে চাইলেই। দরকার শুধু একটু বোধদয়।

আর একটা জিনিস, নিজের প্রতি বিশ্বাস হারাবেন না। মনে রাখবেন আপনার জীবন আসলে আপনার একার নয়, আপনার বন্ধু বান্ধব, পরিবার, সবার প্রত্যাশা নিয়েই আপনার জীবনের স্বার্থকতা। কাজেই আপনার মন্মত সবি করবেন, তবে এইটাও মাথায় রাখবেন, আপনাকে কিছু দায়িত্ব পালন করতেই হবে। একটা ব্যাপার আপনার হয়তো করতে ইচ্ছা হচ্ছেনা, তবে আপনি জানেন, এইটা করতেই হবে, কারন এইটা দায়িত্ব। সেক্ষেত্রে ইউ হাভ টু পুশ ইট। এই একটা পুশ, এক্টুখানি চিন্তাই হয়তো আপনার জীবনে নিয়ে আসবে অনাবিল সুখের মুহুর্তগুলো।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার জীবনের গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। কোন একটা কাজে বিজি হয়ে গেলে আর তা যদি হয় নিজের পছন্দনীয় , অনেক সহজ হয় ব্যাথাগুলো ভুলে থাকা। আপনার বস সেই ক্ষেত্রে ঠিকি বলেছেন।

আপনি তো আপনার ভালোবাসার ১০০% এ দিয়েছিলেন, তারপরেও যেহেতু সে চিট করেছে, তাই এর দায়ভার এক্সময় তাকেই নিতে হবে। তার কারনে নিজের জীবন নস্ট করে ফেলার কোন মানে নেই। বিকজ শী ডাজেন্ট ডিজার্ভ ইউ।

আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ভাইয়া। দেখবেন, আরো অনেক সুন্দর কিছু অপেক্ষা করছে আপনার জীবনে।

৬৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৪৫

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: একটা পরিবারের গল্প পড়লাম, একটা মানুষের গল্প পড়লাম।


ভাল থাকুন আপনি, ভাল থাকুক আপনার পরিবার।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপ্নিও ভাল থাকুন সবসময়। :)

৬৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৪৫

নীরব 009 বলেছেন: চলছিল ভালই আর আজকে হঠাৎ করে সকাল থেকে সিলেটের বৃষ্টি নিয়ে দারুণ আছি।


শুভ সকাল :)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: বৃষ্টির ষ্পর্ষে ভালো থাকুন সবসময়। ঢাকায় তো ভয়াবহ রোদ।

৬৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫৬

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: তন্ময় ভাই, কি বলবো? সব সময় কি সব কিছু বলে দিতে হয়? অনেক সময় কিছু না বলেই অনেক কিছু বুঝে নেয়া যায়, তাই না? আমিও আপনাকে অনেক কিছু বললাম, অভিনন্দন, সমবেদনা, শুভ কামনা - সব কিছু। কিছু না বলেই।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: কিছু বলা লাগবেনা বস, বুঝে নিয়েছি :)

৬৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫৮

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: জীবন সুন্দর - সুতরাং হতাশ হওয়ার কিছু নেই। যা হারিয়েছ তার চেয়ে বড় প্রাপ্তি তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। বিশ্বাস কর এবং জীবনের প্রতিটি মূহূর্ত উপভোগ কর।
জীবন পালিয়ে যাওয়ার নয়। সরাসরি মুখোমুখি দাঁড়াও। দায়িত্ব নাও লড়াই করার। এই জীবনের সব ভুলগুলো ফুল হয়ে ঝরে পড়বে তোমার মাথায়। কারণ তুমি তো বিজয়ী।

কথাগুলো আমার নয়। কোথাও পড়েছিলাম বোধ হয়।

অনেক ধন্যবাদ, আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

আমার কাছে মনে হয়, ড্রাগ হল মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় অপচয়।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ডেল কার্নেগি এই টাইপের লেখা লেখে। হয়তো সেখানেই পড়েছেন।

ড্রাগ মানুষের সুস্থ মাথায় চিন্তা করার অনুভুতিটা নস্ট করে দেয়।

ভালো থাকুন শামীম ভাই। আর আপনার আপকামিং ফিল্মের সব কিছু আপডেট জানাবেন সিনেমা পিপল গ্রুপে। :)

৬৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৩৫

আশাবাদী মাসুদ বলেছেন:

ভালো থাকুন এবং পথ চলা হওক শুভ্রতার পানে ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৭

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্যেও অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। :)

৬৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০২

আমি ইহতিব বলেছেন: জীবন যুদ্ধে হেরে যাননি জেনে ভালো লাগলো, অনেক শুভকামনা আপনার জীবনের আগামি দিনগুলোর জন্য।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, জীবন তো সবে শুরু হলো। ক্যারিয়ার , সংসার, বার্ধক্য- সবযায়গাতেই মাথা উচু করে দাড়াতে চাই।

আপনার জন্যেও রইলো অনেক অনেক শুভকামনা। :)

৭০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: নিজের কথা এমন অকপটে ক'জনই বা বলতে পারে!
তোমার জীবন বোধের কথা, স্পিরিটের কথা ভাল লেগেছে..

জীবন সর্বাঙ্গীন সুন্দর হয়ে ধরা দিকে তোমার কাছে
অনেক দোয়া রইলো..

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রেজুপু। ভুল থেকে যাতে শিক্ষা নিতে পারে সবাই, সে কারনেই এমন অকপটে বলা।

৭১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: ও আর তোমার বোন ফারিহা খুবই সুইট!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৭

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: হা হা, এটা অবশ্য কয়েক বছর আগের ছবি। এখন আরেকটু বড় হইসে। আরেকটু মোটাও হইসে। :)

শুধু ফারিহা সুইট, আমরা বাকি দুই ভাই সুইট না ? /:)

৭২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২৬

সারথী মন বলেছেন: অনেক অনেক শুভ কামনা।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। :)

৭৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৯

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: আপনার জীবন ঘনিষ্ঠ লেখা পড়ে অনেকেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। :)

৭৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৯

রাফেল বলেছেন: শুভ কামনা ভাই । আল্লাহকে ভুলে যাবেন না । জীবন বড় বিচিএ ময় ...

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক ধন্যাবাদ রাফেল ভাই। :)

৭৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:২৯

শ।মসীর বলেছেন: ভাল থাকা হউক আগামীর প্রতিটি দিন ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: কেমন আছেন ভাইয়া ?

ধন্যবাদ ।

৭৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৫

নিশাচর ভবঘুরে বলেছেন: বান্দা হাজির হয়ে যাবে ক্লাসে :)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: বান্দা হাজির হয়নি ক্লাশে /:)

৭৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৯

ক্ষুধিত পাষাণ বলেছেন: ভাল লাগল। প্রেরনাদায়ী পোস্ট।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৭৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১৯

সায়েম মুন বলেছেন: জীবন ঘনিষ্ট একটা লেখা। অকপটে বলে গেলেন। ক'জনা পারে এরকম করে বলতে। আপনার ঘুরে দাঁড়ানোর কথা শুনে অনেক বেশী ভাল লাগলো। লেখাটা পড়ে চোখে পানি এসেছিল। লাইফ ইজ বিউটিফুল। আপনার বন্ধুটা বুঝতে পারেনি।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: বন্ধুটা বুঝতে পারেনি। মৃত্যুর পর যদি দেখার ব্যাবস্থা থাকতো তাহলে হয়তো সে দেখতে পেতো কত অশ্রু ঝরছে তার তরে।

ধন্যবাদ আপু।

৭৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:২৫

ফয়সাল তূর্য বলেছেন: লাইফ ইজ সো বিউটিফুল!!! :) :) :)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: লাইফ ইজ সো বিউটিফুল তূর্য, কাজেই এক মুহুর্তও মিস করোনা। চুটিয়ে বাচো। :)

৮০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অদ্ভুত লিখেছেন! কামনা করি আপনার এই লেখা হয়ে উঠুক মাদকের অতল গহব্বরে নিমজ্জিত হাজার হাজার তরুন যুবকের অনুপ্রেরণা।

অনেক অনেক অনেক ভালো থাকুন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপ্নিও অনেক অনেক ভালো থাকুন। একজন ও যদি এই পোস্ট পড়ে অনুপ্রানিত হয়, তাহলেই লেখাটা স্বার্থক।

৮১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৫

ইউসুফ খান বলেছেন: সালাম তোমাকে তন্ময় ভাই। এতকিছুর পরও তুমি হাল না ছেড়ে জীবনের সুন্দর দিক ঠিকই খুঁজে পেয়েছো। প্রিয় একটা মুভির প্রিয় একটা ডায়লগ এখানে আমি দিতে চাই --- "hope is a good thing, maybe the best of things...And no good thing ever dies"

ভালো লাগলো। মনের অজান্তেই মনের অনেক গভীরে চলে এলে-
ভালো থাকো সর্বদা।

(جزاك الله خير) > Jazakallah Khair > 'May Allah grant you goodness' :)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: চমৎকার কোটেশন।

তুমিও ভালো থাকো প্রিয় তানিম। :)

৮২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৬

আফসিন তৃষা বলেছেন: লেখাটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আমি সবাইকে মটিভেট করার চেষ্টা করি। আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখলাম। ভালো থাকবেন সবসময় :)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপ্নিও ভালো থাকুন নিরন্তর। শুভকামনা রইলো। :)

৮৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৭

চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: লেখাটা কাল পড়েছিলাম বাট বড়োসড়ো একটা কমেন্টস করতে গিয়ে দেখি কিভাবে যেনো লগ আউট হয়ে গেছি :(

ব্রো তোমার কথা আমি আগেও কিছুটা জেনেছি আমার ফ্রেন্ডদের কাছ থেকে।আর তোমার পরিবারে সবার কথাও এখন জানলাম ,খুব ভালো লাগলো এবং একটা সুখী পরিবারের ছবি দেখলাম।এমন পরিবার পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।

যে পরিস্থিতি থেকে তুমি ঘুরে দাড়িয়েছো এবং নতুন করে পথ চলতে শুরু করেছো সেজন্য তোমাকে বাহবা দিতেই হচ্ছে।এভাবে নতুন করে শুরু করাটা কতোটা কষ্টের সেটা আমি জানি।
ব্যাক্তিগত জীবনে আমার ভিতর অনেক গুলো কষ্ট জমা হয়ে আছে।যা কাউকে বলিনা।তাই তোমার কষ্ট টাও খানিকটা উপলব্ধি করতে পারলাম।
তোমাকে ব্যাক্তিগত ভাবে এবং ব্লগের মাধ্যমে যতোটা জানি সেই প্রেক্ষিতে বলি আমার বিশ্বাস একদিন তুমি খুব ভালো একটা অবস্থানে যাবে।যার শুরুটা কিন্তু অলরেডি হয়ে গেছে বলে আমার বিশ্বাস।
আর আত্নহত্যা কখনোই সমাধান হতে পারেনা।

ছবিতে চয়ন মিয়ারে দেখলাম ;) ভালো করছো।অনেকদিন পর দেখলাম ওরে :)

তোমার এবং পরিবারের সবার জন্য শুভকামনা।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক উৎসাহিত হলাম বন্ধু। জীবনে অনেক দূর যেতে হবে, অনেক টা পথ এখনো বাকি।

চয়ন এখন কেমন যেন হয়ে গেছে। খুব মিস করি আগের এই ফ্রেন্ডদের। কি দারুন একটা ব্যাচ ছিলো। আমি ফরিদপুর চলে যাবার পর কেমন করে যেন ব্যাচ টা ভেঙ্গে গেলো। শত চেষ্টা করেও আর জোড়া লাগাতে পারলাম না।

বিবাহিত জীবন ভালই কাটাচ্ছে চয়ন। ওর সাথে আদমজীর বাকিদের কথা মনে আছে ?

শুভকামনা থাকলো তোমার জন্যেও। :)

৮৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৩৩

ইকারুসের ডানা বলেছেন: @ চেয়ারম্যান - শেষের ছবিদুটো দেখে আমিও অবাক ! চেনা মনে হচ্ছিল । চয়ন !

@ তন্ময় - এখন যেই জীবনে তন্ময় ফেরদৌস আছে , সেটাই যেন সবসময় চলে। নিজের ইচ্ছামত আলোময় একটা জীবন । এইরকম একটা নির্বাসনকাল আমিও পার করেছি , এখনো সব ঠিক না হলেও , আমি জানি - একদিন সব ঠিক হবে ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা তন্ময় । ভালো থাকা হোক ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ইকারুসের ডানা চয়ন কে চিনেন কিভাবে ? আপ্নিও কি আদমজীতে পড়েছিলেন ?

অনেক শুভকামনা থাকলো আপনার জন্যেও। :)

৮৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৪৯

কবি ও কাব্য বলেছেন: লালচান ভাইয়ের কথায় আমার জীবনের একটা কথা মনে পড়ে গেলো। আমার জীবনেও প্রায় এইরকম একটি ঘটনা আছে। আমি তখন বাংলালিঙ্কে এসএমই ডিপারটম্যানট এ ভালো পারফর্মেন্স করার কারনে আমাকে সিলেটে কর্পোরেট সেলস বিভাগের দায়িত্ব দিয়ে প্রমোশন দেয়া হয়, যেখানে আগে দেখতাম শুধু একটা এরিয়া সেখানে তখন পুরো ২ টা জেলা ও সিলেটের মেট্রো এরিয়ার দায়িত্ব পড়লো কারন সিলেটে তখন বাংলালিঙ্ক এর কর্পোরেট সেলস ডিভিশন একেবারেই নতুন চালু হয়েছে। যার ফলে সকাল থেকে রাত অবধি শুধু মার্কেট দখলের চেষ্টায় ব্যস্ত। আমার প্রিয়জনের ফোন আসলেও ২/১ মিনিটের বেশি কথা বলতাম না। দেখা গেছে সারাদিনে সে ফোন না দিলে আমার ফোন দেয়া হয় না। রাতেও কথা বলতাম না। তখন আসতে আসতে শুরু হয় সন্দেহ। তাঁর ধারনা আমি সম্ভবত অন্য কারো প্রেমে পড়েছি। কিন্তু সেটা ছিল একেবারেই ভুল। এই নিয়ে প্রায় আমি ফোনে রাগ করে ফোন রেখে দিতাম। তাকে কোনভাবেই বিশ্বাস করাতে পারছিনা যে আমি কারো সাথে প্রেম করছিনা। আমি আমার কাজের প্রতি ও দায়িত্বের প্রতি সচেতন। কিন্তু না কোনভাবেই বুঝানো গেলো না। এই ব্যস্ততার মাঝে আমি এমবিএ শেষ করলাম বেশ ভালো ভাবেই। তাঁর ধারনা এবার আমি এমবিএর কোন ছাত্রীর সাথে প্রেম করছি যার ভুল ভানাগানর জন্য তাকেও এমবিএ তে ভর্তি করালাম জোর পূর্বক। তবুও তাঁর সন্দেহ গেলো না। একদিন শুনি তাঁর পরিবার থেকে বিয়ে ঠিক করা হয়েছে। আমি বিয়ে ভাঙ্গার অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত থেমে গেলাম যখন জানলাম সে নিজেই ঐ ছেলেকে পছন্দ করে বিয়েতে মত দিয়েছে যার সাথে তাঁর ফোনে কথা হতো এবং যে ছেলেটা তাদের পরিবারে আসা যাওয়া ছিল। রাগে দুঃখে বাংলালিঙ্ক থেকে রিজাইন দিলাম। আমার রিজাইন লেটার আমার বস গ্রহন করবেন না। আমাকে উনি নিজে ও অন্নদের দিয়েও ৭/৮ বার ফেরানোর চেষ্টা করেছেন কিন্তু না তখন আমার কাছে পৃথিবীর সবকিছুর প্রতি ঘৃণা জন্মে গিয়েছিল যার ফলে আমি মুক্তি চাইছিলাম। আমার বস আমাকে বললেন তুমি তিনমাস ছুটি নাও, আমি সব ব্যবস্থা করবো ,কিন্তু আমার এক কথাই আমি চাকরি করবো না। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ একমাস পর আমা র রিজাইন লেটার এইচআর গ্রহন করে। যা ছিল আমার অন্যতম একটা ভুল সিদ্ধান্ত যা আজ বুঝতে পারছি। এর পরের ৬ মাস শুধুই এক অন্ধকার এক ঘরে আমি, একটার পর একটা সিগারেট এর জীবন। সেই জীবন থেকে আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা। আবার চাকরি জীবনে প্রবেশ করি এবং নিজের সব ভালবাসা দিয়ে একটা নতুন কিছু গড়ার চেষ্টা যার নাম সবাই জানে 'রেডিও বিজি২৪' , যা নিজে কিছু পাওয়ার জন্য নয় মানুষকে কিছু দেয়ার চেষ্টা। আমার চাওয়া পাওয়া শেষ অনেক আগেই। এখন শুধু কিছু দিয়ে যাওয়ার অবিরত চেষ্টা। আজো সেই মানুষটি খোঁজ নেয়, তাঁর ভুল বুঝতে পারে কিন্তু আমার আর সেদিকে তাকানোর সময় নেই। আজ আমি অনুভুতি আবেগহীন এক যন্ত্রমানব। আজো পথে পথে বাধা গ্রস্থ হই, তবু দমে যাইনি।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আগেও বলেছি, এখনো বলছি- আপনার মত প্যাশনেট একজন মানুষ আমাদের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে কয়েকজন থাকলে দাঁড়িয়ে যেতে বেশি টাইম লাগতো না। রেডিও বিজি২৪ এর একজন ভক্ত আমি এবং বাংলাদেশের আরো হাজারো তরুন। আপনি অনেকদূর যাবেন ভাই, এইটা আমি নিশ্চিত। আর আমরা তো আছি ই যে কোন ব্যাপারে। পাশে পাবেন সবসময়, প্রমিস।

আপনার কাহিনী পড়লাম মনযোগ দিয়ে, কিছু বলছি না, তবে হৃদয় দিয়ে উপলদ্ধি করলাম।

ঘুরে দাড়ানোর জন্য এবং বাংলা মিউজিক ও মুভির প্রসারের অসাধারন এক প্রচেষ্টার জন্য আপনাকে গ্র্যান্ড স্যালুট প্রিয় পাপ্পু ভাই।

ভাল থাকুন সবসময়। :)

৮৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:১১

কবি ও কাব্য বলেছেন: সেই থেকে নিজেকে যে একা করে ফেলেছি আজ সবার কাছ থেকে নিজেই নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা আর কাজে ডুবে থাকা এই হলো আমার পৃথিবী। একা পথ চলে যাচ্ছি যেখানে কেউ আমার সাথে নেই। পরিবার পরিজন এর কাছ থেকেও নিজেকে দূরে সরিয়ে ফেলেছি শুধু অনেক দূর যেতে হবে এইটুকু জানি।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: একা কোথায়, আমরা সবাই আছিনা ? X((

৮৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৪৯

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: কখন যে কার অন্তরে কোন ছোট্ট কথায় টোকা পড়ে !! তন্ময় ভাইয়ের অসাধারন লেখায় পাপ্পু ভাইয়ের বদ্ধ কপাট যেন খুলে গেল। আবেগী হয়ে অনেক কিছুই বলে ফেললেন, হয়তো লুকিয়ে রেখেছিলেন গোপনে। সবার সাহস থাকে না, নিজেকে এভাবে প্রকাশ করে দেয়ার; অন্তত আমার নেই, যা তন্ময় আর পাপ্পু ভাই করে দেখালেন। আমারও ফিরে আসার একটা টার্নিং পয়েন্ট আছে, হয়তো আপনাদের মত এত সুন্দর করে প্রকাশ করতেই পারবো না।

আপনাদের স্যালুট।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: শেয়ার করে ফেলুন আপনার মনের কথাগুলোও, দেখবেন মন টা হালকা হয়ে যাবে। আর পাপ্পু ভাই আমাদের খুব কাছের মানুষ। উপর থেকে দেখে শক্তপোক্ত মনে হলেও আসলে তিনি অনেক টা সেনসেটিভ। আমার খুব পছন্দের মানুষ তিনি। তার অপ্টিমিস্টিক চিন্তা আমার বেশ ভালো লাগে।

আপনার টার্নিং পয়েন্ট সম্পর্কে জানতে চাই।

৮৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১৮

কবি ও কাব্য বলেছেন: কালা মনের ধলা মানুষ ভাইজান সেই সময়টা আমাকে জীবনের অনেক অনেক কিছু শিখিয়েছে। অনেক কঠিন কিছু দেখেছি যা কোনদিন ভাবতেও পারিনি। যখন দুঃসময় আসে তখন সবাই চলে যায় এমন কি নিজের পরিবারের মানুষও ভুল বুঝে। কত লাঞ্ছনা, অপমান সহ্য করে দাঁতে দাঁত চেপে টিকে থেকেছিলাম। আমার ছোট বেলার ৩ বন্ধু আমাকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছিল । ওরা এখনও আমার পাশে আছে। ওদের ধারনা ও বিশ্বাস ছিল আমি ঘুরে দাঁড়াবো যার ফলে সেই ছয়টি মাস আমি কারো মুখ দেখিনি, কেউ আমার খোঁজ রাখেনি শুধু ঐ তিনজন অফিস শেষে একবার প্রতিদিন আমাকে দেখে যেতো। সিগারেট কিনে দিয়ে যেতো। যা লাগতো সব তাঁরাই করে দিতো। আসতে আসতে বুঝতে পারলাম যে আমি একটা ভুল করেছিলাম সবার কথা অমান্য করে চাকরীটা ছেড়ে, আরও বড় ভুল করতে যাচ্ছি নিজেকে ভেঙ্গে। এভাবে ভেঙ্গে যাওয়াটা আমার পরাজয়। তাই আবার ধীরে ধীরে জেগে উঠলাম। নতুন চাকরি নিলাম, সেখানে কয়েকদিন পর কিউবি তে আসলাম , কিউবিতে আসার ২ মাস পর বর্তমান পেশায় আসলাম। অথচ এতো অস্থির আমি কখনও ছিলাম না। আজ বড় বেশি ছুটছি তো ছুটছি আর নিজের ভালোবাসা দিয়ে গরতে লাগ্লাম রেডিও বিজি২৪। যেটা এখন আমাকে স্বপ্ন দেখায়। আমার পুরো একাকীত্বকে দূর করে দিয়েছে। জীবনের বড়ই কঠিন একটি সময় পার করছি যা কোনদিন ভাবিনি। এইসব কথা কোনদিন বলতে চাইনি কিন্তু আজ তন্ময়ের লিখা পড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেললাম ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: গ্র্যান্ড স্যালুট পাপ্পু ভাই ।

৮৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১৮

আবু সালেহ বলেছেন:
ভালো লাগলো......আপনার জীবন কাহিনি.............স্যালুট আপনাকে যে আপনি সেই মাদক থেকে ফিরে আসতে পেরেছেন.................

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৭

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ এবং ভালো থাকবেন সবসময়।

৯০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট। আপনি ভালো থাকুন। অকারনেই নিজেকে নাস্তিক মনে করবেন না।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ।

অকারনে নিজেকে নাস্তিক মনে করিনা তো ভাই। হালের ফ্যাশনে তো নাস্তিক নই, এগ্নস্টিক বলতে পারেন। আমার কিছু প্রশ্ন আছে যেগুলার উত্তর ধর্মের কাছ থেকে পাইনা। যাই হোক , ধর্ম নিয়ে কথা হবে অন্য কোন দিন।

ভালো থাকুন।

৯১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০১

রীতিমত লিয়া বলেছেন: আপনার পরিবারের প্রতি আমার শ্রদ্ধা। এমন পরিবার কয়জনের হয়?

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:১০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপ্নাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। দাওয়াত রইলো একদিন আমাদের পারিবারিক আড্ডায় যোগ দেয়ার। :)

৯২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৫

হাম্বা বলেছেন: এই লেখাটার জন্য আপনাকে সালাম


একটা হিজিবিজি যদিও এখনো শেষ হয়নি


তবুও আপনাকে উপহার দিলাম

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৪২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, বেশ মজা করেছেন নাকি ফটোওয়াকে ?

৯৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০১

সুস্ময় পাল বলেছেন:

চমৎকার!

মানুষের ঘুরে দাঁড়াবার কাহিনী পড়তে আমার খুব ভাল লাগে। নিজের মনে অজান্তেই একটা সাহস পাই।

কিছু কিছু ব্যাপার দেখে মজা পেলাম। আপনার ভাইয়ের হাই কিক, আপনার 'ভার্জিন' টি-শার্টের 'স্কচটেপ আর দেয়াল' সম্পর্ক। হাই কিকটা দেখে ত 'দ্য কারাটি কিড' এর একটা সীনই মনে পড়ে গেল! :) :)

তবে আপনার বাবার ছবিটা একটু অদ্ভুত। উনি কি ভাঙা গাছের উপর নামাজ পড়ছেন? B:-) B:-)

আর একটা ছবির গ্যাপ পড়েছে ... আপনার গার্লফ্রেণ্ড আর আপনার। ক্যাপশান দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ছবি নাই। এটা কি ইচ্ছাকৃত? :)

সূর্য দেখে পুনর্জাগরণ ... দারুণ!! :) :) :)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৪৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আমার ভাই একাধারে কোরানের হাফেজ, সে ইংরেজী, আরবী, উর্দু ও ফারসি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারে, তাইকোয়ান্ডোর ন্যাশনাল প্লেয়ার। আজকে দেখলাম একটা বাশি বানিয়ে এনেছে ২০০০ টাকা দিয়ে। সে নাকি বাশি বাজানো শিখবে। তবে ওর মত লক্ষি ছেলে খুব কম ই আছে, আমার মনে হয়না জীবনে একবারো তাকে ধমক দেয়ার প্রয়োজন পড়েছে।

টি শার্ট টা আসলে অনেক দিন ধরেই আমার দেয়ালে ঝুলছিলো। সেখানে লেখা ছিলো- " আই এম এ ভার্জিন" নিচে লেখা "দিস ইজ ভেরি ওল্ড টি শার্ট", হা হা ...

আব্বুর এই ছবিটা আসলে সুন্দর বনের টুরের মধ্য থেকে তোলা। নামাজের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছিলো, তাই বনের মাঝেই...

আমার আর গার্লফ্রেন্ডের ছবি প্রথমে দেয়া ছিলো, পরে দু একজন ব্লগারের অনুরোধে ছবিটি রিমুভ করেছি। তবে নিচে থাম্বনেইলে দেখি এখনো দেখা যাচ্ছে। শেষ ছবিটা।

আপনাকে ধন্যবাদ। :)

৯৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০১

হাম্বা বলেছেন: ভিডিওটার মূলত ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকটার জন্যই আপনাকে দিলাম

ভিডিওটার একদম প্রথম ২০/২৫ সেকেন্ড আর সারে তিন মিনিট থেকে চার মিনিট পর্যন্ত আনুমানিক ৪০/৫০ সেকেন্ডের জন্য আমাদের নিজেদের তোলা কিছু ছবি দেওয়া হবে

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৫০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: সুন্দর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। এখনো ভিডিও প্রোডাকশন করছেন তাহলে ?

৯৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৪

তপু দাশ বলেছেন: আপনার এই লেখা থেকে অনুপ্রেরণা নেয়া যাবে। শোকেসে রাখলাম। আপনারে স্যালুট।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৫১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপনাকে অনুপ্রেরনা দিতে পারলে লেখাটা স্বার্থক।

ধন্যবাদ।

৯৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৪৮

হাম্বা বলেছেন: ঐ দিন সকালে নাস্তা আর দুপুরের ভাত গতবারের চ্যানেল আই এর হাড়ি কড়াই এর লড়াইয়ে যে বিজয়ী হয়েছিল তাদের বাড়ীতে করেছিলাম। :-B :-B :-B

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৫৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: :) :)

৯৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:১৩

মুর্তজা হাসান খালিদ বলেছেন:
অভিনন্দন আপনাকে

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৫৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আর আপনাকে ধন্যবাদ। ভাইয়া।

৯৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৫

ডেভিড বলেছেন: প্রকৃতিতে অসংখ্য স্বপ্নকণা ভেসে বেড়ায় যে একটি ভেঙে গেলে শুন্যস্থানে অজস্র কণা এসে জায়গা দখল করে, শুধু জীবনের মানেটাকে পাল্টে দেয়ার জন্য প্রকৃতি অসংখ্য উদহারণ নিয়ে আমাদের আশে পাশে ঘোরাফেরা করে, একটু কষ্ট করে দেখে নিলেই হয়

উচ্চমাধ্যমিকের পুওর রেজাল্ট থাকায় উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সব দুয়ার যখন একে একে বন্ধ হয়ে গেছে তখন নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতোও শক্তি ছিলনা, এরকম এক সময়ে একদিন আজিমপুরে এক বন্ধুর বাসায় অন্ধকার এক রুমে শুয়েছিলাম। হঠাত জানালার এক চিলতে আলো দেয়ালে প্রতিফলিত হয়ে চিক চিক করতে দেখে জিনিষটা কি দেখার জন্য আলো জালালাম। দেখলাম একটা পোস্টারের ওপর আলো পড়ে প্রতিফলিত হয়ে চিক চিক করছে। এই পোস্টারটিই আমার জীবনের পাল্টে দেয়ার প্রেরণা যোগাল- পোস্টারটিতে একটি জানালার আকা ছবি, যার মধ্যে দিয়ে দুরের প্রকৃতি দেখা যাচ্ছে, আর তাতে লেখা - যখন দেখবে জীবনের সব সম্ভাবনার জানালা রুদ্ধ হয়ে গেছে ঠিক তখনো ভাববে প্রকৃতি তোমার জন্য একটি হলেও জানালা খুলে রেখেছে -

আমি এখনও সফল কিছু করতে পারিনি। তবে সেই সময়ে যা ভাবতাম তার চেয়ে হাজার গুণ উচ্চতায় চলে এসেছি। আর আমার প্রেরণা সেই পোস্টারটিকে এখনও মনে পড়ে

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:০১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: স্যরি দেরি হবার জন্য।

আপনার সূচনার কি চমতকার শব্দচয়ন। দারুন লাগলো।

যখন দেখবে জীবনের সব সম্ভাবনার জানালা রুদ্ধ হয়ে গেছে ঠিক তখনো ভাববে প্রকৃতি তোমার জন্য একটি হলেও জানালা খুলে রেখেছে - অসাধারন একটা কোটেশন।

নিজেকে আন্ডার এস্টিমেড করেবেন না। আপনি চমৎকার লেখেন। সফলতা আপনার দুয়ারে নক করছে। কাজেই টেনশন নিয়েন না, জাস্ট লিভ ইন্দ দা মোমেন্ট, ইনজয় দা মোমেন্ট। ফিউচারের কতাহ চিন্তা করার দরকার নাই এখনি।

আপনার সর্বাঙ্গে সাফলতা কামনা করি ডেভিড ভাই।

৯৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৩

উণ্মাদ তন্ময় বলেছেন: লাইফ ইজ সো বিউটিফুল



শুভ কামনা রইল

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:০২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনার প্রতিও রইলো শুভকামনা। :)

১০০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪৭

মৃত্তিকা মন বলেছেন: শুভকামনা রইল তন্ময়! এই মোটিভেশন সারাটি জীবন বজায় থাকুক!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:০৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপনার জন্যেও শুভকামনা। আশা করি আপ্নারাও মটিভেটেড হলে লেখাটা স্বার্থক। :)

১০১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:২৯

ইসরা০০৭ বলেছেন: নিজের কথা এমন অকপটে ক'জনই বা বলতে পারে! পারলেও কেউ বলেনা। আপনি কি সুন্দর করে বুঝিয়ে সব বলে গেলেন।
পড়তে পড়তে চোখে পানী চলে এলো। জীবন কতই না বৈচিত্যময়।

''আর একটা জিনিস, নিজের প্রতি বিশ্বাস হারাবেন না। মনে রাখবেন আপনার জীবন আসলে আপনার একার নয়, আপনার বন্ধু বান্ধব, পরিবার, সবার প্রত্যাশা নিয়েই আপনার জীবনের স্বার্থকতা। কাজেই আপনার মন্মত সবি করবেন, তবে এইটাও মাথায় রাখবেন, আপনাকে কিছু দায়িত্ব পালন করতেই হবে। একটা ব্যাপার আপনার হয়তো করতে ইচ্ছা হচ্ছেনা, তবে আপনি জানেন, এইটা করতেই হবে, কারন এইটা দায়িত্ব। সেক্ষেত্রে ইউ হাভ টু পুশ ইট। এই একটা পুশ, এক্টুখানি চিন্তাই হয়তো আপনার জীবনে নিয়ে আসবে অনাবিল সুখের মুহুর্তগুলো।''

একটা মানুষ একা চলতে পারেনা তার আসেপাশে অনেক কিছুটা নির্ভর করে চলে তার উপর। যেকোন মূহুর্তে তার পারিবারিক,বন্ধু-বান্ধবের সাপোর্ট সত্যি খুবই দরকার। যে কোন অবস্তানে মানুষ মনে করে সব শেষ তার জীবনের কিন্তু যখন সাপোর্ট পায় তখন বাচার স্বপ্ন দেখে।আপনার পরিবারের প্রতি রইলো শ্রদ্ধা।সবার ভালোবাসায় আপনাকে সঠিক পথ দেখিয়েছে। সবার এমনটা হওয়া উচিৎ।

''স্বার্থ মানুষ কে অনেক দূরে ঠেলে দেয়। কিন্ত তাতে করে নিজের ট্র্যাক হারালে চলবেনা। মানুষের মন অনেক শক্তিশালি একটা জিনিস। সে সব কিছু নিজের কন্ট্রোলে আয়ত্বে নিয়ে আস্তে পারে চাইলেই। দরকার শুধু একটু বোধদয়।''

আহারে সবাই যদি এই কথাগুলো বুঝে যেত কতোনা ভালো হত।নিজের লাইফকেও বাচাতে পারতো আর তাকে ঘিরে যারা তারাও একটু শান্তি পেতো। জীবন শুধু কষ্টের নয় আনন্দময়ও আছে গড়ে নি্তে পারলে।

সবার পিক দেখে ভালো লাগলো তবে আপনার হাসিখুসি পিকটা দেখে খুবই ভালো লাগলো।মনের বিশ্বাস ও শক্তি ছিলো বলে আপনি পেরেছেন এতো বড় জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে।:)

সবাই ভালো থাকুন।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:০৭

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: রে, আপনি তো আমাকে ইমোশনাল করে দিলেন আবার। বুঝিয়ে বলতে পারিনাই। ওল্টপালট যা মনে এসেছে লিখেছি। :)

আপ্নিও ভালো থাকু, জীবনে যেন কোন কমপ্লিকেশনের সৃষ্টি না হয়,এই কামনা করি। ভালো থাকুন। :)

১০২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৩৫

আশফাকুল তাপস বলেছেন: আমি সুইসাইডের উপর একটা শর্টফিল্ম বানানোর প্ল্যান করছি অনেক দিন ধরেই।কিন্তু এই টপিকটা ধরতে আমার খুব ভয় লাগে।মনে হয় সুবিচার করতে পারব না।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:১০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আরে পারবেন, তবে সুইসাইড সঙ্ক্রান্ত রিসার্চ করতে হবে। এতে করে অনেক নতুন নতু জিনিস বেরিয়ে আসবে।

আমার অনুরোধ, আপনি এইশর্টফিল্ম টা বানান এবং একটা পজেটিভ ম্যাসেজ থ্রো করেন সসাইটির দিকে।

এক্সিকিউশন তেমন কঠি হবার কথা না।

১০৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৭

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো লেখাটা। এইরকম কি সবার জীবনেই কমবেশি হয় নাকি? :P

আমারও হয়েছিলো ইউনি লাইফের শেষ সেমিস্টারে, সবসময় ভালো রেজাল্ট করা এই আমি মিডটার্মে করি ৩ সাবজেক্টে ফেইল...হাহাহা! টিচাররা ডেকে জিজ্ঞেস করতেন কি হইসে তোমার? ৬ মাস ঘুমাতে পারি নাই, খুব কষ্টের একটা সময় পার করেছি। উল্টাপাল্টা অনেক কাজ করেছি, সেগুলো বলে লাভ নেই। তবে শেষ পর্যন্ত ফিরে এসেছি, তুচ্ছ একটা মেয়ের জন্য (যে একই সাথে ৩টা ছেলের সাথে সম্পর্ক রাখতো) এত সুন্দর জীবনটা নষ্ট করার কোন মানেই হয়না।

এখন ভালোই আছি, তার চেয়ে অনেক ভালো একজনকে পাশে পেয়েছি! ভালো থাকবেন।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:১১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপ্নারা কপোত কপোতী ভালো থাকুন আজীবন। পাস্ট ইজ পাস্ট। যা হইসে হইসে, ফিউচার টাকে সুন্দর করে তুলুন।

১০৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: জীবন কখনো ফুরিয়ে যায় না

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:১৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: জীবন কখনো ফুরিয়ে যায় না।

ঠিক বুঝলাম না, জীবন তো এক্সময় ফুরাবেই, তাই বলে আগেই নিজ হাতে ফুরিয়ে দেয়ার মানে নেই।

১০৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪১

সাইফুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে মনে হল নতুন কোন বন্ধু গভীর রাতে পাশে বসে তার সব গল্প বলছে গভীর মমতায় মুখে একটা সিগারের নিয়ে। খুব ভাল লেগেছে। আপন বলে মনে হয়েছে।

ক্যাম্পাসে এসেছিলাম বিশ্বাস নিয়ে, কিন্তু এখন আর আমি স্রষ্টার অস্তিত্ব খুজে হয়রান হই না। ক্যাম্পাসের অবাধ স্বাধীনতা আমাকেও আপনার মত নকচারনাল করে তুলেছে। আমার পরিবারও মোটামুটি আপনার মতই ধার্মিক। আর বর্তমানে আমার বিশ্বাসের টানাপোড়ন।মনে হয় পরিবারের সাথে বিশ্বাস নিয়ে নিয়মিত মিথ্যা অভিনয় করছি। পরিবারের কেউ জানে না আমার বিশ্বাসের সমাপ্তি। এসব নিয়ে একটু মানসিক চাপে আছি। নিজেকে ব্যাস্ত রাখার জন্য তিনটা টিউশানি করি। একটা ভার্সিটি কোচিংএ ক্লাস নেই। তবে এতকিছুর পরেও সম্প্রতি জীবনে কাউকে মন দিতে পারিনি বলে নিজেকে ব্যার্থ বলে মনে হচ্ছে।

শুভকামনা চাই।
ভাল থাকবেন।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:১৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আরে, আপনার সাথে তো আমার অনেক মিল। আসলেই সিগারেট খেতে খেতে লেখেছি।

কাওকে মন দেয়াটা মুখ্য না, কিংবা মন নেয়ার চেশটা করারো দরকার নেই। যখন সময় আসবে, অটোমেটিক মনের মানুষ কে পেয়ে যাবেন, জে কিনা এতদিন আপ্নার অপেক্ষাতেই ছিলো।

আপনার কাহিনী শেয়ার করার ভালো লাগলো।

ভালো থাকুন নিরন্তর।

১০৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০৮

মৃত্যুঞ্জয় বলেছেন: দুঃখ শেয়ার করলে কমে, জীবন বাঁচতে শেখায়, আর সময় কাজ করে ঔষধের

শুভকামনা রইল

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:১৭

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: দুঃখ শেয়ার করলে কমে, জীবন বাঁচতে শেখায়, আর সময় কাজ করে ঔষধের

সুন্দর বলেছেন। আপনার জন্যেও শুভকামনা রইলো। :)

১০৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৩৮

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন: পুরো লেখাটা পড়লাম। জীবনের ক্রিটিকাল মোমেন্টগুলোর কথা এভাবে বলে ফেলা অনেক সাহসের কাজ। আপনাকে অনেক অভিনন্দন সুন্দর জীবনে ফিরে আসায়। আর আরো ধন্যবাদ সবার সাথে শেয়ার করায়। অনেকেই হয়ত জীবনের নতুন অর্থ, পথ, ইন্সপিরিশান খুঁজে পাবে আপনার লেখার মাধ্যমে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: তাহলেই লেখাতা স্বার্থক।

ধন্যবাদ।

১০৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৭

শিপু ভাই বলেছেন:
আপনি জীবনের একটা কঠিনতম সময়কে যেভাবে জয় করেছেন এবং আপনার যে আত্মউপলব্ধি হয়েছে তার জন্য স্যালুট ও শুভকামনা জানাই। আমার মনে হয় না আপনি সামনের সময়গুলোতে আর বড় ধরনের কোন সমস্যায় পড়বেন। যেগুলো আসবে সেগুলো ওভারকাম করার ক্ষমতা আপনার আছে।

খুব সুন্দর করে গুছিয়ে পোস্টটি দিয়েছেন।++++++++++

অনেক অনেক ভালোবাসা আপনার জন্য সুইট ব্রাদার!!!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শিপু ভাই।

আপনার অফিসের নিচ দিয়ে গেলাম আজকে। ভাব্লাম দেখা করি, তবে সময় সল্পতার কারনে দেখা করা হলোনা। নেক্সট টাইম দেখি।

আপনি এত অনিয়মিত হয়ে গেছেন কেন ?

১০৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৩৬

আরজু পনি বলেছেন:

তন্ময়, আপনাকে অনেক ভালো করে চিনি বলেই পোস্টটি প্রথম পাতায় থাকাবস্থায় চোখে পড়লেও এড়িয়ে যেতে চেয়েছিলাম। আমি জানতাম আমি নিজেকে সামলাতে কষ্ট হবে যতোই আশার কথাই থাকুক।


আত্মহত্যা সব কিছুর সমাধান নয়। ..এটাই আসল কথা :| :(

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৭

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: তুমি আমার প্রায় সবি জানো পনিপু।

আসলে যেদিন ফ্রেন্ড টা আত্মহত্যা করে সেইদিন নিজের জীবনের সাথে তারটার কম্পেয়ার করতে গিয়ে এই পোস্টের অবতারনা।

১১০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৩৭

আরজু পনি বলেছেন:

প্রিয়তে নিলাম।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। :)

১১১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪৩

দার্শনিক্‌ বলেছেন: আপনার গার্লফ্রেন্ডের নাম কি রয়া ?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: জী না। পুরা পোস্ট পড়ে এইটাই আপনার মন্তব্য !

১১২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:০৩

গাধা মানব বলেছেন: আমি সৃষ্টির সেরা জীব, আমি কি এত সহজে হাল ছেড়ে দিতে পারি ?

++++++++++++++




ভাইয়া, ভয়ঙ্কর টাচি একটা লেখা। সরাসরি প্রিয়তে। :) :)


ভাল থাকবেন সব সময়। :)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপ্নিও ভালো থাকুন সবসময়। :)

১১৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৭

scorpio6541 বলেছেন: ভাইরে এত সুন্দর লেখা আমি জবনেও পড়ি নাই। আপনার লেখার হাত ভাল।চালিয়ে যান। অনেক বেশী ভাল লেগেছে আপনার লেখাটা পড়ে। আপনার মত ভাল লিখিনা বলে হয়ত বোঝাতে পারছিনা। শুভকামনা রইল।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: লজ্জা দিলেন ভাই, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১১৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৯

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
এন কমপ্লিট অনেস্ট অটোবায়োগ্রাফী...

ভাল থাকবেন সবসময়...

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: কেমন আছেন সুপান্থদা ? প্রায় এক বছর হতে চললো আপনার সাথে দেখা হবার পর। ব্লগে অনিয়মিত ?

১১৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩১

টুকিঝা বলেছেন: জীবনের কি চমৎকার মোড়, আর আপনি কি অদ্ভুত ভাবে পাড় করে আসলেন!!!

ভাল লাগলো অনেক। এরকম আরও লিখুন। পাশেই আছি আমরা, থেকেই যাব।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু, আপনাদের উৎসাহ নিয়েই তো পথ চলি।

১১৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩২

@অরণ্য বলেছেন: জীবনের গল্প, আশার গল্প, নিজেকে তুলে আনার গল্প ভালো লাগলো

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অরণ্য।

১১৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০৪

মামুন রশিদ বলেছেন: শুভকামনা নিরন্তর.. :) :)

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপ্নার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা।

১১৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪৬

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: কিছু মানুষকে জীবনের প্রতিটা যুদ্ধেই চরম মূল্য দিতে হয়। জীবন মানে কি তাদের চেয়ে ভালো মনে হয় আর কেউ জানেনা। কখনও কখনো আমার এমন মনে হয়েছে দেইনা সব ঝামেলা শেষ করে। কিন্তু পরক্ষণেই মনে হয় আমিই যদি না থাকি যুদ্ধের শেষটআ কে দেখবে। দেখিনা জীবন আমাকে কোথায় নিয়ে দাড় করায়। প্রতিবার আল্লাহর রহমতে সেই সমুদ্র জয় করেছি বীর বেশে। আজও নতুন যুদ্ধে জড়িয়ে আছি। দেখাই যাকনা গন্তব্য কোথায়। ভাল লাগল তন্ময় আপনার যুদ্ধের গল্পটা।।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সেই সাথে শুভকামনাও জানবেন।

১১৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫১

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: মানুষের জীবন খুব বেশি জটিল ! কখন কিভাবে কি ঘটবে আমরা কেউ জানিনা ।
আপনার লেখাটা পড়ে মনে হল আপনি খুব সাহসী একজন মানুষ। আপনি যেভাবে সব কথা বলতে পেরেছেন সবাই তা পারেনা ।
ভালো লাগলো, ভালো থাকবেন সবসময় ।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপ্নার মন্তব্যে অনুপ্রেরনা পেলাম। ধন্যবাদ।

১২০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:২০

বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: আমার গল্প কাহিনীও মোটামোটি এরকমই ট্র্যাজেডিক।

ইচ্ছা আছে একদিন বলার।

পড়ে খুব ভালো লাগলো। মনে হচ্ছিলো নিজের জীবন কাহিনীই পড়ছি নাতো?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম আপনার কাহিনী শুনার জন্য।

১২১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:১০

বিতর্কিত উন্মাদ মানব বলেছেন: হ্যাটস অফ তন্ময় ভাই।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেকদিন পর দেখলাম আপনাকে।

ধন্যবাদ।

১২২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৪৪

ঘোর ছাড়া এক সুখি ছেলে বলেছেন: হায়রে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ!!!!!!! তামা তামা কইরা ছাড়লো আমারে মেডিকেল এর যে ছবি টা দিছেন ও টার উপরে যে জানালা টা ছিলো ঐ খান টা তে সে আসতো আর আমি বাইরে দারায় থাকতাম ৫ টা বছর হুদাই নষ্ট করছি তার পিছনে ।ইচ্ছা ছিলোনা ব্লগ এ তার মেডিকেল এর নাম বলার কিন্তু বইলা ফেললাম দেখি তো সে এখন ময়মেনসিং মেডিকেল এর ১ পোলারে নিয়া খুব শুখ এই আছে আর আমার ফ্রেন্ড রা লেখা পড়ার পাট চুকাতে যাইতেছে আমি পড়া ছাইড়া আঙুল চুষতাছি ।ভাইয়া আপনি কোন ব্যাচ এর ছিলেন । :(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( :((

১২ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: এফ ১৬ ব্যাচে ছিলাম ভাই ।

১২৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৭

অহনা অনন্যা বলেছেন: স্বার্থ মানুষ কে অনেক দূরে ঠেলে দেয়। কিন্ত তাতে করে নিজের ট্র্যাক হারালে চলবেনা। মানুষের মন অনেক শক্তিশালি একটা জিনিস। সে সব কিছু নিজের কন্ট্রোলে আয়ত্বে নিয়ে আস্তে পারে চাইলেই। দরকার শুধু একটু বোধদয়।

অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য

১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১২৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:০১

ঘর কুনো বলেছেন: পোস্ট টি আমি অনেক অনেক বার পড়েছি। কিন্ত কেন জানি কমেন্ট করতে ইচ্ছে হয় নি। আজ করলাম। লাইক ইউ তন্ময় ভাই।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৩৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: জাস্ট চিল ব্রো...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.