![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনাদের একটা গল্প বলি। গল্পের দুইটা অংশ।
(১ম অংশ)
রাজিব ভাইয়ের খবর টা শুনার পরপরি আমি চারুকলার দোতলা থেকে দৌড়ে নিচে নেমে আসি। কয়েক জনের সাথে ফোনে কথা বললাম। চারুকলার সামনে থেকে যাদুঘরের সামনে তথ্যকেন্দ্র পর্যন্ত কেউ তখনো খবরটা শুনেছে বলে মনে হয় নি। তথ্যকেন্দ্রে জানালাম। মিডিয়া সেলে জানালাম। এর কিছুক্ষন পর মঞ্চে ঘোষনা দেয়া হয় ব্লগার "থাবা বাবা"র মৃত্যু নিয়ে। তার দশ মিনিটের মাথায় আমি যখন চারুকলার সামনে যাই, দেখতে পাই যায়গাটা অনেক ফাকা হয়ে গেছে। আমি মন খারাপ করে ছবির হাটে বসি ইমনের দোকানে। হটাৎ দেখলাম, সেখানে আবার মারামারি লেগে গেছে। বিরাট হাউকাউ। হলের ছেলেদের সাথে গ্যাঞ্জাম। এই গ্যাঞ্জাম শেষ হতে না হতেই ত্রিশ চল্লিশ জনের একটা দল বেরিয়ে গেলো ছবির হাট থেকে।
একটা ছেলের দিকে চোখ পড়লো। মাথায় পতাকা বাধা সেই ছেলেটা মুখ গুজে কাদছিলো। কত হতাশা, আহা।
এমন সময় অগ্নিশিখার দিক থেকে চিৎকার চেচামেচি শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখি সেদিকেও চলছে ঝামেলা। মারামারি করে সেখান থেকে বেরিয়ে গেলো আরেকটা দল। ততক্ষনে ছবির হাট, চারুকলার সামনে গুটিকয়েক ছেলেমেয়ে ছাড়া আর কেউ নেই। দাঙ্গা পুলিশ লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কোন ঘটনার আশায়। কিংবা শুধু ভয় দেখানোর জন্যেও হতে পারে। তবে সেই ভয়ে কাজ হয়েছে। যত সব সেলিব্রেটি, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব, ইন্টেলেকচুয়াল মানুষজন ছিলো, সব সটকে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে চায়ের দকান গুলো।
মাথা হাটুতে গুজে একা শুধু বসে আছে সেই পতাকা বাধা ছেলেটা। ওর মনের অবস্থা বুঝতে আমার কষ্ট হয়নি। এত কষ্টের একটা আন্দোলন শেষ হয়ে যাবার ভয়টা আমিও পাই। আমিও ফিল করি।
খুব মনে হচ্ছিলো, কোথায় সবাই। এখন তো আরো বেশি করে আমাদের থাকা দরকার। আরো জোরে স্লোগান দেয়া দরকার। ইশ, কি হতো যদি কালকে প্রতিটা ব্লগার যারা এতদিন ছিলেন, কিংবা ছিলেন না, সবাই এক সাথে মাঠে নেমে আসলে। এইটুকু প্রত্যাশা কি আমাদের থাকতে পারেনা ?
আন্দোলনের টাইম কমিয়ে দেয়া, তারপর সবার মাঝে এর প্রতিক্রিয়া, ফেসবুক, রাস্তায় এর তুমুল সমালোচনা, রাজিবের হত্যাকান্ড, দাঙ্গা পুলিশ, রাস্তা ফাকা হয়ে যাওয়া, এই সব কিছুকে আর বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে হয়ার কোন সুযোগ ছিলোনা।
আজকে সেই একই টাইমে আবার দেখলাম সেই ইন্টেলেকচুয়াল দের। যাদের কাওকে কাওকে দেখা গিয়েছিলো টক শো তে। দেখলাম ফটোগ্রাফার, সেলিব্রেটিদের। সবাই এসেছে আজ। চা খেয়ে গল্প করছে আন্দোলন কোন দিকে যাচ্ছে তাই নিয়ে।
শুধু দেখলাম না মাথায় পতাকা বাধা সেই ছেলেটিকে। মনে হলো, এখানেই আমরা ব্যার্থ ।
২য় অংশঃ
পতাকা মাথায় বাধা ছেলেটা বসে আছে মুখ গুজে। ছবির হাট তখন, অন্ধকার। মঞ্চের আওয়াজ কমে এসেছে। এমন সময় কোথেকে যেন স্লোগান ভেসে আসে।
জয় বাংলা। জয় বাংলা।
ছেলেটার মুখে এসে পড়ে মশালের আলো। বেশি না, মাত্র ৫ জনের একটা মিছিল। এদিক সেদিক থেকে এক জন দুজন করে সেই মিছিলে যোগ দেয়। পিঠা ওয়ালা, সিগেরেট ওলারা নিজেদের ঝাপি বন্ধ করে সেই মিছিলে অংশ নেয়। চারুকলার সব আর্টিস্ট রা বের হয়ে আসে ক্যাম্পাস থেকে। কোথেকে যেন একজন চিৎকার দিয়ে বলে উঠে,
রাজিবের রক্ত, বৃথা যেতে দেবোনা। একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার। জয় বাংলা।
সব মানুষ এক হতে থাকে, বাড়তে থাকে মিছিলের প্রকোপ। আকাশে বাতাসে ধনিত হতে থাকে হুঙ্কার। জামাত, শিবির, রাজাকার, এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়।কি বোর্ড ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় এক তরুনী। সদ্য লেখা পোস্ট টি ড্রাফট করে উঠে দাঁড়ায় নবীন ব্লগার। ছোট্ট শিশুটি আর তার মা কে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে অফিস ফেরত পুরুষ। চারিদিকে বাজে যুদ্ধের দামামা।
পতাকা বাধা সেই ছেলেটি উঠে দাঁড়ায়। এক ঝাটকা দখিনা বাতাস ছেলেটির ভয় আর শঙ্কাকে নিয়ে যায় দূরে, অনেক দূরে। সে আর একা না। তার সাথে আছে পুরো শাহবাগ, পুরো ঢাকা, পুরো বাংলাদেশ। দৃপ্ত কন্ঠে সে বলে উঠে,
জয় বাংলা, জয় বাংলা।
(২য় অংশটি আমার কল্পনা। একজন লেখক বা ফিল্ম মেকার হিসেবে এইটুকু কল্পনা করার স্বাধীনতা নিশ্চই আমার আছে। তবে যেই দিন আমার স্বপ্নটা দেখবে সারা বাংলাদেশের মানুষ। সেইদিন নিশ্চই আমরা নিজেদের সত্যিকারের দ্রোহী ভাবতে পারবো।)
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২০
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: +++
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই যদি যুদ্ধের কথা বলেন আমার মাঝে মৃত্যু ভয় আছে তবে যদি দেশের জন্য মরতে হয় তবে এর চেয়ে মধুর আর কিছু হতে পারেনা। শুধু আমি মরে গেলে আমারে নিয়া তামাশা যেন না হয়।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩১
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ++
৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩১
আমিনুর রহমান বলেছেন: রাজিবের রক্ত, বৃথা যেতে দেবোনা।
একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার।
জয় বাংলা।
জয় প্রজন্ম।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩২
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: জয় বাংলা।
জয় প্রজন্ম।
৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩২
বোকামন বলেছেন:
গর্জে ওঠো জনতা ।। পুনরায়! সেই ৭১এর মতো।
জয় বাংলা
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১১
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: জয় বাংলা
৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৪
যেড ফ্রম এ বলেছেন: এখন পিছিয়ে যাওয়া মানেই হেরে যাওয়া। একা ছেলেটা আশাকরি (বিশ্বাস করি) একা নয়।
জয় বাংলা।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১১
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: জয় বাংলা।
৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৫
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: আন্দোলন চলবে !
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১১
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আন্দোলন চলবে
৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৯
পথ-হারা এক পথিক বলেছেন: কল্পনাটা বাস্তবে রূপান্তরিত হোক।। +++
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১২
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: জয় বাংলা।
৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৫
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: হেরে যেতে আসিনি। বিক্রি হতে আসিনি। ছিলাম, আছি, থাকবো।
জয় বাংলা
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১২
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: হেরে যেতে আসিনি। বিক্রি হতে আসিনি। ছিলাম, আছি, থাকবো।
৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কল্পনটা বাস্তবে পরিনত হোক। এটাই এক মাত্র চাওয়া।
খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি জনগন এর সৎ ইচ্ছার মূল্য কেউ দিতে পারে না। ক্ষমতার লোভে, মোহের লোভে সব বিকিয়ে যায়। এই দেশের জন্য বড়ই কষ্ট হয়। কিছুই করতে পারি নি।
তন্ময় আপনি কি বলতে পারেন, কিছু খেলা কেন এত নোংরা হয়? দেশ তো আমাদের মা সমতুল্য তাই না? মা এর সাথে কিভাবে মানুষ এমন করে!!!
যাই হোক,
আন্দোলন সফল করতেই হবে। যত কিছুই হোক না কেন। আমাদের দাবি আদায় করতেই হবে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৩
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: জয় বাংলা
১০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
নস্টালজিক বলেছেন: কল্পনার শব্দকল্পগুলো সত্যি হয়ে উঠুক!
জয় বাংলা!
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩০
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: জয় বাংলা!
১১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: রাজিবের রক্ত, বৃথা যেতে দেবোনা। একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার। জয় বাংলা।
আমরা হারতে জানি না। সত্যের জয় হবেই হবে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩০
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার। জয় বাংলা।
১২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: এমন অনেক কিছুই ঘটছে যা আগে হয়নি কখনও। হবে হবে, আরো হবে!
জয় বাংলা!
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩০
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: জয় বাংলা!
১৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২
htusar বলেছেন: খুব ভাল লেখসেন। ++++++++++++
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩০
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন:
১৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
লিন্কিন পার্ক বলেছেন: পথ-হারা এক পথিক বলেছেন: কল্পনাটা বাস্তবে রূপান্তরিত হোক।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১২
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: কল্পনাটা বাস্তবে রূপান্তরিত হোক।
১৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৯
স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন:
আপনার স্বপ্ন, আমার স্বপ্ন, আমাদের সবার স্বপ্ন একদিন সত্যি হবেই। আর সেই দিনটা হয়তো খুব বেশি দূরে নেই।
জয় বাংলা ।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩২
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: জয় বাংলা ।
১৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১০
শের শায়রী বলেছেন: ক্ষমা যেথা ক্ষীন দূর্বলতা হে রুদ্র নিষ্ঠুর যেন হতে পারি তথা।
জয় বাংলা।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩২
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: জয় বাংলা।
১৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৭
মাক্স বলেছেন: জয় বাংলা।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১৮
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: জয় বাংলা।
১৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩৯
shfikul বলেছেন: জয় বাংলা
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৮
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: জয় বাংলা
১৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৩
বিতর্কিত উন্মাদ মানব বলেছেন: এখনো স্বপ্ন দেখছি। বাস্তব কবে হবে?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৮
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: হয়ে যাবে, দেরি নাই আর।
২০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: +++++++
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৩
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ ।
২১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৩
ডক্টর এক্স বলেছেন: +++++
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ
২২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৪
ডক্টর এক্স বলেছেন: জয় বাংলা, জয় বাংলা, জয় বাংলা ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: জয় বাংলা
২৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৩
ছায়াপাখির অরণ্য বলেছেন: জনতার সংগ্রাম চলবেই!!
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০৩
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: জয় বাংলা
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৮
মশামামা বলেছেন:
ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
ফিরে এসো বাছাধন - সুস্থ জীবনে
বাঙালী হয়ে প্রজন্ম চত্বরে এসে জড়ো হও -
রাজীব হত্যার ক্ষমা চেয়ে পবিত্র করো কণ্ঠ তোমার,
মুখে তোলো একটাই স্লোগান -
'জয় বাংলাদেশ; রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ,
আমি বাঙালি, বাঙালির জয় হোক,
পাকিস্তানী হানাদারবাদ নিপাত হোক।'
ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
সবার সামনে এসে প্রকাশ্যে বলো -
আমি দ্বিধাহীন, বিবেকবোধে সমুজ্বল তোমাদের মতই,
আমি বাংলায় জন্মেছি, বাংলায় একাত্ম, বাংলায় গান গাই
আমি তোমাদেরই সন্তান ও ভাই।
ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
উচ্চস্বরে বলো - আমি লজ্জিত, আমি ভারাক্রান্ত,
আমি মুসলমান; তবে উন্মাদনা নয়, ত্যাগ ও শান্তিই আমার ধর্ম,
আমি জানি - শিবির মানেই উন্নাসিক, মানসিক রোগীদের আস্তানা
করজোড়ে প্রার্থণা করো - প্রজন্মের কাছে প্রজন্ম চত্বরে এসে -
'আমার ভুল হয়ে গেছে; আমায় ক্ষমা করো ।
ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
আজ জাগ্রত জনতার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলো -
'জয় বাংলাদেশ; যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ,
আমি বাঙালি, বাঙালির জয় হোক,
পাকিস্তানী হানাদারবাদের মৃত্যু হোক।
জামাতীবাদ নিপাত যাক, সন্ত্রাসবাদ নিপাত যাক,
মানবতাবাদের জয় হোক, বাংলাদেশের জয় হোক।'
ওহে জনতা, জেগে ওঠো -
আর একটিবার মুক্তির স্লোগানে মাতো আর বলো -
সারাদেশ জাগ্রত হোক, গোটাজাতি এক হোক
এখনি সময়, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবার
পবিত্র মাটির রক্তের ঋণ পরিশোধ করবার।