নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ক্যপ্রিসিয়াস

মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। তাই স্বপ্ন দেখি বড় কিছু করার। অন্যের উপকার করতে ভাল লাগে তা যত নুন্যতমই হোক না কেন ।\n\nভাল লাগে বিধাতার গড়া অপরুপ সৌন্দর্যের মাঝে ঘুরে বেড়াতে।\n\nফেসবুকে এই আমি https://www.facebook.com/capricious.based

ক্যপ্রিসিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

উত্তরণে নারী-নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল তিনজন জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশি নারী

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:২৩





কেউ নিবিষ্ট ক্যারিয়ার নিয়ে আবার কেউবা ব্যস্ত হাতে সামলে চলেছেন ঘর সংসারের কাজ। নারী দিবস উপলক্ষে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম জার্মান প্রবাসী তিনজন সফল বাংলাদেশি নারীর সাথে। নিজেদের পরিবার এবং ক্যারিয়ার ভাবনার পাশাপাশি, নারীদিবস ও বর্তমান বিশ্বে নারীদের অবস্থান নিয়ে কি ভাবছেন তাঁরা?



১) কিভাবে সংসারের পাশাপাশি কেরিয়ার বা প্রফেশনাল লাইফ সামলান? এক্ষেত্রে কতটুকু সফল বা ব্যর্থ মনে করেন নিজেকে?



শাফিনাজঃ সংসার সামলানোর গুণটা সব মেয়েরাই কম বেশি মায়ের কাছ থেকে শিখে আসে। সেভাবে আমিও আমার কাজের পাশাপাশি সংসারের সব কিছুই করার চেষ্টা করি কিন্তু দেশের বাইরে সবকিছুই সুন্দর করে করতে পেরেছি তার পুরো কৃতিত্ব আমার স্বামীর। আল্লাহর অশেষ রহমতে যাবতীয় কাজ করার পাশাপাশি আমাদের রেস্টুরেন্টের দেখাশোনাও করি।



তানিয়াঃ এখানে আছি প্রায় বারো বছর। এর পেছনে আছেন আমার স্বামী যার সমর্থনের কারণে আমি আজ সংসার ক্যারিয়ার একহাতে সামলে উঠতে পারছি। আসলে পরিবার, চাকরি, সন্তানের ভেতরে শান্তি খুঁজে পেলেই জীবনকে উপভোগ করা যায় বলে আমার বিশ্বাস।



নায়লাঃ আমি একাই থাকি তাই বলতে গেলে সেই রকম কোন অসুবিধা হয় না। চাকরি জীবনে নিজের পছন্দের জায়গাতে কাজ করতে পারায় একটু সন্তুষ্টি কাজ করে। আর সফলতা বলতে গেলে পথ চলতে চলতে সময়ই বলে দিবে কতটুকু সফল বা ব্যর্থ।



২)আপনার জীবনে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা কে? লাইফ নিয়ে আপনার পরবর্তী ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?



শাফিনাজঃ আম্মু আর আমার স্বামী। আম্মু তো সবসময় পাশে ছিল আর সবকিছুতে সাপোর্ট করতো কিন্তু বিয়ের পর মেয়েদের কিছু করার ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময় স্বামীর অমত থাকার কারণে হয়ে উঠে না। ইসমাইল (শাফিনাজের স্বামী) সবসময় আমি যা কিছু করতে যাই বা যা কিছু আমার ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে ও উল্টো আমাকে তা বুঝাতে থাকে। সেসব করার জন্য উৎসাহ দেয়।



তানিয়াঃ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা আমার ভাই মশিউর রহমান যিনি বর্তমানে টেক্সাস ইন্সট্রুমেন্টে চাকুরিরত রয়েছেন। এছাড়া আমার আন্টি প্রফেসর ফারজানা ইসলাম যিনি এখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর।



নায়লাঃ আমার পরিবার, প্রধানত আমার নানা, মা , বাবা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলতে গেলে সামাজিক এবং ব্যক্তিগত জীবনে ভাল কিছু করা। এক কথায় সমাজে অবদান রাখা।



৩) জার্মানির লাইফস্টাইল এ মানিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে কি কোন সমস্যা হয়েছে? বাংলাদেশের তুলনায় এখানের জীবন কতটা সহজ বা কঠিন?



শাফিনাজঃ একটু কষ্ট হয়েছে, অতি আহ্লাদে বড় হওয়া মেয়ে তো হা হা। কখনো কাজ করিনি, ঘুম থেকে উঠার জন্য কোন তাড়া ছিল না। এখানে আসার পর মনে হয়েছে কোথায় এলাম- সব কাজ আমাকে তো করতেই হবে তার সাথে ভাষাও শিখতে হবে। আমার মেয়ের কিন্ডারগার্টেন, রান্না, পরিষ্কার আরো কত কি! কিন্তু সময়ের সাথে নিজেকে পারদর্শী করে তুলেছি। এখন মনে হয় বাংলাদেশের তুলনায় এখানে জীবন অনেক সহজ।



তানিয়াঃ প্রবাস জীবনে প্রথমে মানিয়ে নিতে কষ্ট হলেও পরে ঠিক মিশে গেছি সব কিছুর সাথে।



নায়লাঃ এই দেশটা অনেক নিয়মতান্ত্রিক এবং সবকিছু একটা সিস্টেমের মধ্যে চলে তাই মানিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হয় নাই।







নিজ নিজ ক্ষেত্রে উজ্বলতার ছাপ রেখে চলা তিনজন জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশি নারীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে "উত্তরণে নারী" পড়ুন "জার্মান প্রবাসে" – নারী দিবস বিশেষ সংখ্যা – মার্চ, ২০১৪!



লিঙ্কঃ http://bsaagweb.de/bsaag-magazine-march-2014/



সকল নারীর প্রতি সম্মানার্থে আমরা এবারের ম্যাগাজিন জার্মান প্রবাসে সাজিয়েছি শুধুমাত্র নারীদের লেখা দিয়ে। জার্মানিতে অবস্থানরত নারীদের মধ্যে অনেকেই বহু বছর যাবৎ জার্মানিতে অবস্থান করছেন, নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজের মাধ্যমে সুনাম অর্জন করেছেন আবার কেউ বা সদ্য পাড়ি জমিয়েছেন। কিন্তু বিসাগের প্ল্যাটফর্মে তাঁদের পদচারণা তুলনামুলকভাবে অনেক ক্ষীণ। তাই আমাদের চেষ্টা তাঁদের চোখ দিয়ে আরেকবার জার্মানিকে আপনার কাছে তুলে ধরা। জার্মান প্রবাসে – নারী দিবস বিশেষ সংখ্যা – মার্চ, ২০১৪

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬

সোহানী বলেছেন: ভালো উদ্যোগ অবশ্যই...........

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩১

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্ত্যবের জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.