নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ক্যপ্রিসিয়াস

মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। তাই স্বপ্ন দেখি বড় কিছু করার। অন্যের উপকার করতে ভাল লাগে তা যত নুন্যতমই হোক না কেন ।\n\nভাল লাগে বিধাতার গড়া অপরুপ সৌন্দর্যের মাঝে ঘুরে বেড়াতে।\n\nফেসবুকে এই আমি https://www.facebook.com/capricious.based

ক্যপ্রিসিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

রূপবতী শহর প্রাগ

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:৫৫



থার্টি ফার্স্ট নাইটে কোথায় ঘুরতে যাব তা নিয়ে আলোচনা করছিলাম। অনেক ভাবনা চিন্তার পর ঠিক হল আমরা প্রাগে যাবো। চেক রিপাবলিকের রাজধানী প্রাগ ইউরোপের চতুর্দশতম বড় শহর। নেট থেকে প্রয়োজনীয় অনেক তথ্য খুঁজে বের করলাম। গুগল ট্রান্সলেটর দিয়ে কয়েকটি চেক শব্দও শিখে নিলাম । যেমন ডেকুয়ে (ধন্যবাদ), ক্রাসনি (সুন্দর) ইত্যাদি। মোটামুটি তিন দিন প্রাগে থাকতে হবে। তাই থাকার জায়গা নিয়ে চিন্তা ভর করল মাথায়। হোটেল কিংবা হোস্টেলগুলোয় ভরা থার্টি ফার্স্ট নাইটের রঙ। সেসবের হিসাব অনেক ব্যয়বহুল। তাই আমরা ঠিক করলাম আমরা কাউচ সার্ফিং এ থাকার জায়গা খুঁজবো ।

কাউচ সার্ফিং এর ওয়েবসাইটে গিয়ে একটা অ্যাকাউন্ট খুলে নিলাম। কাউচ সার্ফিং এমন একটা ব্যবস্থা যার মাধ্যমে বিনামূল্যে আপনি কারো বাসায় থাকতে পারবেন। আপনারা কয়জনকতদিন থাকবেন

এবং আপনাদের সকল ইনফর্মেশন, কন্টাক্ট নাম্বার ইত্যাদি লিখে রিকোয়েস্ট পাঠাতে হয় আপনার গন্তব্য স্থানে যারা আছেন সেসব কাওউচ সার্ফিং হোস্টদের। আপনার প্রোফাইল দেখে যদি কারো ভালো লাগে তখন সে আপনাকে তার বাসায় থাকার আমন্ত্রণ জানায়।

আমাদের কাছে সময় ছিল এক সপ্তাহ। তার উপর থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কাওউচ সার্ফিং এ থাকার জায়গা পাওয়া খুবই দুরূহ ব্যপার। বেশি কিছু না ভেবেই রিকোয়েস্ট পাঠাতে শুরু করলাম প্রাগে অবস্থানরত সকল কাওউচ সার্ফিং আইডি গুলতে। প্রায় পঞ্চাশেরর উপর রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে একটি থেকে মাত্র উত্তর পেয়েছিলাম পাঁচ দিন পর। ভদ্র মহিলার নাম যেদেন্কা। পেশায় সাংবাদিক। তার সাথে তার একটি ছোট মেয়ে এবং একটি পোষা বিড়াল (টম) আছে। সে আমাদেরকে তার একটি রুমে থাকতে দিবে এমনটাই কথা হল।



৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২..



ভোর ৬ টা ১৯ এর বাস ধরে কায়সার্সলাউটার্ন রেলওয়ে স্টেশনে গেলাম। এরপর সেখান থেকে ট্রেনে করে মানহাইম যাবার কথা। কিন্তু নয়েস্টাড গিয়ে আমাদের ট্রেন থেমে গেলো। রেলওয়ে স্টেশনে ঘোষনা- একজন লোক রেলপথে আত্মহত্যা করেছে, তাই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যাত্রীদের অপেক্ষা করতে বলল কিছু সময়ের জন্য। কিছু সময়ের মধ্যে যাত্রীদের জন্য বাস পাঠানো হবে তাদের গন্তব্য স্থানে পৌঁছে দেবার জন্য। কিন্তু প্রায় দুই ঘন্টা অপেক্ষা করার পরও বাস আসেনা। বেশির ভাগ যাত্রী ট্যাক্সি নিয়ে চলে যায়। আমাদের সকাল সাড়ে এগারোটায় বাস ছিল মিউনিখ থেকে প্রাগে যাবার।

সেটা আমাদের মিস হয়। প্রাগে আর যাওয়া হবে কিনা বুঝতে পারছিলাম না। নয়েস্টাডে প্রায় দুই ঘন্টা অপেক্ষা করার পর রেলওয়ে স্টেশনে এননাউন্সমেন্ট করে বলল এখন ট্রেন চলাচল করতে পারবে। যাত্রীদের ট্রেনে আসার অনুরোধ করা হল।

প্রায় সকাল দশটায় আমরা মানহাইম পৌঁছালাম। সেখানে ইনফর্মেশন সেকশনে গিয়ে আমরা আমাদের



মানহাইম থেকে প্রাগে যাবার টিকেট দেখিয়ে সম্পূর্ণ কাহিনী বর্ণনা করার পর তারা আমাদের নুতন টিকেট দিল যেটার ট্রানজেকশান ছিল মানহাইম থেকে মিউনিখ আইসি ট্রেনে। এরপর সেখান থেকে বাসে প্রাগে।

যেদেন্কা তার গাড়ী করে আমাদের পিকআপ করার কথা ছিল বিকাল পাঁচটায় প্রাগের রাডকান্সকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে। কিন্তু ঘটনাচক্রে আমরা প্রাগে পৌঁছাই রাত সাড়ে নয়টাই। আমরা যেদেন্কাকে কল করে আমাদের দেরি হবার কথা জানাই।

সে আমাদের রাডকান্সকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে পিকআপ করে তার বাসায় নিয়ে যায়। ঘরে ঢুকেই দেখি কালো রঙের বিড়াল (টম) ছুটে আসল যেদেন্কার কাছে। আমরা ফ্রেশ প্রায় সকাল দশটায় আমরা মানহাইম পৌঁছালাম। সেখানে ইনফর্মেশন সেকশনে গিয়ে আমরা আমাদের



মানহাইম থেকে প্রাগে যাবার টিকেট দেখিয়ে সম্পূর্ণ কাহিনী বর্ণনা করার পর তারা আমাদের নুতন টিকেট দিল যেটার ট্রানজেকশান ছিল মানহাইম থেকে মিউনিখ আইসি ট্রেনে। এরপর সেখান থেকে বাসে প্রাগে।

যেদেন্কা তার গাড়ী করে আমাদের পিকআপ করার কথা ছিল বিকাল পাঁচটায় প্রাগের রাডকান্সকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে। কিন্তু ঘটনাচক্রে আমরা প্রাগে পৌঁছাই রাত সাড়ে নয়টাই। আমরা যেদেন্কাকে কল করে আমাদের দেরি হবার কথা জানাই।

সে আমাদের রাডকান্সকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে পিকআপ করে তার বাসায় নিয়ে যায়। ঘরে ঢুকেই দেখি কালো রঙের বিড়াল (টম) ছুটে আসল যেদেন্কার কাছে। আমরা ফ্রেশ প্রায় সকাল দশটায় আমরা মানহাইম পৌঁছালাম। সেখানে ইনফর্মেশন সেকশনে গিয়ে আমরা আমাদের



মানহাইম থেকে প্রাগে যাবার টিকেট দেখিয়ে সম্পূর্ণ কাহিনী বর্ণনা করার পর তারা আমাদের নুতন টিকেট দিল যেটার ট্রানজেকশান ছিল মানহাইম থেকে মিউনিখ আইসি ট্রেনে। এরপর সেখান থেকে বাসে প্রাগে।

যেদেন্কা তার গাড়ী করে আমাদের পিকআপ করার কথা ছিল বিকাল পাঁচটায় প্রাগের রাডকান্সকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে। কিন্তু ঘটনাচক্রে আমরা প্রাগে পৌঁছাই রাত সাড়ে নয়টাই। আমরা যেদেন্কাকে কল করে আমাদের দেরি হবার কথা জানাই।

সে আমাদের রাডকান্সকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে পিকআপ করে তার বাসায় নিয়ে যায়। ঘরে ঢুকেই দেখি কালো রঙের বিড়াল (টম) ছুটে আসল যেদেন্কার কাছে। আমরা ফ্রেশ প্রায় সকাল দশটায় আমরা মানহাইম পৌঁছালাম। সেখানে ইনফর্মেশন সেকশনে গিয়ে আমরা আমাদের মানহাইম থেকে প্রাগে যাবার টিকেট দেখিয়ে সম্পূর্ণ কাহিনী বর্ণনা করার পর তারা আমাদের নুতন টিকেট দিল যেটার ট্রানজেকশান ছিল মানহাইম থেকে মিউনিখ আইসি ট্রেনে। এরপর সেখান থেকে বাসে প্রাগে।

যেদেন্কা তার গাড়ী করে আমাদের পিকআপ করার কথা ছিল বিকাল পাঁচটায় প্রাগের রাডকান্সকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে। কিন্তু ঘটনাচক্রে আমরা প্রাগে পৌঁছাই রাত সাড়ে নয়টাই। আমরা যেদেন্কাকে কল করে আমাদের দেরি হবার কথা জানাই।

সে আমাদের রাডকান্সকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে পিকআপ করে তার বাসায় নিয়ে যায়। ঘরে ঢুকেই দেখি কালো রঙের বিড়াল (টম) ছুটে আসল যেদেন্কার কাছে। আমরা ফ্রেশ হতে গেলাম। এসে দেখি যেদেন্কা আমাদের জন্য চা বানালো। তার ঘরটা খুবই সাজানো গোছানো ছিল। চা খেতে খেতেই যেদেন্কার সাথে অনেক গল্প করা হয়। সে আমাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানলো। আমরাও প্রাগ সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। আমরা তার জন্য কিছু গিফট আর নারিকেলের নারু নিয়েছিলাম। সেগুলো তাকে দেই। সে আমাদের প্রাগে ঘোরার জন্য একটি ম্যাপ দিল। সে তার রান্নাঘর আমাদের ব্যবহার করতে বলে। তার ছোট মেয়েটা দাদীর বাসায় গিয়েছে। তাই মেয়ের ঘরে আমাদের থাকতে দিল। সে আমাদের মেইন দরজার একটি চাবি দেয়। যাতে আমাদের আসা যাওয়ায় কোনো সমস্যা না হয়। যেদেন্কার সাথে কথা শেষ করে ঘুমাতে চলে গেলাম।



লেখাটি বিসাগ এর জার্মান প্রবাসে" – নারী দিবস বিশেষ সংখ্যা – মার্চ, ২০১৪! এ প্রকাশিত শ্রাবস্তী ধর এর লেখা আর্টিকেল এর কিছু অংশ । আর দুটি ঘটনা রয়েছে লেখাটিতে। ইতো কিছুদিন আগেই পালিত হল বিশ্ব নারী দিবস। সকল নারীর প্রতি সম্মানার্থে আমরা এবারের ম্যাগাজিন জার্মান প্রবাসে সাজানো হয়েছে শুধুমাত্র নারীদের লেখা দিয়ে। আর জানতে পড়ুন

জার্মান প্রবাসে – নারী দিবস বিশেষ সংখ্যা – মার্চ, ২০১৪

http://bsaagweb.de/bsaag-magazine-march-2014/

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.