নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ক্যপ্রিসিয়াস

মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। তাই স্বপ্ন দেখি বড় কিছু করার। অন্যের উপকার করতে ভাল লাগে তা যত নুন্যতমই হোক না কেন ।\n\nভাল লাগে বিধাতার গড়া অপরুপ সৌন্দর্যের মাঝে ঘুরে বেড়াতে।\n\nফেসবুকে এই আমি https://www.facebook.com/capricious.based

ক্যপ্রিসিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাইন্ড কন্ট্রোল, সংস্কৃতি সচেতনতা ও হিন্দি/উর্দুতে কথা বলা (লিখেছেন জামাল উদ্দিন আদনান, জার্মানি থেকে)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৫৩

২য় বিশ্বযুদ্ধের পরে স্নায়ুযুদ্ধের একটা স্ট্রাটেজি ছিলো পরাজিত নাৎসি বিজ্ঞানীদেরকে নিজেদের দখলে নেয়া। আমেরিকার এরকমই একটা প্রজেক্টের নাম ছিলো "অপারেশন পেপারক্লিপ"। কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে বন্দিদের উপর বেশকিছু গবেষণার কথা অনেকেই শুনেছেন - ড্রিমস্টেজে পিটিয়ে ঘুমন্ত বন্দিকে জাগিয়ে দেয়া, জীবিত মানুষের মাথার মধ্যে সুঁই ফুটিয়ে পরীক্ষা করাও ছিলো এর মধ্যে। তো তাদের এই গবেষণার বড় একটা সাফল্য ছিলো মানুষের মনকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা অর্জন করা। এই গবেষণার ধারাবাহিকতা রক্ষা ও বাস্তবায়নের জন্যে আমেরিকার একটা প্রজেক্ট ছিলো এমকেআল্ট্রা। আমেরিকার বৃহত্তর জনগোষ্ঠী যে মোহাম্মদ নামওয়ালা কাউকে দেখলে একটু সামলিয়ে থাকে, আলকায়েদা (সিআইএ-র তত্ত্বাবধানে জিহাদি) দমনে এমনকি ফিলিস্তিনে শিশু হত্যাকেও জাস্টিফাই করে, এলিয়েন, জম্বির ভয়ে থাকে - অথচ রক্ষকের ভূমিকায় থাকা তাদের ভক্ষক সরকারের ভন্ডামিকে না দেখে - এইগুলা সবই এমকেআল্ট্রা প্রজেক্টের সার্থক বাস্তবায়ন।

ভূমিকায় এই কথাগুলো আপাতদৃষ্টিতে একটু অপ্রাসংগিক ভাবছেন? আচ্ছা, যদি আমাদের ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গেয়ে উঠি- “আমার ভাইয়ের রক্তে আঁকা, একুশা ফেবরুয়ারি, আমি কি ভুলবার পারি”, “মেরা ভাইকা খুনকা রাঙমে এক্কাইশ ফেব্রুয়ারি, হাম কাভি ভুলে নাহি” – কেমন লাগবে? রাস্তায় হাঁটছেন আপনি, যদি আপনাকে থামিয়ে বলি “হিন্দি/বলিউডি ভাষা শিখুন, সময়ের সাথে স্মার্টভাবে এগিয়ে থাকুন”- কি চটে যাবেন? দেশের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া পত্রিকার প্রথম পাতার অর্ধেকের মত অংশজুড়ে থাকে পাশের দেশের কোনো জুয়েলারির শোরুমের ঠিকানাসহ বিজ্ঞাপণ– কি, স্রেফ একটা বিজ্ঞাপন বলে উড়িয়ে দিবেন?



২০১১ সালের অক্টোবরে মিউনিখে পড়তে আসার আগ পর্যন্ত জীবনের পুরো সময়তো কাটিয়ে ফেলেছিলাম দেশেই। স্কুল-কলেজে থাকতে দেখতাম সেই বন্ধুগুলোই সবচেয়ে বেশি বন্ধুমহলে কদর পেতো যারা হিন্দি সিনেমা-সিরিয়ালের গল্প করতো। আশ্চর্য্য হই এখন ভেবে, কিছু বন্ধুকে দেখতাম কলেজে থাকতে- ঈদের যে পাঞ্জাবী-জামাকাপড় পরতো, তা যে ভারত থেকে আনা তার গল্প করতে। বন্ধুর হাতে “ফাস্টট্র্যাক” এর ঘড়ি দেখতাম, কাঁধের ব্যাগ দেখতাম। বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতাম- বাংলা গান শুনেছি খুবই অল্প, খুব বাড়াবাড়িভাবে বাজতো হিন্দি গান।



যখন কলেজ পেরিয়ে মাত্রই ভার্সিটিতে উঠলাম- আস্তে আস্তে বুঝতে শুরু করলাম হিন্দি গান-সিনেমা-পোশাক প্রকারান্তরে হিন্দি সংস্কৃতির অনুকরণ- একটা ব্যাধির মতন হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের সমাজের জন্যে। আগে বাসায় সবাই মিলে ২-১ ঘন্টার নাটক দেখতাম- মাঝে যদি জন্মবিরতিকরণ পিলের বিজ্ঞাপণও শুরু হতো, শুরুর আওয়াজটা শুনেই উঠে যেতে দেখতাম বড় ভাইবোনদের- রিমোটওয়ালা টিভি তখনো আসেনি বাসায়, তার উপরে চ্যানেল ছিলোই বা কয়টা! অথচ সাম্প্রতিককালে এমনও হয়েছে- চ্যানেল ঘুরাতে ঘুরাতে যখনই বিফোরইউ বা এমটিভি আসলো, হয়তো গানের মাঝটা দেখেই ৪-৫ বছরের ভাতিজা চিৎকার করে উঠলো- “চাচ্চু, শীলা! শীলা!”। মিথ্যা বলছিনা- সদ্যই নবম শ্রেণীতে উঠা ভাগ্নেকে দেখলাম দাঁড়ি পাকা নানার সামনেই কোমরদুলানো যাচ্ছেতাই গানটাই দেখছে, শ্লীলতা আর লজ্জাবোধের সংজ্ঞা এভাবেই বদলে গেছে আমাদের এখনকার সমাজে। ইভটিজিং, ধর্ষণের সংখ্যাবৃদ্ধি, নারীর অবমূল্যায়ন এগুলো আগের থেকে বেশীই বেড়েছে আমার মতে।তারপরও এই জরাগ্রস্ততা খুব একটা প্রকট মনে হয়নি- কিন্তু যখনই জার্মানিতে এসে পৌঁছুলাম, একেবারে প্রথমদিন থেকেই দেখতে শুরু করলাম – সংস্কৃতি শুধু বিনোদন মাধ্যম, ক্ষণিকের “টাইমপাস”ই নয়- তার চেয়ে অনেক বেশিকিছু। জার্মানিতে আসার আগে শুধু ব্লগেই পড়েছি- বিদেশে থাকা প্রত্যেক বাংলাদেশিকেই জীবনে বহুবারই শুনতে হয়েছে একটা প্রশ্ন- “হিন্দি/ উর্দু জানো?”। এইটা ঘটেছে আমার নিজের বেলায় এবং আশেপাশের পরিচিতদের বেলায়ও। তবে এই প্রশ্নটা আসলে ততটা তিক্তও নয়, তার চেয়ে বেশি তিক্ত হলো- “কেনো জানোনা? অনেক বাংলাদেশিই তো জানে!”- এই প্রশ্নটা অনেকটা কৈফিয়তের সুরে যখন জানতে চায় ভারতীয়/পাকিস্তানিরা। এই প্রশ্নগুলো নিয়ে বিরক্তি থেকে প্রচন্ড অপছন্দ করতাম ভারতীয়/পাকিস্তানিদের, তবে সাথে সাথে কি কারণে তারা এই প্রশ্নগুলো করে তার উত্তরও খুঁজতে লাগলাম। আশপাশের পরিচিতদের মধ্যে যাদেরকেই দেখেছি এই ২ দেশীয়দের সাথে তাদের ভাষায় কথা বলতে- একেবারে শতভাগই দেখেছি তারা বলিউডি সংস্কৃতির প্রতি বাড়াবাড়িরকমের অনুরক্ত- এতটাই যে, এই ভাষায় কথা বলাটাকেই তারা স্মার্টনেস হিসেবে দেখে। এবং সত্যি কথা- ইংরেজিতে এরা ঠিক ততটাই বাজে। আমাদের সবারই ইংরেজিতে দুর্বলতা আছে- সেটা অর্ধেকটা হলেও কাটাতে পারি যদি বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে মিশি, কথা বলি, আড্ডা মারি। কিন্তু হিন্দি/উর্দু ভাষায় কথা বলাটাকে যারা স্মার্টনেস ভাবে তাদের বন্ধুত্বের গন্ডি আসলেই খুব ছোট। কে কার সাথে মিশবে, কিভাবে মিশবে- সেটা অবশ্যই আমার বলার এখতিয়ার নেই, কিন্তু তাদের সেই মেশামিশির জেরটা যদি আমাকে বা যারা নিজের সংস্কৃতি নিয়ে গর্ববোধ করি তাদেরকেও টানতে হয়- তাহলে সেখানে অবশ্যই অধিকারের ব্যাপারটা এসেই যায়। আরেকটা সত্যি ব্যাপার হলো- নিজ দেশের স্বাধীনতা, গণহত্যা এসব ব্যাপার নিয়ে ঠিক তাদের মধ্যেই মারাত্মক রকমের তাচ্ছিল্য দেখা যায়। বলা বাহুল্য- “হিন্দি/উর্দুতে কথা বলছো/বলছেন কেন?” এই কথা বলায় অন্তত ৫ জনের কাছে আমি শুনেছি- “আমার বাবা/চাচা মুক্তিযোদ্ধা, আমাকে মুক্তিযুদ্ধ শেখাও!”, “বাঙ্গালির উন্নতিতো সেই জন্যেই হয়না- অতীত নিয়া পড়ে থাকে!”।



জার্মান জাতিটা আজ বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত জাতিগুলোর মধ্যে অন্যতম- ইংরেজি ভাষার ব্যুৎপত্তিতে জার্মান ভাষারও অবদান কম নয়। শেকসপিয়র বা সমসাময়িক লেখকরা যেসব ভাষায় সাহিত্য রচনা করতেন- সেই ইংরেজিটার গঠনরীতি অনেকটাই মিলে যায় জার্মান ভাষার সাথে। আর জার্মানরা ইংরেজি যখন বলে- সেটা ইংল্যান্ডের লিভারপুল বা স্কটিশ এক্সেন্টের মত কাঠখোট্টা নয়- অনেক বেশি পরিষ্কার। যেমনটা বাংলা ভাষায় কথা বলতে গিয়ে আমরা দেখি- শুদ্ধরীতিতে। তো তারপরেও জার্মানদের সাথে কথা বলার শুরুতে যদি ইংরেজি দিয়েই শুরু করেন তাহলে অনেকক্ষেত্রেই তাদের উষ্মা প্রকাশ চোখে পড়তে পারে। এর কারণটা আর কিছুই নয়- নিজের ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। বাভারিয়া অঙ্গরাজ্য খুব বিখ্যাত- এমনকি বাকি জার্মানদের কাছেও- তাদের পোষাকি চাকচিক্য আর আভিজাত্যের জন্যে। অথচ গ্রীষ্মে প্রতিদিনই চোখে পড়ে- কেউ না কেউ অফিসে যাচ্ছে লেডারহোজেন আর ড্রিন্ডল গায়ে দিয়ে। বড় বড় বেশ কিছু বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের হেডকোয়ার্টার বা জার্মান শাখা হেডকোয়ার্টার মিউনিখে- অথচ সেই অফিসগুলোরই কোনো একজন পরিচালক পদের কাউকে যদি দেখা যায় লেডেরহোজেন পরে ভারিক্কি ভাব নিয়ে কাজ করতে, অথবা রিসেপশনে যদি অভ্যর্থনা জানায় ড্রিন্ডল পরা কোনো তরুণী- সেটা নিয়ে বিদেশি হয়ে যে কারোরই আগ্রহ হবে বাভারিয়ানদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে। আর এভাবেই এরা নিজেদের সংস্কৃতিকে ধারণ করেই বিশ্বায়নের নেতৃত্ব দেয়।



তো লেখার শুরুতে যে মাইন্ডকন্ট্রোল স্ট্রাটেজির কথা বলছিলাম- সেটার দিকে একটু আলোকপাত করেই লেখাটা শেষ করবো। এশিয়া কাপ বা টি২০ বিশ্বকাপের সময়ে গ্যালারীতে যখনই বাংলাদেশিকে দেখেন পাকিস্তানি/ভারতীয় পতাকা নিয়ে বা গালে এঁকে উল্লাস করতে- তখনই বুঝতে হবে আমাদের এতদিনকার যে ভাবনাটা ছিলো- ভাষা, সংস্কৃতি নিয়ে, সেটাতে মারাত্মকরকমের কোনো গলদ আছে। মুসলিম ভাতৃত্ববোধের ধুয়া তুলে যারা নিজের দেশের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে যায়- তাদের মূলে আসলে নিজ সংস্কৃতির প্রতি অজ্ঞতাই আছে। নিজ দেশে হওয়া বড় কোনো ইভেন্টে নিজের দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার বদলে, নিজেদের শিল্পীদের অপমান করে হিন্দি গানের জলসা আয়োজন করাও এই মাইন্ড কন্ট্রোল স্ট্রাটেজিরই অংশ ও অব্যবহিত ফলাফল। যে মানুষগুলো দেশীয় শিল্পীদের ৫০ টাকা দামের সিডি কিনেনা অথচ লাখ টাকা দিয়ে বলিউডি নাচগান দেখতে যায়- যে সিনেমা হল মালিকেরা বাংলা চলচ্চিত্রের প্রমোট না করে বরং ক্ষণিক লাভের আশায় হিন্দি সিনেমা আমদানি করতে উঠে পড়ে লাগে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংস্থার পরিচালক হয়ে এফডিসির উন্নয়নে টাকা না ব্যয় করে বাইরের দেশের চলচ্চিত্র সংস্থার সাথে চুক্তি করে তোড়জোড় করে তাদের ছবি আমদানি করতে- সেগুলোর মূলেও আছে এই স্ব-সংস্কৃতিবিমুখতা।



এখনো সময় আছে- দেশ থেকে যারাই বিদেশের পড়তে আসছেন, দয়া করে নিজেকে বাংলাদেশের পতাকার একটা অংশ মনে করুন। হেডফোনে যে হিন্দি গানটা শুনছেন, যে সিনেমাটা দেখছেন বা ফেসবুকে যে স্ট্যাটাস লিখতে গিয়ে হিন্দি গানের কথা লিখছেন- সেটা দেশের গন্ডি পর্যন্তই রেখে দিন। আশপাশে অন্যদেরও সচেতন করুন, যদি কাউকে দেখেন হিন্দি/উর্দুতে কথা বলছে- নিষেধ করুন, বুঝিয়ে বলুন- প্রয়োজনে একঘরে করে দিন। সত্যি বলতে কি- যে মানুষটার নিজের দেশের বা সংস্কৃতির প্রতি অবজ্ঞা, তার মানুষ হিসেবে সম্মান পাবার সম্ভাবনাও কমে যায় অন্যদেশিদের কাছে।





চৈতালি বেলা শেষে নতুন বছর একেবারে দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। নতুনকে বরন করে নেয়ার পালায় আমাদের ক্ষুদ্র সংযোজন 'জার্মান প্রবাসে এপ্রিল সংখ্যা'। আপনাদের চাহিদার এবং আগ্রহের কথা মাথায় রেখে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন এবং পরিবর্ধন তো চলছেই।

ম্যাগাজিন ডাউনলোড/দেখতে ক্লিক করুনঃ http://goo.gl/PsKw1A

তাই আমাদের এবারের সংখ্যায় রইল- জামাল উদ্দিন আদনানের লেখায় 'মাইন্ড কন্ট্রোল, সংস্কৃতি সচেতনতা ও হিন্দি/উর্দুতে কথা বলা', জার্মান সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক নিয়ে শাওনের 'জার্মান পড়ালেখা, কালচার ও কিছু এলোমেলো কথা'। প্রতিবারের মত এবারেও আছে আমাদের জনপ্রিয় সিরিজ আনিসুল হকের 'এজেন্সী স্বপ্ন ও বাস্তবতা'-র ১১তম পর্ব। হ্যানোভারে হয়ে যাওয়া সেবিট মেলা নিয়ে থাকল হিমনের প্রতিবেদনে 'বিশ্বের সর্ববৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ও প্রাপ্তি'। এছাড়াও মাগদেবুর্গ থেকে শরিফুল তাঁর জার্মান জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন 'জীবন যখন জার্মানিতে'। সেইসাথে রইল তানজিয়া ইসলামের লেখায় 'রোলিংস্টোন সিরিজ'। আর সাথে কুইজ আর কবিতার ঝাঁপি তো রইলই।

সবশেষে অভিনন্দন এবং স্বাগতম আমাদের সাথে সদ্য যোগ দেয়া জার্মান প্রবাসে অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার দেবরাজ কর-কে।





#ফেসবুকে আমরা - জার্মান প্রবাসে- http://goo.gl/EW4qBH



একটু পড়ে যদি রিভিউ দেন তাহলে অশেষ উপকার হয়। আর কি কি যোগ করা যায় তাও জানাতে পারেন আমাদের। আপনার একটা চাওয়া, একটা মন্তব্য অথবা আপনার কোন অভিজ্ঞতা ভাগ করুন না আমাদের সাথে! চটজলদি লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায়ঃ [email protected]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.