নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ক্যপ্রিসিয়াস

মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। তাই স্বপ্ন দেখি বড় কিছু করার। অন্যের উপকার করতে ভাল লাগে তা যত নুন্যতমই হোক না কেন ।\n\nভাল লাগে বিধাতার গড়া অপরুপ সৌন্দর্যের মাঝে ঘুরে বেড়াতে।\n\nফেসবুকে এই আমি https://www.facebook.com/capricious.based

ক্যপ্রিসিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রবাসে পরিভ্রমন- দুই দেশ এক বাগান ( Deux-Rives garden ) (পর্ব -১ )

১২ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:১১

জার্মানি ও ফ্রান্সের সীমান্তঘেসে বয়ে যাওয়া রাইন নদীর একপাশে ফ্রান্সের শহর স্ট্রাসবুর্গ যেখানে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ানের হেডকোয়াটার , আর অপর পারে জার্মানির শহর খেইল । জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যে যোগাযোগের জন্য এই নদীর উপরে ৩টি সেতু । একটি রেলসেতু, একটি পায়ে হেটেও সাইকেল নিয়ে চলাচলের সেতু আর একটি সাধারন যানবাহন চলাচলের জন্য। নদীর দুপারে দুদেশের একটি সুন্দর পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। আর সহজেই পার হবার জন্য একটি ফুট ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে।

এই পার্ক আর ব্রিজের আইডিয়াটা আসে ১৯৯৯ সালের ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের ৫০ তম এনিভারসেরির সময়। নদীত তীরের ১৫০ হেক্টর জায়গা জুড়ে গড়েতোলা এ পার্কের কাজ শেষ হয় ২০০৪ সালে।



একাডেমিক ক্লাসের জন্য মাস তিনেক পর পরই যাওয়া হয় খেইলে। আর এই পার্ক বা ব্রীজ বিকেল বেলার সময়টা পার করার বেশ ভাল একটা জায়গা। চলুন তাহলে দেখে নেই পার্কটি কেমন-



পার্কটি সবার জন্য উন্মুক্ত আর এটাতে জার্মান সাইট থেকে ঢুকার অনেকগুলো গেইট থাকলেও ফ্রান্সের সাইট থেকে ঢুকার একটি গেইট চোখে পরল। আর অনেক বড় হওয়ায় ফ্রান্সের সাইটটা ঠিক মত ঘুরে শেষ করতে পারি নি। চলুন তাহলে পার্কে ঢুকা যাক। আমি জার্মান সাইট থেকে ঢুকব । আর ঠিক ব্রিকের সামনের গেইট দিয়ে ঢুকছি। যেহেতু ব্রিজটি শুধু পায়ে চলা বা সাইকেল নিয়ে পার হওয়া যায় তাই শুরুতেই বেড়িগেট পার হতে হল।





ব্রিজের উপর দিয়ে সামনের দিকে এগুনো যাক





এখানে এসে সামনের দিকে বামে যেতে হবে কারন ডান দিকের অংশে সিড়ি রয়েছে যেটি দিয়ে ঠিক নদীর পাড় থেকে ব্রিজে উঠা যায়









পেছনের দিকে একটা ছবি





হাটতে হাটতে আমরা ব্রিজের মাঝাখানে চলে এসেছি। এখানে এসে ব্রিজটি ২ দিকে চলে গেছে। বামদিকের সাইকেল চলার আর ডানদিকে পায়ে হেটে। আপনি পায়ে হেটে গেলে যে কোন সাইট দিয়েই যেতে পারেন কারন সাইকেলওয়ালারা আপনাকে পাশ কাটিয়ে যাবে।















ব্রিজের ঠিক মাঝখানের জায়গাটা আরো মজার। এখানে সারি সারি বেঞ্চ পাতা আছে বসার জন্য। এই খানে বসে জিরিয়ে নেয়া যায়। দারুন একটা জায়গা।











আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। দেখুন ব্রিজের কলামগুলো কি করে বানানো হয়েছে







আমরা ফ্রান্সের সীমানায় চলে এসেছি। আমার মোবাইলে ইতিমধ্যে মেসেজ চলে এসেছে ফ্রান্সের নেটোয়ার্কে স্বাগতম জানিয়ে।

ব্রিজের উপর থেকে ফ্রান্সের অংশ











ব্রিজ থেকে নামার পরেই ডান পাশে ফ্রান্সের অংশের গার্ডেনের একটা ম্যাপ দেয়া আছে







২০০৯ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারক উবামা এই পার্কে গিয়েছিলেন , তার ভিডিও দেখুন





আজ এ পর্যন্তই , সামুতে ইমেজ আপলোড করতে ভীষন ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে । আগামি লেখায় গার্ডেনের ফ্রান্স অংশ আর জার্মান অংশে ঘুরিয়ে দেখাব । সে পর্যন্ত ভাল থাকবেন সবাই , ধন্যবাদ ।





প্রবাসে পরিভ্রমন ২- দুই দেশ এক বাগান ( Deux-Rives garden ) (পর্ব -২ )



প্রবাসে পরিভ্রমন ৩- দুই দেশ এক বাগান ( Deux-Rives garden ) (শেষ পর্ব )

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬

বলাকাবিহঙ্গ বলেছেন: Mostlly beautiful- highclass writing! Congratulation to you!

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: ধন্যবাদ বলাকাবিহঙ্গ আপনার মন্ত্যবের জন্য...

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৩৩

সোহানী বলেছেন: ব্রিজের উপর বেঞ্চের আইডিয়াটা দারুন............ আমার প্রতিদিনই হাতির ঝিল দিয়ে যাই, প্রায় আমার মনে হয় একটু যদি ব্রিজের উপর বসতে পারতাম !!!!

দারুন সব ছবি.....

২০ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: আসলেই আমার কাছেও দারুন লেগেছে। বিশেষ করে সন্ধ্যায় সুর্য ডোবার পর দুদেশের মাঝখানে বসে একান্ত নিজের মত করে কিছুটা সময় পাড় করা যায় । এ অনুভুতি অসাধারন।

২০ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: আসলেই আমার কাছেও দারুন লেগেছে। বিশেষ করে সন্ধ্যায় সুর্য ডোবার পর দুদেশের মাঝখানে বসে একান্ত নিজের মত করে কিছুটা সময় পাড় করা যায় । এ অনুভুতি অসাধারন।

৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৪২

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার একটা পোষ্ট।+++।

২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১৪

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: ধন্যবাদ শরৎ দা, আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগছে...

৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০

হুসাইন অভি বলেছেন: ব্লগে আমার ঘোরাঘুরির মুল উদ্দেশ্যই হচ্ছে এ ধরণের (ভ্রমণ) লেখা পড়া :) প্রাগ নিয়ে লেখাগুলো পড়তে পড়তে এতটুকু পর্যন্ত এসেছি। অফিসে বসে এর চেয়ে দ্রুত পড়া যায় না। বাসায় গিয়ে সব পড়ে ফেলবো । আপনার লেখার ধরণ ভাল লেগেছে । গড়গড় করে পড়ে ফেলা যায়। আরও লেখা পাবো আশা করি :-B

৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

বোকামানুষ বলেছেন: দারুন লাগলো পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়

এরা একসাথে ব্রিজ, পার্ক বানায় আর আমাদের সীমান্তে গুলি করে মানুষ মারে কবে যে আমাদের সীমান্তগুলো এমন হবে

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: আমারও সেই একই প্রশ্ন কবে যে আমাদের সীমান্তগুলো এমন হবে। শুধু জার্মানি না ইউরোপের ২৭ টা দেশের সব কয়টা বর্ডারই ওপেন,কোন পুলিশ, ইমিগ্রেশন এমনকি কোন চেকপোস্টও নেই সেই সব বর্ডারে। কোন ভিসা ঝামেলাও নেই। যে কেউ যে কোন সময় ইউরোপের যে কোন দেশে যেতে পারবে। আমাদের দেশের সীমান্ত করে এমন হবে আদৌ হবে কি কোনদিন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.