![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কথিত বুদ্ধিজীবি শাহরিয়ার কবিরের একটি সাক্ষাৎকার দেখলাম। গত ১৭ই আগস্ট একাত্তর টিভিতে ধর্মব্যবসায়ী জামাত, বাতিলপন্থী ওহাবি ও সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে বলতে দিয়ে একেবারে ইসলামের বিরুদ্ধে বলে ফেলেছে। আর নিজে বুদ্ধিজীবি সাজতে দিয়ে পরিণত হলেছে গণ্ডমূর্খে।
১) সে বলেছে, হিজাব বা বোরকা আরব থেকে এসেছে: বোরকা আরব থেকে আসবে এটাই তো স্বাভাবিক। কারণ মুসলমানদের নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরবেই এসেছিলেন। সেখানে প্রথম পর্দা ফরজ হয়েছে, পরে তা সারা বিশ্বে জুড়ে ইসলামের আইন হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ইসলাম পূর্ব (জাহিলিয়াত) যুগে আরবের মহিলারা অনেকে পোষাক বিহীন অবস্থায় থাকত। তাহলে এখন যদি কেউ পোষাকবিহীন অবস্থায় থাকে সেটা কি শাহরিয়ার কবির বলবে, এই কালচার আরব থেকে এসেছে?
২) সে বলেছে, বোরকা মরুভূমির পোষাক: রাশিয়ায় মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মত প্রচণ্ড ঠাণ্ঠা থেকে বাচঁতে চোখ মুখ ঢেকে পোষাক পরা হয়। লু হাওয়া থেকে বাচতে মরুভূমিতে মুখ ঢাকতে হয়। তবে সেখান থেকে বোরকা এসেছে এটা মুর্খের মত কথা। কারণ বোরকা বা পর্দা কেমন হবে তা স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন পাকে সূরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াত শরীফে বলেছেন-- মহিলারা যেন চাদরের একটা অংশ চেহারা ও বুকের উপর টেনে দেয়। তাই বোরকা বা পর্দায় শরীর কিভাবে ঢাকতে হবে তা কারো বানানো প্রথা নয়, কুরআন পাক দ্বারা নির্ধারিত নিয়ম।
৩) সে বলেছে, ষাটের দশকে সিনেমার নায়িকারা শর্ট স্লিভলেস ব্লাউজ পড়ত: সিনেমার স্লিভলেস শর্ট ব্লাউজ দ্বারা যদি সে যদি সেই সময়কার সব মহিলার পোষাক বুঝাতে চায়, তবে সে একটা চরম শ্রেণীর মূর্খ। কারণ বর্তমানে বাংলাদেশের নায়িকারা সিনেমায় শুধু আন্ডার গার্মেন্টস টাইপ পোষাক পড়ে থাকে, তাহলে আজ থেকে ৫০ বছর পর কি সে বলবে, ৫০ বছর আগে বাংলাদেশের সমস্ত মহিলারা আন্ডার গার্মেন্টস পড়ে থাকত।
৪) সে বলেছে, আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বোরকা পরিহিত মেয়ে ছিল না: ঠিক বলেছে। সেই মহিলারা সত্যিকারের পর্দা করত। যেসব প্রতিষ্ঠানে পুরুষ-মহিলা একত্রে (সহশিক্ষা) লেখা পড়া করত তারা সেখানে যেত না। পড়ত হয় মহিলা মাদ্রাসায় অথবা ইডেন বা বদরুন্নেসা মত মহিলা কলেজগুলোতে।
কিন্তু যে সকল মেয়েরা বেহায়া টাইপের ছিল (মিতা নটির মত) তারাই সহশিক্ষার (ছাত্র-ছাত্রী একত্রে) প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি হত। ( কথাটা তিতা হলেও সত্যি)
৫) আগে রাস্তাঘাটে এত বোরকা পরিহিত মহিলা দেখা যেত না: ঠিক বলেছে। কারণ সেই সময় আমাদের নানী/দাদীরা প্রকৃত পর্দা করত। পবিত্র কুরআনে মহিলাদের অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে এবং ঘরের মধ্যে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। তারা সেটাই মানত। যদিও প্রয়োজনে কোথাও যেত তবে বোরকাতো পড়তই, একই সাথে মহিলাদের শারীরিক গঠন যেন বোঝা না যায় এজন্য রিকশায় উঠলে রিকশার চর্তুপার্শ্ব কাপড় পেচিয়ে যেত। মহিলারা রাস্তায় এখনকার মত পুরুষের সাথে একত্রে ঘুরে বেরাত না। ভ্রমনের প্রয়োজন হলে ট্রেনে মহিলাদের জন্য আলাদা বগি থাকত। তাই রাস্তাঘাটে সাধারণভাবে বোরকা পরিহিত মহিলা খুব একটা দেখা যেত না।
৬) সে বলেছে, সুফিদের কালচার নাচ-গান: সুফিদের মধ্যে নাচ-গানের প্রচলন রয়েছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। কারণ কেউ কখন কোন একটা দলিলও দেখাতে পারবে না যারা প্রকৃত সূফি বা ওলী আল্লাহ ছিলেন তারা কখন হারাম নাচ গান করেছেন। মূলত: বর্তমানে এক শ্রেণীর বেদাতি-যিন্দিক শ্রেণীর লোক বেরিয়েছে যারা সূফিদের নাম ভাঙ্গিয়ে খায় এবং মাযারগুলোতে গাজা, নাচ-গানের আসর বসায়। এরা জালালুদ্দিন রুমি রহমতুল্লাহি আলাইহির মত সুফি ওলী আল্লাহদের নামে মিথ্যা আরোপ করে বলে ‘ সূফিরা হারাম নাচ গান করেছেন’ এ কথা বলে নিজেদের হারামগুলোকে তারা জায়েজ করতে চায়।
৭) এটা তুর্কি, পাকিস্তান বা মিশরের ইসলাম নয়: আসলে সে জানে না ইসলাম কিভাবে এসেছে। ইসলাম এসেছে ওহী মাধ্যমে, স্বয়ং আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে, পবিত্র কুরআন (ওহীয়ে মাতলু) ও হাদীসের (ওহীয়ে গায়রে মাতলু)র মাধ্যমে। এখানে পবিত্র কুরআন-হাদীস পাকে কি আছে তাই দেখতে হবে, সৌদী, তুর্কি , পাকিস্তান বা মিশরে কি আছে তাই দেখলে হবে না। পবিত্র কুরআনে সূরা নূর, সূরা নিসা ও সূরা আহযাবের মধ্যে স্পষ্ট করে পর্দার কথা বলা আছে, কিভাবে বোরকা পড়তে হবে তাও বলা আছে। তা না করলে দুনিয়াতে ফিৎনা বাড়বে (যা এখন হচ্ছে) তাও বলা আছে, পর্দা না করলে পরকালে কঠিন শাস্তি পেতে হবে তাও বলা আছে। সুতরাং এখানে কারো কোন মনগড়া কথা চলবে না।
সুতরাং গণ্ডমূর্খের মত কথা বলে বুদ্ধিজীবি সাজা যাবে না। আগে জানতে হবে তারপর বলতে হবে। আর একইসাথে ইসলাম বিরোধী বক্তব্যের জন্য মুসলমানদের কাছে শাহরিয়ার কবিরের ক্ষমা চাওয়াও উচিত
লেখার সূত্র
২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২
এ-বি-সি বলেছেন: ভাল বলেছেন।
২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
মদন বলেছেন: মোজাম্মেল হক এক কথায় সব ফাইনাল করে দিয়েছেন
২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭
এ-বি-সি বলেছেন: ঠিক
৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: মহিলাদের কী রকম পোশাক পরার ব্যাপারে নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে, তা এইখানে দেখেন :
http://en.wikipedia.org/wiki/Hijab
http://en.wikipedia.org/wiki/Burqa
Click This Link
৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০
আদু চাচা বলেছেন: বর্তমানে ইসলামবিরোধী বক্তব্য দেয়া একটা ক্রেজ, যে যতবেশি দিতে পারে..সে ততবেশি ওপার থেকে মাইনে পায়
৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ভাই মোজাম হক হয়তো জানেন না, হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করা যায়, গ্রহণ করা যায় না। আর প্রায়শ্চিত্ত করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করলেও নমশুদ্র জাতি হওয়া যায়।
৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শাহরিয়ার কবির যথার্থ বলেছেন।
আপনি সুরা আহাজাবের বিভ্রান্তিকর ট্রান্সলেশন করলেন!
এখানে দেখুন
আল্লাহ কোরানে বলেছেন
সূরা আহযাব ২৫:৫৯ আয়াত
﴿يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن جَلَابِيبِهِنَّ ۚ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰ أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا﴾
"হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন,
তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়।
এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু"।
নবুওয়াত যুগের নিকটবর্তী কালের প্রধান মুফাসসিরগণ ও বর্তমান আলেমগন এর এ অর্থই বর্ণনা করেন।
(আরবী ভাষায় জিলবাব বলা হয় বড় চাদরকে। আর ইদন শব্দের আসল মানে হচ্ছে নিকটবর্তী করা ও ঢেকে নেয়া বা "জড়িয়ে নেয়া")
কাঠমোল্লা দের দমন করতে এই আয়াত টি যথেষ্ঠ ...!
এখানে তাদের পরিধানের (তৎকালিন চাদর জাতীয় পোষাক) কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নিতে বলা হয়েছে,
এখানে পরিষ্কার ভাবে সব বলা হয়েছে আলাদা কোন চাদর, হেজাব, বোরখা চাপিয়ে দিয়ে কষ্ট দিতে বলেনি।
চেহারা দেখা যায় ও চেনা যায় এমন ভাবে মাথায় কাপড় দিতে সুনির্দিষ্ট ভাবেই বলা হয়েছে।
২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪
এ-বি-সি বলেছেন: আল্লাহ তায়ালার বাণীঃ (হে নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের চক্ষুকে নিম্নগামী করে, ইজ্জত-আবরুকে হিফাযত করে, তারা যেন তাদের সৌন্দর্যকে প্রকাশ না করে তবে চলাচলের কারণে অনিচ্ছা সত্ত্বে যা প্রকাশ হয় তা ব্যতীত এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়নাকে তাদের বুকের উপর ঝুলিয়ে রাখে) সূরা নূর ৩১নং আয়াত শরীফ। মাথার ওড়না বুকের উপর ঝুলিয়ে রাখা মুখম-ল আবৃত করাকে লাযিম বা ওয়াজিব করে। যখন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমাকে আল্লাহ তায়ালার বানীঃ (তারা মহিলারা যেন তাদের চাদরের কিয়দাংশ তাদের উপর টেনে নেয়।) এ আয়াতাংশের ব্যাখ্যা জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তখন তিনি চাদর নিয়ে তার মুখম-ল ঢাকলেন, শুধু একটি চোখ খোলা রাখলেন। এ বর্ণনাটি প্রমাণ করে যে, আয়াতে কারীমার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, মুখমণ্ডল বা চেহারা আবৃত করা, ঢেকে রাখা। এটি এ আয়াতের বিষয়ে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা-এর তাফসীর। অনুরূপভাবে বর্ণনা রয়েছে হযরত উবাইদা সালমানী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু সম্পর্কে। তাঁকেও অনুরূপ জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। “হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনু আব্বাছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন; মু’মিনগণের স্ত্রীগণকে নির্দেশ করা হয়েছে যে, তারা যেন তাদের মাথা, চেহারা এবং সমস্ত শরীর চাদর দ্বারা আবৃত করে বাইরে বের হয়। তবে একটি চক্ষু খোলা রাখতে পারবে। যাতে বুঝা যায় যে, তারা স্বাধীনা। মূল বক্তব্য হচ্ছে; নিশ্চয়ই ‘জিলবাব’ হচ্ছে এমন কাপড় যা দ্বারা মহিলাদের সমস্ত শরীর আবৃত হয়ে যায়। আর তা আমাদের যামানায় বোরকা হিসেবে পরিচিত।” (তাফসীরে আয়াতুল্ আহকাম ২য় জিঃ ৩৭৫ পৃষ্ঠা) স্মর্তব্য যে, পূর্ববর্তী যামানায় বর্তমান যামানার ন্যায় বোরকার প্রচলন ছিলনা, সে যুগে মহিলারা পর্দার জন্যে বড় চাদর বা ওড়না ব্যবহার করতো। তারা চাদর বা ওড়নাকে সমস্ত শরীর, মাথা ও চেহারায় এরূপভাবে প্যাঁচাতো শুধু রাস্তা দেখার জন্যে একটি বা দু’টি চোখ খোলা রাখতো। তবে মাথার ঘুমটা এরূপভাবে সামনের দিকে বুক পর্যন্ত ঝুলিয়ে দিতো, যাতে শুধুমাত্র তারা রাস্তা দেখতে পেতো কিন্তু তাদের চেহারা বা চোখ কেউ দেখতে পেতোনা। কাজেই হাদীছ শরীফে ও ফিক্বাহের কিতাবে রাস্তা দেখার জন্যে একটি বা দু’টি চোখ খোলা রাখার যে কথা বলা হয়েছে তা এরূপভাবে খোলা রাখার কথাই বলা হয়েছে। আর বর্তমান যামানায় যেহেতু বোরকার ব্যবস্থা রয়েছে তাই চোখ খোলা রাখার প্রশ্নেই আসেনা। বরং চেহারার উপর বোরকার নেকাব ফেলে রাখবে যাতে চেহারার কোন অংশই পরপুরুষ না দেখে। কাজেই বোরকা দ্বারা হোক বা চাদর বা ওড়না দ্বারা হোক যেভাবেই পর্দা করুক না কেন কোন অবস্থাতেই একটি চোখও পরপুরুষকে দেখানো জায়িয হবেনা। যদি পথ দেখার জন্যে একটি বা দু’টি চোখ খোলাও রাখে তবে অবশ্যই তার উপরে চাদর বা ওড়নার ঘুমটা ও বোরকার নেকাব ফেলে রাখতে হবে। যাতে সে রাস্তা দেখতে পায় কিন্তু তার চেহারার কোন অংশই কেউ দেখতে না পায়। এটাই খাছ হিজাব বা পর্দার ব্যাপারে শরীয়তের নির্দেশ। আর উক্ত হাদীছ শরীফ ও ফিক্বাহের কিতাবের বর্ণনার এটাই সঠিক ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা।
২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
এ-বি-সি বলেছেন: কাল বৈশাখী আয়াত শরীফের ব্যাখ্যা সাধারণ ট্রান্সলেটর দিয়ে করবেন না ভুল হবে। শুধু অনুবাদ করে তার ব্যাখ্যা গ্রহণ যোগ্য নয়। প্রত্যেকটি আয়াত শরীফের শানে নুযূল অনুসারে তাফসির আছে। আপনি ভুল ব্যাখ্যা করে মানুষক বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করবেন না।
৭| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১
আদু চাচা বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী@ আপনি যতটুকুর কথাই বলেছেন...ততটুকু থেকেই কতদূরে আজকের মুসলমান নারীরা সেটা কি স্বীকার করেন?
৮| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
মাহিরাহি বলেছেন: এই বোকাজীবিটা যখন নাচ গানের বলতেছিল তখনই মনে হল এর নিয়ত অন্যকিছু। আল্লাহ এদের হাত থেকে বাংলাদেশের মুসলমানদেরকে রক্ষা করুন।
৯| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮
মেদভেদ বলেছেন: মদন বলেছেন: মোজাম্মেল হক এক কথায় সব ফাইনাল করে দিয়েছেন
১০| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০২
অন্য কথা বলেছেন: মানুষ স্বভাবতই স্বাধীনচেতা। এটা জানা কথা। কিন্তু স্বাধীনতারও একটা Boundary থাকে, যা প্রায়শই আমরা ভুলে যাই স্বাধীনতার অন্ধ মোহে। তো এই স্বাধীন দেশের স্বাধীন মুসলিম রমণীদের স্বাধীনতার মাত্রা এতটাই উপরের লেভেলে গিয়ে ঠেকেছে যে তারা তাদের স্বাধীনতার Definition তাদের আপন জ্ঞান গরীমা দিয়েই নির্বাচন করছেন। তারা তাদের স্বাধীনতার নীতিনির্ধারণের মত “কঠিন” কর্মখানা আল্লাহ্র উপর ছেড়ে দিয়ে আল্লাহ্কে “কষ্ট” দিতে চান না। নিজেরাই তা নির্ধারণ করে আল্লাহ্র সময় বাঁচিয়ে দেন।
আমাদের দেশের মুসলিম মেয়েদের একটা Basic আইডিয়াগত ভুল যা চোখে পড়ার মত, সেটা নিয়েই এত প্যাঁচাল পাড়লাম। এবং তা হল মুক্তমনা ও আধুনিক বিশ্বের সংজ্ঞায়িত “বন্দিত্বের প্রতিক”(?) বুরখা সংক্রান্ত।
অধিকাংশ মুসলিমদের মতেই ইসলামে বুরখা / Apron/ Cloak পড়ার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। ইসলামে যা বলা আছে তা হল একটা চাদর ভালোভাবে গায়ে জড়ালেই হল। যাতে শরীরের প্রদর্শন না হয়।
তো অনেকটা বিস্ময়ের সাথেই লক্ষ্য করলাম তাদের ব্যাখ্যাকৃত এই চাদর জড়ানোর সংস্কৃতির নিয়মিত UPGRADATION এর ফলে তা ধীরে ধীরে “ফাঁশির দড়ির ন্যায় ওড়না + শর্ট কামিজ” এ গিয়ে ঠেকেছে। আল্লাহ মাবুদ জানেন কবে রাস্তায় মাইক্রো কামিজ দেখে চোখের জেনা করতে হয়। আল্লাহ মাফ করুক।
অত্যন্ত দুঃখের সাথেই বলতে হয় তাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণাদি উল্লেখ করছি যা আমাদের অজ্ঞতাকে দূর করতে সাহায্য করবে ইনশাল্লাহ।
এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণাদি উল্লেখ করছি যা আমাদের অজ্ঞতাকে দূর করতে সাহায্য করবে ইনশাল্লাহ।
সূরা আহযাব – আয়াত ৫৯
“হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের জালাবিব তাদের নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।”
আবু দাউদ হাদীস [৩২-৪০৯০] – উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালমা থেকে বর্ণিতঃ যখন “তারা যেন তাদের জালাবিব তাদের নিজেদের উপর টেনে নেয়।” এই আয়াতটি নাযিল হয়, তখন আনসারি মহিলারা এমন ভাবে তাদের শরীর এবং মাথায় কাপড় টেনে ঘর থেকে বের হওয়া শুরু করলো, যেন তাদের মাথার উপর কাক উড়ে বেড়াচ্ছে।
বুখারী [৮-৩৪৭] - উম্মে আতিইয়া থেকে বর্ণিত - এই আয়াত নাযিল হবার পর, অনেক মহিলাই ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিলেন তাদের কাছে জালাবিব না থাকার কারণে। পরবর্তীতে ঈদের সময় যখন তাদের বের হবার বিষয় এলো, তখন আল্লাহ্র রাসুলের কাছে জিজ্ঞাসা করা হল, “হে আল্লাহ্র নবী, যার জালাবিব নেই, তার কি হবে?” আল্লাহ্র রাসুল জবাব দিলেন, “সে যেন তার কোন সঙ্গীর কাছ থেকে ধার করে নেয়।”
উপরোক্ত আয়াত ও হাদীস থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার। তা হল মহিলাদের ঘর থেকে বের হতে হলে অবশ্যই জালাবিব নামক একটা বস্তু গায়ে জড়াতে হবে। যদি তা বাধ্যতামূলক না হত, তবে নবীজি তা অন্যের কাছ থেকে ধার করতে নির্দেশ দিতেন না।
জালাবিব কি?
জালাবিব শব্দটি হল আরবী জিলবাব শব্দের বহুবচন। ক্লাসিক আরবী ভাষার অভিধানে এই শব্দটির অর্থ হল
"The jilbab is the outergarment, mantle, or cloak. It is derived from the word tajalbaba, which means to clothe. Jilbab is the outer sheet or covering which a woman wraps around her ON TOP OF HER GARMENTS to cover herself from “head to toe”. It hides her body completely" (Lisan al-Arab, volume 7, page 273)
আবু তাহির আল ফায়রুজাবাদি এর The dictionary Al-Qamus al-Muhit এ লেখা আছেঃ
"The jilbab...is that which CONCEALS THE CLOTHES like a cover"
The dictionary Al-Sihah by Jawhari এর জিলবাব অংশে বলা আছেঃ
"The jilbab is the cover and some say it is a sheet. Jilbab has been mentioned in the hadiths with the meaning of sheet, which the woman WRAPPED OVER HER CLOTHES [normally worn clothes]"
উপরের আলোচনায় এটা পরিষ্কার যে জিলবাব কোন ওড়না নয়। এটা একটা Cloak বা Overcoat বা OUTER GARMENT যা সাধরণত যে কাপড় পড়া হয়, তার উপরে পড়তে হয়। Cloak বা Apron যেমন সাধারণ কাপড়ের উপরে পড়তে হয়, জিলবাবও ঠিক তেমন। আরো কথা হল Cloak বা Overcoat বা Apron কখনই একটা চাদরের ন্যায় নয়। এটা অবশ্যই একটা আলাদা লম্বা কাপড় যেটা পরিপূর্ণ সেলাই ছাড়া বুক থেকে পা অব্দি লম্বা চাদর হতে পারে, নতুবা সেলাই সহ (বোতামযুক্ত) লম্বা OUTER GARMENT হতে পারে যা পা অব্দি বিস্তৃত।
তাই ওড়না ঠিক মত গায়ে দিয়ে সেলোয়ার কামিজ ঠিক মত পড়লেই আল্লাহ্র আদেশ মানা হয়ে গেলো ভাবলে ভুল করবেন মহতরমা।
এখানে প্রাসঙ্গিক ভাবে সূরা আন নূরের ৬০ নাম্বার আয়াতটা উল্লেখ করতে চাই।
“বৃদ্ধা নারী, যারা বিবাহের আশা রাখে না, তাদের জন্যে দোষ নেই, যদি তারা তাদের কাপড়ের কিছু অংশ খুলে রাখে। তবে এ থেকে বিরত থাকাই তাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।”
এই আয়াত পড়লে আপাতভাবে মনে হবে কোন বৃদ্ধ মহিলাকে আল্লাহ Allow করছেন যাতে সে তাঁর কাপড় কিছুটা খুলে রাখে। নাউযুবিল্লাহ। এখানে কাপড়ের যেই অংশ খুলে রাখতে বলা হয়েছে তা হল জিলবাব। বৃদ্ধ মহিলাদের, যাদের বিয়ের কোন আশা নেই, তারা যদি জিলবাব ছাড়া বাইরে যান, তবে তাতে দোষ নেই। এখন কথা হচ্ছে, যদি জিলবাব বলে কোন OUTER GARMENT না থাকে, তবে এই আয়াতটার কোন মানেই হয়না বরং আল্লাহ্র নির্দেশের বিরোধী বক্তব্য হত।
হিজাব
আল্লাহ্ তা’লা জিলবাবের সাথে আরো স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন হিজাবের। চলুন আমরা সূরা আন নূরের ৩১ নাম্বার আয়াতটি দেখিঃ
“ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার খিমার বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত দাসী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক - যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।”
খিমার শব্দের অর্থ হল ওড়না, দোপাট্টা বা ওড়নি। যা সাধারণত সালোয়ার কামিজের সাথে পরা হয়। উপরের আয়াত অনুযায়ী এই খিমার বা ওড়না পড়ার নির্দেশ হচ্ছে তা দিয়ে মাথার উপর হতে বুকের নীচ পর্যন্ত ঢেকে ফেলতে হবে [মাথা ঢাকা মানে ফ্যাশান করে চুল দেখিয়ে দেয়া না। বরং চুল সহ ঢেকে ফেলা] এবং সেটা একটামাত্র খিমার দিয়েই। এই ধরনের ওড়না পড়াকেই বলা হয় হিজাব।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে মেয়েদের বের হবার সময় দুটি অবশ্য পরিধেয় কাপড় রয়েছে। একটি হল গলা থেকে পা অব্দি জিলবাব, আরেকটি হল মাথা থেকে পেঁচিয়ে বুক অব্দি খিমার বা ওড়না বা হিজাব।
জিলবাবের পরিধানের বিধান কি?
জিলবাব পরার কঠিন কিছু বিধান হলঃ
০১. এটি হবে OUTER GARMENT
০২. এটি হবে মোটা এবং ঘন, যাতে ভেতরের কোন কিছু দেখা না যায়।
০৩. এটি হবে ঢিলেঢালা, যাতে শরীরের কোন বাঁক বা অঙ্গ স্পষ্ট চোখ দিয়ে উপলব্ধি করা না যায়।
০৪. এটি কখনই এমন ভাবে ডিজাইন্ড হবে না, যে তা অন্য পুরুষকে আকর্ষণ করে ফেলে।
কতদূর পর্যন্ত জিলবাব ও হিজাব করতে হবে?
উপরোক্ত আয়াতের [আন নূর - ৩১] এই অনশটুকু খেয়াল করুনঃ
তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে
এই আয়াতের ব্যখ্যা মুসলিম বিজ্ঞ আলেমগণ দুই ভাবে করেছেন। এক পক্ষ বলছেন হাতের কব্জি ও পুরো মুখমন্ডল হল সাধারণত প্রকাশ পাওয়া অংশ। অন্য পক্ষ বলছেন হাতের কব্জি ও শুধু চোখ জোড়া হল সাধারণত প্রকাশ পাওয়া অংশ। অনেকে পায়ের পাতাকেও ঢেকে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন [মৌজা দিয়ে]। এই ব্যাপারে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মতই গ্রহণ করার অনুরোধ রইলো।
জিলবাবকে বাংলা ভাষায় বুরখা বলা হয়ে থাকে সাধারণত। এখন আপনি যা খুশি তাই বলতে পারেন, বুরখা বলুন, জিলবাব বলুন, ওভারকোট, এপ্রোন, ক্লোক, যা খুশি। তবে আল্লাহ্র স্পষ্ট নির্দেশ আশার পরেও যদি “বুরখা পড়ার দরকার নাই, এমনি গা ঢাকলেই হল” নীতি অবলম্বন করেন, তবে ক্ষতি আপনারই।
আসুন আমরা সঠিকভাবে আল্লাহ্র আদেশ নিষেধ মেনে চলার চেষ্টা করি।
“অতএব পবিত্র তিনি, যাঁর হাতে সবকিছুর রাজত্ব এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।” [৩৬-৮৩]
আল্লাহ্ সর্বজ্ঞানী ।
সূত্র: ফেসবুক/নাজমুস সাকিব এর লিন্ক থেকে।
১১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৩
পুংটা বলেছেন: মেয়েদের বোরখা পরার অর্থ হল, মেয়েরা লোভের জিনিস, ভোগের বস্তু, মেয়েদের শরীরের কোনও অংশ পুরুষের চোখে পড়লে পুরুষের যৌন কামনা আগুনের মতো দাউ দাউ করে জ্বলে, লোভ লালসার বন্যা নামে, ধর্ষণ না করে ঠিক শান্তি হয় না। পুরুষদের এই যৌনসমস্যার কারণে মেয়েদের আপাদমস্তক ঢেকে রাখতে হবে। এই হলো সপ্তম শতাব্দিতে জন্ম হওয়া ইসলামের বিধান। এই বিধান বলছে, পুরুষেরা সব অসভ্য, সব বদ, সব যৌন কাতর, ধর্ষক, তারা নিজেদের যৌন ইচ্ছেকে দমন করতে জানে না, জানে না বলেই শরীরের আপাদমস্তক ঢেকে রাখার দায়িত্ব মেয়েদের নিতে হয়।
সত্যি কথা বলতে কী, বোরখা মেয়েদের যত অপমান করে, তার চেয়ে বেশি করে পুরুষদের। বোরখার প্রতিবাদ পুরুষদেরই করা উচিত। অবাক হই, পুরুষেরা কী করে তাদের নিজেদের ধর্ষক পরিচয়টিকে টিকিয়ে রাখতে চায় মেয়েদের বোরখা পরার বিধানটি জারি রেখে! নিজেদের আত্মসম্মানবোধ বলে কিছুই কি নেই পুরুষের? তারা কেন এখনও বলছে না, ‘আমরা মেয়ে দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়বো না, আমরা আমাদের যৌনইচ্ছেকে সংযত করতে জানি, আমরা বর্বর নই, আমরা অসভ্য অসংযত ধর্ষক নই। আমরা শিক্ষিত, সভ্য। মেয়েরাও আমাদের মতো মানুষ। মেয়েদেরও তো যৌনইচ্ছে আছে, সে কারণে আমাদের তো বোরখা পরতে হয় না। যদি মেয়েরা তাদের যৌনইচ্ছেকে সংযত করতে জানে, আমরা জানবো না কেন? আমরা জানি মেয়েদের সম্মান করতে। আমাদের দোহাই দিয়ে মেয়েদের বোরখার কারাগারে ঢুকিয়ে অত্যাচার করা আর চলবে না’। - তসলিমা।
১২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৫
ছািব্বর বলেছেন: @পুংটা, নিজের কথা কইলেন না মুরতাদ তসলিমার কথা কইলেন । তসলিমা তো তার লিখার প্রতিদান পেয়ে গেছে আর আপনি যদি এই কথা মানেন তাইলে নুপংষক প্রজাতির লোকেরাই এই কথা কইবে।
১৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৬
পুংটা বলেছেন: ছািব্বর... হ ভাই, কইলে তো অনেক কথাই কওন যায়। ভাবখান এমন যে বুরকা ছাড়া নিজের মায়েরে দেখলেও এইসব উঠতি ধর্মান্ধন্দের খাড়ায়া যায়। সব বুরকার দোষ।
১৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৯
পুংটা বলেছেন: আর একখান কথা... এইখানে নিজের কথা কয়জনে কইছে। সবই তো ধর্মান্ধতার কথা কইছে। সবকিছুই ধর্ম জানে আর আমরা হইলাম বুকচুদ
১৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪২
পুংটা বলেছেন: আরও একখান কথা.... তসলিমারে মুরতাদ ঘোষনা করেছে কে? লালা সফি?
১৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৯
মাহিরাহি বলেছেন: পুংটার মন্তব্যের সাথে তার প্রোফাইল এবং নামটি (পুংটা) মানানসই।
১৭| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পবিত্র কোরান ও হাদিসে মুসলিমদের পোষাক নির্দিষ্ট করে দেয়া কোন কথা নেই। বিধর্মি কোরাইশদের প্রচলিত পোষাকই চালু ছিল। ইসলামের অভুদ্যয়ের পর বা মক্কা বিজয়ের পরও মেয়েদের বা ছেলেদের কাপড় পরিধানের স্টাইল পরিবর্তন করতে হুকুম দেয়া হয় নাই, ইসলাম গ্রহন করে নি এমন ইহুদি, খ্রীষ্টান বা কুরাইশ মহিলাদেরও কোন ড্রেসকোড বেধে দেয়া হয় নাই।
পায়জামা, পাঞ্জাবী, ওড়না, এগুলো মুলত ভারতীয় (সাউত এশিয়ান) পোষাক।
জিলবাব কে এপ্রোন বা বোরখা বোঝানোর প্রশ্নই আসে না, কারন সেযুগে সেলাই করা কাপড়ের প্রচলন ছিল না। ছেলেরাও ৩টি চাদর জাতীও পোষাক পরতো তৃতীয় চাদর দিয়ে পাগড়ী বানাতো রোদ থেকে বাঁচার জন্য। বিধর্মি কোরাইশরাও এইধরনের পোষাকই পরত।
১৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩১
মেংগো পিপোল বলেছেন: @ হাসান কালবৈশাখী আপনি এতো জেনেও এটা কিভাবে বললেন কে জানে।
জিলবাব কে এপ্রোন বা বোরখা বোঝানোর প্রশ্নই আসে না, কারন সেযুগে সেলাই করা কাপড়ের প্রচলন ছিল না।
ছবি কথা বলে,
এটা নবীজির কন্যার, এটি তো সেলাই করা।
১৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২১
রবিনহুড বলেছেন:
হাসান কালবৈশাখী @
আপনি পেশা যদি ডাক্তারী না হয়ে থাকে তখন কি আমি আমার কোন রোগের জন্য কি ঔষধ খাব সেটা কি আপনার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিৎ হবে? নাকি অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিৎ হবে?
তেমনি আপনি যদি সিভিল ইন্জিনিয়ার না হয়ে থাকেন তখন কি আমি বাড়ী তৌরি করার জন্য আপনার পরামর্শ নিব? না একজন অভিজ্ঞ সিভিল ইন্জিনিয়ারের পরামর্শ নিব?
উপরের ক্ষেত্রে যদি সেই বিষয় সম্পর্কে অভিজ্ঞ জনের পরামর্শ নিতে হয়, তা হলে আপনি বলুন তো ইসলাম ধর্মীয় বিষয়ে কোরআন হাদিসের বিষয়ে আপনার পরামর্শ সঠিক হবে না একজন সহিহ মুফতি আলেমের পরামর্শ নিতে হবে? কার ব্যক্ষা গ্রহন যোগ্য হবে?
ইসলামে পর্দার বিষয়ে কি বলা আছে আর সেটা কিভাবে পালন করতে হবে সেই ব্যপারে আপনারম মত ২পাতা পড়া ব্যক্তির পরামর্শ গ্রহন যোগ্য হবে নাকি একজন আলেমর পরামর্শ সঠিক হবে?
উপরে দেখুন আপনি কতটা কম জ্ঞান শূন্য যে, হুট করে বলে ফেললেন যে সেই আমলে সেলাই করা কাপড়ের প্রচলন ছিলন না... অথচ আরেকজন ছবি দিয়ে প্রমান দিলেন সেলাই করা কাপড় প্রচলন ছিল....
এতটা কম জ্ঞান নিয়ে আপনি এসেছেন ধর্মের মত অত্যন্ত ব্যপক বিস্তৃত একটা বিষয়ে নিজে অজ্ঞতা জাহির করতে.....
আরে ভাই "ছাগল দিয়ে যদি ধান মাড়ানো যেতো তা হলে মানুষ গরু পালত না....."
সব শেষে বলব.. মূর্খের মত নিজের মন গড়া কোরআন হাদিসের ব্যক্ষা না দিয়ে কয়েকজন আন্তজাতিক আলেম ওলামার রেফারেন্স দিয়ে আপনার যুক্তি যুক্ত প্রমান করুন.....
এটা সবাই ভাল করে বুঝে আপনাদের মত মানুষদের ইসলাম দেখলেই গা জ্বালা করে.... আর ২পাতা জ্ঞান না থাকে সত্বেও আপনারা ইসলামের ব্যক্ষা করতে আসেন....
কথায় বলে অল্প বিদ্য ভয়ন্করী....
কোরআন হাদিস শুধু তরজমা করে তার ব্যক্ষা তৈরি করা যায় না... এটা একটা টেকনিকেল বিষয়.....এটা ব্যক্ষা করতে হলে ফিকাহ শাশ্ত্রের উপর জ্ঞান থাকেত হয়..... প্রতিটা আয়াতের ব্যক্ষা করতে হলে সেটার শানে নজূল ও অন্যান্য হাদিসের রেফারেস্নের উপর ভিত্তি করে ব্যক্ষা করতে হয়.....
আপনি বলবেন কি ফিকাহ শাশ্ত্রের উপর কয়টা ডিগ্রী নিয়েছেন... যে আপনি এসছেন কোআনের ব্যক্ষা করতে?
=================================
৭১ টিভিতে দেখেছিলম, হেফাজতের এক নেতার সাথে আলোচনাতে মুরগী কবির স্বীকার করেছেন ইসলামে পর্দা প্রথা বলতে কতটুকু পর্দা করতে বলেছে সেটা সম্পর্কেই তার কোন ধারনা নেই....সেই অনুষ্ঠানে্ মুরগী কবির নিজেই উক্ত মুফতীকে প্রশ্ন করেন....."আমি জানি না মেয়েদের পর্দা বলতে কতটুকু কিভাবে করতে হয়, আমাকে বলে দিবেন কি?"....
যার এই রকম নূন্যতম জ্ঞান নেই সে কি করে পর্দা সম্পর্কে মন্তব্য করে? এটা আমি বুঝি না....
দেশটা ভরিয়া গেলো হরিদাশ পালে....
২০| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দেশটা হরিদাশ পালে ভরে গেছে, এতে কোন সন্দেহ নেই!
পবিত্র কোরানের সবকটি অনুবাদেই জিলবাব কে চাদর জাতীয় পরিধেয় বস্ত্র বোঝানো হয়েছে।
Jilbab is the outer sheet or covering which a woman wraps around her ON TOP OF HER GARMENTS to cover herself.
(Lisan al-Arab, volume 7, page 273)
যদিও এর পঞ্চাশ হাজার বছর আগে, লৌহ যুগ, পাথরের যুগের অনেক আগেই সেলাই আবিষ্কৃত হয়েছিল।
তবে তৎকালিন আরবের এই অঞ্চলটিতে ছেলে মেয়ে সবাই (কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া) সেলাইছাড়া চাদর জাতীয় পোষাক পড়তো। এর প্রমান হজে গেলে সবাই বাধ্যতা মুলক ভাবে এই চাদর জাতীয় (অবস্যই সেলাই ছাড়া) বস্ত্র পরে হজ করতে হয়।
The Message মুভিতে সেই অঞ্চলের কাপড় পরিধানের স্টাইল দেখুন। বোর্খা খুজে পান কিনা দেখুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
মোঃমোজাম হক বলেছেন: ভাই এতো প্যাচালের দরকার নেই।বলুন ইসলাম ধর্মটিই আরব থেকে এসেছে , পছন্দ না হইলে তুই বাপ দাদার ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু হইয়া ধুতি পিন্দা আয় বেকুব কুঙ্কার